স্থায়ী ঠিকানা | চাপরাশিরহাট, কবিরহাট, নোয়াখালী। |
---|---|
বর্তমান ঠিকানা | চাপরাশিরহাট, কবিরহাট, নোয়াখালী। |
কোথায় বড় হয়েছেন? | নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে |
বায়োডাটার ধরন | পাত্রীর বায়োডাটা |
---|---|
বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিত |
বর্তমান ঠিকানা | নোয়াখালী |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
স্থায়ী ঠিকানা | নোয়াখালী |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জন্মসন (আসল) | ১৯৯৮ |
গাত্রবর্ণ | উজ্জ্বল শ্যামলা |
উচ্চতা | ৫'৪'' |
ওজন | ৫৫ কেজি |
রক্তের গ্রুপ | B+ |
পেশা | ছাত্র/ছাত্রী |
মাসিক আয় | নাই |
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? | জেনারেল |
---|---|
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? | হ্যাঁ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান ফলাফল | A+ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান বিভাগ | বিজ্ঞান বিভাগ |
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাসের সন | ২০১৫ |
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা | ডিপ্লোমা-- ফিজিওথেরাপি ডিপার্টমেন্ট। ইনস্টিটিউট: Institute of Health Technology(IHT), ফৌজদারহাট, চট্টগ্রাম। পাসের সন: ২০২০. |
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা | ইসলামিক অনলাইন মাদরাসা(IOM) এ আলিম কোর্স চলমান আলহামদুলিল্লাহ। |
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? | হ্যা |
---|---|
আপনার কোর্সের নাম ও ব্যাচ নম্বর: | আলিম প্রিপারেটরি কোর্স, ব্যাচ ২২৮.. |
পিতার পেশা | ব্যবসায়ী |
---|---|
মাতার পেশা | গৃহিণী |
বোন কয়জন? | ১জন |
ভাই কয়জন? | ২জন |
বোনদের সম্পর্কে তথ্য | বোন সবার ছোট। এইচএসসি ১ম বর্ষ। |
ভাইদের সম্পর্কে তথ্য | ১) ভাই- কাতার প্রবাসী(আমার বড়) ২)ভাই- মাদরাসা ছাত্র(আমার ছোট) |
চাচা মামাদের পেশা | চাচা মামা নাই। |
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা | মধ্যবিত্ত। সামাজিক ভাবে সম্মানিত আলহামদুলিল্লাহ। |
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) | অন্য ১০ টা মুসলিম পরিবারের মতো ইসলামের প্রতিটা মৌলিক বিষয়ে বিশ্বাস রাখেন এবং সম্মান করেন। নামাজ, রোজা, যাকাত, ফিতরা আদায় করেন তবে বাকি বিধানগুলো বিশেষ করে পর্দা, নন মাহরাম মেইনটেইন যথাযথ ভাবে পালন করা হয়ে উঠেনা। আমি প্র্যাক্টিসিং এটাতে সবার আগে সাপোর্টিভ আমার পরিবার এবং সম্মান করেন। আমার পর্দার খেলাফ না হওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক থাকার পাশাপাশি পর্দার পরিবেশ তৈরীতেও তৌফিক অনুযায়ী চেষ্টা করে থাকেন প্রতিটা সদস্য। আল্লাহপাক আমাকে দ্বীনের বুঝ দেওয়ার পাশাপাশি দ্বীনি ইলম অর্জনের সুযোগ করে দিয়েছেন, যার বদৌলতে নিজে জানার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যরা ও জানতেছেন ইসলামের যাবতীয় হুকুম আহকাম সম্পর্কে এবং মানার চেষ্টাও করতেছেন আলহামদুলিল্লাহ। ইন শা আল্লাহ, একদিন রাব্বুল আলামীন আমিসহ পুরো পরিবারকে কবুল করে নিবেন। |
