স্থায়ী ঠিকানা | গ্রাম: তরিপত্পুর, থানা: দূর্গাপুর, জেলা: রাজশাহী। |
---|---|
বর্তমান ঠিকানা | গ্রাম: তরিপত্পুর, থানা: দূর্গাপুর, জেলা: রাজশাহী। |
কোথায় বড় হয়েছেন? (Required) | নিজ গ্রামে। |
বায়োডাটার ধরন | পাত্রের বায়োডাটা |
---|---|
বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিত |
বর্তমান ঠিকানা | রাজশাহী |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
স্থায়ী ঠিকানা | রাজশাহী |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
জন্মসন (আসল) | ১৯৯৮ |
গাত্রবর্ণ | উজ্জ্বল শ্যামলা |
উচ্চতা | ৫'৩'' |
ওজন | ৫০ কেজি |
রক্তের গ্রুপ | A+ |
পেশা | ফ্রিল্যান্সার |
মাসিক আয় | আলহামদুলিল্লাহ্। একটা পরিবার বিলাসিতাবিহীন স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে যতটুকু দরকার। |
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? (Required) | জেনারেল |
---|---|
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? | হ্যাঁ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান ফলাফল | A |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান বিভাগ | বিজ্ঞান বিভাগ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাসের সন | ২০১৫ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাশ করেছেন? | হ্যাঁ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমানের বিভাগ | কারিগরি / ভোকেশনাল |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান ফলাফল | A |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাসের সন | ২০১৯ |
স্নাতক / স্নাতক (সম্মান) / সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা | BSC in EEE |
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম | Varendra University |
পাসের সন | Running |
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা | BSC Running |
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা | Quranic Arabic Language Course by Professor Mokhter Ahmad. Alim Preparatory Course (IOM)_Running. এইচএসসি। এছাড়াও কিছু ইসলামিক এবং ডিপার্টমেন্টাল কোর্স করা আছে। সরকারি কিছু প্রজেক্টে কাজও করেছি। |
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? | হ্যা |
---|---|
পিতার পেশা | কৃষক। নিজস্ব জমি দেখাশোনা করেন। |
---|---|
মাতার পেশা | রব্বাতুল বাইত (ঘরের রাণী) ছিলেন। (মৃত) |
বোন কয়জন? | ১জন |
ভাই কয়জন? | ভাই নেই |
বোনদের সম্পর্কে তথ্য | বড় আপা। বিবাহিতা। পেশা: গৃহিণী। পড়াশোনা: মাস্টার্স। বরের পেশা: ব্যবসা। নিজ এলাকাতেই বিয়ে হয়েছে। একটা পুত্র সন্তানের জননী। আলহামদুলিল্লাহ। |
চাচা মামাদের পেশা | চাচা দুইজন। পেশা: কৃষক। নিজেদের জমি দেখাশোনা করেন। মামা চারজন। বড় ও ছোট মামা: সরকারী চাকুরীজীবী। মেজো ও সেজো মামা: কৃষক। নিজেদের জমি দেখাশোনা করেন। (আলহামদুলিল্লাহ্)। |
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা | ১২+ শতক জমির ওপর নিজস্ব বসত বাড়ি। ঘেরাও করা মাটির বাড়ি। বাড়ির মধ্যেই রান্নাঘর,ওয়াশরুম সবকিছু। মোট সম্পদ: ১২± বিঘা। এর মধ্যে আবাদি জমি (সকল ধরনের ফসল করা হয়), পুকুর, বাঁশঝাড়, লিচু ও আমবাগান আছে। বাসার পাশে বিভিন্ন ধরনের ফল গাছ আছে। কিছু জমি বর্গা দেয়া আছে। আবাদি ফসল থেকে, পুকুর থেকে (বাৎসরিক প্রায় ১লাখ টাকা), বাগান থেকে (বাৎসরিক প্রায় ৮০± হাজার) টাকা পাই । এগুলোই আয়ের উৎস(আলহামদুলিল্লাহ্)। অর্থনৈতিকভাবে আমার পরিবার স্বচ্ছল ও সামাজিকভাবে সম্মানিত। এলাকায় আমাদের নাম বললে সবাই চিনবেন এবং যথেষ্ঠ সুনাম রয়েছে আমাদের পরিবারের (আলহামদুলিল্লাহ)। সরেজমিনে এসে ঘুরে যেতে পারেন। আমার নিকটজন ও এলাকাবাসী থেকে উক্ত তথ্য যাচাই করলে ইনশাআল্লাহ পজেটিভ উত্তর পাবেন বলে আমি আশাবাদী। |
