male

বায়োডাটা নাম্বার

AH-107074

পাত্রের বায়োডাটা

অবিবাহিত

মৌলভীবাজার

সিলেট বিভাগ

মৌলভীবাজার

সিলেট বিভাগ

২০০১

শ্যামলা

৫'৪''

৫৬ কেজি

O+

প্রাইভেট জব

১২ হাজার টাকা।


ঠিকানা
স্থায়ী ঠিকানা কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট।
বর্তমান ঠিকানা কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট।
কোথায় বড় হয়েছেন? (Required) নিজ এলাকাতেই।
সাধারণ তথ্য
বায়োডাটার ধরন পাত্রের বায়োডাটা
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
বর্তমান ঠিকানা মৌলভীবাজার
বিভাগ সিলেট বিভাগ
স্থায়ী ঠিকানা মৌলভীবাজার
বিভাগ সিলেট বিভাগ
জন্মসন (আসল) ২০০১
গাত্রবর্ণ শ্যামলা
উচ্চতা ৫'৪''
ওজন ৫৬ কেজি
রক্তের গ্রুপ O+
পেশা প্রাইভেট জব
মাসিক আয় ১২ হাজার টাকা।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? (Required) জেনারেল
আপনি কি হাফেজ? না
দাওরায়ে হাদীস পাশ করেছেন? না
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? না
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাশ করেছেন? না
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম কালী প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীবাজার।
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা দশম শ্রেণী পর্যন্ত।
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। বি.দ্র: এই বায়োডাটাতে বিস্তারিতভাবে অনেক কিছুই লিখেছি। একটু ধৈর্য্য সহকারে বায়োডাটাটা পড়বেন। আর সম্পূর্ণ বায়োডাটা পড়ার আগে একটু কষ্ট করে নিচে গিয়ে "বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান" নামক ক্যাটাগরিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা লিখা আছে, আগে ওখানের লিখাটা দেখে আসার অনুরোধ রইলো।
IOM তথ্য
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? না
পারিবারিক তথ্য
পিতার পেশা চাকরিজীবী। ইট তৈরির ভাটাতে হেড ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। তবে বর্তমানে বেশ কিছুদিন ধরে বাড়িতে অবস্থান করছেন। আবারও খুব তাড়াতাড়ি কাজে জয়েন করবেন।
মাতার পেশা গৃহিনী
বোন কয়জন? ১জন
ভাই কয়জন? ১জন
বোনদের সম্পর্কে তথ্য বোন ছোট, অবিবাহিত। ১০ম শ্রেনীতে পড়ালেখা করছে।
ভাইদের সম্পর্কে তথ্য ভাই ছোট, অবিবাহিত।
চাচা মামাদের পেশা চাচা ৩ জন ১. বড় চাচা, কুয়েত প্রবাসী ছিলেন, এখন বাড়িতে খেতখামারী করেন। উনার এক ছেলে বর্তমানে কুয়েত প্রবাসী। ২. মেঝো চাচা, মুদি দোকান্দার। উনি বিবাহ করেন নি। ৩. সেজো চাচা, কাঠ ব্যবসায়ী। উনার এক ছেলে ওমান প্রবাসী, আরেক ছেলে কুয়েত প্রবাসী। ৪. আব্বু সবার ছোট। মামা ২ জন ১. বড় মামা, মারা গেছেন। ২. ছোট মামা, সৌদি প্রবাসী।
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা একটা পরিবারের দৈনন্দিন জীবনের যাবতীয় প্রয়োজন মিটিয়ে চলার মতো অবস্থা রয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। সমাজে আমাদের পরিবার অনেক সম্মানিত আলহামদুলিল্লাহ। বলে রাখা ভালো, দাদু যখন বেঁচে ছিলেন তখন এলাকাতে অনেক জায়গা-জমি ছিল উনার। তখনকার সময়ের গ্রাম সরকার ছিলেন উনি। আমি ছোট ছিলাম তখন। দাদু লোক দিয়ে কাজ করাতেন। উনার অধীনে অনেকেই কাজ করেতো। তখন এলাকায় একমাত্র ইট-সিমেন্টের গড়া পাকার বাড়ি দাদুরই ছিলো। আর দ্বিতীয় কারো পাকার বাড়ি ছিলো না। একসময় বাড়িটা বিক্রি করে, জায়গা জমিগুলাও বিক্রি করা শুরু করে দেন। উনি মারা গেছেন। এখন অবশ্য সামান্য কিছু জায়গা আছে। কিন্তু খেতখামার করার কোনো জায়গা জমি নেই। আর ছোট্ট এই জীবনটা কাটানোর মতো একটা ঘর আছে। বায়োডাটাতে যা যা লিখেছি সবকিছুর সত্যতা সরাসরি এখানে এসে যাচাই করে নিবেন। যদিও মধ্যবিত্ত হলেও খুব আরাম আয়েশে যে দিনকাল কাটাচ্ছি তা কিন্তু না, এখন বায়োডাটা পড়ে যদি পছন্দ হয়, অনুরোধ থাকবে বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে নিজে ভাববেন, পরিবারকে জানাবেন। তারপর যদি আপনার, আপনার পরিবারের মনে হয় যে গরিব ঘরে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন, অল্পতে সন্তুষ্ট থাকতে পারবেন তাহলে যোগাযোগ করতে পারেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ চাহেন তো অবস্থার পরিবর্তন হবে ইনশা আল্লাহ। কারণ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সূরা আল-বাকারাতে নিজে বলেছেন "আল্লাহ যাকে ইচ্ছে অপরিমিত রিযক দিয়ে থাকেন।" * যদি এখানে ধনসম্পদ খুঁজেন আপনি আপনার পরিবার নিরাশ হবেন। তবে যদি একজন ভালো মানুষ খুঁজেন, আপনি জিতবেন ইনশাআল্লাহ।
