male

বায়োডাটা নাম্বার

AH-102912

পাত্রের বায়োডাটা

অবিবাহিত

রংপুর

রংপুর বিভাগ

রংপুর

রংপুর বিভাগ

১৯৯৯

ফর্সা

৫'৬''

৫৭ কেজি

A+

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার

১০,০০০


ঠিকানা
স্থায়ী ঠিকানা ভেন্ডাবাড়ী, পীরগঞ্জ, রংপুর
বর্তমান ঠিকানা ভেন্ডাবাড়ী, পীরগঞ্জ, রংপুর
কোথায় বড় হয়েছেন? (Required) গ্রামে এবং রংপুর সদরে
সাধারণ তথ্য
বায়োডাটার ধরন পাত্রের বায়োডাটা
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
বর্তমান ঠিকানা রংপুর
বিভাগ রংপুর বিভাগ
স্থায়ী ঠিকানা রংপুর
বিভাগ রংপুর বিভাগ
জন্মসন (আসল) ১৯৯৯
গাত্রবর্ণ ফর্সা
উচ্চতা ৫'৬''
ওজন ৫৭ কেজি
রক্তের গ্রুপ A+
পেশা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার
মাসিক আয় ১০,০০০
শিক্ষাগত যোগ্যতা
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? (Required) জেনারেল
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? হ্যাঁ
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান ফলাফল A
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান বিভাগ বিজ্ঞান বিভাগ
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাসের সন ২০১৮
স্নাতক / স্নাতক (সম্মান) / সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পিউটার টেকনোলজি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
পাসের সন ২০২৩ সাল করনোর জন্য কিন্তু সার্টিফিকেটে ২০২২ সাল দেওয়া আছে।
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং
IOM তথ্য
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? না
পারিবারিক তথ্য
পিতার পেশা গেস্ট রিলেশন ম্যানেজার/ম্যানেজার ছিলেন (*****/*** ঢাকার স্বনামধন্য বিভিন্ন প্রাইভেট হোটেলে)
মাতার পেশা প্রাইমারি স্কুল শিক্ষিকা
বোন কয়জন? ২জন
ভাই কয়জন? ভাই নেই
বোনদের সম্পর্কে তথ্য বড়জন এবার ইন্টার পরীক্ষার্থী ও ছোটো টা ১০ম শ্রেণিতে। দুইজনেই অবিবাহিত।
চাচা মামাদের পেশা চাচা ইন্তেকাল করেছেন তার পরিবারের কেউ নেই। ২ জন মামা একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জব করে আরেকজন ব্যাংকে যা আমাদের খুবই কষ্ট দেয় আমরা তার সাথে লেনদেন করি না বললেই চলে।
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা মধ্যবৃত্ত। আল্লাহর রহমতে ১ বিঘার অল্প পরিমাণ জমি রয়েছে সেখানে ফসল ফলানো হয় আলহামদুলিল্লাহ। আম্মু যেহেতু শিক্ষিকা তাই তার বেতনের টাকায় সংসার চলে। যা প্রচন্ড কষ্ট দেয় আমাকে তার একজন মাহরাম ছেলে হিসাবে। তাকে বলেছি যে, মা একদিন তোমাকে সেই পরিমাণ টাকা দিয়ে চাকরি থেকে বের করে আনবো ইনশাআল্লাহ সেটা retired এর এক দিন বাকি থাকতেও হোক না কেন। গ্রামে নিজস্ব বাড়ী রয়েছে । সামাজিকভাবেও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালা প্রায় সবার সাথেই ভালো থাকার, ভালে ব্যবহার করার এবং সম্মানিত হওয়ার তওফিক দান করেছেন।
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) (Required) মা ফরজ পর্দা করেন নিকাবসহ। বোনেরা সবথেকে উত্তম পর্দা করে এবং মাহরাম মনে চলে আলহামদুলিল্লাহ। মা ওতোটা নয় তবে বর্তমানে অনেক ভালো করছে আলহামদুলিল্লাহ। বাসায় পর্দার পরিবেশ রয়েছে। সবাই আমরা সলাত আদায়কারি। দ্বীনি আলোচনা হয় বাসায়।
ব্যক্তিগত তথ্য
সুন্নতি দাঁড়ি রয়েছে কি? (Required) জি আলহামদুলিল্লাহ
পায়ের টাখনুর উপরে কাপড় পরেন?(Required) জি আলহামদুলিল্লাহ
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? জি আলহামদুলিল্লাহ, চেষ্টা করি।
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) অনেক ছোট থেকেই নামাযের প্রতি আগ্রহ ছিলো এবং পড়তাম তবে, ২০১৫ থেকে নামায মোটামোটি নিয়মিত তবে, বর্তমানে আলহামদুলিল্লাহ সবচেয়ে নিয়মিত পর্যায়ে সলাত আদায় করি।
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? জি আলহামদুলিল্লাহ, চেষ্টা করি।
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? জি আলহামদুলিল্লাহ তবে, আরো শুদ্ধ করার চেষ্টায়রত।
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? লুঙ্গি, টি শার্ট, টুপি, প্যান্ট, শার্ট, পঞ্জাবি
