স্থায়ী ঠিকানা | ইচলাদী,উজিরপুর, বরিশাল |
---|---|
বর্তমান ঠিকানা | ইচলাদী, উজিরপুর, বরিশাল |
কোথায় বড় হয়েছেন? (Required) | বাবার চাকরীর সুবাদে জন্ম থেকে কয়েক বছর পটুয়াখালী ছিলাম তারপর থেকে বরিশালেই বড় হয়ে ওঠা। |
বায়োডাটার ধরন | পাত্রীর বায়োডাটা |
---|---|
বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিত |
বর্তমান ঠিকানা | বরিশাল |
বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
স্থায়ী ঠিকানা | বরিশাল |
বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
জন্মসন (আসল) | ২০০১ |
গাত্রবর্ণ | শ্যামলা |
উচ্চতা | ৫'৩'' |
ওজন | ৫২ কেজি |
রক্তের গ্রুপ | O+ |
পেশা | ছাত্র/ছাত্রী |
মাসিক আয় | প্রযোজ্য নয় |
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? (Required) | জেনারেল |
---|---|
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? | হ্যাঁ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান ফলাফল | A |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান বিভাগ | বিজ্ঞান বিভাগ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাসের সন | ২০১৭ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাশ করেছেন? | হ্যাঁ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমানের বিভাগ | বিজ্ঞান বিভাগ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান ফলাফল | A- |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাসের সন | ২০১৯ |
স্নাতক / স্নাতক (সম্মান) / সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা | এইচএসসি এর পর অনার্সে বরিশাল সরকারি হাতেম আলী কলেজে চান্স পাওয়ার পরে আর ভর্তি হওয়া হয় নি পর্দা রক্ষার্থে ফিতনা থেকে বাঁচতে আর প্রোপার্লি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করার উদ্দেশ্যে। ( তবে আবার ফ্যামিলির কথায় ডিগ্রিতে ভর্তি হয়েছিলাম। সেখানে কিছু দিন পড়াশোনা করার পর অবশেষে অনলাইন মাদ্রাসা IOM এর খোঁজ পাই আলহামদুলিল্লাহ তারপর আর কন্টিনিউ করা হয় নি)। আমি চাই আমার সব সময়টা দ্বীনি পড়াশোনায় ব্যয় করতে। |
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম | বরিশাল ওমেন্স কলেজে |
পাসের সন | প্রযোজ্য নয়। |
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা | এইচএসসি |
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা | আসলাফ একাডেমি থেকে কোরআন শুদ্ধিকরণ কোর্স করেছি। Alim course(ongoing) in Islamic Online Madrasa-IOM |
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? | হ্যা |
---|---|
আপনার কোর্সের নাম ও ব্যাচ নম্বর: | আলিম কোর্স। ব্যাচ নম্বর ২৪১১ |
পিতার পেশা | মৃতঃ পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন |
---|---|
মাতার পেশা | গৃহিণী |
বোন কয়জন? | বোন নেই |
ভাই কয়জন? | ১জন |
বোনদের সম্পর্কে তথ্য | বোন নেই। |
ভাইদের সম্পর্কে তথ্য | আলহামদুলিল্লাহ ভাই হাফেজ। বর্তমানে ঝালকাঠি এন.এস কামিল মাদ্রাসায় দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা চলমান। |
চাচা মামাদের পেশা | বাবা চাচা চারজন আলহামদুলিল্লাহ। বড় চাচা মৃত নিজের জমা জমি চাষাবাদ করতেন। মেজো আমার বাবা পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন।পানের ব্যাবসা ছিলো। নিজেদের পানের বরজ ছিলো এবং নিজের জমা জমি চাষাবাদ করতেন। সেজো চাচা মৃত আর্মি ছিলেন। ছোট চাচা নিজ জমা জমি চাষাবাদ করেন। পানের ব্যাবসা আছে (তার নিজেস্ব পানের বরজ আছে)। মামা চার জন সবাই-ই ছোট খাটো ব্যবসার সাথে জড়িত আলহামদুলিল্লাহ। |
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা | মধ্যবিত্ত আলহামদুলিল্লাহ। বসতবাড়ি নিজস্ব। পৌরসভা এবং এর বাহিরে প্রায় এক একর জমি আছে আমাদের। |
