স্থায়ী ঠিকানা | থানা: মুরাদনগর, জেলা: কুমিল্লা |
---|---|
বর্তমান ঠিকানা | থানা: মুরাদনগর, জেলা: কুমিল্লা |
কোথায় বড় হয়েছেন? (Required) | নিজ গ্রামের বাড়িতে। |
বায়োডাটার ধরন | পাত্রের বায়োডাটা |
---|---|
বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিত |
বর্তমান ঠিকানা | কুমিল্লা |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
স্থায়ী ঠিকানা | কুমিল্লা |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জন্মসন (আসল) | ১৯৯৭ |
গাত্রবর্ণ | শ্যামলা |
উচ্চতা | ৫'৫'' |
ওজন | ৬০ কেজি |
রক্তের গ্রুপ | B+ |
পেশা | প্রাইভেট জব |
মাসিক আয় | ২০,০০০+ আলহামদুলিল্লাহ্। |
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? (Required) | জেনারেল |
---|---|
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? | হ্যাঁ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান ফলাফল | A+ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান বিভাগ | ব্যবসা বিভাগ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাসের সন | ২০১৪ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাশ করেছেন? | হ্যাঁ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমানের বিভাগ | ব্যবসা বিভাগ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান ফলাফল | A |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাসের সন | ২০১৬ |
স্নাতক / স্নাতক (সম্মান) / সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা | বিবিএ (অনার্স), হিসাববিজ্ঞান |
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম | সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা। |
পাসের সন | ২০২০ |
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা | এমবিএ (মাষ্টার্স), হিসাববিজ্ঞান |
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা | বিএসএস (ডিগ্রি), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়; আলিম প্রিপারেটরী কোর্স (ইসলামিক অনলাইন মাদ্রাসা)। |
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? | হ্যা |
---|---|
আপনার কোর্সের নাম ও ব্যাচ নম্বর: | আলহামদুলিল্লাহ্, ৩ বছর মেয়াদি আলিম প্রিপারেটরী কোর্স প্রথম স্থান অধিকার করে সম্পন্ন করেছি। ব্যাচ: ২১৬ |
পিতার পেশা | আগে চাকরী করতেন। বর্তমানে গ্রামের বাড়িতে গরু-ছাগল লালনপালন করেন। কৃষক বলা যায়। |
---|---|
মাতার পেশা | রব্বাতুল বাইত |
বোন কয়জন? | ২জন |
ভাই কয়জন? | ১জন |
বোনদের সম্পর্কে তথ্য | আলহামদুলিল্লাহ্, আল্লাহ তায়া’লা আমাকে ২ জন বোনের নিয়ামত দিয়েছেন। যার বোন নেই কেবল সেই বুঝে বোনদের গুরুত্ব ভাইদের জীবনে কতটা! আমিই পরিবারের বড় সন্তান। আমার পর আমার একজন বোন আছে। বিয়ে হয়ে গেছে এসএসসি পরীক্ষার সময়। সে তাঁর স্বামীর বাড়িতে থাকে। বোনজামাই সৌদি আরব প্রবাসী। আলহামদুলিল্লাহ্, সেখানে আমার ২ জন ভাগিনা আছে। আরেকজন বোন সবার ছোট। এসএসসি পরীক্ষার পর একটি কওমি মহিলা মাদ্রাসাতে (অনাবাসিক) ভর্তি করে দিয়েছি দ্বীনি ইলম শিখার জন্য। আলহামদুলিল্লাহ্, সে পর্দার সাথে দ্বীন মেনে চলার চেষ্টা করে। আল্লাহ তায়া’লা আমার বোনদেরকে নেককার এবং পরহেজগার নারী হিসেবে কবুল করুন, তাদেরকে নিরাপদে রাখুন, আফিয়াতের জিন্দেগী দান করুন, আমীন। |
ভাইদের সম্পর্কে তথ্য | আলহামদুলিল্লাহ্, আমার একজন ছোট ভাই আছে। আমার দেখাদেখি যথাসম্ভব দ্বীন মেনে চলার চেষ্টা করে। দাড়ি রেখেছে, পাঞ্জাবী-পায়জামাতে অভ্যস্ত হচ্ছে, নিয়মিত নামায পড়ে; ফালিল্লাহিল হামদ্। আলহামদুলিল্লাহ্, বর্তমানে সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। আল্লাহ তায়া’লা তাকে দ্বীনের পথে অটল, অবিচল রাখুন। আমীন। |
চাচা মামাদের পেশা | আমার বাবার কোনো ভাই-বোন নেই। তা-ই আমার কোনো চাচা, ফুফু নেই। আমার দু'জন মামা ছিলেন। বড় মামা রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গিয়েছেন (আল্লাহ তায়া’লা উনার ভুল ত্রুটি মার্জনা করে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন, আমীন)। ছোট মামা আগে ব্যবসা বাণিজ্য করতেন। এখন নিজের বাড়িতে অবসরে আছেন। আল্লাহ তায়া’লা উনাকে নেক হায়াত দান করুন, আমীন। |
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা | নিম্নমধ্যবিত্ত, সম্ভ্রান্ত বংশীয় এবং সামাজিকভাবে সম্মানিত (আলহামদুলিল্লাহি আ’লা কুল্লি হাল)। |
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) (Required) | আমার পরিবারে বর্তমানে আমার বাবা-মা, ছোট ভাই আর ছোট বোন আছেন। দাদা-দাদী অনেক আগেই রব্বে কা’বার কাছে চলে গিয়েছেন (আল্লাহ তায়া’লা তাদেরকে কবরের জগতে শান্তিতে রাখুন, আমীন)। আলহামদুলিল্লাহ্! আমার মা, ভাই এবং বোন দ্বীন মেনে চলার চেষ্টা করেন। নিয়মিত নামায আদায় করেন। মাহরাম-গায়রে মাহরাম যতটা সম্ভব মেনে চলার চেষ্টা করেন, ফালিল্লাহিল হামদ্। তবে আমার বাবার দ্বীনের বুঝ কম। উনার দ্বীনের বিষয়ে যথেষ্ট ঘাটতি আছে। সমাজের আট-দশ জনের মতো গতানুগতিক মুসলিম। আল্লাহ তায়া’লা উনাকে হেদায়েতের পরিপূর্ণ নূর দান করুন, আমীন। |
সুন্নতি দাঁড়ি রয়েছে কি? (Required) | জ্বি, আলহামদুলিল্লাহ্, সুন্নতি দাড়ি আছে। আমি দাড়ি গজানোর পর থেকেই দাড়ি রেখেছি, কখনো শেভ করা হয়নি। কোনো মু’মীন কি দাড়িতে খুঁড় লাগিয়ে প্রিয় নবীজি (ﷺ) - এর কলিজায় আঘাত দিতে পারে? দাড়ি-ই একমাত্র দৃশ্যমান সুন্নাহ যা নিয়ে মু’মীন কবরে যাবে। দাড়িবিহীন অবস্থায় মৃত্যু হলে কোন চেহারা নিয়ে প্রিয় নবীজির সামনে দাঁড়াব? |
---|---|
পায়ের টাখনুর উপরে কাপড় পরেন?(Required) | জ্বি, আলহামদুলিল্লাহ্। ছোটবেলা থেকেই পায়ের টাখনুর উপরে কাপড় পরার আমল করি। কোনো মু’মীন (পুরুষ) জেনে-বুঝে টাখনুর নিচে কাপড় পরতে পারেনা। কারণ হাদিসে এ বিষয়ে কঠোর শাস্তির কথা এসেছে। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘লুঙ্গির যে অংশ টাখনুর নিচে থাকবে তা জাহান্নামে যাবে।’ (সহীহ বুখারী: ৫৭৮৭)। আর জাহান্নামে গেলে শরীরের কোনো অংশবিশেষ যাবে না; বরং সমগ্র দেহই যাবে। টাখনুর নিচে কাপড় পরার বিষয়ে রাসূল ﷺ বলেছেন, “যে ব্যক্তি অহংকার বশে তার লুঙ্গি মাটির সাথে টেনে নিয়ে বেড়াবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়া’লা তার প্রতি দৃষ্টি দিবেন না।” (সহীহ বুখারী: ৩৬৬৫)। হযরত আবু যর ( রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ❝কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়া’লা তিন ব্যক্তির সঙ্গে কথা তো বলবেনই না; বরং তাদের দিকে তাকিয়েও দেখবেন না। এমনকি তিনি তাদের গুনাহ থেকে পবিত্র করবেন না বরং তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তারা কারা? এদের তো সর্বনাশ হবে। তাদের বাঁচার কোনো রাস্তা নেই। রাসূল (ﷺ) এ কথা তিনবার বলেছেন, তারা হলো— এক. যে ব্যক্তি টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে কাপড় পরে। দুই. যে ব্যক্তি মিথ্যা কসম খেয়ে পণ্য বিক্রি করে। তিন. যে ব্যক্তি কারো উপকার করে আবার খোঁটা দেয়।❞ (সহীহ মুসলিম: ১০৬; নাসায়ি: ২৫৬৩)। |
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? | কোনো মু’মীন কি কখনো নামায না পড়ে থাকতে পারে? নামাজ মু’মীনের চোখের শীতলতা, হৃদয়ের প্রশান্তি। মুসলিম এবং কাফেরের মধ্যে পার্থক্য কেবল নামাজ। আলহামদুলিল্লাহ্, রবের ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁর কুদরতি পায়ে দৈনিক ৫ বার সিজদাহ্ দেওয়ার তৌফিক আমার রব দিয়েছেন। আল্লাহ তায়া’লা যেন আমৃত্যু তৌফিক দেন। আমীন। এটা অনেক বড় নিয়ামত। হাদিসে এসেছে- হযরত মুআজ (রা:) বলেন, রাসূল (ﷺ) আমাকে দশটি নসিহত করেন, তার মধ্যে বিশেষ একটি এটাও যে, ❝তুমি ইচ্ছাকৃত ফরয নামায ত্যাগ করো না। কারণ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ফরয নামায ত্যাগ করল তার ওপর আল্লাহ তায়া’লার কোনো জিম্মাদারি থাকলনা।❞ (মুসনাদে আহমাদ : ৫/২৩৮)। হযরত হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) বলেছেন, ❝আল্লাহ তায়া’লা যখন কারো উপর রাগ হন তখন তাঁর রিযিক বন্ধ করেন না। বরং রবকে সিজদাহ্ দেওয়ার তৌফিক ছিনিয়ে নেন।❞ আল্লাহুম্মাগফিরলী। কত ভয়ংকর কথা। আল্লাহ তায়া’লা যেন কখনো কোনো গোনাহের কারণে এই নিয়ামত ছিনিয়ে না নেন। আল্লাহ তায়া’লা প্রত্যেক মুসলমানকে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ার তৌফিক দান করুন। আমীন। |