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন (Required) ইনশাআল্লাহ একদিন এই দেশসহ পুরো বিশ্বেই দ্বীন ইসলামের বাণী ছড়িয়ে পড়বে এবং কুরআন ও হাদিস দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা হবে। (শরীয়াহ/খিলাফাহ কায়েম হবে)
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? না দেখার চোষ্টা করি।
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) আলহামদুলিল্লাহ তেমন নেই তবে, দূরের জিনিস দেখতে সমস্যা হয় তাই (-২.২৫) পাওয়ার চশমা ব্যবহার করি। পেটের সমস্যা লেগেই আছে ইদানিং। Lower back pain হয় হঠাৎ অনেকদিন পরপর কোন অতিরিক্ত বেশি ভারী জিনিস তুললে, বেশি বা ভুল ব্যায়াম করলে। যেমনঃ ধানের বস্তা, চালের বস্তা ইত্যাদি।(২/৩ বছর আগে অতিরিক্ত ভারী সম্পন্ন কাজ করি একা একা মূলত তখন থেকেই pain শুরু হয়েছিলো । জানুয়ারী/২৫ খ্রি. তে ডাক্তার দেখিয়েছি রিপোর্ট সব ভালো, কমড়ের হাড়েও কোন সমস্যা নেই আলহামদুলিল্লাহ । তবে খুব বেশি ভাড়ী কাজ গুলো একাএকা, ঝুকে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন ব্যাথা থাকাকালীন এবং চলতে ফিরতে সর্তকতা অবলম্বন করতে বলেছেন। মাঝে মাঝে বুক ব্যাথাও হয় দেখছি, ২০২৪ সালেই ডাক্তার দেখিয়েছি সব রিপোর্ট ভালোই আছে আলহামদুলিল্লাহ। ডাক্তার সাহেব বলেছেন এটা গ্যাসের থেকে হতে পারে তাই সময়মতো খাবার খাওয়ার সাজেষ্ট করেছেন, টেনশন ফ্রী থাকতে এবং তাড়াতাড়ি ঘুমাতে বলেছেন। কিন্তু এটা আমার পক্ষে অনেক কঠিন (সঠিক সময় খাবার খাওয়া,তাড়াতাড়ি ঘুমানো) একা একা বাসায় বেশির ভাগ সময়ই থাকা হয় বলে।
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া হয়। যেমনঃ সলাত আদায়ের গুরুত্ব কতোটা,শির্ক-বিদাআতে কিভাবে জড়িয়ে পড়ছি আমরা এবং এর থেকে বাচার উপায়, কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী প্রত্যেকটা কাজ করার প্রয়োজনীয়তা, খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার তাগিদে ইত্যাদি যতোটা পারি কিছু লোকদেরকে হক টা বলে দেওয়ার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে ব্যর্থ/হতাশও হয়ে যাই পরিস্থিতি ও ‍নিজের অপারগতা দেখে। আল্লাহ মাফ করুন এবং আমাদের দ্বীনের দায়ী হিসাবে কবুল করুন যার যার জায়গা থেকে। তা যতো ছোট পরিসরেই হোক না কেন সেটা ম্যাটার যেন না করে আল্লাহ! আপানি তাওফিক দিন।
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) না।
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) জিয়ারত করা যেতে পারে সুন্নাহ তরিকায় তবে, এর চেয়ে বেশি কিছু না। তবে, সেখানে গিয়া কিছু চাওয়া, নামায পড়া, সিজদা করা, গান-বাজনা করা ইত্যাদি সুন্নাতের খিলাফ এবং দ্বীন ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড। আল্লাহ আমাদের এগুলো থেকে বাচিয়ে রাখুন।
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ, প্রশ্নোত্তরে সিরাতুন্নবী সাঃ, পারিবারিক সংকটে নবীজির সাঃ এর উপদেশ। আরো কিছু সীরাহ পড়া চলমান রয়েছে।
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) জাকির নায়েক, আব্দুর রাজ্জাক হুজুর, আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিঃ) স্যার, মাহমুদ বিন ক্বাসিম, আব্দুল্লাহ ভাই, শায়খ আহমাদুল্লাহ সহ আরো অনেকে রয়েছে।
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন কুরআন এবং সুন্নাহ মোতাবেক চলতে চেষ্টা করি। পর্দা করাকে ভালোবাসি। টেনশন ফ্রী থাকার চেষ্টা করি কিন্তু তা বাদেও এসে যায়। গীবত অপছন্দ আমার কিন্তু এর থেকে বেঁচে থাকা খুুবই কঠিন। দাই হতে চাই আমাকে দিয়েও দ্বীনের কিছু উপকার হোক তা চাই। ইনশাআল্লাহ আমিও একদিন মিম্বারে দাড়িয়ে কুরআন এবং সুন্নাহের বাণী শুনাবো। সবথেকে বেশি ভালোবাসি মহান আল্লাহ তায়ালা কে তাই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে অনুসরণ করি এবং তিনি আমার কাছে আমার পিতা মাতা, সন্তানসহ সকল মানুষ অপেক্ষা প্রিয় এতে কোন সন্দেহ নেই। মা তারপরের স্থান, তারপরও উনি এবং তারপরও উনি। এরপর আমি আমার বাবা কে ভালোবাসি। (আল্লাহ ওনাকে মাফ করুন) ২ বোন টা চোখের তারা, কলিজা আমার। আল্লাহ তায়ালা আমার মা কে, বোনদের, আমার spouse এবং আমার অধিকারে মেয়েদেরসহ সকল মুসলিম মেয়েদের কে মুমিনা মুসলিমাহ হিসাবে কবুল করুন, তাদের জান্নাতের ৪ জন সম্মানিত নারীদের মতো গুণাবলী অর্জন করতে তাওফিক দান করুন। আর " যে আমার (জাওজাতুন) হবে