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) (Required) আলহামদুলিল্লাহ! আব্বু নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামায আদায় করেন। দ্বীনের ব্যাপারে অনেক জ্ঞান রয়েছে আব্বুর। প্রতিদিন ফজরের সময় আব্বু সবাইকে ঘুম থেকে জাগান নামাজের জন্য। কিন্তু সবকিছু মেনে চললেও নন-মাহরাম মেনে চলেন না। আবার আম্মু আর বোনকে সবসময় পর্দায় রাখতে চেষ্টা করেন। বাড়িতে পুরুষ মেহমান আসলে মহিলাদের সাথে দেখা করা, কথা বলা, এসব কখনই হয় না। তারা সবসময় পর্দায় থাকেন। আব্বু তাদেরকে কোথাও কোনো অনুষ্ঠানে পর্যন্ত যেতে দেন না। আমার ছোট যে ভাই সেও আব্বুর তাগিদে ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত নামায আদায় করে। আম্মু মোটামুটি ভাবে দ্বীন মেইনটেইন করে চলেন। মাঝে মাঝে নামাজ ছেড়ে দেন। ছোট বোনটাও আম্মুর মতো। তবে পরিবারে কেউই দ্বীন পালনে কোনো প্রকারের বাধাদায়ক নন। আরেকটা ইন্টারেস্টিং বিষয় জানিয়ে রাখি (যদিও এটা অফ টপিক) আমার ছোট বোন যে, ওর সাথে পরিপূর্ণ ভাবে শুদ্ধ করে কুরআন তিলাওয়াত করায় কেউ পিছনে ফেলতে পারবে বলে মনে হয় না। ওর বিভিন্ন সনদ আছে কুরআন শিক্ষার। আব্বু মাঝে মাঝে বিভিন্ন অসুবিধায় যখন বাড়িতে নামাজ পড়েন, বিশেষ করে ফজরের নামাজের ফরয ২ রাকাআতে যখন জোরে জোরে তিলাওয়াত করেন মাঝে মধ্যে উনার ভুল হয়ে যায়। তো, নামাজ শেষে বোনটা আব্বুকে শিখিয়ে দেয়, আব্বু তখন হাসেন।
ব্যক্তিগত তথ্য
সুন্নতি দাঁড়ি রয়েছে কি? (Required) জ্বি আলহামদুলিল্লাহ। ২০২৩ সালের শুরুর দিক থেকে। এই দাড়ি রাখা নিয়ে আমার অন্তর কতটুকু ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে একমাত্র আমার রবই জানেন।
পায়ের টাখনুর উপরে কাপড় পরেন?(Required) জ্বি আলহামদুলিল্লাহ। এ ব্যাপারে আমার যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? জ্বি আলহামদুলিল্লাহ।
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) ২০২১ সালের শুরুর দিক থেকে নামাযে নিয়মিত হই।
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? জ্বি আলহামদুলিল্লাহ পুরোপুরিভাবে মেনে চলি। শহরে মহিলারা যেভাবে চলাফেরা করে, গ্রাম এলাকায় তার চেয়ে অনেক গুণে কম। সেই হিসাবে নন-মাহরাম মেনে চলতে তেমন কষ্ট হয় না।
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? সালাত শুদ্ধ হওয়ার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু শুদ্ধ আছে আলহামদুলিল্লাহ। পুরোপুরি ভাবে শুদ্ধ করে শিখার চেষ্টা করছি।
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? আমি যেহেতু ছোট থেকেই জেনারেলে সামান্য পড়ালেখা করেছি তাই প্যান্ট, শার্ট, টি- শার্ট পরি। আর যখন বাড়িতে থাকি তখন নামাজ পড়তে যাতে সুবিধা হয় সেজন্য লুঙ্গি পরি। কিন্তু কখনো টাখনুর নিচে কিংবা হাঁটুর উপর কাপড় পরি না। এ ব্যাপারে আমার যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে।
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন (Required) কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত নই।
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? আলহামদুলিল্লাহ! দেখা হয় না, শুনাও হয় না।
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) জ্বি না, আমার জানামতে মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ নেই, আলহামদুলিল্লাহ। আর আল্লাহ তাআলাই (বিষয়টি সম্পর্কে) বেশি ভালো জানেন।
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) বর্তমানে কোনো ধরনের দ্বীনি মেহনতে যুক্ত নেই।
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) জ্বি না।
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) মাজার জিয়ারত করা যেতে পারে। মৃতের জন্য দোয়া করা যেতে পারে। কিন্তু সেখানে গিয়ে কোন মানত বা মৃত ব্যক্তির কাছে কোন কিছু চাওয়া যাবে না। এটা শিরক তথা আল্লাহ তাআলার সঙ্গে অংশীদার সাব্যস্ত করা।
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) যদিও পড়া হয়েছে অনেক বই। তার মধ্যে, ১. জীবনের পদে পদে প্রিয় নবীর প্রিয় সুন্নাত ২. যেসব হারামকে অনেকেই তুচ্ছ মনে করে ৩. পর্দা গাইডলাইন
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) শায়খ আহমাদুল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ, হারুন ইজহার হাফিযাহুল্লাহ, ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ।
