male

বায়োডাটা নাম্বার

AH-112126

পাত্রের বায়োডাটা

অবিবাহিত

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বিভাগ

কুমিল্লা

চট্টগ্রাম বিভাগ

১৯৯৮

উজ্জ্বল শ্যামলা

৫'৩''

৬২ কেজি

B+

প্রাইভেট জব

১৫০০০টাকা ১০০% হালাল ইনকাম আমার। আমি এর থেকে বড় কোম্পানিতে চাকরি করেছি ও পাচ্ছি কিন্তু সমস্যা হইলো (১)জামায়াতে সাথে নামাজ পড়ার অসুবিধা হওয়ার কারনে অনেক চাকরি আমি ছেড়ে দিছি। মিথ্যা মার্কেটিং প্রমোশন আরো অনেক সমস্যা। (২)অনেক কোম্পানিতে নারীদের সাথে কাজ করতে হয়। তাই আমি বুঝে শুনে অল্প টাকার চাকরি করছি শতভাগ হালাল থাকার কারনে।


ঠিকানা
স্থায়ী ঠিকানা চান্দিনা, কুমিল্লা
বর্তমান ঠিকানা অলংকার পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম
কোথায় বড় হয়েছেন? (Required) চট্টগ্রাম
সাধারণ তথ্য
বায়োডাটার ধরন পাত্রের বায়োডাটা
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
বর্তমান ঠিকানা চট্টগ্রাম
বিভাগ চট্টগ্রাম বিভাগ
স্থায়ী ঠিকানা কুমিল্লা
বিভাগ চট্টগ্রাম বিভাগ
জন্মসন (আসল) ১৯৯৮
গাত্রবর্ণ উজ্জ্বল শ্যামলা
উচ্চতা ৫'৩''
ওজন ৬২ কেজি
রক্তের গ্রুপ B+
পেশা প্রাইভেট জব
মাসিক আয় ১৫০০০টাকা ১০০% হালাল ইনকাম আমার। আমি এর থেকে বড় কোম্পানিতে চাকরি করেছি ও পাচ্ছি কিন্তু সমস্যা হইলো (১)জামায়াতে সাথে নামাজ পড়ার অসুবিধা হওয়ার কারনে অনেক চাকরি আমি ছেড়ে দিছি। মিথ্যা মার্কেটিং প্রমোশন আরো অনেক সমস্যা। (২)অনেক কোম্পানিতে নারীদের সাথে কাজ করতে হয়। তাই আমি বুঝে শুনে অল্প টাকার চাকরি করছি শতভাগ হালাল থাকার কারনে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? (Required) জেনারেল
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? হ্যাঁ
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান ফলাফল A-
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান বিভাগ ব্যবসা বিভাগ
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাসের সন ২০১৪
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাশ করেছেন? হ্যাঁ
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমানের বিভাগ ব্যবসা বিভাগ
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান ফলাফল C
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাসের সন ২০১৭
স্নাতক / স্নাতক (সম্মান) / সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা বি.বি.এস উপর ডিগ্রি স্নাতক কোর্স কমপ্লিট করেছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে সমর্পূণ করেছি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ইসলামিয়া কলেজ, চট্টগ্রাম।
পাসের সন ২০২১
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা মাস্টার্স রানিং, একাউন্টটিং বিষয় উপর মাস্টার্স করছি, সরকারী কর্মাস কলেজ, চট্টগ্রাম
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা (১)অনলাইনে অফলাইনে দাওয়াহ কাজ চলমান। (২) ইংলিশ কোর্স চলমান।
IOM তথ্য
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? না
পারিবারিক তথ্য
পিতার পেশা সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও বাদুরতলা ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রিন্সিপাল ছিলেন। এবং হোটেল আল ফয়সাল পরিচালক ছিলেন।
মাতার পেশা রাব্বাতুল বাইত
বোন কয়জন? বোন নেই
ভাই কয়জন? ৪জন
ভাইদের সম্পর্কে তথ্য ১ম ভাই: একজন বেসরকারি চাকরিজীবি। ২য় ভাই : একজন গাড়ী ব্যবসায়ী, নিজস্ব ট্রাক -পিক আপ ব্যবসা আছে। ৩য় :আমি নিজে ৪র্থ:রবি কোম্পানিতে ড্রাইভিং করে।
চাচা মামাদের পেশা চাচা একজন, এস.এস.সি পাস, আমাদের এলাকার সন্মানিত ব্যাক্তিত্ত্ব একজন স্বনাম ধন্য ব্যবসায়ী। বড় ফুফী:বাংলায় পারদর্শী না হলেও কিন্তু পরহেজগারি দিক দিয়ে অনেক কেয়ারফুলি একজন মানুষ। মেঝ ফুফী :বি.এ পাস, একজন মাদ্রাসার শিক্ষিকা। এবং আমার ফুফা একটি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। সেঝ ফুফী:এইচ.এসসি পাশ, বিবাহিত। ছোট ফুফী : এইচ.এসসি পাশ, বিবাহিত। মামা একজন, একজন ব্যবসায়ী ছিলেন এখন আপাতদে এখন কিছু করে না বয়স হয়ে যাওয়ার কারনে, এখন দ্বীনের খেদমতে আছে।
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। সামাজিকভাবে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো। শহরে থাকি কিন্তু নিজস্ব কোন বসত বাড়ি নেই শহরে, ফ্যাল্টে ভাড়ায় বাসায় থাকি। গ্রামে নানুর বাড়ীতে সম্পত্তি আছে আম্মুর প্রায় ৬ঘন্ডার মত, এবং মেঝ ভাইয়া বাড়ি করছে আম্মার পাওয়া সম্পত্তিতে। আমিও চেষ্টা করছি কিছু একটা করার যদি আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। কিন্তু আমি ছোট থেকে বড় হইছি শহরে, পড়ালেখা থেকে শুরু করে চাকরি প্রর্যন্ত করছি শহরে। আর দাদার বাড়ি সম্পত্তি আব্বু মৃত্যুর আগে নিজের পাওয়া সম্পত্তি বিক্রি করে ফেলছে যেকোন পারিবারিক সমস্যা কারনে। কিন্তু আমার দাদুর বাড়ি পারিবারিক আর্থিক অবস্থা