স্থায়ী ঠিকানা | উপজেলাঃ নাঙ্গলকোট, জেলাঃ কুমিল্লা |
---|---|
বর্তমান ঠিকানা | কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন, কুমিল্লা সদর, কুমিল্লা |
কোথায় বড় হয়েছেন? (Required) | ছোট থেকেই শহরে বড় হয়েছি। বাবার চাকুরীর সুবাদে চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লায় থাকা হয়েছে। |
বায়োডাটার ধরন | পাত্রের বায়োডাটা |
---|---|
বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিত |
বর্তমান ঠিকানা | কুমিল্লা |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
স্থায়ী ঠিকানা | কুমিল্লা |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জন্মসন (আসল) | ১৯৯৭ |
গাত্রবর্ণ | উজ্জ্বল শ্যামলা |
উচ্চতা | ৫'৬'' |
ওজন | ৬২ কেজি |
রক্তের গ্রুপ | O+ |
পেশা | প্রাইভেট জব |
মাসিক আয় | আলহা'মদুলিল্লাহ্, আমার জন্য যতটুকু রিজিক বরাদ্দ রয়েছে ততটুকুতেই রবের প্রতি সন্তুষ্ট রয়েছি। |
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? (Required) | জেনারেল |
---|---|
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? | হ্যাঁ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান ফলাফল | Golden A+ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান বিভাগ | বিজ্ঞান বিভাগ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাসের সন | ২০১৩ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাশ করেছেন? | হ্যাঁ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমানের বিভাগ | বিজ্ঞান বিভাগ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান ফলাফল | A |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাসের সন | ২০১৫ |
স্নাতক / স্নাতক (সম্মান) / সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা | B.Sc (Honours) - Chemistry |
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম | কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ |
পাসের সন | ২০২১ |
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা | M.Sc in Chemistry |
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা | SSC - Ibn Taimiya School & College, HSC - Cumilla Victoria Govt. College |
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? | না |
---|---|
পিতার পেশা | বেসরকারি ঔষধ কোম্পানিতে কর্মরত আছেন |
---|---|
মাতার পেশা | রাব্বাতুল বাইত |
বোন কয়জন? | ১জন |
ভাই কয়জন? | ৩জন |
বোনদের সম্পর্কে তথ্য | বর্তমানে দশম শ্রেণি অধ্যয়নরত আছেন। |
ভাইদের সম্পর্কে তথ্য | ভাই (১) - নিজ ভাই (২) - শাবিপ্রবি থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন, অবিবাহিত। ভাই (৩) - হাফেজে কুরআন, দাখিল ফলপ্রার্থী ২০২৫, অবিবাহিত। |
চাচা মামাদের পেশা | আমার বাবাসহ চাচারা ৪ জন। আমার বাবা সবার বড়। বাকি ৩ জন গ্রামের বাড়িতে কৃষিকাজের সাথে যুক্ত রয়েছেন। মামারা ৮ জন। বড় মামা কুয়েত, সেজো মামা ও ২ জন ছোট মামা সৌদি আরব এবং ১ জন বাহরাইনে প্রবাসী হিসেবে আছেন। মেজো মামা বেসরকারি ঔষধ কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। ১ জন অর্থনীতিতে বিএসএস ৪র্থ বর্ষ এবং অন্যজন মাদ্রাসায় ফাজিল ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত আছেন। |
