প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? |
জ্বী,আলহামদুলিল্লাহ্। |
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) |
আমি ছোটকালে নামায পড়লেও নিয়মিত ছিলাম না, আল্লহুম্মাগফিরলী।২০২১ সাল থেকে নিয়মিত নামাজ পড়ছি,আলহামদুলিল্লাহ্। |
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? |
জ্বী,আলহামদুলিল্লাহ্। অনলাইন ও অফলাইনে কঠোরভাবে মেনে চলি, আলহামদুলিল্লাহ্। |
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? |
জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ্। |
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? |
কালো বোরকা,কালো হিজাব-নিকাব,কালো হাত-পা মুজা। আমি তিন পার্টের হিজাব পড়ি, যেন চোখও ঢেকে রাখতে পারি,আলহামদুলিল্লাহ্। |
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন (Required) |
খিলাফত। |
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? |
না। |
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) |
না |
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) |
তালিমুন নিসার ঘরোয়া তালিম কোর্সের একটা ব্যাচে যুক্ত হয়েছি, সেখান থেকে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে তালিম করা শিখছি, আলহামদুলিল্লাহ্ আর তাদের সিলেবাস অনুযায়ী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সপ্তাহে ১ দিন তালিম করি, আলহামদুলিল্লাহ্। আর ভার্সিটিতে ক্লাসমেটদের মধ্যে যারা সলাত পড়ে না এবং পর্দা করে না, তাদের সলাত এবং পর্দা সম্পর্কে বুঝানোর চেষ্টা করি, আলহামদুলিল্লাহ্। আর আত্মীয় স্বজনের মধ্যে কেউ বেড়াতে আসলে তাদের মধ্যেও ইসলামের সত্য ও সৌন্দর্য তুলে ধরার চেষ্টা করছি,আলহামদুলিল্লাহ্। কেউ কোনো হারামে থাকলে, সে সম্পর্কে বুঝানোর চেষ্টা করি, আলহামদুলিল্লাহ্। ১/২ জনের ফোন থেকে গান, মুভি ডিলিট করাতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ্। এবং সলাতের দাওয়াত দেওয়ার চেষ্টা করি, আলহামদুলিল্লাহ্। স্কুল, কলেজে যারা বান্ধবী ছিলো,এবং এখনো যোগাযোগ রয়েছে যাদের সাথে, তাদেরকেও দ্বীন সম্পর্কে বুঝানোর চেষ্টা করি, আলহামদুলিল্লাহ্। তবে এখনো পর্যন্ত অমুসলিমদের মধ্যে দাওয়াতী কাজ করার সৌভাগ্য হয় নি, আল্লাহ তা'য়ালা কবুল করুন। |
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) |
না |
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) |
শীরক। মাজারে শীরকি কর্মকান্ড হয়, একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া অন্য কোনো কিছুকে বা কাউকে সিজদাহ করা শীরক। এবং কাবা শরীফের মতো কবরকে তাওয়াফ করাও শীরক। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) |
আর রাহিকুল মাখতুম, বায়তুল্লাহর মুসাফির,মুহস্বনাত, আই লাভ কুরআন। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) |
মুফতি যুবায়ের আহমদ (হাফি:),হযরত মাওলানা শাহ তৈয়্যেব আশরাফ সাহেব দামাত বারাকাতুহুম, মুফতি ইমদাদুল হক (ifatwa)। ফতোয়ার ক্ষেত্রে শুধু আইফতোয়া থেকেই জেনে নেই এবং তাই-ই মেনে চলি, আলহামদুলিল্লাহ্। |