তার জন্য এ জীবন কুরবান"। ইনশাআল্লাহ নগদ মহোরানা দিয়েই বিবাহ করবো। বিয়ে হবে একেবারে কুরআন/সুন্নাহ মোতাবেক সাধারণ এতে থাকবে না কোন ধরনের বিদআত ইনশাআল্লাহ। আমিও পারফেক্ট না তবে, আল্লাহর পরে তার সাহায্য চাই যে আমার হবে। যারা উচ্চ বিলাসিতা চান কিংবা বিলাসবহুল পছন্দ করেন তারা নক করবেন না এতে আমার বর্তমানে সামর্থ্য, শক্তি এবং ইচ্ছা কোনটাই নেই। বাবরি চুল আছে আমার। অনেকের ভালো লাগে না তাই বলা। কেননা, বাইরেরসহ আপনজনদের থেকে এর জন্য প্রায় কটু কথা শুনতে হয়। জানিনা কতো দিন এটা ধরে রাখতে পারবো তবে, আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো রসূল সাঃ এর এই অভ্যাসগত সুন্নাহটাকে ধরে রাখার। আমার চুল কোকড়ানো তাই কিছুটা কম পারি চুল গুলোর যত্ন নিতে। শখ বলতে সবথেকে উত্তম মানুষ হতে চাই। আবূ সাইদ খুদরী রাঃ হতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, জিজ্ঞেস করা হলো হে আল্লাহর রসূল সাঃ মানুষের মধ্যে কে উত্তম? রসূল সাঃ বলেন, সেই মুমিন যে নিজ জান ও মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে। সাহাবীগণ বলেন, অতঃপর কে সেই মুমিন যে আল্লাহর ভয়ে পাহাড়ের গুহায় অবস্থান নেয় এবং স্বীয় অনিষ্ট থেকে লোকদের কে নিরাপদ রাখে। (সহিহ বুখারী: ২৭৮৬) ভুল করেছি মাদরাসায় না পড়ে। ক্লাস সেভেন এ মা ভর্তী করে দিতে চেয়েছিল তবে আমি হই নি। অহংকারে জেনারেল ছাত্র ছিলাম বলে। এখন যখন অনেকে বলে যে ভাই আপনি কোন মাদরাসায় পড়েছেন কিংবা পড়েন তখন আমি speechless. আমরা অনেকে একটি ভাইরাল সংলাপের সাথে অনেকে পরিচিত যা আমার সাথে যায়। "দাঁড়ি রেখেছি, নম্রভাবে চলি, ২/৪ টা দ্বীনি বই পড়েছি তাই, দ্বীনি দু একটা কথা বলি বলে আমি পরিপূর্ণ দ্বীনদার, প্রকৃত মুমিন হয়ে যাই নি। এখনো আমি শয়তানের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ফেলি গুনাহ হয়ে যায়, আমারও সলাতে গাফলতি আসে, আমিও আমার রবের অবাধ্য হয়ে যাই কখনও কখনও"। কুরআন টাও একেবারে ফুলফিলভাবে সহিহকরে পড়তে পাড়ি না মনে হয়, বড় কোন সূরাহ মুখস্ত নেই আমার, একটা হাদিস পরিপূর্ণ সম্পূর্ণরুপে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বলতে পারবো না মনে হয়। (আফসোস) তবে, আলহামদুলিল্লাহ আমার নিয়ত সহিহ করেছি। আস্তে আস্তে পড়াশোনা শুরু করেছি। ইনশাআল্লাহ আমি প্রকৃত মুমিন হতে পারবো। আমাকে দিয়েও দ্বীনের কিছুটাও হলেও উপকার হবে। বায়োতে আমার গায়ের রং ফর্সা দেওয়া আছে। কারনঃ সবাইতো ফর্সাই বলে। তবে, দিন দিন আমি কালো হয়ে যাচ্ছি তাই উজ্জ্বল শ্যামলা ঠিক আছে। ক্রিকেট কে পেশা হিসাবে নেই নি /আল্লাহ নিতে দেয় নি আমার উপর দয়া করে। আগে অনেক সময় নষ্ট করেছি এর পিছনে। তাই এখন শুধু মাঝে মাঝে খেলা দেখি। তবে, এটাও তো ভালো নয়। তাই অনেকটা কনট্রোল বলতে পারেন। আল্লাহ মাফ করুন। ওপেন মাইন্ডের আমি। হালকা রাগী তবে, নিয়ন্ত্রণের সব সময় চেষ্টা থাকে। আমি তার কাছে শিখতে চাই আমারও জ্ঞান ভান্ডার তাকে ঢেলে দিতে চাই। " আমার হিম্মত এবং নিয়ত রয়েছে আল্লাহ সামর্থ্য দিন আমাকে ইনশাআল্লাহ আমি ওসহ আরো ৩ জন অসহায়ের দায়িত্ব নিতে চাইবো তাদের স্বামী হিসাবে। কথা দিলাম অন্যায় অবিচার করবো না তোমাদের মাঝে আদল (ন্যায় বিচার) করবো ইনশাআল্লাহ। তবে, আল্লাহ বলেছেন যে, তোমরা কক্ষনো স্ত্রীদের মধ্যে সমতা রক্ষা করতে পারবে না যদিও প্রবল ইচ্ছে কর, তোমরা একজনের দিকে সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকে পড়ো না এবং অন্যকে ঝুলিয়ে রেখ না। যদি তোমরা নিজেদেরকে সংশোধন কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা নিসা আয়াত ১২৯) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যার দু’জন স্ত্রী আছে তারপর সে একজনের প্রতি বেশী ঝুঁকে গেল, কেয়ামতের দিন সে এমনভাবে আসবে যেন তার একপাশ্ব বাঁকা হয়ে আছে। [আবু দাউদঃ ২১৩৩] তবে আয়াতে যে আদল বা ইনসাফের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, “আর তোমরা যতই ইচ্ছে কর না কেন তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি আদল বা সার্বিক সমান ব্যবহার করতে কখনই পারবে না” সেটা হচ্ছে, ভালবাসা ও স্বাভাবিক মনের টান। কেননা, কোন মানুষই দু’জনকে সবদিক থেকে সমান ভালবাসতে পারে না। তবে শরীআত নির্ধারিত অধিকার যেমন, রাত্রী যাপন, সহবাস, খোরপোষ ইত্যাদির