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) | ছোটবেলা থেকেই কমবেশি নামাজ পড়তাম। তবে এসএসসি পরীক্ষার পর থেকেই নিয়মিত নামায পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠে, আলহামদুলিল্লাহ্। |
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? | জ্বি, আলহামদুলিল্লাহ্, মেনে চলার চেষ্টা করি। কারণ পর্দা করা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই ফরয। আর ইবাদতের স্বাদ আস্বাদনের জন্য নজরের হেফাজত করা অতীব জরুরী। কারণ কুদৃষ্টির ফলে ইবাদতের স্বাদ বিনষ্ট হয়ে যায়। তা-ই প্রত্যেক মু’মীন বান্দার উচিত কঠোরভাবে নিজের নজর হেফাজত করা। |
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? | আমার রবের কালাম তিলাওয়াত করতে না পারলে আর কি পারব? যে রবের কালাম তিলাওয়াত করতে পারেনা সে কি বুঝে এর স্বাদ? কুরআন মু’মীনের হৃদয়ের প্রশান্তি, কুরআন মু’মীনের জান্নাতে যাওয়ার রশি! কুরআন কোনো মাখলুক নয় বরং রব্বে কারীমের সিফাত। আমার ইচ্ছে, আমি আমার আহলিয়াকে কুরআন তিলাওয়াত করে শুনাবো এবং তাঁকে কুরআন তিলাওয়াত শিখাবো ইন শা আল্লাহ যদি সে তিলাওয়াত করতে না জানে। |
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? | আলহামদুলিল্লাহ্, সুন্নতী লেবাসেই চলাফেরা করি। ঘরের বাহিরে জুব্বা, পাঞ্জাবী - পায়জামা পরিধান করি। ভার্সিটিতে উঠেই প্যান্ট-শার্ট পরা ছেড়ে দিয়েছি। এজন্য আমাকে পরিবার, সমাজ এবং চারপাশের লোকদের থেকে অনেক অবজ্ঞা, হয়রানী এবং বিদ্রুপের শিকার হতে হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ্, ছবর করেছি। দ্বীনের বিষয়ে কখনো আপোষ করিনি। আলহামদুলিল্লাহ্, এখন সবাই মেনে নিয়েছে। বস্তুত যে তাঁর রবের পথে অটল থাকে, রব তাকে সম্মানের জিন্দেগী দান করেন। আর নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি সত্য। |
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন (Required) | আমি ইসলামি খিলাফাহ্-তে বিশ্বাসী। মনেপ্রাণে ইসলামি ইমারাহ্ (শরীয়াহ্ আইনে পরিচালিত ইসলামী রাষ্ট্র) কায়েমের স্বপ্ন বুনি। হৃদয়ের তামান্না, বাংলার ভূখণ্ডে একদিন কালিমার পতাকা উড্ডীন হবে ইন শা আল্লাহ। আবার ফিরে আসবে সোনালী সেই যুগ যেখানে থাকবেনা কোনো অন্যায়-অবিচার, জুলুম - অত্যাচার। মাজলুমরা ফিরে পাবে তাদের প্রাপ্য অধিকার আর জালিমদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে তাদের পাওনা! আল্লাহ তায়া’লা এ-ভূখন্ডকে ইসলামের জন্য কবুল করুন, আমীন। |
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? | জ্বি না, আলহামদুলিল্লাহ্। এগুলো ফাহেশা এবং গোনাহের কাজ। এসব দেখা এবং শোনার মাধ্যমে রবের সাথে বান্দার দূরত্ব সৃষ্টি হয়। অন্তরে অশান্তি আর হতাশা বিরাজ করে। ইবাদতের স্বাদ বিনষ্ট হয়ে যায়। তাই প্রত্যেক মু’মীন বান্দার উচিত এসব দেখা এবং শোনা থেকে বিরত থাকা। |
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) | জানামতে তেমন বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই, আলহামদুলিল্লাহ্। আল্লাহু আ’লামু। |
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) | আলহামদুলিল্লাহ্, সবসময় দ্বীনি সার্কেলের সাথে চলাচল করার চেষ্টা করি। দাওয়াতে তাবলীগে একসময় নিয়মিত সময় দেওয়ার তৌফিক হয়েছিল, আলহামদুলিল্লাহ্। করোনা লকডাউনের সময় নুরানী মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর প্রায় আড়াই বছর দু’টি কওমি মাদ্রাসাতে আবাসিক উস্তাজ হিসেবে খেদমত করার তৌফিক হয়েছিল, আলহামদুলিল্লাহ্। সে-ই সময় আলেমদের সোহবতে থাকা হয়েছে। অনেক কিছু শিখা এবং জানা হয়েছে, ফালিল্লাহিল হামদ্। আমার একটা আদত (অভ্যাস) হচ্ছে আমি আসলে কোথাও একা একা থাকতে পারিনা। তা-ই যখন যেখানেই থাকি সেখানকার আলেম-ওলামা এবং দ্বীনি ভাইদের সাথে জুড়ে থাকার চেষ্টা করি, আলহামদুলিল্লাহ্। |
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) | আসলে আপনাদের এই প্রশ্নটা এভাবে করাটা অনুচিত! কেমন জানি অসুন্দর দেখায়। বরং এভাবে বলা উচিত, আপনি কি কোনো আলেমের সোহবতে আছেন বা কোনো মুরুব্বির সাথে মাশোয়ারা করে সিদ্ধান্ত নেন? জ্বি, আলহামদুলিল্লাহ আমি আমার প্রিয় উস্তাজদের সোহবতে আছি। হেদায়েতের উপর অটল অবিচল থাকার জন্য কোনো আলেমকে নিজের রাহবার বা মুরুব্বি বানাতে হয়। জীবনের দুনিয়াবী বিভিন্ন বিষয়ে এবং দ্বীনের উপর অটল থাকার জন্য আলেমদের সাথে পরামর্শ করা অত্যন্ত জরুরী। আমিও সেটাই করার চেষ্টা করি, আলহামদুলিল্লাহ্। এখন এটাকে আপনি আরবীতে বলতে পারেন শায়েখ, ফার্সিতে পীর, বাংলাতে শিক্ষক। |
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) | মাজারে গিয়ে শায়িত ব্যক্তিকে সিজদাহ্ দেওয়া এবং শায়িত ব্যক্তির নিকট কোনো কিছু চাওয়া শিরক। সিজদাহ্-র একমাত্র হকদার আল্লাহ ﷻ। আর আল্লাহ তায়া’লা ব্যতীত অন্য কারো কোনো কিছু দেওয়ার ক্ষমতা নেই। দেনেওয়ালা জাত একমাত্র আল্লাহ ﷻ। বর্তমানে মাজারগুলো শিরকের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তাই এসব থেকে সকল মুসলমানের বেঁচে থাকা জরুরী। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) | ১. যুহুদ সিরিজ ২. হৃদয় গলে সিরিজ ৩. হায়াতুস সাহাবা ৪. জীবন পথের পাথেয় ৫. অনেক আঁধার পেরিয়ে। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) | ১. উস্তাজে মুহতারাম মুফতি যোবায়ের আহমদ হাফিজাহুল্লাহ্ ২. শায়খ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ্ ৩. মুফতি মুস্তাকুন্নবী হাফিজাহুল্লাহ্ ৪. মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী হাফিজাহুল্লাহ্ ৫. মুফতি রেজাউল করীম আবরার হাফিজাহুল্লাহ্ ৬. মুফতি মুজিবুর রহমান হাফিজাহুল্লাহ্ (আইওএম) |
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) | ১. নুরানী মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ (বেফাক) ২. মক্তব মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ (দ্বীনিয়াত) ৩. স্মল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কোর্স (আস সুন্নাহ স্কিল ডেভলপমেন্ট ইনস্টিটিউট), এই কোর্সে ৩ মাস আবাসিক থেকে শিখেছি: Microsoft Office (Word, Excel, PowerPoint), Graphic Design, Digital Marketing (Facebook, SEO), Practical Accounting, Artificial Intelligence, English Spoken, Corporate Manner & Etiquette & Dawah. |
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন | পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো নিজের সম্পর্কে ভালো কিছু বলা। কারণ প্রতিটি মুহূর্ত রবের হুকুম অনুযায়ী কাটাতে না পারা এক নালায়েক-নাখান্দা বান্দা আমি। মালিকের এক গোনাহগার অধম গোলাম। আসলে নিজের সম্পর্কে বলার মতো তেমন কোনো ভালো গুণই আমি চোখে দেখিনা। হাজারো অযোগ্যতায় ভরপুর আমি। তবুও নিয়ম রক্ষার্থে কিছু বলা: আমি হঠাৎ করে দ্বীনে ফেরা কেউ নই। ছোটবেলা থেকেই একটু একটু করে দ্বীন মেনে পরিপূর্ণ দ্বীনের উপর চলার চেষ্টা করছি। আলহামদুলিল্লাহ্, জীবনের কোনো স্টেজেই পরিপূর্ণ জাহেলিয়াতে ডুবে থাকিনি। ছোটবেলা থেকেই সবার থেকে একটু আলাদা ছিলাম। যেমন- কখনো কারো সাথে তেমন গুরুতর ঝগড়া লাগিনি, ইচ্ছে করে কাউকে কষ্ট দেইনি, জেনে-বুঝে কারো হক্ব নষ্ট করিনি। চুপচাপ শান্ত স্বভাবের ছিলাম, ফলে কারো সাথে ঝগড়া হতো না আমার। অবুঝ অবস্থায়ও আল্লাহ তায়া’লা আমাকে পথ দেখিয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী এবং ভালো ছাত্র হওয়ায় অনেক হারামে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ ছিল। আলহামদুলিল্লাহ্, আল্লাহ তায়া’লা আমাকে আপন কুদরতে হেফাজত করেছেন। এসএসসি পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে দ্বীন বুঝতে শিখি। তখন থেকে দ্বীনের উপর চলার জার্নি শুরু। সবসময় ইসলামকে জানার এবং সেই মোতাবেক আমল করার চেষ্টা করি। ইসলামকে যত জানি নিজের অজ্ঞতাকে তত আবিষ্কার করি। তাই প্রতিনিয়ত ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি। ভুল হয়ে গেলে তওবার মাধ্যমে সংশোধন করে নেওয়ার চেষ্টা করি। সর্বদা নিজেকে সমৃদ্ধ এবং উন্নত করার চেষ্টা করি। সববিষয়ে ধৈর্যধারণ করার চেষ্টা করি। কেউ আমার দ্বারাতে কষ্ট পেলে খুব খারাপ লাগে। এজন্য অনেক সময় নিজের দোষ না থাকা স্বত্বেও ক্ষমা চেয়ে নেই। মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করতে, সৎ পরামর্শ দিতে, নসিহা করতে এবং বিপদে সাহায্য করতে ভালোবাসি। আহবাবদের জন্য দু’আ করতে পছন্দ করি। আলহামদুলিল্লাহ্, আল্লাহ তায়া’লা আমাকে অনেক বিনয় দিয়েছেন। তাই কথার যাদুতে মানুষকে মুগ্ধ করে ফেলতে পারি। অল্পতেই মানুষের মনে স্থান করে নিতে পারি। আমি অত্যন্ত