অনেক ভালো। আমার দাদার পারিবারিক স্টাটাস অনেক সম্মানিত সমভ্রান্ত পরিবারের সন্তান আমরা । কিন্তু আমার আব্বার মৃত্যুর পর চাচার কাছে অবহেলিত, আব্বা মারা যাওয়ার পর থেকে চাচা আমাদের খোজ খবর রাখতো না কিন্তু আমরা রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু তিনি হক আদায় না করলেও আমরা হক আদায় করার চেষ্টা করছি। কিন্তু দাদুর বাড়ি সাথে আমাদের যোগাযোগ করার মাধ্যম কিছুটা শীতিল হওয়ার কারন চাচার জন্য। যেটা সত্য সেটা আমি অগ্রিম জানিয়ে দিচ্ছি। নানুর বাড়ি আর্থিক অবস্থা অনেক ভালো, আলহামদুলিল্লাহ। আমরাও মোটামুটি সচ্ছলতার সাথে দিন পার করছি। হালাল রিজিকের সন্ধানে সবসময় সর্তক থাকার চেষ্টা করছি আমরা ভাইয়েরা শুধু মেঝ ভাই ছাড়া। মেঝ ভাইকে বুজাচ্ছি কিস্তি ঋন এইগুলো নেওয়া হারাম একথায় এইগুলো সুদের ক্রেডিট। হালাল রিজিকের ব্যাপারে সন্ধান করার জন্য বলে যাচ্ছি। যদি আল্লাহ তায়ালা ভাইকে হেদায়েত নুর আলোকিত করে সে বুঝ দান করেন। কিন্তু আমি আর্থিকভাবে কিছুটা দূর্বল শুধু আমি নিজে, আমার করোনার আগে একটা ভালো চাকরি, কোচিং, হোম টিউটর,বন্ধুরা মিলে কোটি টাকার পার্টনারশিপ এক্সর্পোট ব্যবসা ছিলো। সবমিলিয়ে করোনা আসাতেই সবদিক থেকে আমি নি:স্ব হয়ে যায়।যা আমি মনে করি আল্লাহ পক্ষ থেকে অকল্যান ছিলো আমার ব্যবসার মধ্যে। তাই আল্লাহ তায়ালা আমার জন্য কোন কল্যান রেখেছেন সেটা প্রার্থনা করি। ব্যবসার পরিকল্পনা করছি,আল্লাহ সুবাহানা তায়ালা উত্তম পরিকল্পনাকারী। আলহামদুলিল্লাহ দিব্য ভালো দিন পার করছি।'(তোমরা যা অপছন্দ করো, হতে পারে তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর এবং যা ভালোবাসো, হতে পারে তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আর আল্লাহ জানেন কোথায় তোমাদের কল্যাণ, কোথায় অকল্যাণ,তোমরা জানো না।') (সূরা বাকারা: ২১৬)
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) (Required) আলহামদুলিল্লাহ অনেকটা ভালো। আমার দাদুর বাড়ী সবাই দ্বীনের ব্যাপারে খুব ভালো পারদর্শী। কিন্তু মাহরাম নন মাহরাম ক্ষেত্রে কিছুটা শীতিল। আমার দাদা দাদু খুবই পরহেজগার ব্যক্তিত্ত্ব। আমরা চার ভাইয়ের মধ্যে তিন ভাই দ্বীন পালনে চেষ্টায় আছি। আর মেজ ভাইকে বুজাচ্ছি দ্বীনের পথে আনার দাওয়ার কাজ চলমান চলছে। আম্মা ও দ্বীনের ব্যাপারে আগে অনেক উদাসীন ছিল এখন আলহামদুলিল্লাহ অনেকটা দ্বীনের ব্যাপারে সর্তকতা অবলম্বন করে।এবং দ্বীনি তালিমে আম্মা সবসময় থাকার চেষ্টা করে।ফরয বিধানগুলা মানার চেষ্টা করে। মাহরাম-নন মাহরাম মেনে চলা চেষ্টা করে এবং আমি ও এই বিষয়ে খুব কঠর থাকার চেষ্টা করি। কোরান সুন্নাহ ভিত্তিক জীবন করার প্রয়াস। আল্লাহ বিধানের ক্ষেত্রে কোন ছাড় নেই। বিধানে যা আছে তা মানা ফরজ। কোরান সুন্নাহ পরিবার চালনায় প্রচেষ্টা করছি আলহামদুলিল্লাহ। (ইয়া মুকাল্লিবাল কূলুব ছাব্বিত কালবি আলা দ্বীনিকা =অর্থ : হে আল্লাহ আপনি আমাকে দ্বীনের পথে অবিচল রাখুন।) হাদিস নং: তিরমিজি :৩৫২২.
ব্যক্তিগত তথ্য
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? জি, আলহামদুলিল্লাহ।
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) মাঝে মধ্যে হঠাৎ কাজ হয়ে কোন কারনবশত কারনে। আল্লাহুমাগফিরলী
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ সুবাহানা তায়ালার বিধানকে মানা আমার জন্য ১০০% প্রতিজ্ঞাবদ্ধ পরিকর। সুরা নুরের ২৭-৩০ আয়াত পড়লে আমরা বিস্তার ধারনা পাবো গাইরে মাহরাম-নন-মাহরাম সর্ম্পকে।
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? জি, আলহামদুলিল্লাহ তাজউইদ সহ পড়ার চেষ্টা করছি।
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? সুন্নাহ মোতাবেক চলার চেষ্টা করি। পাঞ্জাবী, প্যান্ট, টুপি,লুজ্ঞি পড়ি।
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন (Required) আলহামদুলিল্লাহ, একটি বৃহত ইসলামী ছাত্র সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছি।আল্লাহর এই জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার আবশ্যকীয়।
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? না।এভয়েড করা চেষ্টা করি।
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) আলহামদুলিল্লাহ না।
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) একটি দ্বীনি ছাত্র সংগঠনের সাথে খেদমতে সম্পৃক্ত আছি। যা একমাত্র ইকামতের দ্বীনও কোরান সুন্নাহ মাধ্যমে খেলাফত শাসন প্রতিষ্ঠার বাস্তবায়নের প্রয়াস। মুহাকিক আলেমদের সোহবতে থাকার চেষ্টা করি ও তলিবুল ইলম অর্জনের প্রায়শই চেষ্টা করছি। একজন দা-ইল্লাহ ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করছি। যদি মহান করুণাময় কবুল করেন। তাওহিদ আকিদা ফিকহ সবকিছু জানার মাধ্যমে অনেকটা সাবধানতা অবল্মবন করছি। অন্যকে বুজাচ্ছি এবং রাসুল (সা:)জীবনী, তাবেঈ, তাবে-তাবেঈন চার মাযহাবের ঈমামের যে অনুসরন অনুকরণ সেই ভাবে নিজেকে করার চেষ্টা করছি। সবই পরম করুণাময় যদি কবুল করেন।