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) (Required) | আলহামদুলিল্লাহ আমার পরিবারে দ্বীন পালনে কোনো সমস্যা নেই। বাসার সবাই নামাজী এবং সবাই রেগুলার কোরআন তেলাওয়াত করে থাকে। আম্মু এলাকার মহিলাদের নিয়ে তালিম করতে এবং কোরআন শিখাতে পছন্দ করেন। আমাদের ফ্যামিলি দ্বীনের পথে আসার জন্য আল্লাহর রহমত এবং আমার মায়ের দোয়া, চোখের পানি অবদান সম্পূর্ণ। যদিও আমাদের ফ্যামিলি সম্পূর্ণ জেনারেল, বাবা মা জেনারেল একেবারে খাস দ্বীনদার ফ্যামিলি নয় কিন্তু আমার মা সব সময় চেষ্টায় ছিলেন পরিবারটাকে দ্বীনের পথে এগিয়ে আনতে। তাই ছোট বেলা থেকেই সেভাবে গড়ে তুলার চেষ্টা করেছেন। আমার বাবা না থাকা পরিবারে দায়িত্ববান পুরুষ না থাকায় ফ্যামিলির সব কাজ আমার আম্মুকে করতে হয়।তাই সে খাস পর্দা মেইনটেইন করতে পারেন না তবে চেষ্টায় আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ খাস পর্দা করি। আমার পর্দায় কোনো রকমের কোনো সমস্যা হয় না। এক্ষেত্রে আমার মামারা এবং পুরো ফ্যামিলি যথেষ্ট কেয়ারফুল ও হেল্পফুল আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ। |
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? | জ্বী আলহামদুলিল্লাহ। |
---|---|
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) | একদম ছোট বেলা থেকেই মায়ের সাথে সাথে নামাজ পড়া শুরু। তবে বড় হওয়ার পরে শয়তানের ধোকায় পড়াশোনার চাপে ব্যস্ততায় দুই এক ওয়াক্ত কাযা হয়ে যেতো। গত চার বছর যাবত অতিরিক্ত জরুরত ছাড়া নামাজ কাযা হয় না আলহামদুলিল্লাহ। |
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? | জ্বী আলহামদুলিল্লাহ। |
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? | আলহামদুলিল্লাহ |
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? | কালো বোরখা, ওড়না, নিকাব, হাত-পা মোজা। |
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন (Required) | ইসলামি খেলাফত |
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? | এসব হারাম থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করি। |
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) | আমার জানা মতে নেই আলহামদুলিল্লাহ। |
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) | ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে দৈনিক আমলের একটা গ্রুপ আছে যেটার দায়িত্বে আছি আলহামদুলিল্লাহ। অনলাইনে পরিচিতজনদের ফ্রিতে কোরআন শিখিয়ে থাকি। সুযোগ পেলেই দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ।এ নিয়ে ভবিষ্যতে আমার অনেক প্লান আছে ইন-শা-আল্লাহ। |
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) | না |
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) | কবর যিয়ারত করা সুন্নত। এছাড়া মাজার সম্পর্কে আমার তেমন কোনো ধারনা নেই। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) | বেলা ফুরাবার আগে, আর রাহীকুল মাখতুম, বাইতুল্লাহর মুসাফির। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) | শায়েখ আহমাদুল্লাহ, মিজানুর রহমান আজহারী, আবু ত্বহা আদনান, মুফতি আনিসুর রহমান আশরাফী, |
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) | জেনারেল পড়াশোনা অবস্থায় কম্পিউটার আইটি কোর্স করেছিলাম। সেলাই মেশিনের কাজ পারি। হাতের কাজ, সুঁই সুতার মাধ্যমে থ্রেড পেইন্টিং হুপ আর্টের কাজ পারি আলহামদুলিল্লাহ। বরিশাল এবং ঢাকা থেকে সব বিষয়ে মুয়াল্লিমা কোর্স করেছি দু'বার আলহামদুলিল্লাহ। বরিশাল নিজ মুয়াল্লিমা ট্রনিং সেন্টারে ওস্তাদজীর সাথে বেশ কিছু সময় ট্রেনিং করানোর সুযোগ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। নাজেরা বিভাগ এবং কওমি মাদ্রাসায় বাংলা সাবজেক্ট গুলো বেশ দীর্ঘ দিন ক্লাস নেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। |
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন | আমি আল্লাহর অত্যান্ত নগন্য একজন পাপিষ্ঠ বান্দী। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় গুলোর মধ্যে বেশ কিছু সময় বেপর্দায় চলে গেছে আল্লাহুম্মাগফিরলি। তবে চলাফেরা এতোটাও উশৃংখল ছিলো না,শালীনতা বজায় রেখেই চলাচল ছিলো।তখন পর্দা দ্বীন সম্পর্কে তেমন জ্ঞান ছিলো না। তখন নন-মাহরাম সম্পর্কে ধারণা না থাকলেও, সর্বাত্তক নন-মাহরামদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতাম। দ্বীনে ফেরার আগে ছোট বেলা থেকে একটা চিন্তাই ছিলো সফলতা বলতে খুব তারাতাড়ি বাবা-মাকে একটা ভালো অবস্থান দেওয়া, ছোট ভাইটাকে আদর্শ মানুষের মতো মানুষ করা। চাকরির দাড়প্রান্তে গিয়েও ফিরে এসেছি আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আমার আল্লাহর পরিকল্পনা যে আমাকে নিয়ে আরও সুন্দর। তিনি আমার অন্তরকে পরিবর্তন করে দিয়েছেন।