স্থায়ী ঠিকানা | কলেজরোড, রংপুর সদর, রংপুর |
---|---|
বর্তমান ঠিকানা | কলেজরোড, রংপুর সদর, রংপুর |
কোথায় বড় হয়েছেন? (Required) | রংপুর সদর |
বায়োডাটার ধরন | পাত্রের বায়োডাটা |
---|---|
বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিত |
বর্তমান ঠিকানা | রংপুর |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
স্থায়ী ঠিকানা | রংপুর |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জন্মসন (আসল) | ১৯৯৫ |
গাত্রবর্ণ | ফর্সা |
উচ্চতা | ৫'৫'' |
ওজন | ৬৮ কেজি |
রক্তের গ্রুপ | A+ |
পেশা | ব্যবসা |
মাসিক আয় | ১০,০০০+ (সামনে আরও বাড়বে ইংশাআল্লাহ) |
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? (Required) | জেনারেল |
---|---|
আপনি কি হাফেজ? | না |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? | হ্যাঁ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান ফলাফল | A+ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান বিভাগ | বিজ্ঞান বিভাগ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাসের সন | ২০১২ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাশ করেছেন? | হ্যাঁ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমানের বিভাগ | বিজ্ঞান বিভাগ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান ফলাফল | A- |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাসের সন | ২০১৪ |
স্নাতক / স্নাতক (সম্মান) / সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা | বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ইন কম্পিউটার সায়েন্স & ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) |
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম | অ্যামেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) |
পাসের সন | ২০১৯ |
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা | গ্রাজুয়েশন |
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা | নেই |
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? | না |
---|---|
পিতার পেশা | অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চাকুরীজীবী (অফিসার, সোনালী ব্যাংক) |
---|---|
মাতার পেশা | অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চাকুরীজীবী (প্রাইমারী স্কুল শিক্ষিকা) |
বোন কয়জন? | ১জন |
ভাই কয়জন? | ১জন |
বোনদের সম্পর্কে তথ্য | বোন বড়। মাস্টার্স পাশ, বিবাহিতা। পেশাঃ স্কুল শিক্ষিকা। |
ভাইদের সম্পর্কে তথ্য | ভাই মেজো। মাস্টার্স পাশ, বিবাহিত। পেশাঃ ফ্রিল্যান্সার। |
চাচা মামাদের পেশা | বড় আব্বু অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চাকুরীজীবী (কলেজ প্রফেসর)। এরপর আমার আব্বু। ছোট চাচা মৃত। বড় মামা ঢাকায় ব্যবসায়ী। মেজো এবং ছোট মামা মৃত। |
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা | মধ্যবিত্ত আলহামদুলিল্লাহ। শহরে মেইন রোড থেকে হেঁটে এক মিনিটের দূরত্বে নিজস্ব বাসা। বিল্ডিং তিনতলা ফাউন্ডেশন এর হলেও একতলা পর্যন্ত করা আছে। এর অর্ধেক ছাদ দেয়া এবং বিভিন্ন কারনে বাকি অংশ ছাদ করা হয়নি, টিন শেড। বিল্ডিং এরিয়া ছাড়াও বাসার উঠান স্পেস আছে যা বিল্ডিং এরিয়ার চেয়ে বড়। আব্বু আম্মু প্রতিমাসে পেনশন এর বেতন পায়, এছাড়াও কিছু এমাউন্ট একটা বিজনেস এ ইনভেস্ট করা আছে সেখান থেকে প্রতিমাসে কিছু টাকা পায় আর এছাড়া তাদের কিছু অর্থসম্পদ আদৌ আছে কি না জানিনা যদিও ব্যাংক ব্যালেন্স অল্প হলেও থাকার কথা। জানিনা কারন এগুলো তারা বলে না বা জানায় রাখেনি। আর আমি এসব বিষয়ে অতটা আগহী না তাই মাথা ঘামাই না। আমি মনে করি মুসাফির হিসেবে অল্প সময়ের জন্যেই পৃথিবীতে আছি। আল্লাহর রহমতে আমি নিজে যা ইনকাম করি বা ভবিষ্যতে যতটুকু করবো শুধু সেটা দিয়েই নিজে এবং নিজের সংসারকে চলতে হবে ইংশাআল্লাহ। আল্লাহর ইচ্ছায় বাবা মা শহরের মাঝে থাকার একটা ভাল যায়গা করে দিয়েছেন এবং এখনো তাদের থেকে কিছু সাপোর্ট পাচ্ছি এটাই অনেক যথেষ্ট। এর বাহিরে তাদের থেকে কিছু আশা আমি কখনোই করিনা, আমার আগ্রহ নেই। বর্তমানে যৌথ পরিবার হওয়ায় পরিবারের খরচ প্রায় সবার টাকায় চলে। আব্বু-আম্মুর টাকা, ভাইয়ার কন্ট্রিবিউশন এবং আমার খরচ কিছু আমি দেই, যদিও পুরোটা নয় তবে আমি যা উপার্জন করি এবং বাসায় যা কিছু আহার করি সেটা হালাল আলহামদুলিল্লাহ। এবং আমার আহলিয়ার পুরো খরচ আমি বহন করবো ইংশাআল্লাহ। |
