female

বায়োডাটা নাম্বার

AH-106402

পাত্রীর বায়োডাটা

অবিবাহিত

সিলেট

সিলেট বিভাগ

সিলেট

সিলেট বিভাগ

২০০৫

উজ্জ্বল শ্যামলা

৫'৫''

৪৫ কেজি

AB+

ছাত্র/ছাত্রী


ঠিকানা
স্থায়ী ঠিকানা মাধবপুর উপজেলা, হবিগঞ্জ জেলা, সিলেট বিভাগ
বর্তমান ঠিকানা উত্তর বাঘবাড়ি, সিলেট সদর, সিলেট।
কোথায় বড় হয়েছেন? (Required) শহরেই বড় হয়েছি। আমরা ভাইবোনের সবার পড়াশোনা- বড় হওয়া সব সিলেটেই।।
সাধারণ তথ্য
বায়োডাটার ধরন পাত্রীর বায়োডাটা
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
বর্তমান ঠিকানা সিলেট
বিভাগ সিলেট বিভাগ
স্থায়ী ঠিকানা সিলেট
বিভাগ সিলেট বিভাগ
জন্মসন (আসল) ২০০৫
গাত্রবর্ণ উজ্জ্বল শ্যামলা
উচ্চতা ৫'৫''
ওজন ৪৫ কেজি
রক্তের গ্রুপ AB+
পেশা ছাত্র/ছাত্রী
শিক্ষাগত যোগ্যতা
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? (Required) মাদ্রাসা
আপনি কি হাফেজ? না
দাওরায়ে হাদীস পাশ করেছেন? না
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? হ্যাঁ
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান ফলাফল A
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান বিভাগ বিজ্ঞান বিভাগ
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাসের সন ২০২০
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাশ করেছেন? হ্যাঁ
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমানের বিভাগ বিজ্ঞান বিভাগ
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান ফলাফল A
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাসের সন ২০২২
স্নাতক / স্নাতক (সম্মান) / সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম পর্যন্ত পড়েছি। বর্তমানে ফাজিল অনার্স ১ম বর্ষে পড়াশোনা করছি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম Shahjalal Jameya Islamia Kamil Madrasah, Sylhet
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা HSC
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা • ক্বারিয়া • আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে ফাজিল অনার্স ১ম বর্ষে পড়াশোনা করছি • ইক্বরা অনলি সিস্টার + IOM এর তাফসিরুল কুরআন কোর্সে আছি। • মুমিনের বিয়ে ভাবনা কোর্স সম্পন্ন করেছি • এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক বিভিন্ন বিষয়ে কোর্সগুলো করা হয়েছে। • IOM এর আলেমা কোর্সগুলো করার ইচ্ছে আছে। দ্বীনি জ্ঞান সবসময় অর্জন করতে চাই।
IOM তথ্য
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? হ্যা
আপনার কোর্সের নাম ও ব্যাচ নম্বর: Dua & Sunnah Course এবং তাফসিরুল কুরআন" কোর্স
পারিবারিক তথ্য
পিতার পেশা আগে একটা মাদ্রাসায় চাকরি করতেন। বর্তমানে সিলেটে ফার্নিচারের ব্যাবসা করছেন।
মাতার পেশা গৃহিণী
বোন কয়জন? ২জন
ভাই কয়জন? ১জন
বোনদের সম্পর্কে তথ্য সবাই আমার ছোট। মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে।
ভাইদের সম্পর্কে তথ্য সবার ছোট। ক্লাস ৬ এ পড়ে।
চাচা মামাদের পেশা মামা নেই। চাচারা,,,,, ১জন বিমানবাহিনীতে চাকরি করেন। ১জন সেনাবাহিনী তে ছিলেন। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। বাড়িতে ব্যাবসা করছেন। ১জন প্রবাসি ছোট চাচ্চু একটা কোম্পানিতে চাকরি করেন।
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা বর্তমানে সিলেট বাসা বাড়া আছি। দাদা বাড়িতে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জায়গা খালি পড়ে আছে, ঘর তুলা হয় নি। নানা বাড়িতেও আম্মুর সূত্রে অনেক জমিজমা রয়েছে। আব্বু সিলেট ফার্নিচারের ব্যাবসা করেন। সব মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ মধ্যবিত্ত সচ্ছল এবং সামাজিকভাবে সম্মানিত।
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) (Required) আলহামদুলিল্লাহ সবাই দ্বীন মেনে চলেন। দ্বীনি পরিবেশ থাকে সবসময় আলহামদুলিল্লাহ। বাহিরের কেউ ঘরে আসে না। মাঝে মধ্যে বাসায় দ্বীনি আলোচনা হয় আলহামদুলিল্লাহ।
ব্যক্তিগত তথ্য
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? হ্যা আলহামদুলিল্লাহ
