স্থায়ী ঠিকানা | মাধবপুর, হবিগঞ্জ, সিলেট |
---|---|
বর্তমান ঠিকানা | উত্তর বাঘবাড়ি, সিলেট সদর, সিলেট। |
কোথায় বড় হয়েছেন? (Required) | শহরে |
বায়োডাটার ধরন | পাত্রীর বায়োডাটা |
---|---|
বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিত |
বর্তমান ঠিকানা | সিলেট |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
স্থায়ী ঠিকানা | সিলেট |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জন্মসন (আসল) | ২০০৫ |
গাত্রবর্ণ | উজ্জ্বল শ্যামলা |
উচ্চতা | ৫'৪'' |
ওজন | ৪৩ কেজি |
রক্তের গ্রুপ | B+ |
পেশা | ছাত্র/ছাত্রী |
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? (Required) | মাদ্রাসা |
---|---|
আপনি কি হাফেজ? | না |
দাওরায়ে হাদীস পাশ করেছেন? | না |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? | হ্যাঁ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান ফলাফল | A |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান বিভাগ | বিজ্ঞান বিভাগ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাসের সন | ২০২০ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাশ করেছেন? | হ্যাঁ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমানের বিভাগ | বিজ্ঞান বিভাগ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান ফলাফল | A |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাসের সন | ২০২২ |
স্নাতক / স্নাতক (সম্মান) / সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা | ফাজিল (অনার্স) ১ম বর্ষ |
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম | Islamic Arabic University (IAU) |
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা | HSC |
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা | • ক্বারিয়া • IOM এর তাফসিরুল কুরআন কোর্সে আছি। • মুমিনের বিয়ে ভাবনা কোর্স সম্পন্ন করেছি • এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক বিভিন্ন বিষয়ে কোর্সগুলো করা হয়েছে। • দ্বীনি জ্ঞান সবসময় অর্জন করতে চাই ইনশাআল্লাহ।। |
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? | হ্যা |
---|---|
আপনার কোর্সের নাম ও ব্যাচ নম্বর: | Alim Preparatory Course Batch 2513 Alhamdulillah, রুকইয়াহ কোর্স |
পিতার পেশা | মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল |
---|---|
মাতার পেশা | গৃহিণী |
বোন কয়জন? | ২জন |
ভাই কয়জন? | ১জন |
বোনদের সম্পর্কে তথ্য | সবাই আমার ছোট। মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে। |
ভাইদের সম্পর্কে তথ্য | সবার ছোট সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। |
চাচা মামাদের পেশা | মামা নেই। চাচারা,,,,, কেউ প্রবাসী, কেউ চাকুরীজীবি, কেউ ব্যবসায়ী। |
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা | আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো। বর্তমানে সিলেট বাসা বাড়া আছি। দাদা বাড়িতে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জায়গা রয়েছে। নানা বাড়িতেও আম্মুর সূত্রে অনেক জমিজমা রয়েছে। সব মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ মধ্যবিত্ত সচ্ছল এবং সামাজিকভাবে সম্মানিত। |
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) (Required) | আলহামদুলিল্লাহ সবাই দ্বীন মেনে চলার চেষ্টা করেন। দ্বীনি পরিবেশ থাকে সবসময় আলহামদুলিল্লাহ। বাহিরের কেউ ঘরে আসে না। আম্মু মাহরাম নন-মাহরাম সর্বোচ্চ মেনে চলেন৷আমাদেরকেও সবসময় ইসলাম পরিপূর্ণভাবে মেনে চলতে ফোর্স করেন। একদম ছোট বেনটা একটু গাফেল, কিন্তু কখনো সীমা অতিক্রম করে না, বাসাতে সবাই দ্বীন মেনে চলে তাই এতোটাও গাফেল হয় না। সবসময় রিমাইন্ডে থাকে। বাসায় প্রায় প্রতিদিনই দ্বীনি আলোচনা হয় আলহামদুলিল্লাহ। বাসায় কোনো আত্মীয় আসলে তাদের মধ্যে ও যতোটুকু পারি আল্লাহর ভয় ঢুকানোর চেষ্টা করি। পরিবারে দ্বীন মেনে চলতে কোনো সমস্যা হয় না। |
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? | হ্যা আলহামদুলিল্লাহ। |
---|---|
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) | ছোট থেকেই। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর থেকেই, এর আগের কথা তেমন মনে নেই। আনুমানিক ক্লাস ৮ থেকে । |
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? | হ্যা আলহামদুলিল্লাহ, এটা তো মানতেই হবে। ঘরে বাইরে সব জায়গায় কঠোরভাবে মেনে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। ভবিষ্যতে ও এটার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দিবো না ইনশাআল্লাহ। |
