স্থায়ী ঠিকানা | ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
---|---|
বর্তমান ঠিকানা | শামীম স্বরণী, পশ্চিম শেওড়াপাড়া, ঢাকা। |
কোথায় বড় হয়েছেন? (Required) | জন্ম ঢাকায়, বড় হয়েছিও ঢাকায় এবং আজীবনের জন্য ঢাকাতেই স্থায়ী। বর্তমানে আমরা ভাড়া বাসায় আছি এবং বর্তমানে যেই এলাকায় আছি সেখানেই খুব শিঘ্রই ফ্ল্যাট বাসা(এ্যাপার্টমেন্ট) কেনার প্ল্যান আছে, ইন শা আল্লাহ। আর ঢাকায় আমাদের কিছু জমিজমা আছে। সেখানেও পরবর্তীতে বাড়ি করা হবে, ইন শা আল্লাহ। |
বায়োডাটার ধরন | পাত্রের বায়োডাটা |
---|---|
বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিত |
বর্তমান ঠিকানা | ঢাকা |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
স্থায়ী ঠিকানা | ঢাকা |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জন্মসন (আসল) | ১৯৯৭ |
গাত্রবর্ণ | উজ্জ্বল শ্যামলা |
উচ্চতা | ৫'৬'' |
ওজন | ৫১ কেজি |
রক্তের গ্রুপ | B+ |
পেশা | ব্যবসা |
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? (Required) | জেনারেল |
---|---|
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? | হ্যাঁ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান বিভাগ | ব্যবসা বিভাগ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাসের সন | ২০১৩ |
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা | সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি। প্রতিষ্ঠানের নাম: ধানমন্ডি গভঃ বয়েজ হাই স্কুল, ঢাকা। পাশের সন: ২০১৩। |
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা | উপরে সিলেকশন করার অপশন না থাকায় অটো সিলেক্ট করতে হয়েছে যে 'সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি'। আসলে পড়াশুনা করেছি একজন সাধারণ স্টুডেন্টের তুলনায় অনেক গুন বেশি কিন্তু একাডেমিক ভাবে নয়। আমি ছোট বেলা থেকেই একটু ভিন্ন ধরনের মানুষ আর তাই অন্যদের তুলনায় দুনিয়াটাকে একটু অন্য নজরে দেখতে পাই। অনেক অল্প বয়সেই বুঝে গিয়েছিলাম যে কথিত উচ্চ-শিক্ষা কেবল একটা স্ক্যাম যার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আদর্শ কর্পোরেট গোলাম তৈরি করা। আমি এতটাও বোকা নই যে নিজেদের কষ্টের পয়সা নষ্ট করে নিজেকে একজন আদর্শ কর্পোরেট গোলামে পরিণত করবো, তাই সেচ্ছায় ড্রপ-আউট হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। আমার কাছে জ্ঞান অর্জন করাটাই মূখ্য, সার্টিফিকেট অর্জন না। তাই এই জীবনে যতোখানি পড়াশুনা করেছি, কেবল জ্ঞান অর্জনের জন্যই করেছি। ইতিহাস ঘাটলে হয়তো এমন অল্প কিছু সাইন্টিস্ট বা রিসার্চারের খোজ পাবেন যারা এরকম টা করেছেন। না বললেই নয় যে আমি একজন ছোটখাটো রিসার্চারও। সংক্ষেপে উল্লেখযোগ্য একাডেমিক/নন-একাডেমিক পড়াশুনার একটা তালিকাঃ বাংলা মিডিয়ামে পড়েছি এসএসসি পর্যন্ত। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়েছি A Level পর্যন্ত। আর দ্বীনিয়্যাতের শিক্ষা অর্জন করেছি একজন বিজ্ঞ আলেমের সোহবতে 'ফার্যে আইন' পরিমান। এছাড়াও বিদেশ থেকে কিছু বিশেষ কোর্স করে এসেছিলাম। |
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? | হ্যা |
---|---|
আপনার কোর্সের নাম ও ব্যাচ নম্বর: | কোর্সের নামঃ সামাআত, ব্যাচ নম্বরঃ ২২১ |
পিতার পেশা | গার্মেন্টস সেক্টরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী বা শিল্পপতী ছিলেন। এখনো উনি একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে একজন সম্মানিত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ভূমিকা পালন করছেন। উনি আরেকটি বিয়ে করে আলাদা হয়ে গেছেন, আমাদের সাথে এখন আর থাকেন না আর উনি আমাদের সাথে আর যোগাযোগ রাখতে ইচ্ছুক নন। |
---|---|
মাতার পেশা | গৃহিনী |
বোন কয়জন? | ১জন |
ভাই কয়জন? | ভাই নেই |
বোনদের সম্পর্কে তথ্য | আমার শুধু একজন বড় বোন আছে। বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। |
