প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? |
জ্বি,আলহামদুলিল্লাহ |
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? |
প্রায় ৩ বছরের বেশি |
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? |
পরিপূর্ণ মানতে পারি না,তবে মেনে চলার চেষ্টা করি। |
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? |
জ্বি, আলহামদুলিল্লাহ। |
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? |
বোরখা,নিকাব,হাত-পা মৌজা |
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন |
নেই |
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? |
না |
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? |
জটিল কোনো রোগ নেই,,অতি গরম, ঠান্ডা,ধুলাবালি থেকে সর্দির এলার্জি আছে। |
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? |
না,দায়ীয়া হওয়ার ইচ্ছে আছে, যদি আল্লাহ কবুল করেন,ইং-শা-আল্লাহ। |
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? |
না |
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? |
মাজার জিয়ারত করা যায়, তবে বর্তমানে মাজারে শির্কের কাজগুলো বেশি হয়। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন |
আর রাহিকুল মাখতুম,,গল্পে আঁকা মহিয়সি খাদিজা,ফেরা। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন |
ড.জাকের নায়েক,,শায়েখ আহমাদুল্লাহ,, ড.মিজানুর রহমান আজহারি প্রমুখ |
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) |
দুনিয়াবি যোগ্যতায় কাঁচা,চালিয়ে নেয়ার মতো পারি।আর দ্বীনি যোগ্যতায় বিশেষ কিছু থাকলে সেটা হলো কোরআন পড়তে এবং মোটামুটি পড়াতে পারি,সামান্য। |
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন |
আমি অধম,আল্লাহর একজন গোনাহগার বান্দী।চেষ্টা করি গোনাহ থেকে যতটা বেঁচে থাকা যায়,,, দ্বীনে ফেরার পর থেকে বললে ভুল হবে সেই ৩ বছর আগ থেকে আমি এখনও একটু একটু করে দ্বীনে ফিরছি, দ্বীনের পথে চলার চেষ্টা করছি,, শয়তান তো লেগেই আছে প্রতিনিয়ত, তারপরও চেষ্টা করি নিজেকে ধরে রাখার শেষ সময়টুকু পর্যন্ত চেষ্টা করতে চাই ইং-শা-আল্লাহ। আর জেনারেল থেকে দ্বীনের পথে টিকে থাকার স্ট্রাগল তো আছেই,,,নিজের ক্ষেত্রে দ্বীনের ব্যাপারগুলোর নিয়ে স্ট্রক্ট থাকার চেষ্টা করি যতটুকু সম্ভব। দ্বীনের বুঝ আসার পর থেকে যতবেশি জানা হচ্ছে দুনিয়াকে নিজের কাছে তত বেশি ই অর্থহীন আবিষ্কার করতে পারি। তারপরও আল্লাহ তো বলেছেন দুনিয়াটা পরীক্ষা ক্ষেত্র! এখানে যেকোনো কিছু নিয়ে ই আমাকে পরীক্ষা দিতে হবে, তাই পরীক্ষা পর্যন্ত নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ধৈর্য্য ধরার চেষ্টা করি।আমার দ্বীন আমার রব আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয়।
দুনিয়ার জীবনে, আমার তেমন কিছু নেই,তবে যা আছে আলহামদুলিল্লাহ, শুকরিয়া। আম্মু আর আমরা দুইবোন ছোটবেলা থেকেই নানুর বাসায় বড় হয়েছি,,এখনও নানুর বাড়িতেই আছি।আম্মু দর্জির কাজ করেন।আর আব্বুর সাথে আমাদের যোগাযোগ নেই।তিনি তার সংসার নিয়ে বান্দরবানে আছেন।(এর বেশি ইং-শা-আল্লাহ পরে জানানো হবে।)