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) (Required) | পারিবারিক দ্বীনি পরিবেশ আমার দৃষ্টিতে খুব একটা ভাল না। বাসার অন্যান্য সবাই ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে এবং সবাই নিজ নিজ সালাতের ব্যাপারে ভাল সচেতন। কুরআন মাঝে সাঝে তেলাওয়াত করে। কিন্তু কেউ পরিপূর্ণ দ্বীন মানার চেষ্টা করে না। আগে কম বেশি সবাই একটু আধটু ওয়াজ শুনতো এখন সেটাও তেমন একটা নেই। মা আর ভাবি সো কল্ড পর্দা করে। অর্থাৎ মা বাহিরে গেলে হিজাব মেইনটেইন করে। ভাবি বাহিরে গেলে বোরকা ও হিজাব পরিধান করে, নিকাব সবসময় মেইনটেইন করে না সম্ভবত, আর বাসায় পর্দা করে না। মোট কথা মডারেট ইসলামিক পরিবার। তবে আল্লাহ এবং ইসলাম এর প্রতি তাদের বরাবরই অনেক ভক্তি শ্রদ্ধা রয়েছে। তবে আলহামদুলিল্লাহ বাসার মানুষজন মডারেটদের মাঝে উন্নত, অন্য দুনিয়াবি মডারেট মুসলিম পরিবারের মত নয়। দুনিয়াবি, সামাজিক যে গোড়ামি সেটা নেই। সমাজের মানুষ বা আত্মীয়রা বা তাদের সন্তানরা অমুকটা করেছে তাই নিজেদেরও সেটার ইচ্ছা বা চাহিদা, এই মানসিকতা এখন নেই আলহামদুলিল্লাহ। দ্বীনি এবং পরকালীন চিন্তাচেতনা আগের তুলনায় কিছুটা হলেও বেড়েছে যদিও ফরজে এবং আমলে ঘাটতি আছে। আমি ধীরে সুস্থে পরিবারে দাওয়াত এর কাজ চালাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ। মহান আল্লাহ তা'য়ালা তাদেরকে হেদায়াত দিন। আমিন। তবে আমার পরিবার ভদ্র এবং সমাজের দৃষ্টিতে ভাল আলহামদুলিল্লাহ। |
সুন্নতি দাঁড়ি রয়েছে কি? (Required) | আছে আলহামদুলিল্লাহ |
---|---|
পায়ের টাখনুর উপরে কাপড় পরেন?(Required) | হ্যাঁ পরি |
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? | হ্যাঁ আলহামদুলিল্লাহ |
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) | ২০২০ সালের মার্চ মাস যাবৎ |
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? | মোটামুটি কঠোরভাবে মেনে চলি আলহামদুলিল্লাহ। বাসায় খুব কম সময় ভাবির সামনে পরলেও তাকে অত্যন্ত এড়িয়ে চলি এবং তার দিকে দৃষ্টি না দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। |
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? | হ্যাঁ আলহামদুলিল্লাহ |
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? | প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি |
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন (Required) | খিলাফাহ |
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? | এসবকিছুই অনেক আগে বাদ দিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। মাঝে মাঝে ফেসবুকে সামনে কিছু কনটেন্ট চলে আসলে হুটহাট দেখে ফেলি কিন্তু সেখান থেকে সরে আসি। তবে অশ্লীল কিছু সামনে আসলে প্রথম চান্সেই সেটা স্কিপ করি, দেখার প্রশ্নই আসে না। আর খেলা হঠাতই হুট করে সামান্য সময় হয়তো দেখি, ওই সামান্য দেখার পর আর বেশিক্ষণ দেখি না। |
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) | আমার সাইনাস আছে, বেশি ঠান্ডা লাগলে সর্দি বেড়ে যায়। সামান্য কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা আছে তবে এটা তেমন বড় কিছু না আলহামদুলিল্লাহ; রেগুলার লাইফস্টাইল এবং রুটিন আরও বেশি ঠিক হবার সাথে কেটে যাবে ইংশাআল্লাহ। |
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) | এখন পর্যন্ত না। তবে আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে একজন হকপন্থি আলেম (মুফতি) এর সহবতে যাই, তার কাছে দ্বীন শিখি, প্রয়োজনে পরিস্থিতিতে তার সাথে পরামর্শ করে চলি। |
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) | না |
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) | মাজারে শায়িত ব্যক্তির অছিলা দিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা মারাত্মক ভুল বিশ্বাস। সেখানে গিয়ে দোয়া করলে দোয়া কবুল হবার সম্ভাবনা বেশি এই বিশ্বাস রাখা যাবে না। আর সেখানে গিয়ে মাথা ঠেকানো বা সিজদাহ করা তো অবশ্যই শিরক। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) | পছন্দের বই অনেকই আছে। পড়া হয়েছে এমনঃ বিয়ের আগে (ফ্যান্টাসি নয় হোক বাস্তব প্রস্তুতি), প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ (পুরোটা পড়িনি), আর রাহীকুল মাখতুম (চলমান), এছাড়া নিজস্ব ইসলামিক বই এর শপ হওয়াতে নানান বই এর অংশবিশেষ পড়া হয়েছে। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) | হারুন ইযহার, খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রঃ), শায়খ আহমাদুল্লাহ |
