স্থায়ী ঠিকানা | শরীফ পাড়া, ফকিরাখালী, চরণদ্বীপ, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম। |
---|---|
বর্তমান ঠিকানা | আফসানা আবাসিক, আল হুমাইরা মাদ্রাসার পাশে, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম। |
কোথায় বড় হয়েছেন? | ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে শহরে |
বায়োডাটার ধরন | পাত্রের বায়োডাটা |
---|---|
বৈবাহিক অবস্থা | বিবাহিত |
বর্তমান ঠিকানা | চট্টগ্রাম |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
স্থায়ী ঠিকানা | চট্টগ্রাম |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জন্মসন (আসল) | ১৯৯৮ |
গাত্রবর্ণ | ফর্সা |
উচ্চতা | ৫'৬'' |
ওজন | ৫২ কেজি |
রক্তের গ্রুপ | O+ |
পেশা | মাদ্রাসার শিক্ষক |
মাসিক আয় | ২০০০০ টাকার মধ্যে। |
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? | জেনারেল |
---|---|
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? | হ্যাঁ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান ফলাফল | A |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান বিভাগ | ব্যবসা বিভাগ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাসের সন | ২০১৮ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাশ করেছেন? | হ্যাঁ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমানের বিভাগ | ব্যবসা বিভাগ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান ফলাফল | C |
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাসের সন | ২০২০ |
স্নাতক / স্নাতক (সম্মান) / সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা | Bachelor of Business Administration (BBA) |
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
পাসের সন | ২০২২ (২য় বর্ষ স্থগিত) |
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা | বিবিএ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় বর্ষ থেকে স্থগিত, ২০২২ |
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা | আলিম কোর্স, ২১৫ ব্যাচ, আইওএম(৩য় সেমিস্টারের পর কনটিনিউ করি নি)। এখন তারবিয়াহ অনলাইন একাডেমী তে ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স এ এনরোল আছি আলহামদুলিল্লাহ। |
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? | হ্যা |
---|---|
আপনার কোর্সের নাম ও ব্যাচ নম্বর: | আলিম ২১৫ |
পিতার পেশা | ব্যাবসায়ি ও জমিদার। |
---|---|
মাতার পেশা | নেই। |
বোন কয়জন? | ৩জন |
ভাই কয়জন? | ভাই নেই |
বোনদের সম্পর্কে তথ্য | বড় বোন - এইচএসসি পাস। বিবাহিতা। স্বামী প্রবাসী। মেজ বোন - বিবিএস চলমান, বিবাহিতা, স্বামী চাকুরীজীবি। ছোট বোন - নবম শ্রেণীর ছাত্রী। |
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা | আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আব্বুর ভালো অবস্থান রয়েছে গ্রামে এবং শহরে। |
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) | পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করেন বাবা, তবে তা দ্বীনদার হওয়ার কোনো প্রধান কারণ নয়। অন্যদের সালাতের খুব ভালো অবস্থান নেই। পর্দার ব্যাপারে গাফেল।ট্রেডিশনাল মুসলিম বলা যায়। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সহজ করে দিন। |
সুন্নতি দাঁড়ি রয়েছে কি? | জ্বী। |
---|---|
পায়ের টাখনুর উপরে কাপড় পরেন? | জ্বী |
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? | জ্বী। |
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? | সঠিক ভাবে মনে নেই। |
