male

বায়োডাটা নাম্বার

AH-113005

পাত্রের বায়োডাটা

অবিবাহিত

ঢাকা

ঢাকা বিভাগ

নোয়াখালী

চট্টগ্রাম বিভাগ

২০০১

শ্যামলা

৫'৭''

৪৫ কেজি

O+

ছাত্র/ছাত্রী

নেই।


ঠিকানা
স্থায়ী ঠিকানা খোড়ার পাড়া ভুঁইয়া বাড়ি, আমকি বাজার, সোনাইমুড়ী, নোয়াখালী।
বর্তমান ঠিকানা বামের জামতলা বাইতুল হক্ব মসজিদ, আজমপুর কাচাবাজার, উত্তরা, ঢাকা।
কোথায় বড় হয়েছেন? (Required) ছোটবেলায় গ্রামে ছিলাম। ২০১২ তে ঢাকায় চলে এসেছি।
সাধারণ তথ্য
বায়োডাটার ধরন পাত্রের বায়োডাটা
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
বর্তমান ঠিকানা ঢাকা
বিভাগ ঢাকা বিভাগ
স্থায়ী ঠিকানা নোয়াখালী
বিভাগ চট্টগ্রাম বিভাগ
জন্মসন (আসল) ২০০১
গাত্রবর্ণ শ্যামলা
উচ্চতা ৫'৭''
ওজন ৪৫ কেজি
রক্তের গ্রুপ O+
পেশা ছাত্র/ছাত্রী
মাসিক আয় নেই।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? (Required) জেনারেল
আপনি কি হাফেজ? হ্যাঁ
দাওরায়ে হাদীস পাশ করেছেন? না
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? হ্যাঁ
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান ফলাফল A
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান বিভাগ মানবিক বিভাগ
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাসের সন ২০২৫
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাশ করেছেন? না
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা দাখিল/এসএসসি
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা আমি আলিয়া এবং কিছু কওমি পড়েছি। ঢাকায় আসার পর আমি একটা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হই নাম, “তানযিমুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদ্রাসা”।ক্যাডেট মানে এখানে জেনারেল এবং হিফয দুটা একসাথেই পড়ানো হয়। এখানে এসে আমি ক্লাস থ্রি-তে ভর্তি হই এবং “নাযেরা”(কুরআন দেখে পড়া) পড়া শুরু করি। এরপর হিফয শেষ করি, সাথে সাথে ক্লাস এইট-এ পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে যাই। কারণ সেখানে এইটের পরে আর কোন ক্লাস ছিল না। সে পর্যন্ত আমি মাদ্রাসায় পড়েছি ঠিকই কিন্তু দ্বীন জিনিসটা বুঝিনি। এরপর হিফয শুনানোর জন্য একটা কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হই এবং সেখানে শুনাতে থাকি।( আমি হাফেজ হই ২০১৭ সালে, এরপর কয়েক বছর শুনাই(রিভাইজ)। মাদ্রাসায় থাকাকালীন তারাউইহ পড়াতাম কিন্তু যখন মাদ্রাসা থেকে বের হই তখন করোনা ছিল, তো বাহিরে পড়ানো হয়নি। না পড়ানোর কারণে ওই সাহসটা এখন নেই। ইনশাআল্লহ ভবিষ্যতে যদি আল্লাহ তা‘আলা কবুল করেন।) এরপর একটা কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হই সেখানে কিছুদিন পড়ে, ওস্তাদের সাথে পরামর্শ করে কিছুদিন ব্রেক নেই। সেই ব্রেকেই মূলত দ্বীনে ফিরার কারণ হয় আলহামদুলিল্লাহ। এরপর চিন্তা করেছি, আলিমে ভর্তি হবো ইনশাআল্লহ। (কারণসহ পড়ালেখা বিষয়ক সামনে আরো কিছু উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ।)
IOM তথ্য
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? না
পারিবারিক তথ্য
পিতার পেশা অবসর
মাতার পেশা গৃহিণী
বোন কয়জন? ৩জন
ভাই কয়জন? ভাই নেই
বোনদের সম্পর্কে তথ্য আমার তিন বোন এক ভাই, আমি সবার ছোট। তিন বোনই বিবাহিত আলহামদুলিল্লাহ। বড় দুলাভাই: ফ্রান্সে থাকে। মেঝো দুলাভাই: স্বপরিবারে আমেরিকায় থাকে। ছোট দুলাভাই: বন বিভাগে কর্মরত (বেসরকারি) আমার বড় বোন এবং তার তিন সন্তান আমাদের সাথেই থাকেন। কারণ আমার দুলাভাইয়ের ইচ্ছা ওনার ছেলেদের মাদ্রাসায় পড়ানোর। কিন্তু আমাদের পুরো গুষ্টির মধ্যে আমি ছাড়া কেউই মাদ্রাসায় পড়ে নাই। ভাইয়ার গুষ্টিতে পড়লেও উনি ওনাদের প্রতি সন্তুষ্ট না। এ কারণে আমাকে এ দায়িত্ব দিয়েছেন।(ভাগিনাদের বয়স ১১,৮,৪ । বড় দুজন মাদ্রাসায় থাকে, বাসায় শুধু খাবার খায়। মাদ্রাসা বাসার পাশেই, তাদের জন্যই এখানে বাসা নেয়া) স্বাভাবিকভাবে শাশুড়িকে রেখে বউ পিতার বাড়িতে থাকা উচিত না। আমার দুলাভাইরা তিন ভাই, বাকি দুই জনেরও বিবাহ হয়েছে। বাকিদের বউ শাশুড়ির সাথেই থাকে। এই কারণে আমার আপু এখানে থাকলে শাশুড়ির খেদমতে কোন সমস্যা হয় না। ভাইয়া ওনার ছেলেদের ভবিষ্যতের কথা বলে অনুমতি নিয়েছিলেন।