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) |
সূরা মূলক, সূরা নাবা, সূরা নাজিয়াত, সূরা আবাসা হিফজ করেছি, আলহামদুলিল্লাহ্,হিফজ চলমান,আলহামদুলিল্লাহ্। অনলাইন দাওয়াহ ডিজাইনার,টুকটাক ডিজাইন করতে পারি,আলহামদুলিল্লাহ্। তবে বর্তমানে হিফজের সাথে যুক্ত হয়েছি, তাই ডিজাইনে তেমন সময় দেই না বল্লেই চলে, আলহামদুলিল্লাহ্। |
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন |
নিজের সম্পর্কে নিজেই বলা আমার জন্য কঠিন, তাই ধারনা দেওয়ার জন্য বলা, যেন সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়, ইন শা আল্লাহ্।আর ৪/৫ টা মুসলিম পরিবারের মতোই এক পরিবারে আমার বেড়ে উঠা, আলহামদুলিল্লাহ্। আমার আসল জন্ম তারিখ ১৮/১২/২০০০। খুব ছোটকালেই আব্বু মারা গিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ্। ছোটকাল থেকে আম্মু একাই আমাদের দেখা শোনা করছেন, আলহামদুলিল্লাহ্। ছোটকালে আম্মুর কাছ থেকেই প্রথম সলাত শিখেছি, আলহামদুলিল্লাহ্। আম্মুও সলাত সম্পর্কে সচেতন, আলহামদুলিল্লাহ্। তাই সলাতের জন্য তাগদা দিতো, আলহামদুলিল্লাহ্। আর পর্দার বিষয়টা ভালো লাগতো, তাই স্কুলেও ইউনিফর্মের কালারের নীল বোরকা পড়তাম, আর সাথে হিজাব, নিকাব, আলহামদুলিল্লাহ্। আর কলেজে সাদা বোরকা, সাদা হিজাব, নিকাব, আলহামদুলিল্লাহ্। কিন্তু মাহরাম ও নন-মাহরাম সম্পর্কে জানতাম না। তাই ঘরের ভিতর আত্নীয়দের মাঝেও যে পর্দা করতে হবে, এ বিষয়টা জানতাম না। (আল্লহুম্মাগফিরলী) আমি ইন্ট্রোভার্ট ছিলাম তাই স্কুল কলেজে ১/২ টার বেশী বান্ধবী ছিলো না, আলহামদুলিল্লাহ। তাই এ বিষয়টাকে এখন নিয়ামত মনে করি, আলহামদুলিল্লাহ্।পরবর্তীতে কলেজের শেষের দিকে যখন আল্লাহর দয়ায় দ্বীনের বুঝ আসে, তখন থেকে হাত-পা মুজাসহ পরিপূর্ণ পর্দা শুরু করি, এবং ঘরে, বাইরে, অনলাইনে সবখানেই মাহরাম-নন মাহরাম মেইনটেইন করি, আলহামদুলিল্লাহ্ এবং সলাতকে অভ্যাসকে পরিনত করি, আলহামদুলিল্লাহ্। এক দ্বীনি বোনের মাধ্যমে দ্বীন সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানতে পারি, এবং ওনার সাথে আইওএমের ২২৭ ব্যাচের আলিম কোর্সে কলেজের পর ভর্তি হয়ে যাই, আলহামদুলিল্লাহ্। আল্লাহ তা'য়ালা বোনটিকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
আইওএমে ভর্তি হওয়ার ফলে ইন্ট্রোভার্ট হওয়া সত্বেও দায়ী হওয়ার স্বপ্ন তৈরী হয়, আলহামদুলিল্লাহ্। এখন আমি দুনিয়ার ওপর দ্বীনকে প্রাধান্য দিতে বেশী পছন্দ করি,আলহামদুলিল্লাহ্। খুব সাদা সিধে জীবন যাপন করতে পছন্দ করি। আমি চকলেট মিষ্টি বেশী পছন্দ করি, কয়েক বছর আগে ওজন আরো কম ছিলো, বর্তমানের ওজনটা একটু কমানোর ফিকির করছি। চকলেট, মিষ্টি, চিনি খাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়েছি,আলহামদুলিল্লাহ্।
অপছন্দনীয় বিষয়ের মধ্যে কিছু হলোঃ
