female

বায়োডাটা নাম্বার

AH-107543

পাত্রীর বায়োডাটা

অবিবাহিত

বরিশাল

বরিশাল বিভাগ

পিরোজপুর

বরিশাল বিভাগ

২০০২

ফর্সা

৪'১১''

৩৬ কেজি

A+

ছাত্র/ছাত্রী


ঠিকানা
স্থায়ী ঠিকানা নেছারাবাদ, পিরোজপুর, বরিশাল, বাংলাদেশ।
বর্তমান ঠিকানা বরিশাল সদর,বরিশাল, বরিশাল, বাংলাদেশ।
কোথায় বড় হয়েছেন? (Required) নেছারাবাদে এবং বরিশাল সদরে
সাধারণ তথ্য
বায়োডাটার ধরন পাত্রীর বায়োডাটা
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
বর্তমান ঠিকানা বরিশাল
বিভাগ বরিশাল বিভাগ
স্থায়ী ঠিকানা পিরোজপুর
বিভাগ বরিশাল বিভাগ
জন্মসন (আসল) ২০০২
গাত্রবর্ণ ফর্সা
উচ্চতা ৪'১১''
ওজন ৩৬ কেজি
রক্তের গ্রুপ A+
পেশা ছাত্র/ছাত্রী
শিক্ষাগত যোগ্যতা
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? (Required) জেনারেল
আপনি কি হাফেজ? না
দাওরায়ে হাদীস পাশ করেছেন? না
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? হ্যাঁ
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান ফলাফল Golden A+
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান বিভাগ বিজ্ঞান বিভাগ
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাসের সন ২০১৮
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাশ করেছেন? হ্যাঁ
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমানের বিভাগ বিজ্ঞান বিভাগ
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান ফলাফল Golden A+
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাসের সন ২০২০
স্নাতক / স্নাতক (সম্মান) / সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক(সম্মান)
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ৩য় বর্ষ (৩য় বর্ষের সমাপনী পরীক্ষা আসন্ন)।
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা IOM এ Alim Preparatory Course এ ৩য় সেমিস্টারে অধ্যয়নরত । আলিম কোর্সে ভর্তি হওয়ার পূর্বে IOM এর Basic Tazweed Course সম্পন্ন করেছি এবং Samaa't Course(ফ্রি ফরজে আইন কোর্স) করেছি, Aslaf Academy এর Pre-marraiage preparation course করেছি।আলহামদুলিল্লাহ।
IOM তথ্য
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? হ্যা
আপনার কোর্সের নাম ও ব্যাচ নম্বর: Alim Preparatory Course (Bachelor of Dawah and Islamic Studies :Batch-2411)(3rd semistar running )
পারিবারিক তথ্য
পিতার পেশা এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান অফিস সহকারী পদে কর্মরত।
মাতার পেশা গৃহিনী
বোন কয়জন? বোন নেই
ভাই কয়জন? ১জন
ভাইদের সম্পর্কে তথ্য বয়স ২৯।অবিবাহিত। শিক্ষাগত যোগ্যতা : ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, বরিশাল। পেশা:সাইট ইঞ্জিনিয়ার। কর্মস্থল: Abdullah Holdings Ltd. Mohammadpur,Dhaka.
চাচা মামাদের পেশা চাচা: ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী(বই+ অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী) মামা: সিনিয়র সহকারী শিক্ষক (এমপিওভুক্ত দাখিল মাদ্রাসা)।
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা নিম্ন মধ্যবিত্ত। নিজস্ব জমিতে বসতবাড়ি (মাটি,কাঠ,টিনের),এছাড়াও অল্প কিছু জমি আছে। তবে,আল্লাহ তাওফিক দিলে এবছরেই টিন শেড বিল্ডিং এর কাজ শুরু করা হবে ,ইন শা আল্লাহ। আমাদের পারিবারিক অর্থনীতি মূলত আব্বু এবং ভাইয়ার চাকুরির ওপর নির্ভরশীল। আলহামদুলিল্লাহ, উপার্জন স্বল্প হলেও দু'জনেই সাধ্যানুযায়ী হালাল উপার্জন করছেন।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা নিজ অনুগ্রহে আমাদের যতটুক সামর্থ্য দিয়েছেন এবং যে হালতে রেখেছেন ,শুকরিয়া,আলহামদুলিল্লাহ। পরিবার আর্থিকভাবে তেমন স্বচ্ছল না হলেও সামাজিকভাবে সম্মানিত ,আলহামদুলিল্লাহ।
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) (Required) পারিবারের দ্বীনি বুঝ মধ্যম পর্যায়ের।। আম্মু-আব্বু ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, রমজানের রোজা রাখেন,দ্বীনের অন্যান্য বিধিনিষেধ মোটামুটি মেনে চলার চেষ্টা করেন,আলহামদুলিল্লাহ। তবে পরিবারের শরয়ী পর্দার বুঝ কম।পরিবারের মেয়েরা বাহিরের পরিবেশে বোরকা,নিকাব করেন তবে সেভাবে মাহরাম,নন- মাহরাম মেনে চলেন না । তবে সবাই শালীনতা বজায় রেখে চলেন এবং পর্দা পালনে আগ্রহী। শুরু দিকে আমাকে পরিপূর্ণ পর্দা পালনে অনেক স্ট্রাগল করতে হয়েছে, তবে এখন পরিবারের সকলে মোটামুটি সাপোর্টিভ, তাই কিছুটা সহজ হয়েছে,আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের পরিবারের প্রায় সকলেই যথেষ্ট মার্জিত, সৎ, সদাচারী, ভদ্র, সভ্য, বিনয়ী,আন্তরিক এবং অতিথিপরায়ন। আলহামদুলিল্লাহ।
ব্যক্তিগত তথ্য
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? জ্বি,আলহামদুলিল্লাহ।
