প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? |
জ্বী আলহামদুলিল্লাহ |
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) |
২০১৯ সাল এর রমাদানের আগে থেকে। ছোট বেলা থেকে পড়লেও নিয়মিত ছিলাম না। দ্বীনের বুঝ আসার পর নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করা হয়। |
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? |
জ্বী আলহামদুলিল্লাহ। খালু , ফুফা, খালাতো, মামাতো, চাচাতো-জ্যাঠাতো ভাইদের সামনেও পর্দা করা হয়। আর আমাদের বাড়ি যেহেতু আলাদা তাই গেস্ট না আসলে অসুবিধা হয় না। গেস্ট আসলে তখন পর্দা করেই সামনে যাওয়া লাগে, যেহেতু আপ্যায়ন করার আর কেউ নেই। |
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? |
জ্বী আলহামদুলিল্লাহ। |
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? |
কালো বোরকা, বড় খিমার/জিলবাব, নিকাব সহ, হাত মুজা-পা মুজা। ভবিষ্যতে চোখ ঢেকেও পর্দা করার নিয়ত আছে। তবে চোখের সমস্যার জন্য চশমা পড়া হয়। |
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন (Required) |
খিলাফত |
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? |
না। দ্বীনের পথে আসার পর সব ছেড়ে দিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। ইচ্ছাকৃতভাবে এসব কিছুই দেখা হয় না। যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা হয়। । |
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) |
ধুলাবালি/ঠান্ডা জনিত সমস্যা হাচি আছে। শীতে একটু গরম পানি ব্যবহার, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা মেইনটেইন করে চললে সুস্থই থাকি। আর মাইনাস পাওয়ারের চশমা পড়া হয়। |
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) |
২০২০ থেকে ভার্সিটিতে এসে তাবলিগের তালিমের সাথে পরিচয়। তাবলিগে যুক্ত ভার্সিটিতে চাকরিরত স্যারের বাসায়/স্টাফের বাসায় স্যারের আহলিয়ার কাছে সাপ্তাহিক তালিমে বসা হতো। মেয়েদের হলেও তালিম করা হতো আমার। নিয়মিত মুজাকারা করতাম। কিছু কারণে মাঝে নিয়মিত ছিলাম না। তবে সময় পেলেই তালিমে বসার চেষ্টা করি এখন। মাস্তুরাত জামাত আসলে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করি। ভবিষ্যতে নিজ বাসায় নিয়মিত তালিম করার ইচ্ছা আছে ইং শা আল্লাহ। মাহরামের সাথে মাস্তুরাতে সময় লাগানোর ইচ্ছা আছে। |
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) |
না |
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) |
মাজারে সিজদা করা, মান্নত করা শিরক। তবে কবর জিয়ারত করা যাবে। মৃত ব্যক্তির কোনো ক্ষমতা নেই যে জীবিত ব্যক্তির কোনো আশা-ইচ্ছা পূরণ করবে। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) |
ফাযায়েল আমল, ফাযায়েল সাদাকাত, মুন্তাখাব হাদিস তালিমে বসে পাঠ করা এবং শোনা হয়েছে। এছাড়াও, সিরাহ (রেইন্ড্রপস), রাসুলে আরাবী, আই লাভ কুরআন, ফেরা ১,২, দুজন দুজনার, আই লাভ ইউ, মুহস্বনাত, পর্দা গাইডলাইন ইত্যাদি পড়েছি। সাহাবায়ে কেরামের ঈমানদীপ্ত জীবন পড়া চলমান |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) |
মাওলানা আব্দুক মালেক হাফি., হারুন ইজহার হাফি., শায়েখ আহমাদ উল্লাহ, মুফতি ত্বাকি উসমানি হাফি., খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহিমাহুল্লাহ |
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) |