এখন আমি আর আম্মু মিলে ছোট্ট পরিবার,আলহামদুলিল্লাহ।
ব্যাক্তিগত আমি কেমন সেটা আম্মুই সবথেকে ভালো বলতে পারবেন,, কারণ আমার কাছে আমি কেমন সেটা বড় বিষয় না,আমার চারপাশের মানুষের কাছে আমি কেমন সেটাই হয়তো বড়।তারপরও আমি কিছু টা প্রতিবাদী ধাঁচের,(মানে উল্টো-পাল্টা কাজ,কথাবার্তা, ব্যবহার আমার সহ্যে আসে না)।সবকিছুতে দ্বীনের ছাপ আমাকে শান্তি দেয়। দুনিয়াবি অনেককিছুই এখন আর ভালো লাগে না।আমার ট্রাভেল করতে ভালো লাগে(দূর-দূরান্ত ভ্রমণ),আকাশ ভালো লাগে।আলহামদুলিল্লাহ এর বেশি কিছু আমার চেয়ে আমার আম্মুই ভালো বলতে পারবেন। |
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন |
প্রযোজ্য নয় |
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? |
হানাফি |
নজরের হেফাজত করেন? |
চেষ্টা করি |
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? |
দ্বীনের বুঝ আসার পর থেকে যখন বুঝতে পারি একটা দ্বীনি পরিবারের প্রচন্ড অভাব অনুভব করি।কতগুলো গাইরতওয়ালা মাহরামের অভাব।তাই সবার প্রথমে চিন্তা করি আমার নিজের পরিবার অনেক দ্বীনদার হবে,(যেখানে ভ্রান্ত আকিদার কোনো জ্ঞান থাকবে না।)।সেখান পর্দা বা আমাকে এখন যা যা ফেস করতে হয়, আল্লাহ যদি চান আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সেগুলো আমি উত্তম ভাবে দিতে চাই।আরেকটা বিষয় হলো যদি আল্লাহ চান আমি আমার পরিবারকে মুজাহিদ হিসেবে দেখতে চাই।আল্লাহ আমাকে আর আমার পরিবার কে কবুল করুন,আমিন ইয়া রব। |
অবসর সময় কিভাবে কাটান? |
বিশদভাবে অবসর সময় তেমন পাওয়া হয়না,জেনারেল পড়া মাদ্রাসার পড়া টিউশন নিয়ে বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকি।বিঃদ্রঃ এই ব্যস্ততার সময়গুলোর মধ্যে( আমার কোরআন পড়া, হিফজ এবং জিকির, ঘরের ছোটখাট কাজ এর সময় গুলোও ইনক্লুড রয়েছে) তারপরও মাঝে মাঝে কয়েকমিনিট সময় গুলোর হিসাব মিলাতে পারি না,আল্লাহ আমাকে মাফ করুন,এগুলো তো অনর্থক ই কেটে যায়। যেমন,,এই যে এখন বায়োডাটা লিখছি!!! |
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? |
বাড়ি বলতে,পরিবার টা তো দুইজনের আমি আর আম্মুর।তেমন কাজও সবসময় বেশি থাকে না,বেশির ভাগ সময় আম্মুই সব কাজ করে নেন।আমি মাঝে মাঝে রান্না-বান্না করি,ঘড় ঝাড়ু দেয়ার মতো ছোটখাটো কাজগুলোতে সাহায্য করি।মাঝে মাঝে সেলাই কাজেও সাহায্য করি। |
নারী-পুরুষ সমঅধীকার বিষয়টাকে আপনি কিভাবে দেখেন? |
ইসলাম যেখানে নারীকে/নারীর সম্মানকে এতটুকু উপরে এনেছে যে এর জন্য পুরুষদের জবাবদিহি করতে হবে। সেখানে নারীদেরকে পুরুষদের সমান চিন্তা করা তাদের পক্ষে ই সম্ভব যারা ইসলামের,আল্লাহর বিধানের সৌন্দর্য অনুধাবন করতে পারে না।ইসলাম পুরুষকে তাদের জায়গায় এবং নারীকে তাদের জায়গায় রেখেছে।নারী-পুরুষের সমান অধিকার আমার কাছে জঘন্য একটা চিন্তা-চেতনা হিসেবে বিবেচ্য। |