চাচা মামাদের পেশা চাচা নেই, সবাই অসুস্থতায় মারা গিয়েছেন। মামা এবং খালু আছেন। মামা বাহিরে থাকেন, ফ্রান্সে। আর খালুর পল্টনে(এরিয়ার নাম) দোকান আছে।
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা এটা একটু বড় হতে পারে, বিবাহ সংক্রান্ত বিষয়াদির বিস্তারিত বর্ণনা থাকা ভালো। আমার আব্বু আমার জন্মের আগে ওমান থাকতেন, এরপর তিনি দেশে চলে আসেন। দেশে আসার পর উনি একটা টেইলার্সের দোকান দেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডাক্তারের কাছে নেওয়ার পর ডাক্তার বলেন, যে উনি আপাতত কোন চাপ নিতে পারবেন না। যদি চাপ(টেনশন) নেন তাহলে উনার বড় কোন ক্ষতি হতে পারে। সরাসরি বলে নাই; প্যারালাইসিস হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পরে আমার মামা-খালারা ওনাকে আর কোনরকম পারিবারিক টেনশন নিতে দেননি। সে থেকে এখন পর্যন্ত উনি এভাবেই আছেন। পরিবারের দায়িত্ব না নিতে না নিতে এখন আর ঐরকম দায়িত্ব নেন না। হয়তোবা একারণে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাকে কিছুটা দায়িত্ব নেয়া শিখিয়েছেন। আমরা বড় হয়েছি কিভাবে? স্থায়ী ঠিকানা যেটা আমি দিয়েছি সেটা হচ্ছে আমার নানার বাড়ির ঠিকানা। আমার দাদা-দাদী মারা যাওয়ার পর আমার নানা আমার আম্মুকে একেবারে নিয়ে এসেছিলেন। আমার দাদা-দাদি এবং চাচারা সবাই অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছিলেন। এবং শুধুমাত্র আমার আব্বু এবং আমার একজন ফুফু জীবিত আছেন। আমার দাদা-দাদিকে আমি দেখিনি। আমার জন্মই হয়েছে নানার বাড়িতে। আমরা তিন বোন এক ভাই নানার বাড়িতেই থেকেছি। পরবর্তীতে আমার খালারা আমাদেরকে একজন একজন করে ঢাকায় নিয়ে আসেন এবং আমাদেরকে লেখাপড়া করান। সবশেষে আমাকে আনেন ২০১২ সালে এবং আমাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করান। এবং আমি আমার খালাদের বাসাতেই বড় হই। আমার খালারা বলতে আমার আম্মুরা তিন বোন এক ভাই। আমার দুইখালা ঢাকাতে একই সাথে থাকতেন। আমিও ওনাদের সাথেই থাকতাম। খালার ঢাকায় বাড়ি আছে। আমি যখন ঢাকায়, তখন আমার আম্মু আব্বু গ্রামেই ছিলেন। আমার নানা নানু মারা যাওয়ার পর ২০১৮ সালে আমার মামা-খালারা আম্মু আব্বুকে ঢাকা নিয়ে আসেন। পরে আমার মাদ্রাসার যাওয়া আসার সুবিধার্থে মাদ্রাসার পাশেই বাসা নেই। এবং যাবতীয় খরাচাদী আমার মামা খালারাই উঠাইতেন। সে পর্যন্ত আমার তিন বোনেরই বিবাহ হয়ে গিয়েছে। আমার প্রথম দুলাভাই বর্তমানে ফ্রান্সে আছেন, দ্বিতীয় দুলাভাই বর্তমানে স্বপরিবারে আমেরিকাতে আছেন এবং তৃতীয় দুলাভাই বন বিভাগে কর্মরত আছেন। সম্পদ-সম্পত্তি আমার আব্বু সহ উনারা তিন ভাই। আমার আব্বু এবং একজন চাচা বাহিরে থাকতেন। উনারা টাকা পাঠাইতেন আমার দেশে থাকা চাচার কাছে, সবকিছু উনিই দেখতেন। প্রথম দিকে কিছু জমি-জামা কিনলেও পরবর্তীতে তিনি নিজেই সেগুলো বিক্রি করে দেন। আর কিছু সম্পত্তি আমার আব্বু দেশে আসার পরে বিক্রি করে দেন। বর্তমানে দুটি জমি আছে যেটায় অনেক অংশীদারিত্ব আছে। আমি এগুলোর আশাই করি না। আমি এভাবেই মেনে চলি যে, সম্পত্তির হিসেবে আমার রব-ই যথেষ্ট। মোটকথা আমার কোন সম্পত্তি নেই। আমি আমার নানার বাড়িকেই স্থায়ী ঠিকানা মনে করি। এবং আমার সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করার জন্য আমার নানার বাড়িতেই যেতে হবে। কারণ আমি সেখানে বড় হয়েছি। আর দাদার বাড়ির কেউ আমাকে চিনেই না। বর্তমান অবস্থা বর্তমান ঠিকানা যেখানে দেওয়া সেখানেই ভাড়া থাকি। বর্তমানে আমাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৭ জন। আমি, আমার আম্মু, আমার আব্বু এবং আমার বড় বোন এবং তার তিন সন্তান। ( বাকিটুকু “বোনদের তথ্যে” দেওয়া হয়েছে।) বর্তমানে আমাদের পরিবারের খরচাদি বহন করেন আমার দুই দুলাভাই। প্রথমজন এবং দ্বিতীয়জন। আর পিছনে-তো খালারা আছেনই। প্রথম দুলাভাই আমার বড় আপু, ভাগিনাদের খরচ এবং বাসার খাবার খরচ বহন করেন। এবং আমার দ্বিতীয় দুলাভাই বাসা ভাড়ার খরচ বহন করেন। এটা উনারা সানন্দে করেন, তবে অবশ্যই আমি স্বাবলম্বী পর্যন্ত ইনশাআল্লহ। সামনের পরিস্থিতি: আমার পরিবার দ্বীন পালনে কেমন তা সামনের পয়েন্টে উল্লেখ করব ইনশাআল্লহ। সাধারণত আমাদের নোয়াখালীর মানুষেরা প্রবাসী