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) না
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) শিরক
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) আলোর পথ, চারিত্রিক গঠনের বৈশিষ্ট্য, ইকামতের দ্বীন, ইসলামিক সংবিধান, সীরাতে মোস্তফা (সা:) বেলা ফুরাবার আগে ,এবার অন্য কিছু হোক আরো অনেক ইত্যাদি।
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) মাওলানা দেলোওয়ার হোসেন সাঈদী (রাহ:),মিজানুর রহমান আযহারী, শায়েখ তাকী উসমানী,মো: বিন কাসিম,শায়েখ ফাওজান হাফি:,ড: জাকির নায়েক উস্তাদ নোমান আলী খান, শায়েখ তারিক জামিল,শায়েখ হারুন ইযহার আরো অনেকে আছে।
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) আমি একজন প্যাক্টেসিং মুসলিম, তাকওয়ার সাথে আল্লাহ পথে নিজেকে সমহিত করার চেষ্টা করছি।দ্বীনের সঠিক জ্ঞ্যান অনশন করার চেষ্টা করছি। ( يَا مُقَلِّبَ القُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَউচ্চারণ : ‘ইয়া মুকাল্লিবাল কুলুবি, ছাব্বিত কালবি আলা দ্বীনিকা।’অর্থ : ‘হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আপনি আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের ওপর অবিচল রাখুন।’- اللَّهُمَّ مُصَرِّفَ القُلُوبِ صَرِّفْ قُلُوبَنَا عَلَى طَاعَتِكَউচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা মুসাররিফাল কুলুবি সাররিফ কুলুবিনা আলা ত্বাআতিকা।’অর্থ : ‘হে আল্লাহ! হে অন্তরসমূহের নিয়ন্ত্রক! আপনি আমাদের অন্তরকে আপনার ইবাদতের ওপর অবিচল রাখুন।’ (মুসলিম)
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন নিজের শখ:নিজেকে পারদর্শী করে তুলা। আমি কিন্তু একজন মিশুক স্বভাবের মানুষ। যা দুনিয়ার শখ বলতেই কিছু নেই যা পরকালের জান্নাতের পাওয়া শখ সুধা। সাদাসিদে ভাবে জীবন চলার চেষ্টা করি।স্বাভাবিকভাবে আমি সুন্নাহ মোতাবেক চলতে পছন্দ করি। শারীরিক রূপ চর্চার জন্য অনেকে অনেক কিছু ব্যবহার করে আমি কিন্তু শুধু আতর ছাড়া অন্যকিছু তেমন ব্যবহার করিনা। আতর ব্যবহার করতে সবচাইতে বেশি ভালো লাগে আলহামদুলিল্লাহ। পছন্দ-অপছন্দ: ভালো মন্দ বুজে যাচাই বাচাই করতে হয়। নিজেকে সাচ্ছন্দ্যবোধ রাখতে পছন্দ করি, যে বিষয়গুলা ইসলামের শরীয়া মোতাবেক হলে পছন্দ করি। আর যেটা শরীয়া বিপরিত সেটা অপছন্দ করি। হালাল-হারাম মেনে চলা। সৎ নিষ্টার সাথে জীবনটাকে আমি খুব উপভোগ করি। অন্যায়কে কখনো প্রশয় দেই না।আমি কিন্তু বিড়াল পালতে পছন্দ করি, আমার ২টা বিড়াল আছে। আমার আম্মার আমাদের প্রিয় বন্ধু তারা। বিড়াল পালা সুন্নতে তারিরীরি। আমি অপচয় একদুম অপছন্দ করি। রুচিবোধ : রুচিবোধ নিজের চাহিদা সামর্থ উপড়। যেটা নিজের সাথে মানানসই হয়। স্বপ্ন:রাসুল (সা:) কোরআন সুন্নাহকে বাস্তবায়ন করা। পরকালের জন্য কিছু করা যেটা মহান আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। আর একটাই স্বপ্ন আমার মক্কা এবং মদিনা যাওয়ার খুব ইচ্ছা। যদি মহান পরম করুণাময়ের ইচ্ছা, যদি আমার স্বপ্ন পূরণ করেন। (হাসবু আল্লাহ ওয়া নি'মাল ওয়াকিল)। (রাব্বান্না লা-তুজিগ-কুলু বানা ওয়া বা'দা ইয হাদাইতানা, ওয়াহাব লানা মিল্লাদুনকা রাহমাহ, ইন্নাকা আনতাল ওয়াহাব।)
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন প্রযোজ্য নয়
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? হানাফি
নজরের হেফাজত করেন? (Required) চেষ্টা করি
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা হলো আল্লাহর এই জমীনে দ্বীনও খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা।রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মারা গেল, অথচ জিহাদ করল না। এমনকি জিহাদের কথা মনেও আনলো না, সে ব্যক্তি মুনাফেকীর একটি শাখার উপর মৃত্যুবরণ করল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মক্কা বিজয়ের পরে আর  কোন হিজরত নেই। তবে জিহাদ ও তার নিয়ত বাকী রইল। অতএব যখন তোমাদেরকে জিহাদের জন্য আহবান করা হবে, তখন তোমরা বের হবে। সুতরাং প্রত্যেক মুমিনের অন্তরে জিহাদের বাসনা ও শহীদী মৃত্যুর কামনা থাকা যরূরী। অবশ্যই সে জিহাদ হ’তে হবে আল্লাহর কালেমাকে সমুন্নত করার উদ্দেশ্যে প্রকৃত জিহাদ। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জিহাদের নামে মুসলমানদের মধ্যে পরস্পরে যে সশস্ত্র সংঘাত চলছে, তা কখনোই জিহাদ নয় ।জিহাদ হবে আল্লাহ দ্বীন ও খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য। নয় গাজী অথবা শহীদি মুর্তবা মৃত্যূর স্বাদ।
অবসর সময় কিভাবে কাটান? (Required) খুব ব্যস্ত সময়ের মধ্যে দিয়ে জীবনটা পার করছি। চাকরি, পড়ালেখা, দ্বীনি কাজ ইত্যাদি। অবসর সময় থাকলে বেশি বেশি ইসলামি সাহিত্য বই পড়া হয়।
কত ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে আদায় করেন? (Required) ৫ ওয়াক্ত সালাত জামায়াতের সাথে পড়ার চেষ্টা করি।
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? (Required) আলহামদুলিল্লাহ, আম্মাকে সাংসারিক কাজে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।
