স্থায়ী ঠিকানা | বিয়ানীবাজার, সিলেট |
---|---|
বর্তমান ঠিকানা | বিয়ানীবাজার, সিলেট |
কোথায় বড় হয়েছেন? (Required) | নিজ গ্রামে (শহরে থাকারও অভিজ্ঞতা রয়েছে) |
বায়োডাটার ধরন | পাত্রীর বায়োডাটা |
---|---|
বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিত |
বর্তমান ঠিকানা | সিলেট |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
স্থায়ী ঠিকানা | সিলেট |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জন্মসন (আসল) | ১৯৯৮ |
গাত্রবর্ণ | শ্যামলা |
উচ্চতা | ৫'০'' |
ওজন | ৫০ কেজি |
রক্তের গ্রুপ | O+ |
পেশা | সাধারণ |
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? (Required) | জেনারেল |
---|---|
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? | হ্যাঁ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান ফলাফল | A |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান বিভাগ | বিজ্ঞান বিভাগ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাসের সন | ২০১৫ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাশ করেছেন? | হ্যাঁ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমানের বিভাগ | বিজ্ঞান বিভাগ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান ফলাফল | A- |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাসের সন | ২০১৭ |
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা | এইচ.এস.সি |
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা | long story short, একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে প্রায় দুই বছর সিএসই ডিপার্টমেন্টে ছিলাম, করোনাকালীন সময়ে কয়েকমাস গ্যাপ দেই। আলহামদুলিল্লাহ, তখন দ্বীনের ব্যাপারে সতর্ক হই। তারপর পরিবারের চাপে একই প্রতিষ্ঠানে ইংরেজী সাহিত্যে ট্রান্সফার হয়ে প্রায় পাঁচ মাস অধ্যয়নরত ছিলাম। সহশিক্ষার কুফল অনুধাবনের পর জেনারেল পড়াশোনা অব্যাহত রাখা থেকে পদত্যাগ করি। আগ্রহীদের বিস্তারিত জানানো হবে। ইন শা আল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ, IOM এ ফরজে আইন কোর্স করেছি। IOM এ এরাবিক ল্যাংগুয়েজ কোর্স করার ইচ্ছে আছে। আল্লাহ তা'য়ালা সহজ করুন। আমীন। |
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? | হ্যা |
---|---|
পিতার পেশা | চালের ব্যবসা করতেন। বর্তমানে বেকার। |
---|---|
মাতার পেশা | রব্বাতুল বাইত। |
বোন কয়জন? | ৩জন |
ভাই কয়জন? | ১জন |
বোনদের সম্পর্কে তথ্য | বড় বোন: বিবাহিতা, গৃহিণী, স্বামী USA প্রবাসী। মেজো বোন: বিবাহিতা, স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ইউকে প্রবাসী। সবার ছোট বোন: অবিবাহিতা, কামিল সম্পন্ন করেছেন। ভাই-বোনদের মধ্যে আমি চতুর্থ তম। |
ভাইদের সম্পর্কে তথ্য | বিবাহিত, ইউকে প্রবাসী। |
চাচা মামাদের পেশা | ছয় চাচার মধ্যে দুই জন জীবিত আছেন। একজন কৃষি কাজ করেন এবং অন্যজন ব্যবসা করেন। মামা দুইজন। বড় মামা অসুস্থতার জন্য বর্তমানে বেকার আর ছোট মামা দুবাই প্রবাসী। |
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা | আলহামদুলিল্লাহ, নিজস্ব বাড়িতেই আমাদের বসবাস। পরিবারের ভরণ- পোষণের দায়িত্ব একমাত্র ভাইয়ের উপর, আর তিনিও উনার দায়িত্ব যথার্থ পালন করে যাচ্ছেন। আর গ্রামে কিছু পারিবারিক ভূ-সম্পত্তি আছে। |
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) (Required) | ফরজ পালনে অভ্যস্ত এবং দ্বীনের ক্ষেত্রে সাপোর্টিভ ফ্যামিলি। অবশ্য আব্বা সুন্নতের পাবন্দি করেন এবং মসজিদের খতিব-হুজুরের সাথে বেশ ভালোই সম্পর্ক রেখে চলেন। আম্মা, ভাই-বোনেরা, এবং ভাবী ইসলামের প্রতি অনুরাগী এবং দানশীল। পরিবারে দ্বীন-সম্পর্কিত কোনো ঘাটতি দেখলে নিজের ইলম অনুযায়ী জানান দেওয়ার চেষ্টা করি। ইসলামিক কোনো কথাবার্তা শ্রবণকালে নেতিবাচক বাক্য ছুঁড়ে দেন না। পালন করতে না পারলেও সম্মান করেন। যদিও অন্যরা নন-মাহরাম মেনে চলার ক্ষেত্রে তেমন কঠোর না, তবে আমার নন-মাহরাম মেনে চলতে কাঠখর পোহাতে হয় না। তাছাড়া পারিবারিক বন্ধন এবং আত্মীয়তার সম্পর্কগুলো অত্যন্ত দৃঢ়। একে অপরের সহযোগী এবং সামাজিকভাবে সম্মানিত পরিবার। সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তা'য়ালার। |