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা | আমার পরিবারটি একটি নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা এবং আমি। যেহেতু বাবা একটা বেসরকারি ঔষধ কোম্পানিতে আছেন। আমাদের পড়াশোনা ও বাবার চাকুরির সুবাদে ছোট থেকেই পরিবারসহ শহরে থাকতে হয়েছে। বর্তমানে শহরে ভাড়া বাসাতেই দীর্ঘদিন থাকছি। আলহা'মদুলিল্লাহ, বাবা এবং আমার উপার্জনেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো আছি। কিছুদিন আগে আমি অর্থনৈতিকভাবে একটা বিপদের সম্মুখীন হই। ফলে, আমার ব্যক্তিগতভাবে কিছু কর্জে হাসানা রয়েছে। তবে, আমি সেটা পরিশোধের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। গ্রামে কোনো বসত বাড়ি করা হয় নি। তবে বসত বাড়ি করার মতো জায়গা রয়েছে। আলহা'মদুলিল্লাহ, আমার পরিবার সামাজিকভাবে সম্মানিত। |
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) (Required) | আলহা'মদুলিল্লাহ, পারিবারিক দ্বীনি পরিবেশ ভালো। আমার মা আমাদেরকে ছোট থেকেই ৫ ওয়াক্ত সালাত জামায়াতে আদায়, নফল ইবাদতের প্রতি গুরুত্ব দিতেন। ছোট ভাই ও বোনকেও দ্বীন শিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করছেন। মা-বাবা দুজনেই ৫ ওয়াক্ত সালাত নিয়মিত পড়েন। তাছাড়া পরিবারের সবাই মাহরাম-নন মাহরাম মেনে চলার চেষ্টা করেন। আমার মা ছোট থেকেই আমাদেরকে ইসলামের মৌলিক জ্ঞান শিখিয়েছেন। আলহা'মলিল্লাহ, পরিবারের সবাই সেভাবেই গড়ে উঠতে পেরেছি। |
সুন্নতি দাঁড়ি রয়েছে কি? (Required) | সুন্নতি দাঁড়ি এখনো রাখা শুরু করি নি। ছোট করে রেখেছি। অন্তত এক মুষ্ঠি দাঁড়ি রেখে দেয়ার নিয়্যত রয়েছে। |
---|---|
পায়ের টাখনুর উপরে কাপড় পরেন?(Required) | আলহা'মদুলিল্লাহ, ছোট থেকেই টাখনুর উপরে কাপড় পরিধান করি। |
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? | আলহা'মদুলিল্লাহ্, পড়া হয়। নামাজ আদায় করতে না পারলে কোনো কাজেই মন বসাতে পারি না। তাই ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথেই নামাজ পড়ে নেয়ার চেষ্টা করি। |
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) | ৫ম শ্রেণি থেকে ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সাথে পড়ার চেষ্টা করছি। |
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? | হাদিস অনুযায়ী বর্তমান সময়ে নজরের হিফাজত করা, জ্বলন্ত কয়লা হাতে নেয়ার মতো দুঃসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। তারপরও সূরা নূরের শিক্ষানুযায়ী নজরকে হিফাজত করার চেষ্টা করছি। |
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? | আলহা'মদুলিল্লাহ্, শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করতে পারি। |
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? | ঢিলেঢালা ও মার্জিত পোশাক পরিধানের চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে টি-শার্ট, শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবী, পায়জামা পরা হয়। |
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন (Required) | ইসলামী খিলাফাতে বিশ্বাসী। সমাজ পরিবর্তনের জন্য কুরআন ও সুন্নাহ্ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য এবং সেই স্পৃহা মনে-প্রাণে লালন করি। |
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? | নাটক, সিনেমা, সিরিয়াল দেখি না। তবে মাঝে মাঝে বাধ্যযন্ত্রবিহীন ইসলামিক নাশিদ (হামদ/নাত) শোনা হয়। |
