male

বায়োডাটা নাম্বার

AH-107012

পাত্রের বায়োডাটা

অবিবাহিত

ঢাকা

ঢাকা বিভাগ

গোপালগঞ্জ

ঢাকা বিভাগ

১৯৯৫

উজ্জ্বল শ্যামলা

৫'৫''

৬৪ কেজি

B+

ছাত্র/ছাত্রী

৪০,০০০+


ঠিকানা
স্থায়ী ঠিকানা মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ
বর্তমান ঠিকানা ঢাকা
কোথায় বড় হয়েছেন? (Required) গোপালগঞ্জ
সাধারণ তথ্য
বায়োডাটার ধরন পাত্রের বায়োডাটা
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
বর্তমান ঠিকানা ঢাকা
বিভাগ ঢাকা বিভাগ
স্থায়ী ঠিকানা গোপালগঞ্জ
বিভাগ ঢাকা বিভাগ
জন্মসন (আসল) ১৯৯৫
গাত্রবর্ণ উজ্জ্বল শ্যামলা
উচ্চতা ৫'৫''
ওজন ৬৪ কেজি
রক্তের গ্রুপ B+
পেশা ছাত্র/ছাত্রী
মাসিক আয় ৪০,০০০+
শিক্ষাগত যোগ্যতা
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? (Required) জেনারেল
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? হ্যাঁ
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান ফলাফল Golden A+
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান বিভাগ বিজ্ঞান বিভাগ
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাসের সন ২০১১
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাশ করেছেন? হ্যাঁ
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমানের বিভাগ বিজ্ঞান বিভাগ
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান ফলাফল Golden A+
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাসের সন ২০১৩
স্নাতক / স্নাতক (সম্মান) / সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা বি.এ. ( সম্মান), ইসলামিক স্টাডিজ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম বাংলাদেশ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়
পাসের সন ২০২৩
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা মাস্টার্স রানিং, ডিসেম্বর-২০২৪ এ মাস্টার্স শেষ হবে ইনশাআল্লাহ।
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ৫ম শ্রেণি: সাধারণ বৃত্তি, ৮ম শ্রেণি: মেধাবৃত্তি (থানায় ১ম স্থান), এস.এস.সি: মেধাবৃত্তি (জেলায় ২য় স্থান)
IOM তথ্য
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? না
পারিবারিক তথ্য
পিতার পেশা স্থানীয় মসজিদের ইমাম
মাতার পেশা গৃহিণী
বোন কয়জন? বোন নেই
ভাই কয়জন? ৩জন
ভাইদের সম্পর্কে তথ্য ১. বেসরকারি জব করে। বিবাহিত। ৩ জন ছেলে আছে। ২. পাত্র নিজে ৩. বেসরকারি জব করে। বিবাহিত। ১ ছেলে আছে ৪. স্টুডেন্ট। অবিবাহিত
চাচা মামাদের পেশা চাচা: ১ জন। ২০০৭ সালে মারা গিয়েছেন। মামা: ১ জন। বেসরকারি জব করেন। মামার ২ ছেলে ও ১ মেয়ে।
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা অর্থনৈতিক অবস্থা মধ্যবিত্ত এবং সামাজিকভাবে সম্মানিত আলহামদুলিল্লাহ।
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) (Required) পরিবারের সকলেই সালাত আদায় করে। মা নন-মাহরাম তেমন মেইনটেইন করেন না। তবে তিনি সাধারণত ঘরেই অবস্থান করেন। বাসার বাইরে যান না। বড় ভাইয়ের স্ত্রী গত ১ বছর যাবৎ পর্দা করতেছেন আলহামদুলিল্লাহ। ছোট ভাইয়ের স্ত্রী স্ট্রিকটলি পর্দা করেন না, তবে লাস্ট ১ বছর আমার সামনে আসেনি অথবা আমি ওভাবে খেয়াল করিনি।
ব্যক্তিগত তথ্য
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? জি। পড়া হয়।
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) ২০১৫ সাল থেকে
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? জি। আলহামদুলিল্লাহ।
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? পুরোপুরি শুদ্ধ হয় না। তবে সালাত শুদ্ধ হওয়ার জন্য যতটুকু প্রয়োজন পারি।
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? শার্ট, টি-শার্ট, পোলো শার্ট, পাঞ্জাবি, প্যান্ট ইত্যাদি।
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন (Required) কোন ধরনের রাজনীতির সাথে যুক্ত নই।
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? দেখি না। আলহামদুলিল্লাহ
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) নেই। আলহামদুলিল্লাহ।