হওয়াতে বেশি আগ্রহী। আমি নোয়াখালীর অনেকগুলা বিষয়,আচার-আচরণের সাথে দ্বিমত পোষণ করি। যেহেতু আমাদের এ অবস্থা আমার পরিবারও চেয়েছেন যে আমাকে বাহিরে পাঠাতে। এই সিদ্ধান্তগুলো আমার দ্বীনে ফেরার আগের। আমার ছোট খালু তিনি আমেরিকায় থাকতেন। তিমি মারা গিয়েছেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তাকে জান্নাত নসিব করুক। তিনি অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। সেখানে তার বাড়ি এবং একটি খাবার হোটেল আছে। তিনি পরবর্তীতে আমার ছোট খালাকে স্বপরিবারে নিয়ে যান এবং বর্তমানে তিনারা সেখানে থাকেন। এবং আমার মেঝ দুলাভাই যিনি বললাম যে আমেরিকাতে থাকে, উনি ওই হোটেল দেখাশোনা করেন এবং সবাই একই বিল্ডিংয়ে থাকেন। তাদের আবার আত্মীয়তা আছে, আমার মেজ দুলাভাই হচ্ছে আমার ছোট খালুর বড় ভাইয়ের ছেলে। আমার খালু এবং তার বড় ভাই দুজনই একই সাথে আমেরিকা থাকতেন এবং পরবর্তীতে দুজনেই স্বপরিবারে সবাইকে নিয়ে গিয়েছিলেন। তো, এখন আমার খালা-আপুরা একই সাথে(আলাদা ফ্লাটে) একই বিল্ডিং এ থাকেন এবং আমার খালাতো ভাই এবং দুলাভাই মিলে হোটেলের দেখাশোনা করেন। তো, আমার ছোট খালু যখন জীবিত ছিলেন তখন উনি অনেক আগে থেকেই আমাকে নিতে চেয়েছিলেন। এখনো সবাই আমাকে নিতে চাচ্ছেন। কিন্তু আমি চাচ্ছি না, আমি দ্বীন বুঝার পর থেকে এর প্রতি অনাগ্রহী। এমনিতেই আমেরিকার উপরে ক্ষ্যাপ, আরো সেটা দারুল হারব(অমুসলিম দেশ)। সেখানে বসবাস করা মুসলমানদের জন্য জায়েজ নেই।তবে এখনো আমি সরাসরি বলি নাই। কিন্তু এর প্রতি যে আমার অনিহা এটা সবাই বুঝতেছেন। এটা বাদ হওয়ার জন্য যত কিছু করা যায় করতেছি, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। তো, এই কারণে তাদের কাছে থেকে অবকাশ নেওয়া যে আমি যদি দেশে কিছু করতে পারি তাহলে আর বাহিরে যাওয়া লাগবে না ইনশাআল্লহ। বিয়ে করার অনেকগুলোই কারণ(সামনে আরো বলবো) তার একটা হচ্ছে এটা যে, রিজিকের প্রতি ফোকাস আনা, যাতে দেশে থাকতে পারি। তাহলে দেশে থাকার জন্য আমি কি কি করতে চাচ্ছি? প্রথমত বিয়ে করতে চাচ্ছি, এরপর পড়াশোনা পাশাপাশি ব্যবসা করবো। আমি আমার রিযিক ব্যবসা দিয়ে আনতে চাচ্ছি পড়ালেখা দিয়ে না। পড়ালেখা করবো শুধুই ইলম অর্জনের জন্য এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। এবং ব্যবসা করার জন্য যত টাকা লাগবে আমার পরিবার দিবেন ইনশাআল্লহ। এ কারণে আমি এখনই ব্যবসা ধরছি না কিন্তু চিন্তাভাবনা চলছে। ব্যবসা ধরা পর্যন্ত উনারাই খরচ বহন করবেন ইনশাআল্লহ। বাকি আরেকটা বিষয়, আমার আম্মু-আব্বুকে আমেরিকা নেয়ার জন্য এপ্লাই করা হয়েছে। উনারা যাবেন হচ্ছে আমার খালা এবং আপুকে দেখার জন্য। আগামী ৬ থেকে ১ বছর মধ্যে হয়তো ভিসা এসে যেতে পারে। উনারা গেলে হয়তো আমার জন্য এপ্লাই করবে। তবে ঐ সেই কথাই আর কি, আমি যদি কিছু করতে পারি তখন আর যাওয়া লাগবেনা। বাকি যদি আল্লাহ তাকদীরে লিখেই রাখেন তাহলেতো… তবে থাকার উদ্দেশ্যে না কিছু দিন থেকে চলে আসব ইনশাআল্লহ। আর একা যাবো না অবশ্যই জীবনসঙ্গীকে সাথে নিয়ে যাব ইনশাআল্লহ। আল্লাহ যাতে কখনোই দুজনকে দূরত্বে না রাখেন। এপ্লাই করার পরে আরো ৪-৫ বছর হাতে থাকবে। আর আল্লাহর কাছে সব সময়ই দু‘আ করি যাতে না যেতে হয়। এ পরিস্থিতিতে বিয়ের অনুমতি পেলাম কিভাবে? প্রথমত আমি মনে করি এটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার কাছে দু‘আ করার ফল। তিনি সহজ করে দিয়েছেন। তিনিই সবার মন পরিবর্তন করেছেন। আমিও অনেকদিন থেকেই বলছিলাম, তাদেরকে বুঝাচ্ছিলাম এবং এটাই প্রশ্ন করছিলাম যে একটা ছেলে পড়াশোনা করে তার বিবাহ করার দরকার, এখন তার কি করার? আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা দু‘আ কবুল করেছেন ওনারা বুঝতে পেরেছেন জিনিসটা, একারণে রাজি হয়েছেন। এবং সে পর্যন্ত যাবতীয় সবকিছু বহন করবেন ইনশাআল্লহ। বাকি আমি তো সবার সাথে থেকেছি, উনাদের কাছেই বড় হয়েছি। উনারা আমাকে নিজের ছেলের মতই দেখেন। ছোট থেকে এখন পর্যন্ত আমার যা দরকার বলার আগেই করেছেন। আল্লাহ উনাদেরকে উত্তম জাযা দান করুক। আমি স্বাবলম্বী হওয়া পর্যন্তও নিবেন ইনশাআল্লহ।