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) আলহামদুলিল্লাহ,৪ বছরের বেশি সময় যাবত নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করি । ছোটবেলা থেকেই নামাজ পড়ি তবে নিয়মিত ছিলাম না ।আল্লাহুম্মাগফিরলি।
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? জ্বি,আলহামদুলিল্লাহ। অফলাইনে(ঘরে-বাহিরে উভয় জায়গাতেই),অনলাইনে সর্বত্রই মাহরাম,নন-মাহরাম মেনে চলি। দৃষ্টির হেফাজত করি এবং কন্ঠের পর্দা রক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? জ্বি,আলহামদুলিল্লাহ। (অধিকতর শুদ্ধ করার প্রচেষ্টারত,নাযেরা চলমান)।
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? কালো বোরকা, হিজাব,নিকাব,হাত মোজা, পা মোজা। বেশিরভাগ সময়ই চোখও ঢেকে রাখার চেষ্টা করি ।আলহামদুলিল্লাহ।
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন (Required) ইসলামি খিলাফাহ
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? না,আলহামদুলিল্লাহ।
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) না,আলহামদুলিল্লাহ। ( ডাস্ট এবং কোল্ড এলার্জির কিছুটা সমস্যা আছে)
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) সেভাবে নেই।তবে সাধ্যানুযায়ী পরিবার,আত্নীয়স্বজন এবং বোনদের মাঝে অফলাইনে - অনলাইনে ইসলামের দাওয়াহ পৌঁছানোর চেষ্টা করি,হলের বোনদের নিয়ে দ্বীনি মজলিসে বসা হয়। একান্ত ইচ্ছে আছে উম্মাহের কল্যাণে কাজ করার এবং দ্বীনের দা'ঈ হওয়ার। ইন শা আল্লাহ।।
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) না
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) বুজুর্গ ব্যক্তিদের কবর যিয়ারত করা যায়। কিন্তু মাজারে সিজদা দেয়া, মানত করা এবং কোনো কিছু চাওয়া শিরকে আকবর। ।
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) তাসাওউফ ও আত্নশুদ্ধি, রিয়াদুস সালেহীন -১,সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া, নবী জীবনের গল্প, কুরআন থেকে নেয়া জীবনের পাঠ,ইত্যাদি । কিতাবুল আক্বীদা ও কিতাবুল ফিকহ (হানাফি)বই থেকে আলিম কোর্সের জন্য নির্ধারিত অংশ পড়া হয়েছে।আলহামদুলিল্লাহ।
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) শাইখুল ইসলাম মুফতি তাকি উসমানী (দা.বা.),মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মালেক সাহেব (দা.বা),মুফতি যুবায়ের আহমাদ (হাফিযাহুল্লাহ), শাইখ হারুন ইজহার (হাফিযাহুল্লাহ), শাইখ তামিম আল আদনানী( হাফিযাহুল্লাহ) প্রমুখ।
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) ত্বলিবাতুল ইলম
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তাআ'লার।আমি আল্লাহর এক গোনাহগার বান্দী।মহান আল্লাহ অনেক মুহাব্বত করে এই গাফেল হৃদয়ে এক টুকরো হেদায়েতের নূর দান করেছেন,আলহামদুলিল্লাহ। মহান আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া। আল্লাহর অনুগ্রহে দ্বীনের সঠিক বুঝ পাওয়ার পর থেকে জীবন পথের নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার ক্ষমা ও অনুগ্রহ কুড়িয়ে নিয়ে একটু একটু করে জান্নাতের দিকে ছুটে চলা এক মুসাফির।জেনারেল থেকে দ্বীনে ফেরা একটা মেয়ে জানে এই প্রগতিশীল সমাজে স্রোতের বিপরীতে চলা ঠিক কতটা কষ্টকর,তবুও সাধ্যানুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি কুড়িয়ে নিয়ে সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত জান্নাতে পৌঁছে যাওয়ার।আল্লাহ রব্বুল আ'লামীন কবুল করুন এই অধমকে। পরিপূর্ণ দ্বীনের বুঝ না থাকলেও ছোটবেলা থেকেই দ্বীনের বিধি-বিধানের প্রতি ভালোবাসা ছিল এবং যেটুকু জানতাম মোটামুটি মেনে চলার চেষ্টা করতাম কিন্তু সঠিক বুঝ এবং পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে পুরোপুরিভাবে মেনে চলা হতো না, আল্লাহুম্মাগফিরলি। তবে আলহামদুলিল্লাহ, যখন থেকে পরিপূর্ণ দ্বীনের বুঝ পেয়েছি তখন থেকে পবিত্র কুরআনুল কারীম এবং রসুলুল্লহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহের আলোকে জীবন পরিচালনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। হাক্কুল্লাহ(আল্লাহর হক) এবং হাক্কুল ইবাদ(বান্দার হক) আদায়ের ব্যাপারে সর্বদা সচেতন থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। হালাল-হারামের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার চেষ্টা করি। দ্বীনি ইলম অর্জন এবং ইলমের আলোকে আমলী জিন্দেগী গঠনের প্রচেষ্টা চলমান। শিরক,কুফর,বিদ'আত থেকে দূরে থাকি এবং সব ধরনের বাতিল ধর্ম-কর্ম-মতবাদ( গনতন্ত্র, সেক্যুলারিজম,ফেমিনিজমের)সমূহকে ঘৃণা করি, এগুলো থেকে দূরে থাকি। জীবনের সকল ক্ষেত্রে 'তাকওয়া', 'সবর','শোকর'এবং 'তাওয়াক্কুল' এর নীতি কে আবশ্যক করে নেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। সকল প্রকার কবীরা-সগীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।