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) (Required) | বাসার সবাই সালাত, সাওম, দান-সাদাকাহ করেন। সবাই শালীনভাবে চলাফেরা করেন। মাহরাম, নন-মাহরাম মেইনটেইন করেন না। কিন্তু, দ্বীনের প্রতি সবার অন্তরে মহব্বত আছে। দ্বীন পালনের জন্য যথেষ্ঠ স্পেস পাবেন আমার আহলিয়া। যেহেতু বাসায় নন-মাহরামের উপস্থিতি নাই আর আসার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। তাই আশা করি উনার কোনো প্রকার অসুবিধা হবেনা (ইনশাআল্লাহ্)। আমি সেভাবে আমার বাসাকে প্রস্তুতও করেছি। হেদায়েতের এক ফোটা নূর যেদিন ক্বলবে এসে পড়লো সেদিন বুঝলাম হেদায়েত কি জিনিস। হেদায়েত পাওয়ার পর থেকে আমি ইসলামের মৌলিক বিষয় সহ পরিপূর্ণভাবে দ্বীন মেনে চলার চেষ্টা করছি। নিজেকে দুনিয়ার মোহ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছি। |
সুন্নতি দাঁড়ি রয়েছে কি? (Required) | জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ |
---|---|
পায়ের টাখনুর উপরে কাপড় পরেন?(Required) | জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ। আমার সব প্যান্ট, পায়জামা টাখনুর ওপর পর্যন্ত বানানো বা কেটে নেয়া। |
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? | জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ |
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) | ২০০৭-৮ সাল থেকে। যখন মক্তবে পড়ি তখন থেকেই নামাজ পড়ি (আলহামদুলিল্লাহ্)। |
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? | জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ। সর্বোচ্চ চেষ্টা করি (অনলাইন+অফলাইন)। |
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? | জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ |
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? | শার্ট,প্যান্ট, টি-শার্ট, ট্রাউজার, পাঞ্জাবী-পায়জামা। |
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন (Required) | 'খিলাফাহ' এর স্বপ্ন দেখি। এছাড়া রাজনৈতিক কোনো দর্শন নাই। |
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? | আলহামদুলিল্লাহ,আল্লাহ এগুলা থেকে দূরে রেখেছেন। অনেক সময় সামনে চলে আসে তখন দ্রুত স্কিপ করি। কোরআন তিলাওয়াত, গজল, ইসলামিক স্কলারদের লেকচার শুনি। |
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) | না, আলহামদুলিল্লাহ। সাধারণ অসুস্থতা ছাড়া কিছু নেই। |
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) | আলহামদুলিল্লাহ্। মসজিদে তালিমে বসা হয় এবং উম্মাহর মাঝে দাওয়াতি কাজ করা হয়। |
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) | না। |
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) | 'মাজার' অর্থ- জিয়ারত করা। মুসলমানের কবর জিয়ারত, মৃত ব্যক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা ছাড়া অন্য কোনো কিছুই বৈধ নয়। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) | আল-কোরআন, আদাবুল মুফরাদ, আর রাহীকুল মাখতুম(চলমান), আল-আযকার(চলমান), প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ১-২, গল্পগুলো অন্যরকম, জীবনের ভাঁজে ভাঁজে, ফেরা, বিপদ যখন নেয়ামত ,এপিটাফ, নফসের বিরুদ্ধে লড়াই, যে ফুলের খুশবুতে সারা জাহান মাতোয়ারা, মুসলিম বর-কণে: ইসলামী বিয়ে, মুসলমানের হাসি, স্বামী-স্ত্রীর অধিকার, আদর্শ বিবাহ ও দাম্পত্য, মুমিনের জেলখানা, নবী জীবনের আদর্শ, ইসলাম ও নারী, বিয়ে, ইত্যাদি... |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) | ড. জাকির নায়েক, আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী (রাহিমাহুল্লাহ), ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ), ড. মিজানুর রহমান আযহারী, শায়েখ আহমাদুল্লাহ, মুফতি আরিফ বিন হাবিব, আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান, মুফতি মেঙ্ক। এছাড়া সকল হকপন্থী আলেমদের বয়ান শোনা হয়। |