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) (Required) এখানে আগে আমার পড়ালেখার বিষয়টা আনি। কারণ আমার পড়ার সাথে আমার দ্বীনে ফেরার সম্পর্ক আছে। আর দ্বীনে ফেরার সাথে পারিবারিক পরিবেশের সম্পর্ক আছে। হিফয শুনানোর পর আমার পরিবার কিছু ডিসিশন নেয় যেগুলো আমার পক্ষে যায়নি। একজন একেকটা পড়াতে চেয়েছিলেন। আমি হিফয- জেনারেল দুটোই পড়েছি বলে কেউ চেয়েছিলেন জেনারেলের দিকে পড়তে আবার কেউ চেয়েছিলেন মাদ্রাসা লাইনে থাকতে। আবার বাহিরে যাওয়ার চিন্তা তো ছিলোই। এই সময়টায় আমি খুব ভেঙ্গে পড়ি। আমার সাধারনত মাদ্রাসা থাকা অবস্থায় আমল করা হতো কিন্তু আল্লাহকে ওইভাবে চিনতাম না। আর মাদ্রাসায় পড়লেই যে আল্লাহকে চিনা যায়, ইসলামকে বুঝা যায়, এবং এগুলা অটোমেটিকলি পাওয়া যায় বিষয়টা এমন না। আল্লাহ যাকে কবুল করেন তাকেই হিদায়াত দেন। এবার সে যেখানেই থাকুক। যখন দেখলাম আমি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি অথবা কিছু সিদ্ধান্তের কারণে দূরে সরে যেতে হচ্ছে, তখন আমি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার কাছে দু‘আ করি, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তখন আমাকে কাছে নিতে থাকেন। আমি তখন অনেক কিছু নিয়ে চিন্তা করা শুরু করি। যেহেতু মাদ্রাসায় পড়েছি কিছু কিতাবাদি এর সাথে সম্পর্ক ছিল, আস্তে আস্তে পড়া শুরু করি। এরপর আমার কিছু তাবলীগের বন্ধুর সাথে পরিচয় ছিল। তারা আস্তে আস্তে আমাকে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেন। সে পর্যন্ত আমি তাবলীগে যায়নি। তবে তারা আমাকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিতেন। (বর্তমানে আমার মাদ্রাসা বন্ধুদের থেকে জেনারেল পড়ুয়া দ্বীনি ভাইদের সাথে সম্পর্ক বেশি। পার্সেন্টিজ হিসাব করতে গেলে ১০% মাদ্রাসার বন্ধু আছে আর বাকি ৯০% ই জেনারেল পড়ুয়া দ্বীনিভাই/ বন্ধু। তাদের সাথেই চলা হয় এবং সার্কেল ওয়াইজ ভাবে চলা হয়)। এরপর একপর্যায়ে আমার পরিবার পড়ালেখার সম্পূর্ণ ডিসিশন আমার উপর ছেড়ে দেয়। তো, তখন চিন্তা করা শুরু করি কি করা যায়। এবং আমি যে হুজুরের কাছে হিফয শুনিয়েছি উনার সাথে পরামর্শ করি। আমি যে মাদ্রাসায় শুনিয়েছি ঐ মাদ্রাসা ছিল একটা মসজিদের উপরে, ঐখানের ইমামসাবই ছিল আমার হুজুর।তিনি গুটিকয়েক ছাত্রকে পড়াতেন, বেশি ছাত্র নিতেন না। পরবর্তীতে তিনি আরেকটা বড় কওমি মাদ্রাসা খুলেন। সেখানে তিনি আমাকে পড়তে বলেন। আমিতো আলিয়া পড়ে এসেছি তো, কওমির সাথে ক্যাচআপ করতে পারবো না, তো তিনি আমাকে পরামর্শ দিলেন যে শুধু “এসো আরবি শিখি” শেষ করতে। কিছুদিন পড়ার পর উনার সাথে পরামর্শ করে আমি কিছুদিন গ্যাপ নেই চিন্তা ভাবনার জন্য যে যেহেতু আলিয়া এবং কওমির বেসিকটা পড়া হয়েছে, তো কোনটায় এগোলে সবচেয়ে ভালো হয়। তখন পর্যন্ত আমি দ্বীনে ফিরেছি আলহামদুলিল্লাহ। এরপরে শুরু হয় আল্লাহকে চেনার জন্য ঘুরা, এরপর তাবলীগে যাই, বিভিন্ন জায়গায় যাই। বাংলাদেশে ইসলাম নিয়ে কে কি করছেন সেটা দেখি। বিভিন্ন বই পত্র পড়তে থাকি, জেনারেল পড়ুয়া দ্বীনি ভাইদের সাথে চলতে থাকি। দ্বীন পালন করতে থাকি, ইসতেক্বামাত অর্জনের চেষ্টা করতে থাকি। ব্রেকটা নেওয়ার কারণ ছিল যে, আল্লাহকে ভালোভাবে চেনার এবং সামনে কি করবো সেটার জন্য। তো এটা ফাইনাল করেছি যে কি করব, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইলম অর্জন করবো এবং রিজিক আনবো ব্যবসা দিয়ে। দুইটা আলাদা আলাদা থাকবে। যদি কখনো দ্বীনি খেদমতের নিয়ত করি তাহলে কখনোই আমি সেখান থেকে রিজিক নিব না ইনশাআল্লহ। এরপর আমি চিন্তা ভাবনা করি যে, কওমিতে যাওয়া যায় কিনা। তো তারা জানালো যে, পড়তে হলে আবার শুরু করে পড়তে হবে। পরে চিন্তা ভাবনা করি যে আলিয়া যেহেতু কিছু পড়া আছে দাখিল পরীক্ষা দিয়ে আলিমে ভর্তি হই। (দাখিল পরীক্ষাটা এবার দেওয়া)। এরপর আস্তে আস্তে আগাই। আলিয়ায় ভর্তি হওয়ার আরো কিছু কারণ আছে। ওদের প্রতি আমার একটা ক্ষ্যাপ আছে যে তারা ছেলেদের জীবন নষ্ট করে। মাদ্রাসায় পড়ুয়া একটা ছেলেকে সে কেন মুসলিম এটা তাকে শিখাতে পারেনা। সে কেন মাদ্রাসায় পড়ছে এটা শিখাতে পারেনা। মাদ্রাসায় পড়ার যে আসল মাকসাদ সেটা তারা পালন করতে পারে না। ইনশাআল্লহ আল্লাহ যতটুকু সামর্থ দিয়েছেন তাদের কাছে গিয়ে দাওয়াত দিব। এবং তাদের যে একটা ভুল মতাদর্শ আছে গণতান্ত্রিক মতাদর্শ এটার বিরুদ্ধে কথা বলব ইনশাআল্লহ। আমি