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) এই সামান্য কিছু দ্বীনি জ্ঞান দিয়েও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'ল আমাকে অনেক সম্মানিত করেছেন। আমাকে দিয়ে তার দ্বীনের কিছু কাজ করিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। এখানে চাকরিতে আসার আগে যখন বাড়িতে ছিলাম, আমাদের মহল্লার সমস্ত যুবকদের মধ্য থেকে আমাকে মসজিদের অর্থ সম্পাদক (ক্যাশিয়ার) হিসেবে বাছাই করা হয়েছিলো। দীর্ঘদিন এই দায়িত্বে ছিলাম। এখানে (চাকরি) আসাতে দায়িত্বটা ছেড়ে দিতে হয়েছে। * রমজান মাসে মসজিদের ইমামের অনুপস্থিতিতে তারাবীহর নামাজও পড়ানোর সুযোগ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। * বিভিন্ন সময়ে মসজিদের ইমাম যখন থাকেন না, পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের ইমামতি তখন আমাকেই করতে দেয়া হয়।
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন সবচেয়ে কঠিন হচ্ছে নিজেকে নিয়ে কিছু বলা তবুও সংক্ষেপে কিছু বলি যাতে আমার সম্পর্কে একটু হলেও ধারণা নিতে পারেন। দুনিয়াকে ঘিরে আমার কোনো স্বপ্ন নেই। আমার যত স্বপ্ন সব আখিরাতকে ঘিরে। সবসময় চেষ্টা করি নম্র-ভদ্র ভাবে চলাফেরা করার। প্রতি মুহুর্তে খেয়াল রাখি যে, আমার দ্বারা যেন আমার আশেপাশের মানুষ গুলো কোনো ধরনের কষ্ট না পায়, আমার দ্বারা যেন কারো হক নষ্ট না হয়। এমনকি প্রতিদিন নামাজ শেষে মুনাজাতেও এই দোয়া করি "মাবুদ! এই দুনিয়াতে এমনভাবে চলার তৌফিক দান করো যেন আমার দ্বারা কেউ কখনও কোনো ধরণের কষ্ট না পায়, আমার দ্বারা যেন কখনও কারো হক নষ্ট না হয়।" অসহায়, গরিব, এতিম-অনাথ মানুষদের সাহায্য করার স্বপ্ন তো সবসময়ই দেখি। কিন্তু সামর্থ্য নাই। ইনশাআল্লাহ হয়তো আল্লাহ তাআলা আমাকে কখনও সেই সামর্থ্য দিবেন। সেই আশায় দিন গুণি। জীবনে একবার বায়তুল্লাহ সফর (হজ্ব) করার ইচ্ছে। কিন্তু এই ইচ্ছেটা মনে হয় ইচ্ছেই থেকে যাবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তো আমাদেরকে এখানে পাঠিয়েছেন কে কর্মে সর্বোত্তম সেটা দেখার জন্য। আর কর্ম তো তিনি দিয়েই পাঠিয়েছেন। তার ইবাদত করা। তাকে সন্তুষ্ট করা। তারপর মানুষের কাছে দ্বীনের দাওয়াত পৌছানো।' আর দ্বীনের পরিপূর্ণ বুঝ পাওয়ার পর থেকে আমার মাথায় সবসময় এটাই কাজ করে। মোটকথা আমার লক্ষ্য একটাই পরকালীন সফলতা। আমার বায়োডাটা দেখে আমাকে কখনও পরিপূর্ণ দ্বীনদার ভাবেন না। আমি পরিপূর্ণ দ্বীনদার নই। আর একজন মানুষ কখনই সবদিক দিয়ে পরিপূর্ণ হয় না। তবে আমি প্রতিদিনই নিজেকে সংশোধন করছি।
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন প্রযোজ্য নয়
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? হানাফি
নজরের হেফাজত করেন? (Required) হ্যা
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? নেক সন্তানাদি গড়ে তোলা ও নিজ পরিবারকে একটি আদর্শ মুসলিম পরিবার হিসেবে গড়ে তোলা। আর নেক সন্তান হবে এমন যে কিনা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে ভয় করবে। কুরআন-সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরবে। তার উপর আমল করবে এবং উম্মাহকে সঠিক পথ দেখাবে।
অবসর সময় কিভাবে কাটান? (Required) কতগুলা ইসলামি বই আছে ওগুলো পড়ি। যখন দেখি নামাজ শেষে কোনো কাজ নাই, নামাজ শেষে মসজিদে বসে কুরআন তিলাওয়াত করি। অবসর সময়ে দোকানপাটে বসে আড্ডা দেওয়া হয় না কখনই।
কত ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে আদায় করেন? (Required) পাঁচ ওয়াক্ত সালাতই জামাতের সাথে আদায় করি। বিশেষ কোনো অসুবিধে হলে বাড়িতে পড়ে নিতে হয়। যেমন, খুব বেশি অসুস্থতা।
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? (Required) যদিও বর্তমানে বাড়িতে নাই। যখন বাড়িতে ছিলাম, ফজরের নামাজ পড়ে এসে মোটর ছেড়ে যা যা খালি পানির বালতি, জগ, মগ, কলসি সবকিছু ভর্তি করে রাখি। আম্মুর কাজগুলোকে সহজ করে দেই। তারপর সকালে যদি দোকান/বাজার থেকে কিছু আনতে হয়, ওইগুলো নিয়ে আসি। বিকেলে আবার সবজি আনতে বাজারে যেতে হয়। আম্মুকে নিয়ে মাঝে মধ্যে ডাক্তারের কাছে যেতে হয়। কয়েকদিন পরে পরে বাড়ির আশে পাশের যত আগাছা আছে ওইগুলা পরিষ্কার করি। প্রতিদিন চাচা একজনের দোকানে বসতে হয়। উনি বিবাহ করেন নি। নিজেই রান্নাবান্না করেন। তাও মাঝেমধ্যে ভালো কিছু রান্না করলে করলে উনাকে এনে দেই। উনাকে প্রতিদিন টিউবওয়েল থেকে খাবার পানি, যখন বাড়িতে সালাত আদায় করেন, ওযুর পানি এনে দেই। আরও আনুষাঙ্গিক ছোটখাটো অনেক কাজই করি আলহামদুলিল্লাহ।
