male

বায়োডাটা নাম্বার

AH-107772

পাত্রের বায়োডাটা

অবিবাহিত

গাজীপুর

ঢাকা বিভাগ

রংপুর

রংপুর বিভাগ

১৯৯৭

ফর্সা

৫'৩''

৬২ কেজি

A+

ছাত্র/ছাত্রী

5000


ঠিকানা
স্থায়ী ঠিকানা গ্রাম: বাগডহরা, পোষ্ট: কচুয়া সর্দার পাড়া, উপজেলা: গংগাচড়া, জেলা: রংপুর
বর্তমান ঠিকানা ডুয়েট ক্যাম্পাস, জয়দেবপুর, গাজীপুর
কোথায় বড় হয়েছেন? (Required) শৈশব ও কৈশোর গ্রামে কেটেছে, এরপর থেকে শহরে।
সাধারণ তথ্য
বায়োডাটার ধরন পাত্রের বায়োডাটা
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
বর্তমান ঠিকানা গাজীপুর
বিভাগ ঢাকা বিভাগ
স্থায়ী ঠিকানা রংপুর
বিভাগ রংপুর বিভাগ
জন্মসন (আসল) ১৯৯৭
গাত্রবর্ণ ফর্সা
উচ্চতা ৫'৩''
ওজন ৬২ কেজি
রক্তের গ্রুপ A+
পেশা ছাত্র/ছাত্রী
মাসিক আয় 5000
শিক্ষাগত যোগ্যতা
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? (Required) জেনারেল
আপনি কি হাফেজ? না
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? হ্যাঁ
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান ফলাফল A
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান বিভাগ বিজ্ঞান বিভাগ
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাসের সন ২০১৬
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাশ করেছেন? হ্যাঁ
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমানের বিভাগ বিজ্ঞান বিভাগ
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান ফলাফল A
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাসের সন ২০১৯
স্নাতক / স্নাতক (সম্মান) / সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ইন সিএসই
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর
পাসের সন ৩য় বর্ষ চলমান
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা শুরুটা যদিও আলিয়া মাদ্রাসা থেকে তথাপি মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি মনে অন্যরকম ভালোবাসা আছে। তখন হয়ত সঠিক গাইডলাইন পাইনি তাই ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার দিকে চলে আসি। এতদসত্ত্বেও মনের আগ্রহ থাকায় ডিপ্লোমা করার পাশাপাশি মুলাটোল মাদীনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসা, রংপুর থেকে পড়েছি। সেখানে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০১৯ সালে এ গ্রেড পেয়ে আলিম পাশ করেছি। এরপর আরো ভাল প্রতিষ্ঠানে অ্যারাবিক লাইনে পড়ার খুব ইচ্ছে ছিল কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার কারণে সেদিকে সুযোগ হয়ে উঠেনি। শুরু থেকে মূল ফোকাস ইঞ্জিনিয়ারিং এর দিকেই ছিল। আর আমার প্রিয় সাবজেক্ট হচ্ছে আরবি ব্যাকরণ তথা নাহু-সরফ।
IOM তথ্য
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? না
পারিবারিক তথ্য
পিতার পেশা দিনমজুর
মাতার পেশা গৃহিণী
বোন কয়জন? ৩জন
ভাই কয়জন? ভাই নেই
বোনদের সম্পর্কে তথ্য আমার ছোট তিন বোন- প্রথম জনের অষ্টম শ্রেণিতে থাকাকালীন বিয়ে হয়ে যায় এরপর সাংসারিক ব্যস্ততায় আর পড়াশোনা করা হয়নি। বর্তমানে স্বামীর সংসারে জীবনযাপন করছেন। দ্বিতীয় জনেরও ক্লাস সেভেনে থাকাকালীন বিয়ে হয়ে যায়। তবে পারিবারিক সাপোর্ট থাকায় পড়াশোনা করে ২০২৩ সালে মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করছে। বর্তমানে চাকরি করতেছেন। ছোট বোন অবিবাহিত, বাড়িতে থাকে, বর্তমানে দশম শ্রেনিতে, ২০২৫ সালে মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা দিবে। পাশাপাশি বাড়িতে সিঙ্গারের ইলেক্ট্রিক সেলাই মেশিনে সেলাইয়ের কাজ শিখতেছেন। নিয়্যাত আছে পরীক্ষার পর আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন থেকে স্মার্ট টেইলারিং এন্ড ফ্যাশন ডিজাইনিং কোর্সটি করানোর।