কি মতাদর্শ লালন করি সামনে বলবো ইনশাআল্লহ। আর আরেকটা বিষয় হচ্ছে আলিমে যেখানে ভর্তি হব সেখানে একটু পড়ালেখার চাপ কম। তো, ব্যবসা করার জন্য চিন্তা-ভাবনা করা যাবে। ব্যবসা দিলে যদি পড়ালেখা না করতে পারি তাহলে পরীক্ষা দেওয়া যাবে ইনশাআল্লহ। আলিমের পরে যেটা মুনাসিব মনে হবে ওইটা পড়বো ইনশাআল্লহ। তবে কওমিতে একটা সাবজেক্ট ভালো লেগেছে সেটা নিয়ে পড়ালেখা করার ইচ্ছা আছে। এখনো ফাইনাল না, দেখি ইনশাআল্লহ। আলহামদুলিল্লাহ আমার ইলমের প্রতি অনেক আগ্রহ। যেখানেই থাকি ইনশাআল্লহ ইলমের সাথে থাকবো। আল্লাহ যাতে এই আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দেন এবং পথভ্রষ্টতা থেকে দূরে রাখেন। বর্তমানে 2025 এর দাখিল পরীক্ষা দিয়েছি।(ফলাফল যেটা দেওয়া সেটা আনুমানিক, কারণ সেটা পূরণ না করলে এপ্রুভ হয় না)। আর প্রতিদিন ফজরের পরে একজন ওস্তাদের কাছে আরবি ব্যাকরণ আরো ভালো করার জন্য পড়ি। তিনি আমার বাসার পাশের একটা কওমি মাদ্রাসার “নাজমে তালিমাত”( কো-অর্ডিনেটর)। আমার বাসার পাশে যে মসজিদ আছে সে মসজিদেই প্রতিদিন ফজরের পরে পড়ি। এবার আসি আমার পরিবারের দ্বীনি পরিবেশ কেমন এবং আমার পরিবার কেমন দ্বীন পালন করে। যদিও তারা আমাকে মাদ্রাসায় পড়িয়েছেন কিন্তু তারা ওইভাবে দ্বীন পালন করতেন না। শুধুমাত্র আমার আম্মু ছাড়া। আমার আম্মু শুরু থেকেই পরহেজগার ছিলেন। না জানার কারণে কিছু ভুল হতো। কিন্তু তিনি আল্লাহর পরহেজগার বান্দী ছিলেন। আমার আম্মুর ইচ্ছাই আমাকে মাদ্রাসায় পড়ানো হয়েছে। আর না হলে আমার পুরো গুষ্টির মধ্যে কেউই মাদ্রাসা লাইনে নাই। যখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাকে হিদায়াতের নি‘আমত দেন তখন আমি আস্তে আস্তে দাওয়াতী কাজ শুরু করি। আমি প্রথমে বাহিরে দাওয়াত না দিয়ে আগে বাসায় দাওয়াত দেই। এরপর আস্তে আস্তে বাহিরে, ৫০% ঘরে ৫০% দাওয়াত দেওয়া শুরু করি। আলহামদুলিল্লাহ বাসায় তালিম শুরু হয় এবং আমার মাহরাম যারা আছেন উনাদেরকে কুরআন শেখানো শুরু করি। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা ভালই পরিবর্তন দিয়েছেন। যারা পর্দা করতেন না তারা পর্দা করা শুরু করেছিলেন, আল্লাহকে চেনা শুরু করেছিলেন। আমার বোনদের মধ্যে একজন চাকরি করতো তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে এখনো উনাদের মধ্যে আগের কিছু ছিটে ফোটা পাওয়া যায়, যার কারণে আমি উনাদের পরিপূর্ণ দ্বীনদার বলতে পারিনা। কিন্তু উনারা দ্বীন পালন করতে যথেষ্ট সাহায্য করে। কেউ পালন করলে তাকে বাধা দেয় না। আর পুরুষদের মধ্যে আমার আব্বু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, রোজা রাখেন আর ওনার মত চলেন। আমাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা যতটুকু সামর্থ্য দিয়েছেন দাওয়াত দেওয়ার দিয়েছি এবং দিচ্ছি, আমি আশা করি আমার জীবনসঙ্গীও আমার থেকে বেশি মেহনতের সাথে তাদের মধ্যে দাওয়াতী কাজ করবেন ইনশাআল্লহ। এবং আমি তাদেরকে বলেছিও যে আমি বিবাহ করে এমন একজনকে আনবো যাকে আপনারা দ্বীন পালনে অনুসরণ করবেন, এবং দেখবেন যে কিভাবে দ্বীন পালন করতে হয়।
ব্যক্তিগত তথ্য
সুন্নতি দাঁড়ি রয়েছে কি? (Required) জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ। সাথে বীবড়ি চুল-ও আছে।
পায়ের টাখনুর উপরে কাপড় পরেন?(Required) জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ।
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ।
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) ছোটবেলা থেকেই পড়া হয়। মাঝে মাঝে কিছু অবহেলা গিয়েছিল তবে,২০২১-এ দ্বীনে ফিরার পর থাকাে পড়ছি আলহামদুলিল্লাহ।
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ।
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ।
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? টুপি,পান্জাবি, জুব্বা।
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন (Required) গনতন্ত্র/ ইসলামী গনতন্ত্রে বিশ্বাসী না। নববী মানহাযে বিশ্বাসী
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? এগুলোর নেশা নেই।
