male

বায়োডাটা নাম্বার

AH-110931

পাত্রের বায়োডাটা

অবিবাহিত

নওগাঁ

রাজশাহী বিভাগ

নওগাঁ

রাজশাহী বিভাগ

১৯৯৪

ফর্সা

৫'৫''

৬৫ কেজি

O+

ছাত্র/ছাত্রী

আপাতত ২৫,০০০/৩০,০০০ টাকা, আলহামদুলিল্লাহ। তবে এটাকে আরও বড় পরিসরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নিয়ত আছে ইংশা-আল্লাহু তা'আলা।


ঠিকানা
স্থায়ী ঠিকানা গ্রামঃ নিন্দইন, পোস্ট অফিসঃ ভীমপুর, ইউনিয়নঃ বলিহার ১০নং, উপজেলাঃ নওগাঁ সদর, জেলাঃ নওগাঁ।
বর্তমান ঠিকানা স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা একই। but বাসায় থাকা হয় না, আমি পড়াশুনার উদ্দেশ্যে মিসর দেশে পাড়ি জমাইছি। বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ আল-আযহার ইউনিভার্সিটিতে গ্রাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেয়ে সেখানে অধ্যয়নরত আছি, আলহামদুলিল্লাহ।
কোথায় বড় হয়েছেন? (Required) নিজ গ্রামেই। তবে মাঝে মধ্যে নানা বাড়ি থেকে পড়াশুনা করতাম স্কুলে এবং পরবর্তীতে মাদ্রাসায়। because, স্কুল ও মাদ্রাসাটি আমাদের আর নানাদের বাড়ির মাঝামাঝি ছিল। বরং স্কুল ও মাদ্রাসাটি নানাদের বাড়ির নিকটবর্তী ছিল। যার কারণে বলতে গেলে নিজ বাড়ি ও নানাবাড়ি উভয়টা মিলেই আমার Childhood তথা শৈশবকাল বেড়ে ওঠা।
সাধারণ তথ্য
বায়োডাটার ধরন পাত্রের বায়োডাটা
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
বর্তমান ঠিকানা নওগাঁ
বিভাগ রাজশাহী বিভাগ
স্থায়ী ঠিকানা নওগাঁ
বিভাগ রাজশাহী বিভাগ
জন্মসন (আসল) ১৯৯৪
গাত্রবর্ণ ফর্সা
উচ্চতা ৫'৫''
ওজন ৬৫ কেজি
রক্তের গ্রুপ O+
পেশা ছাত্র/ছাত্রী
মাসিক আয় আপাতত ২৫,০০০/৩০,০০০ টাকা, আলহামদুলিল্লাহ। তবে এটাকে আরও বড় পরিসরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নিয়ত আছে ইংশা-আল্লাহু তা'আলা।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? (Required) মাদ্রাসা
আপনি কি হাফেজ? হ্যাঁ
দাওরায়ে হাদীস পাশ করেছেন? হ্যাঁ
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা ১। আত্তাখাসসুসু ফী 'উলূমিল ফিক্হ। (তথা ফতোয়া বিভাগ বা মুফতী লাইন) ২। আত্তাখাসসুসু ফী 'উলূমিল হাদীস। (তথা হাদীসশাস্ত্র নিয়ে গবেষণা বা মুহাদ্দিস লাইন।
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা আমি প্রাথমিক শিক্ষা নওগাঁ সদর, হাসাইগাড়ি ইউনিয়নে অবস্থিত "ভীমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়" থেকে করেছি তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত। এরপর আমার সম্মানিত নানাজান আমাকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অদূরে "ভীমপুর দারুল 'উলূম ক্বওমী মাদ্রাসায়" ২০০৫ সনে নূরানীতে ভর্তি করিয়ে দেন। আমরাই সেই মাদ্রাসার প্রথম ছাত্র-ছাত্রী ছিলাম। সেখানেই কৃতিত্বের সঙ্গে তিন বছরের নূরানী বিভাগের পরিপূর্ণ কোর্স সম্পন্ন করি। আর প্রত্যেক বছরেই ১২০-৩০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করার সৌভাগ্য হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, তৃতীয় বছর ফাইনাল পরীক্ষায় ৯টি বিষয়ের প্রত্যেকটিতেই ১০০ মার্ক করে টোটাল ৯০০ নাম্বার উঠাতে সক্ষম হয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। অতঃপর সেই মাদ্রাসাতেই হেফজখানায় ভর্তি হয়ে আল্লাহ তা'আলার মহামান্বিত ঐশীবাণী মহা গ্রন্থ আল-ক্বুরআনুল কারীম এক বছর মোটামুটি চার মাসের মধ্যেই আল্লাহ তা'আলার রহমতে সম্পন্ন করে ফেলি, আলহামদুলিল্লাহ। সেখানেও প্রথম স্থান অর্জন করার সৌভাগ্য হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। তারপর তো কিতাব লাইনে ভর্তি হই। সেখানে আরবীর পাশাপাশি বাংলা, অংক ও ইংরেজি পড়ানো হয়। এরপর আর জেনারেলে পড়ার সুযোগ হয় নাই। তবে ব্যক্তিগত ভাবে অনেক বই পড়েছি, এখনও পড়ে যাচ্ছি, আলহামদুলিল্লাহ। বিশেষ করে ইংলিশে নিজেকে দক্ষ করে তোলার চেষ্টা অব্যাহত আছে। যাতে করে আমি আরবী লেকচারার এর পাশাপাশি একজন দক্ষ ইংলিশ লেকচারার হতে পারি। এবং পুরা বিশ্ববাসীর কাছে ইসলামের সুন্দর্যকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরতে পারি ইংশা-আল্লাহু তা'আলা। একাধারে টানা এগারোটি বছর (মাঝে এক বছর বাদে) প্রত্যেক বছরেই প্রথম স্থান অর্জন করার সৌভাগ্য হয়েছে, আলহামদুওলিল্লাহ।
IOM তথ্য
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? না
পারিবারিক তথ্য
পিতার পেশা আমার আব্বু কোন চাকরি বা ব্যবসা করেন না। নিজস্ব ক্ষেত ফসলের জমাজমি আছে সেগুলো শ্রমিকদের মাধ্যমে দেখাশুনা ও চাষাবাদ করেন।