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) | উল্লেখযোগ্য কিছু নেই |
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন | ◼️ প্রথমেই জানিয়ে রাখি, আমার উচ্চতা এক্স্যাক্ট ৫ ফিট ৫ ইঞ্চি নয়, অল্প কম আছে, পাঁচ ফিট সাড়ে চার এর আশেপাশে হতে পারে বা সাড়ে চার এর বেশি হতে পারে, এ কারনে ৫ ফিট ৫ ইঞ্চি দিয়েছি। ওজন টাও ৬৮ কেজির কিছু কম আছে। ◼️ হেদায়াত এর পূর্বেও আমি যথেষ্ট ইসলামিক মাইন্ডেড ছিলাম। আল্লাহর প্রতি অনেক ভালবাসা, কিছুটা ভয় ছিল। কিন্তু মডারেট পরিবার, আশেপাশের পরিবেশ, বন্ধুবান্ধব সবই সেকুলার হওয়াতে আর শয়তানের ধোঁকায় সবার মত মডারেট মুসলিম ছিলাম। কিন্তু মহান আল্লাহর সীমাহীন দয়ায় হেদায়াত পাওয়ার পর ধীরে ধীরে তিনিই আমাকে শুধরে দিয়েছেন, পরিবর্তন করে দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ। এখন আমার সোজা কথা, ইসলাম পূর্ণাঙ্গভাবে মেনে চলতে হবে। এমন নয় যে অনেকগুলো মেনে চলবো আর কিছু মানবো না। বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ ইসলাম মেনে চলারই চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ। ◼️ আমি মিথ্যা কথা প্রচন্ডরকম ঘৃণা করি। যেকোনো ক্ষেত্রে বা কাজে অসৎ পন্থা অবলম্বন করা বা মিথ্যার আশ্রয় নেয়া বা মিথ্যা যেকোনো কিছুই অত্যন্ত ঘৃণা করি। আর যাই হোক কেউ সামান্য মিথ্যাবাদী হলেও সে আর আমি কখনোই এক যায়গায় থাকতে পারবো না। ◼️ মুমিনের চরিত্র হবে এমন যে সে পাপ ঠান্ডা মাথায় করবে না। কখনো নফসের শিকার হয়ে পাপ করতে গেলেও অন্তরে কাজ করবে যে এটা ঠিক না। আর যদি শয়তানের প্ররোচনায় ভুলবশত পাপ করেই ফেলে তবে সে অনুশোচনা এবং তওবা করবে। কিন্তু মুমিন কোনো ভয় ছাড়া পাপ কাজ চালিয়ে যাবে না। আলহামদুলিল্লাহ এভাবেই চলার চেষ্টা করি। আল্লাহ ভাল জানেন কতটুকু যে পারি!! ◼️ আমার জীবন এবং জীবনের প্রতিটি কাজ হবে আল্লাহর জন্য ইংশাআল্লাহ। পার্থিব আশা-আকাঙ্ক্ষা, চাহিদা আগে ছিল যেগুলো এখন নেই আলহামদুলিল্লাহ বরং অপছন্দ করি। এখন সবকিছু সুন্নাহ অনুসারে করতে চাই এবং ইলম অর্জনে, দ্বীনের খেদমতে নিয়োজিত থাকতে চাই। আমার সংসারটাকে দ্বীনি তরিকায় গড়ে তুলতে চাই, জান্নাতের একটা টুকরা বানাতে চাই। সন্তানদেরকে শুধু দ্বীনদার হিসেবে নয়, দ্বীনের খেদমতের জন্যও গড়ে তুলতে চাই। ◼️ সহজ-সরল জীবনযাপন পছন্দ করি। প্রয়োজনের বেশি চাহিদা, কোনো জিনিস প্রয়োজনের চেয়ে বেশি থাকাকে অপছন্দ করি। এরকম বৈশিষ্ট্য ঈমানদারের থাকতে পারে না, যার আছে সে দুনিয়ার মায়ায় আসক্ত। ◼️ আমি নরমালি নরম এবং ঠান্ডা প্রকৃতির। হাসিমুখে, খুব বিনয়ের সাথে মানুষের সাথে কথা বলি এবং এটাই পছন্দ করি। ঝগড়া-ঝামেলা আমার অত্যন্ত অপছন্দ। এই বিষয়গুলো একেবারেই ফেস করতে চাই না, এড়িয়ে চলার খুব চেষ্টা করি। কেউ অনিচ্ছাকৃত কোনো ভুল করলে স্বাভাবিকভাবে নেই, তাকে শেখানোর, বোঝানোর চেষ্টা করি। এরপরও একাধিকবার একই ভুল করলে হয়তো আমি ধৈর্য্য ধরে তাকে সাহায্য করে যাই। তবে এতেও সে না শোধরালে, সীমা অতিক্রম করলে একটা সময় আমার বিতৃষ্ণা জন্মে যায়। তখন আর আশা করি না যে, সে সেই বিষয়ে শোধরাবে এবং তার প্রতি আমি আর বিনয়ী থাকি না। ◼ দ্বীনের বিধানের প্রতি আমি অনেক কঠোর। যেটা নিষেধ সেটা নিষেধ। কেউ নিজের অবস্থার দোহাই দিয়ে নিষিদ্ধ কাজ করতে চাইলে সেটাও ঘৃণা করি। আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করতে হবে বেশি বেশি এবং সাহায্য চাইতে হবে। ইচ্ছাকৃত করা পাপ বা সিরিয়াসনেস এর অভাবে অন্যায় খুব ঘৃণা করি। ◼️ আমি কিছুটা লাজুক প্রকৃতির। তবে কারো সাথে ভালভাবে মেশা হলে, ফ্রি হয়ে গেলে মন খুলে অনেক কথাবার্তা বলি। আর এখন যত মানুষের সাথে মিশি, আড্ডা দেই সবার সাথে প্রায় সব আলোচনাগুলো দ্বীনি আলোচনাই হয়। ◼️ অযথা অন্যকে নিয়ে পরে থাকা, অন্যের দোষগুণ নিয়ে কথা বলা, কে কি করলো সেগুলোর চর্চা করা প্রচন্ডরকম ঘৃণা করি। আত্মসমালোচনা পছন্দ করি। নিজের দোষ-ভুল অকপটে স্বীকার করে নেই। এক্ষেত্রে আমার কোনো