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) আমি শারীরিকভাবে একটু চিকন। খাওয়ার রুচি কম। এটার জন্য আমার পরিবার ভেবেছিলা যে হয়তো কোন রোগ থাকতে পারে। তারপর ডাক্তারের কাছে গেলাম,টেস্ট করালাম, আলহামদুলিল্লাহ কোন রোগ নেই। ডাক্তাররা বলেছেন যে বেশি করে খেলে স্বাস্থ্যের পরিবর্তন আসবে ইনশাআল্লহ।
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) যেহেতু হাফেজ সে কারণে কুরআন শিখানো হয়। আর দ্বীনি সার্কেলের সাথে মাঝে মাঝে কিছু দ্বীনি কাজ কর্ম করা হয়। “আফটার স্কুল মাকতাব” নামে একটা প্রতিষ্ঠানের সাথে হালকাভাবে যুক্ত।
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) না।
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) শিরক-এ আকবার।
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) পড়া হয়েছে তো আলহামদুলিল্লাহ অনেক বই। এখন কোনটাকে রেখে কোনটাকে প্রাধান্য দিব। সবগুলোই মাশাআল্লহ। যেহেতু তিনটে লিখার কথা বলা হয়েছে তাই সাব্জেক্ট ওয়াইজ লেখা। ১। উসওয়াতুন হাসানাহ (সীরাহ) ২। লষ্ট ইসলামিক হিস্ট্রি। ৩।দ্বীন কায়েমের নববী পদ্ধতি।
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) যদিও আমি আলিয়ায় পড়ালিখা করেছি তারপরেও আমি কওমি আলেম দ্বারা বেশি প্রভাবিত। উনাদের কাছেই আমি ইসলামের মূল জিনিস শিখেছি। পছন্দের আলেমদের তো অভাব নেই, দেশি-বিদেশি, পূর্ববর্তী অনেক।তারপরেও দেখি… ১। কেফায়াতুল্লাহ আজহারী হাফি: (ওনার কাছে প্রতি শুক্রবারে খুতবা শুনতে যাই এবং ইসলাহ/আত্মশুদ্ধির ব্যাপারেও) ২। হারুন ইজহার হাফি: ৩। আহমাদুল্লাহ হাফি:
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) হাফেজ।
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন উপরে পরিবারের অবস্থা সম্পর্কে যা বললাম সে অনুযায়ী আমার চিন্তাধারা শখ-আহ্লাদ পুরোপুরিই ভিন্ন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাকে যেভাবে চালিয়েছেন এতে আমি খুশি। হাদীসে যে কৃতজ্ঞ অন্তরের কথা বলা হয়েছে সেরকমই আমি আমার রব্বের প্রতি কৃতজ্ঞ। তিঁনি আমাকে যেভাবে চালিয়েছেন আমার যদি পরিবার স্বাবলম্বী-ও থাকতো তাহলে হয়তো এরকম ভালো চলতে পারতাম না। উনি সবসময় সাধারণ থেকে একটু বেশিই দিয়েছেন বলে আমি মনে করি। জীবনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, স্বপ্ন হচ্ছে জান্নাতে যাওয়া। আর জান্নাতে যেতে চাই শহীদ হয়ে। “শহীদ” মানে আল্লাহর রাস্তায় যে শহীদ। এটা আমার স্পষ্ট আকাঙ্ক্ষা, আল্লাহ যদি কবুল করেন। আর দুনিয়াতে আল্লাহর দ্বীন কায়েম। দ্বীন বুঝার পর থেকে এগুলোকেই নিজের স্বপ্ন বানিয়েছি। আমার জীবন, আমার মরণ, আমার কুরবানি সবকিছুই আল্লাহর জন্য।(সুরা আন‘আম -১৬২ নং আয়াতের মতো) আমি আশা করি আমার জীবনসঙ্গী আমাকে এসব কাজে সাহায্য করবেন ইনশাআল্লহ। পছন্দের ক্ষেত্রে, সুন্নাহ অনুসরণ করা পছন্দ করি। বই কিনা এবং পড়া পছন্দ করি, যদিও অত পড়া হয় না। খাবার-দাবার এবং পোশাক- আশাক ইত্যাদিতে এমন কোন পছন্দ নেই যে না হলে চলেই না। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা যা দিচ্ছেন আলহামদুলিল্লাহ। আর বাকি কোন শখ নেই, আমার প্রিয়জনরা খুশি থাকলেই আমি খুশি; আলহামদুলিল্লাহ। আর রুচির ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করি,গুছানো কাজ পছন্দ করি এবং স্মার্টনেস পছন্দ করি। যদিও নিজে স্মার্ট হয়ে চলতে পারি না। তবে কোন স্মার্টনেস? আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল এবং ওনার সাহাবাদের চোখে যে স্মার্টনেস। তিনারা যেমন ছেঁড়া কাপড়ে রাজা-বাদশাহদের হুমকি দিয়েছেন, আবার রাজা-বাদশাহদেরকে চাপে রাখতেও সবচেয়ে দামি রুমাল দিয়ে মুখ মুছেছেন। অপছন্দের ক্ষেত্রে মানুষের যতগুলো খারাপ গুণ আছে সেগুলোকে আমি অপছন্দ করি, সেগুলোর বিরোধিতা করি, কেউ তার খারাপ গুণের পক্ষে যুক্তি দিলে তা খন্ডন করতে পছন্দ করি।
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন প্রযোজ্য নয়
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? হানাফি
নজরের হেফাজত করেন? (Required) হ্যা