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) | দ্বীনি বা দুনিয়াবি তেমন কোনো বিশেষ যোগ্যতা নাই এই অধমের। দুনিয়াবি যোগ্যতার চাইতে বেশি চেষ্টা করতেছি দ্বীনি যোগ্যতা অর্জনের। |
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন | নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লি আলা রাসূলিহিল কারীম। আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। নিজের সম্পর্কে বলা অত্যন্ত কঠিন কাজ। তবুও চেষ্টা করছি কিছু জিনিস তুলে ধরার যার দরুন আপনি আমার সম্পর্কে নূন্যতম একটা ধারণা পাবেন। আমি আমার রবের গুনাহগার নগণ্য এক বান্দা। সাধারণ থাকতে এবং সহজ সরল জীবনযাপন পছন্দ করি। বিলাসিতা একদমই পছন্দ না। নিজেকে ভালো রাখার এবং অপরের কাছে ভালো থাকার মেডিসিন হলো—কম কথা বলা, লোক সমাগম এড়িয়ে চলা। তবে যতটুকু প্রয়োজন, ঠিক ততটুকু বলা। ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রহঃ) বলেন, 'মানুষের সাথে বেশি মিশলে অন্তর মরে যায়'। ছোটবেলা থেকেই নম্র ও শান্ত প্রকৃতির। আর বংশে ভাইবোনদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট বলে সবার আদর ভালোবাসা একটু বেশিই পেয়েছি(আলহামদুলিল্লাহ্)। নিজের সম্পর্কে বলার মত তেমন কোনো গুণ,অর্জন বা যোগ্যতা আমার নেই। ছোট্ট এই ক্ষণস্থায়ী পার্থিব জীবন এই ভেবে সবসময় ভয় হয় যে, না জানি কখন মৃত্যুর ফেরেশতা এসে ডাক দিয়ে বলে এইবার যাওয়া যাক,সময় যে শেষ! Every Creature Must Taste 'Death'. তাই সর্বদা চেষ্টা করি ইসলামের ওপর অটল থেকে দ্বীনী ইলম অর্জন করে সেই অনুযায়ী আমল করার। ইলমহীন অন্তর একদম শূন্য আমার। আমি তো আল্লাহর এক দুর্বল বান্দা। শয়তানের ধোঁকায়, নফসের কুমন্ত্রণায় পড়ে সবসময় গুনাহ করে ফেলি। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "প্রত্যেক আদম সন্তানই গুনাহগার। আর গুনাহগারদের মধ্যে তওবাকারীগণ উত্তম।" এই হাদিসটা সর্বাবস্থায় পালন করার চেষ্টা করছি। ছোটবেলা থেকেই ইবাদতের প্রতি মনোযোগী ছিলাম। এই মনোযোগ তৈরির পিছনে সবচেয়ে বেশী অবদান ছিলো আমার 'আম্মাজানের'। নামাজ ও রোজা ফরজ হওয়ার আগে থেকেই তিনি নিয়মিত নামাজ পড়ার তাগিদ দিতেন। সেই ছোটবেলা থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর নিজের কাছে বসিয়ে গল্প করতেন আর বলতেন- নিয়মিত নামাজ পড়বে(প্রতিদিন ফজর নামাজে ডেকে দিতেন), বড়দের সালাম দিবে, সম্মান করবে, তাহলে সবাই তোমাকে ভালোবাসবে ,আদর করবে। প্রতিদিন কিছু না কিছু নসীহত করতেন। আমার সেই বয়সে গল্প আকারে যে নসীহত গুলো করেছেন তা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা এখন বুঝতে পারি। সবগুলো নসীহত অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করি। আজ আম্মা বেচেঁ থাকলে তার ছেলের দ্বীনের প্রতি এই ভালোবাসা দেখে কি যে খুশি হতেন! আল্লাহ্ উনাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন (আমীন)। দ্বীনের প্রতি মহব্বতের কারণে ছোট থেকেই নামাজ পড়তাম, রোজা করতাম। কিন্তু, মাহরাম, নন-মাহরাম কি জানতাম না।আসলে পরিবেশের প্রভাব মানুষকে অনেকটাই প্রভাবিত করে। আবার বাচ্চাদের হাতেখড়ি কিন্তু পরিবার থেকেই হয়। এজন্য বাচ্চাদের ছোটথেকে দ্বীনী পরিবেশ দেওয়া উচিত। আর এইটা তখনই সম্ভব হবে যখন পরিবারে দ্বীনের চর্চা থাকবে। আমি দ্বীনি পরিবার পায়নি ঠিক কিন্তু আমি চাই আমার মাধ্যমে একটা দ্বীনি পরিবার গড়ে উঠুক। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তার মহামূল্যবান হেদায়াতের নূর দিয়ে আমাকে তার পথে অটল থাকার তৌফিক দিয়েছেন এজন্য আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া। (আলহামদুলিল্লাহ)। আল্লাহ বলেন- "আমি যাকে ইচ্ছা হেদায়াত দান করি।"_(সূরা কাসাস-৫৬)। আলহামদুলিল্লাহ, আমি সেই সৌভাগ্যবানদের একজন হতে পেরে। ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রহঃ) বলেন, “প্রত্যেক মানুষের অন্তরেই রয়েছে অস্থিরতা, শূন্যতা, হতাশা যা কেবল আল্লাহর কাছে ফিরে গেলেই ঠিক করা সম্ভব। সবসময় দোয়া করি আল্লাহ যেনো আমাকে ইসলামের উপরই জীবিত রাখেন এবং ইসলামের উপরই মৃত্যু দান করেন।