ইগো নেই। কারো সাথে ভুল বোঝাবুঝি বা খারাপ কিছু ঘটলে সাধারণত সেখানে নিজের ভুল টাকে আগে দেখি। নিজেই দোষ বা ভুল করে ইগো দেখালে, ভাব নিয়ে থাকলে তো সেটা ছ্যাঁচড়ামি। ◼️ আমি সামান্যতমও ফেমিনিজম বা নারীবাদ অত্যন্ত ঘৃণা করি। এটা দাজ্জালের একটি মারাত্মক রকমের ফেতনা, আর এই ফেতনার মাধ্যমেই দাজ্জাল তার কাজে অনেক বেশি এগিয়ে গেছে, যাচ্ছে। যাদের মধ্যেই দ্বীনের বুঝ আছে তারা এই জিনিসটাকে ভালভাবে চিনবে এবং ঘৃণা করবে। ◼️ আমি বরাবরই সমাজের বা সময়ের ট্রেন্ড এর বিপক্ষে যদি তা ইসলাম এর দৃষ্টিতে ভাল বা উপকারী না হয়। আর যদি ইসলাম সেটাকে অসমর্থন করে তাহলে তা ঘৃণা করি। লোক দেখানো, দুনিয়াবি ভাব আছে এমন কাজগুলোকে ঘৃণার এবং তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখি। ◼️ যদি ইসলামের দৃষ্টিতে খারাপ না হয় তাহলে আমার কোনো কাজে বা চিন্তাধারায় অন্যান্যরা কে কি ভাবলো, কি বললো সে বিষয়ে বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ করিনা। কারো হাতে অনেক সময় থাকলে, কেউ অনেক বেকার হলে এসব করুক। আমি সেগুলো শুনতে গেলে, তাদের কোনো কথার দিকে দৃষ্টি দিতে গেলে যদি এক মিনিট ও চলে যায় সেই এক মিনিটও আমার জীবন থেকে অহেতুক হারায় গেলো মনে করি। ◼️ প্রকৃতি অনেক ভালবাসি, সময়-সুযোগ হলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে যাই। পশুপাখি ভালবাসি। ◼ আমি চাকুরী পছন্দ করি না, ব্যবসা পছন্দ করি। ব্যবসা এবং উদ্যোগই তো মুসলিমদের ঐতিহ্য। তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে মুমিনদের ব্যবসার দিকে ঝোকা অত্যন্ত জরুরী। বর্তমানে মুসলিমরা শাসন না দাসত্ব করতে চায় যা খুবই লজ্জার ব্যাপার। ব্যবসা করার ইচ্ছা আমার আগে থেকেই ছিল কিন্তু এভাবে চাকুরী না করে সরাসরি ব্যবসায় ঢুকে যাবো তা পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। এর অন্যতম কারন মহান আল্লাহর দয়ায় হেদায়াতপ্রাপ্ত হওয়া আলহামদুলিল্লাহ। আমার ব্যবসায় আসার বেশ কয়েকটি কারন আছে যা পরেও আলোচনা করা যাবে ইংশাআল্লাহ। ◼️ রিযিক এবং উপার্জনের ক্ষেত্রে হালাল হারাম বাছার ব্যাপারে আমি খুবই সচেতন। আর রিযিক নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করি না আলহামদুলিল্লাহ। প্রয়োজনে সকল কাজ করার মানসিকতা রাখি। সাহাবীরা ছোট খাটো ব্যবসা করতেন, নবীরা অনেকেই কৃষিকাজ করতেন। তারা শুধু পরকালের জীবনকেই আসল জীবন মনে করতেন। আর দুনিয়াতে শুধুমাত্র সারভাইভ করার জন্য যতটুকু প্রয়োজন তার বাহিরে তাদের কোনো চাহিদা ছিল না। ইবনে উমার (রঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) (একদা) আমার দুই কাঁধ ধরে বললেন, "তুমি এ দুনিয়াতে একজন মুসাফির অথবা পথচারীর মত থাক।" আর ইবনে উমার (রঃ) বলতেন, "তুমি সন্ধ্যায় উপনীত হলে আর ভোরের অপেক্ষা করো না এবং ভোরে উপনীত হলে সন্ধ্যার অপেক্ষা করো না। তোমরা সুস্থতার অবস্থায় তোমার পীড়িত অবস্থার জন্য কিছু সঞ্চয় কর এবং জীবিত অবস্থায় তোমার মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ কর।" কাজেই ক্ষণস্থায়ী আর মুসাফির এর এই জীবনে আমি প্রয়োজনে যেকোনো হালাল কাজ করতে প্রস্তুত। আমার বর্তমান অবস্থা থেকে আল্লাহ তা'য়ালা আগামীতে আমাকে উঁচু অবস্থানে যাবার, অর্থসম্পদের সফলতা যেমন দিতে পারেন আবার আল্লাহ না করুন তিনি আমার এই অবস্থা কেড়ে নিয়ে আমাকে অভাবে ফেলতে পারেন। কষ্ট এবং অভাবেও হারামে পরে যাবার সম্ভাবনা আছে এমন পেশায় জড়িত হবো না ইংশাআল্লাহ। তখন যেকোনো কর্মই করতে হবে। তাতে মানুষ কি বললো, কি ভাবলো বা তথাকথিত সামাজিক মর্যাদা-স্ট্যাটাস এসবকে পাত্তা দেই না। আমি আত্মসমর্পণ করেছি শুধুমাত্র মহান আল্লাহর কাছে। আর আল্লাহর হালাল কে হারাম করা, তাঁর হারামকে হালাল করা শিরক। ◼️ ইসলামে একজন স্বামীর দায়িত্ব-কর্ম সম্পর্কে আলহামদুলিল্লাহ জানি। আলহামদুলিল্লাহ আমি দায়িত্বের ব্যাপারে আগ্রহী এবং আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে তা মাথায় রেখে চলি। স্বামীকে অনেক সম্মান দেয়া হয়েছে বলে সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করবো আর স্ত্রীর হক আদায়ে গাফিলতি করবো এরকম মানসিকতার নই আলহামদুলিল্লাহ। স্ত্রীর হক আদায়ে এবং তার সাথে আচরণের ক্ষেত্রে রসুলুল্লাহ (সঃ) এর সুন্নাহর অনুসারী হতে চাই। তবে অবশ্যই মধ্যমপন্থা অবলম্বন করবো। স্ত্রীকে তার যায়গা বুঝতে হবে। ইসলামে যেভাবে নারীর চলাফেরা এবং কর্মের বিধান আছে স্ত্রীকে তা যথাযথ মানতে হবে। আর যদি আল্লাহ না করুন সে সীমালঙ্ঘন করে, তার কাজ ভুলে যায় আমি সে ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন এবং কঠোর থাকবো। গায়রতহীন পুরুষ হতে চাইনা। একজন দ্বীনদার মেয়ে অবশ্যই এসব জানবেন এবং মানবেন। তবুও বলার কারন এসব ব্যাপারে আমার অবস্থান এবং মানসিকতা পরিষ্কারভাবে বোঝানো। |