মাতার পেশা রব্বাতুল বাইত তথা গৃহিণী।
বোন কয়জন? বোন নেই
ভাই কয়জন? ২জন
ভাইদের সম্পর্কে তথ্য আমরা মোট তিন ভাই। ভাইদের মধ্যে আমিই বড়। এখানে নিজের সম্বন্ধে কিছু কথা বলতে চাচ্ছি। আর তা হলো, আমার জন্ম যদিও ১৯৯৪ সনে। but আমাকে দেখতে বেশি বয়স মনে হয় না। আমার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনরাও আমার এতো বয়স বিশ্বাস করেন না। তাঁরা আমাকে শৈশব থেকে চিনেন ও জানেন, তারপরও মনে করেন যে, আমার বয়স হয়তো বেশি থেকে বেশি ২৭/২৮ হবে। আর যাঁরা নতুন দেখেন, তাঁরা তো মনে করেন যে, আমার বয়স ২৫/২৬ হবে। মিসরীয় অনেক ভাই তো ২২ বছর ধারণা করেন। actually পড়াশুনার কারণেই বয়সটা একটু বেড়ে গেছে। এইজন্য আবার কেউ মনে করেন যে, এতো বয়স! না জানি দেখতে আবার কেমন লাগে। So no tension, এই ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন। আর যেই ভাগ্যবতী মেয়ে আমাকে স্বামী হিসেবে পাবেন, আশা করি সে আমাকে স্বামী হিসেবে পেয়ে ঠকবেন না ইংশা-আল্লাহু তা'আলা। আর আরেকটি বিষয় হলো, এখানে আমার যেই রক্তের গ্রুপ দেওয়া আছে মূলতঃ এটা আমার রক্তের গ্রুপ নয়। কারণ আমার রক্তের গ্রুপ জানা নেই। কিন্তু কোন একটা না দিলে সেফ হচ্ছে না। যার কারণে সাধারণত সকলের যেতে হয়ে থাকে সেটাই দিয়েছি। আমার ছোট যেটা সে স্কুলে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। তারপর এলাকার ছেলেদের পাল্লায় পড়ে ঢাকা গার্মেন্টসে যাওয়ার মনস্থ করে। even সে যাওয়ার জন্য টিকিটও করে ছিল। আমি তখন মাদ্রাসায় পড়তাম। খবর পেয়ে বাসায় আসলাম। যাওয়ার জন্য বারণ করলাম। বললাম টিকিট নষ্ট হয়ে যায় যাক, যাওয়ার দরকার নেই। but তারপরও সে চলে যায়। মূলতঃ এলাকার ছেলেরা তাকে প্রলোভন দেখায় ছিল। যার কারণে সে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিল। than আমি মন খারাপ করে কান্না করতে করতে মাদ্রাসায় চলে যাই। তাকে মাদ্রাসায় পড়ানোর খুবই ইচ্ছা ছিল কিন্তু সেটা আর হয় নাই। দীর্ঘ কয়েক বছর গার্মেন্টসে কাজ করে। তবে সে অবশ্য অনেক নম্র ও ভদ্র স্বভাবের ছেলে। খুবই কম কথা বলে। এতো বড় হয়েছে আমি কখনোই তাকে কারো সঙ্গে কোনো গণ্ডগোল, ফাসাদ বা ঝামেলা করতে দেখি নাই। মনে হয় সে এগুলো বুঝেই না। এতোটাই নরম সে। অতঃপর তাকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। কিন্তু দালালেরা প্রতারণা করে। কাজের ব্যবস্থা করে দিবে দিবে বলে করে দিতে পারে নাই। পরে আমি নিজেই একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেলাই মেশিনের কাজের ব্যবস্থা করে দিই। ভালোই চলছিলো। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। তাঁরা একসঙ্গে ৫৪ জন ছিল এক বিল্ডিংয়ে। একদিন পুলিশে অভিযান চালিয়ে সকলকেই ধরে নিয়ে যায় অনেকের একামা থাকা সত্ত্বেও। অপরাধ হলো, এইভাবে বিল্ডিং ভাড়া নিয়ে কাজ করা সরকারীভাবে অবৈধ। তারপর কিছুদিন জেলে রেখে দেশে পাঠিয়ে দেয়। সে সৌদিতে দেড় বছরের মত ছিল। আলহামদুলিল্লাহ বর্তমানে সে আমার কাছে মিসরে আছে। একটা গার্মেন্টস্ কোম্পানিতে কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এখন সে অনেক ভালো আছে এবং মোটামুটি স্যালারি পাচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ। আর সবার ছোট যেটা সে মাদ্রাসায় পড়ে। মেজোটাকে পড়াইতে পারি নাই দেখে তাকে খুব ছোট থাকতেই মাদ্রাসায় নিয়ে যাই। সে নূরানী বিভাগের তিন বছর পরিপূর্ণ শেষ করেছে। তারপর হেফজখানায় ভর্তি হয়। কিন্তু হেফজ পরিপূর্ণ শেষ করতে পারে নাই। পরবর্তীতে কিতাব লাইনে ভর্তি করিয়ে দিই। দীর্ঘ কয়েক বছর আমার সঙ্গেই ছিল। আমি তো মিসর চলে আসি। আমরা এক সঙ্গে যশোর যেই মাদ্রাসায় পড়তাম বর্তমানে সেখানে সে এই বছর কিতাব লাইনে নাহবেমীর জামা'আত তথা চতুর্থ শ্রেণী শেষ করলো। সে সবার ছোট তো, আবার বয়স কম এইজন্য একটু দুষ্টু টাইপের। তবে এমনিতে সেও খুব নম্র ও ভদ্র ছেলে। কারো সঙ্গে দ্বিধাদ্বন্দ্বে জড়ায় না। অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে কথা কম বলে।