(আমিন) জেনারেল লাইনে পড়ার কারণে ইসলামিক জ্ঞানার্জন তেমন একটা করা হয়নি। এখন সর্বোচ্চ পরিমাণে চেষ্টা করি ইলম অর্জন করে সেই অনুযায়ী জীবনকে সাজানোর। ছোটথেকেই বই পাগল ছিলাম। গল্প, উপন্যাসের বই পেলে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যেতাম। গল্প, উপন্যাসের পাগল ছিলাম। যেখানে যার কাছে গল্পের বই পেতাম সেখান থেকেই নিয়ে আসতাম পড়ার জন্য। এখন কোরআন নিয়ে তাদাব্বুর, নবীজীর সিরাত, সাহাবীদের জীবনী, বিভিন্ন ইসলামিক বই পড়ি এবং অন্যকে হাদিয়া দেয়ার চেষ্টা করি। ইচ্ছা আছে নিজস্ব একটা লাইব্রেরী দেয়ার। যেখানে সুন্দর করে সাজানো থাকবে কোরআন, তাফসির এবং ইসলামিক বই। দেখেই যেনো মনে হবে একখণ্ড স্বপ্নের লাইব্রেরী। ইতিমধ্যে আমার সেই স্বপ্নের লাইব্রেরীতে ১৫০± বই রয়েছে)।(আলহামদুলিল্লাহ্) ছোটবেলায় এলাকার মাদ্রাসায় (মক্তব) কুরআন পড়া শিখেছি(আলহামদুলিল্লাহ্)। আরো শুদ্ধ এবং মাখরাজ ঠিক করার চেষ্টা করছি। তার সাথে আমলি সূরা হিফজ করার চেষ্টা করছি। শেষের পারাসহ বেশকিছু সূরা হিফজ করেছি (আলহামদুলিল্লাহ্)। ৩০পারা কোরআন হিফজ করার ইচ্ছা আছে, ইনশাআল্লাহ্। আমি চাই আমার আহলিয়ারও যেনো হিফজ করার ইচ্ছা থাকে। ▪️অন্তরের ২টা সুপ্ত ইচ্ছা। ১.আল্লাহর কালামকে নিজের ক্বলবের মধ্যে সংরক্ষণ করা। ২.একজন হাফেজাকে নিজের জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পাওয়া (আল্লাহু আ'লাম)। আমার ক্বলবে জমানোর দায়িত্বটা না হয় উনি নিজেই নিলেন। আমি মনে করি নিজের আহলিয়াকে শিক্ষক হিসেবে পাওয়াটাও একটা সৌভাগ্য। এটা সম্মান ও মহব্বতের। ▪️পছন্দঃ গোপন ইবাদত,গোপন দান,বই পড়া। ভালো লাগে মানুষের উপকার করতে,প্রকৃতির মাঝে হাঁটতে,আকাশ,নদী,সমুদ্র দেখতে। পাখি পালন করতে ভালোলাগে (বাসায় ২জোড়া বাজরিগার পাখি আছে)। বাসায় বিভিন্ন ধরনের পাখি আসে তাদের জন্য খাবার ও পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ভবিষ্যতে কবুতর পালন করার ইচ্ছা আছে। বিড়াল ভালোবাসি। ভ্রমণপিপাসু মানুষ আমি। বাইকে ভ্রমণ করতে ভালো লাগে। আল্লাহ্ বলেন- "তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর তারপর দেখ, অস্বীকারকারীদের পরিণাম কেমন হয়েছে।"_(সূরা আনআম-১১)। মসজিদ ও ইলমি মানুষের সাথে সম্পর্ক রাখতে পছন্দ করি। জরুরী মুহূর্তে মসজিদে আজান দেয়া, নামাজের ইমামতিও করা হয় (আলহামদুলিল্লাহ্)। ছোট বাচ্চাদের আদর করতে খুব ভালো লাগে, সাথে দুষ্টামিও করি। ছোট বাচ্চারাও আমাকে খুব পছন্দ করে ও ভালোবাসে। ▪️অপছন্দঃ লোক দেখানো কোনো কিছু, মিথ্যা কথা, কৃপনতা, গীবত, হিংসা, অহংকার, ঝগড়া-বিবাদ। কোলাহল থেকে সর্বাবস্থায় দূরে থাকি। মানুষকে তার বাহ্যিক সৌন্দর্য্য, টাকা-পয়সা দিয়ে বিবেচনা করা অপছন্দ করি। ▪️বদ গুণঃ একটু রাগ বেশি (যদিও কোনোদিন কারো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি), একটু অলস, নফল ইবাদতগুলোতে মাঝেমধ্যে অনিয়মিত হয়ে যায় (আল্লাহুম্মাফিরলি)। এগুলো শুধরানোর চেষ্টা করছি। ▪️ইচ্ছা/স্বপ্নঃ- গরীব, এতিম, অসহায়, বিধবা নারী, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কিছু করার খুব ইচ্ছা। নিজের জায়গা থেকে যথাসাধ্য চেষ্টাও করি। বাসার আশেপাশের বাচ্চাদের (ক্লাস ১-১০) ফ্রীতে প্রাইভেট পড়াই, সুযোগ পেলেই কিছু না কিছু দান করার চেষ্টা করি। একটা জান্নাতি বাড়ি সাজানোর খুব ইচ্ছা যেখানে থাকবে একটা নামাজ ঘর, এক পাশে থাকবে কোরআন, হাদিস, একপাশে ঝুলানো থাকবে জায়নামাজ। থাকবে ছোট বড় ব্যাংক, যেখানে আমরা একটু একটু করে সঞ্চয় করবো অন্যের বিপদে পাশে দাড়ানোর জন্য কিছু অর্থ। কিছুটা অংশ জুড়ে স্থান পাবে কিছু বয়াম যেগুলোতে থাকবে কিছু ড্রাইফ্রুটস, বাদাম, খেঁজুর, চকলেট ইত্যাদি।পরিবারের ছোট্ট সদস্যগুলো ছুটে ছুটে আসবে দ্বীনি গল্প শুনতে আর হয়ে উঠবে মনোযোগী শ্রোতা। ঘরটাকে দেখেই যেন জান্নাতি সুখ অনুভব করা যায়। ইচ্ছা আছে দুজনে একসাথে তাওয়াফ করবো, পাশাপাশি থেকে দেখবো মহান রবের ঘর(ইনশাআল্লাহ)। আল্লাহ্ কবুল করুন(আমিন)। |