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন | প্রযোজ্য নয় |
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? | হানাফি |
নজরের হেফাজত করেন? (Required) | চেষ্টা করি |
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? | সবসময় নিজের দ্বীনের অবস্থার উন্নতি করা তো অবশ্যই আগে। এছাড়া স্ত্রীসহ দ্বীনের খেদমতে নানানভাবে কাজ করার চিন্তাভাবনা ও ইচ্ছা আছে। আল্লাহ তা'য়ালা কবুল করুন। আমিন। |
অবসর সময় কিভাবে কাটান? (Required) | যিকির করে, কুরআন তিলাওয়াত করে এবং তিলাওয়াত শুনে, মাঝে মাঝে বই পড়া হয় এবং হঠাত নাশিদ শোনা হয়, অনলাইনে দ্বীন সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়া হয় বা লেকচার শোনা হয়, দেশ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক আর্টিকেল পড়া হয় বা লেকচার শোনা হয় ইত্যাদি। |
কত ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে আদায় করেন? (Required) | ৫ ওয়াক্ত আলহামদুলিল্লাহ |
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? (Required) | আগে যখন বাসায় থাকার সময় পেতাম (ব্যবসা শুরু আগে) তখন আম্মুকে বা বাসার কাজে টুকটাক সাহায্য করতাম, বাসার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাহিরে থেকে এনে দিতাম। এখন মাঝে মাঝে তবে কমই করা হয় যখন আমার সময় থাকে বাসা থেকে আমাকে বলে তখন। |
আপনি কি ধুমপান করেন? (Required) | এর ধারের কাছেও নেই আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ হেফাজতে রাখুন। আমিন। |
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? | রাজি |
---|---|
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? | অনেক কারনেই বিয়ে করছি। বিয়ে মানুষের জীবনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, আল্লাহ তা'য়ালার দেয়া একটি প্রাকৃতিক নিয়ম, বংশ বৃদ্ধির প্রক্রিয়া, বিয়ে একটি ইবাদাত। বিয়ে করা সুন্নাহ এবং কখনো ফরজ। এটা করতেই হবে যদি কেউ অসুস্থ না হয়। তাই এসব কারনে, এছাড়াও গুণাহ থেকে বাঁচার জন্য, রিযিকে ও জীবনে বারাকাহ লাভের জন্য, অর্ধেক দ্বীন পূর্ণ করে ইবাদাতে মনোযোগী হবার জন্য এবং সর্বোপরি দ্বীনের খেদমতের জন্য বিয়ে করছি। |
বিয়ের পর স্ত্রীর পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? | ইংশাআল্লাহ অবশ্যই। কোনোভাবেই দাইয়্যুস হতে চাই না। |
বিয়ের পর স্ত্রীকে পড়াশোনা করতে দিতে চান? | অবশ্যই দ্বীনি পড়াশুনা ইংশাআল্লাহ এবং তা পূর্ণাঙ্গ পর্দার সহিত, সেকুলার শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশুনার প্রশ্নই আসে না। কারন তাতে পর্দাই হবে না যতই হাত পা মোজা পরিধান করুক বা চোখ ঢেকে রাখুক আর পুরুষদের এড়িয়ে চলুক না কেনো। পর্দাশীল নারীরা নিজেরাই সহশিক্ষা ত্যাগ করে। তবে কেউ কেউ হয়তো পরিবারের চাপে ছাড়তে পারে না সেটা ভিন্ন কথা। |
বিয়ের পর স্ত্রীকে চাকরী করতে দিতে চান? | কস্মিনকালেও না ইংশাআল্লাহ। গায়রতবান পুরুষ কখনোই তার স্ত্রীকে নন মাহরাম পুরুষের সামনে যেতে দিবে না সেখানে চাকুরী অনেক দূরের কথা। আর নারীর দায়িত্ব ঘরে অবস্থান করা, স্বামীর সংসার দেখাশোনা করা, চাকুরী করা নয়। |
বিয়ের পর স্ত্রীকে কোথায় নিয়ে থাকবেন? | রংপুরে নিজ বাসায় ইংশাআল্লাহ |
বিয়ে উপলক্ষে আপনি বা আপনার পরিবার পাত্রীপক্ষের কাছে যৌতুক বা উপহার বা অর্থ আশা করবেন কি না? | একদমই না |
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? | জেলা |
বিয়ের পর স্ত্রীর ভরনপোষন চালাতে পারবেন? | হ্যা |
আপনাার স্ত্রীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? | স্ত্রীর ভরণ পোষণ আদায় করা, তার সাথে উত্তম আচরণ করা, তাকে দ্বীন পালনে সহযোগিতা করা, তাকে সময় দেয়া, তাকে বোঝা এবং তার দুঃখ কষ্টে তার পাশে থাকা, তাকে ভাল রাখা তাকে ভালবাসা এবং তার সকল হক আদায়ের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। এক কথায় বললে রসুলুল্লাহ (সঃ) থেকে স্ত্রীর প্রতি আচরণের বা হক আদায়ের যে সুন্নাহ আমরা পাই সেটাই স্ত্রীর প্রতি দায়িত্ব আমি বুঝি। |