এখন আমার একমাত্র ইচ্ছে আখিরাতের সর্বোচ্চ সফলতা হাসিল করা। তাই সেভাবেই জীবনকে সাজাতে চাই ইন-শা-আল্লাহ। আমি একজন প্র্যাকটিসিং মুসলিমাহ।সর্বদা নিজেকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি। নফসের সাথে যুদ্ধে বারবার হেরে যাই আমি, হোঁচট খাই, আবার উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা চলছে প্রতিদিন, উদ্দেশ্য একটাই আমার রবের প্রিয় হবো বলে। ইসলাম সম্পর্কে যতটুকু জানি নিজে মানার চেষ্টা করি এবং অন্যকে জানানোর চেষ্টা করি।উত্তম ইলম উপকারী ইলম শেখার আগ্রহ অনেক বেশি। যে ইলম শিখে নিজে আমলে পরিনত করবো এবং অন্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারবো ইন-শা-আল্লাহ। ইচ্ছে আছে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে প্রতিযোগীতার সাথে ইলম শিখা এবং আমল করা।মানুষের উপকার, হাদিয়া দিতে, খাওয়াতে অসহায়দের সাহায্য করতে অনেক বেশি পছন্দ।খুব বেশি বিলাসিতা আবার কৃপণতাও পছন্দ না। নিরিবিলি থাকতে পছন্দ করি।কারও সাথে ঝগড়া ঝামেলা আমার একদম পছন্দ না। এগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।আমার মধ্যে স্থিরতা আর চাঞ্চলতা মিশানো একটা ব্যক্তিত্ব আছে। আমি কিছু কিছু ক্ষেত্রে একাকিত্ব ও নির্জনতা খুব পছন্দ করি। ( বিশেষ করে ইবাদতের সময়টা)। আবার কিছু ক্ষেত্রে সবার সাথে মিলে একসাথে আনন্দ করতে পছন্দ করি তবে অবশ্যই তা শরীয়তের বিধিনিষেধ মধ্যে থেকে।আমি অনেকটা চাপা স্বভাবের মানে এক্সপ্রেস করতে পারি খুব কম। ছোট বেলা থেকে একা দের এক বাড়িতে বড় হয়েছি। বাবা-মায়েরও বেশ শাসনেের মধ্যে ছিলাম। বাবা মায়ের একটা কথাই ছিলো মানুষের প্রকৃত বন্ধু হচ্ছে বই। আর ছোট ভাইও হিফয পড়াশোনা করার কারনে ছোট বেলা থেকেই ওর দূরে থাকা হয়েছে বেশি।তাই বেশির ভাগ সময়ই আমার একা কেটেছে।সেভাবে কারও সাথে মেশার সুযোগ হয় নি। তাই প্রচন্ড রকমের ইন্ট্রোভার্ট হয়ে গেছি।কেন জানি ছোট বেলা থেকেই আমি মানুষের কথাকে খুব বেশি ভয় পাই। তাই হয়তো মানুষের থেকে দূরে থাকা।খুব সহজে মানুষের সাথে মিশতে পারি না।এর জন্য অনেকই আমাকে ভুল বুঝে এমনকি মাঝে মাঝে বাসার লোকজনেরাও কিন্তু আমি ভিতরে ভিতরে খুব করে মিশতে চাই। তাই আমি চাই আমার জীবনসঙ্গী আমার এই বিষয়টা বুঝুক আমাকে সাপোর্ট করে এটাকে সারিয়ে উঠতে সাহায্য করুক। তবে আমি আমার এই ইন্ট্রোভার্ট, চুপচাপ, কারও সাথে সহজে মিশতে না পারা স্বভাবটাকে মাঝে মাঝেই ইনজয় করি। এই স্বভাবের কারনে আমি অনেক ধরনের পাপ থেকে বেঁচে আছি আলহামদুলিল্লাহ। হারাম রিলেশনশিপ প্রচন্ড রকমের ঘৃনা করি। আল্লাহ আমাকে এ থেকে দূরে রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ। আমি চাই আমার জীবনসঙ্গির চরিত্রও এমন হোক। আলহামদুলিল্লাহ মুটামুটি ম্যাচিউর বলা চলে তবে সঠিক মানুষ পেলে নিজের ভিতরে জমে থাকা সুপ্ত বাচ্চামি গুলো বেরিয়ে আসে।শীতের রাত, আকাশ এবং চাঁদ আমার বরাবরই খুব পছন্দের।বেসিক রান্নাটা মুটামুটি ভালোই পারি তবে কাছের মানুষদের জন্য নতুন নতুন আইটেমের খাবার রান্না করে খাওয়াতে ( যদিও পারফেক্টলি হয় না) এবং এক্সপেরিয়েন্স নিতে ভালো লাগে। গাছ আমার ভীষণ পছন্দের। যেখানে দুনিয়াবী আলোচনা ছাড়া আর কিছুই হয় না, সে সব থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করি। নতুন পরিবেশে চুপচাপ থাকতে পছন্দ করি। (এডজাস্ট করে নিতে একটু সময় লাগে)। মানুষ হিসেবে আমি প্রথমে তার আখলাকটাকেই প্রাধান্য দেই। যদিও আগে অনেক কম কথা বলতাম তবে এখন মানুষকে দ্বীনি দাওয়াত দেওয়ার উদ্দেশ্যে,নিজে থেকে কথা বলার ট্রাই করি এবং যার কাছ থেকে উত্তম কিছু শিখা যাবে বলে মনে হয় তার সাথে কথা বলার সুযোগ খুঁজি। আমি মানুষের কাছ থেকে মুখে সামান্য একটু হাসি ভালোবাসা আর ভালো ব্যবহার পাওয়ার প্রত্যাশী সব সময়।