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) | আলহা'মলিল্লাহ্, মানসিক বা শারীরিক গুরুতর কোনো রোগ নেই। তবে চোখে (-3) পাওয়ার লেন্সের চশমা ব্যবহার করি। |
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) | বর্তমানে কোথাও যুক্ত নেই। তবে ছাত্রজীবনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথে যুক্ত ছিলাম। ইন শা আল্লাহ, যুক্ত হয়ে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।। |
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) | জ্বি না |
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) | মাজার হচ্ছে স্পষ্ট শিরক। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) | রাসূলুল্লাহর (সা.) বিপ্লবী জীবন, মানবতার বন্ধু মুহাম্মদ (সা.), সীরাতে ইবনে হিশাম, আসহাবে রাসূলের জীবনকথা, প্রোডাক্টিভ মুসলিম |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) | সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদূদী (রহি.), আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী (রহি.), অধ্যাপক মফিজুর রহমান (হাফি.), শায়খ আহমাদুল্লাহ্ (হাফি.) |
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) | কম্পিউটার চালনায় ভালো দক্ষতা রয়েছে বিশেষ করে মাইক্রোসফট অফিস এপ্লিকেশন। তাছাড়া গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোর্স করেছিলাম। তবে অনুশীলন না থাকায় অনেক কিছু ভুলে গিয়েছি। |
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন | 🔺নিজের সম্পর্কে কিছু ব্যক্ত করা যথেষ্ট কঠিন। তারপরও আমি যেমন মন মানসিকতা লালন করি তা উল্লেখ করার চেষ্টা করছি। 🔺দ্বীনি জ্ঞান অর্জনের হাতেখড়ি মায়ের হাত ধরেই শুরু হয়েছিলো। ছোটবেলা মক্তবে পড়ার সুবাদে খুব দ্রুতই কুরআন পড়া শিখতে পেরেছিলাম। তাছাড়া ছাত্রজীবনে দ্বীনি সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকায় কুরআন, হাদিস ও ফিকহ সম্পর্কে কিছুটা জানার চেষ্টা করেছি। কুরআন তিলাওয়াত সহীহ করার জন্য রমাদানে মসজিদ ভিত্তিক সহীহ কুরআন প্রশিক্ষণ কোর্সেও যুক্ত ছিলাম। 🔺 আমি সত্য কথা এবং খুব কম কথা বলতে পছন্দ করি এবং খুব সাদা-সিদে জীবন অতিবাহিত করতে পছন্দ করি। আমার জীবনের প্রতিটি কাজ আল্লাহর বিধান ও রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর সুন্নাহ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করি। 🔺 ছোট থেকে কারো সাথে খুব একটা না মিশলেও, বয়স বাড়ার সাথে সাথে দ্বীনি পরিবেশের ভাইদের সাথে মেশার চেষ্টা করতাম। সবার সাথে বিনয়ী, নম্র ব্যবহার করার চেষ্টা করি। 🔺কাউকে কষ্ট দিতে পারি না। কেউ কষ্ট পেলে ক্ষমা চেয়ে নেয়ার চেষ্টা করি। তাছাড়া কারো বিপদে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। 🔺প্রদর্শনেচ্ছাকে খুব অপছন্দ করি। নিজেকেও এ কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করি। 🔺অতিরিক্ত অর্থ অপচয় করাও পছন্দ করি না। বিলাসীতাকে খুবই অপছন্দ করি। 🔺 অবসর সময়ে ইসলামী সাহিত্য পড়া, অনলাইনে নতুন কিছু জানার ও শিখার চেষ্টা করি। আমার ব্যক্তিগত পাঠাগারে ১৫০+ বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে। 🔺ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। বাংলাদেশের কিছু জায়গায় ভ্রমণের সুযোগ হয়েছে। 🔺 নিজেকে সবসময় পরিপাটি ও গোছানো রাখার চেষ্টা করি। তাছাড়া নিজের কাজ নিজেই করতে পছন্দ করি। 🔺দুনিয়াতে নিজকে অনেক প্রতিষ্ঠিত করতে হবে বা অনেক বেশি সম্পদশালী হতে হবে এমন কোনো ইচ্ছে নেই। যেহেতু এ পৃথিবীতে আমরা সবাই মুসাফির এবং মহান আল্লাহর প্রতিনিধি। তাই এ পৃথিবীতে রবের বিধান অনুসারে জীবন পরিচালনা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে নিজকে একজন জান্নাত উপযোগী মানুষ হিসেবে তৈরি করতে পারাই সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। |