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? | জ্বী। তবে নিজেদের একটা একাডেমী ও ফাউন্ডেশন রয়েছে। যে কারণে অনেক মহিলাদের সাথে অনলাইন ও অফলাইনে প্রয়োজনীয় কথা বলতে হয়। তবে শয়তানের ধোঁকায় মানুষ হিসেবে ভুল হলে, আমার স্ত্রী তা আমাকে শুধরে দেয়া। |
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? | জ্বী। তাও চেষ্টা চলছে আরো ভালো করার জন্য। |
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? | জুব্বা, পাঞ্জাবি- পায়জামা। |
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন | নেই |
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? | না। |
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? | না আলহামদুলিল্লাহ। |
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? | নিজেদের একটি ফাউন্ডেশন ও একাডেমী আছে, ওটা নিয়ে কাজ করছি।(Academy MFC) |
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? | না। |
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? | তাদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করতে হবে, তাদের কাছে নয়। অতিরঞ্জিত করলে তা শিরকে পৌঁছে দিতে পারে। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন | প্যারাডক্সিকাল সাজিদ সিরিজ, কুররাতু আইয়্যুন, শিকলবন্দী ক্ষমা। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন | ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ(আমার দ্বীনে পথে ওনার অনেক অবদান রয়েছে। হাফিজাহুল্লাহ), মোহাম্মদ হুবলুস,শায়েখ আহমাদুল্লাহ। |
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) | নেই। |
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন | আমি খুবই সাধারন ভাবে চলতে পছন্দ করি। জাহেলিয়াতের অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য চেষ্টা করছি। দ্বীনি প্রতিষ্ঠান করার খুব ইচ্ছে। পৃথিবীতে অনেক গুলো নেককার সন্তান রেখে যাওয়ার ইচ্ছা, যাতে আখেরে অনেক লাভবান হওয়া যায়। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদিসে আমল করতে পারি। বরাবরই প্রকৃতির সাথে ছোট থেকেই একটা ভালো লাগা কাজ করে। সবুজ অরণ্য মনের মধ্যে আনন্দের ফোয়ারা সৃষ্টি করে। ছোট থেকেই খুব বেশি পারিবারিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এখন সম্মানিত জায়গায় অধিষ্ঠিত করেছেন, যার উপযুক্ত আমি নই। তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি তার যোগ্য হওয়ার। অন্যের হককে খুব বেশি ভয় পায়। যদি তার জন্য নিজের অংশ ছেড়ে দিতে হয় তাতেও কুণ্ঠাবোধ করি না। আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ খবর রাখার চেষ্টা করি, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার বিধান পালনের জন্য। সম্পর্ক নষ্ট হওয়াকে খুব বেশি পায়, যদি তা আল্লাহর জন্য না হয়। তবে আল ওয়ালা ওয়াল বারা এ থাকার চেষ্টা করি। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: আলহামদুলিল্লাহ, ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। আমি আমার প্রথম স্ত্রীর সাথে পরিপূর্ণ সুখি আছি। তবে টুকিটাকি খুনসুটি এগুলো সকল পরিবারেই থাকে বলে আমার ধারণা। আল্লাহ্ সুবহানাহু তাআলা আমাকে বহুবিবাহ এর বিষয়ে ওয়াহাদে এতটা অনুগামী করে দিবেন তা বিশ্বাসের বাইরে ছিল। সকল প্রশংসা আমার রবের , যিনি তাঁর শুকরিয়ায় আমাকে বার বার সিজদাবনত থাকতে পারার তৌফিক দান করুন। |
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন | মাসনায় আগ্রহী |
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? | সালাফি[আহলে হাদিস] |