কেউ কটু কথা বললে কিংবা রাগ দেখালে অল্পতেই খুব বেশি কষ্ট পাই। আমার উপর কেউ রাগ দেখালে কারও সামনে ইনসাল্ট করে কথা বললে আমি এটা সহজে একদমই মেনে নিতে পারি না, খুব কষ্ট হয় কান্না পায় অনেক খারাপ লাগে। এ নিয়ে ভাবতে ভাবতে বেশ খানিকটা সময় অস্থিরতায় চলে যায়।(কোনো একটা বিষয় ছোট হোক কিংবা বড় সেটা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি কথাকথি একদম একদমই আমার পছন্দ না)। যেহেতু নিজে এ ব্যাপারটা মেনে নিতে পারি না তাই আমি সব সময় চেষ্টা করি কারো ওপর রাগ না দেখাতে। তবে কাছের মানুষের উপর অভিমানটা একটু বেশিই হয়।( কারন আমার আর কোনো জায়গা নেই অভিমান করার। আমি খুব কেয়ারিং প্রিয় একজন মানুষ))। কোন ব্যাপারে কষ্ট পেলে ,তখন কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হয় না বরং চুপচাপ থাকতে ভালো লাগে। এমন এক জন জীবন সঙ্গী চাই, এমন একটা ফ্যামিলি চাই যে/যারা আমাকে বুঝবে, আমার এ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চাওয়া পাওয়াকে প্রাধান্য দিবে।আমি চাই উত্তম জীবন সঙ্গীর সাথে উত্তম একটা ফ্যামিলিও আসুক আমার জীবনে। আমি কোনো পরিবারে বউ হয়ে যেতে চাই না বরং তাদের ঘরে একটা মেয়ে হিসেবে যেতে চাই। তারা আমাকে তাদের মেয়ের মতো করে মানিয়ে নিয়ে ভালোবাসা দিয়ে তাদের মনের মতো করে গড়ে উঠাক আমাকে। হারিয়ে যাওয়া বাবার বদলে আবার একজন বাবার আদর ভালোবাসা পাওয়ার প্রত্যাশী আমি। যদি আমার রব ভাগ্যে রেখে থাকেন।শুনে থাকি শাশুড়ী নাকি মায়ের মতো হয় না কিন্তু আমি তো মহান রবের কাছে শাশুড়ী চাই না দ্বিতীয় একজন মা চাই। সর্বশেষ আমি এমন একটা পরিবার চাই যাদের সোহবতে থাকলে নিজেকে নিত্য নতুন করে পরিবর্তন করতে পারবো ইন-শা-আল্লাহ। প্রিয় মানুষের সাথে প্রিয় একটা ফ্যামিলিও আসুক আমার জীবনে।আমি খুবই অলস অগোছালো তবে উৎসাহ পেলে আমি সব করতে পারি। অন্যতম একটা স্বপ্ন বাসার মধ্যে মসজিদের পরিবেশে একটা শান্তির কর্নার তৈরি করা।যে জায়গাটা হবে শুধু ইবাদতের স্থান এবং যেখানে থাকবে ছোট্ট একটা লাইব্রেরী। বাসায় মেহমান আসলে হাদিয়া স্বরূপ দেওয়া হবে বই ইন-শা-আল্লাহ।আমার একটা জান্নাতি পরিবার হোক। যেখানে সব কিছু হবে আল্লাহর সন্তুষ্টিকে ঘিরে। ভালোবাসা গুলো হবে নবীজি (সঃ) কে ঘিরে। এই জান্নাতি পরিবার থেকে গড়ে উঠবে মোহাম্মদ বিন কাসিম, সালাউদ্দিন আইয়ুবির মতো বীর পুরুষ ইন-শা-আল্লাহ। একটাই ইচ্ছা জীবন সঙ্গীর সাথে সর্ব প্রথম ভ্রমন বায়তুল্লাহর মেহমান হওয়া। আল্লাহর সৃষ্টি ঘুরে দেখার। জীবনসঙ্গী হিসেবে এমন এক জনকে চাই যার হাত ধরে জান্নাতুল ফেরদাউস এ যেতে পারব। ইনশাআল্লাহ। |
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন | প্রযোজ্য নয় |
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? | হানাফি |
নজরের হেফাজত করেন? (Required) | চেষ্টা করি |
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? | একজন আদর্শ মা হয়ে একটি আদর্শ দ্বীনি পরিবার গঠন করার স্বপ্ন দেখি এবং আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত সন্তানদেরকে উত্তম শিক্ষায় এমনভাবে বড় করতে চাই, যেন তারা এই উম্মাহর খিদমতে কাজ করতে পারে।যারা হবে খালিদ বিন ওয়ালিদ, সালাউদ্দিন আইয়ুবী, সুমাইয়া (রাঃ) মতো মহীয়সী এবং হযরত ওমর (রাঃ) এর মতো শাসক। যারা সবলকে প্রতিরোধ করবে আর দূর্বলের হক পৌঁছে দিবে ইন-শা-আল্লাহ। এবং সর্বোপরি আমাদের জন্য সাদাকায়ে জারিয়াহ হিসেবে গড়ে ওঠে ইন-শা-আল্লহ। এছাড়া নিজেরও দ্বীনের দাওয়াত বা দ্বীনি ফিল্ডের খিদমতে থাকার ইচ্ছা আছে ইন শা আল্লহ। সর্বোপরি নিজেও উত্তম ইলম উপকারী ইলম শিখে একজন আলিমা হওয়ার স্বপ্ন বুনি। আল্লাহ তওফিক দান করুক, আমিন। |
অবসর সময় কিভাবে কাটান? (Required) | বিভিন্ন স্কলারদের লেকচার শুনতে শুনতে হাতের কাজ থ্রেড পেইন্টিং এর মাধ্যমে। মাঝে মাঝে কোরআন তেলাওয়াতও করা হয়। |
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? (Required) | বাসার টুকটাক সব কাজই করা হয় আম্মুর সাথে। |