চাচা মামাদের পেশা মামা তিনজন- সবাই বিবাহিত, বড় মামা মারা গেছেন। সাংসাররিক কাজকর্ম করতেন। মেজ মামাও সাংসারিক কাজকর্ম করেন। সৌদিআরবে ছিলেন এখন বাড়িতে থাকেন। ছোট মামা অনার্স পাশ। ঢাকায় চাকরি করেন। চাচা দুইজন- বড় চাচা ফেমিলি সহ ঢাকায় থাকেন। কোম্পানিতে চাকুরী করতেন। বর্তমানে অসুস্থতার কারণে বাসায় থাকেন। ছোট চাচা মারা গেছেন। তার পরিবারের দুই ছেলে একজন সাংসারিক কাজ করেন। আর একজন মাস্টার্স পাশ করে ঔষধ কোম্পানিতে জব করতেন। এখন সরকারি জব প্রিপারেশনে আছেন।
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা নিম্ন মধ্যবিত্ত।
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) (Required) আলহামদুলিল্লাহ! পরিবারে দ্বীনি পরিবেশ কায়েম ও দায়েম রাখার জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা চলছে। পরিবারে যদিও শতভাগ দ্বীনের চর্চা নেই তথাপি মা বোন পর্দা করে, নামাজ কালাম পড়ে, সবারই দ্বীনের মেজাজ আছে। তবে গ্রামের পরিবেশে থাকার কারণে বাড়িতে মাহরাম গাইরে মাহরাম অনেক সময় যথাযথ ভাবে মেনে চলতে পারে না। কেননা বাড়ি ঘরের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তবে মা বোন সহ সকলের মনে দ্বীন মেনে চলার এবং পর্দা করার প্রবল ইচ্ছে আছে। অপেক্ষা শুধু একটা দ্বীনি পরিবেশ পাওয়ার। চেষ্টা চলছে বাড়িঘরের অবস্থা একটু ভালো হলে যদি আল্লাহ পাক সহজ করে দেন তাহলে পরিবারে দ্বীনি পরিবেশ শীঘ্রই কায়েম হয়ে যাবে এবং সেটা পরিপূর্ণভাবেই হবে ইন শা আল্লাহ। আমার পড়াশোনার পেছনে অনেক টাকা পয়সা গেছে বলে কোনো অর্থকড়ি জমাতে পারেনি বাড়িঘরও ভাল করতে পারেনি। বাবা মা সবাই অপেক্ষা করে আছেন কবে আমার একটা ভালো কিছু হবে। তাহলে যেন সব কিছু সমাধান হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ। নিশ্চয়ই আল্লাহ উত্তম পরিকল্পনাকারী।
ব্যক্তিগত তথ্য
সুন্নতি দাঁড়ি রয়েছে কি? (Required) জি, আলহামদুলিল্লাহ আছে
পায়ের টাখনুর উপরে কাপড় পরেন?(Required) জি, সবসময় পড়ি
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? জি, আলহামদুলিল্লাহ পড়ি
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) ছোট থেকেই নামাজ পড়তাম। ২০২০ সাল থেকে মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়ি।
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? জি, সর্বোচ্চ চেষ্টা করি মেনে চলার
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? জি, আলহামদুলিল্লাহ পারি
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? টুপি, পাঞ্জাবি/(জুব্বা), পায়জামা পড়ি
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন (Required) একমাত্র শারীয়্যাহ আইন প্রতিষ্ঠার দ্বারা মানবজাতির মুক্তি সম্ভব। ডেমোক্রেসি বা ন্যাশনালিজম; এসব ইজমে বিশ্বাসী নই।
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? না, এগুলো ভীষণ অপছন্দ করি
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) আলহামদুলিল্লাহ, কোন রোগ নেই
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) দাওয়াতে তাবলীগে সীমিত সময় দেই
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) না।
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) মাজারে সেজদা করা বা মাজারে শায়িত ব্যাক্তির কাছে কোনকিছু চাওয়া শিরক।
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) বেলা ফুরাবার আগে, প্যারাডক্সিকাল সাজিদ-১,২, এসো ঈমান মেরামত করি, হে আমার ছেলে, আত্বার ব্যাধি ও প্রতিকার, যৌবনের মৌবনে, মনের শক্তি, আকাশের ওপারে আকাশ, চিন্তাপরাধ, অনেক আঁধার পেরিয়ে, অবক্ষয়কাল, কুররাত আইয়্যুন-১,২, আহকামে জিন্দেগী ইত্যাদি।