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) ছোট থেকেই। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর থেকে এর আগে কথা মনে নেই। আনুমানিক ক্লাস ৮ থেকে ।
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? হ্যা আলহামদুলিল্লাহ, এটা তো মানতেই হবে। ঘরে বাইরে সব জায়গায় কঠোরভাবে মেনে চলি।
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? হ্যা আলহামদুলিল্লাহ। তবে মাদ আর সিফাতের মধ্যে সামান্য কিছু সমস্যা হয় উস্তাজার কাছে পড়া দিচ্ছি কিছুদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।।
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? বোরকা, নিকাব, হাত মোজা পা মোজা।
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন (Required) রাসুলুল্লাহ ﷺ এর আদর্শে গড়া ইসলামি খেলাফত, এটাই একমাত্র মুক্তির পথ। সেক্যুলার গনতন্ত্রের পক্ষে কখনো ছিলাম না আর থাকবোও না।
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? না আলহামদুলিল্লাহ। বরং এগুলো পছন্ড বিরক্ত লাগে। আল্লাহ তায়ালা হেফাজত করেছেন।
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) না আলহামদুলিল্লাহ , তবে দূরের জিনিস দেখতে একটু সমস্যা হয় তাই বাইরে গেলে চশমা পড়তে হয়। ঘরের মধ্যে প্রয়োজন হয় না।
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) হ্যা
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) না
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) মাজার পূজা শির্ক
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) নির্দিষ্ট করে ৩ টা বলা কঠিন। অনেক বইই পড়েছি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু বই মিনহাজুল আবেদীন, এখন যৌবন যার, মুহস্বানাত, তিনিই আমার রব, ইলা মাগফিরাহ,আই লাভ কুরআন, তিনিই আমার রব, সিরাতে মুস্তফা ৪ খন্ড, বুখারী শরিফ, তাফসির ইবনে কাছির ইত্যাদি।
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) শায়েখ আহমাদুল্লাহ (হাফি.), শায়েখ জুলফিকার আহমেদ নকশবন্দী (হাফি.), ড. খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহি.), নোমান আলী খান।
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) ক্বারিয়া। OWIM+IOM Student।
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন অনুগ্রহ করে মনোযোগ দিয়ে বিস্তারিত বায়োডাটা পড়বেন। এখানে আমি আমার একটা প্রতিচ্ছবি তুলার চেষ্টা করেছি। ভালো মন্দ মিলিয়েই একজন মানুষ, তাই আমার ক্ষেত্রে কোনো কিছু ভালো মনে না হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ইনশাআল্লাহ। 🌼 পছন্দ-অপছন্দ, রুচিবোধঃ - ছোট থেকেই একটু ইন্ট্রোভার্ট ছিলাম। অপরিচিতদের সাথে আন্তরিকতার সম্পর্কে যেতে যথেষ্ট সময় নেই, কিন্তু যাদের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যায় তাদের সাথে সম্পর্ক অনেক ভালো থাকে। আমি খুবই সাধারণ, খুবই সাদামাটা সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত, সবসময় চেষ্টা করি নিজের প্রয়োজনের বাইরে বেশি কিছু গ্রহণ না করার। প্রয়োজন পুরণ হয়ে যায় এমন কিছুতেই সন্তুষ্ট থাকি এটা আমার ছোটবেলার অভ্যাস বলবো। যা আছে তা নিয়েই সবসময় সন্তুষ্ট থাকি। জীবন চলার ক্ষেত্রে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু থাকলেই আলহামদুলিল্লাহ। নিজের চেয়ে অন্য কাউকে আল্লাহ তায়ালা বেশি নেয়ামত দিলে সেটা দেখে নিজের মধ্যে হিংসা করা, আফসোস করা খুবই অপছন্দ করি। চেষ্টা করি শখের চাইতে জরুরতকে প্রাধান্য দিয়ে জীবন পরিচালনা করার। 