নারী-পুরুষ সমঅধীকার বিষয়টাকে আপনি কিভাবে দেখেন? (Required) | একজন নারী কখনো পুরুষের মতো হতে পারে না আর একজন পুরুষও কখনো নারীর মতো হতে পারে না, সম্পূর্ণ আলাদা দুটো শব্দ, আলাদা দুটি মানুষ। ইসলামে নারীদের যথেষ্ট সম্মান এবং মর্যাদা দিয়েছে যা অন্য কোথাও দেওয়া হয় নাই। তবুও কিছু কিছু মানুষ এটাকে ভুল ব্যাখ্যা দিতে চায়।যারা সমান অধিকার নিয়ে চিল্লা চিল্লি করে তাদের ইসলাম সম্পর্কে জানা দরকার। ইসলামে নারীদের সমান অধিকারের কথা বলা হয় নি বরং নারীদের ন্যায্য অধিকারের কথা বলা হয়েছে। নারীর যেটা প্রাপ্য অধিকার সেটা তার প্রাপ্য। নারীদেরকে সৃষ্টিগত ভাবে আল্লাহ অনেক সম্মানের অধিকারী করেছেন। কিছু মানুষ অধিকার নিয়ে চিল্লাতে চিল্লাতে আল্লাহর তরফ থেকে দেওয়া সম্মান ও মর্যাদাটাই হারিয়ে ফেলতেছেন।+ নারী হচ্ছে ঘরের রানী) সমান অধিকার নিয়ে এরা কেন চাকরানি হতে যাবে!...।আল্লাহ মাফ করুক আমাদের সঠিক বুঝ দান করুক আমিন। |
আপনার ডিভোর্সের সময়কাল ও কারণ | প্রযোজ্য নয় |
---|---|
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? | জ্বী |
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? | বিয়ে রাসূল (সঃ) এর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ।আর মেয়েদের ক্ষেত্রে দ্বীন প্রাক্টিক্স করে এরকম প্রতিটি মেয়ের জন্য একজন একান্ত ব্যক্তিগত মাহরাম দরকার। যে সবসময় ঢাল হয়ে থাকবে সব কিছুর জন্য। দুনিয়া এবং জান্নাতের সঙ্গী নির্বাচন করতে চাই। নিজের ঈমানকে পরিপূর্ণ করতে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:- "যে ব্যক্তি বিবাহ করল সে তার দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করে ফেলল, এখন বাকি অর্ধেকের জন্য সে আল্লাহকে ভয় করুক।” (বায়হাকী, শুআবুল ঈমান, হাদীস: ৫৪৮৬)।মানসিক প্রশান্তির জন্য। বিয়ের মাধ্যমে আমলে তুষ্টি আসে ফলে রবের নৈকট্য হাসিল করা যায়।বিয়ের মাধ্যমে আমার এমন একজন দ্বীনি সঙ্গী হোক যে আমাকে সর্বদা দ্বীনি পথে অটল থাকতে সাহায্য করবে। |
আপনি কি বিয়ের পর চাকরি করতে ইচ্ছুক? | না |
বিয়ের পর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান? (ছাত্রী হলে) | দ্বীনি পড়াশোনার জন্য জেনারেল পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। তাই আমি মৃত্যু পর্যন্ত ত্বলবে ইলম হিসেবে থাকতে চাই ইন-শা-আল্লাহ। IOM থেকে আলিম কোর্স কমপ্লিট করে দাওরায়ে হাদিস কমপ্লিট করার ইচ্ছে আছে ইন-শা-আল্লাহ।আল্লাহ উত্তম রূপে কবুল করে নিক আমিন। আর ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি আর্ট শেখার অনেক ইচ্ছে আছে ইন-শা-আল্লাহ। |
বিয়ের পর চাকরি চালিয়ে যেতে চান? (চাকরিজীবী হলে) | সম্পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে একটা পেইজে ছোট্ট একজন আর্টিস্ট হিসেবে যোগ দিয়েছি কিছু দিন হলো।যদি সেভাবে সাপোর্ট পাই মানুষ মিলে, আমার কাজটাকে সবাই ভালোবাসে তবে কন্টিনিউ করতে চাই বা এই সেলাই পেইন্টিং নিয়ে পরিপূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে হালাল ভাবে কিছু করার ইচ্ছে আছে ইন-শা-আল্লাহ।( এ কাজটা নিয়ে সামনে আগানো একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে এখান থেকে ইনকাম হোক কিংবা আমার পরিশ্রম এটা একটা ভালো কাজে ব্যয় করা আল্লাহ কবুল করে নিক আমিন) বাকিটা আল্লাহ ভরসা। এছাড়া দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে যদি খেদমত করার সুযোগ আসে তবে অবশ্যই ইন-শা-আল্লাহ খেদমত করতে চাই। |
বিয়েতে কেমন মোহরানা নির্ধারন করতে চান? | ছেলের সাধ্যমত আলোচনা সাপেক্ষে |
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? | সবক্ষেত্রেই ছাড় দিতে রাজি আছি |
আপনার স্বামীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? | ইসলাম স্বামীর প্রতি যেসব দায়িত্ব পালন করতে ও হক্ব আদায় করতে নির্দেশ দেয় সেসব পালন করার চেষ্টা করব ইন শা আল্লাহ।তার সব কিছুর দেখভাল করা, কি পছন্দ করেন আর করেন না সেদিকে খেয়াল রাখা, তিনি যেন সন্তুষ্ট থাকেন সেদিকে নজর রাখা,হালাল ইনকামে সন্তুষ্ট থাকা, অল্পতে তুষ্ট হওয়া।, তার মানসিক শান্তি কারন হওয়া।তার অনুপস্থিতিতে আমানত রক্ষা করা , মোট কথা শরীয়ত সম্মত সমস্ত দায়িত্ব এবং আদেশ পালন করতে চাই ইন-শা-আল্লাহ।এক কথায় আমি তার অধীনে বাধ্যগত আর্দশ স্ত্রী হয়ে থাকতে চাই। |
আপনার আহলিয়ার পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? | হ্যা |
বিয়ের পর কোথায় থাকতে চান? | স্বামীর বাড়ি |
বয়স (Required) | ২৪-২৯ |