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) শায়েখ আহমাদুল্লাহ, মুফতি আফফান বিন শরফুদ্দীন, মুফতি আরিফ বিন হাবীব, মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব দা.বা, মাওলানা তারেক জামিল, ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন মনে অনেক ইচ্ছে অনেক শখ আছে সব বলতে গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে। সবকিছু হালালের অপেক্ষায়! তাই সাধারণ কিছু কথা বলি— আমি খুব সাদাসিধে জীবনযাপনে অভ্যস্ত একজন মানুষ। সর্বোচ্চ চেষ্টা করি দ্বীন মেনে চলার। ভার্সিটিতে দ্বীনি সার্কেল থাকলেও কিছু কিছু বিষয়ে দ্বীন পালন করা খুবই কঠিন! দ্বীন মেনে চলতে চাইলে নিজের সাথে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হয়। তবে শুকরিয়া আল্লাহ যেহেতু দ্বীনের বুঝ দিয়েছেন এবং মুমিনদের জীবনে দ্বীন পালনে যেহেতু বাধাবিপত্তি থাকবেই তাই সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছি। রাসূল (ﷺ) এর আদর্শে নিজের জীবন কে আদর্শবান বানাতে চাই। একটা সুন্দর এবং সাধারন জীবন যাপনের ইচ্ছা আছে। সাধারণ বলতে এমন জীবন যেন সবসময় শুকরিয়া স্বরূপ আল্লাহ তায়ালাকে বলতে পারি আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ পাক আমাকে ভালো রেখেছেন! খুব আলিশান জীবনযাপন করা আমার কাম্য নয়। গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সেজন্যেই মূলত বিয়ে করতে চাই। যাতে নিজের নজরকে হেফাযতে রাখা সহজ হয়। এতে করে নিজের কাজকর্ম আবেগ অনুভূতি অস্থিরতা সব কিছু নিয়ন্ত্রণে থাকবে, কাজে মনোযোগ থাকবে, স্ত্রী আমাকে সাহস যোগাবে ফলে মনে অফুরন্ত প্রশান্তি থাকবে এবং আত্ববিশ্বাস বেড়ে যাবে। পড়াশোনা শেষ করে হালাল পথে উপার্জন করার প্রবল ইচ্ছে আছে। মনের মধ্যে অনেক ইচ্ছে এবং সখ আছে সেগুলো হালাল সম্পর্কের অপেক্ষায় অপূর্ণতায় আছে— বৈধ সবকিছুই পছন্দ করি। নতুন জায়গা ঘুরতে পছন্দ করি এবং বাইরের খাবার যথাসাধ্য এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি বিশেষ করে ফার্স্টফুট এবং মোড়ক জাত খাবারসমূহ। আমি এমন একজন মানুষ— বড় বড় রেস্টুরেন্টে যেয়ে মানুষ যেসব খাবার খাওয়ার স্বপ্ন দেখে বা প্লান করে আমি সেগুলোর ধারে কাছেও নাই। স্বাভাবিক খাবারই অধিক পছন্দ। তবে নিয়্যাত আছে যেসব জায়গা এখন যাইতেছি না, নিজের স্ত্রীকে নিয়ে এসব জায়গা ঘুরবো ইন শা আল্লাহ। আর যেসব জায়গায় গেলে ঈমান নিয়ে টানাটানির মধ্যে পড়ে যেতে হয় এসব জায়গা এড়িয়ে চলি। এ কারণে বাইরে সাধারণত ঘুরাফেরা কম করি, কাছের কেউ বা বিশ্বস্ত কেউ হলে তবেই তার সাথে ঘুরতে আগ্রহ প্রকাশ করি। আমি সাধারণত ছবি উঠাই না। রেস্টুরেন্টে ঘুরতে গিয়ে, খাইতে, বসতে, কারো সাথে দেখা হলে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেওয়া আমি ব্যাক্তিগতভাবে খুবই অপছন্দ করি। নিজে নিজে কখনো দু'একটা ছবি উঠালেও একটু পরে ডিলিট করে দেই। আর সবসময় আলেমগণের পরামর্শ নিয়ে চলাফেরা করার চেষ্টা করি। নিয়্যাত আছে স্ত্রীকে নিয়ে বাইতুল্লাহ যিয়ারত করবো যদিও সেটার জন্য তেমন প্রস্তুতি নিচ্ছি না এখন, এখন আপাতত বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। নিয়্যাত আছে মা বাবা বোন সবাইকে নিয়ে একটা সুন্দর ছোট্ট সংসার গড়বো, আর সুন্দর ও সহজ সরল একটা জীবনযাপন করে চিরস্থায়ী আবাসের জন্য প্রস্তুতি ও পাথেয় সংগ্রহ করবো। ইন শা আল্লাহ, আল্লাহ পাক সহজ করে দিবেন। ইসলামি বই পড়তে বেশি ভালোবাসি। দ্বীনদার মানুষের সাথে মেশার চেষ্টা করি। যাদের মাঝে দ্বীনের বুঝ নেই এরকম বন্ধুদের সাথে (দাওয়াতের উদ্দেশ্য ছাড়া) তেমন মেশা হয়না। ক্লোজ ফ্রেন্ড হোক আর যেই হোক যদি তার দ্বারা আমার দ্বীনের ক্ষতি হয় তবে তাকে যথাসাধ্য এড়িয়ে চলি, এক্ষেত্রে আমি সামান্য পরিমাণও কন্সিডার করতে চাইনা। ক্লিয়ারকাট কথা বলি, সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি। মুআমালাত বা লেনদেনের ক্ষেত্রে ইসলামি স্পষ্টতা বজায় রাখতে পছন্দ করি। অনর্থক কথা বলা, ঝগড়া বিবাদ, হাসি তামাসা, সবসময় দুনিয়াবি ব্যস্ততায় বা অসুস্থ বিনোদন মূলক কাজে ডুবে থাকা মোটেও পছন্দ করিনা। কথাবার্তা বলার সময় দুনিয়াবি কথার চেয়ে ইসলামি আদর্শ ও কুরআন সুন্নাহর আলোকে বলার চেষ্টা করি। মানুষের সাথে অসুস্থ তর্কবিতর্কে লিপ্ত না হওয়ার চেষ্টা করি। আর আমার উপর কোন দ্বায়িত্ব আসলে সেটাকে যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করি। ইন শা আল্লাহ স্ত্রীর ব্যাপারেও যথেষ্ট দ্বায়িত্ববান হতে পারবো। শক্তি স্যার আমার সবচেয়ে প্রিয় একজন মানুষ, স্যারের ম্যারেজ প্রিপারেশন কোর্সটাসহ বিয়ে নিয়ে অলরেডি অনেক পড়াশোনাও করে ফেলেছি..।। অনেক দিন থেকেই বায়োডাটা লিখি বাট এখনো শিক্ষার্থী—কেউ বিয়ে করতে চাইবে না, সবকিছু পছন্দ করলেও একটা জায়গায় এসে সবাই থেমে যাবে, এসব ভেবে সাবমিট করিনি। অবশেষে সাবমিট করলাম আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ পাক উত্তম পরিকল্পনাকারী। স্বপ্ন আছে একদিন একটা সুন্দর বাড়ি হবে, সেখানে একটা ছোট্ট জায়গা থাকবে শুধুমাত্র আল্লাহ পাকের জন্য ইবাদতের জন্য। প্রিয় লেখকদের বইয়ের ছোট্ট একটা লাইব্রেরি থাকবে। অলরেডি অনেক বই কিনে রেখেছি। বই পড়তে বেশি ভালোবাসি। আর লিখতে ভালোবাসি। সেকারণে বলার চেয়ে লিখি বেশি। আর যখনি সময়সুযোগ হয় মুড ভাল থাকে তখন 'নতুন বউকে নিয়ে আল্লাহর প্রশংসা মূলক' অ্যারাবিক নাশিদ মুখস্ত করি— বিয়ের পর স্ত্রীকে শোনাবো সেজন্য। খেলাধুলায় অভ্যস্ত নই, আর বর্তমান ফিতনায় ভরা অনৈসলামিক যেসব খেলাধুলা এগুলো মোটেও পছন্দ করিনা। তবে আমি নিজেকে সবসময় ফিট রাখার চেষ্টা করি। জীবনসঙ্গিনী হিসেবেও এমন একজনকে চাই যে সবসময় নিজেকে ফিট রাখতে পছন্দ করবে। এ জন্য সুন্নাহভিত্তিক জীবনচর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিয়ের পবিত্র বন্ধনের মাধ্যমে শুরু থেকেই যেন নবিজির সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনা করতে পারি আল্লাহ পাক যেন তাওফিক দান করেন। আমীন। যাই করি এক কথায় সবসময় বৈধ পন্থা অবলম্বন করি। যেসব কাজে উলামায়ে কেরাম অনুৎসাহিত করেন সেগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। আমার নিয়্যাত আমি যেন নিজেকে একজন দ্বায়ী হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। দাওয়াহ বিষয়ে অল্প অল্প করে পড়াশোনা করতেছি। আল্লাহর কাছে একজন নেককার সলেহ বান্দা হতে চাই। আপাতত এতটুকুই বলা থাকুক! আশাকরি আমার চিন্তাভাবনা সম্পর্কে বুঝতে পারছেন। সবকিছু যদি এককথায় বলি তাহলে বলবো আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ। চেষ্টা করি সুন্নতি জীবন যাপন করার এবং একজন প্রাক্টিসিং মুসলিম হিসেবে প্রতিটি কর্মে আল্লাহ বিধান মেনে চলার। একটা কথা এখানে বলে রাখি– বিয়ের সময় মোহরানা পুরোটা পরিশোধ করার নিয়্যাত আছে কিন্তু এ অবস্থায় সম্ভব হবে কিনা আমার জানা নেই, একান্ত না পারলেও ধীরে ধীরে সবটাই দিয়ে দিবো, তাই এই বিষয়টাতে একটু সাপোর্টিভ এবং কন্সিডার করতে হবে। জব হয়ে গেলে পুরোটা দিয়ে দিবো ইন শা আল্লাহ।
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন প্রযোজ্য নয়
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? হানাফি
নজরের হেফাজত করেন? (Required) হ্যা
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? দ্বীন নিয়ে অনেক প্লান পরিকল্পনা এবং নিয়্যাত আছে। সর্বপ্রথম নিজেকে পুরোপুরি দ্বীনদার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করি প্রাক্টিসিং মুসলিম হওয়ার। নিয়্যাত আছে জীবনে বেঁচে থাকলে IOM থেকে তিন বছরের আলিম কোর্সটা করবো। স্ত্রী যদি জেনারেল থেকে আসে তাহলে দুজনে একসাথে ভর্তি হবো। এছাড়া আসলাফ অ্যাকাডেমিতে অনেকগুলো কোর্স কিনে রেখেছি; শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে বাইতুল্লাহ যিয়ারত করার নিয়্যাত আছে। আর আল্লাহ পাক যদি তাওফিক দান করেন গ্রামে একটি মাদ্রাসা দেওয়ার নিয়্যাত আছে, একান্ত না পারলেও অন্যদেরকে সাপোর্ট করার নিয়্যাত আছে। সিম্পিল একটি জীবন যাপনকরে চিরস্থায়ী আবাসের জন্য প্রস্তুতি ও পাথেয় সংগ্রহ করার ইচ্ছে আছে। আপাতত নিজে চেষ্টা করি পরিপূর্ণভাবে দ্বীন মেনে চলার।
অবসর সময় কিভাবে কাটান? (Required) সময় কাটানোর মত সময় হাতে থাকে না। তবে পড়াশোনার পাশাপাশি যতটুকু সময় থাকে ইসলামি বইপুস্তক পড়ি, কুরআন তিলাওয়াত করি, তাফসির পড়ি, আর নিজের স্কিল ডেভেলপ করার জন্য বিভিন্ন কোর্স করি।