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? | আলহামদুলিল্লাহ, পড়া হয়। যদিও চাই না তবুও মাঝেমধ্যে ফজরের ওয়াক্ত কাযা হয়ে যায়। আলহামদুলিল্লাহ, ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে তা আদায় করে নিই। |
---|---|
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) | আগে পড়তাম ঠিকই তবে বকুনি খাওয়ার পর। ২০২১ সাল থেকে নিয়মিত পড়া হয়। |
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? | আলহামদুলিল্লাহ, (অনলাইন+অফলাইন) মেনে চলি। তবে অফলাইনে একটু কষ্টকর হয়ে যায় যেহেতু গ্রামীণ পরিবেশে আছি। নন-মাহরাম কারোর সাথে আকস্মিক মুখোমুখি হয়ে গেলে অনুশোচনা কাজ করে। |
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? | আলহামদুলিল্লাহ, মোটামুটি পারি। |
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? | বোরখা, নিকাবসহ হিজাব/ জিলবাব, হাত মোজা, পা মোজা। জাঁকজমক বোরখা, বোরখা- নিকাবসহ ছবি তোলা এবং সোস্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করা আমার কাছে অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ। পরিধেয় বস্ত্রের ক্ষেত্রে শো- অফের চেয়ে নিরাপত্তা প্লাস কম্ফোর্টকে প্রাধান্য দেই। |
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন (Required) | জাস্ট খিলাফাহ তে বিশ্বাসী। আমি অবশ্য দলাদলি,কিংবা কোনো দলকে তোষামোদ করাকেও ঘৃণার চোখে দেখি। সেই সাথে আশা করি, অনাগত জীবনসঙ্গী (উম্মাহের ঐক্য-ফিকির সহিত) খিলাফাহ ব্যতীত অন্যান্য যাবতীয় অহেতুক রাজনৈতিক দর্শন থেকেও দূরে থাকবেন। |
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? | জ্বী না। |
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) | আলহামদুলিল্লাহ, জানানুযায়ী নেই। |
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) | আপাতত নেই। যা জানি তা নিকটস্থ মানুষ পর্যন্ত পৌঁছানোর চেষ্টা করি। |
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) | জ্বী না। |
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) | মাজারে শায়িত ব্যক্তির নিকট কোনোকিছু চাওয়া শিরক। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) | মুহাস্বনাত, বাইতুল্লাহর মুসাফির, বাইতুল্লাহর ছায়ায়, কয়েদী ৩৪৫, শিকড়ের সন্ধানে, সীরাহ (রেইনড্রপস মিডিয়া)। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) | ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ), শায়খ আনোয়ার আল আওলাকি (রাহিমাহুল্লাহ), ড. ইসরার আহমেদ (রাহিমাহুল্লাহ). |
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) | বিশেষ তেমন কিছু নেই। |
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন | প্রথমে রিয়া আর বাড়িয়ে বলা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। ক্ষণস্থায়ী স্থানের মোহে নেশাগ্রস্ত কোনো ব্যক্তি বেলাশেষে যখন বুঝতে পারেন, "আখিরাতের জন্য করা পুঁজিই একমাত্র সম্বল" তখন তাঁর চিন্তা- চেতনা জুড়ে থাকে কিভাবে 'শুনলাম এবং মানলাম' আয়াতের ওপর আমল করা যায়, আর জীবনোধ্যায়ের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আল্লাহ তা'য়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করে জান্নাতের বাসিন্দা হতে পারি? তিনি অতীতের সমস্ত খারাপ কর্মকান্ডকে তাওবা দ্বারা বিদায় করে অন্তরে লালন করতে থাকেন তাকওয়াকে। অহেতুক কর্মকান্ড করার চেয়ে দুনিয়া-আখিরাতের জন্য উপকার বয়ে আনে এমন আমলের দিকে ফোকাস