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন | প্রযোজ্য নয় |
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? | হানাফি |
নজরের হেফাজত করেন? (Required) | হ্যা |
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? | দ্বীনি ফিউচার প্ল্যানকে আমি দুভাগে ভাগ করতে চাই। ব্যক্তিগত ক্ষেত্র ও পারিবারিক ক্ষেত্র। 🔹 ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে হয়তো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোনো দ্বীনি উচ্চ শিক্ষা নেয়াটা একটু কঠিন হতে পারে। তবে দ্বীনি সংগঠনে যুক্ত হয়ে দ্বীন সম্পর্কে আরো বিশদভাবে জানা ও মানার ইচ্ছে রয়েছে। তাছাড়া নিজে যে পরিবেশে বড় হয়েছি, কখনও নিজ পরিবার গঠনের তাওফিক হলে সে পরিবারটি দ্বীনি পরিবার হিসেবে গড়ে তোলার ইচ্ছে রয়েছে। এক্ষেত্রে স্ত্রীর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 🔹 পারিবারিক ক্ষেত্রে মা-বাবা, ভাই-বোনকে এখনও দ্বীন মেনে চলার ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদান করি। মানুষকে নিয়ম-শৃঙ্খলার অধীনে আনা নিঃসন্দেহে অনেক কঠিন। তারপরও আমি সবসময় দ্বীন পালনে পরিবারের প্রতি যত্নশীল থাকতে বদ্ধ পরিকর। |
অবসর সময় কিভাবে কাটান? (Required) | ছুটির দিনে বা অবসর সময়ে পরিবারকে সময় দিতে বেশি পছন্দ করি। তাছাড়া সুযোগ পেলে বই পড়া, নতুন কিছু শিখা ও জানার চেষ্টা করি। পরিবারের কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে সেটা করার চেষ্টা করি। |
কত ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে আদায় করেন? (Required) | আলহা'মদুলিল্লাহ্, ৫ ওয়াক্ত সালাত জামায়াতের সাথে পড়ার চেষ্টা করি। যদিও জবের কারণে অনেক সময় জামায়াত ছুটে যায়। |
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? (Required) | যেহেতু আমি পরিবারের বড় সন্তান। তাই পরিবারের প্রতি দায়িত্ববোধটা আমারই বেশি। পরিবারের সকল বিষয়ে খোঁজ রাখা, মা-বাবার খেদমত করা, পরিবারের প্রয়োজনীয় সকল কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতার চেষ্টা করি। |
আপনি কি ধুমপান করেন? (Required) | না |
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? | জ্বি |
---|---|
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? | 🔹বর্তমানে কুলষিত সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে চরিত্র বিধ্বংসী পাথেয় সহজলভ্য হয়ে গেছে, সেখানে বিয়ের মাধ্যমেই একজন যুবকের চরিত্র হেফাজত সম্ভব। তাই, আমি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সুন্নাহ আদায় এবং চরিত্র হেফাজতের জন্য ইসলাম নির্দেশিত পন্থায় বিয়ে করতে চাই। 