সেলাই পারি (নিজের+মায়ের জামা কাপড় নিজেই সেলাই করি আলহামদুলিল্লাহ), পেইন্টিং / ক্যালিগ্রাফি করার চেষ্টা করি। কুরআন শিখানোর/মাশক্ব করানোর অভিজ্ঞতা আছে আলহামদুলিল্লাহ। আর কুরআনের উস্তাজা হওয়ার ইচ্ছা আছে যদি আল্লাহ কবুল করেন। |
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন |
জেনারেল লাইন থেকে উঠে এসেছি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা দয়া করে মায়া করে দ্বীনের বুঝ দিলেন। আমার পরিবারে কেউ আমার মত পর্দা/গাইরে মাহরাম মেইনটেইন করে না। তাই সেখানে আমার অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিলো, আত্মীয় স্বজন অনেকের অনেক কথা শুনতে হয়েছে, এখনো শুনতে হয় মাঝে মাঝে। তবে, আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ অনেকটাই সহজ করে দিয়েছেন আমার জন্য এখন। আগে অনেক বেশি ইন্ট্রোভার্ট ছিলাম। কারো সাথে নিজে গিয়ে মিশতে বা কথা বলতে খুব লজ্জা / ভয় পেতাম। খুব চুপচাপ আর শান্তশিষ্ট স্বভাবের আমি বলা চলে। ভাইবোন ছাড়া একা একা বড় হয়েছি, তাই একা থাকার অভ্যাস। ভীর-শোরগোল তাই তেমন পছন্দ না।
২০১৮ সালে ফাস্ট টাইম এডমিশনের সময় থেকে বোরকা পড়া শুরু করলেও, তখনো পর্দার সেন্স পুরোপুরি জেহেনে ঢোকে নি। ২০১৯ সালে আবার সেকেন্ড টাইম এডমিশন এর টাইমে রমাদানের আগে আগে আল্লাহ আমাকে পরিপূর্ণ দ্বীনের বুঝ দিলেন। তখনো আমার কোনো ইসলামিক বই ছিলো না। কোনো দ্বীনী সোহবত ছিলো না। ফেসবুকের ইসলামিক পোস্ট আর মোবাইলে আল হাদিস এপ্সে হাদিস পড়তাম। আর কুরআনের অনুবাদ পড়তাম। আর ইউটিউবে লেকচার শুনতাম বিভিন্ন শায়েখের। ওইসময় ইমানের লেভেল এমন ছিলো অল্প জানি কিন্তু যা জানি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করি। তারপর ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর তাবলিগের তালিমের সাথে পরিচয় মেস মালিকের সুবাদে। উনি তাবলিগের সাথী। উনার আহলিয়ার সাথে সাপ্তাহিক তালিমে যেতাম। সেখানে থেকেই আমার দ্বীনী সোহবত পাওয়া শুরু। করোনার টাইমে এই সোহবত আবার হারিয়ে ফেলি। তারপর অনলাইনে বিভিন্ন দ্বীনী বোনের সাথে পরিচয় হয়। তাদের থেকে অনুপ্রেরণা পাই। করোনার পর আবার তালিমে বসার চেষ্টা করতাম সময় পেলেই।
হলের তালিমে মুজাকারা করতাম, দ্বীনের আলোচনা করতে করতে, মানুষের সাথে মিশতে না পারার জড়তা কেটে গেছে অনেকটা আলহামদুলিল্লাহ।
২০২২ সালে বাসায় না জানিয়েই আইওমের আলিম কোর্সে ভর্তি হওয়া (২২৭ ব্যাচে), শুদ্ধভাবে কুরআন শেখার চেষ্টা । আমার রুম্মেট আপু আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দিতেন কুরআনের উস্তাজা হওয়ার প্রতি। সেইসময় উনিও আলিম ব্যাচে ছিলেন ২১৬ তম ব্যাচের উনি। আমার তাজউইদ মোটামুটি ভালো দেখে আমাকে বলতেন তুমি মুক্বররিরাহ হতে পারবা। তারপর মাশক্বে সাব লিডার সিলেক্টও হই সেসময়। সাবমাশক্ব ক্লাস নিতাম। অফলাইনেও কয়েকজন কে মাশক্ব করিয়েছি। কিন্তু একাডেমিকের প্রেশারের ফলে সেটা নিয়মিত পারি নি। তারপর ২২৭ ব্যাচ থেকে ড্রপ আউট হই, কারণ না জানিয়ে পড়ার ফলে নিজের হাতখরচের টাকায় মাদ্রাসার বেতন চালাতে হতো। যেটা দীর্ঘদিন পারি নি। অনেক দুয়া করি আল্লাহর কাছে, যেনো আম্মু নিজে রাজী হয় আমাকে নতুন করে আবার আইওএমে ভর্তি করার জন্য। আল্লাহ দোয়া কবুল করলেন। আবার ২৪১১ ব্যাচে ভর্তি হলাম আলহামদুলিল্লাহ। কুরআনের উস্তাজা হওয়ার জন্য ইজাজাহ নেয়ার খুব ইচ্ছে ছিলো। তাই ইনবাতের এডভান্স তাজউইদ কোর্সে ভর্তি হই। কিন্তু সেটাও কয়দিন পর আর কন্টিনিউ করতে পারি নি, একাডেমিকের সাথে আবার আইওএমের সাথে অনেক প্রেশার লাগত। তবে ভবিষ্যতে আবারো ইচ্ছে আছে এটায় আবারো ভর্তি হওয়ার।