লোক দেখানো ইবাদত পরিহার করে সকল কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। আল্লাহর ক্ষমাপ্রাপ্ত বিশেষ বান্দাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আশায় 'সূরা আহযাবের-৩৫' নং আয়াতে উল্লিখিত গুনাবলিসম্পন্ন নারী হওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ক্ষুদ্র এই জীবনে কেবল একটাই চাওয়া, আল্লাহ যেন আমাকে তাঁর প্রিয় মু'মিন,মুত্তাকি বান্দাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন,গুনাহমুক্ত একটা স্বচ্ছ জীবন দান করেন এবং একটা উত্তম মৃত্যু নসীব করেন।আল্লাহ তা'আলা কবুল করুন।আমিন। ◾পছন্দ-অপছন্দ: ছোট বেলা থেকেই শান্ত, চুপচাপ স্বভাবের। তবে সবসময় হাসি-খুশি থাকার চেষ্টা করি এবং কম্ফোর্ট জোনে মিশুক প্রকৃতির । স্বভাবে লজ্জাশীলতা ও সরলতা বিদ্যমান,আচরণে কোমলতা বিদ্যমান। সকলের সাথে নম্র এবং বিনয়ী আচরণ করার চেষ্টা করি, আমার কোনো কথা বা কাজের দ্বারা কেউ কষ্ট পাবে এটা কখনোই চাই না,নিজেও অনেক বেশি কষ্ট পাই যখন কেউ আমায় কথার দ্বারা আঘাত করে।আমি বিশ্বাস করি,সুন্দর আচরণই একজন মানুষের সুন্দর ব্যক্তিত্বের পরিচয় বহন করে। অপ্রয়োজনীয় ও অনর্থক কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। সাধারণ জীবন যাপন করা,অল্পে তুষ্ট থাকা এবং বিলাসিতা পরিহার করা পছন্দনীয়। কৃপনতা ও অপচয় দুটোই অপছন্দ বরং মধ্যমপন্থা হিসেবে মিতব্যয়ীতার নীতি অবলম্বন পছন্দনীয়। শান্ত-নিরিবিলি পরিবেশ খুবই ভালো লাগে, এমন পরিবেশে ইবাদতেও প্রশান্তি আসে। অতিরিক্ত কোলাহলপূর্ণ এবং ফ্রি মিক্সিং পরিবেশ একদমই পছন্দ নয়। ■ হক্কানি আলেমদের লেকচার শুনতে, প্র্যাক্টিসিং মানুষদের সোহবতে থাকতে পছন্দ করি। ইসলামিক বই পড়া, দ্বীনি ইলম অর্জন করা এবং 'কুরআনুল কারীম'এর সাথে সময় কাটানোর মাঝেই প্রশান্তি পাই। সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, গোছালোএবং পরিপাটি থাকতে পছন্দ করি। কোলাহলমুক্ত পরিবেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে অনেক ভালো লাগে।। তবে বাহিরের ফিতনাময় পরিবেশে যাওয়ার চেয়ে ঘরে থাকাতেই বেশি সাচ্ছন্দ্যবোধ করি।আত্নীয়দের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করি। ■ বেশি কথা বলা, উচ্চস্বরে কথা বলা, অতিরিক্ত রাগী-বদমেজাজি স্বভাব, হিংসা, অহংকার, মিথ্যা বলা, গীবত করা, অন্যকে কষ্ট দেয়া, অযথা তর্ক করা, ফ্রি মিক্সিং, অপ্রয়োজনে বাহিরে যাওয়া, পিতা-মাতার সাথে অসদাচরণ করা ইত্যাদি অপছন্দ করি। ■ দ্বীনি ইলম অর্জনের তৃষ্ণা যত বাড়ছে ততই দুনিয়াবি পড়াশোনার প্রতি অনাগ্রহ কাজ করছে। ফ্রি মিক্সিং থেকে বিরত থাকি, আলহামদুলিল্লাহ।তবুও ভার্সিটির এই ফ্রী মিক্সিং পরিবেশে দম বন্ধ হয়ে আসে। মাঝে মাঝে মনে হয় এই ফ্রি মিক্সিং পরিবেশ ছেড়ে ছুটে চলে যাই কোনো ফিতনাহীন প্রত্যন্ত অঞ্চলে, কিন্তু সুযোগ নেই! প্রতিনিয়ত দ্বীনি ইলম অর্জনের প্রতি ভালোবাসা আর আগ্রহ বেড়েই চলেছে এবং সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ইলম অর্জনের যাত্রায় নিজেকে এগিয়ে নিতে।আল্লাহ সহজ করুন। প্রতি মুহূর্তে একটা দ্বীনি পরিবেশ এবং একজন দ্বীনদার জীবনসঙ্গীর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি, যিনি আমার ইলম অর্জনের পথে সহায়ক হবেন। ভার্সিটির এই ফিতনার পরিবেশে থেকেও মহান আল্লাহর অনুগ্রহে ছেলেবন্ধুর ফিতনা,হারাম রিলেশনের ফিতনা থেকে বেঁচে থাকতে পেরেছি এবং কেবলমাত্র আমার স্বামীর জন্য নিজেকে সংরক্ষণ করতে পেরেছি,আলহামদুলিল্লাহ। প্রতিনিয়ত দু'আ করে যাচ্ছি এবং তার আগমনের প্রহর গুনে চলেছি।এই ফিতনার জামানায় দ্বীনের পথে চলতে, ফিতনা থেকে বাঁচিয়ে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটা বিশ্বস্ত হাত খুবই প্রয়োজন।আমার বিশ্বাস, সকল অপেক্ষার প্রহর কাটিয়ে শীঘ্রই আল্লাহ রব্বুল আ'লামীন আমার দু'আ কবুল করবেন। ইন শা আল্লাহ। ◾স্বপ্ন: ক্ষুদ্র এই জীবনে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টিই একমাত্র চাওয়া। বিয়ের পর জীবনসঙ্গীর সাথে উমরাহ করার ইচ্ছে এবং জীবনে একবার হলেও মকবুল হজ্জ আদায় করার ইচ্ছে, আল্লাহ কবুল করুন। একজন তাকওয়াবান, সচ্চরিত্রবান চক্ষুশীতলকারী জীবনসঙ্গী পাওয়ার এবং একাধিক চক্ষুশীতলকারী সন্তানের মা হওয়ার এবং একটি আদর্শ দ্বীনি পরিবার গঠন করার স্বপ্ন দেখি। একজন আনুগত্যশীলা স্ত্রী হওয়া, জীবনসঙ্গীর জান্নাতের সাথী হওয়া এবং যতদিন বাঁচবো আম্মাজান খাদিজা (রা.) মতো করে সুখে-দুঃখে তাঁর ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকার এবং আয়শা(রা.) এর মতো প্রেয়সীনি হয়ে তার জীবনকে প্রশান্তিময় করে তোলার স্বপ্ন দেখি। আমি স্বপ্ন দেখি, আমাদের