নজরের হেফাজত করেন? | চেষ্টা করি |
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? | এখন নিজেদের একটি ফাউন্ডেশন ও অনলাইন একাডেমী আছে। এগুলোকে আরো সমৃদ্ধ করার ইচ্ছা আছে। একাডেমীর একটি অফলাইন প্লাটফর্ম করার ইচ্ছা আছে এবং একটি সাদামাটা মসজিদ করার ইচ্ছা আছে যেখানে চুরি হওয়ার ভয় থাকবে না, যেটা মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। যখন তখন চাইলেই পাওয়া যাবে। মহান রব সহজ করে দিন আমার জন্য, আমাদের জন্য। |
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? | পরিবারের দায়িত্ব আমার ওপরই, যদি ঘরোয়া কাজ বলা হয় তবে নিজের কাপড় ধোয়া হয় , মাঝে মধ্যে স্ত্রীকে সাহায্য করি রান্নার কাজে, অনেক সময় নিজেই রান্না করি ইত্যাদি। |
বিবাহিত অবস্থায় আবার কেন বিয়ে করতে চাচ্ছেন ? | এটা আমার চাহিদা বলা যায়, আমার আত্মবিশ্বাস আছে যে আমি আরো একজন স্ত্রী নিয়ে কনটিনিউ করতে পারবো ইন শা আল্লাহ্। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, পৃথিবীতে অনেক বেশি নেককার সন্তান রেখে যাওয়ার ইচ্ছা আছে,যাতে আখেরে অনেক লাভবান হওয়া যায় ইন শা আল্লাহ্। যাতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে তাঁর গর্ব করাতে অংশগ্রহণ করতে পারি ইন শা আল্লাহ্। |
---|---|
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? | পুরুষের ক্ষেত্রে পুরুষ নিজেই তার ওয়ালি। অভিভাবক মা আছেন। ওনি রাজি আছেন আলহামদুলিল্লাহ। |
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? | প্রফেট (সা:) এর সুন্নাহকে জীবিত রাখার জন্য, নেককার সন্তান জন্মের মাধ্যমে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গর্বিত হওয়ায় অংশগ্রহণের জন্য, সন্তান জন্মের মাধ্যমে নিজের এবং 'ওনার' সদকায়ে জারিয়ার একটা মাধ্যম তৈরি করা। সর্বোপরি নিজের অর্ধেক দ্বীন কে পূর্ণ করার মাধ্যমে নারী ফিতনা থেকে নিজেকে হিফাজত করার জন্য। |
বিয়ের পর স্ত্রীর পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? | জ্বী ইন শা আল্লাহ্। |
বিয়ের পর স্ত্রীকে পড়াশোনা করতে দিতে চান? | জ্বী ইন শা আল্লাহ্। তবে সে পড়াশোনা আখেরাত মুখী হতে হবে। |
বিয়ের পর স্ত্রীকে চাকরী করতে দিতে চান? | অবশ্যই না ইন শা আল্লাহ্। |
বিয়ের পর স্ত্রীকে কোথায় নিয়ে থাকবেন? | নিজের সাথে ইন শা আল্লাহ্। |
বিয়ে উপলক্ষে আপনি বা আপনার পরিবার পাত্রীপক্ষের কাছে যৌতুক বা উপহার বা অর্থ আশা করবেন কি না? | আমি আমার আল্লাহকে জবাবদিহিতার ভয় করি । তাই অবশ্যই না। |
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? | সবক্ষেত্রেই ছাড় দিতে রাজি আছি |
বিয়ের পর স্ত্রীর ভরনপোষন চালাতে পারবেন? | হ্যা |
আপনার আহলিয়ার পর্দার ব্যবস্থা রাখতে পারবেন? | হ্যা |
আপনি বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় থাকবেন? | স্ত্রীর সাথে আলাদা |
বয়স | ১৭- ২৫ |
---|---|
গাত্রবর্ণ | চক্ষু শীতলকারি |
নূন্যতম উচ্চতা | ৫+ |
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা | দ্বীনি শিক্ষা অগ্রাধিকার। তবে এতটুকু শিক্ষা প্রয়োজন যার মাধ্যমে তিনি সন্তানদের সুশিক্ষিত করতে পারেন। |
বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিত, সর্ট ডিবোর্স, |
জীবনসঙ্গীর পর্দা সম্পর্কে যেমনটা চান- | অবশ্যই পর্দার বিষয়ে কঠোর হতে হবে, নিকাব, বোরকা, হাত মৌজা, পা মৌজা , |
পেশা | ত্বলীবা ইল্মা |
অর্থনৈতিক অবস্থা | যেকোনো |
পারিবারিক অবস্থা | যেকোনো |