---|---|
গাত্রবর্ণ | কালো,সাদা যাই হোক শুধু প্রতারক আর চরিত্রহীন না হোক। |
নূন্যতম উচ্চতা | ৫" ৮' থেকে হলে ভালো হয়। |
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা | গ্রাজুয়েশন কম্পিলিট বা শেষ পর্যায়ে আছেন । তবে চাই এমন একজনকে যিনি আমৃত্যু দ্বীনি ইলম অর্জনে লেগে থাকবেন ইন শা আল্লাহ। জেনারেল হলে অনলাইন /অফলাইনে কোনো দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকলে ভালো হয়। IOM প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছেন এমন হলে ভালো হয়। |
বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিত |
জীবনসঙ্গীর দাড়ি বা ইনকাম সম্পর্কে যা চান- (Required) | সুন্নতি দাড়ি ( বাবার চাপ দাঁড়ি ছিলো এক্ষেত্রে এই দাড়ির প্রতি একটু আকৃষ্ট)। ইনকাম অবশ্য অবশ্যই সুদ ঘুস মুক্ত ১০০% হালাল হতে হবে। |
পেশা (Required) | যেকোন হালাল ও সম্মানজনক পেশা।হারামের সম্পৃক্ততার সুযোগ আছে এমন ক্ষেত্র ছাড়া। পেশা যেমনই হোক অবশ্যই ১০০% হালাল হতে হবে। স্টুডেন্ট হলে (দায়িত্ব নিতে পারবেন এমন) অনার্স/ কওমি শেষ পর্যায়ে এমন। তবে স্টুডেন্ট হিসেবে মেধাবী হোক এমনটাই আশা করছি বাকিটা আল্লাহ ভরসা। অথবা পুরোপুরি স্টুডেন্ট পড়াশোনা শেষ পর্যায়ে/মাঝামাঝি আপাতত একটা উত্তম ক্যারিয়ারের দিকে ফোকাস করতেছেন দায়িত্ব নিতে পারবেন না। কিন্তু শুধু মাত্র চরিত্র হেফাজতের জন্য বিয়ে করতে চাচ্ছেন। যে যার জায়গায় থেকে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবে এমন হলেও সমস্যা নেই। তবে সেক্ষেত্রে কিছু শর্ত প্রযোজ্য। আগ্রহীকে জানানো হবে। |
অর্থনৈতিক অবস্থা | স্বচ্ছল |
পারিবারিক অবস্থা (Required) | দ্বীনদার, মার্জিত, ক্ষমাকারী, উত্তম আখলাকের অধিকারী। সমাজে সম্মানিত, দ্বীন প্রাকটিস করতে সাহায্য করবে এমন।আমি নিজের জন্য এমন একটা পরিবার চাই যাঁরা দ্বীনের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সচেতন এবং যথাযথভাবে প্র্যাক্টিসিং, পর্দা এবং নন - মাহরাম মেইনটেইন করার ব্যাপারে পরিপূর্ণ সাপোর্টিভ, সামাজিকভাবে সম্মানিত, উত্তম আখলাকের অধিকারী, আমার পরিবারকে যথাযথ সম্মান দিবেন এবং দুইটা পরিবারের বন্ধন এমন হোক যেনো প্রত্যেকেই প্রত্যেকের বন্ধু। যে পরিবারটার দিকে তাকালে বা ভাবলে মানসিক শান্তি অনুভব হয় এমন। আমার বিশ্বস্ত দ্বিতীয় আর একটা জায়গা/ পরিবার। এবং সর্বোপরি আমাকে নিজের মেয়ের মত পরিবারের একজন হিসেবে আপন করে নিবেন ইন শা আল্লহ। |
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন | নামধারী কোনো হাফেজ আলেম নয় বরং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আত এর অন্তর্ভুক্ত কোনো হাফেজ আলেমকে পাওয়ার যোগ্যতা বা উপযুক্ত কোনো ইলম, আমল আমি মনে করি আমার মাঝে নেই।( বাকিটা আল্লাহ দয়া করে মায়া করে এমন একজনকে যদি জীবনসঙ্গী হিসেবে দেন তবে আল্লাহর কাছে শুকরিয়ার শেষ থাকবে না)। তাই আমার মতে জেনারেল থেকে ফিরে আসা এমন একজন আসুক যে আমার থেকে বেশি উত্তম উপকারী ইলমের অধিকারী। নূন্যতম ফরজে ইলম পরিমান ইলম থাকতে হবে এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের দলের অন্তর্ভুক্ত এবং অনুসারী। যার থাকবে দ্বীনের প্রতি অধিক ভালোবাসা আর দ্বীনি ইলম শেখার প্রতি তীব্র আকাঙ্খা। যার সমস্ত পরিকল্পনা হবে আখিরাত মুখি। সে আসুক আমার শিক্ষক হয়ে যিনি আমাকে দ্বীনি শিক্ষা দিবেন, যার মাধ্যমে দ্বীনের গভীরে পৌঁছাতে পারবো, যে আমাকে দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করতে সম্পুর্ন ভাবে সাহায্য করবেন!..আমি জেনারেল পড়ুয়া একজন অসহায় প্রাকটিসিং মুসলিমাহ, আমি দ্বীনের বেপারে বড্ড অজানার মধ্যে আছি। আমি কোনো দ্বীনি প্রতিষ্ঠান থেকে আসিনি, আমি কোনো আলেমা নই হাফেজা ও নই, তবে আমি খানিকটা চেষ্টা করে যাচ্ছি, কিন্তু আমি তার ছাত্রী হয়ে আমি তেমন করেই নিজেকে তৈরি করতে চাই যেমন টা আমার রব আমাকে চান। সে কি পারবেন না এই মহান দায়িত্ব টা নিতে? নিশ্চয়ই পারবেন কেননা আমরা তো রবের জান্নাতে যেতে প্রস্তুত হতে চাইবো তাইনা? তবে সে কিভাবে আমাকে অপ্রস্তুত রেখে দিবেন!... সে আসুক আমার গাইড লাইন হয়ে যিনি আমাকে ইলম অর্জনে কঠোর শাসন করবেন! আমি জেনারেল