করেন। নফসের গোলামি না করে নফসকে শক্তিশালী করে তোলেন আল্লাহ তা'য়ালার হুকুম পালনে, দিনের অন্তিম পর্বে হিসেব কষতে থাকেন নফসের প্ররোচনায় কোনো ভুল হয়েছে কি না? ভুল পেলে বিনাবাক্যে স্বীকার করে নেন আর নিজের প্রতি সতর্কতার লেভেল বাড়িয়ে দেন। নিজের অতিরিক্ত চাহিদাকে হ্রাস করে একান্ত প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেন, ওয়াহহান ত্যাগ করে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন যুহদ লালন করতে। সঠিক পন্থায় নিজের জীবন পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে ইলম পিপাসু হয়ে যান....আরও কত কি! সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তা'য়ালার, যিনি আমাকে সহজ-সরল-সঠিক পথ দেখিয়েছেন, অন্ধকার আর মরিচীকাময় অন্তরে ঢেলে দিয়েছেন ঈমান আর তাকওয়ার স্বাদ। উক্ত স্বাদ আস্বাদন করেই আমার বোধগম্য হয়েছে, জীবনের আসল মাকসাদ কি? আর তা হলো- ক্ষনস্থায়ী জীবনে আল্লাহ তা'য়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করে চিরস্থায়ী সুখের স্থানের বাসিন্দা হওয়া... আলহামদুলিল্লাহ, অতি সাধারণভাবে দিনাতিপাত করতে পছন্দ করি। বরকতময় সকাল ঘুমহীন উপভোগ করতে ভালোই লাগে। সুন্নাহভিত্তিক দিন অতিবাহিত করতে পারলে মন প্রফুল্ল থাকে সেই সাথে প্রতিটি কাজে থাকে প্রোডাক্টিভিটি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার এবং সবকিছুই গুছিয়ে রাখার প্রবল প্রবণতা রয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, রান্নাবান্না করে পরিবারের সদস্যদের থেকে প্রশংসা কুড়াতে পারলে একটা গুড ফিলিং হয়। পরিবারের প্রতিটি সদস্য ফ্রেন্ডলি এবং সাপোর্টিভ, তাঁদের সাথে সময় কাটাতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করি। বাড়ির পিচ্চিদের সাথেও সময় কাটাতে অত্যন্ত ভালো লাগে। চলাফেরার ক্ষেত্রে দুনিয়াবি সঙ্গীর চেয়ে দুনিয়াবিমুখ সঙ্গীদের সান্নিধ্য পছন্দ করি- যাঁদের কথা-কর্মে অনুপ্রেরণা পাই দ্বীনের পথে অবিচল থাকতে। জিনিসের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ইসলামিক বই, চিঠি- চিরকুট এবং ফুল পছন্দ করি। সারপ্রাইজ/হাদিয়া দিতে ভালোবাসি। অল্পে তুষ্ট থাকতে পছন্দ করি। ঈমান ডাউনের দিবসে মনের কোণে একটি প্রশ্ন উঁকি দেয়- আল্লাহ তা'য়ালাকে ভুলে যাচ্ছি না তো? তখন বোবাকান্না প্লাস মুড সুয়িং হয়। বস্তুত, এটাই আমার সবচেয়ে বড় ভয়ের বিষয়। ঘরকুনো। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে তেমন বের হই না। বিশেষ করে একজন মাহরামের অনুপস্থিতি অনুভব করি। তাছাড়া জনসমাগম পরিবেশে অস্বস্তি বোধ করি। অল্পভাষী এবং কিছুটা ইন্ট্রোভার্ট। অহেতুক আর অপ্রয়োজনী কথা বলা থেকে নিজেকে বিরত রাখি। মানুষের সাথে মিশতে সময় লাগে তবে মিশে গেলে মনে হয় আমি ইন্ট্রোভার্ট নই। আচার-আচরণে কিংবা কথার মাধ্যমে মানুষের হক নষ্ট হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকি। আখলাকে হামিদার উত্তরাধিকারী হওয়ার জন্য দুআ করি সেই সাথে চেষ্টারত। নিজের ছবি তোলা প্লাস সোস্যাল মিডিয়ায় মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি অতি অপছন্দের। প্রাইভেট লাইফ শান্তিপূর্ণ জীবন মনে হয় এবং এই যুগে নিজেকে আড়ালে রাখা নিয়ামত মনে করি। উপরন্তু, এটা খুব ভালো করেই উপলব্ধি হয়েছে যে- excessive use of social media means reducing barakah of my time. অতি প্রয়োজন ছাড়া এখানে আসতে দ্বিধাবোধ করি। তাছাড়া দ্বীনের ব্যাপারে বিতর্কিত বস্তু কিংবা সোস্যাল মিডিয়ার অহেতুক কর্মকান্ড এড়িয়ে চললে ভালো বোধ করি। দ্বীনকে কাজে লাগিয়ে খ্যাতি অর্জন করার নিয়ত প্রচন্ড ঘৃণা করি। গীবত করা, অন্যকে হেয় করা, খোঁটা দেওয়া, খোঁচা মেরে কথা বলা, ব্যাংকে লেনদেন করা, রিয়া, বড়-ছোট যে কারোরই সাথে মিথ্যে বলে ফান করা/মিথ্যা কথা বলা, কথায় কথায় তর্ক করা, দ্বীনের