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন | প্রযোজ্য নয় |
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? | হানাফি |
নজরের হেফাজত করেন? (Required) | হ্যা |
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? | পরিপূর্ণ দ্বীনি ইলম অর্জন করে নিজের জীবন ও পরিবারে বাস্তবায়নসহ অন্যকে শিক্ষা দেওয়া। সন্তানদের দ্বীনী শিক্ষায় শিক্ষিত এবং উম্মাহর খেদমত করতে চাই। আরও কিছু প্ল্যান আছে যেগুলো প্রকাশ করতে চাচ্ছিনা। আহলিয়ার সাথে শেয়ার করবো, ইনশাআল্লাহ। |
অবসর সময় কিভাবে কাটান? (Required) | অবসর সময়ে ঘুম, বই পড়ি, ঘোরাফেরা করি, কোরআন তিলাওয়াত ও বয়ান শুনি। |
কত ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে আদায় করেন? (Required) | পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামায়াতে পড়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। মাসে হয়তোবা ২-৩ ওয়াক্ত জামায়াত ছুটে যায়। কাযা হয়ে গেলে পরে কাযা পড়ে ফেলি। |
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? (Required) | একটা পরিবারে সচরাচর যেগুলো কাজ থাকে প্রায় সবগুলোই করি। নিজের কাজগুলো নিজেই করে থাকি। আগে শুধু মা আর আব্বাকে কাজে হেল্প করতাম। এখন যেহেতু 'আম্মাজান' বেঁচে নেই। এজন্য প্রায় সবগুলো কাজই করা লাগে। তাছাড়া এতদিনের মেস লাইফের এক্সপেরিয়েন্সকে যদি কাজে লাগাতে না পারি তাহলে মেস লাইফের সার্থকতা থাকলো কোথায়? যদিও আমি রান্নাবান্নায় খুব একটা পারদর্শী না। |
আপনি কি ধুমপান করেন? (Required) | আস্তাগফিরুল্লাহ, না। |
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? | জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ |
---|---|
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? | বিয়ে একটা ইবাদাত, পবিত্র ও সামাজিক বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ হয়। বিয়ে হৃদয়ে স্থিরতা, চরিত্রে পবিত্রতা, নজর ও লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে। এই ফিতনার যুগে নিজের চরিত্র ঠিক রাখার পাশাপাশি এমন একজনকে দরকার যিনি হবেন মানসিক প্রশান্তির কারণ এবং আমার জান্নাতের সঙ্গীনী(ইনশাআল্লাহ)। প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ও আম্মাজান খাদিজা (রাঃ) এর দাম্পত্য জীবনই অনুপ্রেরণার উৎস। ফিতনাময় এই শহরের চারদিকে এতো হারামের মাঝে হালাল উপায়ে পরিপূর্ণ দ্বীন পালনের জন্য,একটু খুনসুঁটি,রাগ-অভিমান আর ভালোবাসার জন্য একজন মানুষ খুবই প্রয়োজন। |
বিয়ের পর স্ত্রীর পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? | ইনশাআল্লাহ। |
বিয়ের পর স্ত্রীকে পড়াশোনা করতে দিতে চান? | সহশিক্ষার পরিবেশে দুনিয়াবি পড়াশোনা করানোর ইচ্ছা নাই। দ্বীনী পড়াশোনা করাতে চাই, ইনশাআল্লাহ। |
বিয়ের পর স্ত্রীকে চাকরী করতে দিতে চান? | না। জরুরী ব্যতীত মেয়েদের জন্য নিজ ঘরে অবস্থান সর্বোত্তম। |
বিয়ের পর স্ত্রীকে কোথায় নিয়ে থাকবেন? | আমার সাথে নিজ বাসায়। |
বিয়ে উপলক্ষে আপনি বা আপনার পরিবার পাত্রীপক্ষের কাছে যৌতুক বা উপহার বা অর্থ আশা করবেন কি না? | আস্তাগফিরুল্লাহ। কোনোদিনও না (ইনশাআল্লাহ্)। যারা ইনিয়ে বিনিয়ে উপহারের নাম করে যৌতুকের দাবি করেন, আমি মনে করি এরা ভিক্ষুকের চাইতেও নিকৃষ্ট। ইসলাম কোনোভাবেই যৌতুক সমর্থন করেনা। আল্লাহ্ আমাকে যতটুকু দিয়েছেন তাতে আমি সন্তুষ্ট আছি(আলহামদুলিল্লাহ)। আর যেই মানুষগুলো তাদের কলিজা (পাত্রী) দিয়ে দিবেন তাদের থেকে আর কি চাওয়ার আছে? তারা শুধু আমাদের জন্য দোয়া করে দিবেন যেনো আমাদের সম্পর্কটা জান্নাত পর্যন্ত চিরস্হায়ী হয়। আমি এতটুকুতেই সন্তুষ্ট। |
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? | আর্থিক অবস্থা ও গায়ের রং |