🌷 - আল্লাহ্ আয্যা ওয়া জাল্লার লক্ষ কোটি অনুগ্রহ এবং একমাত্র তারই অনুকম্পা যে, এ ফেতনার যুগে আমাকে দুনিয়াবী সকল প্রকারের ফেতনা থেকে নিরাপদ রেখে আখেরাতের দিকে ধাবিত করেছেন। দুনিয়ার সংকীর্ণতা থেকে বের করে আখেরাতের প্রশস্থতার দিকে অগ্রসর হবার আগ্রহ তৈরি করে দিয়েছেন। এসবই আল্লাহর মেহেরবানী ছাড়া ভিন্ন কিছু নয়। এ জন্য সবসময় মহান রবের কাছে শুকরিয়া করি। কেননা আমি এসকল অনুগ্রহ পাবার জন্য মোটেই যোগ্য ছিলাম না। আল্লাহর অনুগ্রহতেই জীবনকে আল্লাহর রঙে রাঙাতে শুরু করি। এমন জীবন গড়তে সচেষ্ট হই যে জীবনের মৌলিক উদ্দেশ্যই প্রত্যেকটা মুহূর্ত শুধুমাত্র রাব্বে কারীমকে সন্তষ্ট করা এবং জান্নাতে রবের সাথে অতি কাঙ্খিত সাক্ষাৎ। সবসময় সাহাবিদের জীবন অনুসরণের চেষ্টা করি, সাহাবিদের জীবনী পড়ে সেখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করি। কেননা সাহাবীরা রাসুলুল্লাহ ﷺ এর দেখানো পথেই নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন আর তাদের অনুসরণেই রয়েছে জীবনের সর্বোচ্চ সাফলতা। 🌼কাউকে ভালোবাসলে আল্লাহ্ তা'য়ালার জন্য ভালবাসি, ঘৃণা করলেও আল্লাহ্ তা'য়ালার জন্য করি। এক্ষেত্রে 'ٱلْوَلَاءُ وَٱلْبَرَاءُ' অর্থাৎ "আল্লাহর সন্তুষ্টিজনক সবকিছুকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাউকে ভালোবাসা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যা কিছু আল্লাহর অপছন্দনীয় তা থেকে সরে আসা এবং বিরোধিতা করা" এই আক্বিদা পোষণ করি। তাছাড়া পরিবার বা যেকোনো কিছু মানুষ এমনিতেই ভালোবাসে কিন্তু সেটা যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির হয় তাতে যেমন তাকে অগণিত রহমত সাথে সওয়াব অর্জনের সুযোগ।🌸🌸 সকালে ফজরের পর কুরআন তেলাওয়াত মনসূন আমল গুলো দিয়ে দিনটাকে শুরু করা অতি পছন্দের একটি কাজ। অপছন্দ করি আধুনিকা মডারেট ইসলামীদের, ইসলামের নামে আধুনিকতা, অসভ্য পশ্চিমা সভ্যতা। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর দেখানো পদ্ধতি পছন্দ। যদিও বাংলাদেশে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে ইসলামের লেশমাত্রও দেখা যায় না। 🌹 বিদায়াতের ক্ষেত্রে আমাকে একরোখা বলতে পারেন। কোনো কাজে যদি দেখি সামান্য পরিমাণ বিদায়াতের চিহ্ন আছে তবে সঙ্গে সঙ্গেই সেটা ছেড়ে দেই। সমাজে প্রতিষ্ঠিত অনেক বিদায়াত আছে যেগুলো আমি খরা ভাবে বর্জন করি, সেজন্য মুরব্বিদের কাছ থেকে অনেক কথা শুনতে হয়। সেটা যাই হোক আমার কাছে সবার আগে আল্লাহ ও তার রাসূল ﷺ এর আদেশ পর বাকি সব। 🌼 গীবত, নামীমা, ঝগড়া, গালাগালি, রাগারাগি, অনর্থক কাজ, অনর্থক কথা (গল্প, আড্ডা), কৃপণতা করা, বিলাসিতা করা, অকৃতজ্ঞতা, খোঁটা দেওয়া ইত্যাদি থেকে সবসময় যথাসাধ্য নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করি। কেননা এগুলো বেশিরভাগেই বান্দার হক জড়িত, আল্লাহ তায়ালা নিজের হকের ক্ষেত্রে মাফ করলেও বান্দার হকের ক্ষেত্রে যতক্ষণ বান্দা মাফ না করছে ততক্ষণ মাফ করবেন না। তাই এসব থেকে যথাসাধ্য নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করি। এসব আমার অপছন্দের তালিকার শীর্ষে। নিজের দ্বারা এগুলো কখনো হয়ে গেলে ইস্তেগফার করি এসব থেকে দূরে থাকার জন্য দৃঢ় হই। 🌹মানুষ মাত্রই ভুল, নিজেকে কেউ ভুলের উর্ধ্বে বললে সে ভন্ডবই কিছু না। নিজের কোনো ভুল হলে তার জন্য অকপটে ক্ষমা চেয়ে নেই তাছাড়া ভুলের উপর সাফাই গাওয়া, ভুল জানা ও বুঝার পরেও শুধুমাত্র জেদের বসে ভুলের উপর অটল থাকা ভীষণ অপছন্দের। মুমিনের সিফাত হল তাঁরা শুনে এবং মানে, যেমনটা কুরআন হাদিসে এসেছে। নিজের ভুল বুঝেও ভুলের উপর অটল থাকা ইবলিসি ফিতরাত। নিজেকে সংশোধনে সর্বদা সচেষ্ট থাকি আলহামদুলিল্লাহ, কেননা মানুষের ইমান সবসময় একই থাকে না আপ-ডাউন হয়, আমার ক্ষেত্রেও এর বিপরীত হয় না। তাই সবসময় নিজেকে সংশোধনের জন্য আল্লাহর সাহায্য চাই। 🌼 নজরের হেফাজত নষ্ট হয় এমন সব কাজ থেকে নিজেকে সবসময় দূরে রাখি যে চোখ দিয়ে সবসময় হারামকে দেখে সে চোখ দিয়ে কিভাবে আল্লাহ কে দেখবে, তাই নজরের হেফাজতের ক্ষেত্রে নিজেকে কঠোর বলতে পারি। الله عز وجل ভালো জানেন। নিজেকে সবসময় ঘরের মধ্যে রাখতে পছন্দ করি। মেয়েরা বাইরে গিয়ে ছেলেদের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করা প্রচন্ড ঘৃণা করি, তাই জীবনে কখনো চাকরি করবো না। কোনো মাদ্রাসা বা ইসলামিক প্রতিষ্ঠানেও না। ঘরে বসেই যতটা পারি দ্বীনের কাজ করার চেষ্টা করবো, ঘরের মধ্যেই নিজের জীবনটা সাজাবো ইনশাআল্লাহ। তাছাড়া ইসলাম নারীদের ওপর উপার্জন করার দায়িত্ব অর্পন করেনি। এটি পুরুষদের