ব্যাপারে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি/ছাড়াছাড়ি, নিজেকে সবসময়ই সঠিক/বড় মনে করা, আত্মতুষ্টি, অলসতা- গুণসমূহ বরাবরই ঘৃণা করি। বিপরীতে আত্মার পরিচর্যাকে প্রাধান্য দেওয়া পছন্দনীয় বিষয়। শিরক, কুফর, বিদআত, পশ্চিমা সংস্কৃতি, সামাজিক কুসংস্কার প্রভৃতির তীব্র বিরোধী। আশেপাশের মানুষের নেগেটিভ দিক দেখে জাজ করা মোটেই ভালো লাগে না। বরং নেগেটিভ দিক উল্লেখ করে মানুষটির জন্য দুআ করা কিংবা আন্তরিকতার সাথে বুঝিয়ে বলা পছন্দ করি। কারো মধ্যে ভালো আর উপকারী গুণ দেখলে নিজের মধ্যে বাস্তবায়নে অগ্রসর হওয়া, মন্দ গুণ দেখলে তা থেকে পিছপা হওয়া, কেউ সামনাসামনি প্রশংসা করলে এড়িয়ে চলা এবং ভুল ধরিয়ে দিলে সাদরে গ্রহণ করা- আত্মার উন্নয়নের জন্য সহায়ক মনে করি। "উম্মাহাতুল মু'মিনীন খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা ব্যবসায়ী ছিলেন"- এটা বলে একজন নারীকে ব্যবসায়ী/উদ্যোক্তা হতেই হবে, এমন ধারণায় তেমন জোর দেই না। বরং তিনি একজন আদর্শ মুসলিমাহ, আদর্শ স্ত্রী এবং আদর্শ মা ছিলেন, এসব গুণকে বেশিই মূল্যায়ন করি। দ্বীনি কাপল ভাইবে ছবি তোলে কিংবা ভিডিও মেইকিং করে পাবলিকলি শেয়ার করা গর্হিত কাজ মনে করি এবং এসব গায়রতহীন কর্ম মনে হয়। ফান্ডামেন্টালিস্ট বা মৌলবাদী মুসলিমাহ। ইসলামকে শুধুমাত্র ইবাদতের গন্ডির ভেতরে চিন্তা করি না বরং রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সবদিক দিয়েই একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা মনে করি। যেখানে চারদিকের মানুষজন একমাত্র সত্য দ্বীন ইসলামকে পেছনে ফেলে বাতিল তাগুতকে সমর্থন করতেছে, সেখানে আমার ক্বলব হয় তাগুতকে নিঃশেষ করার স্বপ্ন দেখে নতুবা শাহাদাহর স্বপ্ন দেখে। এমন দিন না আসুক, ঈমান-কুফরের লড়াইয়ে কুফর জয়ী হবে আর আমার ঈমান বিক্রি হবে। আমার দ্বারা আমাদের একমাত্র সত্য দ্বীনের ক্ষতি হবে, আমাদের দ্বীন অসম্মানিত হবে এবং শত্রুদের কাছে আমাদের দ্বীন ঠাট্টার বিষয় হবে। এমন লড়াইয়ের সম্মুখে দ্বীনের সিংহ-সিংহীদের মতো আমিও যেনো বজ্রকন্ঠে ঘোষণা করতে পারি- 'لآ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللّٰهِؕ' যখন থেকে দ্বীনের প্রতি সতর্ক হয়েছে অন্তর, তখন থেকে (দ্বীনের পথে আজীবন অটল থাকার নিয়তে) একটি চাওয়া পূরণের লক্ষ্যে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে দুআ করেই যাচ্ছে-"একজন সত্যিকারের তাকওয়াবান ব্যক্তি যিনি সমস্ত কর্মে আল্লাহ তা'য়ালার বিধানকে ফার্স্ট প্রায়রিটি দেন, এমন একজন ব্যক্তির উত্তম আহলিয়া হওয়া"। তাছাড়া যিনি সত্যিকার অর্থে দ্বীনকে চিনেছেন তিনি সহায়-সম্বলহীন হলেও অতি তাওয়াক্কুলের সাথে স্বপ্ন দেখেন, জীবনে অন্তত একবার হলেও 'বাইতুল্লাহর মুসাফির' হওয়ার। আমার বেলায়ও ঘটেছে এমন। কাবা চত্বরে হাজিরা দেওয়া এবং মদিনার অলিগলির পথচারী হওয়ার জন্য মন তীব্র ছটফট করে। খুব ইচ্ছে বিয়ের পরপরই আমার অনাগত জীবনসঙ্গীর সাথে হজ্ব/উমরাহ করার। ইয়া আল-ওয়াহহাব! আমার সমস্ত নেক চাওয়া-পাওয়া সমূহের একটি সুন্দর পূর্ণতা দিন। আমীন। একটি বিষয় মোটাদাগে লক্ষণীয়, পরিবারের চাপে জেনারেল পড়াশোনা যখন কন্টিনিউ করেছিলাম তখন পরতে পরতে অনুধাবন করেছি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কতটা ফিতনা বর্তমান রয়েছে। ইদানীং এসবের গতিবিধি দেখলে মনে হয়ে ভবিষ্যতে ঐসব প্রাঙ্গনে ফিতনার আকার আরও বিশাল হতে পারে। তো এদিক দিয়ে চাইব আমার ভবিষ্যত প্রজন্ম শুধুই দুনিয়াবী শিক্ষা নয়, বরং এমন শিক্ষা পেয়ে বড় হোক যা দ্বীন-দুনিয়া-আখিরাতের জন্য উপকারী। তারা এমনভাবে বেড়ে উঠুক যাতে রয়েছে আল্লাহ তা'য়ালার সন্তুষ্টি। তারা হোক উম্মাহ দরদী মানব-মানবী। ওয়া মা তাওফিকি ইল্লা বিল্লাহ। আল্লাহ তা'য়ালার রাস্তায় জীবনসঙ্গী এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে বিলিয়ে দেওয়াকেও আমি যুহদের অন্তর্ভুক্ত মনে করি। ইলম অর্জন করা এবং তদানুযায়ী