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? | জ্বী আলহামদুলিল্লাহ। |
---|---|
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? | নামাজ আগে থেকেই পড়তাম, তবে অনিয়মিত ছিলো। দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পর থেকে নিয়মিত পড়ি আলহামদুলিল্লাহ। |
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? | জ্বী আলহামদুলিল্লাহ। কঠোরভাবে সর্বোচ্চ পরিমাণে চেষ্টা করি। অজান্তে নন মাহরাম কেউ হুট করে সামনে চলে আসলে সাথে সাথে আড়ালে চলে যাই। কথা বলার প্রয়োজনে নন মাহরাম যে বয়সের-ই হোক, নজরের হেফাজত করে কথা বলি আলহামদুলিল্লাহ। |
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? | পারি আলহামদুলিল্লাহ। IOM এ ভর্তির পর দিনদিন আরো শুদ্ধ হচ্ছে আল্লাহর রহমতে। |
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? | কালো বোরকা, কালো বড় হেজাব, হাত পায়ের মোজা(কালো)।। |
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন | খিলাফত |
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? | একেদম না আলহামদুলিল্লাহ। তবে হৃদয়স্পর্শী ইসলামিক নাশিদ শুনি। |
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? | চশমা পড়ি মাথা ব্যথার কারণে( মাইগ্রেন নয়).. কানের পর্দায় ইনফেকশনজনিত সমস্যা আছে। মাঝেমধ্যে ব্যথা হয়। |
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? | পরিবার এবং পরিচিত মহলে ইসলামের যাবতীয় হুকুম আহকামের দাওয়াত দিই যতটুকু নিজে জানি এবং মেনে চলার চেষ্টা করি। বিশেষ করে বিদআতি কর্মকান্ডের ব্যাপারে সতর্ক করি। আবার মুসলিম উম্মাহ পরস্পরের প্রতি সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে- একের প্রতি অন্যের সুধারণা পোষণ করার জন্য এবং গীবত, পরনিন্দা না করার তাগিদ দিই বেশি বেশি যতটুকু রব্বুল আলামীন তৌফিক দিয়ে থাকেন। |
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? | না। |
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? | কবর, পবিত্রতা রক্ষা করে জিয়ারত করা যাবে। মানত কিংবা চাওয়া-পাওয়া শিরক। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন | ১. আর রাহিকুল মাখতুম ২.দ্যা রিভার্টস-ফিরে আসার গল্প ৩. পৃথিবীর পথে পথে, জীবন যেখানে যেমন প্রভৃতি |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন | শায়েখ আহমাদুল্লাহ, উস্তাদ নোমান আলি খান, জামশেদ মজুমদার, খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, জাকির নায়েক, গোলাম সরোয়ার সাইদি, মিজানুর রহমান আজহারী, শায়েখ তামিম আল আদনানী প্রমুখ। |