চাচা মামাদের পেশা আমার বাবারা মোট ছয়জন ভাই। (১) বড় আব্বু। তিনি একজন শিক্ষিত ব্যক্তি। খুবই শান্ত স্বভাবের। সকল ভাইদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি নম্র ও ভদ্র। সবার শ্রদ্ধেয়ভাজন। নিজস্ব জমাজমি আছে সেগুলো দেখাশুনা করেন। (২) আমার বাবা। (৩) তিনিও খুব শান্ত মেজাজের এবং কাজে কর্মে খুবই কর্মঠ। নিজস্ব ক্ষেতান ভূমি আছে সেগুলো চাষাবাদ করেন। (৪) তিনি একজন শিক্ষিত ব্যক্তি, ঔষধ কোম্পানীতে চাকরি করতেন। পরবর্তীতে সৌদি চলে যান। দীর্ঘ সাত বছর সৌদিতে ছিলেন। তবে বর্তমানে বাসায় রয়েছেন। নিজস্ব জমাজমি আছে সেগুলো দেখাশুনা করেন। (৫) তিনি একজন ব্যবসায়ী। এলাকার কাঁচা মালামাল তথা তরিতরকারি ইত্যাদি কিনে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দেন। আর পাশাপাশি নিজস্ব ক্ষেত ফসল আছে, সেগুলোও দেখাশুনা করেন। (৬) আমার প্রিয় সর্ব কনিষ্ঠ চাচা (যিনি আমাকে নিয়ে খুবই গর্ববোধ করেন ও অনেক স্বপ্ন দেখেন এবং আমাকে সব সময় সাহস জোগায়) তিনি শৈশবকাল থেকেই পড়াশুনার উদ্দেশ্যে নওগাঁ সদরে থাকতেন। তিনি একজন ইংলিশ টিচার। ইংলিশে অনার্স করেছেন। বর্তমানে পরিবার নিয়ে নওগাঁ শহরে থাকেন। সেখানেই তিনি জব করেন। আলহামদুলিল্লাহি আমার বাব-চাচারা সকলেই প্রতিষ্ঠিত। সকলেরই ইটের দালান বাড়ি রয়েছে। এবং অর্থনৈতিক ভাবে সকলেই সচ্ছল। আর মামা একজন। তিনি সবার বড়। শিক্ষিত একজন ব্যক্তি। সৌদি প্রবাসী ছিলেন। সৌদি থেকে আসার পর চালের মিলে যৌথ ব্যবসা করতেন। তবে বর্তমানে একেবারে বাসায় চলে আসছেন। বাড়ির সামনে আরসিসি ঢালাই দিয়ে একটি ঘর নির্মাণ করতেছেন, সেখানে মুরগি, ছাগল বা গরুর খামার দিবেন। পাশাপাশি নিজস্ব ক্ষেত ফসল আছে, সেগুলোও চাষাবাদ ও দেখাশুনা করবেন।
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা আলহামদুলিল্লাহ অর্থনৈতিক অবস্থা মোটামুটি ভালো। আমরা আমাদের নিজস্ব বসত বাড়িতেই থাকি। দীর্ঘ জায়গা নিয়ে তিন রুমের দুই তলা চারিদিকে পাঁচিল বিশিষ্ট ইটের বাসা। সামনে ফাঁকা জায়গা আছে চাইলে সেখানেও একটি বাসা নির্মাণ করা যাবে। বাড়ির সঙ্গেই মিলিত আশেপাশে জমি রয়েছে। চাইলে এরিয়া অনেক বড় করা যাবে। আর মাঠে তরিতরকারি, যেমন আলু, পোটল, গম, ভুট্টা, বাদাম, রসুন, পেঁয়াজ ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত ফসলের জমি রয়েছে। এবং মাঠে মোটামুটি নিজস্ব ধানের ক্ষেত রয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, ছুম্মাল হামদুলিল্লাহি আল্লাহ তা'আলা আমাদের অনেক ভালো রেখেছেন। কখনো কোন ধরণের অভাব অনটনের সম্মুখীন হতে হয় না, আলহামদুলিল্লাহ। আর সামাজিকভাবে সম্মানিত। Actually আমাদের পুরো পরিবারটাই, বলতে গেলে আমাদের বংশটাই খুবই নরম ও আন্তরিক, আলহামদুলিল্লাহ। পুরো এলাকায় আমার বাব-চাচাদের প্রসিদ্ধি ও সুনাম রয়েছে। অনেকের মুখেই এটা শুনা যায় যে, এই গ্রামে একটা পরিবার আছে, যাঁদের মধ্যে কোন ধরণের পরস্পর কলহ-বিবাদ নেই। ভাইদের মাঝে হানাহানি, মারামারি, গণ্ডগোল-ফাসাদ কোন কিছুই নেই। তাঁরা পরস্পর খুবই আন্তরিক। কোন ছেলে-মেয়েদের ব্যাপারে কোন ধরণের রিপোর্ট বা বদনাম নেই। একটা কথা আছে না, পিতা-মাতা ভালো হলে সন্তানগুলোও ভালো হয়। আলহামদুলিল্লাহ, ছুম্মাল হামদুলিল্লাহ গ্রামবাসীর এমন কথায় আমরা নিজেদেরকে নিয়ে খুবই গর্ববোধ করি এবং আনন্দ অনুভব করি। দু'আ করি আল্লাহ তা'আলা যেন আমাদের বংশের এই মিল-মহব্বতের ধারাবাহিকতা অটুট রাখেন। কখনো যেন ভাঙ্গন সৃষ্টি না হয়।
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) (Required) আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি ভালো। তবে আমাদের পরিবার বংশ পরম্পরায় ওরকম আন্তরিকভাবে ধার্মিক নয়। তবে সবাই ধর্মের রীতিনীতি মেনে চলার চেষ্টা করেন। আমার আম্মু যথেষ্ট চেষ্টা করেন মাহরাম নন-মাহরাম মেনে চলার। but আত্মীয়দের মধ্যে একটু কঠিন হয়ে যায় চলাটা। আর আমার আব্বু আম্মুর মতো তেমন একটা মাহরাম নন-মাহরাম মেনে চলতে পারেন না। তবে চেষ্টা করেন। বাকি তাঁরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত আদায় করেন, আলহামদুলিল্লাহ। আখেরাতের ভয়ভীতি তাদের মধ্যে যথেষ্ট বিদ্যমান আছে। আর আমার আব্বু-আম্মু সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অনেক দূরে থাকেন। তাঁরা এগুলো তেমন একটা বুঝেন না। নাটক, সিনেমা ও সিরিয়াল এগুলো দেখার প্রতি তাঁদের কোনো ইন্টারেস্টই নেই। তাঁরা নিজেরা তো এগুলো দেখেনই না, উপরন্তু অন্যদের দেখাকেও অনেক অপছন্দ করেন। তবে আমার পরিবার যেমনই হোক না কেন, দ্বীন পালনে তাঁদের পক্ষ থেকে পরিপূর্ণ সাপোর্ট থাকবে। কোন ধরণের ব্যাঘাত ঘটবে না ইংশা-আল্লাহু তা'আলা। আর আমার যেহেতু কোন বোন নেই, সে হিসেবে আমার আহলিয়াহ তাঁদের কাছে নিজের মেয়ের মতোই থাকবেন ও নিজের মেয়ের মতোই আদর-যত্ন পাইবেন ইংশা-আল্লাহু তা'আলা। আমাদের বাসা পাঁচিল দিয়ে ঘেরা আছে, যার কারণে মেনগেট লাগিয়ে দিলে ভিতরে পরিপূর্ণই নিরাপদ। এজন্য বাসার ভিতরে পর্দার বিষয়ে কোন সমস্যা নেই, আলহামদুলিল্লাহ। আমার আহলিয়াহ সে তো সব সময় আমার সঙ্গেই থাকবেন। আর ভবিষ্যতে আমি একটা পরিপূর্ণ দ্বীনী পরিবেশ কায়েম করতে চাই ইংশা-আল্লাহু তা'আলা।