চাচা মামাদের পেশা | আমার কোন চাচা নাই। মামা অবসরপ্রাপ্ত। ঢাকায় নিজেদের বাড়ি আছে। সামাজিক ভাবে সম্মানিত। এছাড়াও আমার যতো আত্মীয়স্বজন আছে তারা সবাই ঢাকার স্থানীয় এবং সামাজিক ভাবে বেশ সম্মানিত। |
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা | আমরা এক সময় উচ্চবিত্ত পর্যায়ে ছিলাম। আমাদের পারিবারিক ব্যবসা ছিলো গারমেন্টস সেক্টরের। রানা প্লাজা ইন্সিডেন্টের সময় দেশের হাজার হাজার গারমেন্টস ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলো, আমরাও সেরকম পরিবারের একটি। ব্যাংকে আমাদের প্রচুর লোন থাকায় ব্যাংক আমাদের সব নিয়ে যায়। প্রায় নিঃস্ব হয়ে পরি আমরা। এর পরপরই ২০১৫ সালের দিকে আমরা জানতে পারি যে গোপনে আমার বাবার একাধিক স্ত্রী আছে আর তাদের একজন বাবার সবকিছু তার নিজের নামে লিখিয়ে নিয়েছে। পরে এসব নিয়ে অনেক ঝামেলা হয় আর সব শেষে আমার বাবা আমাদের ফেলে তার সেই স্ত্রী কাছেই চলে যায়। আমার মায়ের দিকের কিছু সম্পদ-সম্পত্তি থাকায় সে সময় টা বেশ ভাল ভাবেই সার্ভাইভ করতে পেরেছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থান হলো মধ্যম-মধ্যবিত্ত বা বলতে গেলে প্রায় উচ্চ-মধ্যবিত্তের কাছাকাছি এবং সামাজিক ভাবে বেশ সম্মানিত, আলহামদুলিল্লাহ। তবে আমরা যেহেতু এক সময় উচ্চবিত্ত ছিলাম তাই এখনো সমাজের চোখে তুলনামূলক ভাবে অধিক সম্মানিত। বংশীয় দিক থেকেও আমরা যথেষ্ট সম্মানিত, আলহামদুলিল্লাহ। তাই যারা বংশীয় মর্যাদার অধিকারী বা ভাল খানদানি পরিবারের সাথে আত্মীয়তা করতে চান, তাদের জন্য এটা একটা বড় প্লাস পয়েন্ট হতে পারে। আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থান হালাল ভাবে বেশ স্বচ্ছল আলহামদুলিল্লাহ। |
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) (Required) | পরিবারে শুধু আমি একাই হেদায়েত পেয়েছি। আমার আম্মু ছোটবেলা থেকেই বেশ ধার্মিক ছিলেন। মানে নামাজ, রোযা, হজ্জ্ব, যাকাত সহ ইসলামের বাহ্যিক আমল সমূহ উনি যথাযত ভাবেই পালন করেন, তবে উনি প্রকৃত দ্বীনদার নন। উনি আমার মাধ্যমে দাওয়াত পেয়ে এখন জানেন যে প্রকৃত দ্বীন কি। উনার নিয়ত আছে আস্তে আস্তে দ্বীনের সকল বিধান পালন করার। আমার আম্মু ঘরে দ্বীন পালনের পরিবেশ উন্নত করতে আমাকে যথেষ্ট সাপোর্ট করেছেন। ভবিষ্যৎ এ আমার স্ত্রীর দ্বীন ও পর্দা পালনে যেন কোন অসুবিধা না হয় সে সকল ব্যবস্থা আমি আগে থেকেই করে রেখেছি, আলহামদুলিল্লাহ। (সব খোলামেলা ভাবেই স্পষ্ট বলে দিলাম যেন সবার বুঝতে সুবিধা হয়) |
সুন্নতি দাঁড়ি রয়েছে কি? (Required) | জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ। |
---|---|
পায়ের টাখনুর উপরে কাপড় পরেন?(Required) | জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ। |
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? | জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ। |
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) | নিয়মিত নামায পড়ছি আনুমানিক চার বছরের মতো হবে। |
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? | জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ। |
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? | না। তবে খুব দ্রুতই শেখার নিয়ত আছে, ইন শা আল্লাহ। |
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? | ঘরের বাহিরে সাধারণত কি ধরণের পোষাক পরেন? ঘরের বাইরে সাধারণত শার্ট বা টি-শার্টের সাথে প্যান্ট পরা হয়। মাঝে মাঝে পাঞ্জাবি-পায়জামাও পরা হয়। |
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন (Required) | জাতীয়তাবাদ হারাম। গণতন্ত্র সুস্পষ্ট ভাবে কুফর। আমি একমাত্র ইসলামী খেলাফত সমর্থন করি এবং তারই বাস্তবায়ন হওয়ার অপেক্ষায় আছি। |