আপনি কি ধুমপান করেন? (Required) আলহামদুলিল্লাহ্ না, সকল প্রকার নেশা ও মাদক জাতীয় দ্রব্য থেকে আমি এবং আমার পরিবার মুক্ত।
বিয়ে সংক্রান্ত তথ্য
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? জ্বি রাজি , আব্বুর সাথে কথা বলেই এখানে বায়োডাটা লিখেছি।
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? বিয়ে করার একেকজনের একেক কারণ থেকে থাকে। কারো উপর সুন্নত, কারোর উপর ওয়াজিব। আমার মনে হয় আমার উপরে এই সময়ে বিয়ে করাটা ওয়াজিব হয়ে গিয়েছে। উপরে তো বলেছিই "ফিতনা আমার একেবারে সন্নিকটে! হাত বাড়ালেই আমি তার নাগাল পাই!" এই কঠিন সময়ে বিয়ে ছাড়া নিজের চরিত্রকে হেফাজত করার আর কোনো উপায় আমার চোখে পড়ছে না। বিয়ে সম্পর্কে আমার যতটুকু ধারণা: পারিবারিক সম্পর্ক বজায়, পরস্পর ভালোবাসা বিনিময়, আত্মসংযম ও হারাম কাজ থেকে নিজেকে হিফাযত করতে বিবাহ একটি উত্তম মাধ্যম ও উপায়। (হালালভাবে) বংশ পরিক্রমা ঠিক রেখে সন্তান জন্ম দেওয়া ও বংশ বিস্তারে বিবাহ একটি উত্তম পদ্ধতি। নানা রোগ-ব্যাধিমুক্ত ও নিরাপদে মানুষের যৌন চাহিদা মিটাতে ও মনোবাসনা পূরণ করতে বিবাহ একটি সুন্দরতম পদ্ধতি। বিবাহের মাধ্যমে সন্তান লাভের দ্বারা পিতৃত্ব ও মাতৃত্বের স্বাদ ভোগ করা যায়। বিবাহে রয়েছে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের জন্য শান্তির আবাস, প্রশান্তি, শালীনতা ও সচ্চরিত্র।
বিয়ের পর স্ত্রীর পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? বিয়ের পর এটা আমার প্রধান দায়িত্ব। এবং আব্বু নিজে বলেছেন: বাবা এমন মেয়ে খুঁজবা যেন পর্দাশীল হয়, নামাজী হয়। সবসময় ঘরের ভিতরে থাকার মনমানসিকতা যেন থাকে।
বিয়ের পর স্ত্রীকে পড়াশোনা করতে দিতে চান? এমন পড়াশোনা করতে দেয়া যাবে যা পরকালীন সফলতায় সাহায্য করবে। এবং তা যদি অনলাইনে হয় তাহলে সবচেয়ে ভালো। কারণ আমি চাই না আমার স্ত্রী বাড়ির বাহিরে বের হোক, আর মানুষ দেখুক। আমার স্ত্রীকে আমি হীরের মতো লুকিয়ে রাখতে চাই। তবুও বাকিটুকু সরাসরি আলোচনা সাপেক্ষে।
বিয়ের পর স্ত্রীকে চাকরী করতে দিতে চান? নারীর নিজের ও নিজের সৌন্দর্যকে পরপুরুষ থেকে আড়াল রাখার সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায় হল গৃহে অবস্থান। কেননা গৃহের চার দেয়াল এবং পর পুরুষের সামনে না যাওয়া ও তাদের সঙ্গে উঠাবসা-চলাফেরা থেকে বিরত থাকাই নারীর জন্য বড় পর্দা। আর এজন্যই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা নারীকে আদেশ করেছেন গৃহের অভ্যন্তরে অবস্থানের। সূরা আহযাবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেছেন, আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং প্রাচীন যুগের মতো নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না। সুতরাং গৃহে অবস্থানই হল নারীর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং এটিই তার প্রধান কর্মক্ষেত্র। আর আমার মনে হয় না আমি বেঁচে থাকতে আমার স্ত্রীকে কোনো কাজের (চাকরি) জন্য বাইরে যেতে হবে।
বিয়ের পর স্ত্রীকে কোথায় নিয়ে থাকবেন? বছর খানেক পরে আমার সাথে আমার বাড়িতে, আম্মু-আব্বু সহ এক পরিবারে থাকবো ইনশা আল্লাহ।
বিয়ে উপলক্ষে আপনি বা আপনার পরিবার পাত্রীপক্ষের কাছে যৌতুক বা উপহার বা অর্থ আশা করবেন কি না? একজন বাবা তার আদরের মেয়েটাকে দিয়ে দিবেন! উপহার হিসেবে এরচেয়ে বেশি কিছু আর আছে বলে আমার মনে হয় না। এ ব্যাপারে আমি আব্বুর সাথেও কথা বলেছি অনেকদিন আগে। আব্বু নিজে বলেছেন তিনি কখনই পাত্রীপক্ষের কাছ থেকে কোনোরকম উপহার নামক যৌতুক নেয়ার জন্য আমাকে বা পাত্রীপক্ষকে কখনও কোনো চাপ দিবেন না। আছে না! অনেক বাবা-মা ছেলেকে চাপ দেয় যৌতুকের জন্য। সে জায়গা থেকে আমি মুক্ত আলহামদুলিল্লাহ। আমি তো বলেছিই আব্বুর যথেষ্ট পরিমান দ্বীনি জ্ঞান রয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? আর্থিক অবস্থা ও গায়ের রং
বিয়ের পর স্ত্রীর ভরনপোষন চালাতে পারবেন? হ্যা
আপনাার স্ত্রীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? স্ত্রী হচ্ছে দুনিয়াতে প্রাপ্ত সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। সেই সম্পদকে আগলিয়ে রাখা, নিরাপত্তা দেয়া, দ্বীন পালনের হালাল পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া এবং তার সম্মান রক্ষা করা একজন স্বামীর প্রধান দায়িত্ব। এই জ্ঞান গুলো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাকে দান করেছেন আলহামদুলিল্লাহ।