ব্যক্তিগত তথ্য
সুন্নতি দাঁড়ি রয়েছে কি? (Required) জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ।
পায়ের টাখনুর উপরে কাপড় পরেন?(Required) জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ।
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ।
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) সাবালক হওয়ার পূর্ব থেকেই পড়ি, আলহামদুলিল্লাহ।
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? মাহরাম নন-মাহরাম মেনে চলার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করি। তবে আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে একটু কঠিন হয়ে যায় চলাটা। আর আমার বেশিরভাগ সময় পড়াশুনার কারণে বাহিরে থাকা পড়ে। আর এখন তো মিসরে থাকি।
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ।
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? জুব্বা, সালোয়ার, টুপি। মাঝেমধ্যে পাগড়িও পরিধান করা হয়।
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন (Required) আমার কোনো রাজনৈতিক দর্শন নেই। আর আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িতও নই।
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? কোন কিছু না দেখার জন্য চেষ্টা করি। প্রয়োজনে ফেসবুকে বা ইউটিউবে ঢুকলে অনেক সময় অনেক কিছু সামনে চলে আসে। তবে ignore করে চলার চেষ্টা করি।
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) না, আলহামদুলিল্লাহ। তবে অল্প পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করি।
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ। ইলমে দ্বীন অর্জনের মেহনতে যুক্ত আছি, আলহামদুলিল্লাহ।
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) না
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) মাজার নিতান্তই একটি কবর মাত্র। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কবরকেও মাজার বলা হয়ে থাকে। সেই হিসাবে জিয়ারত করতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু মাজারে সিজদা করা বা কোন কিছু চাওয়া ইত্যাদি এগুলো শিরক। তবে বর্তমান মাজারের কার্যকলাপ শিরকে ভরা। So এগুলো থেকে বেঁচে থাকাটাই শ্রেয়।
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) (১) বিশ্ব নবীর জীবনী (সাঃ) (২) সাহাবায়ে কেরামের ঈমানদীপ্ত জীবন। (৩) ভারতীয় নওমুসলিমদের ঈমানদীপ্ত সাক্ষাৎকার। (৪) যে গল্পে হৃদয় গলে। (৫) যে গল্পে অশ্রু ঝরে। (৬) সোনালী সংসার, ইত্যাদি অনেক ইসলামি বই।
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) (১) মুজাদ্দিদে মিল্লাত আল্লামা মুফতী ফয়জুল্লাহ (রহঃ) (২) জাস্টিক আল্লামা মুফতী তকী উসমানী (দাঃ বাঃ) (৩) প্রিয় শাইখে মুহতারাম আল্লামা মুফতী আব্দুর রাজ্জাক যশোরী (দাঃ বাঃ) (৪) আল্লামা মুফতী আব্দুল মালেক সাহেব (দাঃ বাঃ) (৫) শায়েখ আহমাদুল্লাহ (দাঃ বাঃ) (৬) ড. মিজানুর রহমান আজহারী (দাঃ বাঃ) সহ আরো অনেকেই।
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন Actually নিজের ভালো-মন্দ সম্পর্কে বলাটা একটু কঠিনই বটে।তারপরও যেহেতু বলা প্রয়োজন তাই কিছুটা আলোকপাত করতেছিঃ- আমার সফর করতে ভালো লাগে। আল্লাহ তা'আলার এই বিশাল পৃথিবী ভ্রমণ করতে মন চায়। অর্থ ও সময়ের অভাবে হয়ে উঠে না। তবে আল্লাহ তা'আলা আমাকে তাওফীক দিলে দ্বীনের মেহনত ও দাওয়াতের উদ্দেশ্যে বিশ্ব পরী মন্ডল ভ্রমণ করার নিয়ত আছে ইংশা-আল্লাহু তা'আলা। আমি যেহেতু মিসরে থাকি। আর মিসর একটি ভ্রমণ ও পর্যটন কেন্দ্র। অনেক ইতিহাস ও অলৌকিক ঘটনা জড়িয়ে আছে এই দেশের সঙ্গে। এখন তেমন কোথাও যাওয়া হয় নাই। তবে নিয়ত আছে জীবনসঙ্গিনীকে নিয়ে আল্লাহ তা'আলার এসব নিদর্শন সমূহ অবলোকন করবো ইংশা-আল্লাহু তা'আলা। Because, আল্লাহ তা'আলা পবিত্র মহা গ্রন্থ আল-কুরআনুল কারীমে উল্লেখ করেছেনঃ- قُلْ سِيْرُوْا فِي الْأَرْضِ فَانظُرُوْا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الَّذِيْنَ َمِنْ قَبْلُ كَانَ أَكْثَرُهُمْ مُشْرِكِيْن অর্থাৎ, (হে নবী) আপনি বলুন, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর। অতঃপর অবলোকন কর পূর্বে যারা ছিলো তাদের পরিণাম কী হয়েছে। তারা অধিকাংশই