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? | না, আলহামদুলিল্লাহ। আমার বাসায় টেলিভিশন নাই। দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পর যখন জানতে পারি যে এসব নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান দেখা/শোনা হারাম তখনই আমার বাসা থেকে টেলিভিশন বিদায় করে দিয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। |
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) | না, আলহামদুলিল্লাহ। |
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) | না। |
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) | না। |
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) | কবর জিয়ারত করা জায়েজ আছে। তবে কবর উঁচু করে, পাঁকা করে, সেই কবরকে কেন্দ্র করে মানুষের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভন্ডামি আয়োজন করা, কবরস্থ ব্যক্তির নিকট দোয়া চাওয়া, মানত করা, সিজদাহ করা, কবরস্থ ব্যক্তিকে জীবিত বা শক্তিশালী মনে করা, এসকল বিষয়ই শির্কের অন্তর্ভুক্ত। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এসবের ঘোর বিরোধী। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) | ১। কুরআন হাদীসের আলোকে পারিবারিক জীবন - মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহঃ)। ২। আফগানিস্তানে আমার দেখা আল্লাহর নিদর্শন - শাইখ ড. আব্দুল্লাহ আযযাম রহ.। ৩। দু'জন দু'জনার - মুহাম্মাদ আতীকুল্লাহ। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) | ১। মুফতি আলী হাসান উসামা। ২। মুফতি হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী। ৩। মুফতি আরিফ বিন হাবিব। ৪। মুফতি সাইফুদ্দীন গাজী। ৫। মুফতি মুহাম্মাদ আবদুস সালাম চাটগামী (রহঃ)। উনাদের সহ সকল হকপন্থী আলেমকে এক আল্লাহর জন্য ভালবাসি। |
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) | দ্বীনি বিষয়ে রিসার্চ করি আর আকিদা সম্পর্কে টুকটাক জ্ঞান অর্জন করেছি। মাঝে মাঝে টুকটাক লেখালেখি করি। শখের বশে অল্প-স্বল্প রান্না শিখেছিলাম। এসব বাদে এই অধমের আর তেমন কোনো যোগ্যতা নাই। |
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন | আমি একজন হেদায়েতপ্রাপ্ত প্র্যাক্টিসিং মুসলিম। মুসলিম পরিবারে আমার জন্ম হলেও আমি নিজেকে একজন নওমুসলিম মনে করি। আমি সকল ফরয বিধান মেনে চলি, সকল হারাম কাজ এড়িয়ে চলি, দ্বীনের ইলম অর্জন করার চেষ্টায় লেগে থাকি। আমি 'আল ওয়ালা ওয়াল বারা' নীতি অবলম্বন করি। আমি একজন দ্বীনের দাঈ। আমার কোনো ধরনের নেশার অভ্যাস নাই, আলহামদুলিল্লাহ। মারহাম-গায়েরে মারহাম মেনে চলার এবং দৃষ্টির হেফাযত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। আমি আকিদায় 'মাতুরিদী' ও ফিকহে 'হানাফী' মাযহাবের অনুসারী এবং চিন্তা-চেতনায় 'দেওবন্দী'। আমি খাবারের ব্যাপারে বেশ শৌখিন তবে পরিমানে খুব অল্প খাই। আচার-ব্যবহারের দিক দিয়ে আমি যথেষ্ট নম্র-ভদ্র, শান্ত স্বভাবের মানুষ। কখনোই রাগ হই না। আমি যথেষ্ট সৎ সাহসী মানুষ। সবার সাথে হাসিমুখে মিষ্টি ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করি। আমি এক কথায় উত্তম আখলাকের অধিকারী, আলহামদুলিল্লাহ। আমার সেন্স অফ হিউমার বেশ ভাল, আলহামদুলিল্লাহ। অনেকেই পাত্র হিসেবে একজন মাদরাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের মাওলানা/আলেম/মুফতি চান যেন তার থেকে দ্বীনি ইলম অর্জন করা যায়। কিন্তু সত্যি বলতে আজকাল মাওলানা/আলেম/মুফতি টাইটেল পাওয়া গেলেও ইখলাস ওয়ালা সত্যিকার মাওলানা/আলেম/মুফতি খুব কম পাওয়া যায়। যারা সত্যিকার ইখলাস ওয়ালা তারা তো আমাদের মাথার তাজ, নবীগণের ওয়ারিস, তাদেরকে আমি মনের গভীরতম অংশ থেকে ভালবাসি। অপরদিকে একদল আলেমের কথা বলা আছে যে তাদেরকেই জাহান্নামের প্রথম জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হবে। তাদের দ্বীনের বিষয়ে ইলম আছে ঠিকই কিন্তু তারা ইখলাসের সাথে নিজ ব্যক্তি জীবনে সেসব পূর্ণরূপে পালন করেন না ও ইলমের খেয়ানত করেন। উদাহরণ স্বরূপ বলতে পারি যে অনেক মাওলানা/আলেম/মুফতি সাহেব তাদের অধিনস্ত নারীদের ফরয পর্দার ব্যাপারে উদাসীন। আবার