আমি ফেমিনিজম ঘৃনা করি। আর ছোটকাল থেকেই যারা গালি দেয়, তাদের অপছন্দ করি, তাদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি,আমার বান্ধবীরা যারা ছিলো তাদের একটা কমন বৈশিষ্ট্য ছিলো তারা গালি দিতো না,আলহামদুলিল্লাহ্ (এটা বলার উদ্দেশ্য আমার জীবনসঙ্গীও যেন এমনি হয়, যে গালি দেয় না, কেননা এমন হলে এটা আমি কোনোভাবেই যেন মেনে নিতে পারব না)। গীবত অপছন্দ করি, বান্ধবীদের মধ্যে যাদের সাথে থাকলে গীবত হওয়ার অশংক্ষা আছে, তাদের এড়িয়ে চলি। এখন জীবনের উদ্দেশ্য জান্নাত। আমি কাউকে ভালোবাসলে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি, কারো থেকে দূরত্ব বাজায় রাখতে চাইলে, আল্লাহর জন্যই দূরে চলে যাই। আলহামদুলিল্লাহ্। আমি ছবি তুলি না, শুধু এই একটা কারণে আমি ভার্সিটির কোনো পিকনিকে যাই নি, আলহামদুলিল্লাহ্। ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সেও যাই নি,আলহামদুলিল্লাহ্। কোনো ধরনের কোনো প্রোগ্রামেই যাই না,যেখানে থাকে চারপাশে ক্যামেরা,আলহামদুলিল্লাহ্। কারণ কখন না জানি, কার ফ্রেমে বন্ধি হয়ে যায়,এই ভয়ে (যদিওবা আমি সম্পূর্ণ পর্দাবৃত থাকি না কেন)। আমি আইওএমে ভর্তি হওয়ার পর শুধু একবার গেট টুগেদার মিস করেছি, আর প্রতিবারই গিয়েছি, কারণ সেখানে বোনদের জন্য ফোন বের করাই এলাও না, আলহামদুলিল্লাহ্। এজন্য সেখানে নিজেকে সেফ মনে হয়,আলহামদুলিল্লাহ্।
এখন বুঝতে শিখেছি, মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে শুধু আমলই কাজে লাগবে, আর সবকিছুই অর্থহীন। আল্লাহ তা'য়ালা আমাকে রিয়া থেকে হিফাজত করুন।বর্তমানে আমি আওয়াল ওয়াক্তে সলাত পড়ার চেষ্টা করি, মিসওয়াককে অভ্যাসে পরিনত করার চেষ্টা করছি৷ দৈনন্দিন জীবনের সুন্নতসম্মত কিছু কিছু দোয়া পড়ার চেষ্টা করি,আলহামদুলিল্লাহ্। আমি ফেসবুক অলটাইম ডিএক্টিভেট করে রাখি,যেন কানের ও চোখের হিফাজত করতে পারি,আলহামদুলিল্লাহ্। খুব বেশী জরুরি না হলে যাই না,আলহামদুলিল্লাহ্। আর ইউটিউবেও কিছু সেটিংস করে রাখছি তাই ফোন থেকেও ইউটিউবে গেলে শুধু সার্চবার আসে, কোনো সাজেসটেড ভিডিও আসে না, শর্ট রিকোমান্ডেশন অফ করে রাখছি। আর পিসিতেও এমনি করে রাখছি যেন ইউটিউব কোনো ভিডিও আমাকে সাজেস্ট না করতে পারে,আলহামদুলিল্লাহ্। এতে অজানা সময় অপচয় থেকেও বাচঁতে পারি,আলহামদুলিল্লাহ্। আর শুধু টেলিগ্রামে, ওয়াটসআ্যপে থাকি, এতে ঔসব গুনাহ থেকে দূরে থাকতে পারি, আলহামদুলিল্লাহ্।
বর্তমান পড়াশোনা প্রসঙ্গেঃ
দ্বীনের বুজ আসার আগে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিলো, যদিও ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম না, মেডিক্যাল এডমিশনের (এমবিবিএস) এক্সাম দিয়েছিলাম,আর সবগুলো এমসিকিউই মার্ক করে আসছিলাম,যেন চান্স না নয়,আলহামদুলিল্লাহ্, হলোও তাই। তাই দ্বীনের বুজ আসার পর আমার জেনারেল লাইনের পড়াশোনায় গার্লস কলেজ থেকে ইন্টার শেষ করার পর সহশিক্ষায় যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো না, ভেবেছিলাম আর পড়াশোনাই করব না।