কাজ। নারীর যাবতীয় ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পুরুষের। আর নারীর দায়িত্ব হচ্ছে আদর্শ পরিবার ও সংসার রচনা করা। সুতরাং বিনা প্রয়োজনে চাকরি বা ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে নারী ঘর থেকে বের হবে না। নারীর প্রধানতম কর্তব্য হলো, তার ঘর-সংসারকে পরিচালনা করা, পরিবারের সকল দিকে লক্ষ্য রাখা, সন্তানদের প্রতিপালন ও পরিচর্যা করে দ্বীনি শিক্ষা-দীক্ষাসহ সার্বিকভাবে উপযোগী করে গড়ে তোলা এবং তার স্বামীর সাথে সদ্ভাব বজায় রাখা। তাই বাইরে গিয়ে চাকরি/ব্যাবসা একদমই করবো না। 🌹 মা-বাবা বাধ্য হয়ে থাকার চেষ্টা করি সবসময়, ইসলাম বিরোধী হয় না এমন প্রতিটি কথার শুনার চেষ্টা করি। উনাদের মনে কষ্ট হয় এমন কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখি। 🌼সুখে-দুঃখে, বিপদ-আপদে জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে আল্লাহর উপর তওয়াক্কুল করি, সবসময় যেন আল্লাহর উপর ভরসা করতে পারি সেজন্য সবসময় রবের কাছে সাহায্য চাই। সবসময় হাসিখুশি থাকতে পছন্দ করি। মনমরা করে বসে থাকা অপছন্দ করি। আমার দ্বারা কাউকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকি, কেউ আমাকে কখনো আঘাত করলে তখন কথা বলতে পারি না কারণ কথা বললেই কান্না চলে আসে, গলা ভেঙে আসে। তখন আল্লাহর সাথেই নিজের সব কথা মন খুলে শেয়ার করি, এটা আমার ছোট থেকেই অভ্যাস। 🌹অবসর সময়ে তালিমে অংশ নেই, কখনো ইসলামিক লেকচার অডিও গুলো শুনি, কখনো ইসলামিক বই পড়ি। 🌼 তাহাজ্জুদ, চাশত, ইশরাক ইত্যাদি মনসুন আমলগুলো প্রতিদিন করার চেষ্টা করি। প্রতি কাজে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সুন্নাত গুলো পালনের সর্বাত্মক চেষ্টা করি। জানি পরিপূর্ণ ভাবে পারি না, ভুল ত্রুটি হয়ে যায়। আল্লাহ মাফ করুক। কেননা আমি এখনো জান্নাতের পথে ছুটে চলা হোঁচট খাওয়া আল্লাহর বান্দি, হোঁচট খাচ্ছি আবার আল্লাহর রহমতে উঠে আবার দৌড়াচ্ছি। আমার ইমান, আমল, আখলাক, আদবে আরও উন্নতি দরকার। দুনিয়ায় মোহের বিপরীতে গিয়ে চেষ্টা করছি ধীরে ধীরে আরও নিজেকে সংশোধন করার। জীবনের প্রতিটি ঘটনা, সমালোচনা থেকে নিজের দোষ গুলো খুজে নেওয়ার চেষ্টা করি এবং সেগুলো সংশোধনের চেষ্টা করি। আমি নিজেকে কখনো প্র্যাক্টিসিং মুসলিমা বলবো না কারণ আমার ইমান-আমল-আদব-আখলাকে আরও উন্নতি দরকার, তাই নিজের দোষ ক্রুটি গুলো সংশোধন করে নিজেকে প্র্যাক্টিসিং মুসলিমা করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। অন্তত গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রতি কাজের নবীর সুন্নত গুলো শিখার প্রচেষ্টায় আছি। তাই আল্লাহর কাছে এমন জীবনসঙ্গী চাই যিনি আমাকে দ্বীনের ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সাপোর্ট করবেন। আমার হাত ধরে হামাগুড়ি দিয়ে জান্নাতের পথে ছুটে চলবেন। যার মূল লক্ষ উদ্দেশ্যই থাকবে জান্নাত। 🌼 শখঃ নির্দিষ্ট করে কোনো শখ আছে কিনা জানিনা তবে ইসলামিক বইগুলো পড়তে অনেেেেক ভালোবাসি।🌸🌼 বিশেষ করে সীরাহ, সাহাবায়ে কেরামের জীবনীগ্রন্থ গুলো। এগুলো আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করে। বাসায় একটা ছোটখাটো লাইব্রেরী তৈরি করেছি। দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করতে চাই সবসময়। 🌼 স্বপ্নঃ মূল স্বপ্ন/মাকসাদ একজন নেককার মা হওয়া, চক্ষু শীতলকারী অন্তর শীতলকারী স্ত্রী হওয়া। নিজের জীবনকে ইসলামের ৪ শ্রেষ্ঠ নারীর আদর্শে গড়তে চাই। ইসলামের ৪ শ্রেষ্ঠ নারীরা কেউ ছিলেন উত্তম স্ত্রী কেউ উত্তম মা। তাদের অনুসরণ করেই নিজের জীবনটা কে সাজাতে চাই। মুমিনাহ'র যিন্দেগীর মাকসাদই তো তার পরিবার। নিজের সন্তানদের নেককার হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, ইসলামি আদর্শে বড় করতে চাই, ছোট থেকেই ওদের ইসলামের প্রতি ভালবাসা অন্তরে জেহাদি তামান্না ঢেলে দিতে চাই। মুজাহিদ মুজাহিদা, হাফেজ-হাফেজা, আলেম-আলেমার মা হতে চাই। আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করতে চাই, জানিনা কখনো সম্ভব কিনা। আল্লাহর কাছে সবসময় চাই একটিবারের জন্যও যেন পবিত্র কাবা তাওয়াফ করতে পারি। 🌺🌺 বিঃদ্রঃ এখানে ওজন ছাড়া সাবমিট করা যায় না তাই ৪৫ দিয়েছি। আমার ওজন জানি না। এমনিতে বেশি মোটাও না আবার খুব চিকনও না। মধ্যম। রক্তের গ্রুপ টাও জানিনা। গ্রুপ ছাড়া সাবমিট করা যায় না তাই একটা দিয়েছি।