আপনার আহলিয়ার পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? হ্যা
আপনি বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় থাকবেন? যৌথ ফ্যামিলিতে
যেমন জীবনসঙ্গী আশা করেন
বয়স (Required) ১৮-২৩ (একটু কমবেশি হলেও সমস্যা নেই, যোগাযোগ করতে পারেন।)
গাত্রবর্ণ আমি গাত্রবর্ণ (কালো-সাদা) দিয়ে কাউকে মাপি না। আল্লাহর সৃষ্টি আমরা সবাই-ই। কিন্তু সবাই মানুষ হতে পারি না। মানুষ হতে পারাটাই বেশি প্রয়োজন। যদিও এখন সবাই সাদা চামড়া খুঁজে। কিন্তু আমি সাদা চামড়া খুঁজি না। খুঁজি একজন দ্বীনদার স্ত্রী, যে আমাকে বুঝবে। আমার প্রতি কেয়ারিং হবে। যার সাথে কথা বললে আমার হৃদয় প্রশান্তি অনুভব করবে।
নূন্যতম উচ্চতা ৪'৮"-৫'৩" (এখানে যতটুকু উচ্চতা লিখেছি তার চেয়ে একটু খাটো বা লম্বা কেউ যদি যোগাযোগ করতে চান অবশ্যই যোগাযোগ করতে পারবেন।
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা আমার কাছে মনে হয় শিক্ষা দুই ধরনের হয়। এক দুনিয়াবি শিক্ষা, দুই পরকালীন শিক্ষা। দুনিয়াবি শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে আমার কাছে পরকালীন শিক্ষার মূল্য অনেক বেশি। যদিও এখানে চলতে হলে দুনিয়াবী শিক্ষার প্রয়োজন আছে। কিন্তু আমি ওটাকে প্রাধান্য দিবো। একজন স্ত্রী যদি নিজের স্বামীর জায়গা কোথায় থাকা উচিত তা বুঝে। তার সংসারটাকে নিজের করে নেয়। নিজের সন্তানকে ছোটবেলা থেকে দ্বীনি, পারিবারিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার মতো যথেষ্ট জ্ঞান রাখে, আমার কাছে এই শিক্ষাগুলোই যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ।
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত।
জীবনসঙ্গীর পর্দা সম্পর্কে যেমনটা চান- (Required) এ সম্পর্কে নিচে লিখছি ইনশা আল্লাহ। এখানে সংক্ষেপে শুধু এটুকু বলি, এমন কাউকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে কখনই চাই না, যিনি বোরকা পড়ে নিজেকে কতটুকু সুন্দর লাগছে দেখেন।
পেশা (Required) কোনো পেশা থাকা আবশ্যক মনে করছি না।
অর্থনৈতিক অবস্থা দুনিয়াতে খেয়ে-বেঁচে চলার মতো অবস্থা হলেই চলবে ইনশা আল্লাহ। মূলত ভালো অর্থনৈতিক অবস্থার চেয়ে আমি দ্বীনদারিত্বটাকে প্রাধান্য দিচ্ছি ইনশা আল্লাহ। কারণ এটা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ।
পারিবারিক অবস্থা (Required) সমাজে সম্মানিত হলেই যথেষ্ট হবে ইনশা আল্লাহ।
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন কিছু বিশেষ কথা যেগুলো না বললেই নয়: বোরখা, হিজাব, নিকাব, হাত, পা মোজা তো এখনকার প্রায় অধিকাংশ মেয়েরাই পরে। তাই বলে কি সবাই দ্বীনদার? কখনই না। এটা পরা তো এখনকার যুগের স্টাইলে পরিণত হইছে। এখনকার যুগে কয়জন মহিলা রবের হুকুম পালন করার জন্য ননমাহরাম পুরুষদের থেকে নিজের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঢেকে রাখতে সত্যিকার অর্থে নিজেকে বোরখা, হিজাব, নিকাব, হাত-পা মোজার মাধ্যমে পর্দায় আবৃত করে রাখেন? যদি পরিসংখ্যানে যাওয়া যায়, হয়তো হাজারে ৪-৫ জন পাওয়া যেতে পারে। বা একটু কম-বেশি হতে পারে। সংক্ষেপে যদি বলি, কেউ বোরকা পরে নিজেকে ঢেকে রাখে রবের হুকুম সেজন্য, রব যেভাবে নিজেকে ঢেকে রাখতে বলেছেন ঠিক সেভাবেই নিজেকে ঢেকে রাখে। আবার কেউ কেউ এমন আকর্ষনীয় বোরখা পরে চলাফেরা করে যেন ননমাহরাম পুরুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়, বা কেউ কেউ বোরখা পরে মা, বাবার চাপে, মূলত তারা পর্দা করতে ইচ্ছুক না। আবার অনেক মহিলাই বাইরের সবার সাথে ভালোই পর্দা করে কিন্তু দুলাভাই, আপন চাচাতো ভাই, মামাতো ভাই, ফুফাতো ভাই এদের সাথে ভালোই হাসি-তামাশা করে, মিষ্টি সুরে কথা বলেন। অথচ এদের সাথেও পর্দা করা ফরয। জানা থাকা স্বত্তেও অনেক মহিলা এইসব ভাইদের সাথে পর্দা করেন না। এখন আপনি যদি সেই মহিলা হন, যিনি বোরখা, হিজাব, নিকাব পরেন নিজেকে ঢেকে রাখার জন্য, রবের হুকুম পালন করার জন্য, মোটকথা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে যদি 'রবের বিধান' গুলোকে ফার্স্ট প্রায়োরিটি দিয়ে থাকেন তাহলে ইনশাআল্লাহ বায়োডাটা পড়ে যদি ভালো লাগে যোগাযোগ করতে পারেন। আর আপনি যদি এমন মহিলা হন, যিনি স্টাইলিশ বোরখা, হিজাব, নিকাব পরেন মূলত পুরুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য, অথবা পর্দা করেন পরিবারের সদস্যদের চাপে, মূলত