নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন |
⚠️⚠️⊕ বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম :
নিজের সম্পর্কে হাইলাইট করার মত যদিও কিছু নেই,তবে এখানে না লিখলেই নয়,যেহেতু এখানকার প্রেজেন্টেশন থেকে আমার সম্পর্কে ধারণা নিবেন।
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহি ওয়াবারকাতুহ;আমি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার একান্তই গুনাহগার এক বান্দি।ছোট থেকেই কেন যেন ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোলাগা,ভালোবাসা কাজ করত,মনটা নরম ছিল একদম দ্বীনের জন্যে।তো দ্বীনহিন পরিবার,পরিবেশ,পারিপার্শ্বিক অবস্থান সব ছিল দ্বীনি পরিবেশের বিপরীত অবস্থানে।(ছোট্ট বেলার একটা ঘটনা মনে পড়ে বাসায় কবর সংক্রান্ত কিছু একটা টিভিতে ছেড়েছিল সেই ভিডিওর আওয়াজ টা আমার কাছে এত ভীতিকর ছিল যে আমি কানে আঙ্গুল দিয়ে বাসা থেকে কয়েকবাসা দৌড়িয়ে একদম মেইন রাস্তার কাছে অন্য একটা বাসার মধ্যে আশ্রয় নিয়েছিলাম যাতে আমার কান অব্দি ওই শব্দ না পৌঁছে। আমি খুব ভয় পেতাম।একদম সহ্যই করতে পারতাম না)...মুল ফোকাস:ভয়।
ছোট থেকেই কোথাও নামাজ,ইসলামিক আলোচনা তা'লীম এসব হতে দেখলে সাগ্রহে যেতাম,পরিবারের সদস্যদের ছাড়াই অন্যদের সাথে-মুরব্বিদের সাথে।আল্লাহর ভয়,পরকালের ভয় ছোট থেকেই ক্বলবে দিয়ে দিয়েছিলেন মহান রব্বুল আলামীন।(কোথাও যদি শুনতাম তালীম হবে আমি খুব কৌতুহলী হয়ে যেতাম।কবরের কথা শুনলে আমার প্রচন্ড কষ্ট হতো।সবার সামনে কাঁদতে পারতাম না তবে মনে মনে খুব কাঁদতে চাইতাম।একনিষ্ঠতা ছিল।ভীত শঙ্কিত থাকতাম)....মূল ফোকাস:ভয়+ভালোলাগা+কবরের আজাব থেকে বেঁচে থাকার অভিলাষ।
মাদ্রাসায় পড়ুয়া কাউকে দেখলে খুব ইচ্ছে হত মাদ্রাসায় পড়তে,পর্দার পোশাক পরিহিতা কাউকে দেখলে মনের মধ্যে খুব ইচ্ছে জাগত যদি ওমন পর্দা করতে পারতাম....এভাবেই বেড়ে ওঠা অন্তরে দ্বিনের প্রতি অফুরন্ত মোহাব্বত নিয়ে।তবে অনেক-অনেক বিষয়ের সাথে জড়িত ছিলাম যা ছিল আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার অপছন্দনীয়,নিষেধ /বর্জনীয়। জানতাম না তখন।(অষ্টমশ্রেণীতে দুমাস ক্লাস করার পরে প্রতিবেশী দুই বোন ছিল ওরা কওমী মাদ্রাসায় পড়ত ওরা ছুটিতে বাসায় আসলে আমি ওদের সাথে মাদ্রাসায় পড়তে যাওয়ার জন্য ছিলাম প্রচন্ড অভিলাষী।
বাসা থেকে যেতে দেয়-নি। অনেক কান্না করেছি। দের দিনের মতো না খেয়েছিলাম।কষ্ট আর অভিমানে কলিজাটা ফেটে যাচ্ছিল যেন।বাসায় বলছি আমি আর স্কুলে পড়বো না মাদ্রাসায় ভর্তি হবো,সেখানে থাকবো,কিন্তু উপায়হীন ছিলাম,কত আশা,কত ইচ্ছে সব ভেস্তে গেছে )...