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন প্রযোজ্য নয়
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? হানাফি
নজরের হেফাজত করেন? (Required) হ্যা
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? যতদিন বেঁচে আছি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রাণপনে চেষ্টা করা। একটা দ্বীনি পরিবার গঠন করা।
অবসর সময় কিভাবে কাটান? (Required) কখনো ইসলামিক বই পড়ি, কখনো ইসলামিক অডিও লেকচার গুলো শুনি। কখনো ইউটিউব থেকে রান্নার ভিডিও গুলো দেখি।
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? (Required) ঘর ঝাড়ু দেওয়া, বিছানা চাদর ঠিক করা, আম্মুকে টুকটাক কাজে সাহায্য করা। এসবই।
নারী-পুরুষ সমঅধীকার বিষয়টাকে আপনি কিভাবে দেখেন? (Required) সমঅধিকার কথাটা খুবই বিরক্ত লাগে। দুজনই তো একজন আরেকজনের পরিপূরক। স্বামী- স্ত্রী দুজনেরই একজন আরেকজনের উপর হক রয়েছে। সমঅধিকার শব্দটা স্যাকুলারদের। ওদের কথায় মনে হয় পশ্চিমারাই নারীদের সব অধিকার দিয়েছে ইসলাম নারীদের বন্দী করে রেখেছে।
বিয়ে সংক্রান্ত তথ্য
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? হ্যা
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? মানুষ সৃষ্টিলগ্ন থেকেই একলা বসবাস করতে অপারগ। এ কারণেই জান্নাতের এত নিয়ামতও আদি পিতা আদম (আ.) এর কাছে ফিকে মনে হয়েছিল কেবল একজন সঙ্গিনীর অভাবে। তাই আল্লাহ তায়ালা আদম-এর একাকিত্ব দূর করতে হাওয়া (আ.)- কে তাঁর স্ত্রী রূপে সৃষ্টি করেছেন। আর বর্তমানে এক জাহালতপূর্ণ সমাজে বসবাস করছি। জান্নাতের নায-নিয়ামত ভোগের পরও যেখানে আদম-কে একাকিত্ব কুঁড়ে খেয়েছে সেখানে নিজের অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে চলবো সেটা অভাবনীয়। এমতাবস্থায় বিয়ে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। দুনিয়া থেকে জান্নাত পর্যন্ত সৃষ্টিগত বৈশিষ্ট্যর কারণে আমার পক্ষে একাকী চলা সম্ভব না। তাই নিজের চরিত্রকে হেফাজত করার জন্য, অর্ধেক দ্বীন পূরণ করার জন্য বিয়েকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। তাছাড়া বিয়েকে বলা হয়েছে দ্বীনের অর্ধেক। বিয়ে মানুষের জীবনের পথচলায় পরিপক্কতা আনে। সেই পরিপক্কতা আসে দ্বীনের দিক থেকেও। বিয়ে করা নবীদের সুন্নাত। আর বিয়ে শুধুমাত্র দুটো মানুষের মধ্যে নয় দুটো পরিবারের মধ্যেও বন্ধন। সর্বোপরি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য বিয়ে করতে চাচ্ছি।
আপনি কি বিয়ের পর চাকরি করতে ইচ্ছুক? একদমই না। বিয়ের পর স্ত্রী কে দিয়ে চাকরি করাবে এমন গাইরতহীন পুরুষ যোগাযোগ করবেন না।
বিয়ের পর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান? (ছাত্রী হলে) দ্বীনি পড়াশোনা যা পরকালে কাজ দিবে এমন জ্ঞান অর্জন করতে চাই ইনশাআল্লাহ। তবে একাডেমিক পড়াশোনা চাই না, এগুলো আখেরাতে কি কাজে লাগবে যে করবো?
বিয়ের পর চাকরি চালিয়ে যেতে চান? (চাকরিজীবী হলে) চাকরিই করবো না কখনো।
বিয়েতে কেমন মোহরানা নির্ধারন করতে চান? ছেলের সাধ্যমত আলোচনা সাপেক্ষে
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? আর্থিক অবস্থা ও গায়ের রং
আপনার স্বামীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? ইসলামের বিরুদ্ধে যায় না এমন সব হালাল কথা শুনা ও মানা। উনার হকগুলোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা, উনাকে সম্মান করা, উনার কথার গুরুত্ব দেওয়া। বিপদ-আপদে উনার পাশে থাকা। উনার জন্য চক্ষু শীতলকারী হওয়া।
আপনার আহলিয়ার পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? হ্যা
বিয়ের পর কোথায় থাকতে চান? স্বামীর বাড়ি
যেমন জীবনসঙ্গী আশা করেন
বয়স (Required) ২২-২৯
গাত্রবর্ণ কালো, শ্যামলা, উজ্জ্বল শ্যামলা, ফর্সা।
নূন্যতম উচ্চতা ৫'৭"-৭'