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? | হ্যা আলহামদুলিল্লাহ। তবে মাদ আর সিফাতের মধ্যে সামান্য কিছু সমস্যা হয় উস্তাজার কাছে পড়া দিচ্ছি কিছুদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।। ত্বলিবা হয়ে থাকতে চাই সারাজীবন। |
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? | বোরকা, নিকাব, হাত মোজা, পা মোজা। |
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন (Required) | রাসুলুল্লাহ ﷺ এর আদর্শে গড়া ইসলামি খেলাফত, এটাই একমাত্র মুক্তির পথ। সেক্যুলার গনতন্ত্রের পক্ষে কখনো ছিলাম না আর থাকবোও না সেটা যে দলই হোক না কেন। |
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? | না আলহামদুলিল্লাহ। বরং এগুলো পছন্ড বিরক্ত লাগে। আল্লাহ তায়ালা হেফাজত করেছেন। |
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) | না আলহামদুলিল্লাহ , তবে দূরের জিনিস দেখতে একটু সমস্যা হয় তাই বাইরে গেলে চশমা পড়তে হয়। |
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) | হ্যা |
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) | না |
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) | মাজার পূজা শির্ক |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) | নির্দিষ্ট করে ৩ টা বলা কঠিন। অনেক বইই পড়েছি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু বই মিনহাজুল আবেদীন, এখন যৌবন যার, মুহস্বানাত, তিনিই আমার রব, ইলা মাগফিরাহ,আই লাভ কুরআন, তিনিই আমার রব, সিরাতে মুস্তফা ৪ খন্ড ইত্যাদি। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) | শায়েখ আহমাদুল্লাহ (হাফি.), শায়েখ জুলফিকার আহমেদ নকশবন্দী (হাফি.), ড. খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহি.) (উনার প্রায় বক্তব্যই শুনা হয় আলহামদুলিল্লাহ), নোমান আলী খান, মাওলানা তারেক জামিল। |
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) | শিক্ষার্থী। |
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন | অনুগ্রহ করে মনোযোগ দিয়ে বিস্তারিত বায়োডাটা পড়বেন। প্রয়োজনের খাতিরে এখানে নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত তুলার চেষ্টা করেছি। ভালো মন্দ মিলিয়েই একজন মানুষ, তাই আমার ক্ষেত্রে কোনো কিছু ভালো মনে না হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ইনশাআল্লাহ। 🌼 পছন্দ-অপছন্দ ও রুচিবোধঃ ছোট থেকেই একটু ইন্ট্রোভার্ট। অপরিচিতদের সাথে একটু আন্তরিক হতে অনেক সময় লাগে, কিন্তু যাদের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যায় তাদের সাথে সম্পর্ক অনেক ভালো থাকে। আমি খুবই সাধারণ, খুবই সাদামাটা সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত, সবসময় চেষ্টা করি নিজের প্রয়োজনের বাইরে বেশি কিছু গ্রহণ না করার। প্রয়োজন পুরণ হয়ে যায় এমন কিছুতেই সন্তুষ্ট থাকি, এটা আমার ছোটবেলার অভ্যাস বলবো। যা আছে তা নিয়েই সবসময় সন্তুষ্ট থাকি। জীবন চলার ক্ষেত্রে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু থাকলেই আলহামদুলিল্লাহ। নিজের চেয়ে অন্য কাউকে আল্লাহ তায়ালা বেশি নেয়ামত দিলে সেটা দেখে নিজের মধ্যে হিংসা করা, আফসোস করা খুবই অপছন্দ করি। - আল্লাহ্ আয্যা ওয়া জাল্লার লক্ষ কোটি অনুগ্রহ এবং একমাত্র তারই অনুকম্পা যে, এ ফেতনার যুগে আমাকে দুনিয়াবী সকল প্রকারের ফেতনা থেকে নিরাপদ রেখে আখেরাতের দিকে ধাবিত করেছেন। দুনিয়ার সংকীর্ণতা থেকে বের করে আখেরাতের প্রশস্থতার দিকে অগ্রসর হবার আগ্রহ তৈরি করে দিয়েছেন। এসবই আল্লাহর মেহেরবানী ছাড়া ভিন্ন কিছু নয়। এ জন্য সবসময় মহান রবের কাছে শুকরিয়া করি। কেননা আমি এসকল অনুগ্রহ পাবার জন্য মোটেই যোগ্য ছিলাম না। আল্লাহর অনুগ্রহতেই জীবনকে আল্লাহর রঙে রাঙাতে শুরু করি। এমন জীবন গড়তে সচেষ্ট হই যে জীবনের মৌলিক উদ্দেশ্যই প্রত্যেকটা মুহূর্ত শুধুমাত্র রাব্বে কারীমকে সন্তষ্ট করা এবং জান্নাতে রবের সাথে অতি কাঙ্খিত সাক্ষাৎ। সবসময় সাহাবিদের জীবন অনুসরণের চেষ্টা করি, সাহাবিদের জীবনী পড়ে সেখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করি। কেননা সাহাবীরা প্রাণের নবী রাসুলুল্লাহ ﷺ এর দেখানো পথেই নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন আর তাঁদের অনুসরণেই রয়েছে জীবনের সর্বোচ্চ সাফলতা। - কাউকে ভালোবাসলে আল্লাহ্ তা'য়ালার জন্য ভালবাসি, অপছন্দ করলেও আল্লাহ্ তা'য়ালার জন্য করি। এক্ষেত্রে 'ٱلْوَلَاءُ وَٱلْبَرَاءُ' অর্থাৎ "আল্লাহর সন্তুষ্টিজনক সবকিছুকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাউকে ভালোবাসা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যা কিছু আল্লাহর অপছন্দনীয় তা থেকে সরে আসা এবং বিরোধিতা করা" এমন আক্বিদা পোষণ করি। তাছাড়া পরিবার বা যেকোনো কিছু মানুষ এমনিতেই ভালোবাসে কিন্তু সেটা যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির হয় তাতে যেমন তাকে অগণিত রহমত সাথে সওয়াব অর্জনের সুযোগ। - সকালে ফজরের পর কুরআন তেলাওয়াত মনসূন আমল গুলো দিয়ে দিনটাকে শুরু করা অতি পছন্দের একটি কাজ। অপছন্দ করি আধুনিকা মডারেট ইসলামীদের, ইসলামের নামে আধুনিকতা, অসভ্য বর্বর পশ্চিমা সভ্যতা। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর দেখানো পদ্ধতি পছন্দ। যদিও বাংলাদেশে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে ইসলামের লেশমাত্রও দেখা যায় না। - বিদায়াতের ক্ষেত্রে আমাকে একরোখা বলতে পারেন। কোনো কাজে যদি দেখি সামান্য পরিমাণ বিদায়াতের চিহ্ন আছে তবে সঙ্গে সঙ্গেই সেটা ছেড়ে দেই। সমাজে প্রতিষ্ঠিত অনেক বিদায়াত আছে যেগুলো আমি খরা ভাবে বর্জন করি, সেজন্য মাঝেমধ্যে মুরব্বিদের কাছ থেকে বকা শুনতে হয়। সেটা যাই হোক, আমার কাছে সবার আগে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ এর আদেশ এরপর বাকি সব। - যদিও আমি হানাফি কিন্তু ৪ মাজহাব ও সালাফি কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে সমানভাবে দেখি। মানহাজ নিয়ে যে মুসলমানদের মধ্যে দলাদলি এগুলো থেকে সবসময় বিরত থাকি। সকল মাহজাবকেই সম্মান করি। মুসলিম উম্মাহের মধ্যে দলাদলি মনেপ্রাণে ঘৃণা করি, কোথাও এসব নিয়ে ঝামেলা হবে দেখলে পারলে সেটা থামানোর চেষ্টা করি, না পারলে নিজে দূরে চলে আসি। - গীবত, নামীমা, ঝগড়া, গালাগালি, রাগারাগি, অনর্থক কাজ, অনর্থক কথা (গল্প, আড্ডা), কৃপণতা করা, বিলাসিতা করা, অকৃতজ্ঞতা, খোঁটা দেওয়া ইত্যাদি থেকে সবসময় যথাসাধ্য নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করি। কেননা এগুলো বেশিরভাগেই বান্দার হক জড়িত, আল্লাহ তায়ালা নিজের হকের ক্ষেত্রে মাফ করলেও বান্দার হকের ক্ষেত্রে যতক্ষণ বান্দা মাফ না করছে ততক্ষণ মাফ করবেন না। তাই এসব থেকে যথাসাধ্য নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করি। এসব আমার অপছন্দের তালিকার শীর্ষে। নিজের দ্বারা এগুলো কখনো হয়ে গেলে ইস্তেগফার করি এসব থেকে দূরে থাকার জন্য দৃঢ় হই। নফসের ধুকায় মাঝেমধ্যে ভুলক্রটি হয়ে যায়। - মানুষ মাত্রই ভুল, নিজেকে কেউ ভুলের উর্ধ্বে বললে সে ভন্ডবই কিছু না। নিজের কোনো ভুল হলে তার জন্য অকপটে ক্ষমা চেয়ে নেই তাছাড়া ভুলের উপর সাফাই গাওয়া, ভুল জানা ও বুঝার পরেও শুধুমাত্র জেদের বসে ভুলের উপর অটল থাকা ভীষণ অপছন্দের। মুমিনের সিফাতই হলো অন্যের দিকে না তাকিয়ে নিজেরটা দেখা নিজের কি ক্রটি আছে সেটা খুঁজা এবং সেটা থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দূরে চলে আসা। নিজের ভুল জেনেও ভুলের উপর অটল থাকা ইবলিসি ফিতরাত। নিজেকে সংশোধনে সর্বদা সচেষ্ট থাকি আলহামদুলিল্লাহ, কেননা মানুষের ইমান সবসময় একই থাকে না আপ-ডাউন হয়, আমার ক্ষেত্রেও এর বিপরীত হয় না। তাই সবসময় নিজেকে সংশোধনের জন্য আল্লাহর সাহায্য চাই। - নজরের হেফাজত নষ্ট হয় এমন সব কাজ থেকে নিজেকে সবসময় দূরে রাখি। যে চোখ দিয়ে সবসময় হারামকে দেখে সে চোখ দিয়ে কিভাবে আল্লাহ কে দেখবে, তাই নজরের হেফাজতের ক্ষেত্রে নিজেকে কঠোর বলতে পারি। الله عز وجل ভালো জানেন। তবুও মাঝেমধ্যে অজান্তেই ভুল ক্রটি হয়ে যায় ইস্তেগফার জারি রাখি। - নিজেকে সবসময় ঘরের মধ্যে রাখতে পছন্দ করি। মেয়েরা বাইরে গিয়ে ছেলেদের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করা প্রচন্ড ঘৃণা করি, তাই জীবনে কখনো চাকরি করবো না। কোনো মাদ্রাসা বা ইসলামিক প্রতিষ্ঠানেও না। ঘরে বসেই যতটা পারি দ্বীনের কাজ করার চেষ্টা করবো, ঘরের মধ্যেই নিজের জীবনটা সাজাবো ইনশাআল্লাহ। তাছাড়া ইসলাম নারীদের ওপর উপার্জন করার দায়িত্ব অর্পন করেনি। এটি পুরুষদের কাজ। নারীর যাবতীয় ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পুরুষের। আর নারীর দায়িত্ব হচ্ছে আদর্শ পরিবার ও সংসার রচনা করা। সুতরাং বিনা প্রয়োজনে চাকরি বা ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে নারী ঘর থেকে বের হবে না। নারীর প্রধানতম কর্তব্য হলো, তার ঘর-সংসারকে পরিচালনা করা, পরিবারের সকল দিকে লক্ষ্য রাখা, সন্তানদের প্রতিপালন ও পরিচর্যা করে দ্বীনি শিক্ষা-দীক্ষাসহ সার্বিকভাবে উপযোগী করে গড়ে তোলা এবং তার স্বামীর সাথে সদ্ভাব বজায় রাখা। তাই বাইরে গিয়ে চাকরি/ব্যাবসা একদমই করবো না। - মা-বাবা বাধ্য হয়ে থাকার চেষ্টা করি সবসময়, ইসলাম বিরোধী হয় না এমন প্রতিটি কথার শুনার চেষ্টা করি। উনাদের মনে কষ্ট হয় এমন কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখি। - সুখে-দুঃখে, বিপদ-আপদে জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে আল্লাহর উপর তওয়াক্কুল করি, সবসময় যেন আল্লাহর উপর ভরসা করতে পারি সেজন্য সবসময় রবের কাছে সাহায্য চাই। সবসময় হাসিখুশি থাকতে পছন্দ করি। মনমরা করে বসে থাকা অপছন্দ করি। আমার দ্বারা কাউকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকি, কেউ আমাকে কখনো আঘাত করলে তখন কথা বলতে পারি না কারণ কথা বললেই কান্না চলে আসে, গলা ভেঙে আসে। তখন আল্লাহর সাথেই নিজের সব কথা মন খুলে শেয়ার করি, এটা আমার ছোট থেকেই অভ্যাস। - অবসর সময়ে তালিমে অংশ নেই, কখনো ইসলামিক লেকচার অডিও গুলো শুনি, কখনো ইসলামিক বই পড়ি। - তাহাজ্জুদ, চাশত, ইশরাক ইত্যাদি মনসুন আমলগুলো প্রতিদিন করার চেষ্টা করি। প্রতি কাজে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সুন্নাত গুলো পালনের সর্বাত্মক চেষ্টা করি। জানি পরিপূর্ণ ভাবে পারি না, ভুল ত্রুটি হয়ে যায়। আল্লাহ মাফ করুক। কেননা আমি এখনো জান্নাতের পথে ছুটে চলা হোঁচট খাওয়া আল্লাহর বান্দি, হোঁচট খাচ্ছি আবার আল্লাহর রহমতে উঠে আবার দৌড়াচ্ছি। আমার ইমান, আমল, আখলাক, আদবে আরও উন্নতি দরকার। দুনিয়ায় মোহের বিপরীতে গিয়ে চেষ্টা করছি ধীরে ধীরে আরও নিজেকে সংশোধন করার। জীবনের প্রতিটি ঘটনা, সমালোচনা থেকে নিজের দোষ গুলো খুজে নেওয়ার চেষ্টা করি এবং সেগুলো সংশোধনের চেষ্টা করি। আমি নিজেকে কখনো প্র্যাক্টিসিং মুসলিমা বলবো না কারণ আমার ইমান-আমল-আদব-আখলাকে আরও উন্নতি দরকার, তাই নিজের দোষ ক্রুটি গুলো সংশোধন করে নিজেকে প্র্যাক্টিসিং মুসলিমা করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। অন্তত গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রতি কাজের নবীর সুন্নত গুলো শিখার প্রচেষ্টায় আছি। তাই আল্লাহর কাছে এমন জীবনসঙ্গী চাই যিনি আমাকে দ্বীনের ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সাপোর্ট করবেন। আমার হাত ধরে হামাগুড়ি দিয়ে জান্নাতের পথে ছুটে চলবেন। যার মূল লক্ষ উদ্দেশ্যই থাকবে জান্নাত। 🌼 শখঃ নির্দিষ্ট করে কোনো শখ আছে কিনা জানিনা তবে ইসলামিক বইগুলো পড়তে অনেেেেক ভালোবাসি। বিশেষ করে সীরাহ, সাহাবায়ে কেরামের জীবনীগ্রন্থ গুলো। এগুলো আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করে। বাসায় একটা ছোটখাটো লাইব্রেরী তৈরি করেছি। দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করতে চাই সবসময়। 🌼 স্বপ্নঃ মূল স্বপ্ন/মাকসাদ একজন নেককার মা হওয়া, চক্ষু শীতলকারী অন্তর শীতলকারী স্ত্রী হওয়া। নিজের জীবনকে ইসলামের ৪ শ্রেষ্ঠ নারীর আদর্শে গড়তে চাই। ইসলামের ৪ শ্রেষ্ঠ নারীরা কেউ ছিলেন উত্তম স্ত্রী কেউ উত্তম মা। তাদের অনুসরণ করেই নিজের জীবনটা কে সাজাতে চাই। মুমিনাহ'র যিন্দেগীর মাকসাদই তো তার পরিবার। নিজের সন্তানদের নেককার হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, ইসলামি আদর্শে বড় করতে চাই, ছোট থেকেই ওদের ইসলামের প্রতি ভালবাসা অন্তরে জেহাদি তামান্না ঢেলে দিতে চাই। মুজাহিদ মুজাহিদা, হাফেজ-হাফেজা, আলেম-আলেমার মা হতে চাই। আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করতে চাই, জানিনা কখনো সম্ভব কিনা। আল্লাহর কাছে সবসময় চাই একটিবারের জন্যও যেন পবিত্র কাবা তাওয়াফ করতে পারি। 🌷🌷 সত্যি বলতে আমার মূল শিক্ষা আমার পরিবার থেকেই। অতঃপর যখন হেদায়েত আসলো তখন সেই শিক্ষা গুলোকে ইসলামের আলোকে সাজানোর চেষ্টা করেছি। আমার আব্বুর কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখেছি তারমধ্যে অন্যতম একটি হলো—শত্রুর বিপদে তার পাশে দাঁড়িয়ে তার মন জয় করা। আমি সবসময় আব্বুকে দেখেছি, যখনই কেউ বিপদে পড়েছে তিনি তার সাহায্যে এগিয়ে গেছেন। তিনি কখনো এটা দেখেননি যে লোকটা তাঁর ভালো চায় না খারাপ। কেউ বিপদে সাহায্য চেয়েছে এমনিই তার পাশে দাড়িঁয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা আমার মধ্যেও আব্বুর এই গুণ দান করুন। আম্মুর কাছ থেকে কত কি শিখেছি তার হিসাব নেই। আম্মুর কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি যেটা শিখেছি ধৈর্য ও তর্ক এড়িয়ে চলা। জীবনের নানা উত্থান-পতনে, কঠিন সময়গুলোতে আমি সবসময় আম্মু কে এক কথা বলতে শুনেছি—"আমি এত চিন্তা করি না, আল্লাহ যা ভালো মনে করবেন সেটাই হবে।" আমিও চাই, আমার জীবনেও এই গুণগুলো থাকুক। অনেক অনেক ভালোবাসি তাঁদের। আল্লাহ তায়ালা আমার আব্বু-আম্মুর সব গুনাহ মাফ করুক, তাঁদের হায়াতে বরকত দান করুক, এবং জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা দান করুন। সত্যি বলতে মানুষের মূল শিক্ষাটাই তার পরিবার। হয়তো বড় হয়ে কেউ সঠিক পথে থাকে, কেউ বা ভুল পথে চলে যায়, কিন্তু ছোটবেলা থেকে পরিবার থেকে পাওয়া শিক্ষাগুলো সারাজীবন অন্তরে গেঁথে থাকে। |
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন | প্রযোজ্য নয় |
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? | হানাফি |
নজরের হেফাজত করেন? (Required) | চেষ্টা করি |
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? | যতদিন বেঁচে আছি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রাণপনে চেষ্টা করা। একটা দ্বীনি পরিবার গঠন করা। বিশেষ করে পরিবারে বা আপনজনদের দ্বীনি দাওয়াত দেওয়া। কাছের মানুষগুলো ইসলাম পরিপূর্ণ অনুসরণ করছে এটা দেখার চেয়ে শান্তি আর কি আছে..... |
অবসর সময় কিভাবে কাটান? (Required) | কখনো ইসলামিক বই পড়ি, কখনো ইসলামিক অডিও লেকচার গুলো শুনি। কখনো ইউটিউব থেকে রান্নার ভিডিও গুলো দেখি এসবই। |
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? (Required) | ঘর ঝাড়ু দেওয়া, বিছানা চাদর ঠিক করা, আম্মুকে টুকটাক কাজে সাহায্য করা। এককথায় বাসা বাড়িতে টুকটাক কাজগুলো পারি। রান্না নিজে সে-রকম কখনো করিনি, আম্মুই এটা দেখেন আমাকে কখনো দেননি করতে। কিন্তু ইউটিউবের রান্নার ভিডিও গুলো দেখি প্রায়ই। শিখে নিবো ইনশাআল্লাহ। |
নারী-পুরুষ সমঅধীকার বিষয়টাকে আপনি কিভাবে দেখেন? (Required) | সমঅধিকার কথাটা খুবই বিরক্ত লাগে। দুজনই তো একজন আরেকজনের পরিপূরক। স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই একজনের ওপর আরেকজনের হক রয়েছে, এবং উভয়েরই নিজ নিজ দায়িত্ব ও অধিকার রয়েছে। সমঅধিকার শব্দটা স্যাকুলারদের। ওদের কথায় মনে হয় পশ্চিমারাই নারীদের সব অধিকার দিয়েছে ইসলাম নারীদের বন্দী করে রেখেছে। এগুলো সেক্যুলার চিন্তাধারার অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়। |
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? | হ্যা আলহামদুলিল্লাহ। |
---|---|
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? | মানুষ সৃষ্টিলগ্ন থেকেই একলা বসবাস করতে অপারগ। এ কারণেই জান্নাতের এত নিয়ামতও আদি পিতা আদম (আ.) এর কাছে ফিকে মনে হয়েছিল কেবল একজন সঙ্গিনীর অভাবে। তাই আল্লাহ তায়ালা আদম-এর একাকিত্ব দূর করতে হাওয়া (আ.)- কে তাঁর স্ত্রী রূপে সৃষ্টি করেছেন। আর বর্তমানে এক জাহালতপূর্ণ সমাজে বসবাস করছি। জান্নাতের নায-নিয়ামত ভোগের পরও যেখানে আদম-কে একাকিত্ব কুঁড়ে খেয়েছে সেখানে নিজের অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে চলবো সেটা অভাবনীয়। এমতাবস্থায় বিয়ে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। দুনিয়া থেকে জান্নাত পর্যন্ত সৃষ্টিগত বৈশিষ্ট্যর কারণে আমার পক্ষে একাকী চলা সম্ভব না। তাই নিজের চরিত্রকে হেফাজত করার জন্য, অর্ধেক দ্বীন পূরণ করার জন্য বিয়েকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। তাছাড়া বিয়েকে বলা হয়েছে দ্বীনের অর্ধেক। বিয়ে মানুষের জীবনের পথচলায় পরিপক্কতা আনে। সেই পরিপক্কতা আসে দ্বীনের দিক থেকেও। বিয়ে করা নবীদের সুন্নাত। আর বিয়ে শুধুমাত্র দুটো মানুষের মধ্যে নয় দুটো পরিবারের মধ্যেও বন্ধন। সর্বোপরি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য বিয়ে করতে চাচ্ছি। |
আপনি কি বিয়ের পর চাকরি করতে ইচ্ছুক? | একদমই না। বিয়ের পর স্ত্রী কে দিয়ে চাকরি করাবে এমন গাইরতহীন পুরুষ যোগাযোগ করবেন না। |
বিয়ের পর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান? (ছাত্রী হলে) | দ্বীনি ইলম অর্জন সবসময় চালিয়ে যেতে চাই ইনশাআল্লাহু তায়ালা। যদি আল্লাহ তায়ালা তৌফিক দান করেন। |
বিয়ের পর চাকরি চালিয়ে যেতে চান? (চাকরিজীবী হলে) | চাকরিই করবো না কখনো। |
বিয়েতে কেমন মোহরানা নির্ধারন করতে চান? | ছেলের সাধ্যমত আলোচনা সাপেক্ষে |