আমল করা কখনোই নিজের কাছে পরিপূর্ণ মনে হয়নি। এখনও নিজেকে দ্বীনি এবং উপকারী ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী মনে হয়। দ্বীন-সম্পর্কিত অজানা বিষয়াদি জানতে এবং মানতে প্রবল আগ্রহী। আল্টিমেটলি, নিজেকে বড় ভাবার মত এ জীবনে কোনোকিছুই পাই নি। আল্লাহ তা'য়ালার গুণবাচক নামসমূহ নিয়ে চিন্তা করলে নিজেকে অতি ক্ষুদ্র এক মানবী মনে হয়। Indeed Allah knows me in the bestest way. "নিশ্চয়ই আমার সালাত,আমার কুরবানি,আমার জীবন ও আমার মরণ সবই বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহ তা'য়ালার জন্য।" [সূরা আনআম,আয়াত:১৬২] |
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন | প্রযোজ্য নয় |
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? | হানাফি |
নজরের হেফাজত করেন? (Required) | চেষ্টা করি |
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? | দ্বীনি ইলম অর্জনে লেগে থাকা। এমন একটি পরিবার গঠন করা যেখানে কুরআন-সুন্নাহের সুবাস ছড়াবে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে উত্তম তরবিয়ত দেওয়া। অনাগত জীবনসঙ্গীর সাথে হজ্ব/উমরাহ করা। সর্বোপরি, আত্মিক বাহ্যিক সর্বদিক দিয়ে আরও ভালো মুসলিমাহ হয়ে আল্লাহ তা'য়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করে পরিবারসহ জান্নাতের বাসিন্দাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া। বি ইযনিল্লাহ। |
অবসর সময় কিভাবে কাটান? (Required) | নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পছন্দ করি। বলতে গেলে অবসরও কাটে ব্যস্ততায়। যেমন- অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াত করে,বই পড়ে, পরিবারের বাচ্চাদের সাথে সময় কাটিয়ে, মাঝেমধ্যেই নতুন নতুন রেসিপির আয়োজন করে...ইত্যাদি। |
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? (Required) | বাবা-মায়ের খেদমতে সঁপে দেওয়ার চেষ্টা করি, রান্নাঘরে মাকে সাহায্য করি, প্রতিদিন ঘর গুছিয়ে রাখি, মাঝেমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের রান্নাবান্না করি। |
নারী-পুরুষ সমঅধীকার বিষয়টাকে আপনি কিভাবে দেখেন? (Required) | এটি পশ্চিমাদের তৈরি একটি ভ্রান্ত মতবাদ। এমন চিন্তা যেমন নারীদের ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয় তেমনি পুরুষদেরও। শরীয়ত অনুযায়ী নারীরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে আর পুরুষরা পালন করবে পুরুষদের দায়িত্ব। একমাত্র শরীয়ত ব্যতীত কিংবা শরীয়তের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় যত থিওরি রয়েছে সবই শয়তানের ফাঁদ। |
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? | হ্যাঁ, রাজি। |
---|---|
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? | আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন আর গুনাহ থেকে দূরে থাকার লক্ষ্যে বিয়ে সম্পন্ন করতে চাচ্ছি। বিয়ে হলো এমন একটি বন্ধন যেথায় একে অপরের প্রতি ভালোবাসা সচল রেখে দায়িত্বশীল এবং শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয়। বিয়ের মাধ্যমে গঠিত হয় একটি আদর্শ পরিবার যদি সেই পরিবার পরিচালিত হয় আল্লাহ তা'য়ালার বিধান অনুযায়ী ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহকে আলিঙ্গন করে। তাছাড়া নিজের চরিত্রকে হেফাজত করা যায়। একাকীত্ব দূরীকরণ হয় বিধায় মানসিক প্রশান্তি লাভের পথ সুগম হয়। ইসলামিক ওয়েতে পরিবার গঠিত হলে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই হতে পারেন একে অপরের রিমাইন্ডার- চিরস্থায়ী স্থানের উত্তম পাথেয় সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে। অধিকন্তু, জীবনসঙ্গীর পূণ্যকাজে অনুপ্রেরণা প্রদানে কিংবা ভেঙ্গে পড়ার দিনে আশার আলোর সন্ধান দিতে বিয়ে ভালোই অবদান রাখে। সর্বোপরি, হালালভাবে বংশ বিস্তারে বিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহু আ'লাম। সুফিয়ান বিন উয়াইনার নিকট এক ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে বলল, 'হে আবূ মুহাম্মাদ! আমি আমার স্ত্রীর ব্যাপারে আপনার নিকট অভিযোগ জানাচ্ছি। আমি এখন তার নিকটে সবচেয়ে অপমান ও ঘৃণার পাত্র!' এ কথা শুনে সুফিয়ান কিছু সময় মাথা নামিয়ে থাকলেন। অতঃপর মাথা তুলে বললেন, 'সম্ভবতঃ তুমি সম্মান পাওয়ার লোভে তাকে পছন্দ করেছ?' সে বলল, 'আবু মুহাম্মাদ! জী হ্যাঁ।' তিনি বললেন, 'যে ব্যক্তি সম্মান খুঁজতে বিবাহ করে, অপমান তার প্রাপ্তি হয় এবং যে ব্যক্তি ধনী হওয়ার জন্য বিবাহ করে, দরিদ্রতা তার প্রাপ্তি হয়। আর যে ব্যক্তি দ্বীন খুঁজে বিবাহ করে, আল্লাহ তার জন্য দ্বীনের সাথে সম্মান ও ধনকে একত্রিত ক'রে দেন।' [হিলয়্যাতুল আওলিয়া ৭/২৮৯] |
আপনি কি বিয়ের পর চাকরি করতে ইচ্ছুক? | বাইরে তো নয়, অপ্রয়োজনে ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা করারও ইচ্ছে নেই। |
বিয়ের পর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান? (ছাত্রী হলে) | যেকোনো অবস্থায় দ্বীনী জ্ঞানার্জনের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। ইন শা আল্লাহ। |
বিয়েতে কেমন মোহরানা নির্ধারন করতে চান? | ছেলের সাধ্যমত আলোচনা সাপেক্ষে |
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? | আর্থিক অবস্থা ও গায়ের রং |
আপনার স্বামীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? | স্বামীর আনুগত্য করা (যদি তাঁর আদেশ-নিষেধ শরীয়তের গন্ডির ভেতরে হয়)। দায়্যুস হওয়া থেকে বাঁচানোর জন্য নিজেকে পরপুরুষ থেকে আগলে রাখা। তাঁর আমানতের হেফাজত করা। যেকোনো মুহুর্তে শ্রদ্ধা, বিনয়, ভালোবাসা গুণসমূহের সমন্বয়ে তাঁঁর সাথে উত্তম আচরণ করা...চিন্তা করলে আরও কত কি আছে! |
বিয়ের পর কোথায় থাকতে চান? | স্বামীর বাড়ি |
বয়স (Required) | ২৬-৩৫ |
---|---|
গাত্রবর্ণ | কালো, শ্যামলা, উজ্জ্বল শ্যামলা। (as Allah wants) |
নূন্যতম উচ্চতা | ৫+ |
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা | প্র্যাকটিসিং প্লাস দ্বীনের জ্ঞানার্জন চলমান) HSC-আলিম/ দায়ী ইলাল্লাহ |
বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিত |
জীবনসঙ্গীর দাড়ি বা ইনকাম সম্পর্কে যা চান- (Required) | সুন্নতি দাঁড়ি এবং হালাল ইনকাম হওয়া আবশ্যক। আয়-উপার্জন অল্প হলেও তাকওয়া অবলম্বন করা যেনো হয় আকাশচুম্বী। |
পেশা (Required) | পেশার দিক দিয়ে আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি আয়াত হলো: 'আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন' (সূরা বাক্বারাহ :২৭৫)। Foreigner(Kuffar Country), Banker, Govt. Job , not allowed. |
অর্থনৈতিক অবস্থা | স্বচ্ছল/মধ্যবিত্ত/উচ্চ মধ্যবিত্ত। |
পারিবারিক অবস্থা (Required) | দ্বীনি পরিবার বা দ্বীন পালনে সহযোগী, যেহেতু একক পরিবারের মেয়ে তো এদিক দিয়ে ছোট্ট ফ্যামিলিতে(বরের বাবা-মা, বোন সহিত) সহজে খাপ খাইয়ে নিতে পারব বলে মনে হয়, যে পরিবারের প্রতিটি সদস্যদের কথা-আচরণে চক্ষু-অন্তর শীতল হয়, কনের পরিবারের প্রতিটি শ্রদ্ধাভাজন সদস্যদের প্রতি থাকবে শ্রদ্ধাশীল মনোভাব। এমন পরিবার থেকে পানাহ চাই, যে পরিবারে কথায়-কর্মে ঝগড়া-বিবাদ, হিংসা-বিদ্বেষ, অহংকার, অরুচিশীল আচরণ লেগেই থাকে। |
