প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? |
জ্বি আলহামদুলিল্লাহ |
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) |
ছোটবেলা থেকেই অনিয়মিত পড়ে আসছি তবে দ্বীনের বোঝ আসার পর থেকে আলহামদুলিল্লাহ নিয়মিত নামাজ পড়ছি। |
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? |
জ্বি আলহামদুলিল্লাহ |
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? |
জ্বি আলহামদুলিল্লাহ |
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? |
বোরকা, হিজাব, নিকাব ও হাত-পা মোজা সবই পরিধান করা হয় আলহামদুলিল্লাহ। |
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? |
জ্বি না আলহামদুলিল্লাহ। |
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) |
আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছি। |
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) |
সাদাকাহ প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করি আলহামদুলিল্লাহ। সুযোগ পেলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন ভাবে দ্বীনের মেহনতে যুক্ত হতে আগ্রহী আছি ইন শা আল্লাহ। |
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) |
জ্বি না। |
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) |
মাজারে সেজদা দেওয়া শির্ক! |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) |
১. রবের ভালোবাসা, ২. নবী জীবনের গল্প, ৩. মুসলমানের হাঁসি, ৪. মরনের আগে ও পরে। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) |
মুফতী তাকী উসমানী হাফিঃ, মুফতী আব্দুল মালেক হাফিঃ, আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী হাফিঃ, মুফতী দেলোয়ার হোসেন হাফিঃ, আবু তাহের মেসবাহ হাফিঃ, মুফতী হারুন ইজহার হাফিঃ, মুফতী মোস্তাকুন্নবি কাসেমী হাফিঃ, আলি হাসান ওসামা হাফিঃ, মুফতী আরিফ বিন হাবিব হাফিঃ, আনিসুর রহমান আশরাফী হাফিঃ, মাওলানা হাসান জামিল হাফিঃ সহ উলামায়ে দেওবন্দের হকপন্থী উলামায়ে কেরাম। |
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন |
ঠিক কিভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবো বুঝতে পারছি না। কারণ আমি জানি যে ব্যর্থ হবো। যতই নিজেকে শব্দ দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে চাইবো,ততই শব্দের জালে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে যাবো। নিজের কথাগুলো নিজের মতো করে প্রকাশ করা যে কতটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার তা বলে বোঝানো যাবে না। যাই হোক!!!
আমি গোছানোর মধ্যেই অগুছালো একটা মেয়ে। অত্যন্ত মিশুক আবার অতি লজ্জাশীল। চুপচাপ থাকি সবসময়। আবার এতোটা চুপচাপ, লজ্জাশীলতা মাঝে মধ্যেই বিপাকে ফেলে দেয়। আলহামদুলিল্লাহ অনেক সোজাসাপ্টা/আবেগী/অভিমানী সরল সাধারণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। খুব তাড়াতাড়ি মানুষকে আপন করে ফেলি। কাছের মানুষদের প্রাপ্তির চেয়েও বেশি ভালোবেসে ফেলি। আর একটুতেই অভামান করি খুব কিন্তু নিজের সুবিধা অসুবিধা মুখ ফুটে বলতে পারিনা। যদিও কেনো যেনো রাগ জিনিসটা আমাকে ছুঁতে পারেনা। আমার সাথে যেনো কম্ফোর্ট জোনে থাকতে পারে সেইভাবে মানিয়ে নেই। আল্লাহর তরফ থেকে মায়া জিনিসটা একটু না অনেকটা বেশিইই পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় মায়াহীন কঠোর মানুষদের মধ্যে একটু মায়া বিলিয়ে দিতে পারতাম যদি!! তবে মায়া জিনিসটা মাঝে মধ্যে ভীষণ কষ্ট দেয়।