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) | প্রযোজ্য নয়। |
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন | আমি জেনারেল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে দ্বীনের বুঝ পাওয়া মানুষ। এসএসসি পাশের পর চট্টগ্রাম সরাসরি যাওয়ার পক্ষে পরিবারের সম্মতি ছিলোনা ওভাবে। কিন্তু চান্স পেয়ে অনেকটা আবেগের বশবর্তী হয়েই ভর্তি হই আল্লাহর ইচ্ছায়। চট্টগ্রামে থাকাকালীন প্রতিটা সেক্টরে আল্লাহপাক আমার জন্য সহজ করার পাশাপাশি আমাকে সম্মানিত করেছেন। থার্ড ইয়ার চলমান সময়েই ইন্টারশিপ শেষে প্রাইভেট হসপিটালে মানানসই সম্মানিতে রোগী দেখতাম পার্টটাইম হিসেবে। আমার এলাকায় নোয়াখালীর বাইরে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে মেয়ে হিসেবে তখন আমিই প্রথম ছিলাম। এর আগে কেউ পড়ার উদ্দেশ্যে এতোদূর যায়নি। তো এক্ষেত্রে আমার উচ্চ শিক্ষা এবং ক্যারিয়ার নিয়ে সবার প্রত্যাশা একটু বেশিই ছিলো। কিন্তু দ্বীনের বুঝের পর আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পর্দার খেলাফ না করা এবং নন মাহরাম মেইনটেইন করার স্বার্থে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে এভাবে আমার ঘরে অবস্থান করাটা শুরুতে মোটেও সহজ ছিলোনা আমার জন্য। কারণ দ্বীনের জন্য ক্যারিয়ার ছেড়ে দেওয়া এটা কারো কাছে গ্রহণযোগ্য কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়নি তখন এমনকি এখনও... আমি একসাথে নিয়মিত নামাজ, পর্দা এবং নন মাহরাম মেইনটেইন করা শুরু করতে পারিনি। বরং ধীরেধীরে এসব বিধান মেনে চলার তৌফিক রব্বুল আলামীন আমাকে দিয়েছেন। "দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পর থেকেই দুনিয়াটা তুচ্ছ হয়ে যাবতীয় কাজের আড়ালে নিয়তে থাকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং কাঙ্খিত জান্নাত লাভের স্বপ্ন। আমি বিশ্বনবী (সাঃ) এবং সাহাবায়ে কেরাম ওনাদের মতো অল্পেতুষ্ট থেকে সাধারণ জীবনযাপন আশা করি। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সাধ্যমতো দান-খয়রাতে প্রশান্তি পেয়ে থাকি। আল্লাহর ফয়সালায় সবর এবং শোকর করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। কথা কম বলার চেষ্টা করি। অন্যের বিষয়ে অহেতুক চর্চার ক্ষেত্রে চুপ থাকি। আবার দ্বীনি আলোচনায় কিংবা প্রাসঙ্গিক আলোচনায় যতটুকু সম্ভব কথা বলি। শান্তশিষ্ট স্বভাবের নাকি আমি মানুষে বলে আলহামদুলিল্লাহ। তবে কখনো রাগ সৃষ্টি হলে আল্লাহর রহমতের আশায় চুপ থাকার প্রাণান্তর চেষ্টা করি। ঝগড়া ফ্যাসাদ তীব্র মাত্রায় অপছন্দ। আল্লাহর সৃষ্ট প্রতিটা জীবের প্রতি দরদ রাখি, মায়া রাখি। ধনী-গরীব,উচু-নিচু ভেদাভেদ না করে মানুষ হিসেবে সবার সাথে সমান সম্মানবোধ বজায় রেখে চলা আমার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বিশেষ একটা দিক আলহামদুলিল্লাহ। একচোখে নিজের দোষ, আরেক চোখে অন্যের গুণ দেখার চেষ্টায় বেলাশেষে নিজের ভুলটায় ধরা পড়ে। নিজেকে তখন অন্যের উপর আর জাহির করা হয়না বরং তর্ক এড়িয়ে অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মানবোধ রাখার চেষ্টা করি। মানুষের প্রতি ভয় রাখিনা, সম্মান থাকে। ভয়টা কেবল আল্লাহর জন্য, এটাই আমার দ্বীনের পথে সুন্দর উপলব্দি। গীবত,পরনিন্দা, লোভ, অহংকার, হিংসা, মিথ্যা কথা বলা, মিথ্যা অপবাদ দেওয়া, সত্য গোপন রেখে মিথ্যার প্রসার ঘটানো, কু ধারণা পোষণ, নিজেকে বড় ভাবতে গিয়ে অন্যকে হেয় করা অপছন্দ করি। নিজে আল্লাহর কাছে এসব থেকে পানাহ চাওয়ার পাশাপাশি অন্যের জন্য এসবে আল্লাহর সাহায্য কামনা করি" পরিবারের বড় মেয়ে আমি। কিন্তু আব্বু, আম্মা, ভাইবোন, আত্মীয় স্বজনের কাছে এখনো ছোটদের মতো ভালোবাসা পেয়ে থাকি। বদস্বভাব-- পরিচিত জনেরা বলেন, আমি অতি আবেগী এবং অল্পতেই মানুষকে বিশ্বাস করে ফেলি। এছাড়াও নফসের তাড়নায় অলসতা কাজ করে মাঝেমধ্যে প্রচুর যার প্রভাব আমলে এবং ইলম অর্জনে পড়ে থাকে। তবে দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পর থেকে সবকিছুতে আল্লাহর রহমতে সংশোধিত হচ্ছি দিনদিন। আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে৷ চাঁদ, আকাশ, পাহাড়, সমুদ্র, পছন্দ। বিশেষ পছন্দ "বিড়াল".. আল্লাহর ঘরের মেহমান হওয়ার স্বপ্ন দেখি। কুরআনের তাজউইদ পুরোপুরি সহিহ শেষে ইন শা আল্লাহ কুরআন হিফয করার নিয়ত রেখেছি। এক্ষেত্রে আল্লাহ রব্বুল আলামীন তৌফিক দিয়ে কবুল করে নেওয়ার মালিক। |
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন | প্রযোজ্য নয় |
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? | হানাফি |
নজরের হেফাজত করেন? | হ্যা |
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? | ইন শা আল্লাহ, আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে দ্বীনের দায়ী হওয়া। দ্বীনি আদর্শ পরিবার গঠন করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দ্বীনি পরিবেশ তৈরি করা। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ইসলামিক আদর্শে আদর্শিত মমতাময়ী মা হওয়া এবং জীবনসঙ্গীর আদর্শ সহধর্মিণী হওয়া ইন শা আল্লাহ। সর্বোপরি জান্নাত লাভের লক্ষ্যে ইসলামিক অনুশাসনে জীবন পরিচালিত করা ইন শা আল্লাহ। |
অবসর সময় কিভাবে কাটান? | নির্দিষ্টভাবে কিছু করা হয়না। পরিবারের সাথে সময় কাটাই। ফোনকলে আত্মীয় স্বজনের খোঁজখবর নিয়ে থাকি। বিশেষ প্রয়োজনে স্বশরীরে গিয়ে দেখা করি। অনলাইনে দৈনিক নিউজ এবং ইসলামিক লেকচার সিরিজ শুনি। কুরআন তেলাওয়াত করি মাঝেমধ্যে নাহয় রেকর্ড শুনি। আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে ভেবে কৃতজ্ঞ হই। (অবসর সময়ে মাঝেমধ্যে ঘুমাই বেশি আবার নেট ব্রাউজিং করি ক্ষেত্রবিশেষে) |