যখন যেটা-যার কাছ হতে শুনতাম মোটামুটিভাবে মেনে চলতাম।তবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার আদেশ সম্পর্কে মোটামুটি জানলেও নিষেধ গুলোর ব্যাপারে একদম গাফিল'ই ছিলাম বলা যায়।
তো তাকওয়া(আল্লাহর ভয়,পরকালীন জীবন) ইমান-আখলাক সম্পর্কে আরও আগে জানলে হয়ত আরো আগ থেকেই পরিবর্তন হওয়ার মুজাহাদা তথা চেষ্টা করতাম।তবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার হিকমাহ আমরা জানিনা,তার পরিকল্পনা ছিল ভীন্ন।আর তার উত্তম পরিকল্পনার বাস্তবায়ন বর্তমান জীবন আলহামদুলিল্লাহ।
আসলে যাদেরকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা হেদায়েত দিতে চান তাদের অন্তর দ্বীন-ইসলামের প্রতি দূর্বল করে দেন ছোট্ট হতেই,বাস্তবতায় ব্যক্তিকে যত যা-ই করতে দেখা যাক না কেন।অন্তর নরম এবং কোমল হলে,অন্তর থেকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লাকে পেতে চাইলে সে অন্তর অথবা ক্বলবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা হেদায়েত এর নূর ঢালবেন'ই ঢালবেন।(আমার ক্ষেত্রেও তাই হল)
বাহ্যিকতায় দ্বীনহিন আচারন,অন্তরে আল্লাহর ভালোবাসা লালন করে-করে কলেজ অবধি আসা(যদিও তখন একদম ঊশৃংখল ছিলাম না,দুনিয়ার মাপকাঠি তে আসলেই প্রকৃত সভ্য-ভদ্র,মার্জিত,একজন ভালো শ্রোতা,অন্যদের সম্মান প্রদর্শন, গুরুজনদের কথা শ্রদ্ধাভরে শোনা এবং মানার বিষয়,শিক্ষকদের শ্রদ্ধা,তাদের কথা পূর্ণ মনোযোগসহ শোনা,দৈনন্দিন পড়াশুনা রটিন মেনে টাইমলি ঘুম,টাইমলি খাওয়া এগুলো ছিলো,তবে পর্দাসহ আরও দ্বীনি নানাদিক অনুপস্থিত ছিল এবং পিছিয়ে ছিলাম অনেক আমল হতেও,জানতামই না যে এগুলো আসলে আমল।তাছাড়া ভালো একজন ব্যক্তিত্ববান মানুষ হয়ে ওঠার অদম্য আকাঙ্খা তাড়িয়ে বেড়াতো মনে সর্বদা,ভালো কিছু যেখান থেকেই পেতাম তা গ্রহন করতাম। নাইনে ক্যারিয়ার শিক্ষা বই থেকে ভালো শ্রোতা সম্পর্কে জেনে-বুঝে সেবিষয়ে সচেতন হয়েছি নিজের মধ্যে উক্ত গুন ধারন করবার চেষ্টা করেছি।আবার ইসলাম শিক্ষা বইয়ের লেখাগুলো পড়ে খুব অনুপ্রাণিত হতাম।সৎ কাজের আদেশ,অসৎ কাজে নিষেধ সম্পর্কে জেনেছি উক্ত বই থেকে আরো কিছু দুআ সম্পর্কে।)একটা কাগজের টুকরো কোথাও পেলে তা উঠিয়ে দেখতাম সেখানে কি লেখা,অতঃপর ভালো কিছু থাকলে তা থেকে অনুপ্রাণিত হতাম ভীষণ ভাবে অন্যদিকে খারাপ কিছু থাকলে তা থেকেও অনুৎসাহিত হতাম।মোদ্দা কথা মূল শিক্ষাটা নিতাম।