ছোটবেলা থেকেই ঘরোয়া মেয়ে আমি। ঘরের বাহিরে খুব প্রয়োজন ছাড়া বের হই না। তাই তেমন একটা পরিচিত বা অভ্যস্ত নই বাহিরের পরিবেশ পরিস্থিতি, মানুষজন নিয়ে। দ্বীনি বুঝ আসার আগে থেকেই সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আমার কোনো ছেলে বন্ধু ছিলোনা। ক্লাসের ছেলেদের সাথেও কখনো কথা বলিনি,মিশিনি। কারো সাথে পরিচয় হলে তার সাথে মিশতে যতটা বেশি সময় নেই ততটা সময় অপরজনকে দেইনা। বাড়ির মানুষদের সাথেও লজ্জা জিনিস টা অনেক বেশি কাজ করে।
আমার টাকা পয়সা, গহনা, দামি জামাকাপড়, খুব স্মার্টলি জীবনযাপন ইত্যাদি তে একদম ই আগ্রহ কাজ করে না। আমার কাছে কখনো টাকাও থাকে না। ১০ টাকা দরকার হলেও তখন ই বাসায় চেয়ে নেই। এই গুণ টার জন্য মাঝেমাঝে বান্দবীদের লাইফস্টাইল দেখে একটু মন প্রশ্নবিদ্ধ হলেও আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক সন্তুষ্ট। এর জন্য আল্লাহ এবং আমার মা বাবাকে অনেক অনেক শুকরিয়া। কারণ আমি মনে করি, যে টাকা চিনলো না, সেই জীবনে সবচেয়ে সুখি একজন মানুষ হয়। লোভ তাদের স্পর্শ করতে পারে না ইন শা আল্লাহ। আমার আসলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু ইচ্ছা আছে। যেগুলো খুব বেশিই সামান্য আর অদ্ভুত। আমি নিজের ছবি তুলিনা, তুললেও খুব বেশি কম। প্রকৃতির ছবি তুলতে অনেক বেশি ভালোবাসি। ফটোগ্রাফার পদবী টা বান্ধবীদের মুখে শুনে আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো লাগে।
আমার বাগান ভালোলাগে। কিন্তু বাসায় বাগান করার সুযোগ, পরিবেশ নেই। ইন শা আল্লাহ একদিন আমার ও একটা বাগান হবে। যেখানে ফুলের হাট বসবে। হোক তা দুনিয়ায় বা জান্নাতে। আমি খুব ফুল পছন্দ করি। অনেকেই প্রশ্ন করে কোন ফুল পছন্দ? আমার আসলে সব ফুল ই পছন্দ। সব ফুল পছন্দ না হলে ফুলপ্রেমি হওয়া যায় কি? হয়তো যায়, জানিনা। শুধুমাত্র একটা ফুল হাতে পেলেও একটা মেয়ে যে কতটা খুশি হতে পারে আমি তার জলন্ত উদাহরণ। আমার ছাদ,বারান্দাও খুব ভালোলাগে। ছাদে কিছু নিজের যত্নের গাছ আর সাজানো বারান্দা। কিন্তু এমন পরিস্থিতি নেই আমার বাসায়।তাই কল্পনাতেই যত সুখ আলহামদুলিল্লাহ। আমি বিড়াল খুব ভালবাসি। অনেকেই বিড়ালের আম্মু বলে ডাকে।
আমি চাঁদ খুব ভালোবাসি। প্রতিরাতে কয়বার যে চাঁদের অবস্থান দেখার জন্য হুমড়ি খাই তা আমার রব আর ঘরের মানুষেরাই ভালো জানে। আমার নামের অর্থ "চাঁদের মতো।" এই বিষয় টা আরো ভালোলাগে আমার। আর হ্যা, আমি আকাশ প্রিয়া একটা মেয়ে। আকাশের প্রতিটি রূপ আমার প্রিয়। যে আকাশের ঠিকানায় রবের কাছে আরজি প্রেরণ করি সেই আকাশ কে ভালো না বেসে পারা যায় নাকি??? খাবারের মধ্যে আমি আইসক্রিম,চকলেট খুব ভালোবাসি। আর ফুসকা, চিপস, এক কথায় যত বেশি ঝাল মিশ্রিত খাবার আছে সব পছন্দ।