আপনার পর্দা করতে ভালো লাগে না এইরকম হইলে দয়া করে যোগাযোগ করবেন না। আমার ভিতরে প্রচন্ড রকম (গাইরতবোধ) আত্মসম্মানবোধ কাজ করে। আমার গাইরতবোধের পরিমান কতটুকু তা আমি লিখে বুঝাতে পারবো না। সেজন্য আমি এমন কাউকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে চাই যিনি সমাজ কি বলবে না বলবে এসব না দেখে, প্রতি মুহুর্তে রবের হুকুম কি সেটা দেখবেন। রবের হুকুমের বাইরে এক পা ফেলবেন না। আর এ ব্যাপারে আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সাপোর্ট থাকবে ইনশাআল্লাহ। * এখনকার যুগের হাতমোজা, পা মোজাওয়ালা কাউকে চাই না। হাতমোজা, পা মোজা এখন সবাই-ই পড়ে। প্রকৃত দ্বীনদার একজন স্ত্রী চাই। যাকে দেখলে আমার অন্তর প্রশান্তি লাভ করবে। যে হবে আমার চক্ষুশীতলকারী। যার কাছ থেকে বেড়ে উঠবে একজন নেক সন্তান, যে সন্তান এই উম্মাহকে সঠিক পথ দেখাবে। এখন আসি সালাতের (নামাজ) ব্যাপারে। সালাতের ব্যাপারে প্রথমেই বলা উচিত ছিলো। কিন্তু ভালো করে গুছিয়ে লিখতে গিয়ে সালাতের কথাটা পরেই লিখতে হলো। একজন সুস্থ মস্তিষ্ক, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের তো সালাত কখনই মাফ নাই। তবে মহিলাদেরকে আল্লাহ তাআলা কিছু সময় সালাত মাফ করে দিয়েছেন। সেই সময় ব্যতিত একজন মহিলার সালাত কখনই মাফ নাই। ইমানের পরেই তো সালাতের স্থান। তো, অনেক মহিলারই পর্দা ঠিক-ঠাক থাকলেও সালাতের ব্যাপারে অলস। বিশেষ করে ফজরের সালাত তো অনেকেই মিস করে। আবার অনেকে মা-বাবার চাপে সালাত আদায় করে। আমি কখনই সালাতের ব্যাপারে অলস, সালাতকে বোঝা মনে করে এমন কাউকে আমার জীবনসঙ্গিনী হিসেবে চাইবো না। কথাটা একটু কঠিন ভাবে বলে ফেললাম হয়তো। কিন্তু কিছু করার নেই, কারন রবের হুকুম বলে কথা। এখানে পিছুপা হলে জান্নাতে একসাথে থাকবো কি করে? আর এই সালাত, পর্দা নিয়ে আমার অধিনস্তদের ব্যাপারে আমাকে যে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করা হবে! সেজন্যই বললাম আমি এমন কাউকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে চাই যিনি জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে 'রবের বিধানগুলো' গুলোকে ফার্স্ট প্রায়োরিটি দিয়ে থাকবেন। সাওমের (রোযা) ব্যাপারে তো মনে হয় না বেশি কিছু বলা লাগবে। কারণ একজন প্র্যাক্টিসিং মুসলিমাহ তো কখনই রমযান মাসের সাওম ছাড়বেন না। একজন প্রকৃত দ্বীনদার মহিলা তো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার ফরয বিধানকে কখনই অবহেলা করবেন না। সবার আগে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার ফরয বিধানগুলোকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকবেন। আর অবশ্যই একজন দ্বীনদার স্ত্রী তার স্বামীর হকের ব্যাপারে প্রতি মুহুর্তে খেয়াল রাখবেন। তারমধ্যে: স্বামীর আনুগত্য। ভাল ও সৎ কাজ এবং আল্লাহর বিধান বিরোধী নয় এমন সকল বিষয়ে স্বামীর আনুগত্য করা। স্বামী-আলয়ে অবস্থান। নেহায়েত প্রয়োজন ব্যতীত ও অনুমতি ছাড়া স্বামীর বাড়ি থেকে বের হওয়া অনুচিত। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তো কুরআনে বলেই দিয়েছেন: "তোমরা স্ব স্ব গৃহে অবস্থান কর, প্রাচীন যুগের সৌন্দর্য প্রদর্শনের মত নিজেদের কে প্রদর্শন করে বেড়িয়ো না।" নিজের ঘর এবং সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখা। স্বামীর সম্পদ সংরক্ষণ করা। স্বামীর সাধ্যের অতীত এমন কোন আবদার কিংবা প্রয়োজন পেশ না করা। নিজের সতীত্ব ও সম্মান রক্ষা করা। স্বামীর অপছন্দনীয় এমন কাউকে তার ঘরে প্রবেশের অনুমতি না দেয়া। হোক না সে নিকট আত্মীয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা চাইবো সেটা হলো যেকোনো বিপদে-আপদে ধৈর্য্য ধারণ করা। আর এই যে এতসব চাওয়া-পাওয়ার কথা বললাম, এইসব বলার কারন কি জানেন? যতকষ্টই হোক, রবের পছন্দে, রবের ইচ্ছানুযায়ী দুনিয়ার জীবনটা দুজন মিলে পারস্পরিক সহযোগিতায় যেন কাটিয়ে দিতে পারি। পরিশেষে যেন রবের বিশাল জান্নাতে একটু জায়গা করে নিতে পারি।
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? (Required) আমি দ্বীনদারিত্ব যেখানে পাবো সেখানেই দৌড়াবো ইনশা আল্লাহ। হোক বাংলাদেশের যেকোনো জেলা। আব্বুকে এ ব্যাপারে বলেও রেখেছি।
অন্যান্য তথ্য
পেশা সম্পর্কিত তথ্য (Required) বর্তমানে একটা মোদি দোকানের দায়িত্বে আছি। বেতন খুব বেশি একটা পাই না। তবে অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। আর বছর খানিকের ভিতরে আমাদের বাজারের নিজে একটা দোকান দেওয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছি। আব্বুকেও বলে রেখেছি। ইনশাআল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি নিজে কিছু একটা করবো।
বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কিছু কথা বলা জরুরী বলে মনে করছি। তার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাটা বলে নেই। কথাটা আরও নিচে লিখতে পারতাম। কিন্তু উপরে লিখে দেওয়াটা প্রয়োজন মনে করছি। কারণ উপরে বায়োডাটার অনেকটা পড়ে ফেলার পরে নিচে গিয়ে যদি কথাটা পড়েন হয়তো একধরনের ধোঁকা হয়ে যেতে পারে। * এই বায়োডাটা লেখা পর্যন্ত আমার বয়স ২৩ বছর ৫ মাস ২৪ দিন। মৃত্যুর কথা তো আমরা কেউই জানি না! কখন জানি দরজায় এসে কড়া নাড়ে! তাও হিসেব করে দেখলাম, যারা বুড়ো হয়ে মৃত্যুবরণ করে তারা গড়ে ৬০-৭০ বছর বাঁচে। শেষ নবীর উম্মত আমরা! তিনিই বা কতদিন বেঁচে ছিলেন! চান্দ্রবর্ষ হিসাবে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। রাসূল সল্লাল্লাহি আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে যতটুকু জানতে পেরেছি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লাই সবচেয়ে বেশি জ্ঞান রাখেন। তিনিই প্রথম বিয়ে করেন ২৫ বছর বয়সে। যদিও তখন মোবাইল, ইন্টারনেটের যুগ ছিলো না। তাও তখন পাপাচার কম ছিলো না। আর এখন মোবাইল, ইন্টারনেট ছাড়া চলাও মুশকিল হয়ে পড়েছে। তারপর রাস্তাঘাটে বেপর্দা মেয়েরা যেভাবে নিজের ইচ্ছা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছে! আমি যেদিকেই তাকাই সেদিকেই দেখি শুধু ফিতনা আর ফিতনা। ফিতনা আমার একেবারে সন্নিকটে! হাত বাড়ালেই আমি তার নাগাল পাই! ফিতনার এই মায়াজাল ভেদ করে নিজের চরিত্রকে শুদ্ধ রাখা আমার জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। সেজন্য এই মুহুর্তে বিবাহ করাটা খুবই প্রয়োজন মনে করলাম। যদিও এখন একটা ছোটখাটো চাকরি করি। তা দিয়ে বিয়ে করে সংসার করাটা আমার সাধ্যের বাহিরে। তাও এই ফিতনা থেকে বাঁচতে আব্বুকে সাহস করে বিয়ের কথাটা বলে ফেলি। কথার একপর্যায়ে বলি যে, আমাকে যদি কোনো ফিতনা আঁকড়ে ধরে ফেলে তার জন্যে কিন্তু তোমরা গুনাহগার হবে। আব্বু রাজি হলেন। আব্বুকে বললাম এখন শুধু বিয়েটা করিয়ে দাও। যদি ওইরকম কোনো মেয়ে খুঁজে পাও যে, মেয়ে মেয়ের বাড়িতে থাকবে। পড়ালেখা করছে, বা বর্তমানে না-ই করুক। কিন্তু তার মা-বাবা চাচ্ছে তার মেয়ে বর্তমানে যতদিন বাড়িতে আছে গুনাহমুক্ত থাকুক। ফিতনা থেকে বাঁচুক। কথার ফাকে কয়েকটা ম্যাট্রিমনি ওয়েবসাইটের কথা বললাম। আব্বু এ ব্যাপারেও রাজি হলেন। তাই এখানে বায়োডাটা লিখা। আবারও বলি, বর্তমানে শুধু গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য, নিজের চরিত্রকে হেফাজত করার জন্য বিয়েটা করতে চাচ্ছি। আর এমন একটা পরিবার চাচ্ছি যেখানে মেয়ে নিজের বাড়িতে থাকবে বছর খানেক। তারপর নিজে যখন একটা ব্যবসা দাড় করাব তখনই নিজের বাড়িতে নিয়ে আসবো ইনশা আল্লাহ। যদি কোনো হৃদয়বান মা-বাবার চোখে এই বায়োডাটাটা পড়ে, যিনি চান তার মেয়েটা ফিতনা থেকে বাঁচুক, গুনাহমুক্ত থাকুক। বা আপনি নিজেও যদি বায়োডাটাটা দেখে থাকেন আর যদি বিশ্বাস থাকে আপনার আব্বু-আম্মু এই বায়োডাটা দেখে রাজি হবেন, তাহলে আপনার আব্বু-আম্মুকে বায়োডাটাটা পড়ে শুনাবেন বা পড়তে দিবেন। তারপর যদি মনে হয় এই বায়োডাটার মানুষটার সাথে যোগাযোগ করা উচিত! তাহলে যোগাযোগ করবেন। আরজি রইলো ফোন নাম্বারে কল দেওয়ার আগে ইমেইলে যোগাযোগ করার জন্য। একটা ছেলেকে গুনাহ করা থেকে বাঁচতে সাহায্য করুন। যার হাতের নাগালের মধ্যেই সবকিছু, তাও সে গুনাহ করতে চায় না। সে হালাল ভাবে, রবের সন্তুষ্টিতে জীবনটা কাটিয়ে দিতে চায়। হয়তো এই সাহায্যটা করার কারনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সেই কঠিন দিনে আপনার জন্য ক্ষমার ভান্ডার নিয়ে হাজির হতে পারেন। এখন চলুন শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কিছু কথা বলি। আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত দেখে অনেকেই হয়তো আমার বায়োডাটা এড়িয়ে যাবেন। তাই এড়িয়ে যাওয়ার আগে অনুরোধ থাকলো অন্তত কয়েকটা লাইন পড়ে দেখেন আমি কি বলতে চাচ্ছি! আসলে ১০ম শ্রেণিতে উঠার পরে, অনাকাঙ্ক্ষিত একটা কারণে আর লেখাপড়া করা হয় নি। তবে এইটুকু বলতে পারি যতটুকু পড়ালেখা করেছি তা এই ছোট্ট দুনিয়াবি জীবনের জন্য যথেষ্ট আলহামদুলিল্লাহ। তবে পরকালীন সফলতার জন্য যতটুকু দ্বীনি ইলমের প্রয়োজন ততটুকু