আমি অনেক দ্বীনী ইলম শিখতে চাই, নিজে আমল করার পাশাপাশি মানুষকে দাওয়াত দিতে চাই। কারণ, আমি মনে করি দাওয়াত এর কাজের ফলে নিজের ও ইসলাহ হয়। নিজেকে গুনাহমুক্ত রাখা যায় সহজে।এক্ষেত্রে অর্ধাঙ্গ এবং তারা পরিবার এর সাপোর্ট আশা করি।
সহ-শিক্ষা হারাম জানার পর জেনারেল পড়াশোনায় একটু অমনোযোগী হয়ে পড়ি। শুধু দ্বীনী ইলম এর প্রতি আগ্রহ কাজ করে এখন আমার।
আমি যদিও ফ্যামিলির জন্য সহশিক্ষা / ফ্রি মিক্সিং এ পড়াশোনা কন্টিনিউ করে যাচ্ছি, তবে এখন পর্যন্ত ভার্সিটির কোনো প্রোগ্রাম বা ট্যুরে অংশ নেই নি যদিও সেগুলোতে মার্ক থাকার কথা বলা হয়ে থাকে। সব সময় ফিতনা থেকে নিজেকে হেফাজত করে চলেছি এবং নিজেও কারো ফিতনা না হওয়ার চেষ্টা করেছি।
আর আমার আব্বু আম্মু চায় আমি চাকরি করি। কিন্তু আমার কোনো আগ্রহ ইচ্ছা নেই। দ্বীনের খেদমতের জন্য, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য শুধু কুরআনের উস্তাজা হওয়ার লোভ আছে। |
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন |
প্রযোজ্য নয় |
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? |
হানাফি |
নজরের হেফাজত করেন? (Required) |
হ্যা |
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? |
আল্লাহর কাছে খুব করে চাই, আমাকে দিয়ে যেনো উনার দ্বীনের খেদমত করান। তাই অনেক দ্বীনী ইলম অর্জন করে নিজে আমল করার পাশাপাশি মানুষকে দাওয়াত দিতে চাই। কুরআন শিখাতে চাই। আমি চাই, আমার সন্তানের প্রথম উস্তাজ হবো আমিই। আমি হয়ত দ্বীনী পরিবারে জন্ম নেই নি, কিন্তু একটা দ্বীনী পরিবার গড়ে তুলতে চাই স্বামীর সহযোগিতায়। যাতে আগামী প্রজন্ম কে দ্বীন পালনে সহায়তা করতে পারি। নিজের জন্য সদাকায়ে জারিয়া রেখে যেতে চাই। আর একটা ইসলামিক লাইব্রেরী করার ইচ্ছা আছে ইং শা আল্লাহ। সপরিবারে বাইতুল্লাহ জিয়ারতের স্বপ্ন দেখি ইং শা আল্লাহ। |
অবসর সময় কিভাবে কাটান? (Required) |
অবসর খুব বেশি পাওয়া যায় না। তবুও যেটুকু পাওয়া যায় তখন পেইন্টিং করে, বই পড়ে কিংবা কুরআন তিলাওয়াত করে, তালিমে বসে, ইসলামিক গজল শুনে কাটাই। ফিক্সড না কোনো কিছুই। যখন যেটা ভালো লাগে। |
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? (Required) |
বাড়িতে আম্মুকে ঘর গোছানো, রান্না বান্নায় সহযোগিতা করা হয় যখন বাসায় থাকি। কারণ ভার্সিটিতে বন্ধ ছাড়া বাসায় থাকা হয় না। তাই সেভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ হয় না। |
নারী-পুরুষ সমঅধীকার বিষয়টাকে আপনি কিভাবে দেখেন? (Required) |
নারী পুরুষ কখনোই সমান নয়। নারীরা দূর্বল প্রকৃতির। তারা সব সময় ই পুরুষের উপর নির্ভরশীল। নারীরা ঘরে থেকে পর্দার আড়ালে থেকে পুরুষদের শক্তি যোগাবে, অনুপ্রেরণা দিবে। আর পুরুষরা বাইরে কাজ করবে, সফল হয়ে ঘরে ফিরবে। নারী-পুরুষ সমঅধিকার এটা একটা পশ্চিমা এবং বিকৃত চিন্তাধারা। তবে ইসলাম নারীদেরকে দিয়েছে অনেক সম্মান আর মর্যাদা। কিন্তু পশ্চিমা সভ্যতার বেড়াজালে আটকা আমাদের সমাজের মানুষ নারীদের সম অধিকার এর কথা বলে ঘর থেকে বের করে দাজ্জালি ফিতনায় নিমজ্জিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর সবচেয়ে দুঃখজনক লাগে আমার কাছে, নারীদের ইসলামে যা সম্মান আর মর্যাদা দিয়েছে, নিজ ঘরের পুরুষ / আত্মীয়রাও সেটা দিতে চায় না ইসলামের জ্ঞান না থাকায়। তারা অধিকাংশই নিজেরাই তাদের অধিনস্তদের ব্যাপারে দায়িত্বহীন/উদাসীন। তাই নারীরা অনেকটা বাধ্য হয়েই নিজেকে সাবলম্বী করার ইচ্ছায় ঘর থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। |