কত ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে আদায় করেন? (Required) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতে আদায় করি
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? (Required) বাড়িতে ব্যাবসায়িক বা জমাজমি সংক্রান্ত এরকম বিশেষ কোন দ্বায়িত্ব নেই, স্বাভাবিকভাবে মা বাবার খোঁজখবর রাখি, ছোট ভাগনা ভাগনির খোঁজখবর রাখি, আর বাড়িতে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে মা বাবা আমার সাথে শেয়ার করেন আমি সেটা ভালমন্দ যাচাই বাছাই করে পরামর্শ দেই।
আপনি কি ধুমপান করেন? (Required) না, ভীষণ ভাবে অপছন্দ করি
বিয়ে সংক্রান্ত তথ্য
বিবাহিত অবস্থায় আবার কেন বিয়ে করতে চাচ্ছেন ? আমি অবিবাহিত
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? জি, আলহামদুলিল্লাহ রাজি আছেন
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? বিয়ে আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ নেয়ামত। স্বামী স্ত্রীর বন্ধন যেটা জান্নাত থেকে শুরু হয়েছে পুনরায় জান্নাতে এ নেয়ামত থাকবে। যারা দুনিয়াতে নেককার স্বামী স্ত্রী হবে তারা জান্নাতেও একসাথে প্রবেশ করবেন এক সাথে জান্নাতে থাকবেন। তাই জীবনসঙ্গিনী হিসেবে এমন একজনকে চাই যাকে নিয়ে জান্নাত পর্যন্ত পৌঁছানো যাবে। ফেতনায় ভরপুর এ দুনিয়ায় হালাল সম্পর্কের জন্য বিয়ে করলে নিজের মাঝে দ্বীনের পরিপূর্ণতা আসে, অন্তরে প্রশান্তি আসে, কাজে মনোযোগ আসে, কনফিডেন্স বেড়ে যায়, ডিপ্রেশন দূর হয় এবং ডিসিশন নেওয়া সহজ হয়, জটিল জটিল সমস্যা সহজে সমাধান করা সম্ভব হয় মস্তিষ্কের পার্ফর্মেন্স বেড়ে যায়। বিয়ের মাধ্যমে জীবনে বারাকাহ নেমে আসে। বাহিরের ফেতনাময় পরিবেশ থেকে নিজেকে নজর ও ব্রেইনকে সহজে হেফাজত করা সম্ভব হয়। দ্বীন পালনে তৃপ্তি আসে অন্তরে প্রশান্তি আসে। নিজের আবেগ অনুভূতি কল্পনা কামনা বাসনা সবকিছুকে হারাম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। বিয়ের মাধ্যমেই মুসলিম সভ্যতার ক্রমবিকাশ ঘটে। এছাড়া বিয়ে সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জেনেছি, বুঝেছি, পড়াশোনা করেছি। বিয়ে সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা বলেন— "তোমাদের মধ্যে যাদের স্ত্রী নেই, তোমরা তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করো, একইভাবে তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা ভালো তাদেরও বিয়ে শাদীর ব্যবস্থা করো; যদি তারা অভাবী হয় তাহলে আল্লাহ তায়ালা অচিরেই তাঁর অনুগ্রহ দিয়ে তাদের অভাবমুক্ত করে দিবেন। আল্লাহ তায়ালা প্রাচুর্যময় ও সর্বজ্ঞ। আর যারা বিবাহে সমর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন।" (সূরা নূর ৩২-৩৩) এই আয়াতে তাফসীরে আবু বকর সিদ্দীক (রা.) বলেন- "মহান আল্লাহ তোমাদেরকে বিবাহ বিষয়ে যে আদেশ দিয়েছেন তা মান্য করো, তিনি তোমাদেরকে সচ্চলতা দানের বিষয়ে যে অঙ্গীকার দিয়েছেন তা পূর্ণ করবেন। কেননা আল্লাহ পাক বলেছেন- "তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দিবেন।" এ প্রসঙ্গে হযরত ওমর ফারুক (রা) বলেছেন- আমার আশ্চর্য লাগে তাকে নিয়ে, যে বিবাহের মধ্যে জীবিকা তালাশ করে না, অথচ আল্লাহ তায়ালা বলেছেন- "তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দিবেন।" এ আয়াকের তাফসিরে বিখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেছেন- "তোমরা বিবাহের মধ্যে জীবিকা তালাশ করো।" কেননা মহান আল্লাহ পাক বলেছেন- "তারা যদি নিঃস্ব হয় তাহলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দিবেন।" নারী-পুরুষ সুন্দর ও পবিত্র জীবন যাপনের সর্বোত্তম মাধ্যম হল বিবাহ। এ দিকে ইঙ্গিত করে মহান আল্লাহ পাক আরো বলেছেন- "আর তাঁর (আল্লাহর) নিদর্শন সমূহ থেকে একটি হল এই যে, তিনি তোমাদের থেকে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন যেন তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের (স্বামী-স্ত্রী) পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা ও অনুগ্রহ স্থাপন করে দিয়েছেন।" (সূরা-রূম, আয়াত:২১) প্রকৃতপক্ষে উচ্ছৃঙ্খলতা অশ্লীলতা বেহায়াপনা ও নোংরামির অভিশাপ থেকে সুরক্ষা করতেই ইসলাম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জোর তাগিদ প্রদান করে। আয়শা (রা:) থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন- বিয়ে আমার সুন্নাত-নীতি। অতএব যে ব্যক্তি আমার নীতি অনুযায়ী কাজ করবে না সে আমার দলভুক্ত নয়। (সুনান ইবন মাজাহ: ১৮৪৬) রাসূল (সা.) আরো বলেন, "হে যুব সমাজ! তোমাদের যার বিয়ে করার সামর্থ্য আছে, সে যেন বিয়ে করে নেয়। কেননা তা চক্ষুকে অবনমিত রাখে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে। আর যে ব্যক্তি এতে সক্ষম নয়, সে যেন রোজা রাখে। কেননা তা (রোজা) যৌন তাড়নাকে প্রশমিত করে।" (সহিহ বুখারি: ৫০৬৬) রাসূল কারীম (ﷺ) আরো বলেছেন– "তিন প্রকার লোককে সাহায্য করা মহান আল্লাহ নিজ দায়িত্বে নিয়েছেন- তন্মধ্যে এক প্রকার হলো বিবাহে আগ্রহী লোক- যে বিয়ের মাধ্যমে পবিত্র জীবন যাপন করতে চায়। (সুনান আত-তিরমিজি: ১৬৫৫, সুনান আন-নাসাই: ৩২১৮) অতএব, বিয়ের মাধ্যমে অর্ধেকদ্বীন পূর্ণ হয়। ঈমানের পরিপূর্ণতা আসে। আমলের স্পৃহা ও অন্তরে প্রশান্তি আসে। হারাম থেকে বেঁচে থাকা সহজ হয়। এ কারণেই বিয়ে করার নিয়্যাত করেছি।
বিয়ের পর স্ত্রীর পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? জি, পারবো ইন শা আল্লাহ
বিয়ের পর স্ত্রীকে পড়াশোনা করতে দিতে চান? যদি তাহার মনে প্রবল ইচ্ছে থাকে এবং ইসলামি অনুশাসন তথা পর্দা, হিজাব নিকাব, মাহরাম, গাইরে মাহরাম এসব মেনে পড়াশোনা করার শতভাগ সুযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই পড়াবো। তবে দুনিয়াবি শিক্ষার চেয়ে যে শিক্ষা অর্জন করলে একজন নারীর মর্যাদা আল্লাহর কাছে বেড়ে যায়, সন্তান একজন আদর্শ মা পায়, যে 'আদর্শ'– সন্তানকে দ্বীনের কল্যাণের জন্য উম্মাহর মুজাহিদ বানাতে সহায়ক হবে এই শিক্ষা অর্জনের জন্য আমি সবসময় সবরকম সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত আছি। জাষ্ট চাকরি করার উদ্যেশ্যে সহশিক্ষায় অনুমোদন বা এ জাতীয় পড়াশোনা করার ব্যাপারে আমি সম্মত নই। আর যে নারী পড়াশোনা করেও স্বামীর ঘর সংসারকেই তাঁর জন্য উত্তম ক্যারিয়ার মনে করে এরকম নারীকেই জীবনসঙ্গিনী হিসেবে কামনা করি।
বিয়ের পর স্ত্রীকে চাকরী করতে দিতে চান? না, দিবো না, নিয়্যাত নেই। তবে যেখানে দ্বীনি পরিবেশের সহিত ছোট বাচ্চাদের বা যেখানে শুধু মেয়েদের পড়াশোনা করানো হয় এমন প্রতিষ্ঠানে দ্বীনের খেদমতের উদ্দেশ্যে পরিপূর্ণ পর্দার সহিত চাকরী করতে চাইলে সেক্ষেত্রে পরামর্শ সাপেক্ষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাই মনে করতে পারেন স্ত্রীকে জব করতে দেওয়ার কোন চিন্তাভাবনা নেই।
বিয়ের পর স্ত্রীকে কোথায় নিয়ে থাকবেন? পড়াশোনা শেষ হলে নিজের কাছেই রাখবো ইনশাআল্লাহ। পড়াশোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে হবে। তবে যদি আল্লাহ সামর্থ্য দেন তাহলে শুরু থেকে একসাথে থাকার নিয়‍্যাত আছে ইনশাআল্লাহ।
বিয়ে উপলক্ষে আপনি বা আপনার পরিবার পাত্রীপক্ষের কাছে যৌতুক বা উপহার বা অর্থ আশা করবেন কি না? না, কেনোকিছুই আশা করি না।
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? আর্থিক অবস্থা ও গায়ের রং
বিয়ের পর স্ত্রীর ভরনপোষন চালাতে পারবেন? হ্যা
আপনাার স্ত্রীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? বিয়ের পর স্ত্রীর সবকিছুর দ্বায়িত্ব স্বামীর উপর বর্তায়। তার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা, তাকে ইবাদত বন্দেগীর জন্য উত্তম পরিবেশ দেওয়া, দ্বীনি শিক্ষার পরিবেশ দেওয়া, তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ নজর রাখা, তার কথা গুরুত্বের সাথে শ্রবণ করা, এক কথায় তার সকল চাহিদা ও হক্ব পরিপূর্ণভাবে আদায় করা স্বামীর জন্য আবশ্যক।