🔹বিয়ে মহান আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ নিআমত ও রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাহ। বিয়ে প্রত্যেকটি পুরুষ ও নারীর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিয়েকে দ্বীনের অর্ধেক বলা হয়েছে অর্থাৎ ঈমানের পূর্ণতার সহায়ক। নারী-পুরুষের হৃদয়ে প্রশান্তি লাভের নির্ভরযোগ্য এক আশ্রয়স্থল হচ্ছে বিবাহবন্ধন। নারী পুরুষের মাঝে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বিয়ে হচ্ছে একমাত্র বৈধ উপায় এবং মানুষের চরিত্র রক্ষার হাতিয়ার। মুসলিম উম্মাহকে সমৃদ্ধ করতে বিবাহ একটি উত্তম মাধ্যম। বিয়ের মাধ্যমে একটি পরিবারের সাথে আরেকটি পরিবারের মেলবন্ধন তৈরি হয়। 🔹আদর্শ পরিবার গঠন, মানুষের জৈবিক চাহিদা পূরণ এবং মানসিক প্রশান্তি লাভের প্রধান উপকরণ হচ্ছে বিয়ে, যা প্রত্যেক মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। তাই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে বিয়ে করতে উৎসাহিত করেছেন এবং বিয়ের মাধ্যমে আমরা যে প্রশান্তি লাভ করতে পারবো সে কথাও বলেছেন। তাছাড়া বিয়ের মাধ্যমে যে রিজিক প্রসারিত হয় সেটাও কুরআন-হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। 🔹মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কুরআন কারীমে এই প্রসঙ্গে বলেনঃ "আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।" (সূরা রুম: আয়াত ২১) 🔹স্বামী-স্ত্রী একে অপরের পরিপূরক। একজন ব্যতীত অন্য জনের চলা কষ্টকর। আর বিষয়টিকে বুঝানোর জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অন্যত্র বলেন, "তারা (স্ত্রীগণ) তোমাদের পোশাক এবং তোমরা (স্বামীগণ) তাদের পোশাকস্বরূপ।" (সূরা বাকারা: আয়াত ১৮৭) 🔹আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, "হে যুবক সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যার ক্ষমতা আছে সে যেন বিয়ে করে। কেননা, তা চক্ষুকে নত করে এবং লজ্জাস্থানকে অধিক হেফাজত করে। আর যে ব্যক্তি বিয়ে করতে সক্ষম নয়, সে যেন রোজা রাখে।” (বুখারি, মুসলিম) 🔹মানব সভ্যতা বিকাশের জন্য দরকার সমাজ ও রাষ্ট্র। সমাজের প্রথম সোপান হলো পরিবার। পারিবারিক জীবন শুরু হয় বিয়ের মাধ্যমেই। কাজেই মানব সভ্যতা বিকাশে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। একজন পুরুষ এবং একজন নারীর মাঝে একসাথে বসবাস করার শরিয়ত মোতাবেক যে বন্ধন স্থাপিত হয়, তারই নাম বিবাহ। |
বিয়ের পর স্ত্রীর পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? | জ্বি, ইন শা আল্লাহ্। বাসায় আমার মা, ছোট ভাই-বোন নিয়মিত থাকেন। আব্বু ও আরেক ভাই দূরে থাকেন। সাপ্তাহিক ছুটিতে আব্বু বাসায় আসেন। আলহা'মদুলিল্লাহ্, সবার মধ্যে পর্দার বুঝ রয়েছে। তাই এক্ষেত্রে পর্দা মানার ক্ষেত্রে সবার পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে। |
বিয়ের পর স্ত্রীকে পড়াশোনা করতে দিতে চান? | যদি পরিপূর্ণ পর্দা মেনে পড়তে চান, তাহলে পড়তে পারবেন। তবে সহশিক্ষা পড়াশোনা অনুৎসাহিত করি। |
বিয়ের পর স্ত্রীকে চাকরী করতে দিতে চান? | জ্বি না |
বিয়ের পর স্ত্রীকে কোথায় নিয়ে থাকবেন? | জবের কারণে আমাকে একটু দূরে থাকতে হয়। তাই আমার মায়ের সাথেই থাকবেন। তবে আমি সাপ্তাহিক ছুটিতে নিয়মিত বাসায় আসবো। |
বিয়ে উপলক্ষে আপনি বা আপনার পরিবার পাত্রীপক্ষের কাছে যৌতুক বা উপহার বা অর্থ আশা করবেন কি না? | কোনো উপহার বা অর্থ কিছুই আশা করি না। আশা করি, মেয়ের পক্ষ থেকেও ছেলের কাছে নানান শর্তাধীনে কোনো কিছু প্রত্যাশা করবেন না। |
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? | আর্থিক অবস্থা |
বিয়ের পর স্ত্রীর ভরনপোষন চালাতে পারবেন? | হ্যা |