সন্তানদেরকে উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সম্পদ (হাফেজ, আলেম, দা'ঈ, বীর মুজাহিদ) হিসেবে গড়ে তোলার। আমার মেয়েরা হবে হযরত খাদিজা (রা.), আয়শা (রা.), ফাতিমা (রা.) এর উত্তরসূরী এবং ছেলেরা হবে হযরত উমর (রা.), সালাউদ্দিন আইয়্যুবি (রহ.), খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) এর উত্তরসূরী সাহসী বীর পুরুষ যারা আল্লাহর জমিনে খিলাফাহ'র সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে দিবে এবং বুকে শাহাদাতের তামান্না লালন করবে এবং মৃত্যুর পরে আমাদের জন্য সদকায়ে যারিয়াহ হবে, ইন শা আল্লাহ। উম্মাহাতুল মু'মিনিনদের মতো দান সদকায় অগ্রণ্য হওয়া, উম্মাহাতুল মু'মিনিন ও নারী সাহাবাদের আদর্শকে নিজের জীবনে লালন করা এবং উম্মাহের কল্যাণে কাজ করার স্বপ্ন দেখি। ইন শা আল্লাহ। জীবনের চূড়ান্ত স্বপ্ন তো কেবল একটাই আল্লাহর সন্তুষ্টি মোতাবেক জীবন পরিচালনা অতঃপর পূর্ণ ঈমানের সহিত শাহাদাতের মৃত্যু লাভ এবং জান্নাতুল ফিরদাউসে পরিবারের সকলের সাথে সাক্ষাৎ লাভ। আল্লাহ কবুল করুন। আমিন। ◾নিজের সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেয়ার জন্যই একটু বিস্তারিত বলা। আমার মধ্যে যদি ভালো কিছু থেকে থাকে তা কেবলই আমার প্রতি মহান আল্লাহর রহমত, দয়া এবং অনুগ্রহ। আলহামদুলিল্লাহ।। এখনো খুব বেশি দ্বীনদার হতে পারিনি, নিজের মধ্যে এখনো অনেক সীমাবদ্ধতা বিদ্যমান,এখনো নফস ও শয়তানের ধোঁকায় পড়ে কিছু ভুল,কিছু গুনাহ হয়ে যায়।আল্লাহুম্মাগফিরলি। তবে বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও সাধ্যানুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি মহান আল্লাহর আরও নিকটবর্তী হওয়ার এবং তাঁর প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যেন সেই কঠিনতম বিচারের দিনে আল্লাহর আরশের ছাঁয়াতলে একটুখানি আশ্রয় পাই, নবীজির(সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)হাতে হাউজে কাউসারের পানি পান করে চিরস্থায়ী জান্নাতে যেতে পারি। আল্লাহ রব্বুল আ'লামীন কবুল করুন এই অধমকে।আমিন।
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন প্রযোজ্য নয়
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? হানাফি
নজরের হেফাজত করেন? (Required) হ্যা
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? দ্বীনি ইলম অর্জন করা,কুরআন হিফজ করা,কুরআনের শিক্ষিকা হওয়া,উম্মাহের কল্যাণে কাজ করা,জাওযকে সাথে নিয়ে দ্বীনের দাওয়াতি কাজ করা ,একাধিক নেককার সন্তানের জননী হওয়া,সন্তানদের সঠিক তরবিয়তের মাধ্যমে একটি আদর্শ দ্বীনি পরিবার গঠন করা, কন্যাদের বীরপ্রসূ এবং পুত্রদের বীর সৈনিক হিসেবে গড়ে তোলা, জাওযের সাথে আল্লাহর ঘর এবং নবীজির(সসল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) রওজা যিয়ারত করা। আল্লাহ কবুল করুন।আমিন।
অবসর সময় কিভাবে কাটান? (Required) সাধ্যানুযায়ী ইসলামিক বই পড়ে,কুরআন তিলাওয়াত করে বা শুনে,কুরআনের অনুবাদ-তাফসির পড়ে,আলেমদের লেকচার শুনে, ঘরের প্রয়োজনীয় কাজ করে,হলের বোনদের দ্বীনি ইলম শিক্ষা দিয়ে,পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটিয়ে ইত্যাদি অবস্থাভেদে বিভিন্ন।
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? (Required) পড়াশোনার সুবাদে দূরে থাকার কারণে খুব বেশি কিছু করার সুযোগ হয় না,তবে ছুটিতে বাড়িতে গেলে আম্মু-আব্বুর সেবা যত্ন করার চেষ্টা করি,নিজের সব কাজ নিজে করি, ঘর গোছানো, রান্নার কাজে আম্মু-কাকিকে যথাসম্ভব সাহায্য করি ।
নারী-পুরুষ সমঅধীকার বিষয়টাকে আপনি কিভাবে দেখেন? (Required) নারী পুরুষের সম-আধকার হচ্ছে এখনকার সেকুলারিস্ট, নারীবাদীদের জঘন্য এবং সংকীর্ণ ধ্যান ধারণা যা শরীয়াহ'র সাথে সাংঘর্ষিক। সম অধিকারের নামে নারীকে ঘর থেকে বের করে পণ্যের পর্যায়ে নামানো, স্বামী স্ত্রীর ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ককে নষ্ট করার মাধ্যমে পরিবারকে ভারসাম্যহীন করা এবং ফলশ্রুতিতে সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে একটি অসুস্থ সমাজ গঠনের অন্যতম কারিগর এই সম-অধিকার মতবাদ।মহান আল্লাহ নারী এবং পুরুষকে পৃথক পৃথক শারীরিক ও মানসিক গঠন-বৈশিষ্ট্যে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদেরকে পৃথক পৃথক কর্মভার অর্পণ করেছেন। অতএব তাদের সমান অধিকারের কোন প্রশ্নই আসে না। একজন পুরুষের শারীরিক এবং মানসিক সক্ষমতা বেশি থাকায় তাকে আল্লাহ সেই পরিমাণ দায়িত্ব এবং মর্যাদা দিয়েছেন। ঠিক তেমনি ভাবে মহান আল্লাহ নারীদেরও অনেক সম্মান দিয়েছেন। তাই আমি নারী-পুরুষের সমঅধিকার নয় বরং শরীয়াহ যেমন বলে সেরূপ 'সুষম' অধিকারে বিশ্বাসী।
বিয়ে সংক্রান্ত তথ্য
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? জ্বি, আলহামদুলিল্লাহ।