শিশুক একজন মানুষ। সহজেই মানুষের সাথে মিশে যেতে পারি। সকলের সাথে সদ্ব্যবহার করার চেষ্টা করি। এজন্য আলহামদুলিল্লাহ্, আমার পরিবারের শত্রুরাও ব্যক্তিগতভাবে আমাকে মন্দ বলতে পারবেনা। হাজারো কষ্ট লুকিয়ে পথ চলতে পারি। কখনো কখনো পাহাড়সম ধৈর্য্য ধারণ করতে পারি, ফালিল্লাহিল হামদ। আল্লাহ তাআলা আমাকে ভরপুর ছবর করার নিয়ামত দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ্। যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারি। কঠিন পরিস্থিতিতেও নিজেকে স্থির রাখতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ্, আমার কন্ঠও অনেক মায়াবী। সুললিত কন্ঠে কুরআন তিলাওয়াত এবং নাশিদ গাইলে মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। আমার জীবনে একটা অর্জন আছে, সেটা হলো- আমাকে কেউ কখনো বেয়াদব বলতে পারেনি। কারণ সবসময়ই নিজের দোষ না থাকলেও নিজেকে ছোট করে বিনয় এবং নম্রতা দেখিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ্, আজও সেই আদর্শ বুকে নিয়েই পথ চলি। ক্ষুদ্র এই জীবনে অনেক নেককার মানুষের দু’আ পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ্। আমার বিশ্বাস, এই দু’আর বরকতে আল্লাহ তায়া’লা আমাকে একদিন অনেক দূর নিয়ে যাবেন ইন শা আল্লাহ। আমি ছোটবেলা থেকেই শান্তশিষ্ট স্বভাবের। তবে চারপাশের মানুষদের মাতিয়ে রাখতে পছন্দ করি। কারো মন খারাপ দেখলে আমারও মন খারাপ হয়ে যায়। তা-ই সবসময় চেষ্টা করি আশেপাশের মানুষের মন ভালো রাখার। কারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট আমাকে খুব পীড়া দেয়! আমার দুর্বলতা হলো আমি মানুষকে অল্পতেই বিশ্বাস করে ফেলি এবং কারো সাথে সহজেই খারাপ আচরণ করতে পারিনা। তবুও জীবন চলার পথে মানুষ হিসেবে অজস্র ভুল এবং গোনাহ হয়েই যায়। তাই বান্দার জন্য রব্বে কারীমের নিকট প্রতিনিয়ত ক্ষমা চাওয়া এবং আত্মসমর্পণ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম দয়ালু এবং ক্ষমাশীল আর তিনি বান্দাদের ক্ষমা করতেই পছন্দ করেন। رَبَّنَا اغْفِرْ لِيْ وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ يَوْمَ يَقُوْمُ الْحِسَابُ ❝হে আমাদের রব, যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার পিতামাতাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করুন।❞ (সূরা ইবরাহীম: ৪১)। رَبَّنَاۤ اِنَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغۡفِرۡ لَنَا ذُنُوۡبَنَا وَ قِنَا عَذَابَ النَّارِ ❝হে আমাদের রব, নিশ্চয়ই আমরা ঈমান আনলাম। অতএব, আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন।❞ (সূরা আলে ইমরান: ১৬)। رَبَّنَا ظَلَمۡنَاۤ اَنۡفُسَنَا وَاِنۡ لَّمۡ تَغۡفِرۡ لَنَا وَتَرۡحَمۡنَا لَنَکُوۡنَنَّ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ ❝হে আমাদের রব, আমরা নিজেদের উপর যুলুম করেছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদেরকে দয়া না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।❞ (সূরা আরাফ: ২৩)। رَبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَاِلَيْكَ اَنَبْنَا وَاِلَيْكَ الْمَصِيْرُ ❝হে আমাদের প্রতিপালক, আমরা আপনার ওপরই ভরসা করি, আপনারই অভিমুখী হই আর প্রত্যাবর্তন তো আপনারই কাছে।❞ (সূরা মুমতাহিনা: ৪)। اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّيْ ❝হে আল্লাহ! তুমিতো ক্ষমার ভান্ডার, ক্ষমা করাকে তুমি পছন্দ কর। কাজেই আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও।❞ (তিরমিযী: ৩৫১৩)। اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاهْدِنِي وَعَافِنِي وَارْزُقْنِي ❝হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমার প্রতি দয়া কর, আমাকে হেদায়াত কর, নিরাপদে রাখ এবং আমাকে রিযিক দান কর।❞ (তিরমিযী: ২৮৪)। رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ ❝হে আমাদের রব, আপনি হিদায়াত দেয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি মহান দাতা।❞ (সূরা আলে ইমরান: ৮)। - يَا مُقَلِّبَ القُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ ❝হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আপনি আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের ওপর অবিচল রাখুন।❞ (তিরমিজি: ৩৫২২)। - اللَّهُمَّ مُصَرِّفَ القُلُوبِ صَرِّفْ قُلُوبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ ❝হে অন্তরের পরিবর্তন সাধনকারী রব! আমাদের অন্তরকে তোমার আনুগত্যের দিকে পরিবর্তন করে দাও।❞ (সহীহ মুসলিম: ২৬৫৪)। 🔎আর নিজের চরিত্র সম্পর্কে যদি বলি: ❝একজন মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তাঁর চরিত্র। সঙ্গীর চরিত্র সম্পর্কে জানা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, একজন চরিত্রহীন মানুষের সাথে কিছুক্ষণ বসে গল্প করা যায় কিন্তু সারাজীবন একই ছাদের নিচে কাটানো যায় না। তাই বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে আমার চরিত্র সম্পর্কে জানা আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরী। মানুষের চরিত্রের ২টি দিক আছে। একটি বাহ্যিক (যা কাছের মানুষেরা দেখতে পায়), আরেকটি হলো অভ্যন্তরীণ (যা অন্তরে লুকায়িত থাকে)। আমার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই আমার উভয় চরিত্র সম্পর্কে খোঁজ খবর নিবেন। বাহ্যিক চরিত্র সম্পর্কে জানতে আমার গ্রামের মসজিদের ইমাম সাহেব, মুসুল্লি, স্থানীয় মেম্বার, বন্ধু-বান্ধব, এলাকার সাধারণ মানুষ এবং আইওএমের আমার শ্রদ্ধেয় উস্তাজদের থেকে খোঁজ-খবর নিতে পারেন। আর আমার অভ্যন্তরীণ চরিত্র সম্পর্কে জানতে আপনি আপনার রবের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ইস্তিখারা এবং দু’আর মাধ্যমে! যদি উভয় চরিত্রের রেজাল্ট পজিটিভ পান কেবল তখনই আপনি আমার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন। আর যদি কোথাও কোনো গোলমাল পান, অবশ্যই আমাকে নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাববেন না!!!❞ |
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? | হানাফি |
নজরের হেফাজত করেন? (Required) | হ্যা |
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? | সাহাবায়ে কেরামের আদলে একটি জান্নাতী দ্বীনি পরিবার গঠনের স্বপ্ন দেখি। যেখানে দুনিয়াবী আসবাবের অভাব থাকবে ঠিকই কিন্তু অন্তরে থাকবে ভরপুর সুকুন (প্রশান্তি)। যেখানে দুনিয়ার চাইতেও জান্নাতের আলোচনাই বেশি হবে। যেখানে থাকবেনা দুনিয়ার না পাওয়ার কোনো আক্ষেপ, বরং থাকবে রবের প্রতি শোকর। হাজারো কষ্টের মধ্যে থেকেও হাসিমুখে বলবে, আলহামদুলিল্লাহ্, আল্লাহ আপনি অনেক ভালো রেখেছেন! যেখানে দুনিয়ার আভিজাত্য আর চাকচিক্যের কোনো স্থান থাকবেনা। থাকবে একে অপরের প্রতি অগাধ বিশ্বাস, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর সহযোগিতা। আমি স্বপ্ন দেখি, আমার মানুষটাকে নিয়ে রবের প্রিয় এবং একনিষ্ঠ বান্দা-বান্দী হওয়ার প্রতিযোগিতার। নিজেদেরকে মুস্তাজাবুদ দাওয়াহ হিসেবে তৈরি করার। ইচ্ছে দাঈ ইলাল্লাহ হওয়ার। তামান্না রাখি, একদিন দু'জন মিলে একসাথে মক্কা-মদিনার অলিগলিতে হেঁটে বেড়াবার! স্বপ্ন বুনি, সন্তানদেরকে যুগশ্রেষ্ঠ আলেম এবং দ্বীনের মুজাহিদ হিসেবে তৈরি করার। ইচ্ছে রবের প্রিয় হয়ে জান্নাতে দু'জন একসাথে স্থায়ীভাবে থাকার যেখানে নেই কোনো বিচ্ছেদ!!! |
অবসর সময় কিভাবে কাটান? (Required) | অবসর সময়ে হাতের জমানো বিভিন্ন কাজগুলো করার চেষ্টা করি। কখনো কুরআন তিলাওয়াত করা হয়। কখনো বিভিন্ন বিষয়ে রিসার্চ করা হয় কিংবা পরিচিতদের খোঁজ খবর নেওয়া হয়। মাঝেমধ্যে প্রিয় আলেমের বয়ান শুনি, কখনো বা নাশিদ শুনি। আবার কখনো বিশ্রাম করি। |
কত ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে আদায় করেন? (Required) | আলহামদুলিল্লাহ্, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযই জামাতের সাথে আদায় করার চেষ্টা করি। কারণ জামাতের সাথে নামাজ পড়া পুরুষদের জন্য ওয়াজিব। জামাতে নামাজ আদায়ের ফজিলত সম্পর্কে রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়া একাকী নামাজ পড়ার চেয়ে ২৭ গুণ বেশি মর্যাদার।’ (সহীহ বুখারী: ৬৪৫, সহীহ মুসলিম: ৬৪০)। রাসূল (ﷺ) জামাতে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে বিভিন্ন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এক হাদিসে নবী করীম (ﷺ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আজান শুনল এবং তার কোনো অপারগতা না থাকা সত্ত্বেও জামাতে উপস্থিত হলো না, তার সালাত হবে না।’ (ইবনে মাজাহ : ৭৯৩)। রাসূল (ﷺ) জামাতে অনুপস্থিত ব্যক্তির ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারী জারি করেছেন। তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘আমার প্রাণ যাঁর হাতে, তাঁর কসম করে বলছি! অবশ্যই আমি সংকল্প করেছি, আমি কাঠ সংগ্রহ করার নির্দেশ দেব, তারপর আমি নামাজের হুকুম দেব এবং এ জন্য আজান দেওয়া হবে, তারপর আমি এক ব্যক্তিকে হুকুম করব সে লোকদের নামাজ পড়াবে। এরপর আমি ওই লোকদের দিকে যাব, যারা জামাতে হাজির হয়নি এবং তাদের বাড়িঘর তাদের সামনেই জ্বালিয়ে দেব।’ (সহীহ বুখারী : ২৪২০) |