আপনার আহলিয়ার পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? | হ্যা |
আপনি বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় থাকবেন? | যৌথ ফ্যামিলিতে |
বয়স (Required) | ২২-২৫ |
---|---|
গাত্রবর্ণ | ফর্সা, উজ্জ্বল ফর্সা |
নূন্যতম উচ্চতা | ৫'২" |
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা | এটা নির্দিষ্ট নয়, পুরো বায়োডাটা পড়ে পছন্দ হলে সে অনুযায়ী এটা বিবেচনায় আসবে। |
বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিতা |
পেশা (Required) | ছাত্রী বা পেশাহীন |
অর্থনৈতিক অবস্থা | মধ্যবিত্ত পছন্দনীয়, উচ্চ-মধ্যবিত্ত (ক্ষেত্রবিশেষে) |
পারিবারিক অবস্থা (Required) | অন্তত পরিবারের সকলকেই ৫ ওয়াক্ত নামাজি, ফরজ রোজা-যাকাত আদায়কারী হতে হবে এবং নিজে পূর্ণাঙ্গ দ্বীন মেনে চলতে না পারলেও অন্যকে ভালভাবে দ্বীন পালনে বাঁধা দেয়না এমন মানসিকতার হতে হবে। এটা মিনিমাম রিকোয়েরমেন্ট ছিল, আর এর বেশি ভাল অবস্থা হলে তো অবশ্যই ভাল। |
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন | ◼️ বাহ্যিক দ্বীনদার বা লেবাসধারী নয়, অন্তর থেকে পরিশুদ্ধ হতে হবে। তাকওয়াবান, প্রকৃত ঈমানদার ও দ্বীনদার হতে হবে। দুনিয়া এবং দ্বীন দুইটাই সুন্দরভাবে পালন করা মুমিনের পক্ষে কখনো সম্ভব না। দুনিয়াদ্বারীতা ঠিক রেখে দ্বীন পালন নয়, দ্বীনদ্বারীতা ঠিক রেখে দুনিয়া পালন করবে। নিজের সুবিধা বা মন মত ফতোয়া চাইবে না বরং ফতোয়া কঠিন হলেও সহজে তা মেনে নিবে। দ্বীন সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক। শুধু ইলমের অধিকারী হবে না, ইলম অনুযায়ী আমল করে এবং ইসলামী সকল বিধিবিধান মেনে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। ফরয ওয়াজিব ছাড়াও সুন্নাহ ভিত্তিক জীবন যাপনে আগ্রহী হতে হবে। ◼️ আল্লাহর জন্য সবকিছু করতে হবে। আল্লাহ ও তার রসুল (সঃ) সবকিছুর এবং সবার উর্ধ্বে, নিজের জীবনের উর্ধ্বে প্রিয় হতে হবে তা না হলে প্রকৃত মুমিন হওয়া যাবেনা। জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য এবং স্বপ্ন হবে আল্লাহ তা'য়ালার সন্তুষ্টি অর্জন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস লাভ করা। এর প্রয়োজনে যা যা করা দরকার সেগুলো করতে হবে। দ্বীনের জন্য প্রয়োজনে যেকোনো কিছু ত্যাগ করার মানসিকতা রাখতে হবে। ◼️ নামাজের ব্যাপারে গাফেল থাকবে বা অতি জরুরী কাজে বাহিরে গেলেও কোনো ওয়াক্তের নামাজ কাযা করে ফেলবে, এরকম মানসিকতার একদমই হওয়া যাবে না। কিছুক্ষণ নিশ্বাস না নিয়ে যেমন মানুষ বাঁচতে পারে না প্রতি এক ওয়াক্ত ফরজ নামাজকেও সেই নিশ্বাস এর মত মনে করতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে নামাজ নিয়ে সিরিয়াসনেস পুরোপুরি থাকতে হবে এবং নামাজ মিস করার মানসিকতা একদম থাকা যাবে না। ◼️ হায়াসম্পন্ন, লজ্জাশীল এবং কঠোর পর্দাশীল হতে হবে, কণ্ঠস্বর নিচু হতে হবে। অবশ্যই মাহরাম-নন মাহরাম মেনে চলে। বিশেষ করে দুলাভাই, কাজিনদের সাথে দুরত্ব বজায় রাখে, তাদের সামনে যায় না, অতি প্রয়োজন ছাড়া তাদের সাথে কথা বলে না এমন পূর্ণাঙ্গ পর্দা মেইনটেইনকারী। কেউ দ্বীনদার হলে এসব বিষয় তাকে বলারও প্রয়োজন নেই। আমার বাসার অবস্থা যেমনই হোক আমি আমার স্ত্রীকে যথাযথ পর্দা করার জন্য ব্যবস্থা করে দিবো ইংশাআল্লাহ। এটা আমার জন্য ফরজ। আল্লাহর ফরজ আইনের কাছে কোনো অজুহাত চলবে না। মেয়েদের কণ্ঠস্বরও পর্দার অন্তর্ভুক্ত এটা মানতে হবে। আমি আমার স্ত্রীকে এমন পর্দার মধ্যে রাখতে চাই যেনো প্রয়োজন ছাড়া ইংশাআল্লাহ কোনো নন মাহরাম তার কণ্ঠস্বর না শুনে। হয়তো জরুরী পরিস্থিতিতে কথা বলতে হবে তবে তাতে যেনো কণ্ঠস্বর কোমল বা নরম না করে কথা বলে। এটাই আল্লাহর বিধান। ◼️ আল্লাহভীরু হতে হবে। সকল ফরজ পালনের এবং কবীরা গুণাহ থেকে বেঁচে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকতে হবে। কখনো কোনো গুণাহ ভুলবসত করে ফেললে অবশ্যই অনুশোচনা থাকবে এবং তওবাকারী হবে। ◼️ ধৈর্য্যশীল হতে হবে, অন্তত আমার থেকে বেশি। সংসারে স্ত্রীর ধৈর্য্যের অত্যধিক প্রয়োজন। আল্লাহ না করুন বিপদ আপদ হলে বা ভাল খারাপ সকল