এভাবেই কলেজ জীবন অব্দি আসা,তবে ইসলামিক বই কোথাও পেলে পড়া,কারো কথা বিশেষ করে ইসলামিক মাইন্ডসেটের কাউকে পেলে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জানতে চাওয়ার স্বভাব ছিল,তা-ই করতাম।ইসলামিক কিছু শুনলেই খপ করে ধরে মানতে চাওয়ার বাসনা কাজ করত প্রচুর পরিমানে।বিবেক দিয়ে শুনে সেসব দিক নিজের বাস্তবতায় পরিনত করাই ছিল মূল লক্ষ্য, যে লক্ষ্য সে-ই কাজ(আমল)আলহামদুলিল্লাহ।ইন্টারে থাকাবস্থায়(সেকেন্ড ইয়ারের ফাইনাল পরিক্ষার কিছুদিন পূর্বে)পরিপূর্ণ হেদায়েতের নূর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ক্বলবে ঢেলে দিয়েছেন।(আমৃত্যু এই কথা স্মরণে থাকলে ইংশাআল্লহ বিপথে যাওয়া থেকে প্রটেকশনের কাজ করবে)তো এই ক্বলবের হেদায়েত এর পাশাপাশি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার আদেশ-নিষেধ সম্পর্কেও মোটামুটি অবহিত হই আলহামদুলিল্লাহ।আর এই ক্বলবের হেদায়েতের পর থেকে দ্বীনের প্রতিটি বিষয়:মুলত ইসলামই জীবন-জীবনই ইসলাম।আল্লাহর সন্তুষ্টি-অসন্তুষটির বিষয়ে সজাগ হয়েছি।আল্লাহর সন্তুষ্ট তে প্রশান্তি -অসন্তুষ্টিমুলক চুল পরিমান ও কিছু ঘটে গেলে হোক তা স্বেচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় মানসিকভাবে অন্তর দহনে শেষ হয়ে যাই।দম আটকে আসে।অস্থিরতায় জবাই দেয়া মুরগির মত ছটফটাতে থাকি ভেতরে ভেতরে।
আলহামদুলিল্লাহ এখন সবকিছুর ক্ষেত্রে একটা পাতা ছিঁড়ার বেলায় ও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা রাজি-খুশি /সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির কথা স্মরণ হয় এবং সেভাবেই পথচলা হচ্ছে।
ক্বলবের হেদায়েতের পর দ্বীন-দুনিয়া ক্লিয়ার হয়ে যায় এবং এরপর হতে দ্বীনকে অগ্রাধিকার দিয়েই চলার চেষ্টা করছি।
💠নিজের শখ:একটা ইসলামিক লাইব্রেরির অনেক শখ,এ নিয়তে বই সংগ্রহ অনেক হয়েছে,হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ!তবে এর পরিপূর্ণতা দিবেন আমার অর্ধেকদিন যিনি হবে তিনি, কেননা আমি চাকরী করব না,ওইভাবে পারব ও না তার সহায়তা ছাড়া।সুতরাং ভবিষ্যৎ-এ উনাকেই আমার এই শখ কে বাস্তবতায় পরিনত করার জন্য হিম্মত রাখা চাই ইংশাআল্লহ।"এতিম-মিসকিন ভালোবাসাগুলোর"জন্য স্পেশালি কিছু করার(রব্বুল আলামিন কবুল করুন এবং সে ব্যবস্থা করে দিন,আমীন)
💦খারাপ অভ্যাস:তিন বেলা খাওয়া(সাধারন ভাত-তরকারী,কোন ফাস্টফুড নয়)+ঘুম+আমল।(আল্লাহর সাথে কথা বলা এবং তাঁর কথা শোনা)
এই তিন বিষয় মূখ্য জীবনের জন্য না হলেই নয়।তিন বিষয় ঠিক তো সব ঠিক।উক্ত তিন বিষয়ের কোন একটিতে সমস্যা হলে অস্বাভাবিক হয়ে যাই(মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়)।খাওয়াটা একারনে যে,পরিমিত খাবার না খেলে অসুস্থ হয়ে যাই,হাত-পা কাপাকাপি করে,মাথা ঘুরাবে,বমি আসবে খুবই খারাপ অবস্থা।শারীরিকভাবে কাজকর্ম করার জন্য অক্ষম হয়ে পড়ি,করলেও তা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে নয়,খুবই কষ্টে জোরপূর্বক করতে হয়।আর পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও ঘুমের ঘাটতির জন্য অসুস্থ বোধহয়।