কেউ কেউ তাদের অধিনস্তদের সাথে কুকুরের চাইতেও খারাপ আরচণ করেন। হ্যা, আমি তাদের সমান ইলম ওয়ালা নাও হতে পারি তবে আল্লাহর রহমতে এতটুক ইলম অর্জন করতে পেরেছি যা দিয়ে আমি নিজেই নিজ স্ত্রীকে কমপক্ষে বেসিক আকীদা, বেসিক ফিকহ সহ ফার্যে আইন পরিমান দ্বীনি ইলম শিক্ষা দিতে সক্ষম, আলহামদুলিল্লাহ। এক আল্লাহর কসম করে বলতে পারি যে জন্মের পর থেকে নিয়ে আজ অবধি কোনো মেয়ের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক হয়নি। আজ পর্যন্ত একটা মেয়ের হাত পর্যন্ত স্পর্শ করি নাই, হাতে হাত ধরে হাটি নাই, রেস্টুরেন্টে খেতে যাই নাই, আরো যত ধরণের পাপাচার আছে তা তো অনেক দূরের কথা। আমার সব প্রেম-ভালবাসা শুধুমাত্র আমার প্রিয়তমা আহলিয়ার জন্য জমা রেখেছি। এ কথা যদি মিথ্যা হয় আর এর জন্য যদি হাশরের ময়দানে আমার জাহান্নামের ফয়সালা হয় তবে তা আমি কবুল করে নিবো। আমি যখন বেদ্বীন ছিলাম তখনও কেন যানি অবৈধ প্রেম-ভালবাসার প্রতি মন থেকে সায় পেতাম না। এখন উপলব্ধি করি যে আমি না জানলেও আমার সৃষ্টিকর্তা তো ঠিকই জানতেন যে আমাকে তিঁনি(আল্লাহ) এক সময় হেদায়েত দান করবেন আর হেদায়েত পাওয়ার পর আমাকে যেন যিনা-ব্যাভিচারের গুনাহের জন্য অনেক বেশি অনুতপ্ত না হতে হয় তাই তিঁনিই(আল্লাহ) আমাকে নানান উসিলায় এই জঘন্যতম গুনাহ থেকে দূরে রেখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পর যখন জানতে পেরেছি এসব গুনাহ কতটা জঘন্য তখন খুশি মনে আল্লাহর কাছে আরো বেশি করে শুকরিয়া আদায় করেছি এসব থেকে আমাকে হেফাযতে রাখার জন্য। সুতরাং এমন মেয়ে যার কোন অতীত আছে তাকে আমার পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয়, এতে সে যতোই তওবা করুক। তাই কারো জীবনে যদি কোন ধরনের প্রেমের সম্পর্কে থেকে থাকে তবে যোগাযোগ করবেন না। আর আমি না জেনে প্রস্তাব দিয়ে ফেললে দয়া করে যে কোনো অযুহাতে আমাকে রিজেক্ট করে দিবেন। এতে আপনার গোপন গুনাহ প্রকাশ করারও গুনাহ হবে না, আবার আমার হকও নষ্ট হবে না। মনে রাখবেন অতীত গোপন করলেও হাশরে কিন্তু সব কিছু প্রকাশ পাবে আর সেদিন আমার হক নষ্টের অপরাধ কিন্তু আমি ক্ষমা করবো না। অনেকেই ভাবতে পারেন একজন ব্যাভিচারী নারী/পুরুষ যদি খালিস মনে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় তাহলে আল্লাহ তা'আলা তাকে ক্ষমা করে দিবেন, ইন শা আল্লাহ। জ্বী কথা ঠিক আছে মানলাম তবে এখানে আরেকটা ব্যাপার থেকে যায়। হাকুল্লাহ তথা আল্লাহর হক নষ্ট করলে কেউ যদি আল্লাহর কাছে তওবা করে ফিরে আসে তবে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিতে পারে। কিন্তু কেউ যদি হাক্কুল ইবাদ তথা বান্দার হক নষ্ট করে আর সেই বান্দা যদি তাকে ক্ষমা না করে তাহলে আল্লাহও তাকে ক্ষমা করবে না। একজন পাক-পবিত্র চরিত্রের অধিকারী, অতীতহীন নারী-পুরুষ তার জন্য নিজের মতোই একজন পাক-পবিত্র চরিত্রের অধিকারী, অতীতহীন জীবনসঙ্গী আশা করতেই পারে, এটা তার হক! কেউ যদি দুনিয়া এবং আখিরাতে তার হকের ব্যাপারে ছাড় না দেয় তবে সে অবশ্যই কোন অন্যায় করছে না। কেউ যদি নিজ থেকে জেনেশুনে মাফ করে দেয়, ছাড় দেয় এটা নিছক তার করুনা হিসেবে গন্য হবে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি এতটাও উদারমনা মানুষ নই যে আমার এর বড় হক নষ্ট করার পরও ক্ষমা করে দেয়ার মন-মানসিকতা রাখবো। জীবনে অনেক যায়গায় ঘুরতে যাওয়ার শখ থাকলেও খুব বেশি কোথাও ঘুরতে যাই নাই সুযোগ থাকার পরও কারন নিয়ত ছিলো একবারে বিয়ের পর আমার প্রিয়তমা আহলিয়া কে সাথে নিয়ে দেশের বিভিন্ন যায়গায় ঘুরবো। নিয়ত আছে আল্লাহ তৌফিক দান করলে আহলিয়াকে সাথে নিয়ে হজ্জ্ব করতে যাবো। আমি গল্প পড়তে প্রচুর ভালবাসি, ইদানিং প্রচুর ইসলামিক গল্প ও উপন্যাস পড়ি যদিও তেমন একটা বই কেনা হয় না, খুজে খুজে পিডিএফ বের করে পড়ি তবে ইচ্ছা আছে যদি আমার আহলিয়ার বই পড়ার শখ থাকে তাহলে তাকে অনেক বই হাদিয়া দিবো। হেদায়েত পাওয়ার পর থেকে মনে একটা ইচ্ছা আছে যে একদিন একজন বড় দাঈ হবো ও