ব্যাপারে ‘আদল’ অবশ্যই করা যায় এবং করতে হবে। সেটা না করতে পারলে তাকে একটি বিয়েই করতে হবে। যার কথা এ সূরারই অন্য আয়াতে বলা হয়েছে যে, ‘আর যদি তোমরা আদল বা সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে না পার, তবে একটি স্ত্রীতেই সীমাবদ্ধ থাক’। [সূরা নিসা আয়াত ০৩] সুতরাং মানসিক টান ও প্রবৃত্তিগত আবেগ কারও প্রতি বেশী থাকাটা আদল বা ইনসাফের বিপরীত নয়। কেননা তা মানবমনের ক্ষমতার বাইরে। [তাবারী] {তাফসীরে জাকারিয়া} শেষ জামানায় নারীদের সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় বেড়ে যাবে। তাই আমাদের যাদের হিম্মত, নিয়ত থাকবে তারাই তো এদের দায়িত্ব নিতে হবে তাই নয় কি? তবে, এটাও জানি একজনের সাথে ডিল করাই কষ্টসাধ্য সম্প্রতিক সময়ের বিষয় গুলো দেখে। আর এটা থাকবেই কেননা, রসূল সাঃ এর যুগেও বিষয়গুলো ছিলো। ৫ম হিজরিতে খন্দক যুদ্ধের পর বনু কুরায়যার বিজয় এবং গণীমতের বিপুল মালামাল প্রাপ্তির ফলে মুসলমানদের মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে আসে। এ প্রেক্ষিতে পবিত্রা স্ত্রীগণ মুহাম্মদ রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তাদের ভরণ-পোষণের পরিমান বৃদ্ধির আবেদন জানান। এতে মুহাম্মদ রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুবই কষ্ট পান/মর্মাহত হোন এবং তাদের কে তালাক দেওয়ার এখতিয়ার প্রদান করেন। এ মর্মে আয়াতে তাখয়ীর নাজিল হয় । {হে নবী (সা.)! তুমি তোমার স্ত্রীদের বলে দাও- তোমরা যদি পার্থিব জীবন আর তার শোভাসৌন্দর্য কামনা কর, তাহলে এসো, তোমাদেরকে ভোগসামগ্রী দিয়ে দেই এবং উত্তম পন্থায় তোমাদেরকে বিদায় দেই।আর যদি তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও আখিরাত কামনা কর তাহলে তোমাদের মধ্যে যারা সৎ কর্মশীল আল্লাহ তাদের জন্য মহা প্রতিদান প্রস্তুত রেখেছেন।} (সূরা আহযাব আয়াত ২৮-২৯) আর এই আয়াত নাজিলের পর রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশা রাযিঃ কে তার পিতা মাতার সাথে পরামর্শ করতে বললে তিনি বলে ওঠেন যে, এ ব্যাপারে আমার আব্বা-আম্মার সঙ্গে পরামর্শের কী আছে? আমি তো আল্লাহ্, তাঁর রাসূল এবং আখিরাতের জীবন কামনা করি। ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অন্যান্য সহধর্মিণী আমার মতই জবাব দিলেন। বিস্তারিত ব্যাখা (বুখারী-৪৭৮৫,৪৭৮৬/ মুসলিম-৩৫৮২, ***৩৫৮৩) । এটাও জানি এই টপিকটা টা পড়ে অনেকের খারাপ লাগবে। আর লাগাটাই স্বাভাবিক একজন মেয়ে হিসাবে। আমি শুধু আমার মতোবাদ শেয়ার করলাম।তাই ধারণা করতে নিষেধ করছি আমার requirements গুলো নিয়ে পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে। আমি চাইলে এই বিষয়ে স্বপক্ষে আরো কিছু কথা লিখতে পারি কুরআন হাদিসের আলোকে। শুধু এতো টুকু বলবো আমার বাবরী চুল রাখা, সাধারণ জীবনযাপন, বহু বিবাহে আগ্রাহী, বিবাহের ক্ষেত্রে বয়স ( অবিবাহিত, বিধবা, ডিভোর্স) এগুলো পার্থক্য না করার একমাত্র কারন হলেন হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি শুধু বিবাহের ক্ষেত্রে দ্বীনদার পাত্রী জিতে নিতে বলেছেন। আপনি যদি রসূল সাঃ জীবনীগ্রন্থ পড়েন বা জানেন তাহলে আমার অবস্থাটা বুঝতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ বিবাহের ক্ষেত্রে আমার এ রকম মেন্টালিটির জন্য। আর ঠিক এর বিপরীত মেন্টালিটির জন্য অনেক অসহায় বোনের আজ বিবাহ হচ্ছে না। তারা কারো ২য়, ৩য় কিংবা ৪র্থ স্ত্রী হতে রাজি নয় হোক ছেলে দ্বীনদার। এই রকম মানসিকতা হতে বেরিয়ে আসলে ঐসব অসহায় বোনদের ইনশাআল্লাহ ইনশাআল্লাহ অতি দ্রুত বিবাহ হবে। শুধু দ্বীনদারিত্ব দেখবেন। কিন্তু আফসোস আমরা বুঝি না, সমাজও এটা বুঝতে দেয় না, নিজের মা বাবা তো নয়ই বেশির ভাগেই। আপনি সাহাবিদের জীবনি গুলো পড়লে বিষয় গুলো আরো ভালো বুঝবেন। ১৪০০ বছর আগে ঐ নবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুগে কোন নারী স্বামীহীন হয়ে পড়লে সাহাবারা অপেক্ষা করতে কখন ঐ মহিলার ইদ্দত শেষ হবে এবং তাকে প্রস্তাব পাঠাবে। কারন তারা ভাবত যে স্বামীহীন কোন মহিলা সমাজে থাকলে ফিতনা হতে পারে। আর এতে তো অসংখ্য সওয়াব রয়েছেই। ঐ মহিলাও একজন স্বামী পেল, তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিল, তার সন্তানের দেখভালের ব্যবস্থা হলো, তার চরিত্র হেফাজত থাকলো, জান্নাত