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন | যার আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখবেন। অর্থাৎ আকিদা বিষয়ে যিনি ভালো জ্ঞান রাখেন। যিনি উম্মাহাতুল মুমিনিনদের আদর্শ লালন করবেন। মা খাদিজা রা: মতো ত্যাগের আদর্শ লালন করবেন, মা আয়িশা রা: মতো দ্বীনের শিক্ষার জন্য উদগ্রীব থাকবেন, মা সালমা রা: মতো দ্বীন পালনে সচেষ্ট থাকবেন। যদিও আমরা সবগুলো গুণ নিজের মধ্যে আনতে না পারি, তবে চেষ্টা করে যাবো । যিনি চক্ষু শীতলকারি হবেন, অবশ্যই স্বামি ভক্তি ও আনুগত্যশীলা হবেন,শান্ত স্বভাবের হবেন, সব কিছুর উর্ধ্বে দ্বীনকে প্রধান্য দিবেন। সর্বোপরি একজন ত্বাকওয়াবান ও মুমিনা হওয়ার চেষ্টায় রত থাকবেন। নিজে নিত্য নতুন বিষয়ে শিখবেন ও আমল করবেন এবং সাথে আমাকেও শিখাবেন।অন্যের থেকে শিখার ও ভুল সংশোধনের মানসিকতা রাখেন। ভুল হলে স্বীকার করবেন এবং নিজের প্রতি লজ্জীত হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিবেন। ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করবেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো যেকোনো হালাল বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে হবে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার শুকরিয়া জ্ঞাপন করতে হবে। তা যতো ক্ষুদ্রতম ও নিজের অপছন্দের হোক না কেন। আমি খুব ছোট থেকেই কষ্টের মাধ্যমে বড় হয়েছি, দ্বীনহিন থাকা অবস্থাতেই। যেহেতু পারিবারিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছি। দ্বীন এ আসার তা পর কমে গেছে, কারণ কষ্টের পর সবর করা হয়েছে। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাকে বার বার এর ফল দিয়েছেন। ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। অবশ্যই দ্বীন পালনে ত্যাগ স্বীকার করতে হবেই। সর্বোপরি মুমিনদের সুখ তো জান্নাতে ।আগেই বলেছি আমি ছোট থেকেই পারিবারিক ঝামেলার মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছি। খুব বেশি আহ্লাদে বড় হয়েছি তা মোটেও নয়। অনেক বেশি সাফার করতে হয়েছে। যে কারণে এমন অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে/হচ্ছে যা সাধারণত বাংলাদেশের বেশিরভাগ পরিবার গুলো তাদের সন্তানদের করতে দেয় না বা করে না। সেক্ষেত্রে বয়স দিয়ে আমাকে বিবেচনা করলে তা কতটুকু সঠিক হবে আমার জানা নেই। "বর্তমানের যুবক ছেলেদের তুলনায় আমার ম্যাচুরিটি বেশি" এটা আমার অন্য ভাইদের জন্য আশ্চর্যের বিষয় এবং এটা তাদের মতামত। বিষয়টা হয়তো পড়তে অদ্ভুত লাগছে যে, নিজেকে ম্যাচিউর বলছি। আসলে এসব বলার মূল কারণ হলো মানুষতো আমার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জানবে না। স্বাভাবিক ভাবেই আমরা অন্যকে জন্মসাল দিয়ে বিবেচনা করি । তাই এসকল বিষয়ে খোলাসা করে দেওয়া। এসব কারণে একান্তই আমার মনে হয় ইম্যাচিউর কারো সাথে মিলবে না। তাই এমন কাউকে আশা করছি, যিনি ম্যাচিউর হবেন। তাঁর দায়িত্বের গন্ডিতে থেকে দায়িত্ব নিতে পারবেন এবং জাউযের আনুগত্যশীলা আহলিয়া হবেন। আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। প্রথমত , আপনি নিশ্চয়ই আমার পুরো বায়োডাটা মনোযোগ সহকারে স্টাডি করেছেন বলে আমার বিশ্বাস। তাহলে অনেকগুলো বিষয় আপনার বুঝে আসার কথা। তবে আমি চাই আমার আহলিয়ার দ্বীন পালনে কোনো প্রকার সমস্যা না হোক। যেটা আমি বাসায় থাকলে সম্ভব হবে না বা তাঁদের দ্বীন পালনের জন্য সাফার করতে হোক এটাও আমি চাই না। নিশ্চয়ই আমার বাসার ব্যবস্থা সম্পর্কে আমিই অনেক বেশি ওয়াকিবহাল। তাই এখন বিয়ের পর ভিন্ন বাসায় ভাড়া থাকছি। দ্বিতীয়া আসলে বাসা বড় থেকে নিব ইন শা আল্লাহ্ এবং আর প্রয়োজনে বাসা আলাদা করবো। এখন আমার ওয়াহিদা বলেছেন ওনার একসাথে থাকতে সমস্যা নেই। আচরণ বলতে, আমি এতটুকু বুঝি যখন তিনি(আহলিয়া) তাঁর