দুনিয়ায় নিজের কিছু নেককার সন্তান রেখে যাবো যেনো আমি মারা গেলেও তাদের নেক আমলের উসিলায় আমার আমলনামায় নেকি জমা হতে থাকে। আমার সন্তানদের কে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন আছে। আমি চাই, আমি এবং আমার স্ত্রী মিলে আমাদের সন্তানদের কে মুজাহিদ/মুজাহিদা হিসেবে গড়ে তুলবো, ইন শা আল্লাহ। দ্বীনের বুঝ আসার পর থেকে সাহাবিদের নিয়ে জানার চেষ্টা করি। সাহাবিদের মধ্যে হযরত আলী (রাঃ) আমার সবচেয়ে প্রিয় সাহাবি। তার বিশেষ দিক হলো যুহ্দ ফিদদুনিয়া অর্থাৎ দুনিয়াবিমুখতা। সেই থেকে নিজেকেও একই ভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করি। আমি কেবল একজন সাধারণ মুসলমানের মতো শুধু নামাজি ব্যক্তির মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। নিজেকে সর্বদা একজন সাহাবির মতোই গড়ে তোলার চেষ্টায় থাকি এবং যুহ্দ অবলম্বন করি, আলহামদুলিল্লাহ। |
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন | প্রযোজ্য নয় |
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? | হানাফি |
নজরের হেফাজত করেন? (Required) | হ্যা |
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? | হেদায়েত পাওয়ার পর থেকে মনে একটা ইচ্ছা আছে যে একদিন একজন বড় দাঈ হবো ও দুনিয়ায় নিজের কিছু নেককার সন্তান রেখে যাবো যেনো আমি মারা গেলেও তাদের নেক আমলের উসিলায় আমার আমলনামায় নেকি জমা হতে থাকে। আমার সন্তানদের কে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন আছে। আমি চাই, আমি এবং আমার স্ত্রী মিলে আমাদের সন্তানদের কে মুজাহিদ/মুজাহিদা হিসেবে গড়ে তুলবো, ইন শা আল্লাহ। সে জন্য তাদেরকে একদম বাচ্চাকাল থেকেই ফিতনামুক্ত পরিবেশে হোম-স্কুলিং এর মাধ্যমে সুশিক্ষায় শিক্ষিত বানানোর ইচ্ছা আছে। শুধু কিছু ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে পরিক্ষা দেয়াবো। |
অবসর সময় কিভাবে কাটান? (Required) | বই পড়া সহ বিভিন্ন ভাবে উপকারী জ্ঞান অর্জনের চেষ্টায় লেগে থাকি |
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? (Required) | বাড়িতে একজন পুরুষ মানুষের যেমন দায়িত্ব পালন করা দরকার মোটামোটি তার সব আমিই পালন করি। যেমন ধরুন আমার বাসার পুরো বাজার আমিই করি দক্ষতার সাথে। |
আপনি কি ধুমপান করেন? (Required) | না, আলহামদুলিল্লাহ। |
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? | জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ। |
---|---|
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? | বিয়ে আমার নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুন্নত। এছাড়াও হালাল ভাবে প্রেমের সম্পর্ক ও জৈবিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উম্মাহের সংখ্যা বৃদ্ধি করার একমাত্র পন্থা হলো বিয়ে। বিয়ের মাধ্যমে একজন পুরুষ একই সাথে পেয়ে যায় একজন হালাল বান্ধবী, একজন হালাল প্রেমিকা ও একজন হালাল জীবনসঙ্গীনি। |
বিয়ের পর স্ত্রীর পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? | জ্বী পারবো। আমার আহলিয়াকে পর্দা নিয়ে কখনোই কোনো টেনশন করতে হবে না। আমার আহলিয়াকে কখনোই কোনো পর-পুরুষ বা গায়েরে মাহরামের সামনে বেপর্দা হতে বাধ্য করা হবে না। মোট কথা আমার স্ত্রীর পর্দা হেফাযত করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব আমি নিবো। পর্দার ব্যাপারে আমার গাইরত কিন্তু অনেক বেশি, সুতরাং আমি চাই না এমন কেউ আমার স্ত্রী হোক যে মাহরাম ব্যতিত বাইরে যায় কিংবা অনলাইনে নিজের ছবি দেয়, হোক তা পরিপূর্ণ পর্দার পোশাক পরিধান করে। যে এসব বিষয়কে বাড়াবাড়ি মনে করে তাকে আমি চাই না। |
বিয়ের পর স্ত্রীকে পড়াশোনা করতে দিতে চান? | বিয়ের পর দুনিয়াবি বিষয়ে পড়াশোনার পক্ষে আমি নই। তবে দ্বীনি ইলম অর্জনে কোনো বাধা নাই। আমি নিজেই সেই ব্যবস্থা করে দিবো চাইলে, ইন শা আল্লাহ। |