পরিস্থিতিতে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করতে হবে, ধৈর্য্য ধারন করে স্বামীর পাশে থেকে সাহস আর মানসিক সাপোর্ট দিতে হবে। ইতিবাচক মানসিকতার হতে হবে। ◼️ অবশ্যই সুন্দর আচরণের অধিকারী, বিনয়ী, নরম মনের হতে হবে। কিন্তু দ্বীন পালনের প্রতি, হকের প্রতি হতে হবে কঠোর। গোছালো, পরিচ্ছন্ন পরিপাটি, মিতব্যয়ী হতে হবে। ◼️ আমার আহলিয়া কে অবশ্যই অল্পে তুষ্ট হতে হবে। দুনিয়াতে সুখী হবার জন্য সর্বপ্রথম কাজই হচ্ছে নিজের চাহিদাকে সীমিত করে ফেলা। তাই অবশ্যই সাদামাটা সহজ সরল জীবন যাপনে আগ্রহী হতে হবে। স্বামী ফেতনা থেকে বেঁচে থাকার কারনে যদি উপার্জন কম হয়, তা খুশী মনে মেনে নিতে হবে। স্ত্রীকে চেনা যায় স্বামীর অভাবে। একটি কথা উল্লেখ করতে চাই। আমি আল্লাহর এক গুণাহগার, নগণ্য বান্দা যে প্রত্যহ অন্তরে তাকওয়া বৃদ্ধি করার অনেক চেষ্টা করছি। যেকোনো মুহূর্তে আমার মৃত্যু চলে আসতে পারে এটা সবসময়ের জন্য অন্তরে প্রকৃত অনুধাবন করার চেষ্টা করছি। এতে করে আমি অন্তরে আল্লাহর প্রতি ভয় বৃদ্ধি করতে পারবো, গুণাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারবো এবং জাগতিক অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো যেগুলোর কারনে অন্তরে নূর কমে যায় সেগুলো থেকে বেঁচে থাকতে পারবো। অর্থাৎ রসুল (সঃ) এবং সাহাবায়ে কেরামের প্রকৃত আদর্শ অনুসরণের চেষ্টায় আছি। আর এটা করতে পারলে ইহজাগতিক যেকোনো বিপদ, প্রতিকূল পরিস্থিতি বা অভাবের কোনো ভয় বা কষ্ট থাকবে না এবং পরকাল নিয়েও দুশ্চিন্তা বা ভয় তেমন থাকবে না। তাই আমারও এই রকম কেউ কিংবা এরকম পরিশুদ্ধ হবার দৃঢ় চেষ্টারত কাউকে খুবই প্রয়োজন। এটা যদিও অনেক কঠিন কিন্তু এটাই তো মুমিনদের মূল উদ্দেশ্য হবার কথা। নাহলে প্রকৃত মুমিন হলাম কি করে! ইবনে উমার (রঃ) থেকে বর্ণিত যে হাদিসটি উপরে উল্লেখ করেছি সেটা এখানে আবার চলে আসতেছে। "তুমি সন্ধ্যায় উপনীত হলে আর ভোরের অপেক্ষা করো না এবং ভোরে উপনীত হলে সন্ধ্যার অপেক্ষা করো না।" যদি প্রকৃতই এটা মেনে চলতে পারি তাহলে দুনিয়াবি ভোগ বিলাসের বা কোনোমতে চলার জন্য যতটুকু প্রয়োজন এর বাহিরে খুব বেশি থাকার প্রয়োজন নেই। হ্যাঁ, পরিশ্রম এবং চেষ্টার ফলে আল্লাহ যদি বেশি দেন সেটা একান্তই আল্লাহর ইচ্ছা। কিন্তু আল্লাহ তা না দিলে সেটা নিয়ে মোটেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এই মানসিকতা থাকতে হবে। কারন আমরা সকলেই নির্ধারিত রিযিক নিয়েই পৃথিবীতে এসেছি এবং তা শেষ করেই যাবো। ◼️ অবশ্যই স্বামীর প্রতি আনুগত্যশীল হতে হবে। একজন নারীকে আল্লাহ খুব বেশি দায়িত্ব দেন নি যতটা পুরুষকে দিয়েছেন। নারীদের জান্নাতে যাওয়ার পথ আল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন চারটি ফরজ কাজের মাধ্যমে। তার মধ্যে একটি ফরজ স্বামীর আনুগত্য করা, তার সন্তুষ্টি অর্জন করা। একজন নারীর জন্য তার স্বামীই জান্নাত, তার স্বামীই জাহান্নাম। আজকালকার অনেক মেয়েরাই নামাজ, রোজা, পর্দা, দান, ইলম ইর্জন, তাহাজ্জুত সবই করতে রাজি কিন্তু স্বামীর খেদমত বা আনুগত্য করতে রাজি না। তারা কখনো নেককার বা দ্বীনদার নয়। ◼️ আমার ইচ্ছা আছে দ্বীনের খেদমতে সামান্যভাবে হলেও নিজেকে এবং স্ত্রীকে জড়ানোর। তাকে এই মানসিকতা রাখতে হবে। বিয়ের পর প্রয়োজনীয় দ্বীনি জ্ঞানার্জন করতে হবে, দ্বীন শিখতে হবে। সন্তানদের পরকালমুখী বানাতে হবে, দ্বীনের দ্বায়ী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর এর সিংহভাগ দায়িত্বটা স্ত্রীকে নিতে হয়। আমি শুধু আমার চাহিদা পূরনের জন্য আহলিয়া চাচ্ছি না, আমার সন্তানদের জন্য উত্তম আখলাখওয়ালী মা চাচ্ছি যার গর্ভে এমন সন্তান লালিত হবে যারা দ্বীনের তাগাদা অনুযায়ী কাজ করবে। ◼️ আমি যৌতুকের বিরুদ্ধে সোচ্চার তাই মোহরানা আদায়ের ক্ষেত্রেও ইসলামকে অনুসরণ করবো। মোহরানার বিধান ইসলামের, তাই কাউকে তা মানতে হবে ইসলামের মত করেই যদি সে দ্বীন বোঝে। যৌতুক ছাড়া বিয়ে করার জন্য অনেক ছেলে এখন পাওয়া যাবে এমনকি দ্বীনদার না হলেও। কিন্তু ছেলের সামর্থ্য স্বল্প হলে সে অনুযায়ী মোহরানায় বিয়ে করার জন্য কম মেয়েই পাওয়া যাবে এমনকি দ্বীনি চিন্তার হলেও। আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী মোহরানা দিবো আর নগদেই আদায় করবো ইংশাআল্লাহ। মানুষের সামনে মান রক্ষার জন্য বা বর্তমান সমাজের কথা বিবেচনা করে আমার স্ত্রীর মূল্য নির্ধারন তাকে