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? | আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহপাক আম্মাকে সুস্থ রাখার বদৌলতে আমার উপর কখনো ওরকম দায়িত্ব পড়েনি। তাছাড়া একক পরিবার বিধায় কাজকর্ম তেমন থাকেনা। তাও আম্মাকে সাহায্য করি রান্নাবান্না এবং যাবতীয় কাজকর্মে যতটুকু প্রয়োজন পড়ে। নিজে রান্নার কাজটা করিনা সচারাচর। তবে মোটামুটি পারি রান্না করতে। এছাড়া ছোটভাইবোনদের বিভিন্ন বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করি পড়ালেখা সংক্রান্ত। |
নারী-পুরুষ সমঅধীকার বিষয়টাকে আপনি কিভাবে দেখেন? | নারী-পুরুষ সমঅধিকার বিষয়টার পক্ষে নয় এবং সমর্থন করিনা। ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থার নাম। যাতে কোনো অসঙ্গতি নেই। এক্ষেত্রে ইসলামিক দিক দিয়ে চিন্তা করি। ইসলাম যাকে যতটুকু অধিকার দিয়েছে তা-ই তার জন্য যথেষ্ট সর্বোক্ষেত্রে। |
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? | সরাসরি বিয়ে নিয়ে কথা বলেনা। তবে বিয়ে প্রসঙ্গে সম্মতি জানাই। |
---|---|
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? | সর্বোপ্রথম মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জন এবং রাসুল(সাঃ) এর সুন্নাহ আদায়ের লক্ষ্যে। ফিতনা থেকে নিজেকে হেফাজত করার জন্য। দ্বীনি পারিবারিক কাঠামো গঠনের ক্ষেত্রে বিয়ে প্রয়োজন। মুসলিম উম্মাহের পারস্পরিক সম্পর্ক নিবিড় করার ক্ষেত্রে বিয়ে প্রয়োজন। |
আপনি কি বিয়ের পর চাকরি করতে ইচ্ছুক? | না |
বিয়ের পর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান? (ছাত্রী হলে) | জ্বী ইন শা আল্লাহ। ঘরে থেকে দ্বীনি ইলম আমৃত্যু অর্জন করতে চাই। |
বিয়ের পর চাকরি চালিয়ে যেতে চান? (চাকরিজীবী হলে) | না |
বিয়েতে কেমন মোহরানা নির্ধারন করতে চান? | ছেলের সাধ্যমত আলোচনা সাপেক্ষে |
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? | আর্থিক অবস্থা ও গায়ের রং |
আপনার স্বামীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? | ১) ইসলামি বিধান অনুসারে স্বামীর আনুগত্য করা। ২) উত্তম আচরণ করা এবং তার কষ্টের মুহুর্তে কষ্ট লাঘবের উদ্দেশ্যে পাশে থাকা। ৩) কঠোর আচরণ না করা এবং অবাধ্য না হওয়া ৪) স্বামীর সাধ্যের বাইরে চাহিদা পোষণ করে তাকে মানসিক পীড়াদায়ক পরিস্থিতিতে না রাখা। ৫) স্বামীর চাহিদার বিষয়ে সচেতন থাকা। ৬) স্বামীর পছন্দনীয় এবং অপছন্দনীয় বিষয়ের প্রতি সম্মান রাখা। ৭) নিজের সমস্ত সৌন্দর্য স্বামীর জন্য আমানত স্বরুপ রাখা। ৮) কৃতজ্ঞ থাকা ৯) সর্বোপরি উম্মুল মু'মিনীন আম্মাজান খাদিজা(রাঃ) এবং আম্মাজান আয়েশা( রাঃ) ওনাদের অনুসরণ করে রাসুল(সাঃ) এর সুন্নতি দাম্পত্য জীবন অনুকরণ করে আমৃত্যু নিজেকে স্বামীর আনুগত্যে নিয়োজিত রাখতে চাই ইন শা আল্লাহ। |
বিয়ের পর কোথায় থাকতে চান? | স্বামীর বাড়ি |
বয়স | মানানসই |
---|---|
গাত্রবর্ণ | যেকোনো |
নূন্যতম উচ্চতা | মানানসই |
