ঠিকানা
| স্থায়ী ঠিকানা | চাঁদপুর, মতলব উত্তর। |
|---|---|
| বর্তমান ঠিকানা | ঢাকা, সাভার,বাইপাইল |
| কোথায় বড় হয়েছেন? | চাঁদপুরে, আমার গ্রামে। |
সাধারণ তথ্য
| বায়োডাটার ধরন | পাত্রীর বায়োডাটা |
|---|---|
| বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিত |
| বর্তমান ঠিকানা | ঢাকা |
| বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
| স্থায়ী ঠিকানা | চাঁদপুর |
| বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
| জন্মসন (আসল) | ২০০২ |
| গাত্রবর্ণ | শ্যামলা |
| উচ্চতা | ৪'৯'' |
| ওজন | ৪৮ কেজি |
| রক্তের গ্রুপ | B+ |
| পেশা | সাধারণ |
শিক্ষাগত যোগ্যতা
| কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? | জেনারেল |
|---|---|
| মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? | হ্যাঁ |
| মাধ্যমিক (SSC) / সমমান ফলাফল | A |
| মাধ্যমিক (SSC) / সমমান বিভাগ | বিজ্ঞান বিভাগ |
| মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাসের সন | ২০১৯ |
| উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাশ করেছেন? | হ্যাঁ |
| উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমানের বিভাগ | মানবিক বিভাগ |
| উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান ফলাফল | A |
| উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাসের সন | ২০২১ |
| স্নাতক / স্নাতক (সম্মান) / সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা | স্নাতক ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলাম,আর কনটিনিউ করবো না।ইন শা আল্লহ |
| শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম | চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ (HSC) ধামরাই সরকারি কলেজ (অনার্স ১ম বর্ষ) |
| পাসের সন | 2021 |
| সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা | HSC |
IOM তথ্য
| আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? | না |
|---|---|
| আপনার কোর্সের নাম ও ব্যাচ নম্বর: | ত্বলিবাহ নই |
পারিবারিক তথ্য
| পিতার পেশা | বর্তমানে নাইটগার্ডের জব করেন |
|---|---|
| বোন কয়জন? | ১জন |
| ভাই কয়জন? | ১জন |
| বোনদের সম্পর্কে তথ্য | ইয়াতিম, আত্মীয় সম্পর্কের এক ফুফু মারা গিয়েছিলেন, আমার বোনকে ৭ দিনের রেখে। তখন আমার পিতার অর্থনৈতিক অবস্থা এখনকার থেকে ভালো ছিল, আর আমার কোনো বোন না থাকায়, আমার পিতা মাতা আমার বোনের দায়িত্ব নিয়ে নেন, আলহামদুলিল্লাহ। |
| ভাইদের সম্পর্কে তথ্য | ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ( ইলেকট্রিক্যাল) বর্তমানে মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন, উত্তরায়। অবিবাহিত |
| চাচা মামাদের পেশা | চাচা দুজন, একজনের নারায়ণগঞ্জ, ডেমরায় বাড়ি আছে, বাজারে দোকান আছে ( ভাড়ায় দেন) পূর্বে প্রবাসী ছিলেন, এখন বাড়ি ভাড়ায় তদারকি করেন। ছোট কাকা, আব্দুল্লাহপুর টংগীতে পাইকারি কাপরের ব্যবসা করেন। মামা ৬ জন মামাদের কেউ ব্যবসা করেন,কেউ কৃষি জমি দেখাশোনা করেন পাশাপাশি কৃষি কাজও করেন। কেউ ড্রাইবার, কেউ বেকার, কেউ পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করেই জীবন যাপন করেন। |
| পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা | নিম্ন মধ্যবিত্ত। ( কিছু বিষয় আছে পারিবারিক, যা আমার ইখতিয়ারের বাইরে,তবে বিয়ের কথা এগুলে পাত্রকে জানিয়েই অগ্রসর হতে চাই, ইন শা আল্লহ) |
| আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) | আমার পরিবারে কারোর মধ্যেই দ্বীনের বুঝ নেই, সামাজিকতা ও ভদ্রতাকে সাপোর্ট করলেও পর্দাকে, ( গায়রে মাহরাম মেইনটেইন, নিকাব মেইনটেইন, ঘরের মধ্যে দরজা / জানালাতে প্রাইভেসি তথা পরিপূর্ণ পর্দা মেইনটেইনে এবং অধিকাংশ বিষয়ে সত্য কথা বলা, পরিপূর্ণভাবে হালাল হারামের তোয়াক্কা করা,স্বলাতে একটু সময় লাগা ইত্যাদি )পছন্দ করেন না এবং এসবের ঘোর বিরোধীতাও করেন।শারীরিক মানসিকভাবে জুলুমও করেন। আমি ব্যাতীত কেউ নিয়মিত স্বলাত আদায় করেন না, তবে মাঝে মাঝে পড়েন, মা কয়েকমাস রেগুলার হয়েছিলেন,মা পরিপূর্ণ রোজা রাখেন, আর কেউ রাখে না। ম্যাট্রিমনি সাইটে বায়োডাটা পাবলিশের বিষয়টাতে তাদের সম্মত করা খুব একটা সহজ কাজ ছিল না, আলহামদুলিল্লাহ। তবে কেউ যোগাযোগে আগ্রহী হলে যেন, তাদের মাহরাম নারীদের নিয়ে আসলে, তাদের পর্দার বিষয়টায়, আমার মাহরামদের অবগত করে আসেন, তাহলে তা আমার জন্য সহজ হবে, আল্লহ সহজ করুক। |
ব্যক্তিগত তথ্য
| প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? | জ্বী আলহামদুলিল্লাহ, তবে পূর্বে তেমন কাযা না হলেও এখন নামাজ কাযা হয়। |
|---|---|
| নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? | প্রায় ৪ বছর হতে চললো |
| মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? | জ্বী। কঠোরভাবে মানার চেষ্টা করি। |
| শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? | মোটামুটি সহীহ। উস্তাজা বা তাজউইদে পরিপূর্ণ পরিপক্ক বোনদের শুনালে, কিছু জায়গায় কারেকশন করে দেন, ভুল হয়। দেখে পড়ারসময় কোনো কোনো জায়গায় অক্ষর চিনি না, বা দেখেও ভুল পড়ি। আমার প্রতি সাজেশন থাকে, তিলাওয়াত শুনা এবং বেশি বেশি প্রাকটিস করা। |
| ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? | ঢিলেঢালা বোরখা, ভ্রু ঢেকে নিকাব, হাত-পা মুজা। |
| কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন | খিলাফত। |
| নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? | না আলহামদুলিল্লাহ । ফেসবুক, ইউটিউবের ভিডিও বা রিলস থেকে বেঁচে থাকি, ফিডে বা স্টোরিতেও দেখা পেলে সাথে সাথে আনফ্রেন্ড বা ব্লক করে, আইডি নিরাপদ রাখার চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ। |
| মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? | জানামতে নেই। তবে হাতে এলার্জির সমস্যা, দাগ আছে। |
| দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? | না, বিশেষ কিছু করি না। |
| আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? | না। |
| মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? | কবরে শুয়ে থাকা ব্যাক্তিটি নেককার হতে পারেন। তবে তার কবরে দান করা, মান্নত করা, অতিরিক্ত মনগড়া আদব প্রদর্শন করা ইত্যাদি ধ্যান ধারণা শিরক। তবে কবরে শায়িত ব্যাক্তির জন্য দুয়া করা যেতে পারে। |
| আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন | বিয়ের আগে ফ্যান্টাসি নয় হোক বাস্তব প্রস্তুতি,নবি জীবনের গল্প, নবিয়ে রহমত, ডাবল স্ট্যান্ডার (১,২.০), প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ (১,২) বেলা ফুড়াবার আগে, জীবন যেখানে যেমন, গল্প কল্প চিন্তা |
| আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন | মাওলানা মামুনুর রশীদ, শায়েখ আহমাদুল্লাহ, আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর র.,শায়েখ তামিম আল আদনান, আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান, মাওলানা তারিক জামীল |
| বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) | নেই। |
| নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন | খুব সম্ভবত তখন, ২০১৯ ফেব্রুয়ারী মাস, আমার SSC র বোর্ড এক্সাম চলছিল, প্রায় সব পরীক্ষাই শেষ বাকি আছে ধর্মটা, মাঝখানে প্রায় বেশ কয়েকদিন বন্ধ, এদিকে আমার নিত্যদিনের সঙ্গী টিভিটাও নস্ট হয়ে গেল, ( এলার্ম,সময় দেখা, আর ১ ঘন্টা গেমস খেলার পারমিশন দিয়ে আমার পিতা যে মোবাইলটা দিয়েছিল) আমার সঙ্গী মোবাইলটাও লক হয়ে গেল, আর খুলতে পারিনি। যেহেতু সব পরীক্ষাই শেষ, সামনে ধর্ম পরীক্ষা, ডুবে থাকার মোবাইল, টিভিটাও ছিল না, তাই ডুব দিলাম ঘরে পড়ে থাকা ধুলোমলিন পুরনো সেই বইগুলোতে, নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিরাজ, মৃত্যুর পর কী হবে, শয়তানের মোকাবিলা, রাবেয়া বসরীর জীবনী, কিছুটা পড়েই আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম, ১৪ শত বছর পূর্বের আরবে, তখন করণীয় এবং পর্দা বলতে আমি বুঝেছি, মাথা ঢেকে রাখা , চুল ঢাকা, ওড়নাটা দিয়ে ভালো করে নিজেকে কাভার করা, আর ছেড়েছিলাম, গানগুলোকে ( আমি জানি না, তখনো আমি জানতাম কিনা গান হারাম) গান ছাড়ার উদ্দেশ্য ছিল, পুরোপুরি দ্বীনে ডুবা। কিন্তু এই ঘোর কয়েকদিনেই কেটে গেল, আমি আবারো ডুবেছিলাম, হলিউড,বলিউডে। তারপর ইন্টারে ভর্তি হই, মামার বাসায় থেকে পড়েছি, মামী কিছুটা নামাজ পড়েন, বৃদ্ধ গুটিকয়েক মানুষ বাদে আমি, মামীকেই দেখেছি ১ম মানুষ, যে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, তাকে দেখতে দেখতে আমার কাছে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার বিষয়টা সহজ হয়ে গেল, সম্ভবত তখন থেকেই নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করি। আলহামদুলিল্লাহ তখন থেকেই ধীরে ধীরে দ্বীন অনুযায়ী জীবন পরিচালনা শুরু করি, তখন পর্দার সুরত ছিল, কলেজে যাওয়ার জন্য ঢিলেঢালা এফ্রোন, হিজাব,আর, ঘর থেকে বের না হওয়া, প্রয়োজন ছাড়া বের হতাম না,গায়রে মাহরাম থেকে লুকিয়ে থাকা,তখন মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজে শুনেছিলাম, পা ঢাকার কথা,তখন কোনএক সুযোগে ২ জোড়া পা মুজা কিনেছিলাম, পরার চেষ্টা করতাম, এমনো হয়েছে, আত্মীয়র বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠানে, পুরো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গিয়ে, আমি অনুষ্ঠান এটেন্ড করিনি, পা ঢাকতে পারবো না সে ভয়ে, আমি ইন্ট্রোভার্ট টাইপের, যাদের কঠিন লাগে তাদের ধারে কাছেও থাকি না, আবার যাকে সহজ লাগে, তাকে তার সাথেই লেগে থাকি।আমি ছোট থেকেই মহিলা আত্মীয় বা পুরুষ আত্মীয়, আমার কাছে সহজ না হলে দেখা দিতাম না, এই সামাজিকতা ছিল না আগে থেকেই আলহামদুলিল্লাহ ( তবে ওয়াল্লাহী, এর পেছনে অহংকার নেই, আমার আত্মবিশ্বাস সবকিছুতেই কম, হীনমন্যতায় ভুগি, ঝামেলায় ঝড়ানো, প্রভলেম ফেস করা এগুলোতে দূর্বলতা আছে) আর আমার পরিবার, ছোট থেকেই, মামাতো, ফুফাতো জেঠাতো ইত্যাদি যত কাছের ভাইই হোক না কেন এছাড়া অন্য যে কেউই হোক না কেন, তাদের সাথে অহেতুক কথা, বা হাসি, ঠাট্টা, সব থেকেই বিরত রেখেছে, শুধু পুরুষ নয়, বড় মহিলা পুরুষ যে কেউই হোক, রসিকতা হাসি মাজাক, বা যে কারো সাথে ঘুরতে যাওয়া, নির্দিষ্ট কিছু মানুষ ছাড়া কারো সাথে না ছাড়া ইত্যাদি দেখে রেখেছে, আমাকে শুধু জোর করা হতো কুশল বিনিময় নিয়ে।