বিয়ের পর স্ত্রীর ভরনপোষন চালাতে পারবেন? | হ্যা |
আপনাার স্ত্রীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? | মোহরানা থেকে শুরু করে একজন স্বামী হিসেবে আপনার সকল দায়িত্ব আমার। আমি কথা দিচ্ছি আমি আপনার ইজ্জতের জিম্মাদার হয়ে থাকবো। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আপনাকে আগলে রাখবো, ইনশাআল্লাহ্। |
আপনার আহলিয়ার পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? | হ্যা |
আপনি বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় থাকবেন? | একক পরিবারে |
বয়স (Required) | ১৮-২৬ |
---|---|
গাত্রবর্ণ | শ্যামলা-উজ্জল ফর্সা। যেকোনো হতে পারে। সৌন্দর্য তো শুধুমাত্র চোখকে আকর্ষণ করে, কিন্তু ব্যক্তিত্ব হৃদয় কেড়ে নেয়। চক্ষু শিতলকারিনী। চেহারা সুন্দর হতে হবে ব্যাপারটা এমন না। চোখের শীতলতা চামড়ার রঙের ওপর নির্ভর করেনা। আমার চোখে সুন্দর লাগলেই যথেষ্ট। |
নূন্যতম উচ্চতা | সর্বোচ্চ ৫'৩" |
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা | কারো যোগ্যতাকে কাগজের সার্টিফিকেট দিয়ে যাচাই করতে চাচ্ছিনা। সন্তানদের তালীম তারবিয়ত করার মতো দ্বীনি শিক্ষা থাকলেই হবে ইনশাআল্লাহ্। |
বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিত |
জীবনসঙ্গীর পর্দা সম্পর্কে যেমনটা চান- (Required) | পর্দার বিষয়ে এক চুল পরিমাণ ছাড় দিতে রাজি না। পরিপূর্ণ পর্দা করতে হবে। |
পেশা (Required) | রব্বাতুল বাইত। |
অর্থনৈতিক অবস্থা | নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত। |
পারিবারিক অবস্থা (Required) | মোটামুটি। |
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন | একজন মানুষের জীবনসঙ্গীর কত গুণাবলী-ই না প্রত্যাশা থাকে। আমারও কিছু প্রত্যাশা আছে, তবে আমি যেমন গুণাবলীর, চিন্তা-চেতনার, ধ্যান-ধারণার তেমন একটা স্ত্রী পেলেই আলহামদুলিল্লাহ। তার পরেও কিছু প্রত্যাশিত গুণাবলী উল্লেখ করছি। দ্বীনদ্বার, নামাজী, পর্দানশীল হতে হবে। শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত পারতে হবে। না পারলেও চেষ্টায় রত থাকতে হবে। সমস্ত ফরজ ইবাদত পালন ও সমস্ত হারাম বর্জনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। কোমল ভাষী হতে হবে। এমন মেয়েকে বিয়ে করতে চাই না, যার জামা কাপড় এখনো পর্যন্ত তার মা'কে পরিস্কার করে দেওয়া লাগে। বরং এমন মেয়েকে বিয়ে করতে চাই যে তার ব্যাক্তিগত যাবতীয় কাজ নিজেই করে এবং মায়ের কাজে সাহায্য করে। মা-বাবাকে যথাসাধ্য খেদমত করে, সেবা করে। আমি তো এমন মেয়ে কে বিয়ে করতে চাই না, যে তার প্রয়োজন/চাহিদাকে তার পিতার আয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে পারে না। আমি চাই যিনি আমার জীবনসঙ্গিনী হবেন তিনি যেনো খুব সাধারণ কেউ হন। যার ভেতরে থাকবে না কোনো রূপের অহংকার, থাকবে না কোনো শিক্ষার বড়াই, থাকবে না কোনো বংশ মর্যাদার আভিজাত্য। থাকবে শুধু হৃদয় জুড়ে ভালোবাসা। দ্বীন শিক্ষার জন্য যার থাকবে প্রবল আগ্রহ। পর্দার ব্যাপারে যিনি হবেন খুবই কঠোর। মুক্তো যেভাবে ঝিনুকের ভেতরে থাকে, মহামূল্যবান হীরক খণ্ড যেভাবে সিন্দুকের ভেতরে থাকে আমিও আমার আহলিয়াকে সেইভাবে সবার থেকে লুকিয়ে রাখতে চাই। আমার আহলিয়াকে শুধু আমি দেখবো, তার অবয়ব একমাত্র আমার দৃষ্টির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। অন্য কেউ দেখার তো প্রশ্নই আসেনা। রাসূল (সাঃ) বলেন, পৃথিবীতে মানুষ যত নিয়ামত লাভ করে, এর মধ্যে অন্যতম প্রধান নিয়ামত হচ্ছে নেককার স্ত্রী। (সহীহ মুসলিম)। এমন কাউকে চাই যিনি দুনিয়া ও আখিরাতে আমার সঙ্গী হবেন। আমাকে দ্বীনের পথে আগলে রাখবেন। খুব করে ভালোবাসবেন। এমন ভালোবাসা যা আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল (সাঃ) পছন্দ করেন। দুনিয়ার চেয়ে দ্বীন বেছে নেয়া মানুষটাকেই আমি চাই। যিনি শুধু ইলমের অধিকারী না, আমলেরও করেন যথাযথ পাবন্দি। ফিতনা ভরা যোগে একাকী