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) দাওয়াহ’র কাজে যুক্ত আছি। আমরা ১৫-২০ জন মিলে দাওয়াহ’র জন্য একত্রে কাজ করতেছি। খুব শীঘ্রই আমরা স্ট্রিট দাওয়াহ শুরু করবো ইনশাআল্লাহ। সমসাময়িক বিভিন্ন ফিৎনা যেমন- সমকামিতা, সেক্যুলারিজম, লিবারেলিজম, ফেমিনিজম, ন্যাশনালিজম, ডেমোক্রেসি, ইসলামোফোবিয়া ইত্যাদি বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার জন্য দাওয়াহ প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি এবং এ জন্য লিফলেট আকারে ছাপানোর জন্য কন্টেন্ট তৈরি করতেছি।
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) না। পীর মুরিদী অপছন্দ করি। আমার জানা মতে পীর কখনো ভালো হয়না অথবা ভালো মানুষ কখনো পীর হয়না।
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) কবর ব্যতীত কিছু নয়। মাজারে গিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে বিদআত হবে ( মাজারে গিয়ে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয় এমন বিশ্বাস থাকলে), কবরবাসীর কাছে দোয়া করলে শির্ক হবে। মাজারে অনেক ধরনের না জায়িজ কর্মকাণ্ড হচ্ছে। যেমন- আহবান, ফরিয়াদ, আশ্রয়, আশা, রুকু, সিজদাহ্, বিনম্রভাবে কবরের সামনে দাঁড়ানো, তাওয়াফ, তাওবা, জবাই, মানত, আনুগত্য, ভয়, ভালোবাসা, তাওয়াক্কুল, সুপারিশ ও হিদায়াত কামনা করার মত বড় বড় শির্ক যে কোন কবরের পার্শ্বে নির্বিঘ্নে চর্চা করা হচ্ছে। এ সবের মূলে সর্বদা একটি কারণই কাজ করে চলছে। আর তা হলো: ওলী-বুযুর্গদের ব্যাপারে অমূলক বাড়াবাড়ি।  অন্যান্য সাধারণ কবরের মতো জিয়ারত করা যেতে পারে, তবে শর্ত হচ্ছে মৃত্যুকে স্মরণ করা। জিয়ারতের উদ্দেশ্যে মাজারে সফর করা জায়িজ নয়। বরকতময় তিনটি মসজিদ (অনুরূপ কুবার মসজিদ)ছাড়া বরকত ও সওয়াবের উদ্দেশ্যে অন্য কোন মসজিদ, মাযার বা ঐতিহাসিক স্থান যিয়ারত করার জন্য সফর নিষেধ। আল্লাহ্‌র রাসুল (সঃ) বলেছেন, “তিনটি মসজিদ ছাড়া সফর করা যাবে না, (মক্কার) মসজিদে হারাম, (মদিনার) আমার এই মসজিদ এবং (জেরুজালেমের) মসজিদে আকসা।” [বুখারী: ১১৮৯, মুসলিম: ৩২৭৫]
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) ০১. আল ফাতওয়া আল হামাউইয়্যাহ আল কুবরা ০২. রহমান আরশের উপর উঠেছেন ০৩. সহিহ হাদিস বিশ্বকোষ ০৪. উমদাতুল আহকাম ০৫. শারহুল আকীদাহ আল ওয়াসেতিয়াহ ০৬. লুমআতুল ইতিক্বদ ০৭. তিনিই আমার রব
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) ০১. ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া ০২. ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী ০৩. ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ মাদানী ০৪. শাইখ মতিউর রহমান মাদানী ০৫. ড. ইমাম হোসেন ০৬. আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন *যেকোন বিষয়ে দুনিয়ায় উপর আখিরাতকে প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করি। লক্ষ্য একটাই, আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত নিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করা। *এমন একজন জীবনসঙ্গিনীকে খুঁজতেছি যে আমাকে সর্বদা আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিবে। আমল ও আখলাকে যে হবে আমার চেয়েও উত্তম। *আমার ইসলামি বিভিন্ন সাবজেক্ট নিয়ে আরো পড়াশোনার ইচ্ছে আছে। বিশেষ করে ইসলামি আকীদাহ, ইসলামি ব্যাংকিং, ইসলামি ইনসিউরেন্স এবং ইসলামি অর্থনীতি নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার ইচ্ছে আছে। এছাড়া IBA থেকে MBA করার ইচ্ছে আছে। যদি IBA তে হয়ে যায় তাহলে আগে একটা MBA করে নিবো। অন্যথায় পূর্বে উল্লিখিত বিষয়গুলো নিয়ে একাডেমিক পড়াশোনা করবো। এটা দেশে হতে পারে আবার বিদেশেও হতে পারে। আমি কমপক্ষে আরো ১০ বছর পড়াশোনা করতে চাই। তবে অবশ্যই পরিবারকে সময় দেওয়ার পর। *সন্তানদের দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই। মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়,উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়,কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয় বা কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বড় প্রতিষ্ঠানে সন্তানদের পড়াতে চাই। *স্ত্রীকে পরিপূর্ণ পর্দার মধ্যে রাখতে চাই। বাসায় তাকে দ্বীনি শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করে দিতে চাই। আমি নিজে প্রত্যেক সপ্তাহে কোন না কোন দ্বীনি শিক্ষার প্রোগ্রাম যেমন- সেমিনার,ওয়ার্কশপ,দারস ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করি। ইচ্ছে আছে বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে উক্ত প্রোগ্রামগুলোতে অংশগ্রহণ করবো ইনশাআল্লাহ। *স্ত্রীকে প্রয়োজনবোধে দ্বীন শিক্ষার জন্য কোন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করার সুযোগ করে দিতে ইচ্ছুক। *নিজেকে ফাসিক হিসেবেই জানি।