লাভের পথ সহজ হলো ইত্যাদি আরো অনেক উপকার হলো ঐ মহিলার যা এখানে লিখে শেষ করা কষ্টসাধ্য। বলবো না যে, আমি একেবারেই সেই সাহাবায়েদের মতো গাইরতবান / দ্বীনদার হয়ে গেছি, অনেক ভুল আছে আমার। তবে চেষ্টা তো করায় যায় অন্তত ভালো বলার, ভালো হতে চাওয়ার তাই ভালো হতে চেষ্টা করছি কিছুটা। কিন্তু বারংবার পড়ে গিয়ে আবার আল্লাহর কাছে তওবা (আসতাগফিরুল্লাহ) করে ফিরে আসছি । যেন সেই রকম হতে পারি যেমনটা মহান আল্লাহ তায়ালা এবং রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দ করেন। আমি শুধু রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর (জীবনি আর্দশ, কর্মকান্ড, চরিত্র ও সম্মতিদান) = সুন্নাহ কে জাষ্ট একটু ফলো করতে চেষ্টা করছি মাত্র। (আল্লাহ তওফিক দান করুন) আর দ্বীনের জন্য ,অসহায়দের সাহায্যের জন্য ও ফিতনাহ যেন না ছড়ায় এজন্য। তাছাড়া আমাদের মুসলিম উম্মাহকে শক্তিশালী করতে হবে কারন তারাই(ঐ প্রজন্মই) তো হবে ইমাম মাহাদীর কাফেলার সৈনিক ইনশাআল্লাহ । রসূল সাঃ আমাদের মুসলিম এই উম্মাহের সংখ্যা কে নিয়ে গর্ব করবেন। আল্লাহ আমার খারাপ দিকগুলোর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার তাওফিক দান করুক এবং সকল মুসলিম ভাইবোনদেরও তাওফিক দান করুক।
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন প্রযোজ্য নয়
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? সালাফি[আহলে হাদিস]
নজরের হেফাজত করেন? (Required) চেষ্টা করি
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? দাই হওয়া এবং দ্বীনের দাওয়াতের কার্যক্রম চালানো। তাওহীদ জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া। খিলাফাহ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করা।
অবসর সময় কিভাবে কাটান? (Required) ফোনে/ল্যাপটপে, ফ্যামেলি সময় দেওয়া ও কিছু বই পড়া ইত্যাদি।
কত ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে আদায় করেন? (Required) আলহামদুলিল্লাহ ৫ ওয়াক্তই পড়ার চেষ্টা করি এবং পড়িও
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? (Required) যেহেতু আমার বাবা দুনিয়াতে নেই৷ তাই বাড়ির একমাত্র পুরুষ মানুষ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় সব কাজেই আমাকে করে থাকতে হয়। বিশেষকরে মেনলি কাজ গুলো।
আপনি কি ধুমপান করেন? (Required) না আলহামদুলিল্লাহ।
বিয়ে সংক্রান্ত তথ্য
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? জি রাজি
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? আমার মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন তাই, প্রশান্তি পেতে, চক্ষু শীতলকারিণী স্ত্রী এবং সুসন্তান পেতে, সচ্ছল হতে, আল্লাহ তায়ালার সাহায্য পেতে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তাই, দৃষ্টিকে সংযত রাখতে, লজ্জাস্থান হেফাজত করতে, মুসলিম উম্মাহকে সংখ্যায় শক্তিশালী করে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গর্বের কারন হতে। জান্নাত লাভের পথ সহজ করতে এবং জান্নাতে একসাথে থাকতে। ادْخُلُوا الْجَنَّةَ أَنتُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ تُحْبَرُونَ অর্থাৎ, তোমরা এবং তোমাদের সহধর্মিণীগণ সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর। (সূরা যুখরুফঃ ৭০) هُمْ وَأَزْوَاجُهُمْ فِي ظِلَالٍ عَلَى الْأَرَائِكِ مُتَّكِئُونَ অর্থাৎ, তারা এবং তাদের স্ত্রীগণ সুশীতল ছায়ায় থাকবে এবং হেলান দিয়ে বসবে সুসজ্জিত আসনে। (ইয়াসীনঃ ৫৬)।
বিয়ের পর স্ত্রীর পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? জি ইনশাআল্লাহ পারবো।
বিয়ের পর স্ত্রীকে পড়াশোনা করতে দিতে চান? জি ইনশাআল্লাহ। তবে, যদি সে পরিপূর্ণ পর্দায় থেকে ইসলামি শরীয়াহ মেনে চলে ও ফ্রী মিক্সিং ব্যতীত কিন্তু এর থেকে বেঁচে থাকা খুবই কঠিন। দ্বীনি পড়াশুনায় বেশি পায়োরিটি পাবে ইনশাআল্লাহ।
বিয়ের পর স্ত্রীকে চাকরী করতে দিতে চান? না। ইনশাআল্লাহ তাকে বিয়ের পর চাকরি করানোর ইচ্ছে নেই। আমি চাইনা আমার জীবদ্দশায় অবস্থায় সে কোন কষ্ট করুক উপার্জনের ক্ষেত্রে। তবে, ডাক্তার হলে শুধু মহিলাদের দেখতে পারে। কারন আমাদের সমাজে দ্বীনদার মহিলা ডাক্তারের অভাব এবং কোন দ্বীনি বোন অসুস্থ্য হলে তারা অনেক সমস্যায় পড়ে।