আপনাার স্ত্রীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? | ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক পারস্পরিক ভালোবাসা, সম্মান, ও দায়িত্বশীলতার ওপর ভিত্তি করে গঠিত। ইসলামে স্বামীকে স্ত্রীর প্রতি দায়িত্বশীল, স্নেহশীল ও সম্মানজনক আচরণ করতে বলা হয়েছে। কুরআনে বলা হয়েছে: "আর তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো।" (সূরা আন-নিসা: ১৯) রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: "তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে তার স্ত্রীর প্রতি উত্তম আচরণ করে।" তাছাড়া আরো যে কর্তব্যগুলো রয়েছে- ১. উত্তম ও সদাচরণ করা। ২. ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করা। ৩. স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা ও দয়া প্রদর্শন করা। ৪. স্ত্রীর মতামতকে সম্মান করা। ৫. স্ত্রীর সাথে সময় কাটানো ও ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা এবং মানসিক প্রশান্তির ব্যবস্থা করা। ৬. স্ত্রীর ইজ্জত ও মর্যাদাকে রক্ষা করা। বিশেষ করে স্ত্রীর পর্দা পালনে সর্বোচ্চ যত্নশীল হওয়া। ৭. ধৈর্যশীল ও ক্ষমাশীল হওয়া। ৮. স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা ও সহমর্মিতা প্রদর্শন করা। ৯. সর্বোপরি স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের পারস্পরিক চিন্তার মাধ্যমে একটি জান্নাতী পরিবার গঠন করা। ১০. একটি সুখী পরিবার গঠনের অন্যতম একটি বিষয় হচ্ছে, স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের প্রতি 'বিশ্বাস ও আমানত'। এই বিষয়টি স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। |
আপনার আহলিয়ার পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? | হ্যা |
আপনি বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় থাকবেন? | একক পরিবারে |
বয়স (Required) | ১৮-২৪ |
---|---|
গাত্রবর্ণ | উজ্জ্বল শ্যামলা, ফর্সা, উজ্জ্বল ফর্সা। আল্লাহ যার সাথে জুটি রেখেছেন, তাকে তো পছন্দ হবেই। ইন শা আল্লাহ। (চক্ষু শীতলকারী ও মায়াবী) |
নূন্যতম উচ্চতা | ৫’-৫’৪’’ ইঞ্চি |
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা | HSC/আলিম, অনার্স/ফাজিল অধ্যয়নরত |
বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিত |
জীবনসঙ্গীর পর্দা সম্পর্কে যেমনটা চান- (Required) | পর্দা পালনের ক্ষেত্রে ইসলাম নির্দেশিত হুকুমকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিবেন। অর্থাৎ শুধুমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ভয়কে হৃদয়ে ধারণ করেই পর্দা করবেন। এক্ষেত্রে স্বামীর কোনো দূর্বলতা দেখা গেলে সেটাও স্মরণ করিয়ে দিবেন। তাছাড়া, বিয়ের দিন অনেকে পর্দাকে খুব অবহেলা করেন। অনেকে এই এক জায়গায় এসে ব্যর্থ হন। আশা করি, সেই মুহুর্তেও পর্দার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সচেতনতা লালন করবেন। |
পেশা (Required) | শিক্ষার্থী/কোনো পেশার সাথে যুক্ত থাকা যাবে না। |
অর্থনৈতিক অবস্থা | নিম্ন মধ্যবিত্ত/মধ্যবিত্ত, আর্থিকভাবে মোটামোটি স্বচ্ছল পরিবার। |
পারিবারিক অবস্থা (Required) | সামাজিকভাবে সম্মানিত। তবে কুফু মিলাতে পরিবারের সবার দ্বীনি বুঝ থাকলে ভালো হয়। অন্তত মা-বাবা, ভাই-বোনের মধ্যে যেন দ্বীনের কিছুটা মৌলিক জ্ঞান থাকে। |