ব্রেইন শান্ত/স্থির থাকে না,চোখসহ মাথা ব্যথা করে প্রচুর।খুবই খারাপ লাগে ফলে স্বাভাবিক কাজকর্ম করার পর্যাপ্ত এনার্জি থাকে না।কাজ,আমল কিছু করতে ইচ্ছে হয়না।ক্লান্তিতে ন্যুব্জ হয়ে পড়ি।ঘুমিয়ে নিলে আবার ভালো লাগে যা করি না কেন তাতে খুশুখুজু পাই। সবকিছু করতে ইচ্ছে হয়।একাই সবকিছু ডিল করতে পারি কারো সাহায্যের প্রয়োজন হয়না।“শরীর ঠিক রাখতে হয় দুনিয়াদারি ঠিকঠাক করার জন্য,আর রুহ টা ঠিক রাখতে হয় হালাল-হারাম বেছে চলা,ঠিক-বেঠিক পরখ করে চলার জন্য।"
“রুহ অর্থাৎ মন"ঠিক পাশাপাশি শরীর ঠিক ইহকাল-পরকালের সবকিছুই যথাযথভাবে সম্পাদন হয়।এর কোন-টি অসুস্থ হয়ে গেলে দুনিয়া-আখিরাত সবকিছুতে সমস্যা হয়। দিন অথবা রাতের নির্দিষ্ট একটা সময় চাই(একান্ত একা)যেখানে কোন মানুষের সঙ্গ থাকবে না,নিজের মত করে কিছু সময় কাটানো যাবে।(এই পরিবেশ না পেলেও সমস্যা)।ক্বলবের প্রশান্তি সবার আগে পরে বাকি সব।ক্বলবের প্রশান্তি পাওয়ার জন্য যা করতে হয় তা-ই করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠি।কেউ বাঁধা হয়ে দাড়ালে তাকে মনে হয় চরম শত্রু।
যার ধ্যানে-জ্ঞানে সবটা জুড়ে শুধুই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির খেয়াল বদ্ধমূল এবং যার সর্বোপ্রধান চাওয়া পরকালের শান্তি সেই ব্যক্তির জন্য আমি নিয়ামত এর ব্যতিক্রম হলে তার অশান্তির কারন হতে পারি।আমার অতিরিক্ত খোতাভীতি তার অস্বস্তির কারন হতে পারে এবং সে আমার অনুরূপ মেন্টালিটির হলে তবে প্রতিটি কর্মই তার দ্বীলের সূকুন বৃদ্ধি করবে বলে আশা করি ইংশাআল্লহ।
❝তাকওয়া এবং উত্তম আখলাক সর্বাধিক প্রায়োরিটির জায়গা আমার।❞
★আমি প্রকৃতার্থেই তাকওয়াবান।এমন তাকওয়াবান যে,সবার আগে আল্লাহর সন্তুষ্টির কথা ভাবি।না ভাবলেও আমার এই অন্তর আর মাথার মধ্যে ভাবনাটা চলে আসবে-ই।এমন তাকওয়া আল্লাহ অন্তরে দিয়েছেন যে,পথ দিয়ে হেঁটে গেলে যতজন ভিক্ষুক,অসহায় চোখে পড়বে সবাইকে দেয়ার জন্য মনটা ব্যকুল হয়ে উঠবে,যা আছে তা থেকেই আল্লাহর জন্য।তৎক্ষনাৎ মাথায় ভেসে ওঠে আল্লাহ তায়ালা যদি আমাকে এই হালতে রাখতেন আমার কেমন লাগতো,আমাকে তো হাজারগুন ভালো রেখেছেন,যে রব্ব আমায় এত ভালো রেখেছেন তাকে কি আমি একটু খুশি-ও করবো না?সবটা বুঝতেছি আমার যা আছে তা থেকেই একটু দিলেই আমার রব্ব হয়তো আমার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন।আমার প্রতি দয়া করবেন,কে জানে এই উছিলায় আমার বা আমার পরিবারের উপর আপতিত বড় কোন বালা বা বিপদ তিনি কাটিয়ে দিবেন।দুনিয়াতেও আমার আপদ কাটিয়ে আমাকে উপকৃত করবেন আবার আমার উপর খুশিও হবেন লাভে লাভ।সুবাহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি।আমি কি আমার রবের কৃতজ্ঞ বান্দা হবো না?
আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তো বলেছেন'ই যা আছে তা থেকেই আল্লাহর জন্য ব্যয় করতে।আর ইহা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার সন্তুষ্টি অর্জনের সূবর্ণ সুযোগ।এ এমনি একজন রব্ব যার জন্য একচুল করতে চাইলে বা করলে তিনি এক সমুদ্র পরিমাণ দিয়ে দিতে পারেন যদি খুশিই হৌন আমার উপর।এরূপ নানাভাবনা এসে হানা দেয় অন্তরে।
★আবার দেয়ার মত সামর্থ্য থাকা সত্বেও কারো চাপে না দিতে পারলে তখন দুনিয়ার সব অস্থিরতা এসে ভর করে আমার অন্তরে,হায়!আমি দিতে পারলাম না আমার রব্ব আমার উপর অসন্তুষ্ট হয়ে গেলো নাতো💔এই যে এক পাথর চাপা মানসিক অস্থিরতা এতে আমার সমস্ত দিনের মন-মানসিকতা নষ্ট হয়ে যায়।যে আল্লাহর সৃষ্টিকে দয়া করে না সে দয়া পায় না।আমার আর কিছু ভালো লাগবে না।সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ভালো কাজ না করতে পারার কারনে অন্তর ফেটে যায়।মন আর ভালো থাকে না।ঠিক এমতাবস্থায় যদি একান্তই আল্লাহর সাথে সময় দেয়া যায়,কান্নাকাটি করে মন হালকা করা যায় তবে স্বাভাবিক হতে পারি।আর আল্লাহর সাথে তৎক্ষনাৎ সময় দিতে না পারলে মন মেজাজ আর ভালো থাকেনা তার উপর যদি নাফরমানিমূলক কিছু ঘটে যায় তখন আর সবর করে নিতে পারি না।মন-মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।আমার মন ভালো না তো কিছুই ভালো না।আর যদি সামর্থ্য না থাকে তাহলে তো সেটা আলাদা কথা মনে মনে আল্লাহর কাছে নিজের অক্ষমতা তুলে ধরে মাফ চাই এবং আমি দিতে না পারলেও অন্য উপায়ে আল্লাহ যেন তাদের আরো বেশি কিছুর ব্যবস্থা করে দেন সেই দুআ করি।তবে ভালো কাজের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আফসোসের কষ্টে কলিজা দুমড়ে মুচড়ে ওঠে।আল্লাহর জন্য একটু করলেও এক আকাশ প্রশান্তি লাভ করি-আর একটু না করতে পারার দহনে অন্তর ফাটে।
আবার,সংগত কারনে কেনাকাটা করতে গেলে বিক্রয়কর্তা বেশি লাভ করলে অন্তরে ব্যথা অনুভব করি,ঠিক না সেটা কেন করলো এই কারনে তারপ্রতি ঘৃণা আসে। আবার বিক্রয়কর্তা যেন আমার দ্বারা কোনভাবেই লসের স্বীকার না হোন সেদিকেও খুব সতর্ক।আমাকে ঠকালে কলিজা দুমড়ে মুচড়ে যায়, আমি ঠকানো কল্পনাতেও আনতে পারিনা।এত সচেতন।যদিও অন্যন্য উপায় হলে নিজে ঠকতে রাজি তবে আমার দ্বারা যেন কারো ঠকানোর 'ঠ'ও না হয়।
★এমন তাকওয়া যে ঘরের সবকাজ সেরে কেবল বিছনায় শুতে আসছি এই মুহূর্তে চোখে পড়ল ওয়াশরুমের লাইট জ্বলতেছে, আল্লাহ নারাজ হবেন,এটা ঠিক না।