আপনার স্বামীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? | ইসলামের বিরুদ্ধে যায় না এমন সব হালাল কথা শুনা এবং মানা। উনার হকগুলোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা, উনাকে যথাযথ অভিভাবকের মতো সম্মান করা, উনার কথার গুরুত্ব দেওয়া, উনাকে অনেক অনেক ভালোবাসা, বিপদ-আপদে উনার পাশে থাকা, অসুস্থ হলে যত্ন নেওয়া, উনার জন্য প্রেমময়ী ও চক্ষু শীতলকারী হওয়া। দায়িত্ব তো অনেক, আল্লাহ তায়ালা ঠিকমতো আদায় করার তৌফিক দান করুক। আমার উপর যাদের হক রয়েছে সেগুলো পরিপূর্ণ আদায় করে আল্লাহর কাছে যেতে পারলেই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আল্লাহ তায়ালা তাঁর এই নগন্য বান্দীকে এই দায়িত্ব গুলো পালনের তৌফিক দান করুন। |
আপনার আহলিয়ার পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? | হ্যা |
বিয়ের পর কোথায় থাকতে চান? | স্বামীর বাড়ি |
বয়স (Required) | ২৩-৩০ |
---|---|
গাত্রবর্ণ | এটা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, সবই তো আল্লাহরই সৃষ্টি। আল্লাহর সৃষ্টি সবই সুন্দর, আল্লাহর সৃষ্টি কোনো কিছুকে দোষক্রটি বলে তুচ্ছ করাকে মনে প্রাণে ঘৃণা করি। গাত্রবর্ণ- কালো, শ্যামলা, উজ্জ্বল শ্যামলা, ফর্সা যেকোনো হোক দেখে ভালো লাগলেই হলো। তবে হ্যা মানুষের আচরণ যেমন তাঁর চেহারাও তেমন, যতোই সুন্দর হোক না কেন যদি আল্লাহর নাফরমান বান্দা হয় তার চেহারায় অবশ্যই একটা কুৎসিতভাব থাকে। |
নূন্যতম উচ্চতা | ৫'৬"-৭' |
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা | আলেম/মুফতি, জেনারেল হলে মাস্টার্স/স্নাতক চলমান বা কমপ্লিট। ফরজ ইলম পরিমাণ জ্ঞান থাকতে হবে। মাদ্রাসা/ জেনারেল যেকোনো টা হোক সমস্যা নাই, তবে অবশ্যই দ্বীনদার হতে হবে। |
বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিত |
জীবনসঙ্গীর দাড়ি বা ইনকাম সম্পর্কে যা চান- (Required) | অবশ্যই সুন্নাতি দাড়ি থাকতে হবে। স্টাইলিশ দাড়ি না, দাড়ি ছাড়া কেউ [মেয়েলি পুরুষ] যোগাযোগ করবেন না।। ইনকাম- একদম হালাল ইনকাম। |
পেশা (Required) | ১০০% হালাল চাকুরী/হালাল ব্যাবসা। |
অর্থনৈতিক অবস্থা | মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত, সচ্ছল। (কুফু মিলিয়ে হলে ভালো হয়) |
পারিবারিক অবস্থা (Required) | দ্বীনদার, পরিবারের সবাই দ্বীন মেনে চলে। নন-মাহরাম মেনে চলে। |
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন | একজন মুমিন পুরুষের যেসব বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক সেগুলো প্রত্যাশা করি। আমি এমন একজন জীবনসঙ্গী প্রত্যাশা করি, যিনি হবেন বিশুদ্ধ ঈমানদার, আল্লাহর পরিপূর্ণ আনুগত্যশীল, তাওয়াক্কুলকারী, চারিত্রিকভাবে পবিত্র এবং আমল ও আখলাকের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল। যাঁর ঈমান আমার ঈমানের চেয়ে অনেক শক্তিশালী হবে, যেন তাঁর সান্নিধ্যে আমি দ্বীনের পথে আরও দৃঢ় হতে পারি। তাঁর চরিত্রে থাকবে চরিত্রের পবিত্রতা ও গায়রতের প্রতি দৃঢ় আনুগত্য। আমার পর্দার যথাযথ ব্যাবস্থা রাখবেন। দ্বীনের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দিবেন না। তাঁর জীবন হবে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সুন্নাত অনুসরণের আদর্শ। আমার জ্ঞান খুবই অল্প আমি তাঁর কাছ থেকে দ্বীনি ইলম শিখতে চাই, তাঁকে আমার শিক্ষক হিসেবে গ্রহণ করতে চাই। যাঁকে দেখলে আমার চোখ শীতল হয়ে যাবে, যাঁর অন্তর জিহাদের তামান্নায় উজ্জীবিত থাকবে, যিনি সর্বদা শহীদদের মৃত্যুর কামনা করবেন। তিঁনি আমার তাহাজ্জুদের সাথী হবেন, যাঁর সঙ্গে আমলের প্রতিযোগিতা করা যাবে। আমার জন্য হবেন চক্ষু শীতলকারী অন্তর শীতলকারী। ◾◾নিচের পয়েন্ট গুলো ভালো করে পড়বেন। এখানে আমি বিস্তারিতভাবে যেমন জীবনসঙ্গীর প্রত্যাশা করি সেগুলো তুলে ধরলাম। অবশ্যই প্রত্যেকটি পয়েন্ট গুরুত্বসহ পড়বেন ইনশাআল্লাহ। 📌 আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহর অনুসারী হবেন, বাতিল আকিদা মুক্ত থাকবেন। ঈমান ভঙ্গের সকল কারণ থেকে দূরে থাকবেন। 📌 অফলাইনে বা অনলাইনে দ্বীনি ইলম অর্জন করার সাথে যুক্ত থাকলে অগ্রাধিকার পাবে ইনশাআল্লাহ। শুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াত জানতে হবে তা না হলে শুদ্ধ করার প্রচেষ্টায় থাকতে হবে এবং বৈবাহিক/পারিবারিক জীবনের মৌলিক মাসআলা জানা থাকতে হবে। 📌 মা এবং স্ত্রী—উভয়ের হক যথাযথভাবে আদায় করা একজন পুরুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। মা-বোনের কথায় স্ত্রীর অধিকার নষ্ট করা যেমন অন্যায়, তেমনি স্ত্রীকে অতিরিক্ত প্রাধান্য দিয়ে মায়ের হক ভুলে যাওয়াও গ্রহণযোগ্য নয়। ভারসাম্য রক্ষা করাই প্রকৃত দায়িত্বশীলতা। যেহেতু মা-বাবা জান্নাতের পথে অন্যতম মাধ্যম, তাই আমি এবং আমার জীবনসঙ্গী আমরা একে অপরের পিতামাতার দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ। ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে সম্পর্ক সুন্দর হয়। তাই দাম্পত্য জীবনে যদি কখনো ভুল-ত্রুটি হয়, আমরা পরস্পরকে নম্রতা ও ভালোবাসার সঙ্গে শুধরে দেওয়ার মানসিকতা রাখবো। 📌 ঘরে বাইরে এবং ঘরের অভ্যন্তরে গাইরে মাহরাম থাকলে কঠোরভাবে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। অনলাইনে এবং অফলাইনে কঠোরভাবে গাইরে মাহরামদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। নজরের হেফাজতের ক্ষেত্রে কঠোর হতে হবে। নিজের ইনকামে যেন হারামের লেশমাত্র না থাকে সেদিকে কঠোর হতে হবে। 📌সোস্যাইল মিডিয়ার আসক্ত হওয়া যাবে না। আমি নিজেও ফেইসবুক আনইন্সটল করে রেখেছি খুব বেশি প্রয়োজন হলে ঢুকেই আবার বের হয়ে যাই। এটা সময়ের অপচয় ছাড়া কিছুই না। ১টা সওয়াব হলে ১০টা গুনাহ জমা হয়। তাই তাঁর কাছে অনুরোধ থাকবে বিয়ের পর নিজের কোনো ফেসবুক/ ইন্সট্রাগ্রাম থাকলে সেগুলো একাউন্ট ডিলেট করে দেওয়ার। আমিও আমার ফেইসবুক একাউন্ট ডিলেট করে দিবো। ফেইসবুকে আর যাই হোক নজরের হেফাজত পূর্ণভাবে করা যায় না। আমার ও আমার আহলের মধ্যে ফিতনার ছুঁয়া লাগতে পারে এমন সব রকম দরজা বন্ধ রাখতে চাই। আমার আর আমার আহলের জীবন সম্পূর্ণ গুনাহ মুক্ত রাখতে চাই। গুনাহ হবে এমন সব পথ বন্ধ রাখতে চাই। নিজের চেষ্টার পাশাপাশি দুজনেই একে অপরকে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তাগিদ দিবে। যদি দুজনেই গুনাহ মুক্ত হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিয়ে দুনিয়া ছাড়তে পারি তবেই না জান্নাতে একসাথে থাকার আশা করতে পারি। 📌 ফরজ, ওয়াজিব আমলগুলো নিয়মিত করতেই হবে, এটাতে কোনো ছাড় নেই। নিয়মিত প্রতিদিন কুরআন তেলাওয়াতের অভ্যাস থাকতে হবে। তাহাজ্জুদের অভ্যাস থাকলে ভালো আলহামদুলিল্লাহ। মনসূন আমল গুলোর করা, সুন্নাত ইবাদতের ক্ষেত্রে ইশরাখ, চাশত, সপ্তাহিক মাসিক রোজা এসব আমলের পাবন্দ থাকা। বর্তমানে খুব কম সংখ্যক ই এগুলো পালন করে। জানি একজনের মধ্যে এতসব বৈশিষ্ট্য পাওয়া সম্ভব নয়, তাই বলে হতাশ হবেন না। এই আমলগুলো পালন করার চেষ্টা থাকতে হবে এতে আমাকে সহযোগী হিসেবে পাবেন ইনশাআল্লাহ [আমি নিজেও নিয়মিত নই, কখনো খুব নিয়মিত থাকি আবার কখনো ছুটেও যায়। ইস্তেগফারে জারি আছি]। আমাকেও এই আমলগুলো পালনের ক্ষেত্রে তাগিদ দিবেন। জীবনে যখনই এই আমলগুলো নিয়মিত করেছি আলাদা একটা প্রশান্তি অনুভব করেছি, আমি চাই এই প্রশান্তি টা আবার আসুক সারা জীবনের জন্য। 📌বৈবাহিক জীবনে কোনো সমস্যা হলে নিজেদের মধ্যেই সমাধান করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। আল্লাহ তায়ালা অন্যের দোষ খুজতে যেমন নিষেধ করেছেন তেমনি নিজেদের দোষক্রটি মানুষের নিকট প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন। এ দু'টো আমার কাছে খুবই বিরক্ত লাগে। 📌 দৃষ্টির হেফাজত করতে হবে। যারা দৃষ্টির হেফাজত করেন না এমন কেউ যোগাযোগ করবেন না। 📌আমার পর্দার ক্ষেত্রে আপনাকে ঢাল হিসেবে থাকতে হবে। আমার কন্ঠের পর্দার ও ব্যাবস্থা রাখতে হবে। আমি চাইনা আমাকে আমার মাহরাম পুরুষ ছাড়া অন্য কেউ দেখুক। আমি ঘরে বাইরে সব জায়গায় পর্দার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দিবো না। স্ত্রীকে শরীয়া সম্মত পরিবেশ তৈরি করে দেয়া স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত। নামাজ রোজার মতো পর্দা করাও ফরজ। সেই অনুযায়ী স্ত্রীকে পরিপূর্ণ পর্দায় না রাখতে পারলে স্বামী দাইয়্যুস হিসেবে গণ্য হবে, আর দাইয়্যুস কখনো জান্নাতে যাবে না। দাইয়্যুস থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। 📌 বিদায়াতের ক্ষেত্রে সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে। সমাজে প্রতিষ্ঠিত অনেক বিদায়াত আছে যেগুলো মানুষ অহরহ পালন করে, এসব বিদায়াত সর্বদা বর্জন করে চলতে হবে। এটার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই, আর যাই হোক বিদায়াতীর সাথে নিজের জীবন জড়াতে চাই না। 📌 চাকরি/ব্যাবসা যেখানেই করুক সবসময় আমাকে নিজের সাথেই রাখতে হবে। এমন হয় না হাসবেন্ড চাকরি করে এক শহরে আর পরিবার কে রেখে এসেছে আরেক শহরে এমন কেউ ভুলেও যোগাযোগ করবেন না। বিয়ের পর থেকে সবসময় আমাকে সাথেই রাখতে হবে।