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? বিয়ে একটি ইবাদত। বিয়ে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত। বিয়ের প্রধান উদ্দেশ্য: ১. মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। ২. আল্লাহর হুকুম পুরা করা। আল্লাহ বলেন," আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী। "(সূরা আন-নূর:আয়াত-৩২)। ৩. রসুলল্লহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নতের ওপর আমল করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, 'বিয়ে হলো আমার সুন্নাত, যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত তরিকা ছেড়ে চলবে সে আমার দলভুক্ত নয়।' (বুখারি-৫০৬৩) ৪. রসূলের (সা.) উম্মতের সংখ্যা বৃদ্ধি। ৫. দ্বীনের পূর্ণতা অর্জন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, "যে ব্যক্তি বিয়ে করল তার ঈমানের অর্ধেক পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। বাকি অংশের জন্য যেন সে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করে।" ৬. ফিতনা থেকে বেঁচে থাকা। ৭. চরিত্র হেফাজত করা এবং প্রশান্তি লাভ করা। ৮. ঈমান-আমল মজবুত করা। ৯. একটি আদর্শ দ্বীনি পরিবার গঠন করা। ১০. জীবনসঙ্গীর জন্নাতের সাথী হওয়া। ▪️বিয়ে হলো ক্ষণস্থায়ী জীবনে চিরস্থায়ী ভালোবাসার আয়োজন। আর যে ভালোবাসা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য হয়, তার মধুরতা ও গভীরতা কেবলই বৃদ্ধি পায়।বিয়ে কোনো ফ্যান্টাসি নয় যে সেখানে শুধুই সুখ থাকবে।বরং ভালোবাসা,বিশ্বাস,রাগ-অভিমান,দায়িত্ববোধ,স্যাক্রিফাইস,দুঃখ-কষ্টে সবর ,মেনে এবং মানিয়ে নেয়া, সকল পরিস্থিতিতে একে অপরের পাশে থাকা,একাধিক নেক সন্তান লাভ,আর স্বামী-স্ত্রীর এই বন্ধনকে জান্নাত অবদি নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্নক প্রচেষ্টা চালানো,এসব কিছুর সমন্বয়েই একটা বিয়ে পূর্ণতা পায়। ▪️আমি চাই আমাদের বিয়েটা সম্পূর্ণ সুন্নাহ মোতাবেক হোক, খুব বেশি জাঁকজমকপূর্ন না হোক। বিয়ের মোহরানা অবশ্যই ছেলের সামর্থ্যানুযায়ী হবে, ইন শা আল্লাহ। ▪️রসূলুল্লহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "নিশ্চয় সে বিয়ে বেশি বরকতপূর্ণ হয়, যে বিয়েতে খরচ কম হয়।" (মুসনাদে আহমাদ ও মুস্তাদরাকে হাকিম)। এ ছাড়া বিয়ের সংশ্লিষ্ট আরও কিছু সুন্নত রয়েছে। যেমন: বিবাহ সাদাসিধে ও অনাড়ম্বর হওয়া; অপচয়, অপব্যয় ও বিজাতীয় অপসংস্কৃতিমুক্ত হওয়া, যৌতুকের শর্ত না থাকা এবং সামর্থ্যের অধিক দেনমোহর ধার্য বা শর্ত না করা।। (আবু দাউদ: ২১০৬)।
আপনি কি বিয়ের পর চাকরি করতে ইচ্ছুক? না।( পশ্চিমা সংস্কৃতির সাথে তাল মিলিয়ে ইসলামের ফরজ বিধানে ছাড় দিয়ে, নিজের ঈমান-আমল ঝুঁকিতে ফেলে ফিতনাময় পরিবেশে চাকরি করতে চাই না। আল্লাহর হক, বান্দার হক যথাযথভাবে আদায় করে জান্নাতে যেতে চাই।শরীয়তস্বীকৃত সকল বিষয়ে স্বামীর পরিপূর্ণ আনুগত্য করা স্ত্রীর ওপর ওয়াজিব, আমার ওপর আমার স্বামীর কর্তৃত্বকে এবং দ্বীনের ব্যাপারে তাঁর কঠোরতাকে আমি সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিতে প্রস্তুত (এ সংক্রান্ত সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াতের উপর পূর্ণ আক্বীদা পোষণ করি)।ফেমিনিজমের এই যুগেও আমি আমার সকল বিষয়ে আমার জাওযের ওপর নির্ভরশীল হতে চাই।ইসলামে বিয়ের পরে স্ত্রীর সকল দায়িত্ব স্বামীকে দেয়া হয়েছে, আমিও ইসলাম বহির্ভূত হয়ে এর ব্যতিক্রম কিছু চাই না। মহান আল্লাহ নারীদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই নিজের আওরাহ থেকে বের হয়ে চাকরি করতে চাই না। আমার দিক থেকে অন্দরমহলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে এবং শরিয়াহ সম্মত সকল কাজে জাওজের হিম্মত ও প্রচেষ্টায় সহযোগী হওয়ার ইচ্ছে রাখি, ইং শা আল্লাহ। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত স্বামীর স্নেহ,ভালোবাসা,অভিভাবকত্বের ছায়ায় আশ্রয় খুঁজতে চাই।সন্তানদের সঠিক তরবিয়তের মাধ্যমে একটি দ্বীনি পরিবার গড়ে তুলতে হলে মায়ের সর্বক্ষণিক সোহবতের কোনো বিকল্প নেই। মেয়েদের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ভূমিকা থাকে সেটা হলো একজন 'মা' হওয়া। চ্যালেঞ্জটা হলো - সন্তানকে 'কুররাতু আইয়্যুন' এবং 'ইমামুল মুত্তাকীন' বানাতে পারা। দু'আ করি, আল্লাহ যেন আমার জন্য এবং আমার পরিবারের জন্য উত্তম রিযিকের ব্যবস্থা করে দেন, কখনোই যেন আমার চাকরির উপর তাদের নির্ভরশীল না হতে হয়।)