মুশরিক ছিল। (সূরা রুম, আয়াত নংঃ ৪২) এই আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, পৃথিবী ভ্রমণ করা দরকার। এবং অতীতে ঘটে যাওয়া ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে জীবন সঙ্গিনীকে নিয়ে উমরাহ বা হজ্জ পালন করার খুবই ইচ্ছা আছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের সকলকে তাওফীক্ব দান করুন, আ-মীন ইয়া- রব্বাল 'আ-লামীন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে ও সুন্দর জামা-কাপড় পরিধান করতে ও নিজের শরীরের যত্ন ইত্যাদি নিতে পছন্দ করি। আমি অসৎ ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা পছন্দ করি। আর সৎ ব্যক্তিদের সংস্পর্শ ইখতিয়ার করার চেষ্টা করি। যেমন জৈনক ফার্সী কবি ফার্সী ভাষায় বলেনঃ- صحبت صالح ترا صالح کند صحبت طالع ترا طالع کند অর্থাৎ, সৎ ব্যক্তির সংস্পর্শ তোমাকে সৎ বানাবে, আর অসৎ ব্যক্তির সংস্পর্শ তোমাকে অসৎ বানাবে। কথায় আছে না যে, সৎ সঙ্গ স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গ সর্বনাশ। আমি অল্পতেই অন্যদের সঙ্গে আন্তরিক হয়ে যায়। তবে সব ধরণের লোকের সঙ্গে মিশি না। নিরিবিলি থাকতে ভালো লাগে। সব সময় সহজ, সরল ও নরম থাকতে পছন্দ করি। always আমি আল্লাহ তা'আলার কাছে দু'আ করি যে, হে আল্লাহ আমার নাম যখন "আবু বকর সিদ্দীক" হয়েছে। তো আমাকে আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) এর মতো নরম দিলের অধিকারী হওয়ার তাওফীক দান করুন। যদিও তাঁর মতো হওয়া কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। কারণ, সমস্ত নবী-রসূলগণের পর তিনিই সর্বাধিক শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। তবে আল্লাহ তা'আলা চাইলে আমাকে তাঁর মতো কিছুটা নরম দিলের অধিকারী বানাইতে পারেন। তিনি অত্যন্ত নরম দিলের অধিকারী ছিলেন। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ-ْأَرْحَمُ أُمَّتِي بِأُمَّتِيْ أَبُوْ بَكْرٍ অর্থাৎ, আমার উম্মতের মধ্যে সর্বাধিক কোমলমতি ও নরম দিলের অধিকারী আবু বকর (রাঃ)। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকা, এলোমেলো ভাবে চলাফেরা করা, পরিষ্কার জামা-কাপড় পরিধান না করা। নিজের শরীরের যত্ন না নেওয়া ইত্যাদি এগুলো অপছন্দনীয়। রুচিসম্মত খাবার খাওয়া। টাটকা ও ফ্রেশ তরিতরকারি ক্রয় করা। সব সময় নিজের মন-মেজাজকে ফ্রেশ রাখা ইত্যাদি পছন্দনীয় বিষয়।
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন প্রযোজ্য নয়
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? হানাফি
নজরের হেফাজত করেন? (Required) চেষ্টা করি
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? ভবিষ্যৎ দ্বীনী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাই হচ্ছে আমার স্বপ্ন, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। একটা দ্বীনী মারকায প্রতিষ্ঠা করা। এবং ইসলামকে বিশ্ববাসীর কাছে সঠিক ও নিখুঁত ভাবে উপস্থাপন করা। এবং ইসলামই যে একমাত্র সত্য ধর্ম ও আমাদের ভবিষ্যৎ জীবন গঠনের একমাত্র পথ নির্দেশক সেটা সমগ্র বিশ্বের জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি। আর দ্বীনী ফিউচার প্ল্যান তো অনে..... ..ক। কয়টা আর বলবো। দ্বীনের জন্য অনে.........ক কিছু করার ইচ্ছে আছে ইংশা-আল্লাহু তা'আলা। আল্লাহ তা'আলা আমার ভবিষ্যৎ স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করার এবং ভবিষ্যতে একজন শিক্ষিত ও দক্ষ ইসলামের দাঈ হিসেবে গড়ে তোলে দ্বীনের জন্য বড় পরিসরে কিছু করার তাওফীক দান করুন। আ-মীন ছুম্মা আ-মীন ইয়া- রব্বাল 'আ-লামীন ওয়া ইয়া- মা-লিকা 'আরশীল 'আযীম!
অবসর সময় কিভাবে কাটান? (Required) কিতাবাদি পড়াশুনা করি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে সামনে রেখে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা-ফিকির করি।
কত ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে আদায় করেন? (Required) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই জামা'আতের সঙ্গে আদায় করার চেষ্টা করি।
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? (Required) আমি মূলতঃ বেশিরভাগ সময় পড়াশুনার উদ্দেশ্যে বাহিরেই থাকি। তবে বাসায় গেলে যতটুকু সম্ভব হয় আব্বু-আম্মকে হেল্প করার চেষ্টা করি, আলহামদুলিল্লাহ।
আপনি কি ধুমপান করেন? (Required) না
বিয়ে সংক্রান্ত তথ্য
আপনার ডিভোর্সের সময়কাল ও কারণ আমি এখনো অবিবাহিত।