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? (Required) | পড়াশোনার সুবাধে ২০১৭ সাল থেকে বাড়ির বাহিরে থাকা হয়। সময় সুযোগ মতো বাড়িতে আসা হয়। বাড়িতে দায়িত্ব পালন বলতে পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা, তাদের খোঁজ খবর নেওয়া এবং তাদের জন্য প্রচুর দু’আ করা হয়। আর বাড়িতে আসলে তাদের কোনো সমস্যা থাকলে সেটা সমাধান করার চেষ্টা করা হয়। |
আপনি কি ধুমপান করেন? (Required) | কোনো মু’মীন কি ধুমপান করতে পারে? আলহামদুলিল্লাহ, কখনোই এসব করা হয়নি। আমার রব আমাকে ছোটবেলা থেকেই এসকল নিন্দনীয় কাজ থেকে হেফাজত করেছেন, লাকাল হামদ্ ওয়ালাকাশ শুকর্!! |
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? | জ্বি, আলহামদুলিল্লাহ্; বিয়ের অনুমতি অনেক আগেই দিয়েছেন। |
---|---|
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? | ❝আমাদের জীবন তো আলাদা। আমরা তো একে অপরকে চিনিও না। তবুও আল্লাহ্ তায়ালা আমাদেরকে একত্র করতে চান। আমাদেরকে কেন একত্র করতে চান? কারণ একা একা জান্নাতে যাওয়া বড্ড কঠিন। আল্লাহ্ তায়ালা আমাদেরকে একত্র করতে চান একসঙ্গে জান্নাতের পথে চলার জন্য। আমি যদি পিছিয়ে পড়ি (জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা থেকে) তাহলে সে (আমার আহলিয়া) আমাকে টেনে নিয়ে যাবে; আর যদি সে পিছিয়ে পড়ে তবে আমি তাঁকে টেনে নিয়ে যাব।❞ “আল্লাহ তায়া’লা স্বামী - স্ত্রী’র মধ্যে পরষ্পরের জন্য প্রশান্তি রেখেছেন। রেখেছেন চরিত্র হেফাজতের উসিলা। রেখেছেন একে অপরের চক্ষুশীতলকারী এবং অন্তর প্রশান্তকারী হওয়ার মতো নিয়ামত। দিয়েছেন একসাথে চিরস্থায়ী জান্নাতের সাথী হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। বিয়ে সকল নবীদের সুন্নাহ। বিয়ের মধ্যে রয়েছে রহমত এবং বরকত। বিয়ের মাধ্যমে মু’মীনের অর্ধেক দ্বীন পরিপূর্ণ হয়। বিয়ের মাধ্যমে নজর হেফাজত করা সহজ হয়। পরিশেষে, বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন যার গন্তব্য চিরস্থায়ী জান্নাত।” |
বিয়ের পর স্ত্রীর পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? | আমার আহলিয়াকে যদি আমি পর্দার মধ্যেই না রাখতে পারি তাহলে আমি কেমন মু’মীন? কি হবে এমন দ্বীনদারিতা দিয়ে? আমার আহলিয়া আমার নিকট অনেক দামি সম্পদ। আমি তাকে পুরো পৃথিবীর আড়াল করে লুকিয়ে রাখতে চাইবো ইন শা আল্লাহ। আমি চাকরীর সুবাধে যখন যেখানেই থাকি, সে আমার সাথেই থাকবে এবং তাঁকে পরিপূর্ণ পর্দা ও নিরাপত্তার সাথে রাখা হবে ইন শা আল্লাহ। আল্লাহ তায়া’লা আমাকে তৌফিক দান করুন। আমীন। |
বিয়ের পর স্ত্রীকে পড়াশোনা করতে দিতে চান? | দুনিয়াবী পড়াশোনা একদমই না। যেখানে আছে সেখানেই ফুলস্টপ বসে যাবে! আমি কখখনোই চাই না আমার আহলিয়া দুনিয়ার এই চরম ফিতনার সময়ে পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে দুনিয়াবী পড়াশোনা আর একদিনও কন্টিনিউ করুক। এটা আমার গায়রত। আর সে এত দুনিয়াবী পড়াশোনা দিয়েই বা কি করবে? আমার এত এত সার্টিফিকেট সব তো তাঁরই! আমি সুস্পষ্টভাবে এটা বলে রাখছি, বিয়ের পর আমার আহলিয়াকে দুনিয়াবী শিক্ষা চাই তা সহ-শিক্ষা কিংবা সহশিক্ষা মুক্ত হোক, করতে দেওয়া হবেনা। যেখানে বাবা-মায়ের কাছেই এই কঠিন সময়ে সন্তান নিরাপদ না, সেখানে এই চরম ফিতনার সময়ে সে বস্তুবাদী পড়াশোনার জন্য ঘরের বাহিরে বের হোক, আমি এটা চাইনা। আর দ্বীনি ইলম সে আমার কাছ থেকে শিখবে ইন শা আল্লাহ। একজন নারীর জন্য যতটুকু ইলম জানা জরুরী, আমি আশা করি তাঁকে আমি সেগুলো শিখাতে পারবো ইন শা আল্লাহ। এতে পরস্পরের মধ্যে মুহাব্বত বৃদ্ধি পাবে। এরপরও যদি আরো গভীর দ্বীনি ইলম শিখতে চায় তাহলে দু'জনের মাশোয়ারা সাপেক্ষে আমার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থেকে বিশ্বস্ত কোনো অনলাইন মাদ্রাসায় দ্বীনি ইলম শিখবে ইন শা আল্লাহ। |
বিয়ের পর স্ত্রীকে চাকরী করতে দিতে চান? | আল্লাহ তায়া’লা যেন কখনো এতটা অসহায় না বানান। আমার আহলিয়া আমার নিকট হীরা মুক্তার চেয়েও অধিক মূল্যবান। সে আমার জান্নাতের সহযাত্রী। আমি চাই সে ঘরে পর্দার মধ্যে থাকবে। নিজে পবিত্র থাকবে এবং আমার ঘরে নিরাপদে ফিরে আসা পর্যন্ত রব্বে কারীমের নিকট দু’আ করতে থাকবে। আমি বাহির থেকে আসলে আমার মেজাজ বুঝার চেষ্টা করবে। আমাকে দেখলে সে আনন্দিত হবে। আমার অনুপস্থিতি তাকে বিমর্ষ করবে। এটাই তো সুখ! টাকার মধ্যেই কি সব সুখ নিহিত? আর স্বামী-স্ত্রী দু’জনে চাকরী করলে সংসার হয়না, হয় টাকা কামানোর প্রতিযোগিতা! |
বিয়ের পর স্ত্রীকে কোথায় নিয়ে থাকবেন? | আমার স্ত্রী সবসময় আমার সাথেই থাকবে ইন শা আল্লাহ। আমি চাকরীর সুবাধে যখন যেখানে অবস্থান করবো, সে আমার সাথে সেখানেই থাকবে ইন শা আল্লাহ। আপাততঃ বাড়িতে পর্দার পরিবেশ নেই। সেজন্য বিয়ের পর মাদ্রাসার পাশ্ববর্তী কোম্পানিগন্জ শহরে ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে থাকব ইন শা আল্লাহ। |
বিয়ে উপলক্ষে আপনি বা আপনার পরিবার পাত্রীপক্ষের কাছে যৌতুক বা উপহার বা অর্থ আশা করবেন কি না? | একটি সুই-ও না। মেয়ের পরিবার তাদের কলিজাটাই তো দিয়ে দিচ্ছে, সেখানে তাদের উপর কোনো কিছু দাবি করা সুস্পষ্ট জুলুম। আমি কিংবা আমার পরিবার মেয়েপক্ষের নিকট তাদের মেয়েকে ছাড়া আর কিছুই চাইনা এবং তাঁরা কোনো কিছু দিক সেই আশাও করিনা। তবে হ্যাঁ, তাদের নিকট বুকভরা দু’আ আর ভালোবাসা চাইবো! |
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? | আর্থিক অবস্থা ও জেলা |
বিয়ের পর স্ত্রীর ভরনপোষন চালাতে পারবেন? | হ্যা |
আপনাার স্ত্রীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? | স্বামী হিসেবে স্ত্রীর প্রতি অনেকগুলো দায়িত্ব রয়েছে আমার। যেমন: ১. একজন মেয়ে তার এতদিনের চিরচেনা পরিবেশ এবং পরিবার ছেড়ে আমার সংসারে আসবে। তাই প্রথমত তাকে মানসিক সাপোর্ট দেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ২. সাধ্যমতো স্ত্রী’র বৈধ চাহিদাগুলো পূরণ করার চেষ্টা করা। সামর্থনুযায়ী তাঁর ভরনপোষণ দেওয়া। ৩. স্ত্রী’র হক্বসমূহ আদায়ের ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা। ৪. তাঁকে দ্বীন এবং দুনিয়ার কাজে সহযোগিতা করা। ৫. সে অসুস্থ হলে কিংবা কোনো বিপদে পড়লে সার্বক্ষণিক তাঁকে সাপোর্ট করা। ৬. স্ত্রীকে খাস পর্দায় রাখা, দ্বীন শিখানো, দ্বীন বুঝানো এবং আমল করার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা। ৭. স্ত্রীকে সময় দেওয়া এবং তাঁর মন বুঝতে চেষ্টা করা। ৮. একজন স্বামী হওয়ার পাশাপাশি স্ত্রী’র নিকট নিজেকে সবচেয়ে কাছের পরম বন্ধু হিসেবে উপস্থাপন করা। ৯. সুখে-দুঃখে স্ত্রী’র পাশে থাকা। তাঁকে অনুপ্রাণিত করা। ১০. স্ত্রীকে ভালোবাসা। তাকে সম্মান করা। তাঁর চাওয়া, পাওয়া, শখ, আহ্লাদ, রুচি, অভিরুচি, রাগ, অভিমানের মূল্য দেওয়া। ১১. স্ত্রী’র বাবা-মাকে শ্রদ্ধা করা। নিয়মিত তাদের সাথে যোগাযোগ করা। ১২. স্ত্রী’র প্রশংসা করা, তাঁকে কষ্ট না দেওয়া এবং কখনো অবহেলা না করা। ১৩. স্ত্রী’র কোনো ভুল হলে সংশোধন করে দেওয়া। তাঁকে দরদের সাথে বুঝানো। ১৪. স্ত্রী’র সাথে উত্তম আচরণ করা, স্ত্রীকে গুরুত্ব দেওয়া এবং স্ত্রী’র মতামতকে মুল্যায়ন করা। ১৫. স্ত্রী’র সাথে হাসি-মজা করা, খুনসুটি করা, গল্প করা। তাঁর পছন্দের জিনিস কিনে দেওয়া। মাঝেমধ্যে হাদিয়া দেওয়া। সময় পেলে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া। ১৬. স্ত্রীকে সবসময় ভালোবেসে আগলে রাখা। স্ত্রী’র ভরসা এবং বিশ্বস্ততার জায়গা হওয়া। ১৭. সর্বোপরি, স্ত্রীকে এতটা স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা, প্রয়োজনে শাসন আর যত্নে রাখা যেন সে মনে করে সে-ই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী নারী। |
আপনার আহলিয়ার পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? | হ্যা |
আপনি বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় থাকবেন? | স্ত্রীর সাথে আলাদা |