বিয়ের পর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান? (ছাত্রী হলে) একাডেমিক পড়াশোনা : আলোচনা সাপেক্ষ । ( সহশিক্ষায় অনাগ্রহী তবে যেহেতু আর মাত্র এক বছর বাকি আছে, তাই কোনোরকমে শুধু অনার্স টা শেষ করতে চাচ্ছি । দূরত্ব বেশি হলে মাঝে মাঝে এসে অল্প কিছু ক্লাস করে শুধু পরীক্ষার সময়টুকু(দু'টো মিডটার্ম + ফাইনাল) এখানে থেকে পরীক্ষা দিব।এক্ষেত্রে নিজের সতীত্ব এবং স্বামীর সম্পদের যথাযথ হেফাজতের ব্যাপারে আমি বদ্ধপরিকর থাকবো,ইন শা আল্লাহ। তবে, যদি কখনো এমন পরিস্থিতি আসে যে এই পড়াশোনার কারণে আমি আমার স্বামীর হক, সংসারের দায়িত্ব সঠিকভাবে আদায় করতে না পারি, তবে পড়াশোনা ছেড়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করবো না,ইং শা আল্লাহ।) দ্বীনি পড়াশোনা: যতদূর পর্যন্ত সম্ভব হয় চালিয়ে যেতে চাই, ইং শা আল্লাহ। আলিম কোর্স পরবর্তী অনলাইনে দাওরায়ে হাদিস কোর্স অথবা হিফজ করার ইচ্ছে আছে। ইং শা আল্লাহ।
বিয়ের পর চাকরি চালিয়ে যেতে চান? (চাকরিজীবী হলে) না।
বিয়েতে কেমন মোহরানা নির্ধারন করতে চান? ছেলের সাধ্যমত আলোচনা সাপেক্ষে
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? গায়ের রং ও জেলা
আপনার স্বামীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? ইসলামি শারীয়াহ নির্ধারিত সকল দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে,ইন শা আল্লাহ । শরীয়তস্বীকৃত সকল বিষয়ে স্বামীর পূর্ন আনুগত্য করা ও স্বামীর সন্তুষ্টি মোতাবেক কাজ করা, স্বামীর জন্য কম্ফোর্ট জোন সৃষ্টি করা,তাঁর দ্বীন পালনে সাহায্য করা, তাঁর সকল দুঃসময়ে তাঁর পাশে থেকে তাঁকে সাহস যোগানো এবং পরম মমতায় বুকে আগলে রাখা,নিজের সতীত্ব এবং তাঁর সম্পদের হেফাজত করা, তাঁর পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও যত্নশীল হওয়া,তাঁকে একের অধিক নেক সন্তান উপহার দেয়া এবং সন্তানদের সঠিক তরবিয়তের মাধ্যমে একটি আদর্শ দ্বীনি পরিবার গঠন করা।ইত্যাদি।
বিয়ের পর কোথায় থাকতে চান? স্বামীর বাড়ি
যেমন জীবনসঙ্গী আশা করেন
বয়স (Required) ২৩-৩১
গাত্রবর্ণ গাত্রবর্ণ যেমনই হোক না কেন,তাকওয়াবান এবং সৎ চরিত্রবান হওয়াটাই মুখ্য।।
নূন্যতম উচ্চতা ৫'২"
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান ( জেনারেল পড়ুয়া হলে ন্যূনতম ফরজ পরিমাণ দ্বীনি ইলম থাকা আবশ্যক)
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
জীবনসঙ্গীর দাড়ি বা ইনকাম সম্পর্কে যা চান- (Required) অবশ্যই সুন্নতি দাড়ি থাকতে হবে এবং উপার্জনের পরিমান যেমনই হোক না কেন অবশ্যই সম্পূর্ন হালাল হতে হবে ; হালাল-হারামের সংমিশ্রণ কখনোই গ্রহনযোগ্য নয়।
পেশা (Required) যেকোনো সম্মানিত এবং হালাল পেশা(ঈমানের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয় এবং নারী ফিতনামুক্ত বা ফিতনার সম্ভাবনা তুলনামূলক কম এমন কর্মক্ষেত্র হতে হবে) এবং স্নাতক বা স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ( স্ত্রীর ভরণপোষণের মতো সামর্থ্য থাকতে হবে)।
অর্থনৈতিক অবস্থা মধ্যবিত্ত,নিম্ন মধ্যবিত্ত
পারিবারিক অবস্থা (Required) সামাজিকভাবে সম্মানিত,মোটামুটি শিক্ষিত, যথেষ্ট মার্জিত,ভদ্র,সভ্য,আন্তরিক,বিনয়ী,অতিথিপরায়ন, মোটামুটি দ্বীনি বুঝ সম্পন্ন ( অন্তত ফরজ-ওয়াজিব বিধানগুলো মেনে চলেন এবং হালাল-হারামের ব্যাপারে সচেতন ) এবং দ্বীন পালনে সাপোর্টিভ পরিবার কাম্য।
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন আমার চক্ষুশীতলকারীর নিকট আমার প্রত্যাশা: ▪️মু'মিন*,মুত্তাকি*,সৎ চরিত্রবান*, উচ্চ গায়রতবোধসম্পন্ন*, সবসময় আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করেন, সবরকারী, শোকরগুজারি,দুনিয়াবিমুখ,অল্পেতুষ্ট,সদাচারী, দায়িত্বশীল*,স্বল্পভাষী, সৎ, সত্যবাদী, বিনয়ী কিন্তু সৎ সাহসী, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী, পরোপকারী, সহনশীল, ঠান্ডা মেজাজি*, প্রেমময়,লজ্জাস্থানের হেফাজতকারী*, উম্মতদরদী, নিজের সিদ্ধান্ত নিজে গ্রহণ করার যোগ্যতা রাখেন এবং যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, সকল প্রকার গুনাহ ত্যাগ এবং আখলাকের পরিশুদ্ধি অর্জনে সর্বদা প্রচেষ্টারত। ▪️বিশুদ্ধ আকীদা লালনকারী (আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের), বিশুদ্ধ তাওহীদের জ্ঞান সম্পন্ন,তা'গুত বর্জনকারী। শিরক, কুফর, বিদ'আত, বাতিল ধর্ম-কর্ম-মতবাদ(গনতন্ত্র, সেক্যুলারিজম,ফেমিনিজম ইত্যাদি)গুলোকে ঘৃণা করেন এবং এগুলো থেকে দূরে থাকেন। ন্যূনতম ফরজ পরিমাণ ইলম অর্জন করেছেন এবং ইলম অনুযায়ী আমলের প্রতি যত্নবান। ▪️যিনি'রিয়া'অর্থাৎ লোক দেখানো ইবাদত পরিহার করে সকল কাজ শুধুমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর কুরআন এবং রসুলুল্লহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহ অনুসরণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। ▪️যিনি ঈমান বিধ্বংসী বিষয়গুলো জানেন এবং এগুলো থেকে বেঁচে থাকেন। সকল প্রকার কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। যিনি