সবাই বলে কিছু হবে না,এখন অফ করা লাগবে না।(আরো লাইটগুলো অফ করে রাখার জন্য গালি খাই)আমি আর ঠিক থাকতে পারি না।আমাদের নিজেদের হলে যেমন ঠিক অন্যের টাও তেমন এই চোখে দেখতে হবে।তা-ই আবার শত অলসতা,ক্লান্তি সত্বেও আবার উঠে লাইট অফ করে দিয়ে আসি।আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করি।তা না হলে অশান্তি কাজ করে মনের মধ্যে।ছটফটাতে থাকে অন্তর।(ব্যাপারটা এমন যে যারা ৫ ওয়াক্ত নামাজি তাদের নামাজ ৫ওয়াক্ত ঠিকঠাক মতো না হলে কেমন লাগে?অস্থিরতায় ছটফটায় কি অন্তর?নামাজ না পরা অব্দি শান্তি নাই ঠিক তাই-না?ঠিক তেমন।
❝এরূপ অনুচিৎ সবক্ষেত্রেই আমার অন্তর ওইরকম ছটফটায়।❞
★সবকিছুর ক্ষেত্রে হিসেবি।এমন যে একটা ভাত ও যেন অপচয় না হয়,আবার আল্লাহর জন্য এক পাতিল দিতেও উদগ্রীব।পাক্কা মিতব্যয়ী।যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুতেই সীমাবদ্ধ।মনে করেন সাধারণ ভাতেই যথেষ্ট হয়ে যায় তাহলে অতিরিক্ত বিলাসিতার বশবর্তী হয়ে বিরিয়ানি খাবো কেন?বিরিয়ানি না খেয়ে সে টাকা বাঁচিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি ক্রয় করা যায়।সেই টাকা এভাবে আরো অনেক অপ্রোয়জনীয় খরচ বাচিয়ে তা দিয়ে কারো প্রয়োজন পুরণ করে দেয়া,কাউকে হাদিয়া দেয়া,অসহায় আত্মীয়স্বজন,ইয়াতিমদের অন্তর খুশি করার ক্ষেত্রে ব্যয় করা।আর এসব তো পরকালে পাবো।মাটির উপরে বসে যত দেয়া যাবে মাটির নিচে গেলে সব পাওয়া হবে আর আল্লাহ যার জন্য চান তাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেন।কিছুই তো বৃথা যাবে না।
❝আল্লাহ সর্বোসত্য,আল্লাহর রাসূল সত্য।রাসূলের সত্যায়ণ করেছেন স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা। তাহলে আল্লাহ আর আল্লাহর রাসূল যদি সত্যই হয়ে থাকেন তবে তাদের বলা প্রত্যেকটা কথা বা বাণী সবচেয়ে বড় সত্য।পরকাল সত্য,পরকালের প্রত্যেকটা ধাপ সত্য।আর পরকালের প্রত্যেকটা আজাব হবে রুহ তথা মনের উপর।মৃত্যু সত্য।মৃত্যুর যন্ত্রণা সত্য,রুহের কষ্টের স্বরূপ
দয়াময় রব্ব তার স্বাদ সামান্য পরিমানে আস্বাদন করিয়ে পাক্কা বুঝিয়ে দিয়েছেন।❞
তাই রুহের কষ্ট,পরকালীন জীবনের বাস্তবতা নিয়ে আমি খুবই সিরিয়াস।সিরিয়াস হবোই না কেন এসব তো মহা সত্য। আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল কত কঠোরভাবে হুশিয়ার করেছেন দুনিয়ার জীবন সম্পর্কে তার বিপরীতে পরকালীন জীবনের জন্য করেছেন সতর্ক।দুনিয়া যদি পারমানেন্ট হতো তাহলে তো কোন কথাই ছিলো না।দুনিয়া যেহেতু অস্থায়ী এবং পরকাল চিরস্থায়ী ও অনন্তকালের সেক্ষেত্রে পরকালকে পাশকাটিয়ে চলার উপয়ান্তর নেই।প্রয়োজনবোধে দুনিয়াকে পাশ কাটিয়ে চলতে হবে।দুনিয়াকে যেভাবে,যেমন করলে পরকাল ঠিক রাখা যাবে তা-ই করতে হবে।পরকাল যেন ছুটে না যায়।