প্রতিদিন ই কিছু না কিছু পাপ করে ফেলি,আবার তাওবাহ ও করি। নিজকে তাকওয়াবান দাবি করার সাহস নেই,অথচ চেষ্টা এবং আকুলতার কোন অন্ত্য নেই। *ইচ্ছে আছে বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে ওমরা করতে যাওয়া। *বিয়েতে অপ্রয়োজনীয় খরচ করতে রাজি নই। অতিরিক্ত মোহরানা দিতেও ও ইচ্ছুক নই। বিয়ের পরপরই মোহরানা সম্পূর্ণ পরিশোধ করবো ইনশাআল্লাহ। * অতিরিক্ত শপিং করতে পছন্দ করি। পোশাকের বিষয়ে যথেষ্ট রুচিশীল। সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও ফিটফাট থাকতে পছন্দ করি। *সাহিত্যপ্রেমী । একসময় প্রচুর সাহিত্য পড়তাম। লাস্ট ৮ বছর পড়া হয় না। কবিতা, উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, গদ্য ইত্যাদি মিলিয়ে প্রায় ১০০০+ বই পড়েছি। * মিথ্যা বলা ও প্রতারণা করাকে খুবই ঘৃণা করি। এরকম হলে সম্পর্ক ছেদ করে ফেলি। ক্ষমা করা বা একটা সুযোগ দেওয়ার মতো যথেষ্ট উদার নই। (এটা একটা অযোগ্যতাও বটে!) * ইগো প্রবলেম একদমই নাই। ধনী-গরিব সবার সাথেই সমানভাবে মিশতে পারি। * অনেক বেশি এক্সট্রোভার্ট। সহজে সবার সাথে মিশতে পারি। কাউকে পছন্দ হলে তার সাথে মনের ভাব প্রকাশ করতে কোন সংকোচ বোধ করি না। * সালাত আদায়কারীদের সাথে চলাফেরা করি। যারা সালাত আদায় করে না তাদেরকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন প্রযোজ্য নয়
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? সালাফি[আহলে হাদিস]
নজরের হেফাজত করেন? (Required) হ্যা
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? আমার ইসলামি বিভিন্ন সাবজেক্ট নিয়ে আরো পড়াশোনার ইচ্ছে আছে। বিশেষ করে ইসলামি আকীদাহ, ইসলামি ব্যাংকিং, ইসলামি ইনসিউরেন্স এবং ইসলামি অর্থনীতি নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার ইচ্ছে আছে। এটা দেশে হতে পারে আবার বিদেশেও হতে পারে। আমি কমপক্ষে আরো ১০ বছর পড়াশোনা করতে চাই। তবে অবশ্যই পরিবারকে সময় দেওয়ার পর। সন্তানদের দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই। মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়,উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়,কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয় বা কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বড় প্রতিষ্ঠানে সন্তানদের পড়াতে চাই।
অবসর সময় কিভাবে কাটান? (Required) অবসর খুব কম পাই। অবসর সময়ে সাধারণত ঘুরতে যাই কোথাও অথবা শপিং করি।
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? (Required) আমি ঢাকায় থাকি। পরিবার গ্রামে থাকে। আগে পরিবারে ফিনানশিয়ালি কনট্রিবিউট করতাম। বর্তমানে আমার কন্ট্রিবিউট করা লাগে না। বড় ভাই এখন দেখাশোনা করে।
বিয়ে সংক্রান্ত তথ্য
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? জি
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করার সাথে সাথে তার জীবনধারণের জন্য কিছু চাহিদা দিয়েছেন এবং সেই চাহিদা মিটানোর পদ্ধতি ও বলে দিয়েছেন। মানবজীবনে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার পাশাপাশি জৈবিক চাহিদা ও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই চাহিদা পূরণের জন্য ইসলাম বিবাহের বিধান দিয়েছে। এজন্য প্রত্যেক অভিভাবককে তাদের অধিনস্তদের বিবাহের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, "তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস-দাসীদের বিবাহ দিয়ে দাও। যদি তারা অভাবী হয়,আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে অভাব মুক্ত করে দিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।" [আন-নূর: ৩২] তাছাড়া মানুষ প্রকৃতিগতভাবে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে অভ্যস্ত। একাকী বসবাস তার স্বভাবসিদ্ধ নয়। তাই প্রয়োজন পড়ে কিছু সঙ্গিনীর ও কিছু সাথীর; যারা হবে একান্ত আপন। বিবাহ মানুষকে এমন সাথী দান করে। বিবাহ মানুষকে সুন্দর চরিত্র দান করে, অবৈধ দৃষ্টি থেকে চক্ষুকে সংযত রাখে, লজ্জাস্থানের সংরক্ষণ করে। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন, "তোমরা তাদের অভিভাবকদের অনুমতিক্রমে তাদেরকে বিবাহ করো, যথাযথভাবে তাদের মোহর প্রদান করো, যেন তারা বিবাহের দূর্গে সুরক্ষিত থাকতে পারে এবং অবাধ যৌনচর্চা ও গোপন বন্ধুত্বে লিপ্ত হয়ে না পড়ে।" [আন-নিসা:২৫] এ সম্পর্কে মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "হে যুবসমাজ, তোমাদের মধ্যে যে বিবাহ করার সামর্থ্য রাখে সে যেন বিবাহ করে, কেননা বিবাহ দৃষ্টি ও লজ্জাস্থানের হিফাযতের জন্য সবচেয়ে বেশি সহায়ক। আর যার সামর্থ্য নাই সে যেন সাওম পালন করে, কেননা সাওম যৌন উত্তেজনা প্রশমনকারী।" [সহিহুল বুখারী:৫০৬৬,তাওহীদ প্রকাশনী] স্বামী স্ত্রী একে অপরের পরিপূরক। দুজনে সবকিছু ভাগাভাগি করে নিয়ে চলতে হয়। পোশাক যেমন মানব দেহকে আবৃত করে রেখে মানুষের নগ্নতা ও কদর্যতাকে প্রকাশ হতে দেয় না, তেমনি স্বামী স্ত্রী পরস্পরের ইজ্জতকে হিফাযত করে এবং একে অপরের প্রয়োজনকে মিটিয়ে থাকে। মহান আল্লাহ বলেন, " স্ত্রীরা হচ্ছে তোমাদের জন্য পোশাকস্বরূপ এবং তোমরাও তাদের জন্য পোশাকস্বরূপ।" [আল-বাকারাহ:১৮৭] বিবাহের মাধ্যমে আবির্ভূত হয় নতুন মুসলিম প্রজন্মের। ফলে বংশবৃদ্ধির কারণে মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মত বৃদ্ধি পায়। মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, " বিবাহ করা আমার সুন্নাত। যে আমার সুন্নাহ অনুসরণ করল না সে আমার দলভুক্ত নয়। তোমরা বিবাহ করো,কেননা আমি (হাশরের মাঠে) তোমাদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে অন্য উম্মতের উপর গর্ব করবো।" [সুনানে ইবনে মাজাহ:১৮৪৬] তাছাড়া পৃথিবীকে আবাদ রাখার সঠিক ও বৈধ উপায় হচ্ছে বিবাহ। বিবাহ মনে আনে শান্তি, হৃদয়ে স্থিরতা, চরিত্রে পবিত্রতা, জীবনে পরম সুখ, নারী-পুরুষকে করে চির প্রেমে আবদ্ধ।এসম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, "তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে আর একটি নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের মধ্য থেকেই তোমাদের সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করিয়াছেন,যাতে তোমরা তাদের নিকট শান্তি পাও এবং তোমাদের মাঝে পারস্পরিক ভালোবাসা সৃষ্টি করিয়াছেন। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই এর মধ্যে নিদর্শন রয়েছে।" [আর-রুম:২১] এসম্পর্কে মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "দু'জনের পারস্পরিক ভালোবাসা স্থাপনের জন্য বিবাহের মতো আর কিছু নাই।" [সুনানে ইবনে মাজাহ:১৮৪৭] বিবাহে ইচ্ছুক ব্যক্তির জন্য আল্লাহর সাহায্য বর্ণনা করতে গিয়ে মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহর দায়িত্ব। আল্লাহর পথের মুজাহিদ, যে ধার গ্রহীতা তা পরিশোধের চেষ্টা করে এবং যে ব্যক্তি চরিত্র হিফাযতের জন্য বিবাহ করে।" [জামে' আত-তিরমিজি:১৬৫৫]
বিয়ের পর স্ত্রীর পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? অবশ্যই। আমি নিজেই পর্দার বিষয়ে খুব কড়াকড়ি আরোপ করবো।
বিয়ের পর স্ত্রীকে পড়াশোনা করতে দিতে চান? ফিৎনার আশংকা না থাকলে আপত্তি নাই।
বিয়ের পর স্ত্রীকে চাকরী করতে দিতে চান? না। এমন কোন ইচ্ছে নেই।
বিয়ের পর স্ত্রীকে কোথায় নিয়ে থাকবেন? ঢাকায়। আমি ঢাকায় স্থায়ী হওয়ার চিন্তাভাবনা করতেছি।
বিয়ে উপলক্ষে আপনি বা আপনার পরিবার পাত্রীপক্ষের কাছে যৌতুক বা উপহার বা অর্থ আশা করবেন কি না? না। যৌতুক নেওয়া হারাম এবং ছোটলোকদের কাজ
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? আর্থিক অবস্থা ও জেলা
বিয়ের পর স্ত্রীর ভরনপোষন চালাতে পারবেন? হ্যা