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক/ ছাত্র। মাদ্রাসা/ জেনারেল যেকোনো টা হোক সমস্যা নাই, তবে অবশ্যই দ্বীনদার হতে হবে।
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
জীবনসঙ্গীর দাড়ি বা ইনকাম সম্পর্কে যা চান- (Required) অবশ্যই সুন্নাতি দাড়ি থাকতে হবে। স্টাইলিশ দাড়ি না, দাড়ি ছাড়া কেউ [মেয়েলি পুরুষ] যোগাযোগ করবেন না। । ইনকাম- অন্যের কাছে যাতে হাত না পাতা লাগে, কারো কাছে যাতে ঋণ না চাওয়া লাগে এমন অবস্থা থাকতে হবে।
পেশা (Required) হালাল চাকরি/ব্যাবসা। অনুগ্রহ করে প্রবাসী কেউ যোগাযোগ করবেন না একদমই।ভবিষ্যতে প্রবাসী হবে এমন পরিকল্পনাও যাদের আছে তারাও যোগাযোগ করবেন না।
অর্থনৈতিক অবস্থা মধ্যবিত্ত, সচ্ছল।
পারিবারিক অবস্থা (Required) দ্বীনদার, পরিবারের সবাই দ্বীন মেনে চলে। নন-মাহরাম মেনে চলে।
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন একজন মুমিন পুরুষের যেসব বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক সেগুলো প্রত্যাশা করি অর্থাৎ বিশুদ্ধ ঈমান, আল্লাহর পরিপূর্ণ আনুগত্য, তাওয়াক্কুল, চারিত্রিক পবিত্রতা এবং আমল ও আখলাকের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল। তাকে অবশ্যই দ্বীনদার হতে হবে। যার ঈমান আমার ঈমান থেকে অনেক মজবুত ও শক্তিশালী হবে, যাতে করে তার সংশ্রব আমার দুর্বল ঈমানকে শক্তিশালি করা এবং হেদায়াত ও কল্যাণের পথে উন্নতির কারণ হয়ে যায়। আমার জ্ঞান খুবই অল্প তাই আমার জীবনসঙ্গির কাছ থেকে দ্বীনি ইলম অর্জন করতে চাই। নিজের শিক্ষক হিসেবে নিতে চাই। তিনি যেন হোন কঠোর দ্বীন পালনকারি, তাকওয়া অবলম্বনকারি ও পরিপূর্ণ গায়রতবান সমপন্ন একজন। নন-মাহরাম মেনে চলেন। আমার পর্দার যথাযথ ব্যাবস্থা রাখবেন। দ্বীনের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দিবেন না। যিনি তার প্রতিটি কাজের আগে খেয়াল রাখেন যে কাজটি করলে আমার রব খুশি কিনা। কাজটি করলে আমার রব সন্তুষ্ট হবেন কিনা। নিজেকে সকল গুনাহ থেকে হেফাজত করবে সাথে আমাকে সকল গুনাহ থেকে হেফাজত করবে। আমি আমার জীবনটা সম্পূর্ন রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সুন্নাত অনুসারে সাজাতে চাই, তাই যে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সব সুন্নাত পালন করার চেষ্টা করেন এমন একজন চাই। যাকে দেখলে আমার চক্ষু শীতল হয়ে যাবে।। যার অন্তর সবসময় জিহাদের তামান্না থাকবে। জিহাদের জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকবে। শহীদদের মৃত্যু কামনা করবে। যে হবে আমার তাহাজ্জুদের সঙ্গী, যার সাথে আমলের প্রতিযোগিতা করা যাবে। যে পরিপূর্ণ গায়রতবান হবে, নন-মাহরাম থেকে আমাকে সবসময় হেফাজত করবে। আমার কন্ঠের পর্দার ও ব্যাবস্থা রাখবে। আমার জন্য হবে চক্ষু শীতলকারী অন্তর শীতলকারী। 💟 ◾◾নিচের পয়েন্ট গুলো ভালো করে পড়বেন। এখানে আমি বিস্তারিতভাবে যেমন জীবনসঙ্গীর প্রত্যাশা করি সেগুলো তুলে ধরলাম। অবশ্যই প্রত্যেকটি পয়েন্ট গুরুত্বসহ পড়বেন ইনশাআল্লাহ। যে বিষয় গুলোতে ছাড় দেওয়া হবে না- 📌 আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাহর অনুসারী হতে হবে অর্থাৎ মূল ধারার ইসলামের অনুসারী হতে হবে। কোন ধরনের বাতিল বা ভ্রান্ত আকিদার অনুসারী হওয়া যাবেনা। ঈমান ভঙ্গের সকল কারণ থেকে মুক্ত থাকতে হবে। আল্লাহর আনুগত্য তথা তাওহীদের ব্যাপারে আপোষহীন হতে হবে। 📌অফলাইনে বা অনলাইনে দ্বীনি ইলম অর্জন করার সাথে যুক্ত থাকতে হবে। আর তা না হলে শুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াত এবং বৈবাহিক/পারিবারিক জীবনের মৌলিক মাসআলা জানা থাকতে হবে (হানাফি ফিকহ অনুযায়ী)। ঘরের বাইরে এবং ঘরের অভ্যন্তরে গাইরে মাহরাম থাকলে কঠোরভাবে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। অনলাইনে এবং অফলাইনে কঠোরভাবে গাইরে মাহরামদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। নজরের হেফাজতের ক্ষেত্রে কঠোর হতে হবে। হারামের ব্যাপারে কঠোর হতে হবে। ডাল ভাত খাব বা না খেয়ে থাকব কিন্তু হারাম ভক্ষণ করব না এধরণের মন-মানসিকতা থাকতে হবে। 