বিয়ের পর থেকে দুনিয়ায় মৃত্যু পর্যন্ত আর পরকালে জান্নাত পর্যন্ত আমার আহলের পিছনে আটার মতো লেগে থাকবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা আমার এই চাওয়া পূর্ণ করুক। আমি চাই আমি যেন সবসময় তাঁর সাথেই থাকি, দূরত্ব যেন আমাদের মাঝে না আসে। তাই এমন কেউ যেন যোগাযোগ না করেন, যারা স্ত্রীকে রেখে অন্য শহরে থাকেন। 📌যেহেতু আমার মা-বাবা আমাদের ভাই-বোন সবাইকে শহরের পরিবেশে বড় করেছেন তাই গ্রামের আম্মু আব্বু আমাকে কখনো দিবেন না। তাছাড়া গ্রামে বেড়াতে গিয়ে যতটুকু বুঝেছি গ্রামে পর্দার ব্যাবস্থা খুবই কম থাকে, কিরকম খোলামেলা পরিবেশ। ঝগড়া, গালাগালি, গিবত, নামিমা এসব বেশি হয় গ্রামে। তাই পাত্র শহরের হতে হবে বা বিয়ের পর সবসময় শহরে থাকবে এমন। 📌অল্পতেই রেগে যায়, বদমেজাজি, ধৈর্যহীন, সামান্য অভাব হলেই অন্যের কাছে হাত পাতে, অন্তরে আল্লাহর ভয় নেই এমন কেউ যোগাযোগ করবেন না। রাগী কাউকে একদম পছন্দ করি না। 📌 বিদেশে যেতে আগ্রহী হলে দয়া করে আমার বায়োডাটা এড়িয়ে যান। প্রবাসীদের অনেক প্রস্তাব এসেছে শুধু দ্বীনের জন্য রিজেক্ট করেছি। ভবিষ্যতে বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও যোগাযোগ করবেন না, কেননা পরে সমস্যা হতে পারে তাই আগেই আমার বায়োডাটা এড়িয়ে যান। প্রবাসীদের ঘৃণা করি এমনটা কেউ ভাববেন না, সবারই পছন্দ অপছন্দ থাকে। নিজের জন্য প্রবাসী কাউকে একেবারেই আশা করি না। 📌সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, আমি নিজেকে যেমন সবসময় পরিস্কার রাখতে পছন্দ করি তাকেও তেমন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে থাকতে হবে। শরীরে বা "মুখে" বাজে দুর্গন্ধ থাকা যাবে না একদমই। আসলে আমি দুর্গন্ধ সহ্য করতে পারি না তাই। 📌 বিয়েটা অবশ্যই সম্পূর্ণ সুন্নাত অনুযায়ী হবে ইনশাআল্লাহ। আপনি বা আপনার পরিবার যদি বিয়েতে কমিউনিটি সেন্টারে বা যেকোনো ভাবে বরযাত্রী নিয়ে পেট ভুজ করার ইচ্ছে রাখেন, এনিয়ে বেনিয়ে যৌতুক নেওয়ার ইচ্ছে রাখেন তবে এই বায়োডাটা এড়িয়ে যান। আমার বিয়েতে সুন্নাতের বাইরে কিছুই হবে না ইনশাআল্লাহ। 🌼🌼 আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে তাঁর হক আদায় করার চেষ্টা করব, তাঁর আনুগত্য করব, তাঁকে ভালোবাসবো, তাঁকে সন্তুষ্ট রাখার এবং তাঁর জন্য একজন আদর্শ জীবনসঙ্গী হতে চাইব ইনশাআল্লাহ। আমি চাইবো আমি যেমন তাঁর হক রক্ষায় সচেষ্ট থাকবো, তাঁকেও সেভাবে দেখতে। যেন তাঁকে পেয়ে প্রতিনিয়ত আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি। ⚡⚡ বায়োডাটা পছন্দ হলে যোগাযোগের আগে অবশ্যই অবশ্যই ইস্তেখারা করে যোগাযোগ করবেন। যদি পজিটিভ আসে তবেই যোগাযোগ করবেন। বিয়ের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ কাজে আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কিভাবে আগাবেন! তাই কল্যানকর হওয়ার জন্য অবশ্যই ইস্তেখারা করে তারপর যোগাযোগ করবেন ইনশাআল্লাহ। ইস্তেখারা করে ফলাফল যাই আসুক তাতেই অবশ্যই আল্লাহর রহমত থাকবে। |
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? (Required) | হবিগঞ্জ (নবিগঞ্জ উপজেলা বাদে) এবং সিলেট ইনশাআল্লাহ। সিলেট বেশি প্রাধান্য পাবে ইনশাআল্লাহ। অন্য কোনো জেলায় আম্মু আব্বু রাজি হবেন না। |
পেশা সম্পর্কিত তথ্য (Required) | ত্বলিবা। |
---|---|
বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান | আমি দ্বীনের ক্ষেত্রে কঠোর (আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন) যতটুকু পারি চেষ্টা করি। দ্বীনের ক্ষেত্রে কোনো কিছু ছাড় দেওয়ার বিন্দু পরিমাণ ইচ্ছে নেই। তাই সকল (এখানে সকলের মিনিংটা বুঝবেন, যারা নামাজ রোজা এতটুকুতে সীমাবদ্ধ তারা দয়া করে বায়োডাটা এড়িয়ে যান) ফরজ, ওয়াজিব আমলে গাফলতি আছে এমন কেউ যোগাযোগ করবেন না। বিয়ে সম্পুর্ণ (পাত্রী দেখা থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত) সুন্নাহ মুতাবেক হবে ইনশাআল্লাহ, এরচেয়ে একটুও হেরফের হবে না ইনশাআল্লাহ। আর অবশ্যই পাত্রের অভিভাবক কে দিয়ে যোগাযোগ করবেন পাত্র নিজে ফোন দিবেন না, কারণ অভিভাবক থাকতে পাত্র নিজে ফোন দিলে আব্বু সেটা ভালো দেখেন না। যোগাযোগ এর আগে অবশ্যই ইস্তেখারা করে যোগাযোগ করবেন ইনশাআল্লাহ। আরেকটি কথা যদি সম্ভব হয় তাহলে অফলাইনে কারো মাধ্যমে আব্বুর সাথে যোগাযোগ করলে সবচেয়ে.... বেশি ভালো হয়। |
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? | হ্যা |
---|---|
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? | হ্যা |
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? | হ্যা |
এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।
অভিভাবকের সাথে যোগাযোগসর্বমোট ভিউ: 1728 ভিউস