পরবর্তীতে ২২৭ ব্যাচের আরেক দ্বীনি বোনের মাধ্যমে আল্লাহ তা'য়ালা এমন একটা ভার্সিটির খোঁজ মিলিয়ে দিলেন, যেখানে সহশিক্ষা নেই। তাই কলেজ শেষ করার পর পরই ভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে যাই, আলহামদুলিল্লাহ্। এখানে দ্বীন পালন করতে কোনো অসুবিধা হয় না, আলহামদুলিল্লাহ্। ইংলিশ আমার প্রিয় সাবজেক্টগুলোর মধ্যে একটা ছিলো, তাই যদিও চাইলে ইংলিশ সাবজেক্ট নিয়ে পড়ার সুযোগ ছিলো, কিন্তু অশ্লীলতা আর বেহায়াপনার সহিত্য নিয়ে এ সাবজেক্ট।এ ব্যাপারে মুফতি সাহেবের কাছ থেকে ফতোয়া জেনে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যে এ সাবজেক্টে পড়ব না, আলহামদুলিল্লাহ্। এছাড়াও আমি যা পড়ি, সেটাই আমার চিন্তার খোড়াকে পরিনত হয়, কিংবা প্রভাবিত করে, তাই নিজের চিন্তা -ভাবনাকে সেরকম করতে চাই নি। তাই ইসলামিক স্টাডিজ নিয়ে পড়া শুরু করেছি,আলহামদুলিল্লাহ্। আল্লাহ তা'য়ালা আমাকে হিফাজত করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ্। পুরো সপ্তাহ ঘরের ভিতরেই থাকি, শুধু সপ্তাহে ১ দিন ভার্সিটির ক্লাস থাকে,আলহামদুলিল্লাহ্। আল্লাহ তা'য়ালা বিশাল অনুগ্রহ যে, আমাকে একটা ছোট ভাই দিয়েছেন, এ নিয়ামত থাকার জন্য আমাকে একটা কলম কিনার জন্যও বাইরে যেতে হয় না,আলহামদুলিল্লাহ্। মাশা-আল্লাহ্, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্। আর কলেজ শেষে অনলাইনে আইওএমের আলিম কোর্সে ভর্তি হয়ে যাওয়ায় ২০২৪ সালে ফারেগীন হলাম, আলহামদুলিল্লাহ্। আর হিফজের খোঁজ পাই ভার্সিটির এক ছোট দ্বীনি বোনের কাছ থেকে আলহামদুলিল্লাহ, তাই ২০২৫ সালে হিফজের সিলেকশনের জন্য অনলাইনে একটা প্রতিষ্ঠানে এক্সাম দেই, এবং আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আমি সিলেক্টেড হই, আলহামদুলিল্লাহ্। এখন বর্তমানে ৩০ তম পারা থেকে হিফজ শুরু করেছি, শেষ পর্যন্ত হিফজ করার ইচ্ছে আছে, ইন শা আল্লাহ। আর নিয়ত করেছি নিজেকে মৃত্যু পর্যন্ত তালিবুল ইলম হিসেবে রাখতে চাই, ইন শা আল্লাহ্। আল্লাহ তা'য়ালা সহজ ও কবুল করুন, আমীন, ইয়া রব্বাল আলামীন।🌸 |
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন |
প্রযোজ্য নয় |
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? |
হানাফি |
নজরের হেফাজত করেন? (Required) |
হ্যা |
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? |
আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একজন হাফেজা হতে চাই, ইন শা আল্লাহ্। এমন দক্ষ হাফেজা হতে চাই যে, যেন উঠতে বসতে চলা ফেরার মধ্যেই না দেখে কুরআন খতম করে ফেলতি পারি, ইন শা আল্লাহ্। পরবর্তিতে আমলওয়ালা আলেমা হওয়ার ইচ্ছে আছে, ইন শা আল্লাহ্ব, যদি অফলাইনে সুযোগ পাই তাহলে অফলাইনে পড়ব, নাহলে আইওএমের দাওরায়ে হাদিস কোর্সে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছে আছে, ইন শা আল্লাহ। আল্লাহ তা'য়ালা কবুল করুন,আমীন, ইয়া রব্বাল আলামীন। এবং দায়ীয়া হতে চাই, ইন শা আল্লাহ্। অমুসলিম বোনদের মধ্যে দাওয়াতী কাজ করার ইচ্ছে আছে, ইন শা আল্লাহ্ (অনলাইনে অথবা অফলাইনে), তাই জীবনসঙ্গী যদি এ ব্যাপারে সাপোর্টিভ হয়,তাহলে ভালো হয়,ইন শা আল্লাহ্। নিজের পরবর্তী প্রজন্মকেও দাঈ,দাঈয়া,হাফেজ, হাফেজা,আলেম,আলেমা হিসেবে গড়ে তুলব, ইন শা আল্লাহ্, এর