ঈমান আগলে বাঁচা কঠিন। এমন কাউকে চাই যিনি ফিতনা থেকে আমাকে আগলে রাখবেন এবং নিজেও ফিতনা থেকে বেঁচে থাকবেন। যিনি আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে অল্পতে সন্তুুষ্ট থেকে ক্ষণস্থায়ী এই দুনিয়ার আশা,আকাঙ্ক্ষা,উচ্চাভিলাষী জীবন ত্যাগ করে সাধারণভাবে জীবনযাপন করার চিন্তা রাখেন। যার চিন্তা ও চেতনায় থাকবে চিরস্থায়ী জান্নাত। অন্যদের সাথে উনার পার্থক্য হবে উনার জিলবাবে,উনার পর্দায়, উনার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে, সুন্নতকে আঁকড়ে ধরার প্রবনতাতে,ইসলামের সঠিক বুঝে। মাঝে মাঝে ঘুম ভেঙ্গে যাবে উনার মাঝরাতের মুনাজাতের চাপা কান্নায়। আমাকে তিনি শেখাবেন শেষ রাতে কী করে স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞ হতে হয়। তাহাজ্জুদে জোর করে উঠাবেন। জোসনা রাতে আমি অবাক হয়ে উনার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকবো আর ভাববো এই চোখ জোড়া তার রবের ভয়ে সিক্ত, কী পবিত্র! মাঝে মধ্যে হুজুর (সাঃ) ও আম্মাজান আয়েশা (রাঃ) এর মত আমরাও জোছনা রাতে দৌড় প্রতিযোগিতা করবো (ইনশাআল্লাহ্)। তিনি আমাকে শেখাবেন,কীভাবে প্রচন্ড ক্ষুধা নিয়েও নিজের খাবারটা অন্যের মুখে তুলে দিতে হয়। তিনি আমাকে শেখাবেন,কিভাবে শীতবস্ত্র নিয়ে উষ্ণতা বিতরণ করতে হয়। যার সান্নিধ্য আমার ঈমান বৃদ্ধি করবে, হৃদয়ে প্রশান্তি এনে দিবে। যার সাথে থেকে আমি ইহকাল ও পরকালের জীবনে উপকৃত হবো। একে অপরের পরিপূরক হয়ে জীবনের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জান্নাত পর্যন্ত একত্রিত হওয়ার প্রচেষ্টায় যিনি ব্যাকুল থাকবেন। আমি কখনো হতাশ হলে তিনি বলবেন, মুমিনদের কখনও হতাশ হতে নেই। যিনি হবেন আমার জান্নাতের একমাত্র সঙ্গীনী(ইনশাআল্লাহ)। দুনিয়ার জীবনে যার চিন্তার বিষয় হবে কী করে আমি আমার স্বামী,সন্তান নিয়ে জান্নাত অর্জন করতে পারি। তিনি যেন হয় আমাদের ভবিষ্যৎ সন্তানদের একজন দ্বীনদার ও আদর্শ মা! যার আদর্শে গড়ে উঠবে আমাদের সন্তান। আমি চাই আমাদের সম্পর্কের ভিত্তিটা হোক তাকওয়া ও রবের ভালবাসায়। দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য আপনাকে আমি চাই, বছর বা কয়েক যুগের জন্য নয়। ✓[রাসূল (সাঃ) বলেন, নারীরা চারটি কাজ করলে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। ১.সময়ে ফরজ নামাজ আদায় করা। ২.রমজান মাসে রোজা পালন করা। ৩.সতীত্বের হেফাজত করা। ৪.স্বামীর আনুগত্য করা। এই চারটি বৈশিষ্ট্য থাকলেই আলহামদুলিল্লাহ] ইসলামের মৌলিক বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। আমি বলছি না তাকে প্রচন্ড জ্ঞানী বা মেধাবী হতে হবে। জানার আগ্রহ থাকতে হবে। বই পড়ার অভ্যাস থাকতে হবে। মাঝে মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজ,নফল নামাজ, সকাল-সন্ধ্যার জিকির, আইয়ামে বীজের রোজা রাখার অভ্যাস থাকতে হবে। (শুধু যে তাকে বলছি তা না, আমি নিজেও এগুলো আমল করার চেষ্টা করি)। বিয়ের জন্য দ্বীনদারিত্ব প্রাধান্য দেয়াটাই উত্তম। আলেম-আলেমা মানেই দ্বীনদার আর জেনারেল মানেই বেদ্বীন, বিষয়টা এমন নয়। হেদায়েত আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে নয়। মাদ্রাসায় পড়ুয়া ভাইবোনদের তো প্রতিনিয়ত দ্বীনের পথে চলার জন্য শিক্ষা দেয়া হয়। কিন্তু জেনারেল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের প্রতিনিয়ত কত যুদ্ধ করে নিজের প্রচেষ্টায় দ্বীনের পথে চলতে হয়, সেটা একমাত্র সেই জেনারেল পড়ুয়া দ্বীনি ভাই ভালো জানেন। *যিনি টিভি(আমার বাসায় কোনো টিভি নেই), অনলাইন বা ফোনে বেশি আসক্ত, দুনিয়াবি চাহিদা বেশি, বিলাসিতা বা উচ্চাভিলাষী জীবনযাপনে অভ্যস্ত, শোকর-গুজার না, হারাম সম্পর্কে জড়িত(আমি হারাম সম্পর্কে জড়ায়নি), মোহরানাকে বিয়ের সিকিউরিটি মনে করেন, রিযিক নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করেন। তাদের যোগাযোগ না করার জন্য অনুরোধ রইলো। আর যদি আমি করি তাহলে আমাকে নিজ দায়িত্বে রিজেক্ট করে দিবেন। ব্যক্তিভেদে আমাদের প্রত্যেকেরই পছন্দ ও রুচির পার্থক্য রয়েছে। আসলে আমাদের নিজেদের পছন্দ, অপছন্দ থাকলেও আল্লাহর ইচ্ছায় চূড়ান্ত। শর্ত দিয়ে তো আর জীবনসঙ্গীনী নির্বাচন করা যায়না। তবুও পারস্পারিক বোঝাপড়ার জন্য দুজনের মন মানসিকতা সেম হওয়া প্রয়োজন। সেজন্য অনিচ্ছাসত্ত্বেও এতকিছু লেখা। দুনিয়াতে কেউই পারফেক্ট না। জীবনসঙ্গিনীর যেসব গুণাবলী প্রত্যাশা করেছি তা একান্তই আমার মনের চাওয়া। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন ভালো জানেন কে আমার জন্য পারফেক্ট। আল্লাহ বলেন: "হতে পারে কোনো বিষয় তোমরা অপছন্দ করছো অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হতে পারে কোনো বিষয় তোমরা পছন্দ করছো অথচ তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আর আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না।" (সূরা বাকারাহ-২১৬) উপরের লিখা পড়ে আমাকে খুব বেশি দ্বীনদার ভাববেন না। আমি একজন প্র্যাক্টিসিং মুসলিম। যা লিখেছি তা পালন করার চেষ্টা করি সবসময়। যদিও শয়তানের ধোঁকায় ও নফসের কুমন্ত্রণায় পড়ে এবং নিজের গাফিলতির কারণে অনেক কিছু ছুটে যায়। শুধরানোর চেষ্টায় আছি। একটু বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করেছি। খুব ভালো করে গুছিয়ে লেখার অভ্যাস নেই। ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। (আফওয়ান)। বারাকাল্লাহু ফি হায়াতিহি ওয়া ফি রিজক্বিহি, ফি ঈমানিহি ওয়া আ'মালিহ। আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। (সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়াবিহামদিকা আশহাদু আল্লাহ্ ইলাহা ইল্লা আনতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইক)। |
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? (Required) | রাজশাহী,নাটোর,নওগাঁ,পাবনা,বগুড়া। |
পেশা সম্পর্কিত তথ্য (Required) | চাকরির পড়াশোনার পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যান্ড গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করছি। আমার ইনকাম সম্পূর্ণরূপে হালাল, আলহামদুলিল্লাহ্। নিজ স্বাধীনতায় কাজ করা যায় বিধায় এই কাজটা আমার খুব ভালো লাগে। কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, কারো হস্তক্ষেপ নেই। হালাল-হারাম বিচার করে কাজ করা যায়। ইনকামও তুলনামূলক বেশি। রিজিক নিয়ে বেশি চিন্তা করিনা। কারণ রিজিক নির্ধারিত। আর রিজিকের ফয়সালা হয় আরশের উপর থেকে। আমরা শুধু আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে পারি এবং চেষ্টা করতে পারি। আল্লাহ বলেন, আমি ব্যবসাকে করেছি হালাল আর সুদকে করেছি হারাম।_(সূরা বাকারাহ-২৭৫)। ভবিষ্যতে ব্যবসা করার ইচ্ছা আছে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী আগাচ্ছি (ইনশাআল্লাহ্)। |
---|---|
বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান | আমি এই লিখাটা লিখেছি আমার সম্পর্কে ধারণা এবং কুফু মেলানোর জন্য। অহংকার বা বড়াই করার জন্য নয় (আল্লাহুম্মাগফিরলি)। কেউ রিয়া খুঁজতে চাইলে আল-বিদা। আল্লাহ তাআ'লাই তার বান্দার নিয়ত এবং অন্তর সম্পর্কে অবগত। পাত্রী দেখা থেকে শুরু করে বিয়ের কার্যক্রম সুন্নাহভিত্তিক এবং স্বল্প মোহরানায় (সম্পূর্ণ পরিশোধ করে), মসজিদে খেজুর ছিটিয়ে বিয়ে সম্পূর্ণ করতে চাই। আল্লাহ বলেন, "তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যথাযথ ভয়।"_ (আল ইমরান-১০২)। সুতরাং মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কেউ যোগাযোগ করবেন না। |
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? | হ্যা |
---|---|
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? | হ্যা |
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? | হ্যা |
এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।
অভিভাবকের সাথে যোগাযোগসর্বমোট ভিউ: 690 ভিউস