বিবাহিত অবস্থায় আবার কেন বিয়ে করতে চাচ্ছেন ? এখনো কোনো বিয়ে করি নাই।
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? জ্বী রাজি, আলহামদুলিল্লাহ।
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ِاَلنِّكَاحُ نِصْفُ الٍإِيْمَان অর্থাৎ Marriage is half of faith তথা বিয়ে অর্ধেক ঈমানের অন্তর্ভুক্ত। So বিয়ে করলাম মানে আমি আমার অর্ধেকদ্বীন পূর্ণ করলাম। এবং বিয়ে এটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একটি সুন্নাতও বটে। আর বিয়ে করার মাধ্যমে নফসের ধোঁকা থেকে নিজেকে কন্ট্রোল করা যায় ও খারাপ কাজ থেকে সংযত রাখা যায়। কুচিন্তা থেকে নিজেকে হেফাজত করা যায়। সর্বোপরি, বিয়ে টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ঈমান হেফাজতের জন্য। এবং বিয়ে করার মাধ্যমে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সুন্দর পরামর্শদাতা হিসেবে একজন মজবুত সহযোগী পাওয়া যায়। যে কি না সুখে-দুঃখে আমার পাশে থাকবে। আমার দুর্যোগের সময় আমাকে শান্তনা দিবে। অধৈর্যর সময় ধৈর্যের বাণী শুনাইবে। এককথায় সে সদা সর্বদায় আমার পাশে মজবুত কেল্লার খুঁটির ন্যায় খুঁটি হয়ে থাকবে। যাতে করে অকল্পনীয়ভাবে আকস্মিক তুফানের কবলে পড়ে সমুদ্রের মাঝে নৈকা ডুবে যাওয়ার ন্যায় দুশ্চিন্তার অতল সমুদ্রে ডুবে না যাই। এবং পেরেশানির অতল গহ্বরে ঢুকে না যাই। আল্লাহ তা'আলা সকলকে দ্রুত বিয়ে করার তাওফীক দান করুন। আ-মীন, ছুম্মা আ-মীন ইয়া- রব্বাল 'আ-লামীন, ওয়া ইয়া- মা-লিকা 'আরশীল 'আযীম...!!!
বিয়ের পর স্ত্রীর পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? জ্বী of course, নিঃসন্দেহে।
বিয়ের পর স্ত্রীকে পড়াশোনা করতে দিতে চান? জ্বী চাইলে সে পড়াশুনা করতে পারে, এতে আমার কোন আপত্তি নেই। আবার অনেকেই আশা করেন যে, সে আল-আযহার ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করবেন। কিন্তু যোগাযোগ বা গাইডলাইন কিংবা নির্ভরযোগ্য কাউকে না পাওয়ার কারণে পড়ালেখার সুযোগ হচ্ছে না। এমন মেয়ে হলে তো খুবই ভালো হয়। আমারও অবশ্য ইচ্ছে আছে তাকে এখানে নিয়ে এসে আল-আযহার ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করিয়ে দিবো। বাকি পরামর্শ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ইংশা-আল্লাহু তা'আলা।
বিয়ের পর স্ত্রীকে চাকরী করতে দিতে চান? আপাতত এই চিন্তা-ভাবনা মাথায় নেই। তবে যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে পরামর্শ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ইংশা-আল্লাহু তা'আলা।
বিয়ের পর স্ত্রীকে কোথায় নিয়ে থাকবেন? আমি যেখানে থাকবো সেও আমার সঙ্গে সব সময় সেখানেই থাকবে। but বিশেষ কারণে যদি কিছু সময় পৃথক থাকার প্রয়োজন হয়, তাহলে পরামর্শ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ইংশা-আল্লাহু তা'আলা।
বিয়ে উপলক্ষে আপনি বা আপনার পরিবার পাত্রীপক্ষের কাছে যৌতুক বা উপহার বা অর্থ আশা করবেন কি না? No, never কস্মিনকালেও নয়। বরং আমি আমার সাধ্যনুযায়ী কিছু দিয়ে তাঁকে বরণ করে নিবো ইংশা-আল্ল তা'আলা।
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? জেলা
বিয়ের পর স্ত্রীর ভরনপোষন চালাতে পারবেন? হ্যা
আপনাার স্ত্রীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? তাঁর প্রয়োজনীয় সবকিছুর দায়িত্ব আমার। তাঁর আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো পুর্ণ করা। তাঁর ভালো-মন্দ খেয়াল রাখা। তাঁর যত্ন নেওয়া। বিশেষ করে তাঁর মন ও ব্যক্তিত্বকে বুঝতে পারা। এক কথায় তাঁর যাবতীয় সকল বিষয়াদি।
আপনার আহলিয়ার পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? হ্যা
আপনি বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় থাকবেন? একক পরিবারে
যেমন জীবনসঙ্গী আশা করেন
বয়স (Required) ১৮-২৪
গাত্রবর্ণ উজ্জ্বল শ্যামলা, ফর্সা, উজ্জ্বল ফর্সা।
নূন্যতম উচ্চতা ৫'২
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি।
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত।
জীবনসঙ্গীর পর্দা সম্পর্কে যেমনটা চান- (Required) পরিপূর্ণ পর্দা মেনে চলার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। পর-পুরুষের সামনে যেতে পারবে না। মাহরাম নন-মাহরাম মেনে চলতে হবে। এক কথায় পর্দার ক্ষেত্রে ইসলামের পরিপূর্ণ বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে।
পেশা (Required) শিক্ষার্থী। অথবা পড়াশুনা শেষ বা এখন আর পড়াশুনা করেন না।