পাশাপাশি জেনারেল লাইনের পড়াশোনাও করবে, সেখানে দ্বীনি পরিবেশ থাকবে, সেখানেই, ইন শা আল্লাহ্। আর জীবনে একবার হলেও আল্লাহর ঘর কাবাকে দেখার ইচ্ছে আছে, স্বামী, সন্তানদের নিয়ে হজ্ব করার ইচ্ছে আছে, আল্লাহ তা'য়ালা কবুল করুন, আমীন, ইয়া রব্বাল আলামীন। স্বপ্ন দেখি আমার সন্তান ফিলিস্তিন জয় করবে, ইন শা আল্লাহ্। যা এখন প্রতিটা নতুন দ্বীনে ফেরা মেয়েদেরই একটা অন্যতম স্বপ্ন, আল্লাহ তা'য়ালা কবুল করুন, আমীন, ইয়া রব্বাল আলামীন। সন্তানদের এমনভাবে গড়ে তুলতে চাই,যেন পরবর্তীতে আসা আরো নতুন নতুন ফিতনা থেকেও তারা বেঁচে থাকতে পারে, কেননা কিয়ামত খুবই সন্নিকটে, ( যেখানে রাসলূ ﷺ এর আগমন ও মৃত্যুই হলো কিয়ামতের একটা আলামত)।এ সময় ফিতনার আর্বিভাব বেশী হবে, আল্লাহ তা'য়ালা সবাইকে হিফাজত করুন, ইমানের সাথে রাখুন। আমীন, ইয়া রব্বাল আলামীন। |
অবসর সময় কিভাবে কাটান? (Required) |
বর্তমানে হিফজের জন্য তেমন অবসর সময় পাওয়া যায় না,আলহামদুলিল্লাহ্। কুরআনের সাথে থাকতেই বেশী ভালো লাগে, আলহামদুলিল্লাহ্। এছাড়াও অবসর সময় ইসলামিক বই পড়ে,টেলিগ্রামে দ্বীনি লেকচার,অনলাইন তালিম রেকর্ড শুনে কাটানো হয়,আলহামদুলিল্লাহ্। আর অফলাইনে এবং অনলাইনে দ্বীনি সোহবতে থাকতে বেশি পছন্দ করি,আলহামদুলিল্লাহ্। |
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? (Required) |
ঘর গুছানো, আম্মুর সাথে রান্না -বান্নার কাজ করা, ঘরের ভিতরের টুকটাক সব কাজই করি, আলহামদুলিল্লাহ্। তবে সংসারের পুরো দায়িত্ব আম্মু আমাকে এখনো দেয় নি। তাই সাধ্যমতো করার চেষ্টা করি, আলহামদুলিল্লাহ্। আম্মুই রান্না করেন, তবে মাঝে মাঝে আমিও রান্না করি, আলহামদুলিল্লাহ্। |
নারী-পুরুষ সমঅধীকার বিষয়টাকে আপনি কিভাবে দেখেন? (Required) |
পাশ্চাত্যবাদীরা পাশ্চাত্যের চশমা পড়ে বলে, নারীদের ইসলাম সমঅধিকার দেয় নি। যা প্রকৃতপক্ষে একটা অবস্তাব কথা৷ ইসলাম নারীকে সমান অধিকার তো দিয়েছেনই, বরং ক্ষেত্র বিশেষে পুরুষের চেয়ে বেশী অধিকার দিয়েছেন এবং মর্যাদাবান করেছেন। কুরআনের এক আয়াত থেকে বুঝা যায়, নারীরা হলো পুরুষদের জন্য পোশাক স্বরূপ এবং পুরুষরা হলো নারীদের জন্য পোশাকস্বরূপ। যা থেকে সমান অধিকারের বিষয়টি স্পষ্ট। এছাড়াও মাতৃত্বের এমন এক নিয়মত আল্লাহ তা'য়াল দান করেছেন, যার কারণে নারীরা মা হিসেবে পুরুষের চেয়ে তিনগুন বেশী স্বদ্য ব্যবহার প্রাপ্ত হবেন, যা হাদিস থেকে জানা যায়। যেখানে রাসূল ﷺ তিনবার মায়ের কথা উল্লেখ করেছেন এবং পরে পিতার কথা।
এছাড়াও পবিত্র কুরআনে নারীদের নিয়ে সূরা নিসা নাজিল হয়েছে, এবং পুরুষদের জন্য স্বতন্ত্র কোনো সূরা নাজিল হয় নি। যা থেকে বুঝা যায়, ইসলামের দৃষ্টিতে নারীদের সমআধিকার দেওয়া হয়েছে, এবং ক্ষেত্রে বিশেষে দেওয়া হয়েছে এর বেশী অধিকার এবং মর্যাদা, আলহামদুলিল্লাহ্।এছাড়াও পর্দার বিধান দিয়ে নারীদের সম্মানিত করা হয়েছে এবং পুরুষদেরকে বানানো হয়েছে নারীর অভিভাবক হিসেবে। আর আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন, বান্দার ভালো কিসে। আলহামদুলিল্লাহ্। |