বিয়ের পর স্ত্রীকে চাকরী করতে দিতে চান? | মোটেও না। একজন গাইরত ওয়ালা পুরুষ তার আহলিয়াকে নিজ ঘরের রাণী বানাবে। তাকে কখনোই পরের প্রতিষ্ঠানের চাকরানী হতে দিবে না। আর শরীয়ত উপার্জনের দায়িত্ব পুরুষকে দিয়েছে, নারীকে না। সুতরাং যেই মেয়ের অর্থ উপার্জনের নিয়ত আছে তাকে আমি স্ত্রী হিসেবে চাই না। |
বিয়ের পর স্ত্রীকে কোথায় নিয়ে থাকবেন? | আমার বাসায় |
বিয়ে উপলক্ষে আপনি বা আপনার পরিবার পাত্রীপক্ষের কাছে যৌতুক বা উপহার বা অর্থ আশা করবেন কি না? | পরনের কাপড়ের সাথে কয়েক সেট সাধারণ ড্রেস আর এক সেট বোরকা, নিকাব, হাত মোজা, পা মোজা, জুতা দিয়ে আমার সাথে পাঠিয়ে দিলেই আমি সন্তুষ্ট। এছাড়া বিয়ের আগে কিংবা পরে আমার বা আমার পরিবারের কারো কোনো কিছুর চাহিদা বা লোভ নাই, আলহামদুলিল্লাহ। |
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? | আর্থিক অবস্থা |
বিয়ের পর স্ত্রীর ভরনপোষন চালাতে পারবেন? | হ্যা |
আপনাার স্ত্রীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? | আমার স্ত্রীর ভরনপোষন, তার ইজ্জত রক্ষা, তার পর্দা ও দ্বীন পালনের পরিবেশ সুনিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব। |
আপনার আহলিয়ার পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? | হ্যা |
আপনি বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় থাকবেন? | একক পরিবারে |
বয়স (Required) | শরিয়ত মতে বালেগা হওয়ার পর থেকে ১৯ বছর বয়সের মধ্যে |
---|---|
গাত্রবর্ণ | উজ্জ্বল ফর্সা, ফর্সা কিংবা উজ্জ্বল শ্যামলার মধ্যে যেকোন একটা হলেই হবে তবে ফেস কাটিং টা কমপক্ষে আমার চোখে দেখে ভাল লাগার মতো হতে হবে। শারীরিক গড়ন চিকন হতে হবে। |
নূন্যতম উচ্চতা | আমার একটু তুলনামূলক ভাবে খাটো উচ্চতা পছন্দ। তাই ৪ ফিট ১০ ইঞ্চি থেকে ৫ ফিট ১ ইঞ্চির মধ্যে হলে ভাল হয়। |
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা | সার্টিফিকেট জিনিস টা আমার কাছে কেবল কয়েক টুকরো কাগজ, আমার কাছে এর কোন মূল্য নাই। সুতরাং পাত্রীর ক্ষেত্রে পাত্রীর এজুকেশন ব্যাকগ্রাউন্ড ও শিক্ষা সনদ কোন ম্যাটারই করে না। বরং বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের বেলায় কথিত উচ্চশিক্ষার সার্টিফিকেটকে যোগ্যতার বদলে এক প্রকার অযোগ্যতা বলেই মনে করি। সুতরাং পাত্রী জেনারেল কিংবা মাদরাসা একটা ব্যাকগ্রাউন্ডের হলেই হলো। জেনারেল থেকে দ্বীনে ফেরা মেয়েকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে, তবে অবশ্যই জেনারেল শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি মনের ভেতর তীব্র ঘৃণা থাকতে হবে। *দয়া করে ইউনিভার্সিটি এ্যাডমিশন ক্যান্ডিডেট কিংবা ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া কেউ যোগাযোগ করবেন না।* |
বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিত |
জীবনসঙ্গীর পর্দা সম্পর্কে যেমনটা চান- (Required) | অনলাইন এবং অফলাইনে যথাযত ভাবে মাহরাম-গায়েরে মাহরাম মেন্টেইন করে চলে এমন হতে হবে। ডিজাইন ওয়ালা বোরকা/খিমার পরা যাবে না। একদম প্লেইন ডিজাইন ছাড়া গাঢ় রঙ এর ঢিলাঠালা বোরকা পরতে হবে (ব্যক্তিগত ভাবে কালো রঙ অধিক পছন্দনীয়), সাথে নিকাব, ফুল হাত মোজা, পা মোজা ও পা ঢাকা জুতা পরতে হবে। কোন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ছবি দেয়া যাবে না, হোক তা বোরকা-নিকাব পরা। |
পেশা (Required) | ছাত্রী |
অর্থনৈতিক অবস্থা | আমাদের সাথে মানানসই হলেই হবে। পাত্রীর রূপ সৌন্দর্য সন্তোষজনক হলে আর্থ-সামাজিক অবস্থানের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হবে। |
পারিবারিক অবস্থা (Required) | দ্বীনদার হলে ভাল হয়। পাত্রী যদি নিজে পূর্ণ দ্বীনদার, খাস পর্দাশীল হয়ে থাকে তবে পরিবারিক ব্যাপার টা ছাড় দেয়া যায়। |