আপনাার স্ত্রীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? ইসলামে স্বামী ও স্ত্রীর অধিকার সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। আল্লাহ তা'আলা বলেন, "নারীদের তেমনি ন্যায়সংগত অধিকার আছে, যেমন আছে তাদের উপর পুরুষদের। কিন্তু নারীদের উপর পুরুষদের কিছু মর্যাদা আছে।" [ বাকারাহ: ২২৮ ] স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অধিকারসমূহ হলো- ক. আর্থিক অধিকার: ০১. সময়মত মোহর প্রদান করা ০২. আর্থিক অবস্থানুযায়ী স্ত্রীর ভরণ-পোষণ করা ০৩. সাধ্যমতো হাত খরচ দেওয়া ০৪. প্রয়োজনীয় সাংসারিক জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করা ০৫. উত্তম বাসস্থানের ব্যবস্থা করা ০৬. রোগ-ব্যাধীতে উত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করা ০৭. প্রয়োজনবোধে গৃহকর্মীর ব্যবস্থা করা ০৮. স্বামীর সম্পদের ওয়ারিশ হওয়া ০৯. প্রয়োজনমাফিক শিক্ষা-দীক্ষার ব্যবস্থা করা খ. ব্যবহারিক অধিকার: ০১. স্ত্রীর সাথে সদ্ভাবে বাস করা ০২. স্ত্রীকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসা ০৩. স্ত্রীকে পবিত্র রাখা এবং তাকে পরিপূর্ণ তৃপ্ত রাখা ০৪. পরিপূর্ণ পর্দার ব্যবস্থা করা ০৫. স্ত্রীর মন প্রফুল্ল রাখার চেষ্টা করা। ০৬. মাঝেমধ্যে উপহার দেওয়া ০৭. স্ত্রীর আত্মীয়দের সাথে উত্তম ব্যবহার ০৮. রোগ-ব্যাধীতে স্ত্রীর সেবা করা ০৯. বিপদে আপদে স্ত্রীকে হেফাজত করা। ১০. গৃহস্থালি কাজে স্ত্রীকে সহায়তা করা ১১. সন্তান লাভের অধিকার ১২. নেক আমলের প্রতি উৎসাহ দেওয়া ১৩. সাধ্যমতো সময় দেওয়া আমি আমার স্ত্রীর উপরিউক্ত প্রত্যেকটি অধিকারকে সংরক্ষণ করবো ইনশাআল্লাহ।
আপনার আহলিয়ার পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? হ্যা
আপনি বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় থাকবেন? স্ত্রীর সাথে আলাদা
যেমন জীবনসঙ্গী আশা করেন
বয়স (Required) সর্বোচ্চ ২৬ বছর
গাত্রবর্ণ উজ্জ্বল শ্যামলা, ফর্সা, উজ্জ্বল ফর্সা
নূন্যতম উচ্চতা ৫' ২''
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা গ্রাজুয়েট অথবা গ্রাজুয়েশন করতেছেন এমন কেউ অথবা সমমানের। হাফেজা হলে উক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য।
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
পেশা (Required) যেকোন। পেশা নিয়ে কোন রিকয়ারমেন্ট নাই।
অর্থনৈতিক অবস্থা নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চ-মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত
পারিবারিক অবস্থা (Required) দ্বীনদার পরিবার
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন জীবনসঙ্গিনীর কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্যসমূহঃ [ ১] শরীআত অনুযায়ী পূর্ণ পর্দানশীন। অর্থাৎ মাহরাম-ননমাহরাম কঠোরভাবে মেনে চলেন। মাহরাম ব্যতীত অন্য কারো সামনে মুখ, হাত বা শরীরের অন্য কোন অংশ অনাবৃত রেখে যান না। আল্লাহ বলেন, " হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের উপর টেনে দেয় । এতে তাদেরকে চেনা সহজতর হবে ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না । আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরমদয়ালু।" [ আল-আহযাব: ৫৯ ] আল্লামা আবু বকর জাসসাস বলেন, “এ আয়াতটি প্রমাণ করে, যুবতী মেয়েদের চেহারা অপরিচিত পুরুষদের থেকে লুকিয়ে রাখার হুকুম দেয়া হয়েছে। একই সাথে ঘর থেকে বের হবার সময় তাদের ‘পবিত্রতাসম্পন্না’ হবার কথা প্ৰকাশ করা উচিত। এর ফলে সন্দেহযুক্ত চরিত্র ও কর্মের অধিকারী লোকেরা তাদেরকে দেখে কোন প্রকার লোভ ও লালসার শিকার হবে না।” [আহকামুল কুরআন, ৩/৪৫৮] যামাখ্‌শারী বলেন, “তারা যেন নিজেদের ওপর নিজেদের চাদরের একটি অংশ লটকে নেয় এবং তার সাহায্যে নিজেদের চেহারা ও প্রান্তভাগগুলো ভালোভাবে ঢেকে নেয়।’ [আল-কাশ্‌শাফ, ২/২২১] আল্লামা নিযামুদ্দীন নিশাপুরী বলেন, ‘নিজেদের ওপর চাদরের একটি অংশ লটকে দেয়। এভাবে মেয়েদেরকে মাথা ও চেহারা ঢাকার হুকুম দেয়া হয়েছে।’ [গারায়েবুল কুরআন, ২২/৩২] ইমাম রাযী বলেন, ‘এর উদ্দেশ্য হচ্ছে লোকেরা যেন জানতে পারে। এরা দুশ্চরিত্রা মেয়ে নয়। কারণ যে মেয়েটি নিজের চেহারা ঢাকবে, অথচ চেহারা সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়, তার কাছে কেউ আশা করতে পারে না যে, সে নিজের ‘সতর' অন্যের সামনে খুলতে রাজী হবে। এভাবে প্রত্যেক ব্যক্তি জানবে, এ মেয়েটি পর্দানশীন, একে যিানার কাজে লিপ্ত করার আশা করা যেতে পারে না।” [তাফসীরে কবীর, ২/৫৯১] “চেনা সহজতর হবে” এর অর্থ হচ্ছে, তাদেরকে এ ধরনের অনাড়ম্বর লজ্জা নিবারণকারী পোশাকে সজ্জিত দেখে প্রত্যেক প্রত্যক্ষকারী জানবে তারা অভিজাত ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের পবিত্র মেয়ে, এমন ভবঘুরে অসতী ও পেশাদার মেয়ে নয়, কোন অসদাচারী মানুষ যার কাছে নিজের কামনা পূর্ণ করার আশা করতে পারে। “না কষ্ট দেয়া হয়” এর অর্থ হচ্ছে এই যে, তাদেরকে যেন উত্যক্ত ও জ্বালাতন না করা হয়। [দেখুন,তাবারী, কুরতুবী, ফাতহুল কাদীর] [২]. মুমিন নারী যে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করেছে। [৩]. ক্বানিত অর্থাৎ অনুগত। যে কিনা বিনয় ও প্রশান্তি সহকারে সর্বদা আল্লাহর আনুগত্য করে। [৪]. সাদিক অর্থাৎ সত্যবাদী। এ সত্যবাদিতা আকীদা-বিশ্বাস, কথা ও কাজে প্রকাশ পেতে হবে। আকীদার ক্ষেত্রে সত্যবাদিতা হচ্ছে সে যা বিশ্বাস করে তা কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশনা মোতাবেক একান্তভাবে মহান আল্লাহকে খুশি করবার জন্য করতে হবে। আর কথার মধ্যে সত্যবাদিতা হচ্ছে সর্বদা সত্য কথা বলা; যদিও সেটা নিজের বিরুদ্ধে যায়। যেমন আল্লাহ বলেন, " হে মুমিনগণ, তোমরা ন্যায়বিচারে দৃঢ প্রতিষ্ঠিত থাকবে আল্লাহর সাক্ষীস্বরূপ; যদিও তা তোমাদের নিজেদের বা পিতা-মাতা বা আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধে হয়......।" [ আন-নিসা: ১৩৫ ] [৫]. সাবির অর্থাৎ ধৈর্যশীল। আর সবর বা ধৈর্য হচ্ছে মহান আল্লাহর বিধানে নিজেকে বেঁধে রাখা। কোন প্রকার অসন্তুষ্টি, বিরক্তি কিংবা অপছন্দনীয়তা প্রকাশ না করা। এ ধৈর্য তিনটি উপায়ে হতে পারে৷ যথা- ১. আল্লাহর আনুগত্য করতে গিয়ে ধৈর্য ২. আল্লাহর অবাধ্যতা না করার ক্ষেত্রে ধৈর্য ৩. আল্লাহর তাকদীর বা নির্ধারিত বিপদাপদ ইত্যাদিতে ধৈর্য ধারণ করা। [৬]. বিনয়ী: এমনভাবে বিনয়ী হওয়া যার প্রভাব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পড়ে। এ বিনয় কয়েকভাবে হতে পারে। যথা- অন্তরে বিনয়ী হওয়া, সালাতে বিনয়ী হওয়া, ইবাদাতে বিনয়ী হওয়া, মানুষের সাথে পারস্পরিক কথাবার্তায় বিনয়ী হওয়া। [৭]. মুতাসাদ্দিক অর্থাৎ সাদাকাহ প্রদানকারী। আর সাদাকাহ হচ্ছে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় সম্পদ খরচ করা। যাকাত এর অন্তর্ভুক্ত কেননা সেটি হচ্ছে সর্বোচ্চ সাদাকাহ। নফল সাদাকাহ; যেমন- মেহমানকে খাওয়ানো, পরিবারকে খাওয়ানো, নিজের জন্য ব্যয় করা। এমনকি নিজের স্বামী বা সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেওয়াও সাদাকাহ'র অন্তর্ভুক্ত। এমনকি সব রকমের উত্তম কাজও সাদাকাহ'র অন্তর্ভুক্ত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, " প্রতিটি তাসবীহ সাদাকাহ, প্রতিটি তাহলীল সাদাকাহ, সৎ কাজের আদেশ সাদাকাহ, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ সাদাকাহ, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে ফেলা সাদাকাহ, একজন মানুষকে তার বাহনে উঠতে সাহায্য করে তাকে উঠিয়ে দেওয়াও সাদাকাহ অথবা একজন মানুষের জন্য তার বাহনে তার জিনিসপত্র রেখে দেওয়াও সাদাকাহ। উত্তম বাক্য বিনিময় সাদাকাহ। সালাতের দিকে যাওয়ার প্রতিটি পদক্ষেপই সাদাকাহ, তোমাদের কারও লজ্জাস্থানেও সাদাকাহ রয়েছে। " [ মুসলিম: ১০০৬ ] [৮]. সায়িম অর্থাৎ সাওম পালনকারী। এ সিয়াম কয়েক ধরনের হতে পারে। যথা- ১. ফরজ ; ইসলামের রোকন। আর তা হচ্ছে রমাদানের সাওম। ২. ওয়াজিব বা মান্নতকৃত সাওম; যা কেউ নিজের উপর আবশ্যক করে নিয়েছে। ৩. নির্ধারিত সুন্নাত; যেমন- আইয়ামে বীযের নফল সাওম, সোম ও বৃহস্পতিবারের সাওম, আশুরার সাওম, জিলহজ্জের প্রথম নয়টি সাওম, আরাফার সাওম, শাওয়ালের ছয়টি সাওম। ৪. অনির্ধারিত সাওম; যেমন আল্লাহর জন্য কেউ একদিন সাওম রাখলো৷ [৯]. যৌনাঙ্গের হিফাযতকারী নারী। আল্লাহ বলেন, " আর যারা নিজেদের যৌনাঙ্গসমূহের হিফাযতকারী, তাদের পত্নী অথবা অধিকারভুক্ত দাসী ছাড়া, এতে তারা নিন্দনীয় হবে না। তবে কেউ এদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে কামনা করলে তারা হবে সীমালঙ্ঘনকারী।.... " [ সূরা মা'আরিজ: ২৯-৩১ ] আর যা থেকে বাঁচতে হবে তা হচ্ছে... ১. যিনা বা ব্যভিচার ২. লিওয়াত্ব তথা সমকামিতা, যা ব্যভিচারের চেয়েও মারাত্মক গুনাহ। ৩. চোখের দৃষ্টি। মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, " কোন নারী অপর