দ্বীনের ব্যাপারে কোন ছাড় দেন না, সব সময় দুনিয়াবি বিষয়ের উপর দ্বীনকে প্রাধান্য দেন, লোকে যা-ই বলুক, শরীয়তের বিধান-ই তার কাছে প্রাধান্য পায়। ▪️রসুলুল্লহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবাদের আদর্শ এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের আলোকে নিজের জীবনকে গড়ে তোলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। ▪️জীবনের সকল ক্ষেত্রে হালাল-হারাম মেনে চলার ব্যাপারে সচেতন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন এবং নামাযের প্রতি যত্নশীল। এছাড়া অন্যান্য ফরজ, ওয়াজিবসমূহ আদায়ের প্রতি নিষ্ঠাবান এবং রসুলুল্লহ (সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম) কে ভালোবেসে তার সুন্নত গুলো পালন করার চেষ্টা করেন। ▪️অবশ্যই অবশ্যই হালাল উপার্জনের প্রতি অধিক সচেতন। সারাজীবন এ ব্যাপারে দৃঢ় থাকবেন, কোনো পরিস্থিতিতেই হারামের কাছেও যাবেন না। ▪️যিনি সবকিছুর ঊর্ধ্বে আল্লাহ এবং তাঁর রসুলের(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) ভালোবাসাকেই প্রাধান্য দেন, আল্লাহর রাস্তায় নিজের জান- মাল উৎসর্গ করতে সদা প্রস্তুত।যিনি খিলাফাহ'র স্বপ্নচারী এবং শাহাদাতের মৃত্যু কামনাকারী।নিজ সন্তানদেরও জি*হা'দ ফি সাবি'লিল্লাহ শিখিয়ে বড় করার স্বপ্ন দেখেন। যিনি দুনিয়ার বুকে এমন সন্তান রেখে যেতে চাইবেন যারা ইমাম মাহাদীর সৈনিকদের দলে থাকবে এবং শহীদ হওয়ার স্বপ্ন দেখবে। ■ শরয়ী পর্দা সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখেন এবং নন-মাহরাম মেনে চলতে কঠোরতা অবলম্বন করেন। নিজ স্ত্রীকেও নন- মাহরাম মেনে চলতে সর্বোচ্চ সাহযোগিতা করবেন, প্রতিকূল পরিবেশে পর্দা ধরে রাখতে স্ত্রীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন, স্ত্রীর জন্য পরিপূর্ণ পর্দার পরিবেশের ব্যবস্থা করবেন। ▪️তিনি হবেন অত্যন্ত গায়রতবোধসম্পন্ন এবং কঠোরভাবে দৃষ্টির হেফাজতে যত্নশীল। স্ত্রীর হক আদায়ের ব্যাপারে সচেষ্ট হবেন। স্ত্রীর ভুল-ত্রুটির বিষয়ে গোপনীয়তা, সহনশীলতা, ক্ষমাশীলতা এবং সংশোধনের নীতি অবলম্বন করবেন। যিনি নিজে ন্যায়ের পথে চলবেন, আমাকেও চলতে সাহায্য করবেন।যদি কখনো আল্লাহর অবাধ্যতার কোনো কাজ করে ফেলি তবে তিনি সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াতের ওপর আমল করবেন, ইন শা আল্লাহ। ▪️নিজ পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল, যত্নশীল,সদাচারী। স্ত্রী এবং মা উভয়েরই হক যথাযথ আদায়ের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। যেকোনো একজনের মন রক্ষায়, অন্যজনের অধিকার ক্ষুণ্ণ করতে পারবেন না । তাই উভয়ের মাঝে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে তাকে প্রজ্ঞার সহিত কাজ করতে হবে। আমি আমার দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো তার পিতা-মাতার এবং পরিবারের অন্যদের হক পুরোপুরি আদায় করার। ইন শা আল্লাহ। পাশাপাশি তিনিও স্ত্রীর পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন। তাদের যথাযথ সম্মান জ্ঞাপন এবং বিপদে-আপদে সাধ্যানুযায়ী তাদের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা রাখবেন,তাদেরকে আপনজন মনে করবেন। ▪️বইপ্রেমী, দ্বীনি ইলম অর্জনে আগ্রহী এবং আমার দ্বীনি ইলম অর্জনে সহায়তাকারী হবেন। জীবনসঙ্গীকে অবশ্যই বিশ্বাসী হতে হবে, সব সময় স্বচ্ছতা এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি লালন করবেন। কারণ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মূল ভিত্তিই হচ্ছে বিশ্বাস, ভরসা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। জীবনে চলার পথে যতই ঝড় ঝাপটা আসুক না কেন, তিনি শক্ত করে আমার হাত ধরে রাখবেন, কখনোই ছেড়ে যাওয়ার চিন্তাও করবেন না। ইন শা আল্লাহ। ▪️যিনি প্রেমময় হবেন।যার ব্যবহারে থাকবে মাধুর্য এবং ভালোবাসায় থাকবে আন্তরিকতা। যিনি আমায় ভালোবেসে আমার ছোট ছোট নেক চাওয়াগুলোকে, ছোট ছোট স্বপ্নগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে সেগুলো পূরনের চেষ্টা করবেন। আমাকেও আপনি প্রেমময়ী হিসেবে পাবেন,ইন শা আল্লাহ। দু'জন দু'জনের ভুল-ত্রুটির ব্যাপারে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতিযোগী নয় বরং তারা তো একে অপরের পরিপূরক।আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, “তারা (স্ত্রীগণ) তোমাদের পোশাক এবং তোমরা (স্বামীগণ) তাদের পোশাকস্বরূপ।” (সূরা বাকারা : আয়াত ১৮৭) ▪️একজন বিশ্বস্ত, বন্ধু সুলভ (অবশ্যই তিনি তার যথাযথ সম্মান আমার থেকে পাবেন) জাওয যার কাছে মনের কথা নির্ভয়ে বলা যাবে, দ্বীনি এবং দুনিয়াবি জ্ঞানের যে ঘাটতিগুলো আছে তা মেনে নিয়ে, ধৈর্যের সাথে শিক্ষকের মতো করে শিখিয়ে দিবেন। শিখার বিষয়ে আমাকে সব সময় আন্তরিক পাবেন ইং শা আল্লাহ। দুনিয়াবি কমতি গুলো মেনে ও মানিয়ে নিবেন এবং আমায় শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য ভালোবাসবেন। 