বিয়ের পর স্ত্রীকে কোথায় নিয়ে থাকবেন? ইনশাআল্লাহ নিজের কাছে।
বিয়ে উপলক্ষে আপনি বা আপনার পরিবার পাত্রীপক্ষের কাছে যৌতুক বা উপহার বা অর্থ আশা করবেন কি না? জি না আমি তাদের কাছে এমন কিছু চাই না এবং ভবিষ্যতেও চাইবো না ইনশাআল্লাহ।
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? আর্থিক অবস্থা ও গায়ের রং
বিয়ের পর স্ত্রীর ভরনপোষন চালাতে পারবেন? হ্যা
আপনাার স্ত্রীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? তার মাহর আদায় করা,তার জন্য উত্তমরুপে খাদ্য ও পরিধেয় (পোশাক-পরিচ্ছদ) প্রদান করা, তাকে পর্দায় রাখা সে যেন পরিপূর্ণ মাহরাম মেনে চলতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখা, আমি এবং তার মাহরাম যেন দাইয়্যুস না হয় সে জন্য তাকে গাইড করা। তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া । নিজের জন্য যা পছন্দ তার জন্যও তা অনুরুপ পছন্দ করা। তার কাজে কিছুটা হলেও সাহায্য করা। তার সাথে কল্যাণকর আচরণ করা, তাকে তার ভুলে সুন্দর করে বুঝানো এবং সুযোগ দেওয়া। তার সুখে দুঃখে পাশে থাকা , তার সাথে খেলা (তাকে খুশি করার চেষ্টা করা সব দিক থেকে)। অনেক কিছুই তো লিখলাম তার হক্ব সর্ম্পকে তা হতে পারে সেটা শারীরিকভাবে,মানসিকভাবে, অর্থনৈতিক কিংবা সামাজিকভাবে। ভয় হয় যদি এগুলোর কোন একটা আদায় করতে না পারি!!! তখন কি হবে??? আল্লাহ আমাদের মাফ করুন এবং আল্লাহ আমাদের তওফিক দান করুন যাতে করে আমরা একে অপরের হক্ব গুলো যথাযথ আদায় করার সর্ব্বোচ চেষ্টা করতে পারি কুরআন সুন্নাহের আলোকে, বিপদে যেন সাহায্য চাইতে পারি আল্লাহর কাছে ধৈর্য এবং সলাতের মাধ্যমে।
আপনার আহলিয়ার পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? হ্যা
আপনি বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় থাকবেন? একক পরিবারে
যেমন জীবনসঙ্গী আশা করেন
বয়স (Required) ১৮ থেকে ৪৫
গাত্রবর্ণ মানানসই ইনশাআল্লাহ এটা সমস্যা হবে না দ্বীনদারিত্ব বেশি প্রাধান্য পাবে।
নূন্যতম উচ্চতা ৪'৮'' বা মানানসই ইনশাআল্লাহ এটা সমস্যা হবে না দ্বীনদারিত্ব বেশি প্রাধান্য পাবে।
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা যে কুরআন পড়তে পারে,ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত (ফরজে আইন পরিমাণ ইলম) আছে যার বা শিখছে/শিখতে চায়। বাকি জেনারেল হোক কিংবা মাদরাসায় এটা সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ। দ্বীনদার বেশি প্রাধান্য পাবে ইনশাআল্লাহ।।
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত, বিধবা, ডিভোর্সড
জীবনসঙ্গীর পর্দা সম্পর্কে যেমনটা চান- (Required) মাহরাম -গায়ের মাহরাম যে মেনে চলে পূর্ণরুপে/চেষ্টায়রত এবং যে উত্তম-ফরজ পর্দা করে বোরকা, হিজাব, নিকব, হাত-পা মোজাসহ। ***চোখের - কন্ঠেরও পর্দা করে যে/চেষ্টায়রত। বাইরে গেলে বোরকাসহ বাকী সব পরিধেয় বস্ত্র-পরিধান করে কালো রংয়ের বা কালো রংয়ের উপরে অন্য কোন হালকা গাঢ় রং কেও প্রাধান্য খুব কম দেয় সুযোগ না থাকলে বা দেয়ই না আর এটাই সবচেয়ে উত্তম।
পেশা (Required) তলিবে ইলম যে বাসায় থেকে দ্বীন পালন করে আর অবশ্যই চাকুরীজীবী নয় যে।
অর্থনৈতিক অবস্থা নিম্নমধ্যবিত্ত হালাল উর্পাজনের পেশা তার পরিবাবের বা মানানসই । ইনশাআল্লাহ এটা সমস্যা হবে না দ্বীনদারিত্ব বেশি প্রাধান্য পাবে।
পারিবারিক অবস্থা (Required) অবশ্যই দ্বীনি পরিবেশ থাকবে বাসায়, ইসলামিক মাইন্ডের। ***শির্ক ও বিদাআত থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখে/রাখতে চায়।
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন কুরআন -সুন্নাহ অনুযায়ী যে জীবন ধারণ করে বা চেষ্টায়রত। কুরআন - সুন্নাহ কে অন্যসব দল, মত, জায়েজ, উত্তম, নিজের/অন্যের ইত্যাদি ভালো কাজের উপরে প্রাধান্য দেয়। ***যে শির্কে জড়িয়ে পড়ে না। *** পিতা - মাতার অনুগত/ বাধ্য সন্তান এবং তাদের সাথে সদাচার করে। ***যে সমস্ত রকম বিদায়াত ও সন্দিহান বিষয় থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখে বা হক্ব টা/ সঠিকটা জানার সাথে সাথেই নিজেকে শুধরিয়ে নিতে প্রস্তুত থাকে, এতে কে কি বললো তার তোয়াক্কা সে করে না। *** যার আকিদা ও আমল মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, খুলাফায়ে রাশেদীনগণ, (সাহাবীগণ, তাবেঈ, তাবে-তাবেঈনগণের) সাথে