ইলম অর্জন করতে না পারলেও প্রতিদিন কিছুটা করে হলেও শিখে নিজেকে সংশোধন করে যাচ্ছি। আমি অধম এই পর্যন্ত যতটুক দ্বীনি ইলম অর্জন করতে পেরেছি, তা দিয়েই উপলব্ধি করতে পেরেছি যে, ইমান আনার পরেই প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন মানুষের উপর সবচেয়ে বড় ফরয ইবাদত হলো পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাত সময়মত আদায় করা এবং পুরুষদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামাতের সহিত সালাত আদায় করা অত্যন্ত জরুরী। জামাতে সালাত আদায় করার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতটা কতটা গুরুত্ব দিতেন সেটাও জেনেছি আলহামদুলিল্লাহ। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মনে চাইতো যারা জামাতে সালাত আদায় করে না তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিতে। তারপর রমজান মাসে সিয়াম পালন করা, যাকাত যখন ফরয হয় যাকাত দেওয়া, হজ্জ ফরয হলে হজ্জ আদায় করা। এই সামান্যটুকু দ্বীনি জ্ঞান অর্জনের মধ্য দিয়ে আরও উপলব্ধি করতে পেরেছি; একজন মুসলিম পুরুষের সুন্নাতি দাড়ি থাকা, টাখনুর উপরে কাপড় পরা, নিজের নজরের, লজ্জাস্থানের হেফাজত করা এবং নিজের মাহরাম মা, স্ত্রী, কন্যা, বোনের পর্দার ব্যাপারে প্রচন্ড গাইরতবোধ থাকা কতটা আবশ্যক। আপনি উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করার জন্য আপনার জীবনের অর্ধেক সময়টাই কাটিয়ে দিলেন আপনার পড়ালেখার পেছনে। অথচ আপনি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার বিধান গুলোই জানলেন না। কোনগুলো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা হালাল করেছেন আর কোনগুলো হারাম করেছেন, বা জানলেও ঠিকমতো সেগুলো পালন করেন না। তাহলে আপনি কিসের জন্য পড়ালেখা করলেন? এই পড়ালেখা কি আপনার কোনো কাজে আসলো? মূলত যে ব্যক্তি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার বিধানগুলো মেনে চলে, তার পছন্দে পুরো জীবনটা কাটিয়ে দেয়, সেই তো প্রকৃত জ্ঞানী। আমি এখানে নিজেকে জ্ঞানী বলছি না, বা পড়ালেখা যে বেশি করা যাবে না তাও বলছি না। শুধু এইটুকু বুঝাতে চেষ্টা করেছি যে, আমার এই সামান্য পড়ালেখা দিয়েই যে জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছি তা দিয়েই দুনিয়ার জীবনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার বিধানগুলো মেনে, নবীজী (সাঃ) এর সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার মতো যথেষ্ট ধর্মীয় জ্ঞানবোধ আছে আলহামদুলিল্লাহ। আমি আমার রবের দেওয়া নিয়ামতের কতই শুকরিয়া আদায় করবো! আমার রবের দেওয়া অসংখ্য নিয়ামতের ভিড়ে এই যে দ্বীনি জ্ঞান দিয়ে আমাকে যে আগলে রেখেছেন এটা আমার জন্য যে কতবড় একটা নিয়ামত একমাত্র আমিই জানি। আমি যখন আমার আশেপাশের মানুষদের দিকে তাকাই, তাদের দ্বীন পালনের বেহাল অবস্থা দেখি, তখন নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হয়। কারণ আমার রব আমাকে ভালবাসেন বলেই তার কাছাকাছি থাকার সুযোগটা দিয়েছেন। যা ঐসব মানুষদের দেন নি। লেখাটা অনেক লম্বা হয়ে গেছে, আফওয়ান। সবশেষে একটা অনুরোধ রইলো, আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে আমাকে বিচার করবেন না। * একজন মানুষ কখনই সবদিক দিয়ে পরিপূর্ণ হয় না। আমি যতটুকু বলেছি হয়তো আপনার মাঝে এতটুকু নাও থাকতে পারে। বা আমার মাঝেও হয়তো আপনার চাওয়ামতো অনেক গুণ-ই নাও থাকতে পারে। বায়োডাটা পড়ে যদি দেখেন যা যা লিখেছি এখান থেকে আপনার মাঝে কিছু একটার মিলছে না, কমতি আছে, বা আমার মাঝে আপনার চাওয়ামতো হচ্ছে না, কিছু একটার কমতি আছে তাই বলে পিছুপা হবেন না। আমাকে বলবেন, বুঝাবেন, আমি নিজেকে সংশোধন করে নিবো। অহংকারের ছিটেফোঁটাও আমার মধ্যে নেই আলহামদুলিল্লাহ। আমি নিজেই নিজেকে প্রতিদিনই সংশোধন করছি। যদি বায়োডাটার অধিকাংশই পছন্দ হয় আপনার অভিভাবকদের দিয়ে যোগাযোগ করবেন। * ফোন কলে যোগাযোগ করার আগে ই-মেইলে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।
কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসা
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? হ্যা
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? হ্যা
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? হ্যা
যোগাযোগ

এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।

অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ

সর্বমোট ভিউ: 2206 ভিউস