পণ্য বানাতে চাইনা, তিনি অমূল্য সম্পদ। সামর্থ্য অনুযায়ী তাকে সম্মান করবো ইংশাআল্লাহ। কোনো নারী যদি পরিবারের চাপে ছেলের সাধ্যাতীত মোহরানার বিরুদ্ধে বলতে না পারে তাহলে তো সে চাপে পরে দ্বীনকে কম্প্রোমাইজ করলো। ◼️ এই মানসিকতা রাখতে হবে যে, এই কঠিন দুনিয়ায় এই ভয়াবহ ফেতনার জামানায় দ্বীনের পথে কঠোরভাবে চলতে গেলে, কঠোরভাবে হালাল হারাম মেনে চললে, হয়তো যেকোনো কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হতে পারে। এটা ভেবে নেয়ার কারন নেই যে জীবনে পরীক্ষা আসবে না আর সুন্দর ভাবেই জীবন কাটিয়ে দিবেন। এটা বলার কারন, অনেক দ্বীনদার নারীরাই সরকারি চাকরী ওয়ালা ছেলে হাসিল করে, ছেলের জব সিকিউরিটি নিশ্চিত করে সহজ জীবন কাটানোর ক্যালকুলেশন করতে চায়। কিন্তু আদতে দ্বীনের পথে স্ট্রিক্ট থাকা ব্যক্তিদের জীবন সহজ নয়। মানুষ তো অনেক পরিকল্পনা করে ঠিকই, কিন্তু নিশ্চই আল্লাহ সবথেকে বড় পরিকল্পনাকারী। বিয়ের আগে সরকারী চাকুরী কিংবা জব সিকিউরিটি চাওয়া অনুচিত এবং ইসলাম বিরোধী চিন্তা ভাবনা। হ্যাঁ কেউ সম্পদশালী হলে সে সম্পদশালী কাউকে চাইবে এটা স্বাভাবিক এবং ঠিকাছে। কিন্তু সরকারী চাকুরী ছাড়াও তো অনেক পেশা আছে। সরকারী চাকুরীই লাগবে এটা তো দুনিয়াবি ভাব বা লোক দেখানোর একটা বিষয়। দ্বীনে ফেরা বেশির ভাগ মেয়েরা এটা জানেই না যে বেশির ভাগ সরকারি চাকুরীর বর্তমান অবস্থা ইসলামের সাথে যায় না আর অনেক কমন চাকুরীক্ষেত্রে তো না চেয়েও সরাসরি হারাম ও অন্যায়ে জড়িত হয়ে যেতে হয়। তাকওয়া এবং গায়রত এর জন্য একটি ছেলের বরং বেশির ভাগ সরকারি চাকুরী থেকে বিরত থাকা উচিত। তাই প্রকৃত দ্বীনদার মেয়ে বিয়ের জন্য ছেলের সরকারি চাকুরী চাইবে না বরং এটাকে এভয়েড করার চেষ্টা করবে। ◼️ চক্ষু শীতলকারী, উত্তম আখলাক ওয়ালী একজন আদর্শবান স্ত্রী, আল্লাহ তা'য়ালার পছন্দদের মধ্য হতে একজন বান্দি যার সাথে সংসারটাকে জান্নাতের একটা টুকরো বানাতে পারি এবং যাকে নিয়ে জান্নাতে একসাথে থাকার স্বপ্ন দেখতে পারি, যিনি নিজে গুণাহ থেকে বেঁচে থাকবেন এবং আমাকেও গুণাহ থেকে আগলে রাখতে পারেন এমন একজন প্রিয়তমাকে আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা করি। যিনি আল্লাহর জন্য, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যেই আমাকে ভালবাসবেন। এমন ভালবাসা যা পছন্দ করেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা এবং তার রসুল (সঃ)। |
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? (Required) | রংপুর পছন্দনীয়, বায়োডাটা ভাল লাগলে ভিন্ন জেলা বিবেচনা করা যেতে পারে |
পেশা সম্পর্কিত তথ্য (Required) | আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তা'য়ালার রহমতে রংপুর সদরে আমার একটি ইসলামিক শপ আছে। এখানে অনেক উন্নত মানের বিদেশী সুগন্ধি, ইসলামিক বই, টুপি, জায়নামাজ, বোরকা, হিজাব-নিকাব, মধু ও অন্যান্য অর্গানিক পণ্য, ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি ইত্যাদি পাওয়া যায়। আপাতত শপে আমি নিজে সময় দেই। অতি নিকট ভবিষ্যতে মহান আল্লাহ তাওফীক দিলে আরও বিভিন্ন ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা আছে ইংশাআল্লাহ। |
---|---|
বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান | মোটামুটি সবই উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি। আমি খুঁজছি একজন প্রকৃত যুহুদ অবলম্বনকারী চক্ষুশীতলকারী জীবনসঙ্গী। যদি উল্লিখিত সকল কথাগুলো আপনার সাথে মিলে যায় তবেই যোগাযোগ করলে ভাল হবে। যদি মনে করেন প্রায় সব মিলে যাচ্ছে দুই একটি বিষয় অল্প মিলছে বা মিলছে না তাহলেও যোগাযোগ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বায়োডাটা দেখে সিদ্ধান্তে আসা যাবে ইংশাআল্লাহ। তবে অসঙ্গতি থাকলে বা কোনো কিছু না মিললে তা উল্লেখ করে দিবেন প্লিজ। অবশ্যই ইস্তেখারা করে ইমেইলে বায়োডাটা পাঠাবেন ইংশাআল্লাহ। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। জাযাকাল্লাহু খইরন। |
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? | হ্যা |
---|---|
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? | হ্যা |
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? | হ্যা |
এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।
অভিভাবকের সাথে যোগাযোগসর্বমোট ভিউ: 358 ভিউস