আলহামদুলিল্লাহ, এখন গায়রে মাহরামদের সামনে আমার আচরণ দেখতে দেখতে কুশল বিনিময় নিয়ে তেমন কিছু করে না, বলে না।আমার পরিবারে কারোরই দ্বীনের বুঝ নেই, তারা আমার পর্দা, নামাজ পছন্দ করে না, বেদ্বীন কারোর বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার পেছনের কারণ তারা বুঝতে চায় না।কিচেনে থাই টেনে বা লাইট বন্ধ রেখে কাজ করার মানে তারা বুঝে না। ইন্টারে থাকাকালীন আমি চাইতাম নিজেকে কালো কাপড়ে সম্পূর্ণ ঢেকে ফেলতে, যদিও আমি কারোরই বিশেষ কেউ নই, তারপরেও নিজ ফ্রেন্ড সার্কেলে বলতাম, আমার ওমককে দেখে খুব ভালো লাগে, কেউ কালো বুরখা, হাত মুজা,পা মুজা পড়লে ভালো লাগে, আমার এভাবে পর্দা করতে ইচ্ছে হয়, আশেপাশে থাকা একটা মানুষও আমাকে পরিপূর্ণ পর্দা করার সাহস দেয়নি, কেউ বলেছে ধীরে ধীরে শুরু করতে, কেউ কেউ বিদ্রূপ করতো।ঘরেও সাপোর্ট নেই,পর্দার পোশাক নেই। যাইহোক, লকডাউনে ফেসবুকে নিজের আইডি খুলি ( কলেজের ক্লাসের ওছিলায়) আর ফেসবুকই দ্বীনি কমিউনিটি খুজে পাই,ফেসবুকের ওছিলাতেই পর্দার সাহস পাই, মুখ ঢেকে পর্দা করারমতো সাহস পাই এবং মুখ ঢাকার বিষয়টা জানাতে পাই।এরপর সহশিক্ষায় ভর্তি হই, কিন্তু অনলাইনে আল্লহর এক বান্দীর সোহবতে, তাকে সহশিক্ষা থেকে বের হয়ে যেতে দেখে, আর কনটিনিউ করিনি,যদিও হারামে পড়াশোনা কনটিনিউ করার ইচ্ছে আগের থেকেই ছিল না, তবে একেবারে ছাড়ার সাহস পাইনি। আর সহশিক্ষা হারাম এই বিষয়টা নিয়েও পূর্বে জানা ছিল না। দ্বীনের বুঝ পাওয়ার আগে থেকেই নিজের কাজগুলো নিজে করতাম, তবে খুবই অলস প্রকৃতির আমি, স্কুলড্রেসগুলো,( বন্ধ দিলে) স্কুল খুলার আগেরদিন রাত ছাড়া ধোয়া হতো না,অতিরিক্ত ঘুমাতাম, নিজের খাওয়া, গোছল,রাতে একটু তাড়াতাড়ি ঘুমানো কিছুই টাইমলি করতাম না। এখন অবশ্য ঘরের কাজগুলো করার চেষ্টা করি নিয়মিত, পিতা মাতার খেদমত, করার চেষ্টা করি, রান্নাটাও অনেকটা শেখা হয়েছে লকডাউন থেকে। ধারাবাহিকতা রক্ষার চেষ্টা করি, কিন্তু আমি গাফেল, সফল নই, হয়ত পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে। একটা গোছানো মা অনেক বড় নিয়ামত সন্তানের জন্য , এটা বুঝি এবং মানি, এবং সে জন্য গোছানো হওয়ার চেষ্টা করি।ছোট থেকেই ইনসাফ বিষয়টা পছন্দ করি, সত্য কথা বলার চেষ্টা করি, মানুষের অযৌক্তিক আচরণ মেনে নিতে কষ্ট হয়, এবং এই বিষয়টাতে আমি দূর্বল, প্রতিবাদ করে ফেলি বা কঠোর কথা বলে ফেলি , কখনো রেগে যাই। অবশ্য উত্তমভাবে সবরও করা হয় কখনো কখনো। যদিও কঠোর কথাই বলি তবে কঠোর কথা বলার পর বা রেগে যাওয়ার পর মানসিক পেরেশানিতে ভুগি। নিজের সম্পর্কে বলাটা আসলে একটু কঠিন আমার জন্য, নিজের কিছু খারাপ দিক বলি: কিছু মানুষ থেকে শুনেছি,কথা না বললে কিছুই বলি না কিন্তু কখনো বলা শুরু করলে আমি একসাথে সব বলি, একটা ছেড়ে আরেকটা বলি, প্রসংগ ঠিক থাকে না। কোনো মজলিসে সবাই হেসে উঠলেও আমি তাদের সাথে তাদেরমতো হাসতে পারি না। সহজভাবে কথা বলি, হাসিমুখেই কথা বলি, এমনকি কখনো কোনো সিচুয়েশনে আমি হাসি কনট্রোল করতে পারি না।