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন | 💠 জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করি 🌼 পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ওয়াক্ত মত আদায় করবে, শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত ও অধ্যয়ন করবে। নিয়মিত হাদিস ও ইসলামি সাহিত্য অধ্যয়ন করবে। 🌼 ঘরের কাজে খুব পারদর্শী হতে হবে। সাংসারিক কাজগুলোতে রুচিশীল, সৃজনশীল ও নান্দনিকতার সাথে সামলে নিবে। সুস্বাদু রান্না-বান্না জানলে আরো ভালো হয়। 🌼 স্বামীর সুখ দুঃখের প্রকৃত সাথী হবে। স্বামী ভুল করলে ভুলের গঠনমূলক সমালোচনা করবে তবে তা হতে হবে ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে এবং বুদ্ধি, পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবে। 🌼 কখনো কোনো আত্মীয়-স্বজন কিংবা কোন শুভাকাঙ্ক্ষীর সামনে স্বামীর অসম্মান হয় কিংবা ছোট হয় এরূপ আচরণ করবে না। 🌼 স্বামীর পূর্ণ আনুগত্য করবে। আনুগত্য করাকে কখনো অসম্মান হিসেবে দেখবে না। সকল ক্ষেত্রে স্বামীর শান, মান ও ইজ্জত কে সমুন্নত রাখার বিষয়ে সচেষ্ট থাকবে। 🌼 স্বামী কিসে খুশি হয়, কিসে অসন্তুষ্টি হয় এই বিষয়গুলোর প্রতি সিরিয়াস থাকবে। 🌼 একজন প্রকৃত ভালো বন্ধু হিসেবে আমার সাথী হিসেবে থাকবে, সর্বোপরি আমাকে মন-প্রাণ উজাড় করে ভালোবাসতে হবে যেখানে কোন কৃত্রিমতা থাকবে না। 🌼 স্বামীর অনুপস্থিতিতেও শুধুমাত্র আল্লাহকে ভয় করে ৫ ওয়াক্ত সালাত, পর্দাসহ ইসলামের বিদ্বানসমূহ পরিপূর্ণভাবে মেনে চলবেন। 🌼 নিজেকে একজন আদর্শ মা হিসেবে তৈরি করবেন, যাতে সন্তান লালন-পালনে ইসলামের আলোকে সন্তানদের মানুষ করতে পারেন। 🌼 স্বামীর মা-বাবা, ভাই-বোনদের প্রতি সদয় আচরণ করবে। সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে। কখনও হিংসা করা যাবে না। এতে নিজের সম্মানও বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। কারণ এরা স্বামীর আপনজন রক্তের বন্ধন। শুধু সারাক্ষণ স্বামীর বন্দনা করে স্বামীর ভালবাসা পাওয়া যায় না। এ মানুষ গুলো স্বামীর জন্য নেয়ামত ও আমানত। আর স্বামীর নেয়ামত ও আমানত রক্ষা করা স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য। 🌼 অল্পে তুষ্ট থাকবেন এবং জীবনে যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশের সাথে খাপ খেয়ে চলার মতো ধৈর্যশীল হবেন। সর্বোপরি উনি আমাকে দ্বীন মানতে এবং দ্বীনের কাজে সহযোগিতা করবে। আরও অনেক গুণ থাকা প্রয়োজন। দ্বীনদারী মেয়েরা এসব গুণাবলি নিজের মেধা, প্রজ্ঞা, জ্ঞান দিয়ে বুঝে নিবে, অর্জন করে নেবে। সে অনুযায়ী আমল ও প্রয়োগ করে। সংসারে চিরস্থায়ী সুখ ও শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। |
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? (Required) | কুমিল্লা বা এর আশে পাশের জেলা |
পেশা সম্পর্কিত তথ্য (Required) | আমি বর্তমানে একটি বেসরকারি শিল্প গ্রুপের মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের ল্যাবরেটরিতে সহকারী রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত আছি। আলহা'মদুলিল্লাহ্, আমার উপার্জন হালাল। |
---|---|
বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান | ✨ বিবাহ হচ্ছে ইসলামের অসংখ্য সৌন্দর্যের মধ্যে অন্যতম একটি সৌন্দর্য। কিন্তু বর্তমান সমাজে বিবাহকে কঠিন করে ফেলা হয়েছে। সমাজ এতটা নিচে চলে গিয়েছে যে, একটা বিবাহের আয়োজন মানে অঢেল টাকা খরচ করতে হবে। বড় অঙ্কের মোহরানা ধার্য করতে হবে। উভয় পক্ষ থেকে অনেক কিছু দেয়া-নেয়া করতে হবে। এতে করে এসব নানান শর্তের বেড়াজালে ইসলামের এই সৌন্দর্য ম্লান হয়ে গিয়েছে। অথচ রাসূলুল্লাহ ﷺ বিয়েকে সহজ করতে বলেছেন। সে যুগে বিবাহ এতটাই সাদা-মাটা ছিলো যে, আকদ, ইজাব-কবুল ও ওয়ালিমার মাধ্যমে এক আনন্দঘন পরিবেশে বিবাহ সম্পন্ন হতো। নিজে জনৈক সাহাবীর বিবাহ একটা রাসূলুল্লাহ ﷺ লোহার আংটিকে বিবাহের মোহরানা হিসেবে ধরেও সম্পন্ন করেছিলেন। (বুখারীঃ ৫১৩৫, ihadis.com) ✨ পূর্বে একটা প্রচলন শুনেছি, মেয়েকে বিয়ে দিতে গেলে ছেলের পক্ষ থেকে অনেক কিছু যৌতুক হিসেবে দাবি করা হতো। যেটা দিতে গিয়ে মেয়ের বাবারা নিঃস্ব হয়ে যেতো। আর বর্তমানে যৌতুকের ব্যাপারে অনেক সচেতনতার কারণে সেটা আরেকটা বিষয় দিয়ে রিপ্লেস হয়েছে। তা হচ্ছে উচ্চমূল্যের মোহরানা, কয়েক ভরি গহনা, সামাজিক নানান শর্ত ইত্যাদি। যেটা আসলে মেয়ের পক্ষ থেকে অনেকে চেয়ে থাকে। আর এসব কোনোটাই ছেলের আয় অনুযায়ী ধরা হয় না। এমনকি সমাজকে দেখানোর জন্য উচ্চ মোহরানা ধরে এমনও বলা হয়ে থাকে, এটা স্ত্রীর কাছে মাফ চেয়ে নিলেই হয়। ✨ একটা ছেলে যদি ইসলাম সম্পর্কে কিছুটা হলেও জ্ঞান রাখেন। তার উপর ধার্যকৃত এই উচ্চ মোহরানা অনেকেই সঠিকভাবে আদায় করতে পারে না। সে ওই মোহরানা পরিশোধ করতে গিয়ে একটু হলেও বেগ পেতে হয়। ইসলামের নির্দেশনা হচ্ছে, একজন পুরুষকে স্ত্রীর কাছে যাওয়ার পূর্বেই মোহর পরিশোধ করতে হবে। কারো মাঝে যদি এতটুকু ইসলামের জ্ঞান থাকে যে, হাদিসের শিক্ষানুযায়ী এই মোহরানা পরিশোধ করতে না পারলে, হাশরের মাঠে ব্যভিচারিদের কাতারে দাঁড়াতে হবে। সেটাই তাকে কিছুটা হলেও চাপে ফেলে দেয়। অথচ, ইসলামের কোথাও মোহরানা নির্ধারিত করে দেয়া হয় নি। বরং স্বামীর সাধ্যনুযায়ী নির্ধারণের ব্যাপারে ইসলাম উৎসাহিত করেছে। ✨ দাম্পত্যের জন্য মোহর ওয়াজিব স্বামী দেবে, স্ত্রী গ্রহণ করবে। মূলত মোহর একজন নারীর নারীত্ব বৈধ উপায়ে একজন পুরুষের কাছে সমর্পণের একটি প্রতীকী সম্মানী। এ সম্মান স্ত্রীর প্রাপ্য অধিকার, অনেকে এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চায়। মোহরানা স্ত্রীর রক্ষাকবচ নয়, এটি তার সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। ✨ আমি ব্যক্তিগতভাবে সামাজিক প্রচলিত বিভিন্ন নিয়মের বাহিরে চলতে পছন্দ করি। এক্ষেত্রে আমার অনুসরণীয় মানদন্ড হচ্ছে ইসলামের শিক্ষা। এক্ষেত্রে আমার সমাজ, পরিবার যদিও আমার বিরুদ্ধে যায়, এটাকে আমি ভ্রুক্ষেপ করি না। তাই, মোহরানার বিষয়ে আমি, আমার বর্তমান সামর্থ্য অনুযায়ী ধরতে চাই। যেহেতু বর্তমানে আমার কিছু কর্জে হাসানা রয়েছে, সেহেতু সে বিবেচনায় মোহরানার পরিমাণ আমার বাজেটের বেশি ধরলে বিয়ে করা কঠিন হয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে পাত্রীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পাত্রী আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করলে কাজটি সহজ হয়ে যায়। তাছাড়া, বিয়ের আয়োজনের ক্ষেত্রে প্রচলিত সামাজিক রীতিনীতিকে সামনে না এনে, ইসলামের মানদণ্ড অনুযায়ী খুবই সাদা-সিদেভাবে বিয়ের আয়োজন করতে চাই। |
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? | হ্যা |
---|---|
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? | হ্যা |
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? | হ্যা |
এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।
অভিভাবকের সাথে যোগাযোগসর্বমোট ভিউ: 637 ভিউস