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? দুনিয়াতে আল্লাহর দ্বীন ক্বায়েমের স্বপ্ন দেখি। এটার জন্য কাজ করার চেষ্টা করি। সুযোগ পেলে সংস্কারের কাজও করি তবে, আমি নববী পদ্ধতিতে বিপ্লবের পরের সংস্কারে বিশ্বাসী, বিপ্লবের আগের সংস্কার অনেক দীর্ঘমেয়াদী এবং উদ্দেশ্যহীন। যে আলেমরা জিহাদ পছন্দ করেন না আমি সে আলেমদের থেকে দূরে থাকি। বরং আমি তাদেরকে আলেমই মনে করি না। এবং যারা গণতান্ত্রিক এবং ইসলামিক গণতন্ত্রিক উপায়ে বিপ্লবে বিশ্বাসী তাদের থেকেও দূরে থাকি। একমাত্র নববি মানহাজেই বিশ্বাসি। আমি চাই আমার জীবনসঙ্গীও আমার মেন্টালিটির হোক এবং তিনি আমাকে এসব কাজে সাহায্য করুক।
অবসর সময় কিভাবে কাটান? (Required) বই পড়ি। কারো কাজে সাহায্য করি। ইনফরমেশনের জন্য ফেসবুকিং করি।
কত ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে আদায় করেন? (Required) ৫ ওয়াক্ত
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? (Required) আব্বু অসুস্থ থাকায় মোটামুটি সব দায়িত্বই নিতে হয়। শুধু পরিবারে উপার্জন ছাড়া সব কিছু আমিই করি আলহামদুলিল্লাহ।
আপনি কি ধুমপান করেন? (Required) না।
বিয়ে সংক্রান্ত তথ্য
আপনার ডিভোর্সের সময়কাল ও কারণ অবিবাহিত।
বিবাহিত অবস্থায় আবার কেন বিয়ে করতে চাচ্ছেন ? অবিবাহিত।
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ।
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? প্রথমত চরিত্র হেফাজত এবং অর্ধেক দ্বীন পূরণ করার জন্য। দ্বীন পালনে একজন সঙ্গীর জন্য। পরে সবকিছুতে ফোকাস আনা এবং যেহেতু রিজিকের সন্ধান করবো সে কারণে সবচেয়ে দামি সম্পদ আগে নিয়ে নেওয়া, এবং যেহেতু আমার এখন কিছু নেই সে কারণে আল্লাহর ওয়াদা মোতাবেক রিজিক পাওয়ার আশায়। এরপর দেশের বাহিরে যাতে যাওয়া না লাগে। এখানে একটা বিষয় উল্লেখ করি, আমার যেহেতু এখন কোন ইনকাম নেই সেহেতু আমি এখন আমার সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যয় করতে পারবো। শুধু মোহরটা এবং প্রয়োজনীয় যেসব জিনিস সেসব জিনিস দিতে পারবো ইনশাআল্লহ।তবে আমার পরিবার কিছু দিতে চাইবে কিন্তু আমি সেটা নিতে ইচ্ছুক না। কারণ আমি চাই আমি আমার জীবনসঙ্গীকে স্বর্ণ-গয়না যা আছে সব আমার উপার্জনের থেকে দিতে। এটার জন্য একটু ধৈর্য ধরতে হবে, এবং কিছু কম্প্রোমাইজ করতে হবে। তবে যতটুকু হক্ব ততটুকু আদায় অবশ্যই করবো ইনশাআল্লহ। পরিবার থেকে কিছু না নেয়ার পিছনে একটা বিষয় আছে, আমি অনেকদিন থেকেই বিবাহের কথা বলতেছিলাম। তো, ওনাদের মধ্যে একটা জিনিস কাজ করতো যে বিবাহের সময় প্রচুর খরচ, অনেক কিছু হাদিয়া দিতে হয়, সেগুলোর ব্যবস্থাও করা লাগে ইত্যাদি ইত্যাদি..। সে কারণে ওনারা এতদিন সময় নিয়েছেন। তো, আমি চাই ওনাদের এই ভুলটা ভাঙ্গুক, রসুলের (সা:) এর হাদিস অনুযায়ী কম খরচের বিয়ে বরকতময় এটা তারা বঝুক এবং পরবর্তী প্রজন্মকে যাতে তারা এই ভুল বিশ্বাসের কারণে বিয়ে দিতে দেরি না করে। মানুষের ফিতরাত(অভ্যাস) এর মধ্যে শখ-আহ্লাদ থাকেই। এটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা সৃষ্টি করেছেন। তবে এই শখ-আহ্লাদকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া দ্বীন পালনের জন্য ক্ষতিকর। যেমন; আল্লাহ মানুষের মধ্যে ভালো-খারাপ দুইটা গুণেই দিয়েছেন। সে যে গুণকে প্রাধান্য দিবে সে সেটাই হবে। এভাবেই শখ-আহ্লাদের বিষয়ও। তবে পরিপূর্ণ দ্বীন পালন করে কিছু তো করাই যায়, যেভাবে রসূল (সা:) আমাদেরকে শিখিয়েছেন।তবে অবশ্যই বিলাসিতা না।
বিয়ের পর স্ত্রীর পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? জ্বী, ইনশাআল্লহ।
বিয়ের পর স্ত্রীকে পড়াশোনা করতে দিতে চান? না।
বিয়ের পর স্ত্রীকে চাকরী করতে দিতে চান? না।
বিয়ের পর স্ত্রীকে কোথায় নিয়ে থাকবেন? পরিবারের সাথেই। বাসায় তিনটি বেড রুম এবং ডাইনিং ও ড্রইং রুম আছে। এবং দুইটা বারান্দা, একটা কিচেন এবং তিনটা বাথরুম আছে। রুম একটাতে আমার আম্মু-আব্বু থাকে, একটাতে আমার বড় বোন থাকে আর আরেকটাতে আমি থাকি।
বিয়ে উপলক্ষে আপনি বা আপনার পরিবার পাত্রীপক্ষের কাছে যৌতুক বা উপহার বা অর্থ আশা করবেন কি না? না।
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? সবক্ষেত্রেই ছাড় দিতে রাজি আছি
বিয়ের পর স্ত্রীর ভরনপোষন চালাতে পারবেন? হ্যা
আপনাার স্ত্রীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? প্রথমত উনার হক্ব আদায় করা। উনার পর্দার যাতে কোন সমস্যা না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখা। উনার এবং উনার পরিবারের মান-সম্মানের উপর কোন আঘাত না আসা। সর্বশেষ ওনাকে আল্লাহর ফরহেজগার বান্দী এবং জান্নাতে যেতে সাহায্য করা।