অর্থনৈতিক অবস্থা মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত।
পারিবারিক অবস্থা (Required) পারিবারিকভাবে সম্মানিত হতে হবে। এবং এলাকাবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। আর পরিপূর্ণ দ্বীনী পরিবেশ হলে খুবই ভালো হয়।
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন প্রথমত তাঁর মধ্যে দ্বীনদারিত্ব থাকতে হবে। পরিপূর্ণ পর্দা মেনে চলতে হবে। যদিও তাঁর পরিবারের মধ্যে পরিপূর্ণ দ্বীনদারিত্ব না থাকে। তবে পরিপূর্ণ দ্বীনদার ফ্যামিলি হলে খুবই ভালো হয়। আখেরাতের ভয়ভীতি অন্তরে যথেষ্ট বিদ্যমান থাকতে হবে। দ্বীন ইসলামের জন্য নিজের husband কে যথেষ্ট সাহায্য সহযোগিতা করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। বিশেষ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তথা আগত সন্তানাদিকে ছোট থেকেই দ্বীনের মরদে মোজাহিদ করে গড়ে তোলার মানসিক চিন্তা-ভাবনা অন্তরে থাকতে হবে। দ্বীনের জন্য কুরবানী করতে প্রস্তুত থাকবেন। অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে যদি কোন ধরণের পরীক্ষা আসে, অভাব-অনটনের সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে সে নিজেকে কন্ট্রোল করে ও শান্তনা দিয়ে ধৈর্য ধারণ করবেন। এবং সে খুবই নরম ও মসৃণ স্বভাবের হবে। খুবই আন্তরিক হবে। লাজুক স্বভাবের হবে। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার দেখাবে। কখনই রুঢ় ও খটখটে মেজাজ দেখাবে না। বিশেষ করে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে নিজের পিতা-মাতার মতো সুন্দর ব্যবহার করবে। আন্তরিকতার সহিত তাঁদের খেদমত করবে। কখনই তাঁদের মনে কোন ধরণের কষ্ট দিবে না। এবং মেহমান পরায়ণ হতে হবে। আত্মীয়-স্বজন আসলে তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে। আন্তরিকতার সহিত তাদের মেহমানদারী করাবে। সব সময় স্বামীর সঙ্গে সৎ ব্যবহার দেখাবে। হাসিখুশিতে কথা বলবে। হাস্যজ্জল চেহারা নিয়ে থাকবে। তাঁকে দেখলেই যেন স্বামীর সব ধরণের পেরেশানি নিমিষেই দূর হয়ে যায়। সুখে-দুঃখে সব সময় স্বামীর পাশেই থাকবে, কখনোই তাকে ছেড়ে চলে যাবে না, যতই ঝড় তুফান আসুক না কেন। স্বামীকে সে যথেষ্ট সময় দেবে, তার ডাকে সব সময় সারা দিবে। এককথায় সে স্বামীর পরিপূর্ণ অনুগত হবে। নিম্নলিখিত গুণের অধিকারিণী হওয়াঃ- মেয়েদের অনেক গুণ থাকে যা তাদের ব্যক্তিত্ব, সামাজিক আচরণ, ও আত্মউন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেমনঃ সহানুভূতিশীলা, অন্যের কষ্ট বুঝতে ও সহমর্মিতা দেখাতে পারেন। ধৈর্যশীলা, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে থাকতে পারেন। সহনশীলা, কষ্ট সহ্য করার মানসিকতা রাখেন। দায়িত্বশীলা, নিজের কাজ ও দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেন। সাহসিনী, যে কোনো পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন। কঠোর পরিশ্রমী, কোনো কিছু সহজে ছেড়ে দেন না। জ্ঞানপিপাসু, নতুন কিছু শেখার আগ্রহী। পরিবার ও সন্তানদের ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারেন, মা হিসেবে যত্নশীলা। মানসিক শক্তিসম্পন্ন, মানসিকভাবে দৃঢ়। আশাবাদী, সবসময় ভালো কিছুর আশা করেন। Because, উত্তম স্ত্রীর গুণাবলি সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল, কোন স্ত্রী সর্বোত্তম? তিনি বললেন, যে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে স্বামী পুলকিত হয়, কোনো নির্দেশ দিলে আনুগত্য করে এবং স্বামীর নিজস্ব ব্যাপারে বা তার অর্থ-সম্পদের ব্যাপারে সে যেটা অপছন্দ করে, তার বিপরীত কিছু করে না। (মুসনাদে আহমদ: ১৮৩৮) ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহঃ) বলেছেন, কোনো পুরুষ যদি কোনো নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, তাহলে সর্বপ্রথম তার সৌন্দর্য সম্পর্কে জানতে চাইবে। যদি এ ব্যাপারে তার প্রশংসা করা হয়, তাহলে তার দ্বীন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে। দ্বীনের ক্ষেত্রে যদি প্রশংসিত হয়, তাকে বিয়ে করবে: অন্যথায় দ্বীনের কারণে প্রত্যাখ্যান করবে। নিম্নলিখিত খারাপ গুণগুলো না থাকাঃ- অপরকে হেয় করা। অল্পতে কেঁদে ফেলা। অহেতুক ড্রামা তৈরি করা। অতিরিক্ত আবেগে সিদ্ধান্ত নেওয়া। কথার খেলাপ করা। অপচয় করা। অকারণে রেগে গিয়ে কথা বন্ধ করা। অতিরিক্ত চাহিদাপূর্ণ। অযথা মান-অভিমান করা। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা। নিজের চাহিদাকে সবকিছুর ওপরে রাখা। তুচ্ছ বিষয়ে অতিরিক্ত emotional হওয়া ইত্যাদি। শেষ কথাঃ এখানে অনেক বেশিই লিখে ফেললাম। একটি মেয়ের মধ্যে এতো কিছু পাওয়া একটু কঠিনই বটে। এসব ভালো-মন্দ গুণাগুণ ছেলে-মেয়ে সবার মধ্যেই কমবেশি পাওয়া যায়। দোষ-গুণ সব মানুষেরই থাকে, তবে সচেতন হয়ে এগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে জীবন সুন্দর হয়ে ওঠবে ইংশা-আল্লাহু তা'আলা। যাইহোক, মোটামুটি দ্বীনদারিত্ব থাকলে দ্বীন ইসলাম পরিপূর্ণ মেনে চলার মন-মানসিকতা থাকলে অন্যান্য গুণাগুণের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে এবং কিছুটা ছাড় দেওয়া হবে ইংশা-আল্লাহু তা'আলা।