সাদৃশ্য বা মিল। অর্থাৎ যে (সালাফদের) মূল নীতি অনুসরণ করে কিংবা চেষ্টায়রত এমন প্রত্যেক সালাফী (আহলে হাদিস) কে স্বাগতম। কারন: কুরআন-সুন্নাহের সবচেয়ে কাছাকাছি তো তারাই যারা সালাফী (আহলে হাদিস) আল্লাহু 'আলাম। যে সতী-সাধ্বী, সহজ-সরল ঈমানদার (মুমিনা-মুত্তাকীনা) দ্বীনদার হতে চেষ্টায়রত। কেননা, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুনিয়া উপভোগের উপকরণ (ভোগ্যপণ্য) এবং দুনিয়ার উত্তম উপভোগ্য উপকরণ পুণ্যবতী নারী। (সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৪৬৭) ***(যে সময়মতো ৫ ওয়াক্ত সলাত আদায় করে যে । সলাতে এক বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেয় না।রমাদ্বনের সিয়াম রাখে যে, বিশেষ কোন ওজর/কারন ছাড়া তা ভঙ্গ করে না। স্বামীকে মেনে চলে যে ,স্বামীর কৃতজ্ঞতা আদায় করে ও স্বামীর অবদান কে অস্বীকার করে না যে । লজ্জাস্থানের হেফাজত করে যে।) যে হতে চাইবে উত্তম মহিলা । কিভাবে? আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করা হলো, কোন মহিলা উত্তম? তিনি বললেনঃ যে মহিলার প্রতি দৃষ্টিপাত স্বামীকে সন্তুষ্ট করে। সে আদেশ করলে তা সম্পন্ন করে, এবং তার বাড়ীর ও তার মালের ব্যাপারে যা অপছন্দ করে, সে তার বিরোধিতা করে।(সুনান আন-নাসায়ী , হা/৩২৩৪) আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে তার সাথে বিছানায় শোয়ার জন্য আহবান করার পর যদি স্ত্রী না আসে এবং স্বামী তার উপর অসন্তুষ্ট অবস্থায় রাত কাটায়, তাহলে সকাল পর্যন্ত ফিরিশতাগণ ঐ স্ত্রীকে অভিসম্পাত করতে থাকেন।( সুনান আবূ দাউদ, হা/২১৪১) তলক ইবনু আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন লোক তার স্ত্রীকে নিজ প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশ্যে ডাকলে সে যেন সাথে সাথে তার নিকট আসে, এমনকি সে চুলার উপর রান্না-বান্নার কাজে ব্যস্ত থাকলেও। (সুনান আত তিরমিজী, হা/১১৬০) তবে, বিশেষ ওজর/কারন সমূহ বোঝা প্রত্যেক স্বামীর দায়িত্ব। আমাকেও তার কাছ থেকে ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট নেওয়া লাগবে। কেননা, আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে ঈমানে পরিপূর্ণ মুসলিম হচ্ছে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি। যেসব লোক নিজেদের স্ত্রীদের নিকট উত্তম তারাই তোমাদের মধ্যে অতি উত্তম। (সুনান আত তিরমিজী, হা/১১৬২) হে আল্লাহ আমরা যেন সকলই (পুরুষ-নারী) সবার অধিকার কিংবা হক্ব গুলো যথাযথ আদায় করতে পারি, আপনি আমাদের তাওফিক দান করুন। সে ইসলামের মৌলিক বিষয় গুলো মেনে চলবে।যার নফস অহংকার মুক্ত হবে। সবার সাথে বিনয়ী এবং সদা সত্য কথা বলবে। অন্যের খুশির জন্য হলেও কিছুটা ত্যাগ স্বীকার করে বা করতে রাজি আছে। বিপদ আপদে যে কোন সমস্যায় সর্বদা এক মহান আল্লাহ তায়ালার কাছেই সর্বপ্রথম সাহায্য প্রার্থনা করে এবং ধৈর্য ধারনকারী সকল বিষয়ে। ***যে শিশু সন্তানদের প্রতি স্নেহশীল, স্বামীর মর্যাদার উত্তম রক্ষাকারিণী এবং প্রেমময়ী হবে। ***(হারাম content, সিনেমা, নাটক, গান ইত্যাদিতে যে আসক্তি নয়) ইসলামে যে তার (মেয়ের) মান মর্যাদা, সম্মান বুঝে যা নিষেধ করা হয়েছে এমন কোন নাজায়েজ কাজে জড়ায় না সেটা হোক ছোট থেকে ছোট গুনাহ। যে তার মাহরাম অভিভাবক বিশেষ করে (বাবা, ভাই, স্বামী, ছেলের) আনুগত্য করে বা করবে/চেষ্টায়রত। ***free mixing কে যে চরমভাবে ঘৃণা করে এবং এর থেকে বেঁচে থাকে। যার হায়া ও লজ্জার পরিমাণ অনেক বেশি।***যে কোলাহল পূর্ণ মার্কেট এবং দোকানে বাজারে গিয়ে কেনা কাটা করে না,একা একা কোথাও সফরও করে না (মাহরাম ব্যতীত) আর এটাই উত্তম, মাহরামের অনুপস্থিতিতে তো প্রশ্নই ওঠে না। ***সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিপূর্ণ পর্দা করেও ছবি দেওয়া যায় এমন চিন্তা ভাবনা তো দূর কি বাত তার জন্য। ***গীবত কে যে খুবই অপছন্দ করে এবং এর থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে। আল্লাহ ভীরু এবং আখিরাতের ভাবনায় কাতর। দ্বীনি জ্ঞান আহরণ করতে চায় যে, আল্লাহর জন্য যে সময় বের করে। ***মাহরাম -গায়ের মাহরাম যে মেনে চলে পূর্ণরুপে/চেষ্টায়রত এবং যে উত্তম-ফরজ পর্দা করে বোরকা, হিজাব, নিকব, হাত-পা মোজাসহ। ***চোখের - কন্ঠেরও পর্দা করে যে/চেষ্টায়রত। ***বাইরে গেলে বোরকাসহ বাকী সব পরিধেয় বস্ত্র-পরিধান করে কালো রংয়ের বা কালো রংয়ের উপরে অন্য কোন হালকা গাঢ় রং কেও প্রাধান্য খুব কম দেয় সুযোগ না থকলে বা দেয়ই না আর এটাই সবচেয়ে উত্তম। সবাইকে আপন করে নেয়। বড়দের সম্মান করে এবং ছোটদের স্নেহ করে। দ্বীন ইসলাম কে সবার উপরে প্রাধান্য দেয়। যে অধিক সন্তানের জননী (মা) হওয়ার আশা টা অন্তত রাখে। ***"যার এক পোষ্টে , কমেন্টে, শেয়ারে অন্য কেউ বেগানা পুরুষ react দিলে তার গাইরতে লাগে"। উক্ত ডাবল কোটেশন "" যুক্ত বাক্যটিতে অনেক মিনিং (অর্থ) রয়েছে তার Lifestyle সম্পর্কে, তাই এটা নিয়ে বিশেষভাবে ভাবার জন্য বলা হলো। যে, আপনার lifestyle কেমন অনলাইনে কিংবা অফলাইনে। এক কথায় যে নবি সাঃ এর পত্নীদের মতো হতে চায়। সেটা হোক পর্দার ক্ষেত্রে, গাইরতে, শিক্ষাদানে, দান খয়রাতে, বিনয়ে, ত্যাগে, দ্বীন ইসলাম কে সবার উপরে রেখে, স্বামীকে সম্মানে ও ভালোবাসায় মমতায়। এতো গুলো গুণ থাকা একজনের মাঝে অনেক কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। আমরা সবাই এখানে মানুষ তাই কিছু ভুল থাকা কিংবা কিছু ভুল করা স্বাভাবিক। তবে, এতে আমার চাওয়া-পাওয়া গুলো ফুটে উঠেছে যা আপনাকে ডিসিশন নিতে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ। কিন্তু এটাও ঠিক যে আল্লাহ চাইলে ইনশাআল্লাহ আমার চাওয়ার চাইতেও উত্তম প্রতিদান দান করতে পারেন আবার কিছু কমতিও থাকতে পারে উভয় ক্ষেত্রেই আলহামদুলিল্লাহ। অনেক লম্বা হয়ে গেছে আর আমি ওতোটা গুছিয়ে লিখতে পারিও না। তাই পুরোটা পড়ার জন্য জাযাকাল্লাহ খইরন। আর যারা আমার বায়ো পড়ে আমার উপর বিরক্ত, হতাশ, রাগ কিংবা মনে কষ্ট পেয়েছেন তাহলে আমি তাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। বিষয় গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এই আশা রাখি। আমি কোথাকার কে ? যে আমি সবার প্রিয় হবো কিংবা আমার কথার সাথে সবাই একমত হবে! আমি এখানে ভুলও হতে পারি। কেননা, আমি আপনি তো ভুলেভরা গুনাহ করা মানুষ! কিন্তু এটাও ঠিক যে, এই উম্মতের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেও তো সবাই আর মেনে নেয়নি কিংবা তার কথার সাথে সবাই একমত পোষণ করেনি, তিনি হক্ব/ সত্যের উপর অটল থাকা শর্তেও। আর এখানেই আমি প্রশান্তি খুজে পাই এবং হতাশও হই না আর এখন (আলহামদুলিল্লাহ) যদি আমি হক্ব/ সত্যের উপর থাকি কিছুটা। আল্লাহ আমাকে/আপনাদেরকে সুস্বাস্থ্য, হিদায়ত দান , নেক মনের আশা গুলো পূরন করুন, নিজেদের দ্বীনদার ও আখলাকে হামিদাহ/উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন এবং তেমন জাওজাতুন/জাওজুন (স্ত্রী/স্বামীও) দান করুন।
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? (Required) রংপুরের মধ্যে কিংবা আশেপাশে হলে ভালো হয়। ইনশাআল্লাহ এটা সমস্যা হবে না দ্বীনদারিত্ব বেশি প্রাধান্য পাবে।
অন্যান্য তথ্য
পেশা সম্পর্কিত তথ্য (Required) Beximco Computers Ltd. এর অধিনে একটি প্রতিষ্ঠানে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ করি। (আলহামদুলিল্লাহ) মেয়াদকালঃ ৩০/০৬/২৫ খ্রি.
বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান বিবাহের ক্ষেত্রে আমার যে রকম মনমানসিকতা সেটা আমার মায়ের মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। সেটা আমি বুঝি তার জায়গায় নিজেকে রেখে। তবে, আলহামদুলিল্লাহ আস্তে আস্তে মানিয়ে নিচ্ছে। বোনেরা অনেকটা সার্পোটিভ এই বিষয়ে। বিষয় টা নিয়ে অনেক কথা বলে ফেলেছি আমি। অনেকেই আমার এই বিষয় টা নিয়ে জানে। আমি আগে থেকেই কিছুটা গুছিয়ে নিচ্ছি যেন তাকে এসে কোন কষ্ট পেতে না হয় অন্তত এই বিষয়ে। ইনশাআল্লাহ পাবেও না। আর এর বিপরীত হলেও ইনশাআল্লাহ! আল্লাহ আমাকে, আমার পরিবারের বাকি লোকদেরকে (মা, আহলিয়ারা ও বোনদের) ধৈর্যশীলদের অন্তভুক্ত হিসাবেই পাবেন। আল্লাহ তাওফিক দান করুন।
কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসা
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? হ্যা
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? হ্যা
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? হ্যা
যোগাযোগ

এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।

অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ

সর্বমোট ভিউ: 1082 ভিউস