male

বায়োডাটা নাম্বার

AH-105289

পাত্রের বায়োডাটা

অবিবাহিত

নরসিংদী

ঢাকা বিভাগ

চাঁদপুর

চট্টগ্রাম বিভাগ

১৯৯৮

শ্যামলা

৫'৫''

৫১ কেজি

A+

ছাত্র/ছাত্রী

নেই


ঠিকানা
স্থায়ী ঠিকানা মতলব উত্তর,চাঁদপুর
বর্তমান ঠিকানা নরসিংদী সদর,নরসিংদী
কোথায় বড় হয়েছেন? ২০০৯সাল থেকে নরসিংদী,এরআগে চাঁদপুর ছিলাম
সাধারণ তথ্য
বায়োডাটার ধরন পাত্রের বায়োডাটা
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
বর্তমান ঠিকানা নরসিংদী
বিভাগ ঢাকা বিভাগ
স্থায়ী ঠিকানা চাঁদপুর
বিভাগ চট্টগ্রাম বিভাগ
জন্মসন (আসল) ১৯৯৮
গাত্রবর্ণ শ্যামলা
উচ্চতা ৫'৫''
ওজন ৫১ কেজি
রক্তের গ্রুপ A+
পেশা ছাত্র/ছাত্রী
মাসিক আয় নেই
শিক্ষাগত যোগ্যতা
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? মাদ্রাসা
আপনি কি হাফেজ? হ্যাঁ
দাওরায়ে হাদীস পাশ করেছেন? হ্যাঁ
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা তাখাসসুস ফিল ফিকহ ওয়াল ইফতা
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা আলিম ১ম বর্ষ
IOM তথ্য
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? না
পারিবারিক তথ্য
পিতার পেশা সরকারি চাকুরিজীবী
মাতার পেশা গৃহিণী
বোন কয়জন? ২জন
ভাই কয়জন? ১জন
বোনদের সম্পর্কে তথ্য ১|বড় বোন বিবাহিত(ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার),দুই ছেলে আছে আলহামদুলিল্লাহ।দুলাভাই কর্পোরাল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ২|ছোট বোন আইওএম এ আলিম প্রিপারেটরী কোর্স ২৪১১ব্যাচ অধ্যয়নরত।
ভাইদের সম্পর্কে তথ্য ১|বিএসসি ইন কন্সট্রাকশন ইন্জিনিয়ারিং,আটলান্টিক টেকনিকেল ইউনিভার্সিটি,আয়ারল্যান্ড।অবিবাহিত।
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা সচ্ছল ও সামাজিক অবস্থা সম্মানিত
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) আলহামদুলিল্লাহ ভালো,সকলেই যথা সম্ভব দ্বীন মেনে চলেন, পরিবারে দ্বীনি বিষয় সম্পর্কে সকলে যত্নবান আলহামদুলিল্লাহ।
ব্যক্তিগত তথ্য
সুন্নতি দাঁড়ি রয়েছে কি? জি।
পায়ের টাখনুর উপরে কাপড় পরেন? জি।
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? জি।
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? ছোট থেকে।
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? জি।
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? জি।
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? জুব্বা,পায়জামা,পান্জাবী,টুপি
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন খিলাফাহ আলা মিনহাজিন নবুয়্যাহ
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? জি না।
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? চোখে চশমা পড়তে হয়।
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? জি।
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? জি না।
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? মাজার জিয়ারত করা জায়েজ।প্রচলিত সব বিদআত শিরকের পর্যায়।
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন ১|গল্পে আঁকা মহীয়সী খাদিজা(রা.), ২|পূন্যের সন্ধানে, ৩|আরব্য রজনীর নতুন অধ্যায়।