📌সোস্যাইল মিডিয়ার আসক্ত হওয়া যাবে না। আমি নিজেও ফেইসবুক আনইন্সটল করে রেখেছি খুব বেশি প্রয়োজন হলে ঢুকেই আবার বের হয়ে যাই। এটা সময়ের অপচয় ছাড়া কিছুই না। ১টা সওয়াব হলে ১০টা গুনাহ জমা হয়। তাই আহলের এর কাছে অনুরোধ থাকবে বিয়ের পর নিজের কোনো ফেসবুক/ ইন্সট্রাগ্রাম থাকলে সেগুলো একাউন্ট ডিলেট করে দেওয়ার। আমিও আমার ফেইসবুক একাউন্ট ডিলেট করে দিবো। আমি আমার ও আমার আহলের মধ্যে ফিতনার ছুঁয়া লাগতে পারে এমন সব রকম দরজা বন্ধ রাখতে চাই। আমার আর আমার আহলের জীবন সম্পূর্ণ গুনাহ মুক্ত রাখতে চাই। গুনাহ হবে এমন সব পথ বন্ধ রাখতে চাই। নিজের চেষ্টার পাশাপাশি দুজনেই একে অপরকে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তাগিদ দিবে। যদি দুজনেই গুনাহ মুক্ত হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিয়ে দুনিয়া ছাড়তে পারি তবেই না জান্নাতে একসাথে থাকার আশা করতে পারি। -📌 ফরজ, ওয়াজিব আমলগুলো নিয়মিত করতেই হবে, এটাতে কোনো ছাড় নেই। অবশ্যই নিয়মিত প্রতিদিন কুরআন তেলাওয়াতের অভ্যাস থাকতে হবে। তাহাজ্জুদের অভ্যাস থাকলে ভালো আলহামদুলিল্লাহ। মনসূন আমল গুলোর করা, সুন্নাত ইবাদতের ক্ষেত্রে ইশরাখ, চাশত, সপ্তাহিক মাসিক রোজা এসব আমলের পাবন্দ থাকা। বর্তমানে খুব কম সংখ্যক ই এগুলো পালন করে। জানি একজনের মধ্যে এতসব বৈশিষ্ট্য পাওয়া সম্ভব নয়, তাই বলে হতাশ হবেন না। এই আমলগুলো পালন করার চেষ্টা থাকতে হবে এতে আমাকে সহযোগী হিসেবে পাবেন ইনশাআল্লাহ [আমি নিজেও নিয়মিত নই, কখনো খুব নিয়মিত থাকি আবার কখনো ছুটেও যায়। ইস্তেগফারে জারি আছি]। আমাকেও এই আমলগুলো পালনের ক্ষেত্রে তাগিদ দিবেন। জীবনে যখনই এই আমলগুলো নিয়মিত করেছি আলাদা একটা প্রশান্তি অনুভব করেছি, আমি চাই এই প্রশান্তি টা আবার আসুক সারা জীবনের জন্য। 📌বৈবাহিক জীবনে কোনো সমস্যা হলে নিজেদের মধ্যেই সমাধান করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। আল্লাহ তায়ালা অন্যের দোষ খুজতে যেমন নিষেধ করেছেন তেমনি নিজেদের দোষক্রটি মানুষের নিকট প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন। এ দু'টো আমার কাছে খুবই বিরক্ত লাগে। 📌আমার পর্দার ক্ষেত্রে আপনাকে ঢাল হিসেবে থাকতে হবে। আমার কন্ঠের পর্দার ও ব্যাবস্থা রাখতে হবে। আমি চাইনা আমাকে আমার মাহরাম পুরুষ ছাড়া অন্য কেউ দেখুক। আমি ঘরে বাইরে সব জায়গায় পর্দার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দিবো না। স্ত্রীকে শরীয়া সম্মত পরিবেশ তৈরি করে দেয়া স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত। নামাজ রোজার মতো পর্দা করাও ফরজ। সেই অনুযায়ী স্ত্রীকে পরিপূর্ণ পর্দায় না রাখতে পারলে স্বামী দাইয়্যুস হিসেবে গণ্য হবে আর দাইয়্যুস কখনো জান্নাতে যাবে না। দাইয়্যুস থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। 📌বিদায়াতের ক্ষেত্রে সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে। সমাজে প্রতিষ্ঠিত অনেক বিদায়াত আছে যেগুলো মানুষ অহরহ পালন করে, এসব বিদায়াত সর্বদা বর্জন করে চলতে হবে। 📌চাকরি/ব্যাবসা যেখানেই করুক সবসময় আমাকে নিজের সাথেই রাখতে হবে। এমন হয় না বর চাকরি করে এক শহরে আর পরিবার কে রেখে এসেছে আরেক শহরে এমন কেউ যোগাযোগ করবেন না। আমি বিয়ের পর থেকে দুনিয়ায় মৃত্যু পর্যন্ত আর পরকালে জান্নাত পর্যন্ত আমার আহলের পিছনে আটার মতো লেগে থাকবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা আমার এই চাওয়া পূর্ণ করুক। 📌যেহেতু আমার মা-বাবা আমাদের ভাই-বোন সবাইকে শহরেই বড় করেছে তাই গ্রামের আম্মু আব্বু আমাকে কখনো দিবেন না। তাছাড়া গ্রামে বেড়াতে গিয়ে যতটুকু বুঝেছি গ্রামে পর্দার ব্যাবস্থা খুবই কম থাকে, কিরকম খোলামেলা পরিবেশ। ঝগড়া, গালাগালি, গিবত, নামিমা এসব বেশি হয় গ্রামে। তাই পাত্র শহরের হতে হবে বা বিয়ের পর সবসময় শহরে থাকবে এমন। 📌অল্পতেই রেগে যায়, বদমেজাজি, ধৈর্যহীন, সামান্য অভাব হলেই অন্যের কাছে হাত পাতে, অন্তরে আল্লাহর ভয় নেই এমন কেউ যোগাযোগ করবেন না। 