বয়স (Required) | ১৭-২২ বছরের মধ্যে হলে মুনাসিব হয় ইন শা আল্লাহ। |
---|---|
গাত্রবর্ণ | ফর্সা / উজ্জ্বল শ্যামলা / মায়াবীনী / চক্ষুশীতলকারীনী ইন শা আল্লাহ। |
নূন্যতম উচ্চতা | কমপক্ষে ৫ ফুট বা ৫ ফুটের উপরে হলে মুনাসিব হয় ইন শা আল্লাহ। |
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা | জেনারেল ব্যাকগ্রাউন্ড হলে নূন্যতম এসএসসি, মাদ্রাসা হলে নূন্যতম নাহবেমীর বা হাফেজা। তবে আমার কাছে একাডেমিক পড়াশোনাটা মুখ্য বিষয় নয়। বরং ফরজ পরিমাণ দ্বীনি ইলম থাকা, আমল করার প্রচন্ড আগ্রহ এবং স্বামীকে মান্য করার মানসিকতা থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমি আমার আহলিয়াকে দ্বীনি ইলম শিখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহযোগিতা করবো ইন শা আল্লাহ। তাই পড়াশোনা একটু কমবেশি হলে সমস্যা নেই ইন শা আল্লাহ। আইওএমের ত্বলিবাহ হলে অগ্রাধিকার পাবে ইন শা আল্লাহ। তবে খুব বেশি উচ্চশিক্ষিতা (অনার্স-মাস্টার্স কমপ্লিট) কেউ যোগাযোগ না করলে ভালো হয়। কারণ স্ত্রী’র দুনিয়াবী যোগ্যতা স্বামীর চেয়ে কম হলে মুনাসিব হয়। |
বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিতা (কুমারী) |
জীবনসঙ্গীর পর্দা সম্পর্কে যেমনটা চান- (Required) | নকশা-ডিজাইনবিহীন ঢিলেঢালা কালো বোরকা, হিজাব-নিকাব, কালো হাত মোজা, পা মোজাসহ পরিপূর্ণ খাস পর্দা করেন এমন। গায়রে মাহরাম থেকে কঠোরভাবে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখেন বা রাখার চেষ্টা করেন। অর্থাৎ, মর্ডান বা ফ্যাশন পর্দা নয় বরং শরিয়তের বিধান মোতাবেক আল্লাহ তায়া’লাকে ভয় করে খাস পর্দা করেন এমন ইন শা আল্লাহ। |
পেশা (Required) | ত্বলিবাহ (দ্বীন শিখার ছাত্রী) |
অর্থনৈতিক অবস্থা | নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত ইন শা আল্লাহ। তবে আমার কাছে অর্থনৈতিক অবস্থার বিশেষ কোনো গুরুত্ব নেই। কারণ দ্বীনদারিতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমার দৃষ্টিতে দ্বীনদারিতাই সবচেয়ে বড় কুফু। কিন্তু আমরা কেবল দুনিয়াকেই কুফুর মানদণ্ড বানিয়ে নিয়েছি। অথচ আল্লাহর হাবীব (ﷺ) এবং আম্মাজান খাদিজাতুল কুবরা (রা:) এর মধ্যে দুনিয়াবী বিষয়ে কত পার্থক্য ছিল! মোটকথা, দ্বীনদারিতাই একজন মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। যদি এমন কেউ থাকেন যাকে টাকার জন্য পরিবার বিয়ে দিতে পারছেনা, তাহলে এই বায়োর জন্য নিজেকে উপযুক্ত মনে করলে যোগাযোগ করবেন ইন শা আল্লাহ। বাস্তবে আমরা সবাই-ই ফকীর, ধনী হলেন একমাত্র আল্লাহ ﷻ। আল্লাহ তায়া’লা বলেন, ❝এবং আল্লাহই ধনী, তোমরা সবাই ফকির।❞ - (সূরা মুহাম্মাদ: ৩৮)। |
পারিবারিক অবস্থা (Required) | কিছুটা দ্বীনি সমজ (বুঝ) আছে এমন হলে মুনাসিব হয়। তবে সর্বক্ষেত্রে পাত্রীর দ্বীনদারিতার দিকটাই বেশি বিবেচনা করা হবে ইন শা আল্লাহ। পাত্রী যদি দ্বীনদার হয় তাহলে পরিবার বেদ্বীন হলেও তেমন সমস্যা নেই। কিন্তু দ্বীনদার পরিবারের দ্বীনহীন পাত্রী দিয়ে কি হবে? তবে পরিবার স্যাকুলার বা ইসলাম বিদ্বেষী না হওয়াটা জরুরী। |
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন | ১. যে কিনা যাহিদা। অর্থাৎ দুনিয়ার আভিজাত্য বা চাকচিক্যের প্রতি যার কোনো মোহ বা চাহিদা থাকবেনা। তাঁর সবকিছু আবর্তিত হবে আখিরাতকে কেন্দ্র করে। যে হবে গুরাবা। দ্বীন মানার জন্য পরিবার ও সমাজের কাছে অবহেলিত এবং অপরিচিত। ২. যে নিজেকে পরিপূর্ণ দ্বীনদার মু’মীনা নারী হিসেবে তৈরি করার সবটুকু চেষ্টা করছে। নিজেকে রবের একনিষ্ঠ বান্দী হিসেবে তৈরি করেছে বা তৈরি করার চেষ্টা করছে এবং রবের হুকুমগুলো মেনে চলার আপ্রাণ চেষ্টা করে। ৩. যে স্বামীর সকল বৈধ হুকুম বিনা তর্কে মানার মানসিকতা লালন করে। স্বামীকে সর্বোচ্চ ইজ্জত-সম্মান, শ্রদ্ধা-ভালোবাসা এবং খেদমত করার ইচ্ছে পোষণ করে। যে স্বামীকে কখনো খাটো করে, অপমান-অপদস্ত করে, কটুক্তি করে কথা বলবেনা। যে স্বামীকে কখনো মানসিক কষ্ট, পেরেশানি, যন্ত্রণা দেওয়ার কথা চিন্তাও করবেনা। ৪. যে অলস নয়, হিংসুটে নয়, মুখে মুখে তর্ক করার বদঅভ্যেস যার নেই। যে গিবত করেনা, পরনিন্দা করেনা, হিংসা করেনা, চোগলখুরী করেনা। যে মিথ্যা কথা বলেনা এবং সত্যকে গোপন করেনা। যে বেহায়া, নির্লজ্জ, বেপর্দা এবং ফাসেক নারীদের সংস্পর্শ থেকেও নিজেকে দূরে রাখে। ৫. যে শরীয়তের বিধান মেনে পরিপূর্ণ পর্দা করে। স্বামীর জন্য নিজের সকল সৌন্দর্য এবং ইজ্জত-আব্রুর হেফাজত করে। যে স্বামীর আমানতের যথাযথ হেফাজত করবে এবং স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে। যে সংসারী এবং শান্তশিষ্ট রমণী হবে। ৬. যে কিনা কেবল একজন স্বামী নয় বরং জান্নাতের একজন সাথীর অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে। যে হবে স্বামীর সুখ-দুঃখের সঙ্গী। সবচেয়ে কাছের পরম এবং বিশ্বস্ত বন্ধু। যে হবে স্বামীর অনুগত স্ত্রী এবং স্বামীর দ্বীন পালনে সহযোগী। ৭. যে গায়রে মাহরাম থেকে কঠোরভাবে নিজেকে হেফাজত করে কিংবা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। পরপুরুষ থেকে নিজের সৌন্দর্যের পাশাপাশি কন্ঠেরও হেফাজত করে। কারণ আমি চাইনা আমার স্ত্রী’র কন্ঠও কোনো পরপুরুষ শুনুক। ৮. আমি চাই আমার আহলিয়ার কোনো তিক্ত অতীত না থাকুক। যেহেতু আমার কোনো অতীত নেই, তাই সে-ও পবিত্র হোক এটাই প্রত্যাশা করি। হারাম রিলেশনশীপে থেকে নিজের গায়রত এবং হায়া-লজ্জা হারিয়ে ফেলা কেউ না আসুক। ৯. যে তাঁর শ্বশুর শ্বাশুড়ির খেদমতের বিষয়ে নিজের উপর আবশ্যক কি আবশ্যক না সেই যুক্তিতে না গিয়ে তাদের উপর এহসান করবে। তাদের সাথে উত্তম আচরণ করবে। নিজের বাবা-মা মনে করে মন থেকে সাধ্যনুযায়ী তাদের খেদমত করবে। কারণ তাঁকে স্মরণ রাখতে হবে আল্লাহ্ তায়া’লা চাইলে সে-ও একদিন শ্বাশুড়ি হবে। ১০. যে তাঁর স্বামীর জন্য চক্ষুশীতলকারী এবং অন্তর প্রশান্তকারী নারী হবে। যাকে দেখলে স্বামীর চক্ষুশীতল হবে এবং যার চারিত্রিক মুগ্ধতায় স্বামীর অন্তর প্রশান্ত হবে। অর্থাৎ, যার সাহচর্যে স্বামী সুকুন (মানসিক প্রশান্তি) অনুভব করবে। যার চারিত্রিক মুগ্ধতায় স্বামী বাহিরে গেলে স্ত্রী’র নিকট ফিরার জন্য ব্যাকুল থাকবে। ১১. যে স্বামীর বিপদে, মসিবতে, অসুস্থতায় অস্থির পেরেশান হয়ে যাবে। জায়নামাজে বসে রবের কাছে দু-চোখের অশ্রু ঝড়াবে। স্বামীকে নিজের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মনে করবে। স্বামীর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সদা প্রস্তুত থাকবে। স্বামীর মতকে নিজের মতের উপর প্রাধান্য দিবে। ১২. যাকে কোনো ভুল ধরিয়ে দিলে সাথে সাথে নিজেকে সংশোধন করে নিবে। একগুঁয়েমি করবেনা। যুক্তি প্রদর্শন করে নিজের ভুলের উপর স্থির থাকবেনা। যে নিজের কোনো ভুল হয়ে গেলে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাইবে। ১৩. যার মধ্যে জীবন চলার পথে সকল সিদ্ধান্তে স্বামীকে মানার যোগ্যতা থাকবে। যে নম্র-ভদ্র, বিনয়ী, সুমিষ্টভাষী, সহজ-সরল, লজ্জাশীলা এবং জান্নাতী রমণী হবে। যাকে পেয়ে স্বামী এতোটাই সন্তুষ্ট হবে যে, স্বামীর প্রতিটি মোনাজাতে স্ত্রী’র জন্য আল্লাহ তায়া’লার নিকট দু’আ করবে। ১৪. সর্বোপরি, আমি চাই আমার স্ত্রী নারীবাদী তথা হিজাবী ফেমিনিষ্টদের বিষাক্ত চিন্তা ভাবনার প্রভাব থেকে মুক্ত থাকুক। সোশাল মিডিয়া তথা ইন্টারনেটের নেশা থেকে দূরে থাকুক। সমান অধিকারের নামে নিজেকে ঘরের বাহিরে বের হওয়ার যুক্তি প্রদর্শন না করুক। আমি চাই আমার আহলিয়া পরিপূর্ণ পর্দার মধ্যে ঘরের আড়ালে স্বামীর আদরের রাজরাণী হয়ে থাকুক। নোট: ফিতনা দ্বারা পরিবেষ্টিত এই জাহেলী সমাজের একজন নারীর মধ্যে উপরের সবগুলো গুণাবলী পরিপূর্ণভাবে না-ও থাকতে পারে। তবে উপরোল্লিখিত বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলি ধারণকারী নারী হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা, ইচ্ছে, তামান্না নিজের মধ্যে থাকা জরুরী। কারণ এইগুলো একজন জান্নাতী নারীর বৈশিষ্ট্য। আর জান্নাতে যাওয়ার ইচ্ছে লালন করলে নিজের মধ্যে জান্নাতী নারীর বৈশিষ্ট্য ধারণ করা অপরিহার্য। 🤲পরিশেষে আমি বিশ্বাস করি, আমি যতই চেষ্টা করি রব্বে কারীমের রহমত আর দয়া ছাড়া নেককার স্ত্রী পাওয়া সম্ভব নয়। তাই তাঁরই দরবারে ফরিয়াদ করছি- رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا ❝হে আমাদের রব! আমাদেরকে চক্ষু শীতলকারী স্ত্রী-সন্তান দান করুন এবং আমাদেরকে বানান মুত্তাকীদের ইমাম-মুত্তাকীদের জন্য অনুসরণযোগ্য।❞ (সূরা ফুরক্বন: ৭৪) [আল্লাহ তায়া’লার শিখানো দু’আ]। اللهمَّ إنِّي أَعُوْذُ بِكََ مِنْ زَوْجٍ تَشَيِّبَنِي قَبْلَ الْمَشِيْبِ ❝হে আল্লাহ্! নিশ্চয়ই আমি আশ্রয় চাই এমন স্ত্রী থেকে যে আমাকে বার্ধক্য আসার পূর্বেই বার্ধক্যে উপনীত করবে।