আপনার আহলিয়ার পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? হ্যা
আপনি বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় থাকবেন? একক পরিবারে
যেমন জীবনসঙ্গী আশা করেন
বয়স (Required) ১৬-২২ বছর।
গাত্রবর্ণ শ্যামলা।
নূন্যতম উচ্চতা ৪.৫ ফুট- ৫.৫ ফুট।
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা জেনারেল/মাদ্রাসা পড়ুয়া। এসএসসি/এইচএসসি/দাওরাহ ।
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত।
জীবনসঙ্গীর পর্দা সম্পর্কে যেমনটা চান- (Required) পরিপূর্ণ পর্দা। আমি চাই উনি আমি ছাড়া সবার কাছেই অপরিচিত থাকুক। উনার কণ্ঠস্বর এবং অবয়ব কেউ যাতে আঁকতে না পারে। বাইরে বের হওয়ার সময় কষ্ট না হলে চোখের উপরে যে কালো কাপড় দেয় সেটা পরুক। মোট কথা উনি যাতে কোন পুরুষের ইমাজিনেশনেই না আসে।
পেশা (Required) রব্বাতুল বাইত।
অর্থনৈতিক অবস্থা মধ্যবিত্ত।
পারিবারিক অবস্থা (Required) মর্যাদা সম্পন্ন।
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন উপরে যেসব প্রত্যাশিত বিষয় দেওয়া সেগুলোর মধ্যে সবসময়ই আমার কাছে দ্বীন প্রাধান্য পাবে। ঐটা জাস্ট একটা নমুনা, তবে সবকিছুর উপরেই দ্বীনদারিতা। আর ইলম অর্জনের আগ্রহ থাকা প্রয়োজন, যাতে নিজে জেনে বুঝে আমল করতে পারে এবং পরবর্তী প্রজন্মকে শিখাতে পারে। আমরা অনেকেই দ্বীনদারিতা বুঝি না। বুঝি না বলতে মানে কতটুকু দ্বীন মানলে আমি নিজেকে দ্বীনদার বলতে পারব এই মাপকাঠিটা আমরা অনেকেই বুঝিনা। যেমন আমি যদি কোন কাজ করি, এই কাজটা কি আসলেই দ্বীনদারের মত হয়েছে কিনা এই হিসাবটা থাকা, এই মাপকাঠিটা থাকা প্রয়োজন। একজন দ্বীনদারের দ্বারা এরকম কোন কাজ হতে পারে কিনা সে মাপকাঠি থাকা। আমার চলাফেরা একজন দ্বীনদারের চলাফেরের মত হচ্ছে কিনা এই মাপকাঠিটা দ্বীনদারের মধ্যে বিদ্যমান থাকাকে আমি আবশ্যক মনে করি। ব্যাস এতটুকুই যথেষ্ট, আলহামদুলিল্লাহ। আর কুরআন এবং হাদিসে মুমিনের যে গুণাবলী বর্ণনা করা হয়েছে সে গুণগুলো অর্জনের চেষ্টা করা। আমিও চেষ্টা করি, সে কারণে একজন সঙ্গী দরকার যাতে দুইজন মিলেই চেষ্টা করা যায়। আর নারীর প্রত্যেকটা জিনিসই লক্ষণীয়। একটা উদাহরণ দেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা কুরআন মাজীদে একজন নারী সম্পর্কে বলেন ; কিছুক্ষণ পর সেই দুই নারীর একজন লাজুক ভঙ্গিমায় হেঁটে হেঁটে তার কাছে আসল।(সূরা ক্বসাস -২৫) (হযরত মুসা (আ:) এর সময়ের কাহিনী, অধিকাংশ ওলামায়ে কিরামের মতামত হলো তিনারা হযরত শু‘আইব (আ:) এর মেয়ে ছিলেন) আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা তাঁদের হাঁটা কে তাদের গুণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সবচেয়ে বড় জিনিস আল্লাহ সুবাহানাল্লাহ ওয়া তা‘আলা এটা লক্ষ্য করেছেন। আরো অনেক গুণের কথা কুরআনে এবং হাদিসে উল্লেখ আছে সেগুলো অর্জন করার চেষ্টা করা। এবং যেগুলোকে বর্জন করতে বলেছেন সেগুলোকে বর্জন করা।
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? (Required) যাতায়াতের সুবিধা অনুযায়ী হলে ভালো হয়।
অন্যান্য তথ্য
পেশা সম্পর্কিত তথ্য (Required) পেশা নেই।
বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান কুরআন মাজীদ পড়ানো হয়। তবে আমি সেখান থেকে কোন হাদিয়া নেই না। এটাকে আমি আল্লাহর সাথে ব্যবসা হিসেবে মনে করি। যদিও ওলামায়ে কেরামরা বলেন হাদিয়া নেওয়া উচিত, তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা নেই না। বাকি আমি কাউকে না নিতেও নিষেধ করি না। এটা আমার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তাকওয়া। আর বাকি এমনি কোন ইনকাম নেই।
কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসা
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? হ্যা
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? হ্যা
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? হ্যা
যোগাযোগ

এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।

অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ

সর্বমোট ভিউ: 82 ভিউস