পড়ুয়া সাঁতার না জানা এক বিশাল সমুদ্রে ডুবন্ত মুসলিমাহ, আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি তবে আমি তো সাঁতার জানি না, সে আসুক আমার জীবনে নৌকা হয়ে, আমাকে নিজের দায়িত্বে তুলে নিয়ে পাড়ি দিবেন রবের রহমতে ঘেরা জান্নাতের লক্ষ্যে! সে আসুক চাদর হয়ে যিনি আমাকে পর্দায় মুড়িয়ে রাখবেন, সকল প্রকার ফেতনা থেকে রক্ষা করবেন! সে আসুক গায়রত নিয়ে, যিনি নিজেও নন-মাহরাম মেইনটেইন এর সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবেন আর আমাকে নন-মাহরাম মেইনটেইনে সাহায্য করবেন। এবং সে হোক সৎ, বিনয়ী, তাকওয়াবান শতভাগ হালাল উপার্জনকারী।অতিরিক্ত জরুরত ছাড়া মাস্ট জামাতে নামাজ আদায়কারী। মাস্ট কোরআন সহীহ শুদ্ধ ভাবে পড়তে পারেন এবং দৈনিক কোরআন তেলাওয়াতের অভ্যাস থাকতে হবে মাস্ট মাস্ট। টাখনুর উপরে কাপড় পরিধানকারী। উম্মত নিয়ে ফিকির করেন এমন মন মানসিকতা থাকতে হবে। সকলের হক্বের ব্যাপারে সচেতন দায়িত্ববান ও দৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। বিশেষ করে যিনি মা-বাবা এবং স্ত্রী উভয়দিকেই যার যার প্রাপ্য অধিকার ও সম্মান দিয়ে ম্যানেজ করে চলাতে পারবেন এবং স্ত্রীর অসম্মান বা অন্য যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তার পাশে শক্ত হাতে ঢাল হয়ে দাঁড়াতে পারবেন ইন-শা -আল্লহ। আজকাল এ ব্যাপারটায় অনেকে ভুক্তভোগী, তাই উল্লেখ করাটা বেশ জরুরি মনে হলো। এটাকে নেগেটিভলি না নেওয়ার অনুরোধ রইলো। আর আমার দিক থেকেও অবশ্য অবশ্যই সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে স্বামীর মা-বাবা এবং পরিবারের সম্মান ও হক্ব যথাযথভাবে আদায় করার এবং সবাইকে আপন করে নিয়ে মিলেমিশে থাকার ইন -শা-আল্লহ।আমি এটাই চাই। আল্লাহ তওফিক দান করুক আমিন। উপযুক্ত গায়রতসম্পন্ন (উপযুক্ত বলার কারণ হলো অনেকে গায়রত শব্দের অপব্যবহার করে জুলুমের পর্যায়ে নিয়ে যান, এমনটা কাম্য নয়)। স্ত্রী হিসেবে আমাকে এবং সেইসাথে আমার মা- মামাদের,ভাইসহ পরিবারের সবাইকে যথাযথ সম্মান / স্নেহ ভালোবাসা দিতে হবে।আমার ফ্যামিলি সম্পর্কে সব কিছু জেনে তিনি অভিযোগকারী না হয়ে যেনো সংশোধক হন। আর যেটা খুব করে চাই এমন একজন দায়িত্ববান মানুষ আসুক যিনি আমার পরিবারে বড় ছেলে হয়ে আসবেন। আমার ছোট্ট ভাইটার ভালো মন্দ জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপ ভুল আর সঠিক এর পার্থাক্য ধরিয়ে দিয়ে নসিহত করবেন ওর পাশে থাকবেন। বড় ভাই হয়ে মিষ্টি শাসন ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবেন ইসলামের পথে।আমি আমার পরিবার, আমার ছোট ভাই, মা, মামাদের ভীষণ ভালোবাসি। আমার জীবনটা এদের মধ্যেই আবদ্ধ এর বাহিরে আমার আলাদা কোনো জগত নেই তাই আশা রাখছি তিনি আমার এই ভালোবাসার প্রতি যথেষ্ট সম্মান ভালোবাসা ও সাপোর্ট দিবেন ইন-শা-আল্লাহ।আশা রাখছি আমার ফ্যামিলিতে তার ও তার ফ্যামিলির সম্মান শ্রদ্ধা ভালোবাসার কমতি হবে না ইন-শা-আল্লাহ বরং ফাস্ট প্রায়োরিটিতেই থাকবেন। আমি নিজের খুব একটা যত্ন নিতে পারি না। তাই আমি জীবনসঙ্গী হিসেবে এমন কাউকে চাই যিনি আমার যথেষ্ট কেয়ার করবেন, বন্ধুর মতো যথাসম্ভব আমাকে বোঝার চেষ্টা করবেন; এককথায় যিনি আমাকে সব পরিস্থিতিতে সামলাতে পারবেন। দিনশেষে আমার জন্য একটা শান্তি ও নির্ভরতার জায়গা হবে ইন শা আল্লাহ। আর আমাকে একদম কড়া কথা বলতে পারবেন না কিন্তু হুম। কিছুটা ফিটনেস স্বাস্থ্য সচেতন হলে খুব ভালো হয় ইন শা আল্লহ। আমার এদিকে বেশ আগ্রহ আছে। আমার কাছে যেকোনো মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য উত্তম চরিত্রের মর্যাদা অনেক বেশি। মোটকথা সচ্চরিত্র, উত্তম আখলাক এবং সর্বোপরি মেন্টালিটি ম্যাচ হওয়া আমার কাছে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কোনোভাবেই দায়িত্বজ্ঞানহীন, ব্যক্তিত্বহীন, বদমেজাজী, ডমিনেটিং (অভিভাবক হিসেবে প্রয়োজনে শাসন করা আর সব ক্ষেত্রে একটা ডমিনেটিং মনোভাব দেখানো কখনোই এক না)। দু'বেলা না খেয়ে থাকতে রাজি কিন্তু মানসিক অশান্তি আল্লাহ মাফ করুক। টাকাপয়সা, গাড়ি-বাড়ির চেয়েও মানসিক শান্তি অর্থাৎ মেন্টাল সাপোর্টটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি তার কাছে মানসিক শান্তি ছাড়া আর কিছুই চাইবো না। তাই কারোর যদি এমন ভাবনা থাকে যে - শুধু ভরণপোষণ দেওয়া অব্দিই স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব বা হক্ব শেষ; তার ইমোশনাল নিড বা এক্সপেক্টেশনের কোনো দাম নেই, তাহলে নক করবেন না প্লিজ। বি.