❞ (তাবারনী ফিদ দু’আ নং- ১৩৩৯) [নবীজি (ﷺ)- এর শিখানো দু’আ]। اللَّهُمَّ ارْزُقْنِی زَوْجَةً وَدُوداً وَلُوداً شَکُوراً غَیُوراً إِنْ أَحْسَنْتُ شَکَرَتْ وَ إِنْ أَسَأْتُ غَفَرَتْ وَ إِنْ ذَکَرْتُ اللَّهَ تَعَالَى أَعَانَتْ وَ إِنْ نَسِیتُ ذَکَّرَتْ وَ إِنْ خَرَجْتُ مِنْ عِنْدِهَا حَفِظَتْ وَ إِنْ دَخَلْتُ عَلَیْهَا سُرَّتْ وَ إِنْ أَمَرْتُهَا أَطَاعَتْنِی وَ إِنْ أَقْسَمْتُ عَلَیْهَا أَبَرَّتْ قَسَمِی وَ إِنْ غَضِبْتُ عَلَیْهَا أَرْضَتْنِی یَا ذَا الْجَلَالِ وَ الْإِکْرَامِ هَبْ لِی ذَلِکَ فَإِنَّمَا أَسْأَلُکَه و لا آخِذ اِلاّ ما مَنَنْتَ و اَعْطَیْتَ ❝হে আল্লাহ! আমাকে এমন একজন সুন্দর, সন্তান-বৎসল, শোকরগুজার জীবনসঙ্গী দান করুন, যে আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হবে যদি আমি তার সাথে ভালো ব্যবহার করি এবং আমাকে ক্ষমা করবে যদি আমি তার সাথে মন্দ ব্যবহার করি। এমন একজন সঙ্গী দান করুন যে আমাকে আল্লাহর স্মরণে সাহায্য করবে এবং আমি স্মরণ করতে ভুলে গেলে আমাকে স্মরণ করিয়ে দেবে।এমন একজন সঙ্গী দান করুন যে আমার অনুপস্থিতিতে আমার প্রতিরক্ষা করবে এবং আমার উপস্থিতিতে আমাকে আনন্দিত করবে। এমন একজন সঙ্গী দান করুন যে আমার কথায় গুরুত্ব প্রদান করবে এবং তার বিরদ্ধে হলেও আমার মতামতকে বিবেচনা করবে। এমন একজন সঙ্গী দান করুন যে আমি রেগে গেলে আমাকে শান্ত করবে। হে সম্মান ও মর্যাদার মালিক! আমাকে এমন সঙ্গী প্রদান করুন, তার জন্য আমি তোমার কাছেই প্রার্থনা করি এবং তুমি প্রদান না করলে আমার জন্য কোনো সিদ্ধান্তই হতে পারেনা।❞ (হযরত আলী (রাযি.)- এর দু’আ)। اللَّهُمَّ أَتِنِي زَوْجَةً صَالِحَةً حَسَنَةً جَمِيْلَةً مُطِيْعَةً ❝হে আল্লাহ! আমাকে একজন নেককার, উত্তম, লাবণ্যময়ী এবং আনুগত্যশীলা স্ত্রী দান করুন।❞ (উস্তায নোমান হাফি. এর শিখানো দু’আ)। اللَّهُمَّ ارْزُقْنِي امْرَأَةً تَسُرُّنِي إِذَا نَظَرْتُ، وَتُطِيعُنِي إِذَا أَمَرْتُ، وَتَحْفَظُنِي إِذَا غِبْتُ. ❝হে আল্লাহ! আমাকে এমন একজন স্ত্রী নসীব করুন যার দিকে তাকালে আমার খুশি লাগে। যাকে আদেশ করলে আনুগত্য স্বীকার করে। যে আমার অবর্তমানে আমাকে সুরক্ষা দেয়।❞ [বিশিষ্ট তাবেঈ মুহাম্মাদ বিন হুসেইন (রহ.) এর দু’আ]। ﺭَﺏِّ ﺇِﻧِّﻲ ﻟِﻤَﺎ ﺃَﻧْﺰَﻟْﺖَ ﺇِﻟَﻲَّ ﻣِﻦْ ﺧَﻴْﺮٍ ﻓَﻘِﻴﺮٌ ❝হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ পাঠাবেন, আমি তার মুখাপেক্ষী।❞ (সূরা কাসাস : ২৪) [হযরত মুসা (আ.)- এর দু’আ]। |
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? (Required) | কুমিল্লা এবং এর পাশ্ববর্তী আশেপাশের কাছাকাছি এলাকার মধ্যে হলে ভালো হয়। তবে খুব বেশি দূরের কেউ যোগাযোগ না করার অনুরোধ। |
পেশা সম্পর্কিত তথ্য (Required) | বর্তমানে আমি মাদরাসাতুস সুন্নাহ কুমিল্লা শাখায় ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে জয়েন করেছি। আমি আমার জব ক্যারিয়ার নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। পড়াশোনা শেষ করে আমি নারায়ণগঞ্জে একটি এক্সপোর্ট কোম্পানিতে একাউন্টেড হিসেবে জবে ঢুকেছিলাম। সেই জবটা ছাড়তে বাধ্য হয়েছি জামাতে নামায আদায়ে সমস্যা এবং আরো বেশ কিছু সমস্যার কারণে। এরপর আমি বনানীতে একটি গ্রুপ অব কোম্পানিতে একাউন্টেড হিসেবে কর্পোরেট জব পেয়েছিলাম ২৫ হাজার টাকা মাসিক বেতনে। কিন্তু সেখানে জয়েন করার আগেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। কারণ সেখানে বেপর্দা নারী আছে যার সাথে আমাকে কাজ করতে হবে এবং নামাজের কোনো ব্যবস্থা নাই। সবার আগে তো আমার দ্বীন। তাই দ্বীন বাঁচাতে আমি দুনিয়ার কর্পোরেট ক্যারিয়ার ত্যাগ করেছি। আর যে আল্লাহর জন্য কোনো কিছু ত্যাগ করে, আল্লাহ তাআলা এর বিনিময়ে এরচেয়ে ভালো কিছু দিবেন ইন শা আল্লাহ। তাছাড়া হারাম মিশ্রিত উপার্জনে কখনোই বারাকাহ্ পাওয়া যাবেনা। আলহামদুলিল্লাহ্, আমি সেটা পেরেছি। কারণ যে দুনিয়া হারিয়ে আল্লাহকে পেয়ে গেল সে কি হারালো? আর যে আল্লাহকে হারিয়ে পুরো দুনিয়া পেল সে কি ই বা পেলো? আমার বর্তমান প্রতিষ্ঠানটি শায়েখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ এর আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। এটি সাধারণ কোনো মাদ্রাসা নয়। বরং উম্মাহর একটি মারকাজ। প্রতিটি শিক্ষকের জন্য আলাদা পিসি এবং প্রতিটি ক্লাসে প্রজেক্টর রয়েছে। আসন সংখ্যা সীমিত এবং এমন প্রতিষ্ঠান খুবই নগন্য। ঢাকাতে লিখিত এবং ভাইবা দিয়ে প্রতিযোগিতা করে এখানে শিক্ষক হতে হয়। এখানে খুব চমৎকার দ্বীনি পরিবেশ রয়েছে। ডিউটি সময় সকাল ৭.৩০টা টু ৩.৩০টা। এরপর আমি বাসায় চলে আসতে পারব। অর্থাৎ অনাবাসিক শিক্ষক। তখন আমি ইবাদত বন্দেগী করা/ ছোটখাটো ব্যবসা করা/ পরিবারকে সময় দেওয়া /কোথাও বেড়াতে যাওয়া/ সরকারি জবের প্রস্তুতি নেওয়া ইত্যাদি সহজেই করতে পারব। পাশাপাশি কোচিং বা টিউশনি/ পার্ট টাইম জব ইত্যাদি করে আরো ইনকাম করতে পারব ইন শা আল্লাহ। তাছাড়া বেতন, ছুটিছাটা এবং সুযোগ সুবিধাও আলহামদুলিল্লাহ যথেষ্ট ভালো। এছাড়া, আমি জবের পাশাপাশি দ্বীনি ভাইদের সাথে একাধিক ছোটখাটো ব্যবসায়ে শেয়ার হোল্ডার হিসেবে আছি। ভবিষ্যতে বড় পরিসরে ব্যবসা করার ইচ্ছে আছে, ইন শা আল্লাহ, বি ইযনিল্লাহ্। আর আমি রিযিক নিয়ে মোটেই চিন্তিত নই। কারণ ভূপৃষ্ঠের প্রতিটি প্রাণীর রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহ তায়া’লার জিম্মায়। রব্বে কারীম যখন যতটুকু রিযিক প্রয়োজন তখন ততটুকুর উত্তম ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন, আলহামদুলিল্লাহ্। যদিও তা পরিমাণে স্বল্প কিন্তু আল্লাহ তায়া’লা তাতে বারাকাহ্ দিচ্ছেন, ফালিল্লাহিল হামদ্। কারণ আয় হালাল হলে এবং অল্পেতুষ্টি অর্জন করলে, স্বল্প আয়েও বারাকাহ পাওয়া যায়। তাছাড়া বিয়ের পর রিযিকে বারাকাহ আসে। আল্লাহ তাআলা আমার জন্য বরকতময় উত্তম হালাল রিযিকের ফায়সালা করে দিন, আমীন। |
---|---|
বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান | 📌নিচের তথ্যগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অনুরোধ করছি: ১. গ্রামে আমাদের ঘরবাড়ির অবস্থা বেশি ভালো না। বলতে পারেন ভাঙাচোরা। বর্তমানে উত্তর এবং দক্ষিণমুখী দুটি ঘর আছে ঠিকই তবে ঘরগুলো সংস্কার করতে হবে। আমি নতুন ঘর উঠানোর ফিকির করছি। ইট দিয়ে ভিটি করা আছে অবশ্য কিন্তু নতুন ঘর তুলে পরিবেশ গোছাতে বছরখানেক সময় লাগবে। এজন্য আপাতত বিয়ের পর আমার আহলিয়াকে এখনি আমার গ্রামের বাড়িতে আনবোনা, যেহেতু এখানে পর্দার পরিবেশ নেই। আকদের পর, আমি আমার আহলিয়াকে কোম্পানিগন্জে (মুরাদনগর থানার একটি ছোটখাটো শহর) ফ্ল্যাট বাসায় রাখব ইন শা আল্লাহ। কারণ সেখান থেকে আমার কর্মস্থল খুবই কাছে এবং কোচিং টিউশনি করানোও সহজ হবে। এ বিষয়ে পরিবার থেকে অনুমতি আছে। কখনো গ্রামে বসবাসের প্রয়োজন হলে ঘরবাড়ি ঠিক করে পর্দার পরিবেশ করে তবেই নেওয়া হবে ইন শা আল্লাহ। মোটকথা, সর্বক্ষেত্রে আমার আহলিয়ার পর্দা এবং নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে ইন শা আল্লাহ। এই বিষয়টি যেন মেয়েপক্ষ মাথায় রেখে সামনে আগায় সেজন্য আগাম জানিয়ে রাখলাম। ২. আমার বাবা পরিপূর্ণ দ্বীনদার না। উনি প্রচলিত মুসলিম। ইসলামের অনেক বিষয়ে উনার জানার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তা-ই বিয়ের বিষয়ে বাবা যদি সুন্নাহের বাহিরে গিয়ে কোনো কথা বলে ফেলেন, তাহলে উনার সে-ই কথা গ্রহণযোগ্য হবেনা। যেহেতু আমি সুন্নাহ্সম্মতভাবে বিয়ে করবো ইন শা আল্লাহ, তাই আমার কথাই ধর্তব্য হবে। এজন্য বিয়ের বিষয়ের চূড়ান্ত কথাগুলো আমার সাথে আলাপ করলেই সবচেয়ে মুনাসিব হবে ইন শা আল্লাহ। তাছাড়া এবিষয়ে পরিবার থেকে আমার অনুমতি রয়েছে। আর আমার মতামতের উপর আমার পরিবারের সবার সমর্থন থাকবে ইন শা আল্লাহ। এই বিষয়টিও মাথায় রাখার অনুরোধ। আসলে বাস্তবতা হলো, জাহেলী সমাজে জেনারেল থেকে দ্বীন মানলে জীবনের প্রতিটি ধাপে অনেক সংগ্রাম-সাধনা, ত্যাগ-তিতিক্ষা, কষ্ট-মুজাহাদা করে চলতে হয়। ৩. আমি মেয়েপক্ষের নিকট একটি সুই-ও প্রত্যাশা করিনা। তদ্রুপ, আমি আশা করি মোহরানার বিষয়েও তাঁরা (মেয়েপক্ষ) আমার সাধ্যের বাহিরে চাপিয়ে দিবেনা যা পরিশোধ করার সক্ষমতা আমার নেই। আমি আমার সাধ্যনুযায়ী মোহরানা নগদ পরিশোধ করে দিবো ইন শা আল্লাহ। ৪. বিয়ে মাসজিদে জুমার দিন অনাড়ম্বরভাবে সুন্নাহ্সম্মত পদ্ধতিতে হবে ইন শা আল্লাহ। অতিরিক্ত কোনো খরচ কিংবা জৌলুশ কিছুই হবেনা। সমাজের মানুষকে খুশি করতে গিয়ে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (ﷺ) - কে কষ্ট দেওয়ার পক্ষে আমি নই। সুতরাং সমাজ কি বলে সেটা না দেখে বরং আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (ﷺ) - কি বলেছেন সেটা দেখতে হবে। বিয়েতে অহেতুক খরচ করা সুন্নাহ্ পরিপন্থী। বরং ইসলামের দৃষ্টিতে যে বিয়ে যত অনাড়ম্বর হবে, খরচ যত কম হবে, সে বিয়ে তত বরকতপূর্ণ হবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘সর্বাধিক বরকতপূর্ণ বিয়ে হচ্ছে, যার খরচ যত সহজ ও স্বাভাবিক হয়।