আপনি কি ধুমপান করেন? (Required) আল্লাহুমাগফিরলী, কখনোই না। يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنصَابُ وَالْأَزْلاَمُ رِجْسٌ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ - إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُوقِعَ بَيْنَكُمْ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَعَنْ الصَّلاَةِ فَهَلْ أَنْتُمْ مُنتَهُونَ- ‘হে মুমিনগণ! নিশ্চয়ই মদ জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য নির্ধারক শরসমূহ শয়তানের অপবিত্র কর্ম। অতএব তোমরা এগুলি থেকে বেঁচে থাক। যাতে তোমরা কল্যাণ প্রাপ্ত হও। শয়তান তোমাদের মাঝে মদ ও জুয়ার মাধ্যমে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করতে চায় এবং আল্লাহর যিক্র ও ছালাত থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে চায়। তাহলে কি তোমরা বিরত থাকবে? (মায়িদাহ ৯০-৯১)। অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা কয়েকটি অশ্লীল কর্ম হারাম বলে ঘোষণা করেছেন। (১) নেশাদার দ্রব্য যা পাপের মূল। (২) জুয়া যা মানুষকে সামাজিক ও আর্থিকভাবে অপদস্ত করে। (৩) পীর, দরবেশ, ওয়ালী ও মূর্তির আস্তানা যা শির্ক। (৪) শরসমূহ বা ফালবাজি, ভাগ্যবাজি শির্ক। আল্লাহ অন্যত্র বলেন, يَسْأَلُوْنَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ قُلْ فِيْهِمَا إِثْمٌ كَبِيْرٌ ‘তারা আপনাকে নেশাদার দ্রব্য ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলুন, তাতে বড় গুনাহ হয়’ (বাক্বারাহ ২১৯)।আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হারাম নেশা থেকে হেফাজত থাকা তৌফিক দান করুন।
বিয়ে সংক্রান্ত তথ্য
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? জি, আলহামদুলিল্লাহ।
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? বিয়ে করা রাসুল (সা:) একটি সুন্নাহ। অর্ধেকদ্বীনকে পুর্ণ করার জন্য। ফিতনাতুল নিসা থেকে বাচার জন্য ও যৌবনের উম্মাদকে ও চক্ষুকে হেফাজত করার জন্য। জেনা থেকে বাচার জন্য। একটা দ্বীনি সাংসারিক জীবন উপভোগ করার জন্য আলহামদুলিল্লাহ। আমার ইচ্ছা আমার বিয়েটা সামর্থ মধ্যে দিয়ে করতে চাচ্ছি। এক কথায় ইসলামী শরীয়া ভিত্তিক। যে বিয়েতে খরচ কম সে বিয়েতে বরকত রহমত সবকিছু বেশি। আমার আল্লাহ তায়ালা যেটাতে সন্তুষ্টি থাকবে বেশি সেভাবে করতে চাচ্ছি। আমার দরকার কোরান সুন্নাহে নিয়মনুসারে। (ওয়া তাওয়াকাল- আল্লাল- লাহি কাফা বিল্লাহি ওয়াকিল) অর্থ: আমার সব কার্যসম্পাদনে জন্য একমাত্র আল্লাহ যথেষ্ট। “রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়া-জিনা অযুররিয়‍্যা-তিনা কুররাতা আ'য্যুন, অজআলনা লিল মুত্তাকীনা ঈমামা। অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিদেরকে আমাদের জন্য নয়নপ্রীতিকর কর এবং আমাদেরকে সাবধানীদের জন্য আদর্শস্বরূপ কর। (ফুরক্বানঃ ৭৪)।
বিয়ের পর স্ত্রীর পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? মাহরাম নন মাহরাম ইনশা-আল্লাহ ১০০% রাখতে পারবো। আমার আহলিয়াকে পর্দার মধ্যে রাখা আমার জন্য ফরজ বিধান। এবং আমি নিজেকে দায়িত্ববান ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই নিজের স্ত্রী পর্দার ব্যাপারে, আল্লাহ তায়ালা কবুল করুক। পর্দার ব্যাপারে আমার কাছে কোন ছাড় নেই সেইভাবে রাখার চেষ্টা করবো ইনশা-আল্লাহ। যতটুকু সহযোগিতা করার আমি করবো ইনশা-আল্লাহ একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য।
বিয়ের পর স্ত্রীকে পড়াশোনা করতে দিতে চান? দ্বীনি শিক্ষা পড়াশোনা জন্য আমি যথাসাধ্য পরিমান চেষ্টা করবো সহযোগিতা করার জন্য ইনশা-আল্লাহ ।
বিয়ের পর স্ত্রীকে চাকরী করতে দিতে চান? কখনোই না।
বিয়ের পর স্ত্রীকে কোথায় নিয়ে থাকবেন? আপাতদে শহরে থাকবো, বাড়ি করার পরিকল্পনা করছি, যদি আল্লাহ তায়ালা কখনো কবুল করেন তাহলে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা আছে।
বিয়ে উপলক্ষে আপনি বা আপনার পরিবার পাত্রীপক্ষের কাছে যৌতুক বা উপহার বা অর্থ আশা করবেন কি না? কখনোই না। আল্লাহুমাগফিরলী
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? সবক্ষেত্রেই ছাড় দিতে রাজি আছি
বিয়ের পর স্ত্রীর ভরনপোষন চালাতে পারবেন? হ্যা
আপনাার স্ত্রীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? আমি কিন্তু দুনিয়ার কোন কিছু প্রত্যাশা করি না। আমি প্রত্যাশা করি উত্তম একজন দ্বীনদার স্ত্রী, যে দুনিয়াতে কল্যান যা পরকালের জন্য কল্যান হবে আমার জন্য। যে আমার পরিবারটাকে দ্বীনের মধ্যে রাখবে ও দ্বীন চর্চা করবে। আমার জীবনের যতটুকু সামর্থ ও শক্তি আছে তা দিয়ে আমি দ্বীনের কাজে চেষ্টা করবো এবং সর্বত্র তার পাশে থাকার এবং তাকে সাহায্য করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই কল্যানকর কাজ একমাত্র আল্লাহ সুবাহানা তায়ালাকে সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। (ওয়া মান -আহছানু কওলাম মিম্নান দা ইল্লাহ ওয়া আমিলা ছলিহাও ওয়া ইন্নানী মিনাল মুছলিমীন।) এমন সজ্ঞীনি চাই উত্তম সে ব্যক্তি যে আল্লাহ পথে ডাকে আমলের ছলিহা করে, নিশ্চয়ই সেই প্রকৃত মুসলিম। আমার চাই আমার কল্যান, যাকে দেখলে আমার চক্ষু শীতল ও মন ভরে যাবে। এমন কল্যান চাই দুনিয়া আখিরাতের জন্য। যে ভালবাসা থাকবে জান্নাত প্রযন্ত ইনশা-আল্লাহ। পরিবার গঠন করবো রাসুল (সা:) সুন্নাহ অনুসারে। (বিইযনিল্লাহ)