তবে আমি রসিকতা করে কথা বলতে পারি না, একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, বিয়ে পরবর্তী অনেক দায়িত্ব থাকে, অনেকের খুজ খবর নিতে হয়, ফোন কনভারসেশন করতে হয়, আমার এ বিষয়টাতে একটু দূর্বলতা আছে, আমি এরকমটাতে এখনো অভস্ত হই নি, আমি একটু একা থাকি, এবং একাকীত্বকে ভালোবাসি, কখনো মনে উৎফুল্লতা থাকলে লিস্ট করি আজকে সবাইকে কল দেবো, সবার সাথে কথা বলবো, কিন্তু খুব কমই কথা বলা হয়,আর মানুষকে প্রয়োজন ছাড়া কল দিতেও একটু বিব্রত হই, একটু ভয় লাগে। আর উৎফুল্লতাও বেশিক্ষণ বা বেশিদিন থাকে না। তাই আমার একটু একাই থাকা হয়, প্রয়োজনে পরিবর্তন হওয়ার মানসিকতা রাখি, ইন শা আল্লহ তবে নিজের উপর ভয় করি, হুট করে পরিবর্তন হতে যদি না পারি, সাংসারিক কাজ বা দায়িত্ব উপরেও ভয় করি, আমি এখন যদিও কাজ করি, প্রত্যেক দিন রান্না করি, কিছু দায়িত্ব পালন করি, তবে আমার জীবনটা ঠিক ধারাবাহিকভাবে স্বাভাবিকভাবে হয়ত চলে না, তাই আমি আমার সামর্থ্যর উপরও ভয় করি, যৌথ পরিবার বা পরিবারের সবার দায়িত্ব পালন করার ব্যাপারে নিজের উপর ভয় করি, সামর্থ্যর ব্যাপারে ভয় করি, তবে আমি নিজেকে পরিবর্তন করার মানসিকতা রাখি। লাস্টলি কিছুটা ভালো দিক বলি,আল্লাহ কখনোই আমাকে হারাম সম্পর্কে লিপ্ত করাননি, , ভুল করেও না, আলহামদুলিল্লাহ ছেলে বন্ধুতো দূরের বিষয় আমার সেরকম বান্ধবীও নেই, বেশি বান্ধুবী থাকা বা একে অপরের বাসা বা কোথাও ঘুরাঘুরি করা এগুলো আমার পরিবার পছন্দ করেন না তাই আমার অন্তরঙ্গ কোনো বান্ধবীও ছিল না। জনবহুল স্থানে ঘুরাঘুরি করা পছন্দ করি না। খাওয়া, দাওয়া পোশাক আশাকে আমি খুবি সাধারণ, খুব বেশি চাহিদা রাখি না। আমি একটু সংযমী, চাহিদা বা জরুরত মোতাবেক না পেলে বা কষ্ট হলেও অপারগ কারো উপর জুলুম করি না, করাটা পছন্দ করি না। তবে থাকা অবস্থায় জরুরতে ব্যয় না করাটাও পছন্দ করি না। কারো মন খারাপের সাথী হতে আমার ভালো লাগা কাজ করে, কেউ পেরেশানি শেয়ার করলে, আমি তাকে শুনি। |
| আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন | প্রযোজ্য নয় |
| কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? | হানাফি |
| নজরের হেফাজত করেন? | চেষ্টা করি |
| দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? | দ্বীন নিয়ে বাঁচতে চাই, ইমান নিয়ে মরতে চাই, এর বাইরে আপাতত কিছু ভাবনায় আসে না। তবে মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়, ১৪ শত বছর পূর্বে ফিরে যেতে, স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট থেকে শুরু করে চিকিৎসা পদ্ধতি, ঔষধ সব কিছুতে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুসরণ করতে। এই বিষয়ের উপর ইলম হাসিল করে, উম্মাহর মাঝে ছড়িয়ে দিতে। নারীদের মাঝে ঘরে বসে ইলম অর্জনের, বিষয়টায় ফিকির করা, হিফজ করা। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, মোবাইল ইউজ। সোশ্যাল মিডিয়া বা মোবাইল কোনোটারই আমার তেমন জরুরত নেই, তবে আমার জরুরত নেককার তথা আল্লাহ ওয়ালিদের সোহবতে থাকা, যদি অফলাইনেই তা সম্ভব হয়,আমার মোবাইল ইউজের জরুরত নেই, কিন্তু না পেলে আমি অনলাইনে আমার নেককার বোনদের সোহবতে থাকতে চাই,ইন শা আল্লহ |
| অবসর সময় কিভাবে কাটান? | ঘুমিয়ে , কখনো বই পড়ি,সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরি, কখনো সময়কে কাজে লাগাই, কখনো নির্দয়ভাবে অপচয় করি, পড়াগুলো জমে আছে, পড়া হয় না। আকাশ দেখি ( অবশ্য শহরের আকাশ তেমন দেখা হয় না)। |
| বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? | একবেলা রান্না করি, টাইমলি আমার পিতার সন্ধার নাস্তা,বা টিফিন রেডি করি, ছোটবোনের দেখাশোনা করার চেষ্টা করি , তাকে সময় দেই। ঘর ঝাড়ু মোছা করি, ওয়াশরুম, ভেসিন, সিঙ্ক পরিষ্কার করি , বিছানার চাদরও ধোয়া হয়, খাবার সার্ব করি, মাঝে মাঝে ময়লা ফেলতে নিচে নামতে হয় ( রাতে নামার চেষ্টা করি, বড় হিজাব নিকাব এডজাস্ট করা, পরি।) মাঝে মাঝে মাকে রান্নাঘর থেকে পুরোপুরি ছুটি দেওয়ার চেষ্টা করি। |