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন | যে মারহাম, গায়েরে-মারহাম কড়াকড়িভাবে মেনে চলে। বোরকা, নিকাব, হাত-মোজা, পা-মোজা, পা ঢাকা জুতা পরে খাস পর্দা করে এমন হতে হবে। যে হারাম-হালাল কড়াকাড়িভাবে মেনে চলে। যে ‘আল ওয়ালা ওয়াল বারা’ নীতি অবলম্বন করে। ভদ্র-নম্র, শান্ত স্বভাবের হতে হবে। রাগী স্বভাবের একদমই হওয়া যাবে না। সংসারী মনোভাবের হতে হবে। অল্পে তুষ্ট থাকার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। স্বামীর আনুগত্য পূর্ণরূপে করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। স্ত্রী হিসেবে আমি একজন অতি আবেগী, অধিক প্রেমময়ী এবং আদুরে স্বভাবের মেয়ে আশা করি। যে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে স্বামীকে পাগলের মতো ভালবাসবে। যার সবটুকু ভালবাসা শুধু তার স্বামীর জন্য। যার দুনিয়াটা জুড়ে শুধু তার স্বামী-ই থাকবে। সদ্য বালেগা হওয়া মেয়েদের মাঝে এই ব্যাপার টা ফিতরতগত ভাবেই থাকে তাই এমন মেয়েই নিজের জন্য চাচ্ছি। যেহেতু জীবনে কখনো প্রেম করিনি তাই নিজের স্ত্রীর সাথেই হালাল ভাবে কৈশোর জীবনের মিষ্টি-মধুর প্রেম করার তীব্র ইচ্ছা আছে। আমিও নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে নিজের প্রিয়তমা স্ত্রীকে অনেক ভালবাসবো। হ্যা আমি জানি যে এমন মেয়েরা প্রচন্ড আবেগগ্রস্থ থাকে। সাংসারিক-পারিবারিক বাস্তবতা সম্পর্কে জ্ঞান সবার ক্ষেত্রে নাও থাকতে পারে। তাই অনেক পাত্রী কিংবা পাত্রীর অভিভাবক এই ভয় পায় যে তাদের এই বাচ্চামো আদুরে স্বভাবের কারনে শ্বশুরবাড়ি থেকে বকা, খোঁটা শুনতে হবে কিনা। এই ব্যাপারে বলতে চাই যে আমি নিজের জন্য আপাতত একজন অতি আবেগী হালাল প্রেমিকা চাচ্ছি নিকাহ এর মাধ্যমে। আর আমার আম্মুও তার ছেলের জন্য একজন ছেলের বউ না, একজন অতি আবেগী, আদুরে কন্যা সন্তান চাচ্ছেন। উনার এমনই একজন কন্যা সন্তানের খুব শখ ছিলো যা উনি নিজের মেয়ে থেকে কখনোই পান নাই, তাই সেটা ছেলের বউরূপে তার আদুরে বউমা দ্বারা পূরণ করতে চান। তাই কারো অতি আবেগী, অতি আদুরে স্বভাব থাকলে তাকে তার বাচ্চা-সুলভ আচরণ সহ খুশি মনে গ্রহণ করে নেয়া হবে, কখনোই এসবের কারনে বকা বা খোঁটা দেয়া হবে না বরং মায়া-মহাব্বতের সাথে আদর-স্নেহ করা হবে আর সাংসারিক-পারিবারিক বাস্তবতা বুঝে উঠার জন্য যথেষ্ট সময়-সুযোগ দেয়া হবে। যদি কারো পরিস্থিতি এমন হয় যে নতুন হেদায়েত পেয়েছে এবং যুহ্দ পালনে কঠোর, দ্বীনের ইলম অর্জনে অতি আগ্রহী ও খাস পর্দা করতে চায় কিন্তু নিজ পরিবার দ্বারা এসব বিষয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয় কারন পরিবার হয়তো দ্বীন পালন বলতে শুধুমাত্র নামাজ, রোজা, হজ্জ্ব, যাকাত কেই বুঝে এর বেশি যা কিছু আছে তা বাড়াবাড়ি মনে করে, এমন কোনো মেয়ে হলে তাকে সম্মানের সাথে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে অভিভাবকের/সমাজের সামনে মিনমিনা স্বভাবের হলে চলবে না। দ্বীনের খেলাপ হয়ে অভিভাবক/সমাজ যদি কিছু বলে, করে বা করতে বাধ্য করে তবে অত্যন্ত মিষ্টি ভাষায় তাদের বোঝাতে হবে যে “জান গেলে যাবে তারপরও দ্বীনের বিরুদ্ধে কিছু শুনবো না বা করবো না”। দ্বীনের পক্ষে বলার এবং চলার যথেষ্ট সৎ সাহস থাকতে হবে। *আমার সকল চাহিদা (দ্বীনদারি, বয়স ও সৌন্দর্য) কোন ইয়াতিম বা নওমুসলিমা পাত্রীর ক্ষেত্রে মিলে গেলে তাকেও সর্বোচ্চ সম্মানের সাথে গ্রহণ করা হবে* আমি শুধু নিজের জন্য ‘স্ত্রী’ খুজছি না, আমি ‘স্ত্রী’ এর সাথে খুজছি আমার অনাগত সন্তানদের ‘মা’ কেও। এমন একজন ‘মা’ যার গর্ভ থেকে সালাহউদ্দীন আইয়ুবী (রঃ), খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ), নুসাইবা বিনতে কা’ব (রাঃ), খাওলাহ বিনতে আল-আযওয়ার এর মতো সন্তান আশা করা যায়। বিশেষ কিছু শর্তঃ আমার একটি মাত্র দাবি আছে আর তা হলো আমি একদম সুন্নতি তরিকায়(শরিয়তের নিয়ম অনুযায়ী) বিয়ে করতে চাই। বিয়ের আগে বা পরে সামাজিকতা রক্ষা ইত্যাদির নামে কোন ধরনের আনুষ্ঠানিকতা, হারাম কোন রসম/প্রথা আশা করা যাবে না। আমি শুধু আমার বাসার মানুষ নিয়ে যাবো বিয়ে করার সময়। পাত্রীর বাবার/অভিভাবকের সর্বোচ্চ হালকা চা-নাস্তার খরচ লাগতে পারে এ ছাড়া এক পয়সাও খরচ করতে হবে না। অনেকেই আজকাল সুন্নতি বিয়ে বলতে বুঝে মসজিদে বিয়ে পড়ানো আর বাদবাকি বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত করে ঘরোয়া আনুষ্ঠানিকতা করা। আমি মোটেও এমন টা চাই না। আমি চাই আমার বিয়ে টা শুধু মাত্র আমার বাসার মানুষ আর পাত্রীর বাসার মানুষের মাঝে কোন প্রকার ঘরোয়া আয়োজন ছাড়াই বিনা খরচে সম্পন্ন হোক। আমার সামর্থ্য বিবেচনা করে হবু স্ত্রী যে পরিমান মোহরানা চাবে তা দেয়ার চেষ্টা করবো। আমি বিয়ের রাতেই দেনমোহরের পুরোটুকু দিয়ে দিবো তাই এমন মোহরানা ধার্য করতে হবে যা বিয়ের দিনেই সহজে পরিশোধ করা যায়। আমি মোহরানা বাকি রাখতে একদমই ইচ্ছুক নই। *আমার বায়োডাটা পছন্দ হলে যোগাযোগের সময় বা পরে কোন ভাবেই আমার ছবি চাওয়া যাবে না। আমি যথেষ্ট গাইরতওয়ালা একজন মানুষ তাই বিনা ওজরে ছবি তোলা ও ছবি আদান-প্রদান করা খুবই অপছন্দ করি। দেখতে হলে সামনাসামনি দেখতে হবে, এ ছাড়া হাজার অনুরোধ করলেও ছবি দেয়া হবে না। এটা অবশ্যই মাথায় রাখবেন দয়া করে।* |
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? (Required) | ঢাকা সিটির মধ্যে হলে ভাল হয়। |
পেশা সম্পর্কিত তথ্য (Required) | আপাতত আমার নিজেস্ব ২টি ব্যবসা আছে। ১। আমার একটা নিজেস্ব ইসলামিক ব্র্যান্ড প্রোডাক্টস এর অনলাইন শপ আছে। ২। ইসলামিক পোশাকের হোলসেল ব্যবসা আছে। এছাড়াও পার্টনারশীপে আমার আরো একাধিক ব্যবসা আছে। আমার ইনকাম আল্লাহর রহমতে ঢাকা শহরের প্রাইম লোকেশনে স্ট্যান্ডার্ড মেন্টেইন করে হালাল ভাবে থাকা ও খাওয়ার জন্য যথেষ্ট, আলহামদুলিল্লাহ। |
---|---|
বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান | এক আল্লাহর কসম করে বলতে পারি যে জন্মের পর থেকে নিয়ে আজ অবধি কোনো মেয়ের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক হয়নি। আজ পর্যন্ত একটা মেয়ের হাত পর্যন্ত স্পর্শ করি নাই, হাতে হাত ধরে হাটি নাই, রেস্টুরেন্টে খেতে যাই নাই, আরো যত ধরণের পাপাচার আছে তা তো অনেক দূরের কথা। আমার সব প্রেম-ভালবাসা শুধুমাত্র আমার প্রিয়তমা আহলিয়ার জন্য জমা রেখেছি। এ কথা যদি মিথ্যা হয় আর এর জন্য যদি হাশরের ময়দানে আমার জাহান্নামের ফয়সালা হয় তবে তা আমি কবুল করে নিবো। আমি যখন বেদ্বীন ছিলাম তখনও কেন যানি অবৈধ প্রেম-ভালবাসার প্রতি মন থেকে সায় পেতাম না। এখন উপলব্ধি করি যে আমি না জানলেও আমার সৃষ্টিকর্তা তো ঠিকই জানতেন যে আমাকে তিঁনি(আল্লাহ) এক সময় হেদায়েত দান করবেন আর হেদায়েত পাওয়ার পর আমাকে যেন যিনা-ব্যাভিচারের গুনাহের জন্য অনেক বেশি অনুতপ্ত না হতে হয় তাই তিঁনিই(আল্লাহ) আমাকে নানান উসিলায় এই জঘন্যতম গুনাহ থেকে দূরে রেখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পর যখন জানতে পেরেছি এসব গুনাহ কতটা জঘন্য তখন খুশি মনে আল্লাহর কাছে আরো বেশি করে শুকরিয়া আদায় করেছি এসব থেকে আমাকে হেফাযতে রাখার জন্য। সুতরাং এমন মেয়ে যার কোনো অতীত আছে তাকে আমার পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয়, এতে সে যতোই তওবা করুক। তাই কারো জীবনে যদি কোন ধরনের প্রেমের সম্পর্কে থেকে থাকে তবে যোগাযোগ করবেন না। আর আমি না জেনে প্রস্তাব দিয়ে ফেললে দয়া করে যে কোনো অযুহাতে আমাকে রিজেক্ট করে দিবেন। এতে আপনার গোপন গুনাহ প্রকাশ করারও গুনাহ হবে না, আবার আমার হকও নষ্ট হবে না। মনে রাখবেন অতীত গোপন করলেও হাশরে কিন্তু সব কিছু প্রকাশ পাবে আর সেদিন আমার হক নষ্টের অপরাধ কিন্তু আমি ক্ষমা করবো না। সুতরাং সাবধান! আরেকটা বিষয় বলে রাখা ভাল, আর তা হচ্ছে আমার একাধিক বিয়ের নিয়ত নাই। সুতরাং মনের মতো একজনকেই সারা জীবন মন-প্রাণ উজাড় করে দিয়ে ভালবাসার মন-মানসিকতা আমার আছে, আলহামদুলিল্লাহ। |
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? | হ্যা |
---|---|
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? | হ্যা |
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? | হ্যা |
এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।
অভিভাবকের সাথে যোগাযোগসর্বমোট ভিউ: 5195 ভিউস