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২৪৫২৯)। ৫. বিয়েতে বরযাত্রীর নামে কোনো জুলম মেয়েপক্ষের উপর করা হবেনা ইন শা আল্লাহ। কারণ শরীয়ত বিয়েতে মেয়েপক্ষের জন্য কোনো খরচের নির্দেশ দেয়নি। সুতরাং ইসলামকে সহজভাবে গ্রহণ করলে সত্যিই সবকিছু অনেক সুন্দর। আর ইসলাম বিয়েকে করেছে সহজ। প্রকৃতপক্ষে, আল্লাহ তায়া’লা এবং তাঁর রাসূল (ﷺ) - এর বিধানের মধ্যেই রয়েছে পরিপূর্ণ রহমত, বরকত এবং প্রশান্তি। ৬. আভিজাত্য আর চাকচিক্য আমি পছন্দ করিনা। সাধারণভাবে জীবন যাপন করতেই পছন্দ করি। নবীজি (ﷺ)-ও সাধাসিধা জীবন যাপন করতেন। তাই যিনি আভিজাত্যে অভ্যস্ত, অনুগ্রহ করে এই বায়ো আপনার জন্য না। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা বলেন- ❝হে নবী! আপনি পার্থিব জীবনের ওই চাকচিক্যের দিকে তাকাবেন না, যা আমি তাদের বিভিন্ন শ্রেণীকে সাময়িক উপভোগের জন্য দিয়ে রেখেছি, তা দ্বারা তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য। বস্তুত আপনার রবের রিযিক সর্বাপেক্ষা উত্তম ও সর্বাধিক স্থায়ী।❞ (সুরা ত্ব-হা: ১৩১)। দেখুন প্রিয়নবী (ﷺ) - এর দু’আ কেমন ছিল- اللَّهُمَّ أَحْيِنِىْ مِسْكِيْنًا وَأَمِتْنِىْ مِسْكِيْنًا وَاحْشُرْنِىْ فِي زُمْرَةِ الْمَسَاكِينِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ❝হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মিসকীন অবস্থায় বাঁচিয়ে রাখো, মিসকীন থাকা অবস্থায় মৃত্যু দিও এবং কিয়ামত দিবসে মিসকীনদের দলভুক্ত করে হাশর করো।❞ (তিরমিযী: ২৩৫২)। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “ইহলোক পরিত্যাগ করা পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর পরিবারের সদস্যগণ এক নাগাড়ে তিন দিন পেট পুরে আটার রুটি খেতে পান নি।” (ইবনে মাজাহ্: ৩৩৪৩, তিরমিযী: ২৩৫৮)। হযরত আবু জুহাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘একদা আমি মাংস মিশ্রিত সারীদ খেয়ে মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে ঢেকুর তুললে তিনি তাঁকে বললেন, “আমাদের সামনে তোমার ঢেকুর তোলা বন্ধ কর। পার্থিব জীবনে যে বেশী পরিতৃপ্ত হয়, কিয়ামতের দিনে সে বেশী ক্ষুধার্ত হবে।” এ হাদীস শোনার পর তিনি মরণকাল পর্যন্ত কোনদিন পেট পুরে খানা খাননি। তিনি রাতের খাবার খেলে, দুপুরের খাবার খেতেন না এবং দুপুরের খাবার খেলে আর রাতের খাবার খেতেন না।’ (আল-ইস্তিআব: ৪/১৬২০)। ৭. সহ-শিক্ষার বিষয়ে আমি জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল থাকবো ইন শা আল্লাহ। সুতরাং বিয়ের পর দুনিয়াবী সহ-শিক্ষা কোনোভাবেই কন্টিনিউ করতে দেওয়া হবেনা। অবশ্যই এই বিষয়টি মাথায় রেখেই আগাবেন। কারণ আমার কাছে একজন দ্বীনদার নারীর জন্য প্রচলিত বস্তুবাদী উচ্চশিক্ষা অহেতুক এবং অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। এটি একজন নারীর নারীসুলভ আচরণ, লজ্জা-সংকোচ, হায়া, গায়রত সবকিছু কেড়ে নেয়। তাছাড়া ওলামায়ে কেরামের ফতোয়া মতে, বর্তমান প্রচলিত সহ-শিক্ষা হারাম। ফ্রি-মিক্সিং পরিবেশ একজন নারীর জন্য ততটাই বিপদজনক যতটা মাছের জন্য ডাঙা বিপদজনক। ৮. ‘পর্দা করে সব করা যায়, নারী-পুরুষের সমান অধিকার, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রাইভেসী থাকা দরকার’ টাইপের ধ্যানধারণা মুক্ত হতে হবে। নারীবাদী, হিজাবী ফেমিনিস্ট বা ট্রেডিশনাল মুসলিমাহ না হয়ে বরং প্রকৃত মুত্তাকী মু’মীনা নারী হতে হবে কিংবা হওয়ার চেষ্টা থাকতে হবে। যে নারী টিকটক, লাইকি ব্যবহার করেন, গায়রে মাহরামের সাথে গ্রুপ চ্যাট, গায়রে মাহরামের সাথে অপ্রয়োজনীয় চ্যাটিং, ফেসবুকে নিজের ছবি আপলোড করেন, নিকাব ব্যবহার না করে মাস্ক দিয়ে মুখ ঢাকেন, ফ্যাশনেবল বোরকা ব্যবহার করেন, পরিপূর্ণ পর্দা করেন না, নিয়মিত নামায পড়েন না, মোটকথা দ্বীনদারিতার আড়ালে একজন লেবাসধারী এমন কেউ যোগাযোগ করবেন না। ৯. জীবন চলার পথে বিভিন্ন সময় বিপদ-আপদ, মসিবত, পরীক্ষা আসবে। যেমন- হঠাৎ করে আমার চাকরী চলে যেতে পারে, কোনো অসুস্থতা আসতে পারে, অভাব-অনটন আসতে পারে। সকল মসিবতে ভেঙে না পড়ে বরং ছবর (ধৈর্য্য ধারণ) করে রবের উপর তাওয়াক্কুল (ভরসা) করার মতো হিম্মত থাকতে হবে। দেখুন আল্লাহ তায়া’লা কি বলেন- ❝আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।❞ (সূরা বাকারা: ১৫৫)। ❝মানুষ কি মনে করে যে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’ বললেই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে, আর তাদের পরীক্ষা করা হবে না? আর আমি তো তাদের পূর্ববর্তীদের পরীক্ষা করেছি। ফলে আল্লাহ অবশ্যই জেনে নেবেন, কারা সত্য বলে এবং অবশ্যই তিনি জেনে নেবেন, কারা মিথ্যাবাদী। ❞ (সূরা আল আনকাবুত: ২,৩)। ১০. ঘরের বাহিরে গিয়ে চাকরী করতে আমি কিছুতেই দিবোনা। এমনকি অনলাইনেও চরম ফিতনার সময়ে কোনো কিছু করা আমার অপছন্দ। তাই যারা বিয়ের পর চাকরী করতে চান, যারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান, যারা ক্যারিয়ার ওরিয়েন্টেড তারা এই বায়ো মেহেরবানী করে স্কিপ করুন। দেখুন আপনার আদর্শ হবেন উম্মাহাতুল মু’মিনীনগণ। আল্লাহর রাসূল (ﷺ) - এর ঘরে কেমন অভাব ছিল জানেন তো? আম্মাজান আয়েশা (রা:) নিজেই বর্ণনা করেন: ❝আমরা নতুন চাঁদ দেখতাম, আবার নতুন চাঁদ দেখতাম। এভাবে দু’মাসে তিনটি নতুন চাঁদ দেখতাম। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) - এর কোন ঘরেই আগুন জ্বালানো হত না। [‘উরওয়াহ (রহ.) বলেন] আমি জিজ্ঞেস করলাম, খালা! আপনারা তাহলে বেঁচে থাকতেন কিভাবে? তিনি বললেন, দু’টি কালো জিনিস অর্থাৎ খেজুর আর পানিই শুধু আমাদের বাঁচিয়ে রাখত। কয়েক ঘর আনসার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) - এর প্রতিবেশী ছিল। তাঁদের কিছু দুগ্ধবতী উটনী ও বকরী ছিল। তাঁরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) - এর জন্য দুধ হাদিয়া পাঠাত। তিনি আমাদের তা পান করতে দিতেন।❞ (সহীহ বুখারী: ২৫৬৭)। নবীজি (ﷺ) - এর এত কষ্টের সংসার হওয়া স্বত্বেও নবীজি (ﷺ) - এর ১১ জন স্ত্রীর কেউ কি কখনো চাকরী করতে চেয়েছে? উপার্জন করতে ঘরের বাহিরে গিয়েছে? তাহলে আপনার সংসারে কি এমন অভাব আসবে যে আপনি চাকরী করতে চাইবেন? আপনার আদর্শ তো হবে উম্মতের শ্রেষ্ঠ এই নারীরা। প্রিয়! জান্নাতে যেতে চাইলে দুনিয়ার মুহাব্বত ছাড়তে হবে। দুনিয়ার লোভ দ্বীল থেকে সড়াতে না পারলে জান্নাতে যাওয়া কঠিন হবে। আর দুনিয়ার সুখ তো ক্ষণস্থায়ী। দেখতে দেখতেই শেষ হয়ে যাবে। আল্লাহ তায়া’লা বলেন- ❝তুমি বল, দুনিয়ার সুখ সামান্য। আর যে তাকওয়া অবলম্বন করে, তার জন্য আখিরাত উত্তম এবং তোমাদের প্রতি সূতা পরিমাণ জুলুমও করা হবে না।❞ (সূরা আন-নিসা: ৭৭)। ❝হে মানুষ! তোমাকে তোমার রব পর্যন্ত পৌঁছতে বহু কষ্ট স্বীকার করতে হবে, অতঃপর তুমি তাঁর সাক্ষাৎ লাভ করবে।❞ (সূরা ইনশিকাক: ৬)। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ❝আল্লাহর শপথ! ইহকাল-পরকালের তুলনা অতটুকুই, যেমন তোমাদের কেউ তার এ আঙ্গুলটি সমুদ্রে পানিতে ভিজিয়ে দেখল যে, কতটুকু পরিমাণ এতে পানি লেগেছে। বর্ণনাকারী ইয়াহইয়া এ সময় শাহাদাত আঙ্গুলের দ্বারা ইঙ্গিত করেছেন।❞ (সহীহ মুসলিম: ২৮৫৮)। ১১. যুহুদ অবলম্বনকারী মু’মীনা নারী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। অর্থাৎ দুনিয়ার কোনোকিছু পাওয়া না পাওয়ার আক্ষেপ থাকবেনা। কিন্তু কোনো আমল ছুটে গেলে কিংবা কোনো গোনাহ হয়ে গেলে নিজের মধ্যে অনুশোচনা কাজ করবে। ❝নিশ্চয়ই আল্লাহ মু’মীনদের কাছ থেকে তাদের জান আর মাল কিনে নিয়েছেন কারণ তাদের জন্য (বিনিময়ে) আছে জান্নাত।❞ (সূরা তাওবা: ১১১)। আপনাকে স্মরণ রাখতে হবে দুনিয়ার জীবন হলো একটা নিছক ধোঁকা! আল্লাহ তায়া’লা বলেন- ❝আর দুনিয়ার জীবন শুধু ধোঁকার সামগ্রী।❞ (সূরা আলে ইমরান: ১৮৫)। ❝দুনিয়ার জীবন খেলাধুলা ও তামাশা ছাড়া কিছুই নয়। আর যারা তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের জন্য আখিরাতের আবাস উত্তম। অতএব তোমরা কি বুঝবে না?