| নারী-পুরুষ সমঅধীকার বিষয়টাকে আপনি কিভাবে দেখেন? | নারী পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। পুরুষ নারীর সমান নয় এবং নারীও পুরুষের সমান নয়, সব দিক থেকেই পার্থক্য বিদ্যমান। উভয়ের চাহিদা, দায়িত্ব, কর্ম এবং কর্মক্ষেত্র ভিন্ন । নারীর যা যা প্রাপ্য তা যেমন পুরুষের উপর চাপিয়ে দিলে বা নির্ধারন করে দিলে ইনসাফ হবে না তদ্রুপ পুরুষের যা প্রাপ্য তা নারীর উপর চাপিয়ে দিলে ইনসাফ হবে না। নারী - পুরুষ সমঅধিকার বিষয়টা সম্পূর্ণটাই পুঁজিবাদীদের মনোমুগ্ধকর ধোকা ছাড়া অন্য কিছু না। |
বিয়ে সংক্রান্ত তথ্য
| অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? | জ্বী রাজি, আলহামদুলিল্লাহ । তবে ম্যাট্রিমনি বিষয়টায় ঠিক বিশ্বাস করে না,রাজি করাতে একটু মেহনত, সবর করতে হয়েছে। ইন শা আল্লহ ,তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য ঠেকে এমন কাউকে পেলে হয়ত ফিরিয়ে দেবে না। |
|---|---|
| বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? | অভিভাবক পাওয়ার জন্য কারণ আমার দ্বীনের বুঝওয়ালা অভিভাবক নেই । আমি আমার ইলম অনুযায়ী যতটুকু বুঝি, অভিভাবক ( পুরুষ) ব্যাতীত, উম্মাহর নারীদের দ্বীন মানা শুধু কঠিনই নয় বরং পরিপূর্ণ মেইনটেইন করা অসম্ভব, অন্তত আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থায়। দ্বীন নিয়ে বাঁচতে চাইলে ( সম্মান মোতাবেক) বিয়ে ছাড়া অন্য কোনো অপশন নেই। ইন শা আল্লহ এরকমটা নয়, বিয়ে না করলে গোনাহে জড়িয়ে পড়বো। বরং আমার ইমান মজবুত থাকলে সারাজীবনে বিয়ে না করলেও গোনাহে লিপ্ত হওয়ার আশংকা করি না, ইন শা আল্লহ। তবে শয়তানতো বসে নেই, ছোট, বড়, চিন্তাগত নানান গুনাহে শয়তান লিপ্ত করাতে চায়, অন্তত বিয়ে হলে এসব গুনাহের আশংকাও দূর হবে ইন শা আল্লহ। |
| আপনি কি বিয়ের পর চাকরি করতে ইচ্ছুক? | না। চাকরি বলতে সাধারণত যা বুঝায়, এরকমটা কখনোই না, আল্লাহ সেরকম পরিস্থিতিতে না ফেলুক। তবে নিজের ইমান, আমল, বিভিন্ন সাংসারিক দায়িত্ব সামলিয়ে, পারমিশন পেলে ( আমি চাই এক্ষেত্রে যেন পারমিশন দেনেওয়ালাই আল্লাহ মিলিয়ে দেন), সম্পূর্ণ বোনদের নিয়ে, বোনদের মাঝে অনলাইন বা অফলাইনে ( যদি তা কাছেই হয় বা সহজ হয়) খিদমত করতে। যদিও এখন অব্দিও আমার সে যোগ্যতা নেই, তবে দিলে এরকম চাহাত আছে। ইন শা আল্লহ |
| বিয়ের পর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান? (ছাত্রী হলে) | হ্যা, তবে ঘরে।প্রয়োজন অনুপাতে ইলম অন্বেষণে লেগে থাকতে চাই। ইলম অনুযায়ী আমল, সংসার, চারপাশ গুছিয়ে ইন শা আল্লহ, মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়, কুরআন হিফজ করার, তবে ইচ্ছে অনুযায়ী প্রচেষ্টা এখনো করা হয়নি, তবে দূর্বল এই নিয়তও জানাতে চাই যেন, পরবর্তীতে সহপাঠী বা উস্তাদ হিসেবেই কাউকে পাই,, এ দুয়ের বাইরে কেউ না। |
| বিয়ের পর চাকরি চালিয়ে যেতে চান? (চাকরিজীবী হলে) | না, কখনোই না। |
| বিয়েতে কেমন মোহরানা নির্ধারন করতে চান? | ছেলের সাধ্যমত আলোচনা সাপেক্ষে |
| পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? | আর্থিক অবস্থা ও গায়ের রং |