দ্র: লিখা গুলো বেশ বড় হয়ে যাওয়ার জন্য দুঃখিত। তবে আমি মনে করি এখানে আমার এক্সপেক্টেশনের ব্যাপারে একদম ক্লিয়ার একটা ধারণা দেওয়া জরুরি, যাতে কেউ আগ্রহী হলে সবটা বুঝেশুনে চিন্তা করে এরপর আগাতে পারেন ইন শা আল্লহ। বিয়ের পর এসব নিয়ে ঝামেলা হওয়ার চেয়ে আগেই ক্লিয়ার নেওয়া উত্তম। তাই যথাসম্ভব প্রায় সবকিছুই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি প্লিজ কেউ খারাপভাবে নিবেন না ইন শা আল্লহ। |
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? (Required) | বরিশাল জেলা থেকে যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো এমন যেকোনো জেলা। দ্বীনদারিতা বেশি প্রাধান্য পাবে। |
পেশা সম্পর্কিত তথ্য (Required) | প্রযোজ্য নয়। |
---|---|
বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান | আমার বাবা জীবদ্দশায় দুটি বিবাহ করেন। আমরা দুই ভাই-বোন আমার বাবার দ্বিতীয় বিবাহের সন্তান। বাবা থাকা অবস্থায়-ই আমার ভাই সহ বাকি সব বড় ভাইদের আলাদ আলাদা বাড়ি ঘরের ব্যবস্থা করে রেখে গেছেন। সবাই সবার মতো আলাদা, ভালো আছেন। বাবার পেনশনের টাকা আমার দুই আম্মু ভাগ করে পেয়ে থাকেন। এছাড়া আমাদের ফ্যামিলির যাবতীয় খরচ সহ দেখভাল মামারাই করে থাকেন।* আমাদের বাড়ির দরজা নেই। বরিশাল টু ঢাকা হাইওয়ে থেকে আমাদের বাসায় যেতে ৩-৪ মিনিট লাগে। হাইওয়ে থেকে কিছুটা রাস্তা হওয়ার পরে বাবা আল্লাহর মেহমান হয়ে যান। সেক্ষেত্রে গার্ডিয়ান না থাকায় রাস্তাটা আমরা আর করাতে পারি নি। তবে আমাদের চলাচলে কোনো সমস্যা হয় না আলহামদুলিল্লাহ। রাস্তা থেকে বাড়িতে যেতে সবই বাপ চাচা ফুফুদের সম্পত্তি। *সত্যি বলতে বাঁধা নেই। আমাকে আল্লাহ অতিরিক্ত সম্মানিত এবং দ্বীনদার বংশে জন্ম হওয়ার সৌভাগ্য দিয়ে পাঠান নি তবে আলহামদুলিল্লাহ যতটুকু দ্বীনি পরিবেশ পেয়েছি আম্মুর জন্য আর বাবার কড়া শাসনের জন্য।★আর একটা কথা বলে রাখা খুব জরুরি কোনো ধরনের উপঢৌকন কিংবা মেয়ের খুশির নামে কোনো দায় চাপিয়ে দিবেন এমন কাউকে চাই না।*আমি আমার সম্পর্কে মুটামুটি ক্লিয়ার একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি তাই আমার আর আমার পরিবার সম্পর্কে ভালো করে জেনে বুঝে এস্তেখারা করে যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি এছাড়া অযথা কেউ যোগাযোগ করবেন না প্লিজ।*যোগাযোগের ক্ষেত্রে আগে বায়োডাটা ইমেল করে পাঠানোর অনুরোধ রইলো।★ যদি বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে রিকোয়ারমেন্ট থাকে, জীবনসঙ্গী দেখতে সুন্দর হতে হবে। তবে তাদের জন্য এই বায়োডাটা না।★★★পর্দা দ্বীনদারিতা,চরিত্রের ব্যাপারে আমি এক চুল পরিমানও ছাড় দিতে রাজি নই। কিছু মানুষ দ্বীনদার বলতে বুঝেন শুধুমাত্র হুজুরদের কে কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, "সব হুজুর দ্বীনদার না আর সব দ্বীনদার হুজুরও না"। আমি প্রকৃত পক্ষে একজন দ্বীনদার জীবন সঙ্গী চাই যিনি তার আহলিয়াকে মুক্তোর মতো লুকিয়ে রাখবেন দুনিয়ার সকল ফেতনা থেকে। ★★★ নিচের শর্তগুলো মানতে রাজি থাকলে যোগাযোগ করবেন ইনশাআল্লাহ, ১।পাত্র পক্ষ থেকে ছেলে ব্যতিত কোন পুরুষই পাত্রীকে দেখতে পারবেনা। পাত্রীকে শুধু পাত্র এবং পাত্র পক্ষের মহিলারাই দেখতে পাবে। ২। পাত্রী দেখতে হলে সরাসরি এসে দেখতে হবে এবং পাত্রী দেখার আগে বা পরে পাত্রীর কোনো ছবি বা ভিডিও কলে দেখা যাবে না। ৩।বিয়ে হবে সম্পূর্ণ সুন্নাহ অনুযায়ী মসজিদে। ৪।সামর্থ্য অনুযায়ী যতটুকু মহোরানা ধার্য হবে, বিয়ের দিনই সম্পূর্ণ আদায় করতে হবে। |
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? | হ্যা |
---|---|
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? | হ্যা |
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? | হ্যা |
এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।
অভিভাবকের সাথে যোগাযোগসর্বমোট ভিউ: 1830 ভিউস