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? (Required) নওগাঁ সদর ও তার আশেপাশের থানা হলে ভালো হয়। তবে জেলার মধ্যে হলেও সমস্যা নেই। রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও তার আশেপাশের থানা। এবং বগুড়া সদর ও তার আশেপাশের থানা। এছাড়া অন্যান্য জেলা হলেও চলবে, তবে পরামর্শ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ইংশা-আল্লাহু তা'আলা।
অন্যান্য তথ্য
পেশা সম্পর্কিত তথ্য (Required) মূলতঃ আমি একজন শিক্ষার্থী। Recently আমি বিশ্বের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ আল-আযহার ইউনিভার্সিটিতে গ্রাজুয়েট ডিপার্টমেন্টে Islamic theology তথা "ইসলামী ধর্মতত্ত্ব" বা Faculty of Fundamentals of Religion তথা "ধর্মের মৌলিক বিষয়ের অনুষদ" নিয়ে পড়াশুনা করতেছি, আলহামদুলিল্লাহ। আল-আযহার ইউনিভার্সিটিতে যতগুলো ফ্যাকাল্টি আছে, সেগুলোর মধ্যে এটি হলো অন্যতম বা সবগুলোর উর্ধ্বে। এখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করানো হয়। সবগুলোতেই গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে বিশেষ করে তাফসীরুল কুরআন বা কুরআনের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তার কারণ হলো, যেহেতু আমি অন্যান্য বিষয় নিয়ে অনেক পড়াশুনা করেছি। তাফসীর নিয়েও করেছি। তবে আমার আশা-আকাঙ্ক্ষা হলো, কুরআনের গভীর থেকে গভীর জ্ঞান ও বিশেষ পাণ্ডিত্য অর্জন করা। তো তাফসীরুল কুরআন নিয়ে গবেষণা করে মহা গ্রন্থ আল-কুরআনুল কারীমের উপর গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করবো ইংশা-আল্লাহু তা'আলা। যাতে করে আমি কুরআনের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ পরিপূর্ণ ভাবে বিশ্ববাসীর কাছে সঠিক পন্থায় উপস্থাপন করতে পারি ইংশা-আল্লাহু তা'আলা। বর্তমান বাংলাদেশে জনপ্রিয় আলেমেদ্বীন ও আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারী তিনিও আল-আযহার ইউনিভার্সিটিতে ইসলামীক থিয়োলজি নিয়ে পড়াশুনা করে আল-কুরআনুল কারীমের উপর গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করেছেন। আর পড়াশুনার পাশাপাশি গোল্ডের একটি বিজনেসের সঙ্গে জড়িত আছি। আসলে আমি বাই'য়ে মুযারাবাহ নামক স্বর্ণের একটি বিজনেসের সঙ্গে জড়িত আছি। এটা শতভাগ শরীয়ত সম্মত একটি হালাল ব্যবসা। সেখান থেকে persentege হিসেবে প্রতি মাসে লভ্যাংশ আসে। যারা ইসলামী মাসআলা সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন তাঁরা বিষয়টা বুঝতে পারবেন। এখানে আমাকে কোনো সময় দিতে হয় না। because, আমি একজন শিক্ষার্থী। আমি এমন কোন কাজ করতে চাচ্ছি না, যেটা আমার পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এইজন্যই মূলতঃ আমি এই বিজনেসকে গ্রহণ করেছি। ভবিষ্যতে দ্বীনের একজন খাঁটি দা'য়ী ও খেদমতগার হওয়ার পাশাপাশি এবং দ্বীনের মেহনতকে ঠিক রেখে যদি আল্লাহ তা'আলা কোনো কিছু করার তাওফীক দেন, তাহলে সেটা করবো ইংশা-আল্লাহু তা'আলা, অন্যথায় নয়। তার মানে এটা নয় যে, আমার দুনিয়ার ধন-সম্পত্তির প্রতি লোভ-লালসা আছে। আল্লাহ তা'আলা আমাকে এই ধরণের চিন্তা-ভাবনা থেকে হেফাজত করুন। বরং এটা এইজন্য যে, যাতে করে দ্বীন ইসলাম ও মানবকল্যাণের জন্য ভবিষ্যতে বড় পরিসরে কিছু একটা করতে পারি ইংশা-আল্লাহু তা'আলা। বিস্তারিত জানতে চাইলে সরাসরি জানানো যাবে।
কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসা
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? হ্যা
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? হ্যা
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? হ্যা
যোগাযোগ

এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।

অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ

সর্বমোট ভিউ: 1204 ভিউস