📌সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, আমি নিজেকে যেমন সবসময় পরিস্কার রাখতে পছন্দ করি তাকেও তেমন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে থাকতে হবে। শরীরে বাজে দুর্গন্ধ থাকা যাবে না। 🌼🌼 আমি আমার সবোর্চ্চ টুকু দিয়ে তার পরিপূর্ণ হক আদায়ের জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকবো ইনশাআল্লাহ। আমি চাইবো আমি যেমন তার হক রক্ষায় সচেষ্ট থাকবো, তাকেও সেভাবে দেখতে। যেন তাকে পেয়ে প্রতিনিয়ত আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি, এমন যেন না হয় আপনাকে পেয়ে আল্লাহর কাছে এই বলে চোখের পানি ফেলতে হয় আমার রব! এ কার কাছে আমাকে পেলে দিলে। ____ আম্মু প্রায়ই বলেন আমি নাকি আম্মুর মতো হয়েছি, আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন। আমার আম্মুর মতো মানুষ হয়না, উনার উপর যেমন আব্বু সন্তুষ্ট তেমনই উনার সন্তানরা ( আমরা ভাইবোন) সবাই সন্তুষ্ট। আল্লাহর কাছে এটাই চাওয়া যেন আল্লাহ তায়ালা ও আমার আম্মুর উপর সন্তুষ্ট থাকেন। আমি আমার আম্মুর মতো হতে চাই যেন আমার উপর আমার ভালোবাসার মানুষটা সন্তুষ্ট থাকে আমার সন্তানেরা ও আশেপাশের মানুষগুলো সন্তুষ্ট থাকে সাথে আমার আল্লাহ। আমি সবসময় আল্লাহর কাছে এই দোয়াই করি যখন আমার মাউত চলে আসবে তখন যেন আমার আল্লাহ তায়ালা আমার উপর সন্তুষ্ট থাকেন আমার আশেপাশের মানুষগুলোও আমার উপর সন্তুষ্ট থাকে। আমার বুঝ হওয়ার পর থেকে কখনো দেখি নি আম্মু আব্বুর দ্বারা কারও কোনো ক্ষতি হয়েছে, বরং যারা আমাদের ক্ষতি করতে চেয়েছে বিপদের সময় আব্বুই গিয়ে তাদের পাশে দাড়িয়েছে। তাই আল্লাহর কাছে এমন কাউকেই চাই যে আমার আম্মু আব্বু কে সম্মান করবে, শ্রদ্ধা করবে, ভালোবাসবে। এমন মানুষ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই যার কারণে পরিবারের বন্ধন গুলোর মধ্যে ফাটল ধরবে। আমিও তার মা-বাবা কে নিজের আপন করে নিবো আম্মু আমাকে সবসময় এই শিক্ষাই দিয়ে আসছেন। আম্মু সবসময়ই বলেন, "আমি একটু অসুস্থ হলে যেভাবে পেরেশান হয়ে উঠছ, আমার সেবাযত্ন করস তার অর্ধেক ও যদি তর শাশুড়ীরে করছ তবে তরে মাথায় করে রাখবে সাথে দোয়া তো পাবিই।" 🌹🌼🌸 বায়োডাটা পছন্দ হলে যোগাযোগের আগে অবশ্যই অবশ্যই ইস্তেখারা করে যোগাযোগ করবেন। যদি পজিটিভ আসে তবেই যোগাযোগ করবেন। বিয়ের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ কাজে আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কিভাবে আগাবেন! তাই কল্যানকর হওয়ার জন্য অবশ্যই ইস্তেখারা করে তারপর যোগাযোগ করবেন ইনশাআল্লাহ। ইস্তেখারা করলে তাতে অবশ্যই আল্লাহর রহমত থাকবে। সম্পুর্ণ পড়ার জন্য..... جزاك الله خيرا في الدنيا والأخرة
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? (Required) সিলেট , ঢাকা জেলার ক্ষেত্রে দ্বীনদারীতা ঠিক থাকলে সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ। আর যাদের স্থানী ঠিকানা অন্য বিভাগ কিন্তু বর্তমান ঠিকানা সিলেট সিটি কর্পোরেশন বা সিলেট সদর তারাও যোগাযোগ করতে পারেন।
অন্যান্য তথ্য
পেশা সম্পর্কিত তথ্য (Required) হালাল চাকরি /ব্যাবসা। প্রবাসী হবে না, সেটা যেকোনো দেশেই হোক। ভবিষ্যতে বিদেশ যাবে এমন পরিকল্পনা ও যাতে না থাকে। পুলিশ, ব্যাংক এ চাকরি করে তাড়া ছাড়া।
বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান যদি পাত্রের বায়োডাটা তৈরি করা থাকে তাহলে মেইলে শুধু বায়োডাটা দিবেন আর কোনো ম্যাসেজ বা প্রশ্ন করবেন না। মোবাইলে অবশ্যই পাত্রের অভিভাবক কে দিয়ে যোগাযোগ করবেন পাত্র নিজে ফোন দিবেন না, কারণ অভিভাবক থাকতে পাত্র নিজে ফোন দিলে আব্বু সেটা একদমই সমীচীন করেন না। যোগাযোগের আগে ২/৩ বার ইস্তেখারা করে যোগাযোগ করবেন ইনশাআল্লাহ ।
কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসা
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? হ্যা
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? হ্যা
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? হ্যা
যোগাযোগ

এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।

অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ

সর্বমোট ভিউ: 801 ভিউস