কোন নারীর লজ্জাস্থানের দিকে তাকাবে না, অনুরূপ কোন পুরুষও অপর কোন পুরুষের লজ্জাস্থানের দিকে তাকাবে না।" [ মুসলিম : ৩৩৮ ] ৪. অনুরূপভাবে লজ্জাস্থানকে ব্যভিচার, লিওয়াত্ব ও দৃষ্টিপ্রদান ছাড়াও অন্যান্য ধরনের হারাম কর্ম থেকে বাঁচতে হবে, যেমন- হস্তমৈথুন। কারণ এর মাধ্যমে নারী বা পুরুষ তার বৈধ স্বামী বা স্ত্রী ব্যতীত প্রবৃত্তির তাড়না পূরণ করে থাকে, যা কুরআনের এ আয়াতের পরিপন্থী, যাতে আল্লাহ বলেন, " অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে, তারাই হবে সীমালঙ্ঘনকারী। " [ আল - মুমিনূন: ৭, আল-মা'আরিজ: ২৯-৩১ ] [১০]. যে আল্লাহর যিকিরে নিজেকে নিয়োজিত রাখে। বস্তুত প্রতিটি ইবাদতই আল্লাহর যিকির। এ যিকির অন্তরে হয়, জিহ্বায় হয়, অনুরূপ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মাধ্যমে ও হয়। অন্তরে চিন্তা, জিহ্বায় উচ্চারণ, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে কর্মে আনয়ন এসবই আল্লাহর যিকিরের অন্তর্ভুক্ত। যিকির কয়েক ধরনের হতে পারে। যথা- ১. অনির্ধারিত যিকির: যেমন আল্লাহর বাণী, " আসমানসূহ ও যমীনের সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের পরিবর্তনে নিদর্শনাবলি রয়েছে বোধশক্তি সম্পন্ন লোকদের জন্য। যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহর স্মরণ করে এবং আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি সম্বন্ধে চিন্তা করে, আর বলে, ' হে আমাদের রব্ব! আপনি এগুলো অনর্থক সৃষ্টি করেননি, আপনি অত্যন্ত পবিত্র। অতএব আপনি আমাদের আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। " [ আলে ইমরান : ১৯০-১৯১ ] যা সবসময়, সব জায়গায়, সর্বাবস্থায় হতে পারে। অনুরূপ অন্য আয়াতে আসা যিকির, আল্লাহ বলেন, " হে ইমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর এবং সকাল সন্ধায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর। " [ আল আহযাব: ৪১-৪২ ] [ ১১]. যে বিনয়ী হয়ে চলাফেরা করে। যার চালচলন হবে একজন ভদ্র, মার্জিত ও সৎস্বভাব সম্পন্ন ব্যক্তির মতো। [১২]. যে অহেতুক তর্কে জড়ায় না এবং মূর্খদের সাথে তর্ক করে না। যখন ব্যক্তিরা তার সাথে খারাপ কথা বলে, তখন সে বলে 'সালাম'। রহমানের বান্দাদের পদ্ধতি হচ্ছে, তারা গালির জবাবে গালি এবং দোষারোপের জবাবে দোষারোপ করে না। যেমন কুরআনে আল্লাহ বলেন, " আর যখন তারা কোন বেহুদা কথা শোনে, তা উপেক্ষা করে যায়৷ বলে, আমাদের কাজের ফল আমরা পাবো এবং তোমাদের কাজের ফল তোমরা পাবে। সালাম তোমাদের, আমরা জাহেলদের সাথে কথা বলি না। " [ আল- কাসাস: ৫৫ ] [১৩]. যে তার প্রতিপালকের সামনে সিজদা ও দাড়ানো অবস্থায় রাত অতিবাহিত করে। আল্লাহ তাআলা এসকল লোকদের সম্পর্কে বলেন, " তাদের পিঠ বিছানা থেকে আলাদা থাকে, নিজের রবকে ডাকতে থাকে আশায় ও আশংকায়। " [ আস-সাজদাহ: ১৬ ] আল্লাহ অন্যত্র বলেন, " যে ব্যক্তি হয় আল্লাহর হুকুম পালনকারী, রাতের বেলা সাজদাহ করে ও দাড়িয়ে থাকে, আখিরাতকে ভয় করে এবং নিজের রবের রহমতের প্রত্যাশা করে তার পরিণাম কি মুশরিকের মতো হতে পারে? " [ আয-যুমার: ৯ ] [১৪]. যে জাহান্নামের আগুনের ভয়ে ভীত থাকে এবং তাঁর রবের নিকট জাহান্নাম থেকে পানাহ চায় এবং বলে, " হে আমাদের রব্ব, আমাদের থেকে জাহান্নামের আযাবকে অন্য দিকে ফিরিয়ে দিন। কারণ জাহান্নামের আযাব তো নিশ্চিতভাবেই ধ্বংসাত্মক। " [ আল-ফুরকান: ৬৫ ] [১৫]. যে ব্যয় করার সময় অযথা ব্যয় করেনা। আর কৃপণতাও করেনা। বরং মধ্যপন্থা অবলম্বন করে। আল্লাহ বলেন, "নিশ্চয়ই যারা অপব্যয় করে তারা শয়তানের ভাই এবং শয়তান তার রবের প্রতি খুবই অকৃতজ্ঞ। " [ আল-ইসরা: ২৭ ] ব্যয়ের ক্ষেত্রে অপচয় করতে নিষেধ করা হয়েছে। মধ্যপস্থা অবলম্বনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেমন অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, “এবং যখন তারা ব্যয় করে তখন অপব্যয় করেনা, কৃপনতাও করেনা, আর তাদের পন্থা হয় এতদুভয়ের মধ্যবর্তী” [সূরা আল-ফুরকান: ৬৭] [১৬]. যে আল্লাহর সাথে কাউকে ডাকে না। অন্য কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করে না। অর্থাৎ আল্লাহর সাথে শির্ক করে না। রহমানের বান্দা তারাই যারা কিছু চাওয়ার দো'আতেও কাউকে শরীক করে না, তেমনি প্রশংসা ও ইবাদাতের