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন | তাকওয়াবান। যে মানুষ অন্তরে তাকওয়া লালন করেন তার পক্ষে জামাতে নামায আদায় করা, দৃষ্টি হেফাজত করা, অনলাইন-অফলাইন নন-মাহরাম মেইনটেইন করা, ব্যবসার ক্ষেত্রে শরীয়াহ মানা, হালাল কর্মে আগ্রহী হওয়া, যেকোনো মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করা-কষ্টসাধ্য ব্যাপার নয়। তাছাড়া হালাল-হারাম বিষয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ করেন না, ইভেন সন্দেহপূর্ণ জিনিস থেকেও নিজেকে দূরে রাখেন। সহজ কথায়, 'শুনলাম এবং মানলাম' আয়াতের ওপর আমল করেন। সর্বোপরি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজের জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে (দৈনন্দিন রুটিন, আখলাক এবং লেবাসে) একমাত্র রোল মডেল মনে করেন, পাশাপাশি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সালাফদের অনুসরণ করেন/করার আপ্রাণ চেষ্টারত থাকেন। প্রতিটি মাযহাবের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব পোষণ করেন এবং আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআত আকিদাহ অন্তরে-আমলে লালন করে থাকেন। দায়িত্ববান। নিজ পরিবারের সদস্যদের দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট যত্নশীল থাকেন। আই থিংক, যে মানুষটা নিজের বাবা-মা এবং ভাই-বোনদের যথাযথ হক পালন করে তাঁর পক্ষে তাঁর স্ত্রীর দায়িত্ব পালনও রহমত মনে হয়। এক কথায়, বাবা-মায়ের দায়িত্বশীল ছেলে, ভাই-বোনদের দায়িত্বশীল ভাই, স্ত্রীর দায়িত্বশীল স্বামী, সন্তানদের দায়িত্বশীল বাবা এবং উম্মাহের জন্য দায়িত্বশীল মানব.... গায়রতবোধসম্পন্ন। বন্ধুমহলে স্ত্রীর প্রশংসা করা দূর কি বাত, স্ত্রীর নাম না বলা-এমন মনোভাব পোষণ করা। প্রাইভেসির ব্যাপারে কঠোর থাকতে হবে। অযথা নিজের ছবি তোলে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ না করা। স্ত্রীর কোনো ভুল নজরে পরলে অন্যকে না বলে স্ত্রীকে জানিয়ে শোধরানোর সুযোগ দেওয়া। দাম্পত্য জীবনের সুখ, দুঃখ, ভালো-খারাপ লাগা-এক কথায় সমস্ত দিক নিজেদের মধ্যে রাখা। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যে আয়োজন, সেই আয়োজন শুধুমাত্রই আল্লাহর গোচরে থাকুক-এমন কামনা অন্তরে রাখা। অপরদিকে, বিপদাপদে অন্যের কাছে হাত না পেতে প্রথমে আল্লাহ তা'য়ালার কাছে সাহায্য চান। আত্মশুদ্ধিওয়ালা এবং নিজের ভুলভ্রান্তির জন্য রীতিমত অনুশোচনায় দগ্ধ হয় এমন অন্তর। যাঁর কথা-ব্যবহারে পাশের মানুষজনের চক্ষু-অন্তর শীতল হয়। অযথা খরচে আগ্রহী নন, আবার কৃপণতাও এড়িয়ে চলেন। আর দ্বীনের খেদমতের সাথে যদি জড়িত থাকেন তাহলে কারোর কাছে পারিশ্রমিক গ্রহণ করার মনোভাব না থাকা (মানে এই মহান কাজগুলো একমাত্র আল্লাহ তা'য়ালার জন্য হওয়া আরকি)। উম্মাহ দরদী মানব। উম্মাহের অধঃপতনে নিজের অন্তর ভারাক্রান্ত হয় এবং নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রাখেন উম্মাহের সার্বিক কল্যাণে। এমন অন্তরের প্রতি আমার সমর্থন সর্বদা জাগ্রত থাকবে। ইন শা আল্লাহ। যিনি আমার জীবনসঙ্গী হবেন তিনি এবং তাঁর পরিবারের শ্রদ্ধাভাজন সদস্যগণ আমাকে দ্বীনের ইলম অর্জনে এবং পালনে সাহায্য করলে, এটাই হবে আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া। ওয়াল্লাহি, আমার ধন-সম্পদ হারানোর ভয় ততটা হয় না যতটা আল্লাহ তা'য়ালাকে ভুলে যাবার ভয় হয়। তাই আমি চাই আমার জীবনসঙ্গী হবেন সেই ব্যক্তি যাঁকে দেখলে আমার আল্লাহ তা'য়ালাকে স্মরণ হবে। যাঁর সান্নিধ্যে থাকলে আমার তাকওয়া-ঈমান বৃদ্ধি পাবে। যিনি শুধুমাত্র জীবনসঙ্গীর ভূমিকা পালন করবেন না, দ্বীনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষকেরও ভূমিকা পালনে অগ্রসর থাকবেন। আশা করি, জীবনসঙ্গী ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার চাকচিক্যের কথা ভুলিয়ে স্বপ্ন দেখাবেন চিরস্থায়ী সুখের স্থান জান্নাতুল ফিরদাউসের। একপাক্ষিক দিক অবশ্য অপছন্দ করি। এজন্য আমি যেভাবে চাই আমার জীবনসঙ্গী আমার দ্বীন-দুনিয়া-আখিরাতের জন্য কল্যাণকর হবেন, হুবহু আমিও যেন হই তাঁর দ্বীন-দুনিয়া-আখিরাতের জন্য কল্যাণকর! উল্লেখ্য, আমি দ্বীন থেকে ঝরে পড়ার ভয়ে সহশিক্ষা ত্যাগ করেছি। পরবর্তীতে আমার একমাত্র স্বপ্ন হয়ে দাঁড়ায় শরীয়ত সম্মত বিয়ে করা আর বিবাহিত জীবনের ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছি- ইসলামিক ওয়েতে সংসার পরিচালনা করার জন্য একজন সাংসারিক