আপনার আহলিয়ার পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? হ্যা
আপনি বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় থাকবেন? একক পরিবারে
যেমন জীবনসঙ্গী আশা করেন
বয়স (Required) 18-24
গাত্রবর্ণ উজ্জল শ্যামল, ফর্সা
নূন্যতম উচ্চতা ৪'১০"
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাস বা সমমান
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
জীবনসঙ্গীর পর্দা সম্পর্কে যেমনটা চান- (Required) ঘরের বাইরে সবসময় পর্দা করবেন, কালো বেরকা হিজাব নিকাব পড়বেন, মাহরাম গাইরে মাহরাম কঠোরভাবে মেনে চলবেন। নিজের কণ্ঠ ও নজরের হেফাজত করবেন।
পেশা (Required) শিক্ষার্থী, হাফেজা বা আলেমা। মাদ্রাসা অথবা জেনারেল- তবে আমার কাছে দ্বীনদারি অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থনৈতিক অবস্থা মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত
পারিবারিক অবস্থা (Required) দ্বীনের বেসিক বুঝ সম্পন্ন পরিবার যারা দ্বীন পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। সবকিছুর উপরে দ্বীনকে প্রাধান্য দিতে পারেন।
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন অবশ্যই দ্বীনদার ঈমানদার সবরকারীনি হতে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি, পর্দানশীন সত্যবাদী এবং আমানতদার হতে হবে। আমার চেয়ে বেশি দ্বীনদার হলে খুবই ভালো হবে। পর্দানশীন হতে হবে এবং আত্মমর্যাদা সম্পন্ন হতে হবে। সাংসারিক কাজ করা এবং পারিবারিক বিভিন্ন ছোট ছোট বিষয় সহজে ম্যানেজমেন্ট করার দক্ষতা থাকতে হবে। বিভিন্ন সময় স্বামীকে সুন্দর সুগঠিত পরামর্শ ও সাহস দেওয়ার ইচ্ছেশক্তি থাকতে হবে। ইবাদত বন্দেগীতে এগিয়ে থাকবেন। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেলেও সব কিছুর উপরে আল্লাহর বিধানকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রবণতা থাকতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অপ্রয়োজনে ব্যবহার করার প্রবণতা থাকতে পারবে না। নিজের ব্যাক্তিগত কোন কিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার প্রবণতা থাকা যাবে না। ফারজিয়্যাত আমলের পাশাপাশি সুন্নত ও নফলের পাবন্দি করবেন যা আমাকেও অনুপ্রাণিত করবে। এক কথায় দুনিয়ার চাকচিক্যের চেয়ে আখিরাতের জীবনকে যিনি অধিক প্রাধান্য দিবেন। ফরজ বিধান পালনের প্রতি মজবুত ঈমানের অধিকারী হবেন। সমাজের সকল কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাস থেকে নিজেকে মুক্ত রাখবেন। সবসময় গোছানো পরিপাটি থাকবেন, নমনীয় কোমল হৃদয়ের মানুষ হবেন। কুমারী এবং প্রফুল্য মেজাজের হবেন, একমাত্র স্বামীর জন্যই সাজগোজ করবেন, স্বামীর কথা মেনে চলবেন, স্বামীর অনুমতি ব্যতিত কোথাও যাবেন না, বাহিরে বের হলে পর্দার প্রতি শতভাগ খেয়াল রাখবেন। বাইরে বের হলে বোরকা নিকাব পড়াই প্রকৃত পর্দা নয় বরং এর সাথে সাথে মাহরাম গাইরে মাহরামের বিধান মেনে চলবেন। ঘরে বাইরে সবসময় নিজের কন্ঠ ও চলাফেরার দিকে সজাগ থাকবেন। ফ্যামিলি ম্যানেজমেন্ট ও রান্নাবান্নায় ভালো হতে হবে, তবে শুরুতে এসব ব্যাপারে পারদর্শী না হলেও আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সাপোর্ট থাকবে ধীরে ধীরে সব শিখে যাবেন, শিক্ষার জন্য আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সাপোর্ট থাকবে ইন শা আল্লাহ। যার মাঝে নমনীয়তা আছে মেনে নেওয়ার প্রবণতা আছে, শেখার আগ্রহ আছে এরকম একজনকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে চাই। ব্যাক্তি হিসেবে উত্তম পরিকল্পনাকারী এবং চিন্তাশীল হবেন, গীবত পরনিন্দা এ সমস্ত হারাম কাজ থেকে নিজেকে পবিত্র রাখবেন। কারো কথা শোনামাত্র ডিসিশন নিবেন না, পরিবারের অন্যাদের সাথে, বিশেষ করে স্বামীর সাথে প্রতিটা বিষয়ে পরামর্শ করবেন। আমি অপেন মাইন্ডেড সরাসরি বুঝিয়ে বলতে পছন্দ করি। তাই সাংসারিক জীবনের ব্যাক্তিগত কথাবার্তা অন্য নারীদের কাছে বলে বেড়াবেন না, কারো ঐশ্বর্য দেখে