দ্বীন পালনে বাঁধা প্রাপ্ত হবেন এটাকেই খারাপ আচরণ হিসেবে নিবেন। আর এই বিষয়ে আমি আমার আহলিয়াকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে চাই ইন শা আল্লাহ্। দ্বিতীয়ত, আমার বাবার সাথে আমার আচরণ কেমন তা আসলে ঠিক বলে বুঝাতে পারবো না। আমার দ্বীন এ আসার ক্ষেত্রে আমার বাবার অনেক অবদান আছে বলে আমি মনে করি। আব্বু যখন সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেন তখন বেদাত এর বিষয়ে আব্বুকে দেখতাম খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রশ্ন করতেন। যা আমার মনে প্রভাব বিস্তার করে। কিন্তু বাংলাদেশে এসে সমাজ দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়ে যায়। যে কারণে পরিপূর্ণভাবে দ্বীন পালনে অনেক ক্ষেত্রেই আব্বুর সাথে একমত হতে পারিনি বা দ্বীমত করতে হয়েছে। যা আমাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়েছে । যদিও এটাই মূখ্য কারণ নয়। ছোট বেলা থেকেই বাবার অনেক গুলো বিষয়ে আমি জানি(যদিও এগুলো ওনার সাথে ওনার রবের হিসাব) । যেকারণে আমি বার বার আপন হতে চেয়েও মন থেকে হয়ে উঠেনি। এখন পর্যন্ত এটাই মনে হয়েছে আমি ওনার কাছে প্রয়োজন এবং দায়িত্ব হিসেবেই ছিলাম(আল্লাহু আলাম)। ওনার সাথে অন্যান্য সন্তানদের ভালো সম্পর্ক বজায় আছে আলহামদুলিল্লাহ। আমি হয়তো মায়ের সান্নিধ্যের অপূর্ণতার কারণেই পরিপূর্ণ ভালো হয়ে উঠতে পারিনি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাকে সেই তাওফীক দান করুন। আর বিয়ের বিষয়ে আব্বু সমাজকে প্রাধান্য দিচ্ছেন বলে আমি মনে করি। যে কারণে কারণে বাবার কাছে আমার তখনো আমার বয়স হয়নি।তাই নিজের হেফাজতের জন্য বাবার অমতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা ভালো আছি এখন। যদিও আমার আর্থিক সামর্থ্য অনেক হয়ে যায়, কিন্তু ওনি ওনার সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন। ইন শা আল্লাহ্ হয়তো পরবর্তীতে সব ঠিক হয়ে যাবে। তৃতীয়ত, বড় আম্মুর সাথে আমার সম্পর্ক বরাবরই ভালো। তবে যতক্ষণ ওনাদের রীতিনীতিতে থাকি ততক্ষন পর্যন্ত। যদি এর হেরফের হয় তখনই এর ব্যতিক্রম আচরণ পরিলক্ষিত হয়। প্রায়সময় তা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, তা বাবার কানে গিয়ে আমাকে বিরম্বনার স্বীকার হতে হয়েছে। তবে বোনদের সাথে আমার সম্পর্ক বরাবরই ভালো ছিল আলহামদুলিল্লাহ। এখনো আছে। যদিও এখন আমি আমার বাসায় আছি আমার আহলিয়া সমেত। বাসায় যাওয়া হয় না। বিয়ের বিষয়টি আব্বুকে অবগত করার পর সমস্যা সৃষ্টি হয়। তবে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমি বরবরই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে ভয় পায়। যেকারণে অনেকগুলো বিষয় নিজের ওপর নিজে জুলুম করছি বলে মনে হয় (আল্লাহু আলাম)। চতুর্থত, আমি নিজের এবং আপনার অভিভাবকের সম্মানকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে চাই না আমার জন্য কোনো সম্মানিত ব্যাক্তির সম্মানে আঘাত আসুক। যেহেতু আগেই জানিয়ে দিয়েছি আব্বু এসব বিষয়ে দ্বিমত করছেন, তাই নিশ্চয়ই এ বিষয়ে আপনার/আপনাদের বুঝে নেওয়া টা উচিৎ হবে বলে আশা করছি। কিছু বিষয় অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ- যেকারো ক্ষেত্রে এটা অবশ্যই যাচাই করে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য যদি মেয়ের পিতাকে যদি কষ্ট করতে হয়,তবে সেটা অবশ্যই করা উচিৎ বলে আমি মনে করি। কারণ প্রত্যেক আদম সন্তান পাপী। তার মধ্যে আমিও আছি। আমার বিষয়ে পূর্ণ খোঁজ নেওয়ার পর যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি এবং এটা আপনাদের হক। এবিষয়ে আমার পক্ষ থেকে পরিপূর্ণ সহযোগিতা করবো ইন শা আল্লাহ্। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যাবতীয় ভালো কাজগুলো একমাত্র তাঁর সন্তুষ্টির জন্য কবুল করে নিন। আমীন। জাযাকুমুল্লাহু খইরান ওয়া আহসানাল জাযা। |