নেচারাল ফটোগ্রাফি, টাইপোগ্রাফি,ক্যালিগ্রাফি, ক্রাফট ইত্যাদিতে বেশ অভিজ্ঞতা আছে কিন্তু কখনো যেকোনো একটা বিষয়ে ফোকাস করিনি। যখন যেটা করতে ইচ্ছা হয় আরকি।নিজের যোগ্যতা নিয়ে কখনো সেইভাবে নির্দিষ্ট করে ভাবতে বসিনি।তবে আলহামদুলিল্লাহ টুকটাক লেখালেখি করি।
আমি কিন্তু তেমন কোনো শখ, ইচ্ছার কথা লিখলাম না। কারণ স্বপ্ন গুলো যদি সব এখানেই বলে দেই তাহলে পরের জন্য তো কিছুই অবশিষ্ট থাকলো না। তবে একটা অন্যতম ইচ্ছার কথা বলতে চাই..আমার শেষ বয়সে হলেও মাদীনাবাসি হওয়ার অনেক ইচ্ছা। কবুল হবে কিনা জানিনা, না হলেও হায়হুতাশ করবো না তবে আল্লাহ চাইলে অসম্ভব বলে কিছু নেই ইন শা আল্লাহ।
আমি এখন দুনিয়ামুখিতার সম্পূর্ণ বিপরীত একটা মানুষ। অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকি আলহামদুলিল্লাহ। আমি একটু বেশিই বোকা। আমার মনে হয় এই কঠিন পৃথিবীতে টিকতে চাইলে এতোটাও সহজ হওয়া উচিত না। আমার সবচেয়ে বড় বন্ধু আমার রব। আমার ছোটবেলা থেকেই একটা অভ্যাস আছে।আমি গুনগুন করে সব মনের কথা, কষ্টের কথা একতরফা আল্লাহর সাথে কথোপকথন করি। আল্লাহ আমাকে অনেক সাপোর্ট করে আলহামদুলিল্লাহ। তাইতো কোনো ভুল করলে বা করতে গেলে আমাকে বারবার রিমাইন্ডার দেন। অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান করে দেন। রবের প্রিয়র তালিকায় জায়গা করে নেওয়াটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য ইন শা আল্লাহ। কারণ একটু সামান্য কিছুতেই মনে বেদনার জোয়ার বয়ে যায়, রবকে কষ্ট দিচ্ছি না তো?
আমার একটা স্বপ্ন আছে, আমি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবো যথাসাধ্য যতটা সম্ভব। যেহেতু বাড়ির বাহিরে বের হই না আর হাতে টাকা থাকে না তাই সেইভাবে কিছুই করে উঠতে পারিনি কখনো। তবে ভবিষ্যতে ইন শা আল্লাহ আমার স্বপ্ন টা পূরন হবে একদিন না একদিন। আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে আমার রবের উপর। আমি আমার বাবা মায়ের জন্য নিজে কিছু করতে চাই জীবনে একবার হলেও ইন শা আল্লাহ। যেনো তারা আমার জন্য আল্লাহর কাছে মনের গভীর থেকে শুকরিয়া আদায় করতে পারে এমন কিছু করতে চাই ইন শা আল্লাহ।
আমার পিচ্চি বাচ্চা আর বুড়ো মানুষদের খুব পছন্দ। খুব বেশি নিষ্পাপ লাগে তাদের। ভবিষ্যতে যদি সন্তানের জননী হওয়ার তোফিক আল্লাহ দান করেন তবে আমি আমার সন্তানদের দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই ইন শা আল্লাহ। জেনারেল এ পড়া টা যে কতো বড় যুদ্ধের কাজ তা আমি নিজের জীবন দিয়ে উপলব্ধি করেছি আলহামদুলিল্লাহ্। তাই এক ভুল আমার সন্তানদের সাথে হতে দিবো না ইন শা আল্লাহ। তারা যেনো দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সবার কাছে ইসলামের আলো ছড়াতে পারে, দ্বীনের পথে নিজেকে উৎসর্গ করতে পারে সেইভাবে গড়ে তুলবো ইন শা আল্লাহ।
সর্বশেষ বলতে চাই, আমি হাশরের ময়দানে রবের অতি প্রিয় হিসেবে পরিচিতি পেতে চাই ইন শা আল্লাহ। রসুল (সাঃ) এর প্রতিটি আদর্শ নিজের মধ্যে ধারণ করতে চাই। আমি চাই আমিসহ আমরা সবাই যেনো জান্নাতে যেতে পারি। সবাই যেনো শয়তান কে হারিয়ে রবের সান্নিধ্যে ফিরতে পারে।
আর একজন সাচ্চা মুমিন হিসেবে মুজাহিদার মতো শহিদী মৃত্যু যেনো মোর নসীব হয় এটাই শেষ চাওয়া আমার রবের কাছে। রবের কাছে সুন্দর একটা প্রত্যাবর্তন চাই ইন শা আল্লাহ।
|