স্ত্রীর এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একজন ফুল-টাইম আদর্শ মা প্লাস শিক্ষিকার ভূমিকা পালন করাকে। সহজ কথায়, রব্বাতুল বাইত হওয়া। তাই অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে চাই এমন কেউ আমাকে প্রপোজাল পাঠাবেন না যিনি বিয়ের পর নিজের পরিবারে নিজের স্ত্রীকে পর্দার ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন না এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি ইসলামিক পরিবেশ গড়ে তোলতে পারবেন না। সেই সাথে মডারেট চিন্তা-চেতনা লালন করেন, অশালীন কথাবার্তায় অভ্যস্থ, ক্ষেত্রবিশেষে ব্যক্তিগত ফায়দা লাভের উদ্দেশ্যে সামাজিক কুপ্রথা ও কুসংস্কারকে ধর্ম বলে আখ্যায়িত করেন এমন ব্যক্তি এবং ফ্যান্টাসিতে ভোগা অন্তর থেকেও আশ্রয় চাই। অনেক বিষয়াবলি আছে শিথিলযোগ্য, তবে সর্বক্ষেত্রে তাকওয়া লালন করা, একজন সৎ ব্যবসায়ী, শত বাধা পেছনে ফেলে একদম কম খরচে নিকটস্থ মানুষের উপস্থিতিতে সুন্নাহকে কেন্দ্র করে বিবাহ করা এবং স্ত্রীকে যেকোনো মূল্যে (বরের ভাই, বালেগ ভাগনা এবং অন্যান্য পরপুরুষদের সাথে) পর্দায় রাখার মন-মানসিকতা থাকা বাধ্যতামূলক। পরিশেষে বলব, আমি বিশ্বাস করি অনলাইনে ভালো-খারাপের মিশ্রণ রয়েছে। সবচেয়ে আতংকের বিষয় হলো 'খারাপরা ভালো সাজতে পারেন'। এই পন্থা অবলম্বন করে কেউ যদি বায়োডাটা পাঠান, তাহলে জেনে রাখবেন, আল্লাহ তা'য়ালা সূক্ষ্মদর্শী। নিশ্চয়ই, আল্লাহ তা'য়ালা দৃশ্য-অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। |
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? (Required) | সিলেট। |
পেশা সম্পর্কিত তথ্য (Required) | ত্বলিবাহ। |
---|---|
বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান | ১. সমমনা আর বায়োডাটা পছন্দ হলে আপনার বায়োডাটা প্রথমে ইমেইল করার অনুরোধ রইল। বি.দ্র: উপায়ান্তর না থাকার কারণে 'অভিভাবকের নং' ঘরে বড় বোনের নং দিতে হয়েছে। তাই যিনি প্রপোজাল পাঠাবেন তিনি যেন তাঁর মাহরাম কোনো মহিলা সদস্য দ্বারা আমার অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করেন। ২. কনে দেখার দিন কোনো নন-মাহরাম সাথে নিয়ে আসা যাবে না। ইভেন নিজের বাবাকেও না। আর যদি নিয়েও আসতে হয়, কামনা করি কনে দেখার কোনো নিয়ত যেনো না থাকে। কনের ফটো-তোলার সংস্কৃতি থেকে দূরে থাকবেন। saying again, আমি একদমই নিজের ছবি তুলি না। ৩. বিয়ে না হওয়া অব্দি সোস্যাল মিডিয়ায় কনের সাথে অপ্রয়োজনীয় আলাপচারিতায় না জড়ানো। ৪. উভয়পক্ষ আর্থিক চাপের মধ্যে না গিয়ে নিকটস্থ কম মানুষের উপস্থিতে অতি সাধারণভাবে সুন্নাহ মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন করতে আগ্রহী। বিয়ের পোশাক থেকে শুরু করে অন্যান্য ক্ষেত্রে জাঁকজমক বাঞ্চণীয় নয়। ফ্রি- মিক্সিং মুক্ত পরিবেশ আয়োজন করার জন্য কঠোরতা থাকা চাই। ফটোগ্রাফির তো প্রশ্নই উঠে না। বিয়েটা এতটা জাঁকজমকহীন সম্পন্ন করতে চাই যেনো অন্যদের জন্য দাওয়াহ হয় এবং অন্যরা বুঝতে পারেন ইসলামে বিয়ে কতটা সহজ! ৫. যৌতুক চাওয়া-পাওয়ার কোনো কথাই যেন না উঠে। আমি এসবের ঘোর বিরোধী। যদি আমার পরিবার দিতেও চায়, এতে দ্বিমত পোষণ করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। কোনোভাবেই গ্রহণ করা যাবে না। ৬. মোহরানা বাকি রাখা যাবে না। অনাগত জীবনসঙ্গীর সামর্থ্য অনুযায়ী প্রদান করা এবং সেটা গ্রহণ করা মনঃস্থির করেছি। ৭. ইসলামিক ওয়েতে সাংসারিক লাইফ পরিচালনা করার আকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে। |
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? | হ্যা |
---|---|
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? | হ্যা |
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? | হ্যা |
এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।
অভিভাবকের সাথে যোগাযোগসর্বমোট ভিউ: 598 ভিউস