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? | যেকোনো |
পেশা সম্পর্কিত তথ্য | একটা প্রাইভেট মাদ্রাসার কোরডিনেটর অফিসার/সুপার হিসেবে যুক্ত আছি আলহামদুলিল্লাহ। সাথে মাদ্রাসার এনসি বিষয়ে ক্লাস করাই। যা ঐচ্ছিক। সাথে নিজ উদ্যোগে ছোট খাট কিছু ব্যবসা আছে আলহামদুলিল্লাহ এবং একটি টিউশনি আছে। আলহামদুলিল্লাহ, যা ইনকাম করছি তা দিয়ে খুুব ভালোভাবে চলতে পারবো ইন শা আল্লাহ্। তবে, ভবিষ্যতের তাকদিরের বিষয়ে আল্লাহই সর্বোচ্চ জ্ঞানি। পেশা যাই হোক না কেন, হারামের সাথে কখনো আপোষ করা হবে না। দরকার হলে গাছের পাতা খাব, না খেয়ে থাকবো, তবে কখনো হারামের ধারে কাছেও যাব না ইন শা আল্লাহ্। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাকে এই বিষয়ে দৃঢ় হওয়ার তাওফীক দিক। আমীন। |
---|---|
বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান | আমি আমার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান। ২০১০ সালে বাবার সাথে আম্মুর ডিবোর্স হয়। তখন আমি পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা দিচ্ছি। আমি আমার মায়ের একমাত্র সন্তান। আমার বাবার প্রথম স্ত্রীর অর্থাৎ আমার বড় আম্মুর তিন মেয়ে। যাদের বর্ণনা আমি উপরে দিয়েছি । আমার আম্মুর অন্য জায়গায় বিয়ে হয়েছে। ঐ ঘরে ওনার এক মেয়ে ও এক ছেলে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো যিনি আমার মাসনা হয়ে আসবেন তাকে অবশ্যই দ্বীন পালনে ত্যাগ স্বীকার করার মানসিকতা নিয়ে আসতে হবে। কারণ দ্বীন পালন করতে বাধা আসবেই এবং যিনি দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করতে চায় তার জন্য তা আরো কঠিন। তাই এমন সঙ্গিদের আশা করি যারা উম্মে খাদিজা রা: এর মানসিকতা লালন করবেন। যিনি দ্বিতীয়া হয়ে আসবেন তাঁকে সাংসারিক বিষয়ে অবশ্যই ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখতে হবে। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি, একজন পুরুষের জন্য বহুবিবাহ অবশ্যই সহজ যখন তাঁর স্ত্রীরা সহনশীল হন এবং ছাড়। এই ছাড় ও সহনশীলতা তিনি আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার জন্য দিবেন এবং আখিরাতে প্রতিদান পাবেন। এসকল বিষয়ে যিনি তাক্বওয়ার পরিচয় দিতে পারবেন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন যার লক্ষ্য তিনি একমাত্র সম্মতি জ্ঞাপন করবেন ইনশাআল্লাহ। সবদিক বিবেচনা করলে বুঝতে পারবেন ইন শা আল্লাহ আমার মোহরানার বিষয়ে। তাই খুব বেশি মোহরানার আশা না করা জন্য একমত পোষণ করলে তা আমার উপর এহসান করা হয়। আরো উল্লেখ্য, মোহরানা বেশি হলে তা বিয়েকে কঠিন করে তুলবে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিয়েকে সহজ করার জন্য বলেছেন। আর অবশ্যই অবশ্যই বায়োতে নক করা বা রিপ্লাই করার আগে আপনার পরিবারের সকল মোরব্বিদের সাথে আলোচনা করে নিবেন যারা আপনার বিয়ের বিষয়ে কথা বলবে।দরকার হলে তাঁদেরকে বায়ো পড়ে শোনানো। যাতে পরে মুরব্বিদের অমতের কারণে নিজেদের সময়ের অযত্ন না হয়। আমি নিজের এবং আপনার সময়কে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। |
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? | হ্যা |
---|---|
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? | হ্যা |
এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।
অভিভাবকের সাথে যোগাযোগসর্বমোট ভিউ: 373 ভিউস