❞ (সূরা আনআম: ৩২)। দেখুন হাদিসে কি বলা হয়েছে- ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদা) আমার দুই কাঁধ ধরে বললেন, তুমি এ দুনিয়াতে একজন মুসাফির অথবা পথচারীর মত থাক”। আর ইবনে উমার (রাঃ) বলতেন, ‘তুমি সন্ধ্যায় উপনীত হলে আর ভোরের অপেক্ষা করো না এবং ভোরে উপনীত হলে সন্ধ্যার অপেক্ষা করো না। তুমি সুস্থতার অবস্থায় তোমার পীড়িত (অসুস্থ) অবস্থার জন্য কিছু সঞ্চয় কর এবং জীবিত অবস্থায় তোমার মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ কর।’ (সহীহ বুখারী: ৬৪১৬, মিশকাত: ১৬০৪)। বিখ্যাত সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রদ্বিয়াল্লাহু আনহু) যখন মৃত্যুশয্যায় আকুল হয়ে কাঁদতে থাকেন, তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো – “কাঁদছেন কেন?” তিনি বললেন- ❝তোমাদের এ দুনিয়ার জন্য আমি কাঁদছিনা, আমি কাঁদছি দীর্ঘ ভ্রমণ ও স্বল্প পাথেয়’র কথা চিন্তা করে। যে রাস্তাটি জান্নাত কিংবা জাহান্নামে গিয়ে পৌঁছেছে, আমি সে রাস্তার শেষ মাথায় এসে দাঁড়িয়ে! জানিনা, আমি সে দু’টি রাস্তার কোনটিতে যাচ্ছি!❞ অথচ সহীহ বর্ণনায় এসেছে—আবু হুরায়রা (রা:) রাতের এক তৃতীয়াংশ তাহাজ্জুদ আদায় করতেন। এরপর তাঁর স্ত্রী এক তৃতীয়াংশ তাহাজ্জুদ আদায় করতেন। তাঁর ছেলেও এভাবে তাহাজ্জুদ আদায় করতেন। একজন ঘুমাতেন তো আরেকজন রবের দরবারে দাঁড়িয়ে থাকতেন। আরেক বর্ণনায় দেখা যায়—তিনি এবং সঙ্গীরা রোজা রাখার সাহরিতে জেগে ইবাদত করে বলতেন, আমরা আমাদের গুনাহ ক্ষমা করাচ্ছি। এক বর্ণনায় এসেছে—তিনি সারা দিনে বারো হাজার বার তাসবিহ পাঠ করতেন। তিনি বলতেন, ‘আমি আমার গুনাহর পরিমাণ তাসবিহ পাঠ করি।’ এর দ্বারা বোঝা যায়—তাঁর জীবন ছিল তাসবিহ, ইসতিগফার এবং তাহাজ্জুদের আমল দিয়ে ভরপুর। অথচ মৃত্যুর সময় উনার চিন্তা ছিল স্বল্প আমলের! (আল-ইসাবাহ লিবনি হাজার, খণ্ড : ৪, পৃষ্ঠা : ২০৯; কিতাবুয যুহদ লিবনি হাম্বল, পৃষ্ঠা : ১৭৭, ১৭৮)। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, “দুনিয়া সেই ব্যক্তির বাড়ি হতে পারে, যার প্রকৃত কোনো বাড়ি নেই এবং দুনিয়া ওই ব্যক্তির সম্পদ হতে পারে যার (আখেরাতের) কোনো সম্পদ নেই। আর যার কোনো জ্ঞানবুদ্ধি নেই সেই কেবল এই উভয়টি একত্র করতে পারে।” (মাওয়ায়েজে সাহাবা : ২৪৪)। ১২. আপনাকে সংসারটা একদম শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। নিজের মতো করে গড়ে তুলতে হবে। তা-ই শুরুতে অনেক কিছুরই অভাব থাকবে, কিছুটা কষ্টও হবে। সেগুলো মানিয়ে নেওয়ার মতো মানসিকতা থাকতে হবে। যদি-ও এমন কিছু হবেনা বলে আমি আশাবাদী, তবুও জানিয়ে রাখলাম আর কি। তবে ইন শা আল্লাহ সময়ের সাথে সাথে একসময় সবকিছুই হবে। আর জেনে রাখুন- ﺳَﻴَﺠْﻌَﻞُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑَﻌْﺪَ ﻋُﺴْﺮٍ ﻳُﺴْﺮًﺍ ‘আল্লাহ কষ্টের পর সুখ দিবেন।’ (সূরা তালাক: ০৭)। ﺇِﻥَّ ﻣَﻊَ ﺍﻟْﻌُﺴْﺮِ ﻳُﺴْﺮًﺍ ‘নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি।’ (সূরা ইনশিরাহ: ০৬)। ১৩. সংসারের যাবতীয় কাজগুলো আপনাকেই নিজহাতে করতে হবে। যেমন- রান্নাবান্না করা, কাপড়চোপড় ধোয়া, ঘর গুছানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদি। অর্থাৎ ছোট্ট সংসারটাকে নিজের মতো করে পরিপাটি করে রাখতে হবে। তাই সোনার চামচ মুখে নিয়ে বড় হওয়া কেউ যোগাযোগ না করলেই ভালো হয়। ১৪. আপনার পরিবার যদি কবরপূজারী, মাজারপূজারী বা ভন্ড কোনো পীরের মুরিদ হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে যোগাযোগ করবেন না। আপনার পরিবার যদি কবিরাজের কাছে আসা-যাওয়া করে, তাবিজ-কবচে বিশ্বাসী হয়, কুফুরি কালাম বা যাদু করতে অভ্যস্ত হয় তাহলেও এই বায়ো আপনার জন্য না। আপনি যদি জ্বীন আক্রান্ত বা আশেক জ্বীনের রোগী কিংবা কোনো যাদু বা ব্ল্যাক ম্যাজিকের রোগী হোন, তাহলেও মেহেরবানি করে যোগাযোগ করবেন না। কারণ এগুলো ধীরে ধীরে মানুষের জীবনকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। ১৫. আমি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকিদা এবং মানহাজ লালন করি। অর্থাৎ, ওলামায়ে দেওবন্দ তথা কওমি আলেমদের অনুসরণ করি এবং হানাফি মাযহাবের বিধান মেনে চলি। তা-ই আমি আশা করবো আমার আহলিয়াও যেন অনুরূপ মানহাজের হয়। ১৬. আমি যেহেতু হারাম রিলেশনশীপ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছি, তা-ই আমি চাইবো আমার আহলিয়াও এমন কেউ হোক। সুতরাং বিয়ের পূর্বে লম্বা সময় হারাম রিলেশনশীপ কন্টিনিউ করা, সতীত্ব হারিয়ে ফেলা, যিনা-ব্যভিচার করা, হায়া-লজ্জা-গায়রতবোধ হারিয়ে ফেলা, গোপন বিয়ে করে পরে ছাড়াছাড়ি করা কেউ অনুগ্রহ করে যোগাযোগ করবেন না। ১৭. আমি এমন একজনকে চাচ্ছি যার দুনিয়ার চাহিদা কম। যে একজন হালাল জীবনসঙ্গীর জন্য ব্যাকুল হয়ে আছেন। যিনি স্বামীকে প্রচন্ড ভালোবাসবেন, শ্রদ্ধা করবেন, মান্য করবেন, স্বামীর আদেশ নিজের জন্য আবশ্যক মনে করবেন, স্বামীকে কখনো কষ্ট দিবেন না, খারাপ আচরণ করবেন না। যিনি জামাই পাগল বউ হবেন! যিনি স্বামী থেকে ইলমে দ্বীন শিখতে প্রচন্ড আগ্রহী। যিনি স্বামী যেভাবে চান নিজেকে সেভাবে সাজাতে ইচ্ছুক। মোটকথা, যে কিনা কেবল স্বামীর দুনিয়ার সহযাত্রী না হয়ে বরং জান্নাতের সঙ্গী হওয়ার জন্য পথচেয়ে আছেন এমন কেউ। ১৮. সর্বোপরি, আমি চাইবো আমার আহলিয়ার ফরজের পাশাপাশি নফল ইবাদত বন্দেগীর প্রতিও ঝোঁক থাকবে। নামাযে কখনো অলসতা করবেনা। পাক-পবিত্রতার বিষয়ে সতর্ক থাকবে। নিজেকে এবং পরিবারকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচানোর ফিকির করবে। প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত করবে এবং রবের তাসবিহ্, তাহলিল, তাহমিদ আদায় করবে। মাসনূন দু’আ-গুলো গুরুত্বের সাথে আমল করার ব্যপারে সচেষ্ট থাকবে। নিয়মিত জায়নামাজে বসে রব্বে কায়েনাতের কাছে নিজের, স্বামীর এবং পুরো উম্মাহ’র জন্য দু’আ এবং কান্নাকাটি করবে। আল্লাহ তায়া’লা এমন কাউকে আমার জন্য কবুল করুন৷ আমীন। প্রিয়! স্মরণে রাখতে হবে দুনিয়ার ক্ষণিকের এই সফর শেষ করে আমাদেরকে আমাদের প্রতিপালকের অভিমুখে ফিরে যেতে হবে। এটাই আমাদের চূড়ান্ত গন্তব্য। বিয়েটাও আমাদের সেই গন্তব্যেরই একটি অংশ। ❝আর তোমরা সে দিনের ভয় কর, যে দিন তোমাদেরকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে নেয়া হবে। অতঃপর প্রত্যেক ব্যক্তিকে সে যা উপার্জন করেছে, তা পুরোপুরি দেয়া হবে। আর তাদের জুলুম করা হবে না।❞ (সূরা বাকারা: ২৮১)। পরিশেষে, নেককার চক্ষুশীতলকারী জীবনসঙ্গী পেতে হলে চেষ্টা করার পাশাপাশি রব্বে কা’বার নিকট কায়মনোবাক্যে দু’আ করার কোনো বিকল্প নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়া’লা বান্দার ডাকে সাড়া দিবেন। ❝তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব।❞ (সূরা মু’মীন: ৬০)। ❝হে আমার প্রতিপালক! আপনাকে ডেকে আমি কখনো ব্যর্থ হইনি।❞ (সূরা মারইয়াম: ৪)। 🔻বায়োডাটাটি পছন্দ হলে এবং আপনি আগ্রহী হলে প্রথমে পুরো বায়োডাটাটি মনোযোগ দিয়ে একাধিকবার পড়ার অনুরোধ করছি। অতঃপর নিজের জন্য মুনাসিব মনে হলে বায়োডাটার তথ্যগুলো পরিবারের সাথে শেয়ার করবেন। পরিবার থেকে সাপোর্ট পেলে তবেই বায়োডাটাটি ক্রয় করবেন ইন শা আল্লাহ। 🔻নোট: গার্ডিয়ানের সাথে যোগাযোগ করার পূর্বে আমার মেইলে পাত্রীর বায়োডাটা দেওয়ার অনুরোধ রইল। তাহলে সবকিছুতে সহজ হবে ইন শা আল্লাহ। 🔻বর্তমানে আমার বাড়িতে ঘর-দরজার পরিবেশ ভালো নেই। তাই যারা এই বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দিবেন তারা এই বায়োডাটা স্কিপ করবেন মেহেরবানি করে। আমি এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে বলে দিচ্ছি যেন পরবর্তীতে সবকিছু পছন্দ হওয়ার পরও কেবলমাত্র ঘর-বাড়ির জন্য রিজেক্ট না করেন। রাস্তার সাথে ফরোয়ার্ড জায়গায় আমাদের বাড়ি। কেবল নতুন ঘর উঠাতে কিছুটা সময় লাগছে এতটুকুই ছাড় দিতে হবে। কিন্তু আপনাদের মেয়েকে ঠিকই শহরের বাসায় আমি যত্নে রাখব ইন শা আল্লাহ। তাই বলছি- কেবলমাত্র একজন উচ্চশিক্ষিত, বিনয়ী এবং দ্বীনদার পাত্রকে চাইলে এই বায়োতে আগাবেন নতুবা নাহ্। যাদের অনেক বেশি দুনিয়াবী চাহিদা থাকবে তাদের জন্যও এই বায়োডাটা না। 🤲 আল্লাহ তায়া’লা আমাদের জন্য কল্যাণের ফায়সালা করুন। উত্তম এবং চক্ষুশীতলকারী জীবনসঙ্গী মিলিয়ে দিন। সবকিছু ধারণার চেয়েও সহজ করে দিন। আল্লাহুম্মা আমীন।। |
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? | হ্যা |
---|---|
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? | হ্যা |
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? | হ্যা |
এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।
অভিভাবকের সাথে যোগাযোগসর্বমোট ভিউ: 1987 ভিউস