দো'আতেও কাউকে শরীক করে না। [১৭]. যে কখনো যিনার নিকটবর্তী হয় নি। এই পয়েন্ট টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন অনেকেই আছে যারা পূর্বে কোন হারাম সম্পর্কে ছিলেন কিন্তু বর্তমানে হারাম সম্পর্ক থেকে ফিরে এসেছেন। আল্লাহ তাদের উত্তম প্রতিদান দিক। কিন্তু এমন কাউকে আমি জীবনসঙ্গিনী হিসেবে চাই না। আমি এমন কাউকে চাই যিনি কখনোই কোন ধরনের হারাম সম্পর্কে সম্পৃক্ত হননি। অনুরোধ থাকলো কেউ অতীত গোপন করে আমাকে নক দিবেন না। কেননা অতীত প্রকাশিত হয়ে গেলে আমি কোনভাবেই সেটা মেনে নিবো না। [১৮]. যে মিথ্যা ও বাতিল মজলিশে যোগদান করে না এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না। আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কাবীরা গুনাহ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, উত্তরে তিনি বলেন, " আল্লাহর সাথে শরীক করা, পিতামাতার অবাধ্য হওয়া, কোন মানুষকে হত্যা করা আর মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করা।" [ বুখারী: ২৬৫৩ ] [১৯]. যে অসার কার্যকলাপের সম্মুখীন হলে আপন মর্যাদা রক্ষার্থে তা পরিহার করে চলে। [২০]. যাকে তার রব-এর আয়াতসমূহ স্মরণ করিয়ে দিলে তার উপর অন্ধ এবং বধিরের মত পড়ে থাকে না। বরং শ্রবণশক্তি ও অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষের ন্যায় এগুলো সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করে ও তদনুযায়ী আমল করে। [২১]. যে প্রার্থনা করে বলে, ‘হে আমাদের রব! আমাদের জন্য এমন সঙ্গী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন যারা হবে আমাদের জন্য চোখজুড়ানো। আর আপনি আমাদেরকে করুন মুত্তাকীদের জন্য অনুসরণযোগ্য।' [ আল-ফুরকান:৭৪ ] অর্থাৎ যে দোআয় সর্বদা পরিবার পরিজনকে ইমানদার ও আখিরাতমুখী করে দেওয়ার জন্য রবের কাছে প্রার্থনা করে। [২২]. দীনদার ও সতীসাধ্বী [২৩]. বিশ্বস্ত ও অনুগত [২৪]. যে নিজের সতীত্বের হেফাজত করা এবং স্বামীর (অনুপস্থিতিতে তার) ধন-সম্পদ হেফাজত করে [ ২৫]. চক্ষু শীতলকারীনি। এমন কেউ যাকে দেখলে অন্তরে প্রশান্তি আসে, ক্লান্তি দূর হয়, প্রাপ্তির আনন্দে চিত্ত উদ্বেলিত হয়। *** আমি জানি এই সকল গুণ কারো মধ্যে পূর্ণ মাত্রায় থাকা সম্ভব নয়। তবে আমি চাই যিনি আমার স্ত্রী হবেন তাঁর মধ্যে যেন এই প্রত্যেকটি গুণ থাকে, হোক না সেটা অল্প মাত্রায়। রব্বে কারীমের নিকট প্রার্থনা করি আমার স্ত্রী যেন আমার চেয়ে হাজার গুণে উত্তম হয়।
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? (Required) জেলা নিয়ে কোন শর্ত নেই।
অন্যান্য তথ্য
পেশা সম্পর্কিত তথ্য (Required) বেশ কয়েকটি টিউশন করাই। বর্তমানে জব প্রিপারেশন নিচ্ছি। ইচ্ছে আছে বিসিএস দিয়ে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করা। পাশাপাশি অনূর্ধ্ব ১০ম শ্রেণির সিলেবাসের উপর একটা কমপ্লিট গণিত বই লিখতেছি যেখানে ১৯৯৭ এবং ২০১৩ সালের সিলেবাসের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির সকল টপিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। উক্ত বই থেকে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির সকল শিক্ষার্থী উপকৃত হতে পারবে ইনশাআল্লাহ। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা বিসিএস জব, ব্যাংক জব, প্রাইমারী জব এবং অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার গণিত অংশের জন্য সহায়িকা বই হিসেবে পড়তে পারবে। এছাড়া বিসিএস, প্রাইমারী জব এবং অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার জন্য পৃথক পৃথক গণিত সহায়িকা বই লেখার প্ল্যান আছে। আমার যেহেতু পড়াইতে ভালো লাগে তাই যদি সরকারি জব হয় তাহলে জবের পাশাপাশি লেখালেখি এবং স্টুডেন্ট পড়ানোও চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।
কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসা
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? হ্যা
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? হ্যা
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? হ্যা
যোগাযোগ

এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।

অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ

সর্বমোট ভিউ: 587 ভিউস