তার সাথে আমাকে তুলনা করবেন না। অল্পে তুষ্ট ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনকারীনি হবেন। (আমি এখনও ছাত্র; এ অবস্থায় বিয়ে করতে চাচ্ছি—এক্ষেত্রে স্ত্রীকে সবরকারীনী হওয়া খুবই জরুরি।) নিজের প্রতিটি আমানত ও স্বামীর সংসারের হেফাজতকারিনী হবেন। উত্তম চরিত্রের অধিকারী হবেন। কাজকর্মে ও চিন্তাভাবনায় সহজ ও পজিটিভ হবেন। নিজের কণ্ঠকে নিচু রাখবেন। বই প্রেমী হবেন, যিনি সময় সুযোগ পেলেই বই পড়তে ভালোবাসেন এমন নারীকে বিয়ে করতে চাই। ইন শা আল্লাহ, এরকম বৈশিষ্ট্যগুলোর পাশাপাশি দ্বীনের বেসিক জ্ঞানসম্পন্ন হবেন। আল্লাহর প্রতি আস্থাশীল ও সবরকারিনী হবেন। তিনি হোক জেনারেল কিংবা মাদ্রাসা পড়ুয়া। আমি শুধু দ্বীনদার একজনকে কামনা করি। যার অন্তরে আল্লাহ পাকের প্রকৃত ভয় আছে এবং রাসূলের মহব্বত আছে। যিনি সবকিছুর উপরে দ্বীনকে প্রাধান্য দিতে পারবেন। আশা করি আমার প্রত্যাশা সম্পর্কে অনেকটা বুঝতে পেরেছেন। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে এতটুকুই বলাই যথেষ্ট মনে করছি। আল্লাহ পাক কবুল করলে বাকিটা সামনা সামনি বলা যাবে ইন শা আল্লাহ.. উপরোক্ত কথাগুলো যদি সামারাইজ করে সংক্ষেপে বলি— তাহলে বলবো জীবনসঙ্গিনীকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি, দ্বীনদার, পর্দানশীন হতে হবে। ঘরের বাইরে সবসময় পর্দা করবেন, কালো বোরকা হিজাব নিকাব পড়বেন, মাহরাম গাইরে মাহরাম মেনে চলবেন। নিজের কণ্ঠ ও নজরের হেফাজত করবেন। অবিবাহিত কুমারী মিষ্টিভাষী হবেন যিনি শুধু স্বামীর জন্যই সাজগোজ করবেন। দুনিয়ার চেয়ে আখিরাতকে প্রাধান্য দিবেন। আমি এমন একজনকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে চাই যে আমার জীবনে আসলে আমার জন্য জান্নাত যাওয়া সহজ হবে। কথিত দুনিয়ার স্বাধীনতায় যিনি নিজেকে বিকশিত করবেন না, যিনি শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালাকেই ভয় করবেন এবং একমাত্র রাসূল (ﷺ) এর সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনা করবেন।
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? (Required) রংপুর বিভাগের; রংপুর বা আশে পাশের জেলা
অন্যান্য তথ্য
পেশা সম্পর্কিত তথ্য (Required) আমি বর্তমানে শিক্ষার্থী। ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (DUET-এ) কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করতেছি। নিজে এখনো প্রফেশনালি উপার্জন করি না। এছাড়া জব করার সুযোগও নেই, কারণ স্টুডেন্ট অবস্থায় বাহিরে জব করার অনুমতি নেই ডুয়েট প্রশাসনের। আমি নিজে টিউশনি করাই, এখান থেকে প্রতিমাসে যে টাকা আসে তা দিয়ে আমি সাচ্ছন্দে চলতে পারি আলহামদুলিল্লাহ- (বিয়ের পরও আহলিয়ার নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ বহন করতে পারবো ইন শা আল্লাহ। কোন মাসে বেশি টাকার প্রয়োজন হলে বোনের কাছে করজে হাসানা নেই, পড়াশোনা শেষ করে যখন আমার জব হবে তখন সব টাকা দিয়ে দিবো। মনের মধ্যে খুব ইচ্ছে আছে পড়াশোনা শেষ করে একজন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার হবো আল্লাহ পাক চাইলে ভালোকিছুই করবো এবং হালাল পথে উপার্জন করবো ইন শা আল্লাহ।
বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান আমি যেহেতু স্টুডেন্ট সবকিছু পছন্দ হলেও একটা জায়গায় এসে থেমে যাবেন। এটাই স্বাভাবিক! তবে, আল্লাহ পাক সকলের জন্যই তাকদির নির্ধারণ করে রেখেছেন তাই ওয়ারিড নই। দুয়া চাই শুধু। আর যিনি পছন্দ করবেন আমি চাইবো বিয়েটা যেন সুন্নত পদ্ধতিতে হয়।
কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসা
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? হ্যা
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? হ্যা
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? হ্যা
যোগাযোগ

এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।

অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ

সর্বমোট ভিউ: 183 ভিউস