আপনার আহলিয়ার পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? হ্যা
আপনি বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় থাকবেন? একক পরিবারে
যেমন জীবনসঙ্গী আশা করেন
বয়স (Required) ১৮-২৫
গাত্রবর্ণ উজ্জল শ্যামলা, শ্যামলা, ফর্সা, উজ্জ্বল ফর্সা।
নূন্যতম উচ্চতা ৪.১১"-৫.২"
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এস.এস.সি, ইন্টারপাস, ডিগ্রি, অর্নাস, আলেমা +হাফেজা, আলিম, কামিল, ফাজিল,দাওরা হাদিস ইত্যাদি।
বৈবাহিক অবস্থা বিধবা, অবিবাহিত
জীবনসঙ্গীর পর্দা সম্পর্কে যেমনটা চান- (Required) পর্দার গুরুত্ব সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে নবী আপনি আপনার স্ত্রী, কন্যা ও মু’মিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের জিলবাবের একাংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা আহযাব: ৫৯) এ আয়াতে পর্দার সঙ্গে চলাফেরা করার গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়েছে যে, পর্দার সহিত চলাফেরা করলে সবাই বুঝতে পারবে তারা শরীফ ও চরিত্রবতী নারী। ফলে পর্দানশীন নারীদেরকে কেউ উত্যক্ত করার সাহস করবে না। প্রকৃতপক্ষে যারা পর্দাহীনভাবে চলাফেরা করে অধিকাংশ সময় তারাই ইভটিজিং ও ধর্ষণসহ নানা রকমের নির্যাতনের সম্মুখীন হয় এবং রাস্তাঘাটে তারাই বেশি ঝামেলার শিকার হয়। তাই নারীর সতীত্ব ও ইজ্জত-আবরু রক্ষার্থে পর্দার গুরুত্ব অপরিসীম। হাদীস শরীফেও পর্দার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। হযরত আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে রাসূলুল্লাহ (স.) বলেন, নারী পর্দাবৃত থাকার বস্তু। যখন সে পর্দাহীন হয়ে বের হয় তখন শয়তান তার দিকে চোখ তুলে তাকায়। (তিরমিযী: ১১৭৩) অন্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, হযরত আলী (রা.) বর্ণনা করেন, একদা তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকটে ছিলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাহাবীদের উদ্দেশ্যে) বললেন, মহিলাদের জন্য সর্বোত্তম বিষয় কোনটি? তারা চুপ হয়ে গেলেন। (কেউ বলতে পারলেন না) অতপর আমি ফিরে এসে ফাতেমা (রা.) কে জিজ্ঞাসা করলাম, মহিলাদের জন্য সর্বোত্তম বিষয় কোনটি ? তিনি বললেন, কোনো পরপুরুষ তাকে দেখবে না (অর্থাৎ নারী পর্দাবৃত থাকবে)। তারপর আমি ঐ বিষয়টি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, নিশ্চয় ফাতেমা আমার অংশ, সে সত্য বলেছে)। (মুসনাদুল বাযযার: ৫২৬) এতে পর্দার গুরুত্ব পরিস্ফূটিত হয়। আর পারিপার্শ্বিকতার বিবেচনায় বিবেকের দাবীও তাই। এছাড়াও পর্দা পালনের মাধ্যমে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় ও সম্মানিত হতে পারে। কেননা হাদীস শরীফে বলা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা পর্দানশীনদের ভালোবাসেন। আর কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সেই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন ও সম্মানিত যে তোমাদের মধ্যে অধিক তাকওয়া সম্পন্ন।’ (সূরা হুজুরাত: ১৩) প্রকৃত অর্থে তাকওয়া সম্পন্ন বা মুত্তাকী হলো ঐ ব্যক্তি যে আল্লাহর নির্দেশসমূহ মেনে চলে। আর সর্বসম্মতিক্রমে পর্দা আল্লাহর সুস্পষ্ট নির্দেশ। যেহেতু পর্দা আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য অবশ্য পালনীয় নির্দেশ সেহেতু পর্দা পালনের মাধ্যমে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত ও মর্যাদা সম্পন্ন হতে পারে। এছাড়াও পর্দা-বিধান সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করলে আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে, এ বিধানের পূর্ণ অনুসরণের মাধ্যমে নারী ও পুরুষের নৈতিক চরিত্রের হিফাযত হয়। পারিবারিক ব্যবস্থা সুরক্ষিত ও সুদৃঢ় হয়। কারণ, পর্দা পালনের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে পরকিয়াবিহীন পবিত্র জীবন গঠিত হয় এবং চরিত্রহীনতা ও অবিশ্বাস তাদের থেকে বিদায় নেয়। তাই মুসলিম উম্মাহ অকপটে স্বীকার করতে বাধ্য যে, দুনিয়া ও আখিরাতে পর্দার গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
পেশা (Required) শিক্ষার্থী হলে ভালো হয়। আর পড়ালেখা বন্ধ থাকলেও কোন সমস্যা নাই।
অর্থনৈতিক অবস্থা নিম্ম মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত
পারিবারিক অবস্থা (Required) নিম্ম মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন এমন একটি শিক্ষিত দ্বীনদ্বার কল্যানকর পরিবার থেকে আমার বন্ধুপূর্ন জীবন স্বজ্ঞীনি চাই, যে ৫ওয়াক্ত সালাত আদায় কারি। কোরান সুন্নাহ ভিত্তিক জীবন যাপন চলার প্রচেষ্টা। মাহরাম-নন- মাহরাম মেনে চলে। হালাল হারাম মেনে চলে, প্রকৃত আল্লাহভীরু, ধৈর্যশীল, আন্তরিক, অল্পতেই সন্তুষ্টি। পরকালের ভয়ভীতি ইত্যাদি। যার কাছে থাকবে হযরত ফাতেমা (রা:) আনহা ও হযরত আয়েশা (রা:) আনহা মত প্রকৃত আর্দশে সাংসারিক জীবন উপভোগ করার প্রায়শাই চেষ্টা করবে এবং সুখ দূঃখ ভাগাভাগি করে ও স্বামীর প্রতি আনুগত্যের গভীর প্রসারতা, আমার অল্প রিজিক প্রতি সম্মান ও সন্তুষ্টি থাকবে। যা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য।হে মুসলিম নারীগণ, তোমাদের স্বামীদের দেয়া ভালো কাজের আদেশ মান্য করা তোমাদের উপর ওয়াজিব। আবূ হুরাইরা বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “একজন নারী যদি তার পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে, তার লজ্জাস্থানের হেফাজত করে এবং তার স্বামীর আদেশ মান্য করে, তবে সে জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে সেই দরজা দিয়েই প্রবেশ করতে পারবে।” [ইবনে হিব্বান হতে তার গ্রন্থ সহীহতে বর্ণিত] আবূ হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “স্বামীর উপস্থিতিতে স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে একজন স্ত্রীর রোজা রাখা জায়েজ না। এবং স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে স্ত্রী অন্য কাউকে তার গৃহে প্রবেশ করাতে পারবে না।” [বুখারী ও মুসলিম] আবূ হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু আরও বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “স্বামী যখন তার স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে আর স্ত্রী না আসে, আর স্বামী যদি রাতটা নারাজির মধ্য দিয়ে কাটায়, তবে সকাল পর্যন্ত ফেরেশতা সেই স্ত্রীকে অভিশাপ দিতে থাকে।” [বুখারী ও মুসলিম] বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন, “যার হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম, যে নারী কিনা তার স্বামী যখন বিছানায় ডাকে কিন্তু সে অস্বীকৃতি জানায়। তাঁর উপর আসমানের উপরে যিনি আছেন তিনি ততক্ষণ নারাজ হন যতক্ষণ না সে (স্বামী) তার উপর সন্তুষ্ট হয়।” স্ত্রীর কাছে স্বামীর হক হলো সে তার ঘরের দেখাশোনার দায়িত্ব পরিপূর্ণ করবে এবং অনুমতি ব্যতিরেকে কোন দায়িত্ব থেকে সরে আসতে পারবে না। রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন, “নারী হলো তার স্বামীর ঘরের রক্ষণাবেক্ষণকারী এবং তার দায়িত্বের ব্যাপারে তাকে জবাবদিহি / জিজ্ঞাসিত করা হবে। [বুখারী ও মুসলিম] স্ত্রীর কাছ থেকে স্বামীর আরেকটি হক হলো, যে সে তার ঘৃহের দায়িত্ব পরিপূর্ণ করবে এবং কোন নারী সেবিকা সেই দায়িত্ব পালনের জন্য রাখবে না (বুয়া রাখা), কারন তা স্বামী সন্তানের জন্য বড় ক্ষতির কারন হতে পারে। “কাজেই পূণ্যশীলা স্ত্রীরা অনুগতা এবং লোকচক্ষুর আড়ালে আল্লাহর হেফাযতে তারা হেফাযত করে” [সূরা আন নিসা ৩৪]। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “এই আয়াত কোন নির্দিষ্টকরণ ছাড়াই নারীদের জন্য তাদের স্বামীদেরকে সকল বিষয়ে মান্য করা যেমন, তার সেবা করা, তার সাথে ভ্রমণ করা, তাকে সাহায্য করা এবং অন্যান্য সকল কিছুকে ওয়াজিব করে, যেমনটা আল্লাহর রাসূলের সুন্নাহতে ইঙ্গিত করা হয়েছে।” (মাজমু আল ফতোয়া, ৩২/২৬০-২৬১) কিংবদন্তি আলিম, ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ❝যারা স্বামীর সেবা করা ওয়াজিব মনে করেন, তাঁরা দলিল হিসেবে পেশ করেন— আল্লাহ যাদেরকে সম্বোধন করে কথা বলেছেন, তাদের নিকটে এটাই ছিল ন্যায়সঙ্গত অধিকার। কিন্তু স্ত্রী আরাম আয়েশে থাকবে, আর স্বামী তার সেবা করবে, ঝাড়ু দেবে, শষ্য পিষে ময়দা বানাবে, (রুটির) ময়দা মেখে খামির করবে, কাপড় ধুয়ে দেবে, বিছানা গুছিয়ে দেবে, আর ঘরের দেখভাল করবে — এমন বিষয়াদি (ন্যায়সঙ্গত অধিকার নয়, বরং) নিকৃষ্ট বিষয়ের অন্তর্গত। মহান আল্লাহ বলেছেন, “আর নারীদের প্রাপ্য তেমনি ন্যায়সঙ্গত অধিকার আছে, যেমন আছে তাদের ওপর পুরুষদের।” (সুরা বাকারা: ২২৮) তিনি আরও বলেছেন, “পুরুষরা নারীদের ওপর কর্তৃত্বশীল।” (সুরা নিসা: ৩৪) অতএব যদি একজন স্ত্রী তার স্বামীর সেবা না করে, উল্টো তার স্বামী তার সেবক হিসেবে থাকে, তাহলে তখন খোদ স্ত্রী স্বামীর ওপর কর্তৃত্বশীল হয়ে যায়।❞ · তিনি আরও বলেন, ❝নিশ্চয় স্ত্রীর জন্য খোরপোষের দায়িত্ব নেওয়া, তার পোশাকআশাকের ব্যাবস্থা করা, এবং তার জন্য আবাসের ব্যবস্থা করাকে আল্লাহ স্বামীর ওপর ওয়াজিব করেছেন — এর বদৌলতে যে, স্বামী আপন স্ত্রীকে উপভোগ করতে পারবে, স্ত্রী আপন স্বামীর সেবা করবে এবং প্রথাগতভাবে স্ত্রীদের জন্য যেসব কাজ করা বাঞ্ছনীয় সে তা পালন করবে। তদুপরি নিঃশর্ত চুক্তির বিষয়গুলো প্রথা অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হয় (এটা একটা শরয়ি মূলনীতি)। আর প্রথাগতভাবে এটাই প্রমাণিত যে, স্ত্রী স্বামীর খেদমত করবে এবং বাড়ির ভেতরের কল্যাণকর বিষয়াদি সম্পন্ন করবে।