| আপনার স্বামীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? | তার হক আদায় করা, পেরেশানি দূর করা,( অন্তত নিজে সেই পেরেশানির কারণ না হওয়া), নেক কাজে তার সহযোগী হওয়া,সহায়ক ও সমব্যথী হওয়া, দ্বীন মোতাবেক পরিবার ও পরবর্তী প্রজন্ম গঠনে তার সহযোগী হওয়া। তার পিতা মাতার হক বা আত্মীয়তার হক রক্ষায় সহযোগী হওয়া, আল্লাহর অনুগত সেই বান্দার অনুগত হওয়া। দুনিয়ার এই জীবনে,জান্নাতে হাসিলের এই সফরে, তার সহযোদ্ধা হওয়া। |
| বিয়ের পর কোথায় থাকতে চান? | স্বামীর বাড়ি |
যেমন জীবনসঙ্গী আশা করেন
| বয়স | ২৩-৩৪ |
|---|---|
| গাত্রবর্ণ | যেকোনো |
| নূন্যতম উচ্চতা | ৫:৩"-৫:৭" |
| নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা | অন্তত ফারজে ইলম পরিমাণ ইলম, নিজ মাতৃভাষায় ধর্মীয় কিতাবাদী পড়ার মতো যোগ্যতা,( খুব ভালো মানের পাঠক না হলেও মধ্যম মানের পাঠক হতে হবে, আর অবশ্যই ইলম অর্জনের সাথে লেগে থাকতে হবে, নিজ আমল ও জরুরত অনুযায়ী ) তবে মুনাসিব হয় HSC বা সমমান অব্দি পড়াশোনা থাকলে, যাতে কখনোই শয়তানের প্ররোচনায় আমার মনে অসম্মান বা অহংকার না আসে) মোটকথা ত্বলিবুল ইলম হতেই হবে ইন শা আল্লহ |
| বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিত |
| জীবনসঙ্গীর দাড়ি বা ইনকাম সম্পর্কে যা চান- | দাড়ি বিহীন অনেক থাকতে পারে, যারা খুব ভালো মনের / উত্তম আখলাকের। চরিত্রবান, গায়রতওয়ালা। আল্লাহর বিধানকে ইনসাফপূর্ন ভাবেন, কুফুরি করেন না, চোখের হিফাজত করে মাশা আল্লহ। তবে যে আল্লহ ও তার রাসূলকে পাওয়ার জন্য দাড়ির মতো এত সহজ আমল করতে পারলো না, যে এত সহজ একটা বিধানকে দুনিয়ার উপর প্রাধান্য দিল না । তাকে ভরসা করি কীভাবে! তাই অবশ্যই অবশ্যই সুন্নাহ মোতাবেক দাড়ি থাকতেই হবে। দাড়ি ছাড়া প্রশ্নই উঠে না। আর ইনকাম অবশ্যই হালাল হতে হবে, সুদ ঘুষ, জুলুম থেকে দূরে থাকতে হবে ইন শা আল্লহ |
| পেশা | যেকোনো হালাল পেশা।সুদ, ঘুষ, বা নজরের হেফাজত হয় না, নারী পুরুষ ফ্রী মিক্সিং হয় এমন কোনো পেশা নয়। ব্যবসা বা খাদ্য, উৎপাদনমূখী পেশা হলে উত্তম হয় ইন শা আল্লহ |
| অর্থনৈতিক অবস্থা | নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ( কুফু মিলিয়ে হলে উত্তম হয়) |
| জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন | আমি কামনা করি, এমন কাউকে যিনি আমার উপর শারীরিক মানসিক নির্যাতন করবে না। এই দুনিয়ার জীন্দেগীতে, যিনি আমার দ্বীন পালনে সহযোগী হবেন, পর্দার জন্য আমাকে উত্তম পোষাক, বাসস্থান তথা পরিবেশ তৈরি করে দিবেন। আমার অভিভাবক হিসেবে যথেষ্ট হবেন।দায়িত্বশীল হবেন। যিনি সারা জীবন রিজিক অন্বেষণের পেছনে জীবন ব্যয় করবে না, মাঝে মাঝে সবকিছু থেকে ছুটি নিয়ে দুনিয়া বিমুখ হয়ে আল্লাহর ইবাদত করবেন এবং জরুরতে "আল্লাহর রাস্তায় সফর "করবেন এবং এমন বংশধর গঠনের প্রচেষ্টায় থাকবেন, যারা তার দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যানের কারণ হবে। স্থির ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ, সুন্দরভাবে কথা বলা, সকল ক্ষেত্রে ইনসাফ করা বা করার মানসিকতা, রাগ সংবরন করা, ছোট খাটো ঋন থেকেও বেচে থাকা, হোক না তা ১২ টাকার ইমার্জেন্সি ব্যালান্স। জরুরত ছাড়া ঋন না করা এবং অপছন্দ করা। প্রয়োজন অনুপাতে ব্যয় করা। সাদকা করা। তার মধ্যে সৌন্দর্য থাকুক বা না থাকুক তবে গায়রতের, উত্তম আখলাকের খুশবু থাকুক। আর অবশ্যই যা থাকতেই হবে, তা হচ্ছে, নেককারদের সোহবতে থাকা, হক্কানি ওলামায়ে কেরামের সোহবতে থাকা। একটু দুনিয়া বিমুখ তবে দায়িত্বজ্ঞানহীন, বাউণ্ডুলে, বা হালাল রিজিক অন্বেষণের প্রচেষ্টায় লিপ্ত না! এমন কেউ না। |
| জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? | বাবা মা খুব বেশি দূরে দিতে চান না। চাঁদপুর বা ঢাকার আশেপাশে,ইন শা আল্লহ তবে দ্বীনদারিতায় মিলে গেলে, আর জেলা একটু দূরে হলেও আমিও চেষ্টা করবো পরিবারকে রাজি করার ইন শা আল্লহ |
অন্যান্য তথ্য
| বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান | এরকম নয় যে, অফলাইনে বিয়ের প্রস্তাব আসছে না, বা বাবা মা সেই প্রস্তাবে রাজি হচ্ছে না।কিন্তু সমস্যা হচ্ছে,দ্বীনদার কোনো প্রস্তাব আসে নাই, এখনো। তাই আমি রাজি হইনি।আর এই যে এই রাজি না হওয়াটা,সবার বিরুদ্ধে গিয়ে অবস্থান করাটা, ওয়াল্লাহী তা আমার জন্য সহজ নয়, আমার বাবা এমনিতেই বদমেজাজি মানুষ, সাপোর্ট করার মতো পুরো গোষ্ঠীতেও কেউ নেই। ( তারা দ্বীন বুঝে না, খুঁজেও না) হ্যাঁ, অধিকাংশ এমন যারা চায়, পর্দা করা মেয়ে বিয়ে করতে, আমি বুঝি না তারা ঠিক কী কারনে এমনটা চায়, অথচ তারা , পর্দা কী! তা জানেই না, জানলেও মানে না। এটাও জানি এই জায়গাটাতেও এরকম মানুষের অভাব নেই, এমন অনেক আছে, যারা ফরজ বিধানগুলো মানে না, রিজিকের ক্ষেত্রে হারাম হালালের তোয়াক্কা করে, নিজের চরিত্র, চিন্তা, চোখের বিন্দুমাত্রও হেফাজত করে না, রাগ সংবরন, করে না, রিজিকের সন্ধান করে না, দায়িত্ব কী বুঝে না,ঘরের ভিতর পর্দার সুরত কেমন তা জানেই না, পাত্রী দেখতে যে,তার নিজ পিতা পারবে না, তাও জানে না, দাড়ি রাখারমতো সহজ আমল যারা করে না! সুবহানাল্লাহ তারাও চায় পর্দা মানা কাউকে বিয়ে করতে! সাথে.. সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু একটিবিটিসের কথা বলি, মিলে গেলে, বায়োডাটা এড়িয়ে যাওয়ার অনুরোধ। যার পোস্ট লাইক পড়লে তার আত্মসম্মানে লাগে, সাধারণ পোস্ট বা তারই ছবিতে হাহা রিয়েক্ট পড়লে রাগ উঠে, কয়েকদিন পর পর পিক আপ করতে ইচ্ছে হয়, ( পরিচয় গোপন রেখে তথা পিক আপলোড না করে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করলেই উত্তম) পাবলিক পোস্টে বা প্রত্যেক ফিচার পোস্টে গায়রতহীনভাবে নিজেকে পাত্র হিসেবে হাজির করলে, বা ভাই ব্রাদারদের এহেন কাজে বাধা না দেওয়া হয়। পাবলিক পোস্টে বিয়ে নিয়ে হা হুতাশ করা হয়, বোনদের কমেন্টগুলোতে মুগ্ধ হয়ে লাভ রিয়েক্ট করা হয়,দেদারসে মিউজিক ওয়ালা দ্বীনি বয়ান শেয়ার করা হয় তথা গানকে হারামের মতো আচরণ না করা হয়, বা ক্রিকেট, ফুটবলের মতো জুয়াকে সাপোর্ট করা হয়, ধার্মিক খেলোয়াড়দের, খেলোয়ার তাই আলাদা মোহাব্বাত করা ( খেলা হিসেবে নিজে খেলা, সেটাতে বিরোধ নেই) আর একটা বিষয় হচ্ছে সহশিক্ষা, সহশিক্ষাকে হারাম মনে না করা, উচ্চ শিক্ষা নিয়ে গর্ব করা, বা ছেড়ে দেওয়াকে বোকামি মনে করা.. এবং মোস্ট ইমপর্ট্যান্ট গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হওয়া! তাদের জন্য এই বায়োডাটাটা এড়িয়ে গেলেই মুনাসিব হয়, ইন শা আল্লহ। আর যোগাযোগে আগ্রহী হলে যেন, বায়োডাটা মেইল করে, কারণ দ্বীনদারিতা দেখার জন্য আমার কোনো মাহরাম নেই।তাই এ বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। |
|---|
কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসা
| বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? | হ্যা |
|---|---|
| আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? | হ্যা |
| কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? | হ্যা |
যোগাযোগ
এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।
অভিভাবকের সাথে যোগাযোগসর্বমোট ভিউ: 971 ভিউস