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা | আমার সাথে মানানসই। দুনিয়াবী শিক্ষা সমমান কিংবা বেশি কম মুখ্য নয়। তবে দ্বীনি ইলমের ক্ষেত্রে চাহিদা রাখি।(হাফেজে কুরআন, মাওলানা, মুফতি, ইমাম, মাদরাসা শিক্ষক) যেকোনো দ্বীনি পেশা।৷ হোক দুনিয়াবি কিংবা দ্বীনি- ততটুকু ইলম নিজের মধ্যে লালন করতে হবে যতটুকুতে অন্তরে আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্টচিত্তে তাকওয়া,তাওয়াক্কুল পোষণ করা যায়। মানুষের হক, আল্লাহর হকের প্রতি সচেতন থাকা যায়। হালালের পথে থাকা যায়। |
বৈবাহিক অবস্থা | অবিবাহিত। |
জীবনসঙ্গীর দাড়ি বা ইনকাম সম্পর্কে যা চান- | দাঁড়ি অবশ্যই থাকতে হবে৷ ইনকাম হালাল.. |
পেশা | যেকোনো হালাল পেশা( প্রবাসী ব্যতিত)। এই পেশা বাদ রাখার কারণ- আমি আমার জীবনসঙ্গী এমন কাউকে প্রত্যাশা করি যিনি সর্বাবস্থায় ভালোমন্দে আমার পাশে থাকবেন স্ব-শরীরে ইন শা আল্লাহ। তাছাড়া পর্দা, নন মাহরাম মেইনটেইন, প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমার হেফাজতে-- যাবতীয় বিষয়ে উনি দেশের বাইরে থাকলে আমার জন্য কঠিন হয়ে যেতে পারে। (এক্ষেত্রে মুসলিম দেশে বিশেষত সৌদি আরব হলে যদি সহধর্মিণীকে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে গ্রহণযোগ্য। আল্লাহর ঘরের মেহমান হওয়া এবং নবীজির দেশে ভোরের বাতাস গায়ে জড়ানোর স্বপ্ন থেকেই সব ছাড় দিতে এক্ষেত্রে রাজি থাকবো ইন শা আল্লাহ)। |
অর্থনৈতিক অবস্থা | মানানসই, সম্মানিত। |
পারিবারিক অবস্থা | দ্বীনি পরিবেশ এবং পরিপূর্ণ পর্দার ব্যবস্থা। |
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন | আমি জেনারেল থেকে দ্বীনে ফেরা বিধায় আমার পরিবর্তনে সবাই সু ধারণা পোষণ করেনি। এমনকি এখনো করতেছেনা বলা যায়। এক্ষেত্রে আমি এমন কাউকেই আশা করি যিনি কেবল বাহ্যিক লেবাসে দ্বীনি না বরং অভ্যন্তরিণভাবে দ্বীনদার হবেন। কুরআন সুন্নাহের আলোকে জীবন পরিচালনা করবেন। ফরজ বিধান আদায়ে সচেতন থাকবেন। দাঁড়ি এবং টাকনুর উপর কাপড় পড়া বাহ্যিক লেবাসে অবশ্যই থাকতে হবে। জামায়াতের সাথে নামাজ আদায়ে গাফেলতির মনোভাব পোষণ করা যাবেনা। অন্তরে তাকওয়াহীন হয়ে বাহ্যিক লেবাসের দ্বীনদারিতায় যাতে পরবর্তীতে আমার ইসলাম প্রশ্নবিদ্ধ না হয়-- সুন্নতি লেবাসের আড়ালে ইসলাম এমন কিংবা দাঁড়ি টুপির আড়ালে মানুষ জগন্য হয়। লোকে কি বলবে মনোভাব এড়িয়ে সর্বাবস্থায় আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে জীবন অতিবাহিত করবেন। হালাল ইনকামের পথে থাকবেন। সবর এবং শোকরগুজারী বান্দা হবেন। মাহরাম নন মাহরাম মেইনটেইন করাতে সচেতন হবেন। দৃষ্টি নত রাখবেন। প্রচুর গায়রতবোধের অধিকারী হতে হবে ইন শা আল্লাহ। যৌতুক নেওয়া এবং দেওয়ার ঘোর বিরোধী হতে হবে। উপহারের নামে যৌতুক গ্রহণের বিপক্ষে থাকতে হবে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় কঠোর হবেন। আমার পর্দার বিষয়ে উনি আমার চেয়ে বেশি সচেতন থাকবেন। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পর্দার ব্যবস্থায় কোনো ছাড় দিবেননা). বান্দার হকের বিষয়ে জ্ঞান রাখবেন। দায়িত্ববোধ সম্পন্ন হবেন। পরিশ্রমী হবেন। দুনিয়াবিমুখ হবেন। দুনিয়ার চাকচিক্যের কাছে বিক্রি না হয়ে আখেরাতে উত্তম প্রতিদান আশা করবেন। লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য রাখবেন জান্নাতুল ফেরদাউস লাভ করা এবং আমাকেও ঐ লক্ষ্য পূরণের সহায়ক হিসেবে আমলে ইলমে তাগিদ দিবেন ইন শা আল্লাহ। যিনি গরিবী হালত লালন করবেন। আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করবেন। আল্লাহর ভয় অন্তরে পোষণ করে রিয়া, বদমেজাজি, কাপুরুষতা, নিজেকে বড় ভাবা পরিহার করে কোমলতাকে আঁকড়ে ধরবেন ইন শা আল্লাহ। *** পরোপকারী হবেন। উম্মতি মুহাম্মাদের প্রতি দরদ রাখবেন। দ্বীনের দায়ী হবেন। **সহধর্মিণীর জন্য ঢালস্বরূপ হবেন সর্বাবস্থায়। **আমার পরিবারের প্রতি দায়িত্ববান এবং শ্রদ্ধাশীল হবেন যেমনটা আমি ওনার পরিবারের প্রতি সর্বোচ্চ মাত্রায় হওয়ার চেষ্টা করবো রবের তৌফিক অনুযায়ী ইন শা আল্লাহ। **নিজ পরিবারের প্রতি, পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসার মনোভাব পোষণ করবেন। মায়ের হক এবং সহধর্মিণীর হকের বিষয়ে সচেতন থাকবেন। নমনীয় হবেন। নবীজির সুন্নাহ তরকে ভীত থাকবেন। আল্লাহর রহমতের কাঙ্গালি হবেন। ((মাজার পূজারী, পীর মুরিদের ভক্ত হওয়া যাবেনা)) (সবগুলা গুণাবলিতে একসাথে গুণান্বিত হওয়া সম্ভব না হয়তোবা। তবে পরিবর্তনের ইচ্ছাশক্তি টুকু রেখে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নিজেকে উত্তম ভাবে পরিবর্তন করার মানসিকতা থাকতে হবে ইন শা আল্লাহ... |
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? | নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর। জেলা যাইহোক, কবিরহাট থেকে মোটামুটি পাশাপাশি উপজেলা কিংবা কবিরহাট থেকে বেশি দূরত্বের পথ না হলে ভালো হবে ইন শা আল্লাহ। কারণ কবিরহাট থেকে কম দূরত্বের পথ হওয়ার বিষয়টা পারিবারিক চাহিদা। তবে আমার জন্য রব্বুল আলামিন যেখানেই কল্যাণকর ফয়সালা নসিব করবেন, আমি সেই ফয়সালা সন্তুষ্টচিত্ত মেনে নিতে প্রস্তুত থাকবো ইন শা আল্লাহ। |
পেশা সম্পর্কিত তথ্য | তলিবুল ইলম( আলিম) |
---|---|
বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান | ১)আমার মামা চাচা কেউ নাই। নানা ততকালীন জমিদার টাইপের মানুষ ছিলেন। অনেক জমিজমা ছিলো। আম্মা ওনারা ৩বোন। তো নানা ওনার সম্পত্তি দেখাশোনার স্বার্থে বড় খালাম্মা এবং আমার আম্মা(বোনদের ছোট) ওনাদের দুজনকে নানা বাড়িতে থাকার বন্দোবস্ত করে। যার কারণে আমরা নানাবাড়িতে বড় হই। অন্যদিকে আব্বুর ভাই না থাকায়, উনিও নানার অনুরোধে এখানে থাকার পক্ষে রাজি হন এবং নানাবাড়ি মুখি ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করে সুনাম অর্জন করেন আলহামদুলিল্লাহ। (এখন নানা নানী দু'জনই মৃত) ২)ঘরে