❞ এছাড়াও তিনি বলেন, ❝আর নারী শরিফ ঘরের কেউ হোক, চাই নিচু ঘরের হোক, ধনী হোক, আর গরীব হোক, (স্বামীর সেবা করার ক্ষেত্রে) কোনো পার্থক্য করা ঠিক নয়। এই দেখুন, দুনিয়ার সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত নারীকে—অর্থাৎ ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা—তিনি আপন স্বামীর খেদমত করতেন। তিনি নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়াসাল্লামের কাছে খেদমতের ব্যাপারে অনুযোগ-অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু নবিজি তাঁর অভিযোগের বিষয় (খেদমতকে) দূরীভূত করেননি।❞ [যাদুল মাআদ, খণ্ড: ৫; পৃষ্ঠা: ১৮৮-১৮৯]
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? (Required) চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা। যদি আল্লাহ তায়ালা অন্য জেলা রাখেন সেটা তাকদ্বীরের বিষয়।
অন্যান্য তথ্য
পেশা সম্পর্কিত তথ্য (Required) চট্টগ্রামের একটি স্বনামধন্য রেস্টুরেন্টে এন্ড চাইনিজে একজন হল ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বরত আছি। হালাল রিজিকের ব্যাপারে আমি সবসময় সাবধানতা অবল্মপন করি। এই প্রতিষ্ঠানে আমার জন্য সামান্য অল্প রিজিকের ব্যবস্থা আল্লাহর পক্ষ থেকে বন্টিত হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠান চাকরি মূল উদ্দেশ্য হলো ৫ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে পারি।পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘পার্থিব ভোগ্য সামগ্রীতে একে অন্যের ওপর আধিক্য লাভের বাসনা তোমাদের উদাসীন করে রাখে। যতক্ষণ না তোমরা কবরে পৌঁছ। এটা কিছুতেই সংগত নয়। শিগগিরই তোমরা জানতে পারবে।’ (সূরা তাকাসুর, আয়াত, ১-৪) অল্পতে তুষ্ট হওয়ার গুণ অর্জন একটু কঠিনই বটে। কারণ মানুষের চাহিদার অন্ত নেই। আমৃত্যু তা পূরণে ব্যস্ত থাকে সে। তার সীমাহীন এ চাহিদার অবসান ঘটাতে পারে শুধু কবরের মাটি। আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি বনি আদমের স্বর্ণভরা একটা উপত্যকা থাকে, তথাপি সে তার জন্য দুটি উপত্যকা হওয়ার কামনা করবে। তার মুখ মাটি ছাড়া অন্য কিছুতেই ভরবে না। তবে যে ব্যক্তি তাওবা করবে, আল্লাহ তার তাওবা কবুল করবেন। (বুখারি, হাদিস, ৬৪৩৯) তবে মানুষ চাইলে লোভ-লালসা ত্যাগ করে অল্পে তুষ্টির গুণ অর্জন করতে পারে। এখানে অল্পে তুষ্ট থাকার কিছু উপায় তুলে ধরা হলো— মধ্যপন্থা অবলম্বন লোভ-লালসা নির্মূলের জন্য জীবিকার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা আর আয় অনুযায়ী ব্যয় করা। এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খরচ একদম না করা। যথাসাধ্য এসব থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখা। ধীরে ধীরে অল্পতে তুষ্ট থাকার অভ্যাস করা, পরিবারের সদস্যদের এভাবে অভ্যস্ত করানো।  আল্লাহ তায়ালা প্রকৃত মুমিনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, ‘এবং যারা ব্যয় করার সময় না করে অপব্যয় এবং না করে কার্পণ্য; বরং তা হয় উভয়ের মাঝখানে ভারসাম্যমান।’ (সূরা, আল-ফোরকান, আয়াত,  ৬৭) ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়া আমাদের অনেকের প্রবণতা রয়েছে, সম্পদ থাকার পরও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া। এ ক্ষেত্রে প্রত্যাশা যত কম হবে তার জন্য মঙ্গল তত বেশি হবে। আজকে যিনি আমাকে যথেষ্ট পরিমাণ রিজিক দিয়েছেন, সামনেও তিনি আমাকে দেবেন। রিজিক আসার কোনো মাধ্যম যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আল্লাহ তাআলা এর চেয়ে উত্তম পথ খুলে দেবেন। তাই এসব নিয়ে হা-হুতাশ করার কিছু নেই।
বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান আমি কিছু গুরুত্বপূর্ণ নসিহা করতে চাচ্ছি, সেটা দেনমোহর বিষয়ে অভিজ্ঞতা থেকে বলছি । আমার বায়োডাটা পড়ার পর যদি কারো পছন্দ হয় তাহলে নসিহাপুর্ণ কথাটা আগে ভালো করে পড়বেন।আমি চাই আমি আমার বিয়েটা শরীয়াহ এবং রাসূল(সা:) সুন্নাহ মোতাবেক করতে চাচ্ছি। কেউ যদি উচ্ছ আকাংখা উচ্ছ চাকরিজীবি উচ্ছ দেনমোহর দাবিদারি হন তাহলে আমার গুনাগারের বায়োডাটা পরিতাজ্য করলে আমি খুশি হবো। আমি হালাল রিজিকের সন্ধান কারী উচ্চ বিলাসিতা জীবন -আমার মধ্যে নেই। সৃষ্টিগতভাবে নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। তাই মানবতার ধর্ম ইসলাম নারী-পুরুষের মধ্যে সুন্দর ও পূতপবিত্র জীবনযাপনের জন্য বিয়ের নির্দেশ দিয়েছে। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা বিয়ে করো তোমাদের পছন্দের নারীদের থেকে, দুজন অথবা তিনজন অথবা চারজন; কিন্তু যদি আশঙ্কা করো যে তোমরা ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ করতে পারবে না, তাহলে মাত্র একজন।’ (সুরা নিসা, আয়াত, ৩) মুসলিম বিবাহের রীতি অনুযায়ী দেনমোহর অত্যাবশ্যকীয়। দেনমোহর নির্ধারণ ছাড়া মুসলিম রীতিতে কোনো বিয়ে শুদ্ধ হয় না। দেনমোহর মূলত একটি সম্মানি। যা স্বামী তার স্ত্রীকে দিয়ে থাকেন। এর মূল উদ্দেশ্য, নারীকে সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া। এটি স্ত্রীর মূল্য নয় যে, দেনমেহর পরিশোধ করলেই মনে করা হবে নারী নিজেকে বিক্রি করে দিয়েছেন। ইসলামি শরিয়তের উদ্দেশ্য হলো- যখন কোনো পুরুষ স্ত্রীকে ঘরে নিয়ে আসবে, তখন তাকে মর্যাদার সঙ্গে আনবে। ইসলামি শরিয়তের নির্দেশনা হচ্ছে, দেনমোহর এতো অল্প নির্ধারণ না করা, যেখানে স্ত্রীর মর্যাদার কোনো ইঙ্গিত থাকে না। আবার এতো অধিকও নির্ধারণ না করা, যা পরিশোধ করা স্বামীর পক্ষে অসম্ভব। অনেকের ধারণা, দেনমোহর একটা হলেই হলো। এটা তো আর দেওয়া লাগবে না। এই ধারনা থেকে বের হয়ে আসতে হবে কারণ দেনমোহর হল স্ত্রীর হক। এটা পরিশোধ করতেই হবে। তবে স্ত্রী যদি সেচ্ছায় তা মাফ করে দেয় তাহলে পরিশোধ না করলেও হবে। অনেকেই আবার ১ টাকা বা দশ টাকার কাবিনে বিয়ে করেন। তাহলে জানিয়ে রাখি আপনার বিয়ে এই ক্ষেত্রে শুদ্ধ হবে না। কারণ ইসলামের নিয়মে দেনমোহর সর্ব নিম্ন বলা হয়েছে তার থেকে কম কাবিন হলে সেই বিয়ে শুদ্ধ হবে না । কোনো নারীকে বিয়ে করলে, ইসলামি বিধান অনুযায়ী তাকে অবশ্যই দেনমোহর দিতে হবে। দেনমোহর ধার্য করা শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়। দেনমোহর স্ত্রীর অধিকার। তার ন্যায্য অধিকার তিনি যেন সঠিকভাবে পায়। স্ত্রীর যেন অবমূল্যায়ন না হন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি দেনমোহর নির্ধারণের সময় স্বামীর আর্থিক অবস্থার প্রতিও লক্ষ্য রাখতে হবে। সামর্থ্যের বাইরে দেনমোহর ধার্য করে, তাকে আল্লাহর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। দেনমোহরের শরিয়তি বিধান হলো, ১০ দিরহামের কম না হওয়া। এর মূল্য যখন যা, দেনমোহরের সর্বনিম্ন মূল্যও তখন তাই হবে। দেনমোহরের সর্বোচ্চ কোনো পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি। ন্যূনতম পরিমাণ হানাফি মাজহাবের মতে ১০ দিরহাম। অর্থাৎ ৩০.৬১৮ গ্রাম রুপা। বর্তমান বাজার অনুযায়ী যার মূল্য ৬৬২৯ টাকা। এর কম পরিমাণ দেনমোহর নির্ধারণে স্ত্রী রাজি হলেও তা শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ হবে না। এ প্রসঙ্গে হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, ১০ দিরহামের কম কোনো দেনমোহর নেই (বায়হাকি শরীফ, ৭/২৪০)। কিন্তু, এর ওপরে যেকোনো পরিমাণকে দেনমোহর নির্ধারণ করা যাবে। তবে, স্বামী যেহেতু দেনমোহর পরিশোধ করতে বাধ্য। তাই তার পরিশোধের সামর্থ্য বিবেচনা করে তা নির্ধারণ করা উচিৎ। তবে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোনো নারীকে ঠকানো যাবে না। স্ত্রীর বংশ ও তার সমমানের মেয়েদের মোহরের পরিমাণ বিবেচনা করাও উচিত। মোহরের সর্বোচ্চ কত হবে কোনো পরিমাণ শরিয়ত নির্ধারণ করেনি। (বাদায়েউস সানায়ে : ২/২৭৫, মিরকাতুল মাফাতিহ : ৬/৩৫৮) আমাদের সমাজে দেনমোহরের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রচলিত পরিমাণ হলো মোহরে ফাতেমি। মহানবী (সা.) নিজ কন্যা হযরত ফাতিমা (রা.)-কে হযরত আলীর (রা.) সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার সময় যে দেনমোহর নির্ধারণ করেছিলেন, তাকেই মোহরে ফাতেমি বলে। এর পরিমাণ হলো ৫০০ দিরহাম। আধুনিক হিসেবে হয় ১৩১.২৫ তোলা বা ১.৫৩০৯ কিলোগ্রাম রূপা। এক দিরহামের ওজন হলো ৩.০৬১৮ গ্রাম। বর্তমান বাজারে প্রতি তোলা রূপার মূল্য ২ হাজার ১০০ টাকা হলে মোহরে ফাতেমির মূল্য হবে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৬২৫ টাকা। আমাদের প্রিয় নবী (সা.) উম্মে হাবিবা (রা.) ছাড়া অন্যান্য স্ত্রীর মোহর ছিল ৫০০ দিরহাম, যা প্রচলিত হিসাব অনুযায়ী ১৩১.২৫ ভরি খাঁটি রুপা বা তার সমপরিমাণ বাজারমূল্য। যেহেতু পরিমাণ নির্ধারণে শরিয়ত বিশেষজ্ঞদের ভেতর সামান্য মতবিরোধ রয়েছে, তাই সতর্কতামূলক পূর্ণ ১৫০ ভরি ধরাই ভালো। উম্মে হাবিবা (রা.)-এর মোহর রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পক্ষ থেকে হাবশার বাদশাহ নাজ্জাশি আদায় করেছিলেন ৪০০ দিনার, যা বর্তমান হিসাবে দেড় শ ভরি খাঁটি সোনা, অপর বর্ণনায় ৪০০ দিরহাম রুপা। (মুসলিম, হাদিস : ১৪২৬, তিরমিজি, হাদিস : ১১১৪, আবু দাউদ : ২১০৮, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস : ১৬৩৮৬) মোহর শুধু টাকা দিয়েই পরিশোধ করা জরুরি নয়। গয়না, গাড়ি, বাড়ি, জমি, বই-পুস্তক দিয়েও মোহর আদায় করা যায়। কিন্তু ওই জিনিসটি যদি স্ত্রী মোহর হিসেবে গ্রহণ না করতে চায়, তাহলে সে তা ফেরত দিতে পারবে। (আহসানুল ফাতাওয়া : ৫/২৮)।
কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসা
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? হ্যা
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? হ্যা
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? হ্যা
যোগাযোগ

এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।

অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ

সর্বমোট ভিউ: 523 ভিউস