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন ১|মাওলানা যোবায়ের হুসাইন (হাফি.) ২|উস্তাদ যোবায়ের আল হাসান(হাফি.) ৩|শায়েখ তামিম আল আদনানি (হাফি.)
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) মেহনত করার যোগ্যতা আছে আলহামদুলিল্লাহ।
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন আমি নিজেকে অতি নগণ্য মনে হয়। "সময় সীমিত,তাকদীর নির্ধারিত,রিজিক বন্টিত।" দুনিয়া হলো আখিরাতের জন্য সঞ্চয়ের স্থান।যে যা সঞ্চয় করবে সে তাই পাবে। এই সীমিত সময়কে কাজে লাগিয়ে অনন্ত অসীম সময়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়াই আশা।জান্নাতের সবুজ পাখি হওয়া জীবনের একমাত্র লক্ষ। আমার সঙ্গি এমন একজন হবে যে আমার সাথে এই সামান্য সময়ের সফর শেষ করে জান্নাতের বাগানে সবুজ পাখি হয়ে একত্র হবে।(ইনশাআল্লাহ) সকল ক্ষেত্রে কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী জিবন পরিচালনা করা। কুরআন সুন্নাহকে শুধু গতানুগতিক ধর্মিয় পুস্তক নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসাবে গ্রহন করা। নববী মানহাজ অনুযায়ী দ্বীন কায়েমের সংগ্রামে আমরন নিজেকে নিয়োজিত রাখব। ইনশাআল্লাহ একজন সফর সঙ্গির অপেক্ষা......... আল্লাহ সহজ করুন....আমীন।
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন প্রযোজ্য নয়
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? হানাফি
নজরের হেফাজত করেন? হ্যা
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? আমাদের গ্রামে স্কুল মাদ্রাসার সমন্বয়ে একটি দ্বীনি মারকায তৈরি করে বিদআতের অন্ধকার দূর করে গ্রামকে আলোকিত করা।
অবসর সময় কিভাবে কাটান? বাড়িতে থাকলে পরিবারের সাথে সময় কাটাই।
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? পরিবারের সদস্যদের কাজে সাহায্য করি (বাড়িতে থাকলে)।
বিয়ে সংক্রান্ত তথ্য
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? জি।
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? রাসুলের(সা.)সুন্নাহ
বিয়ের পর স্ত্রীর পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? জি,ইনশাআল্লাহ।
বিয়ের পর স্ত্রীকে পড়াশোনা করতে দিতে চান? দ্বীনি পড়াশোনা করতে পারবে।
বিয়ের পর স্ত্রীকে চাকরী করতে দিতে চান? জি না।
বিয়ের পর স্ত্রীকে কোথায় নিয়ে থাকবেন? পরিবারের সাথে।
বিয়ে উপলক্ষে আপনি বা আপনার পরিবার পাত্রীপক্ষের কাছে যৌতুক বা উপহার বা অর্থ আশা করবেন কি না? জি না, নাউজুবিল্লাহ।
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? আর্থিক অবস্থা ও জেলা
বিয়ের পর স্ত্রীর ভরনপোষন চালাতে পারবেন? হ্যা
আপনাার স্ত্রীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? সুখকর দাম্পত্য জীবন, সুশৃঙ্খল পরিবার, পরার্থপরতায় ঋদ্ধ ও সমৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন অটুট রাখার স্বার্থে ইসলাম জীবন সঙ্গী স্বামীর উপর কতিপয় অধিকার আরোপ করেছে। স্ত্রীর এই অধিকারগুলো স্বামী বুঝিয়ে না দিলে ক্ষেত্র বিশেষ গুনাহগারও হতে হয়। নিম্নে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এখানে প্রদত্ত হল। ১. স্ত্রীর মোহর পরিশোধ করা। এক্ষেত্রে টালবাহানা না করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً এবং তোমরা নারীদেরকে দাও তাদের মোহর খুশিমনে। (সূরা নিসা ৪) ২. বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, أَسْكِنُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ سَكَنتُم مِّن وُجْدِكُمْ তোমরা তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যেরূপ ঘরে তোমরা বাস কর তাদেরকেও সেরূপ ঘরে বাস করতে দেবে। (সূরা তালাক ০৬) ৩. স্বামী যে মানের খায়, স্ত্রীকেও সেই মানের খাওয়ানো এবং স্বামী যে মানের কাপড় পরিধান করে স্ত্রীকেও সে মানের কাপড়চোপড় দয়া। হাদিস শরিফে এসেছে, মু’আবিয়াহ আল-কুশাইরী রাযি. বলেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর নিকট এসে বললাম, আমাদের স্ত্রীদের (হক) সম্পর্কে আপনি কি বলেন? রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন, أطعِمُوهن ممَّا تأكلونَ، واكسوهنَّ ممَّا تكتَسُونَ، ولا تَضرِبوهنَّ ولا تُقَبِّحوهنَّ তোমরা যা খাবে তাদেরকেও তা খাওয়াবে এবং তোমরা যা পরবে, তাদেরকেও তা পরিধান করাবে। তাদেরকে প্রহার করবে না এবং গালিগালাজ করবে না। (আবু দাউদ ২১৪৪) ৪. স্ত্রীর সামনে নিজেকে পরিপাটি রাখা। কেননা, পুরুষরা তাদের সঙ্গিনীকে সুন্দরভাবে দেখতে পছন্দ করে। ঠিক একইভাবে তারা তাদের সঙ্গীকেও সুন্দরভাবে দেখতে পছন্দ করে। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. বলতেন, إِنِّي أُحِبُّ أَنْ أَتَزَيَّنَ لِلْمَرْأَةِ ، كَمَا أُحِبُّ أَنْ تَتَزَيَّنَ لِي الْمَرْأَةُ ، لِأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ : { وَلَهُنَّ مِثْلُ الَّذِي عَلَيْهِنَّ بِالْمَعْرُوفِ } ، وَمَا أُحِبُّ أَنْ أَسْتَنْظِفَ جَمِيعَ حَقِّي عَلَيْهَا ، لِأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ : { وَلِلرِّجَالِ عَلَيْهِنَّ دَرَجَةٌ } আমি আমার স্ত্রীর জন্য পরিপাটি থাকা পছন্দ করি, যেমন পছন্দ করি আমার স্ত্রী আমার জন্য পরিপাটি থাকাকে। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের ওপর অধিকার রয়েছে, তেমনিভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের ওপর, নিয়ম অনুযায়ী।’ আর আমি আমার অধিকার স্ত্রীর কাছ থেকে কড়ায়গণ্ডায় আদায় করে নেয়া পছন্দ করি না। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর নারীদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে।’ (মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবা ১৫৭১২) তবে উক্ত অধিকার নিশ্চিত করার জন্য উভয়কেই হারাম ও নিষিদ্ধ বস্তু হতে বিরত থাকতে হবে। ৫. স্ত্রীর সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, وَعَاشِرُوهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ আর তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে সদাচারণ কর। (সূরা নিসা ১৯) ৬. স্ত্রীর প্রতি সব সময় আন্তরিক থাকা এবং তার ভুলচুকে ধৈর্যধারণ করা। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, واسْتَوْصُوا بالنِّساءِ خَيْرًا؛ فإنَّهُنَّ خُلِقْنَ مِن ضِلَعٍ، وإنَّ أعْوَجَ شَيءٍ في الضِّلَعِ أعْلاهُ، فإنْ ذَهَبْتَ تُقِيمُهُ كَسَرْتَهُ، وإنْ تَرَكْتَهُ لَمْ يَزَلْ أعْوَجَ، فاسْتَوْصُوا بالنِّساءِ خَيْرًا তোমরা নারীদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে। কেননা, তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে পাঁজরের হাড় থেকে এবং সবচেয়ে বাঁকা হচ্ছে পাঁজরের ওপরের হাড়। যদি তুমি তা সোজা করতে যাও, তাহলে ভেঙে যাবে। আর যদি তুমি তা যেভাবে আছে সে ভাবে রেখে দাও তাহলে বাঁকাই থাকবে। কাজেই নারীদের সাথে কল্যাণমূলক কাজ করার উপদেশ গ্রহণ কর। (বুখারী ৫১৮৫) উক্ত হাদিস থেকে বোঝা যায়, নারীর মধ্যে বক্রতার বিষয়টি মৌলিকভাবেই সৃষ্টিগত; অতএব, আবশ্যক হলো সহজসুলভ আচরণ করা এবং ধৈর্য ধারণ করা। ৭. স্ত্রীর বিশেষ চাহিদা পূরণ করার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা। আল মাউসুয়া’তুল ফিকহিয়্যা (৩০/১২৭)-তে এসেছে, من حقّ الزّوجة على زوجها أن يقوم بإعفافها ، وذلك بأن يطأها ، وقد ذهب جمهور الفقهاء – الحنفيّة والمالكيّة والحنابلة – إلى أنّه يجب على الزّوج أن يطأ زوجته ‘স্বামীর ওপর স্ত্রীর অধিকারের মধ্যে অন্যতম হল, স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গমের মাধ্যমে তার পবিত্র জীবন যাপনের প্রতি যত্নশীল হবে। হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি মাযহাবের অধিকাংশ ফকিহর মতে স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া স্বামীর জন্য ওয়াজিব।’ ৮. স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করা। হাদিস শরিফে এসেছে, আসওয়াদ রাযি. থেকে বর্ণিত, আয়েশা রাযি.-কে রাসূলুল্লাহ ﷺ ঘরে তাঁর স্ত্রীদের সাথে কী কী করতেন তা জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি বললেন, كانَ يَكونُ في مِهْنَةِ أهْلِهِ – تَعْنِي خِدْمَةَ أهْلِهِ – فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلَاةُ خَرَجَ إلى الصَّلَاةِ রাসূলুল্লাহ ﷺ স্ত্রীদের কাজে সহযোগিতা করতেন, আর যখন নামাযের সময় হতো তখন তিনি নামাযে যেতেন। (বুখারী ৬৭৬) ৯. স্ত্রীর ধর্ম, দেহ, যৌবন ও মর্যাদায় ঈর্ষাবান ও আত্মমর্যাদাবোধ-সম্পন্ন হওয়া এবং এ সবে কোন প্রকার কলঙ্ক লাগতে না দেওয়া। কেননা, স্ত্রী উত্তম সংরক্ষণীয় ও হিফাজতের জিনিস। লোকের মুখে-মুখে, পরপুরুষদের চোখে-চোখে ও যুবকদের মনে-মনে বিচরণ করতে না দেওয়া; যাকে দেখা দেওয়া তার স্ত্রীর পক্ষে হারাম তাকে সাধারণ অনুমতি দিয়ে বাড়ি আসতে-যেতে না দেওয়া সুপুরুষের কর্ম এবং স্ত্রীর অধিকার। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, إنَّ اللَّهَ يَغَارُ، وإنَّ المُؤْمِنَ يَغَارُ، وَغَيْرَةُ اللهِ أَنْ يَأْتِيَ المُؤْمِنُ ما حَرَّمَ عليه আল্লাহ তায়আলা তার আত্নমর্যাদাবোধ প্রকাশ করেন এবং মুমিনগণও আত্নমর্যাদাবোধ প্রকাশ করে। আল্লাহর আত্নমর্যাদাবোধ উজ্জীবিত হয় যখন মুমিন তা করে যা তিনি হারাম করেছেন। (মুসলিম ২৭৬১) অপর হাদিসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, اَلدَّيُّوْثُ هُوَ الَّذِيْ لَا يُبَالِيْ مَنْ دَخَلَ عَلٰى أَهْلِهِ দাইয়ুস হলো সে ব্যক্তি যে, তার পরিবারের নিকট কে প্রবেশ করল এ ব্যাপারে ভ্রুক্ষেপ করে না। (তাবরানি ১৩১৮০ আততারগিব ওয়াততারহিব ৩৪৭৬) ১০. স্ত্রীকে দ্বীনদারি শিক্ষা দেওয়া। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন, يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ قُوٓاْ أَنفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُودُهَا ٱلنَّاسُ وَٱلْحِجَارَةُ হে ঈমানদাররা, তোমরা নিজেদের ও তোমাদের পরিবার-পরিজনকে রক্ষা করো (জাহান্নামের) আগুন থেকে, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর…। (সূরা তাহরীম ০৬) ১১. স্ত্রীর পরিবার ও বান্ধবীদের প্রতি বদান্যতা ও সুন্দর আচরণ দেখানো। আয়েশা রাযি. বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ যখন বকরী যবেহ করতেন তখন বলতেন, أَرْسِلُوا بِهَا إِلَى أَصْدِقَاءِ خَدِيجَةَ এর গোশত খাদীজার বান্ধবীদের পাঠিয়ে দাও। (মুসলিম ২৪৩৫) ১২. ইসলামী শরিয়তের সীমার মধ্যে থেকে স্ত্রীর মন জয় করা। রাসুলুল্লাহ ﷺ আপন স্ত্রীদের সঙ্গে বিনোদনমূলক আচরণ করেছেন। যেমন, হাদিস শরিফে এসেছে, আয়েশা রাযি. এক সফরে রাসুলুল্লাহ ﷺ -এর সঙ্গে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি তাঁর সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করে তার আগে চলে গেলাম। অতঃপর আমি মোটা হয়ে যাওয়ার পর (অন্য আরেক সফরে) তাঁর সঙ্গে আবারও দৌড় প্রতিযোগিতা করলাম, এবার তিনি আমাকে পেছনে ফেলে দিয়ে বিজয়ী হলেন। তিনি বলেন, هَذِهِ بِتِلْكَ এ বিজয় সেই বিজয়ের বদলা। (আবু দাউদ ২৫৭৮) ১৩. স্ত্রীর গোপন বিষয় বিশেষ করে মিলনসংক্রান্ত বিষয়গুলো কাউকে না জানানো। হাদিস শরিফে এসেছে, আসমা বিনতে ইয়াযিদ রাযি. বলেন, একদা আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর কাছে ছিলাম, আর তাঁর সেখানে অনেক পুরুষ ও মহিলাও বসেছিল। তিনি বললেন, সম্ভবতঃ কোন পুরুষ নিজ স্ত্রীর সাথে যা করে তা (অপরের কাছে) বলে থাকে এবং সম্ভবতঃ কোন মহিলা নিজ স্বামীর সাথে যা করে তা (অপরের নিকট) বলে থাকে? এ কথা শুনে মজলিসের সবাই কোন উত্তর না দিয়ে চুপ থেকে গেল। আমি বললাম, ’জী হ্যাঁ। আল্লাহর কসম, হে আল্লাহর রসূল! মহিলারা তা বলে থাকে এবং পুরুষরাও তা বলে থাকে।’ অতঃপর তিনি বললেন, فَلَا تَفْعَلُوا فَإِنَّمَا مِثْلُ ذَلِكَ مِثْلُ الشَّيْطَانُ لَقِيَ شَيْطَانَةً فِي طَرِيقٍ فَغَشِيَهَا وَالنَّاسُ يَنْظُرُونَ তোমরা এরূপ করো না। যেহেতু এমন ব্যক্তি তো সেই শয়তানের মত, যে কোন নারী-শয়তানকে রাস্তায় পেয়ে সঙ্গম করতে লাগে, আর লোকেরা তার দিকে চেয়ে চেয়ে দেখে। (আবু দাউদ ২১৩৩) ১৪. একাধিক স্ত্রী থাকলে তাদের মধ্যে সমতা বজায় রাখা। রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, مَنْ كَانَتْ لَهُ امْرَأَتَانِ فَمَالَ إِلَى إِحْدَاهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّهُ مَائِلٌ যার দু’জন স্ত্রী আছে আর সে তার মধ্যে একজনের প্রতি অধিক ঝুঁকে পড়ে, সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন অর্ধাঙ্গ অবস্থায় আসবে। (আহমাদ ২৭৫৮৩) ১৫. শাসন ও সংশোধনের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখা। রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, اتَّقُوا اللَّهَ في النِّسَاءِ فَإِنَّكُمْ أَخَذْتُمُوهُنَّ بِأَمَانِ اللَّهِ وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللَّهِ وَلَكُمْ عَلَيْهِنَّ أَنْ لَا يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ أَحَدًا تَكْرَهُونَهُ فَإِنْ فَعَلْنَ ذلك فَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غير مُبَرِّحٍ وَلَهُنَّ عَلَيْكُمْ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ তোমরা স্ত্রীলোকদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা তাদের আল্লাহর আমানত হিসেবে গ্রহণ করেছ এবং আল্লাহর কালেমার মাধ্যমে তাদের লজ্জাস্থান নিজেদের জন্য হালাল করেছ। তাদের উপরে তোমাদের অধিকার এই যে, তারা যেন তোমাদের শয্যায় এমন কোন লোককে স্থান না দেয় যাকে তোমরা অপছন্দ কর। যদি তারা এরূপ করে তবে হালকাভাবে প্রহার কর। আর তোমাদের উপর তাদের ন্যায়সঙ্গত ভরণ-পোষণের ও পোশাক-পরিচ্ছেদের হুকুম রয়েছে। (মুসলিম ১২১৮) ১৬. আল্লাহর কাছে দোয়া করা। কীভাবে দোয়া করতে হবে আল্লাহ আমাদের তা শিখিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَٰجِنَا وَذُرِّيَّٰتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍۢ وَٱجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا ‘হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য চোখের শীতলতা দান করো এবং আমাদের মুত্তাকিদের জন্য আদর্শস্বরূপ করো (সূরা ফুরকান ৭৪) আল্লাহ তাওফীকদাতা। والله اعلم بالصواب উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর শেয়ার / কপি প্রসঙ্গসমূহ: কুরআন ও হাদীসের ব্যাখ্যা পরিবার - আত্মীয়তা বান্দার হক দাম্পত্য জীবন - সংসার মন্তব্য (০) আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার আহলিয়ার পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? হ্যা
আপনি বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় থাকবেন? একক পরিবারে
যেমন জীবনসঙ্গী আশা করেন
বয়স ১৬-২৪
গাত্রবর্ণ শ্যামলা,উজ্জল শ্যামলা,ফর্সা
নূন্যতম উচ্চতা ৫'-৫'৪"
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা মেধাবী-ফরজ পরিমান ইলম জানা থাকতে হবে।
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
জীবনসঙ্গীর পর্দা সম্পর্কে যেমনটা চান- ১০০% পর্দায় থাকতে হবে।পর্দার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
পেশা শিক্ষার্থী বা যেকোনো
অর্থনৈতিক অবস্থা কুফুর সাথে মিল রেখে
পারিবারিক অবস্থা গায়রতওয়ালা কিন্তু অহংকারী না।
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন মেধাবিনী,গায়রতওয়ালা,আত্মমর্যাদাবান,তাকওয়াবান,পর্দার ব্যপারে কঠোর,নারীবাদী হওয়া যাবে না,দ্বীন আর দুনিয়াকে গুলিয়ে ফেলবে না সর্বক্ষেত্রে দ্বীনকে প্রাধান্য দিবে,আড্ডাবাজ মোবাইল আসক্ত হবে না।হালাল হারামকে জীবন মৃত্যুর মত পার্থক্য করবে।
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? চট্টগ্রাম বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগ।
অন্যান্য তথ্য
পেশা সম্পর্কিত তথ্য শিক্ষার্থী
কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসা
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? হ্যা
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? হ্যা
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? হ্যা
যোগাযোগ

এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।

অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ

সর্বমোট ভিউ: 139 ভিউস