🔺অতিরিক্ত রাগী-বদমেজাজী , কর্কষভাষী, অসদাচারী, হিংসুক,অহংকারী, ফ্রি মিক্সিংএ আসক্ত, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী, নজরের খিয়ানতকারী, মিথ্যাবাদী,অসৎ,দায়িত্বজ্ঞানহীন,অলস,গায়রতহীন,পিতা-মাতার অবাধ্য এবং কোন ধরনের হারামের প্রতি আসক্ত এমন কেউ নয়। এক কথায় সকল ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। ▪️বিবাহ-তালাক সম্পর্কিত মাস'আলা-মাসায়েল (হানাফি ফিকহ অনুযায়ী) গুলো জানেন বা বিয়ের আগেই জেনে নিবেন। ▪️হানাফি মাজহাব অনুসারী,একটি নির্দিষ্ট মাযহাব অনুসরণ করার গুরুত্ব জানেন এবং অন্য সকল মাজহাবের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ▪️আমি জানি,একজন মানুষ কখনোই সব দিক থেকে পরিপূর্ণ হয় না,তবে নেক নিয়ত এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ঈমান-আক্বীদা পরিশুদ্ধ হলে এবং আখলাক সুন্দর হলে অন্যান্য প্রত্যাশাগুলোর ক্ষেত্রে কিছুটা কমতি থাকলেও কিছুটা ছাড় গ্রহণযোগ্য তবে আপনাকে আমার প্রত্যাশাগুলোর আলোকে প্রতিনিয়ত নিজেকে গড়ে তোলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যেতে হবে। সর্বোপরি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যেতে হবে মহান আল্লাহর প্রিয়ভাজন হওয়ার এবং আমার চক্ষুশীতলকারী হওয়ার। ইন শা আল্লাহ।
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? (Required) বরিশাল বিভাগের কোনো জেলা হলে ভালো হয়, তবে দ্বীনদারিতা বিবেচনায় অন্যান্য সকল জেলা প্রযোজ্য।
অন্যান্য তথ্য
পেশা সম্পর্কিত তথ্য (Required) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে স্নাতক(সম্মান) ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত। ৩য় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা এপ্রিলের শেষে শুরু হবে।
বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান আমি চাই, আমার জীবনে এমন কেউ আসুক যিনি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই আমায় ভালোবাসবেন, আল্লাহর জন্য দুনিয়াবি যেকোনো চাহিদার ব্যাপারে ছাড় দিতে প্রস্তুত থাকবেন, যিনি আমার অন্তরের 'তাকওয়া' এবং চারিত্রিক গুনাবলি সমূহকে আমার বাহ্যিক সৌন্দর্য্যের ওপরে স্থান দিবেন,যিনি আমার দ্বীনের পথে চলার সহযোগী হবেন,আমার দ্বীন পালনে সহজতা এনে দিবেন।আমার জীবনের সুখ, দুঃখ, পেরেশানিগুলো ভাগ করে নিয়ে আমায় ভালোবেসে আগলে রাখবেন। আমার সাথে জান্নাতে মিলিত হওয়ার দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করবেন এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবেন। আমিও আমার দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো তাঁর চক্ষুশীতলকারী পূর্ণ আনুগত্যশীলা স্ত্রী হওয়ার। ইন শা আল্লাহ।আর এই আশা রাখি যে তিনিও তাঁর স্ত্রীর ব্যাপারে চক্ষুশীতলকারী হওয়ার প্রকৃত সঙ্গায় বিশ্বাসী হবেন যে, শুধুমাত্র বাহ্যিক সৌন্দর্য্যে নয় বরং তাঁর স্ত্রী তখনই তাঁর চক্ষুশীতলকারী হবে যখন সে আল্লাহর বিধানের সামনে বিনা বাক্যে মাথানতকারী এবং স্বামীর পূর্ণ আনুগত্যশীল হবে। 🔺আপনি যদি বিশুদ্ধ তাওহীদের জ্ঞান না রাখেন, শরয়ী পর্দা সম্পর্কে আপনার যদি সঠিক জ্ঞান না থাকে,নিজে নন-মাহরাম মেনে চলার ব্যাপারে উদাসীন হয়ে থাকেন এবং স্ত্রীকে পরিপূর্ণ পর্দার পরিবেশ দিতে না পারেন, যদি স্ত্রী ও স্ত্রীর পিতা-মাতাকে যথাযথ সম্মান দিতে না পারেন, বর্তমানে যদি ফ্রি মিক্সিং,হারাম রিলেশন,পর্ণগ্রাফির সাথে সম্পৃক্ততা থাকে, আপনার যদি উচ্চ গায়রতবোধ এবং দায়িত্ববোধ না থাকে, যদি স্ত্রীর দ্বীনদারিতাকে তার বাহ্যিক সৌন্দর্য্যের ওপরে স্থান দেয়ার মানসিকতা না রাখেন, স্ত্রীর হক এবং পিতা-মাতার হক পৃথকভাবে যথাযথ আদায় করার যোগ্যতা না রাখেন এবং দায়িত্বশীল না হয়ে থাকেন, দাম্পত্যজীবন সুখময় হওয়ার জন্য দ্বীনদারিতার পাশাপাশি উভয়ের মানসিকতা কাছাকাছি হওয়া জরুরী তাই আমার লিখার সাথে আপনার মানসিকতা না মিললে, যোগাযোগ না করার অনুরোধ। 🔹বায়োডাটা পছন্দ হলে ইস্তেখারা করে প্রথমে পাত্রের বায়োডাটা মেইল করার অনুরোধ।পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে যোগাযোগ করা হবে,ইন শা আল্লাহ।
কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসা
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? হ্যা
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? হ্যা
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? হ্যা
যোগাযোগ

এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।

অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ

সর্বমোট ভিউ: 431 ভিউস