এবং ঘরের বাইরে পর্দা+নন মাহরাম মেইনটেইন বিষয়টাতে বিন্দুমাত্র কোনো প্রকার ছাড় দেওয়ার মানসিকতা আমি রাখিনা। তো সহধর্মিণীর এইসব বিষয়ের নিশ্চয়তা পুরোপুরি দেওয়ার মানসিক হালত, সর্বোচ্চ সাপোর্ট এবং পরিবেশ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোরতা অবলম্বন করে সহধর্মিণীর চেয়েও অধিক সচেতন হতে হবে। ৩)আমি সুন্নাহ মোতাবেক বিয়ে করতে চাই মসজিদে ইন শা আল্লাহ। গায়ে হলুদ কিংবা কয়েকদিন ব্যাপী আনুষঙ্গিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ইসলামে বিয়ে সহজ ঐ রীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। ৪)পাত্রী দেখার ক্ষেত্রে নন মাহরাম মেইনটেইন বিষয়টাতে গুরুত্বারোপ করতে হবে। বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র পাত্রীকে দেখার অনুমতি থাকলেও পাত্রের অন্য কোনো পুরুষ আত্মীয়ের থাকেনা। হোক তিনি বাবা কিংবা মামা-চাচা। ৫)আমি ছবি তুলিনা এমনকি কোথাও কোনো ছবি রাখিনি। এক্ষেত্রে ছবি চাওয়ার বিষয়টা এভয়েড করে উভয়পক্ষের সম্মানবোধ বজায় রাখার তৌফিক আল্লাহপাক আমাদের দিক। ৬) আমি কেবল একজন জীবনসঙ্গী না-- বরং একজন অভিভাবক, একজন শিক্ষক, একজন আল্লাহর ভালোবাসা কাঙ্গালি এমন কাউকেই আশা করি। আমি যেহেতু জেনারেল থেকে দ্বীনের বুঝ পাওয়া মানুষ, তো আমার আমলে ইলমে অনেক ঘাটতি। যা পূরণের সহায়ক হিসেবে দ্বীনি ইলম এবং আমলওয়ালা কাউকেই রবের কাছে প্রত্যাশায় রাখি। আমার তীব্র ইচ্ছা-- পবিত্র কুরআনটা সহিহ শুদ্ধ করে তেলাওয়াত শেখা শেষে হিফয করা। এক্ষেত্রে আমার জীবনসঙ্গী যদি সহিহ কুরআন তেলাওয়াতকারী হয়ে থাকেন কিংবা দ্বীনি ইলমওয়ালা হয়ে থাকেন তবে ইন শা আল্লাহ তা হবে আমার জন্য উত্তম পাওয়া। ***৭) আমি দুনিয়া নিয়ে কোনো চাহিদার দাবী রাখিনা আলহামদুলিল্লাহ। আবার দ্বীনি চাহিদায় বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়ার মানসিকতাও রাখিনা। আমার পুরো বায়োডাটায় যতটুকু দুনিয়াবি চাহিদা প্রাধান্য পেয়েছে সব-ই আমার পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী লেখা। তো দুনিয়ার মোহে জড়ানোর সামগ্রী আয়ে মরিয়া না হয়ে বরং এই ফিতনার জমানায় নিজ দ্বীন হেফাজতে কোনো এক ফিতনা হীন পরিবেশে চলে যাওয়ার মানসিকতা রাখার ক্ষেত্রে আমি কখনোই না পোষণ করবোনা ইন শা আল্লাহ। আমি দুনিয়া ছেড়ে দ্বীন রক্ষার স্বার্থেই দ্বীনি কাউকে প্রত্যাশা করি। এক্ষেত্রে সবটুকু দ্বীনি চাহিদা পূরণে সহায়ক মানসিকতা রাখা আল্লাহর বান্দা জেনে বুঝে যোগাযোগে আগ্রহী হওয়ার জন্য অনুরোধ রাখতেছি। |
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? | হ্যা |
---|---|
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? | হ্যা |
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? | হ্যা |
এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।
অভিভাবকের সাথে যোগাযোগসর্বমোট ভিউ: 643 ভিউস