★কৃপণ নই আবার অতিরিক্ত খরচ কোনকিছুর ক্ষেত্রে সহ্য করতে পারিনা।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার মতে হাত টা একদম প্রসারিত ও করা যাবে না আর একদম সংকুচিত ও না।মধ্যবর্তী অবস্থানে।ঠিক তেমনই।
সংকীর্ণ তথা দুনিয়ার বাহ্যদৃষ্টিতে যে-কেউ বলবে কৃপণ টাইপের আর প্রসারিত তথা অভ্যন্তরীণ দৃষ্টি ও তাকওয়ার দৃষ্টিতে বুঝমানদের হৃদয় শীতল হয়ে যাবে।মন্তব্য করার মতো কোন স্পেস থাকবে না।
(কোথাও ঘন্টাখনেকের জন্য বের হলেও বাসা থেকে পটে করে পানি নিয়ে যাই,ব্যাগ টানি প্রয়োজন হলে খাই নয়তো বাসায় আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসি তবে সচেতনতার দরুন পানি ঠিকই নিয়ে যাই যদি লাগে? টাকা দিয়ে কিনবো না অথচ ৫টা বোতল কেনার মতোও সামর্থ্য রয়েছে,কিন্তু ৫ টার জায়গায় একটা বোতল ও না কিনে সেখানে যদি ৫ টার টাকা থেকে একটা বোতল কিংবা একটি বোতল কিনার খরচ অর্ধেকও বাচিয়ে আল্লাহর কোন সন্তুষ্টি অর্জনের পথে ব্যয় করতে পারি তাতে ভীষন প্রশান্তি লাভ করি বা এটা অন্য আরেকটা প্রয়োজনে খরচ করব এরূপ মেন্টালিটি।(পানি না খেয়েও থাকলাম না,শুধু একটু কষ্ট করে সময় নিয়ে পটে পানিটা ভর্তি করা আর ব্যাগ বহন করার সামান্য কষ্ট ওদিকে এই সামান্য কষ্টের উছিলায় রবের সন্তুষ্টি অর্জন)পরকালের কষ্টগুলোর বিনিময়ে এসব কষ্ট কোন কষ্টই না।
📌❝এমন কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রে।❞
(আল্লাহ তায়া’লার পরিকল্পনা হয়তো-নয়তো বুঝতাম না তেমন।বুঝলেও নিজের মতো করে বাস্তবতায় শতভাগ উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হতাম তাই বোধ হয় রব্বুল আলামীন বাস্তবতায় তেমন পরিস্থিতিতে কিছু সময়ের জন্য ফেলে উপলব্ধি বোধটা সজাগ করে দেন,যেন পুরোপুরি না হলেও আংশিক বুঝতে পারি অন্যদের অবস্থান। বছরের অধিকাংশ সময় ভালো অবস্থানে রাখেন ৮-৯ মাস ভালোই টাইলসের মধ্যে আর্থিকভাবে সর্বোচ্চ স্বচ্ছলতার মধ্যে রাখেন আবার কিছু সময় যাযাবর অবস্থাতেও রাখেন।তবে উভয় অবস্থানেই অভিযোজন করে থাকার তাওফিক দেন।এমদম অহংকারীও হই না, হই সর্বোচ্চ লেভেলের বিনয়ী।পক্ষান্তরে যাযাবর অবস্থায় একদম গাইরতহীনভাবেও থাকি না।উভয় অবস্থানেই পরিমিতভাবে থাকতে পারি।আল্লাহ যেমন বলেছেন তেমন হিসেব করে চললে যেকোন অবস্থাতেই মানিয়ে থাকা যায়। এর ব্যক্তিক্রম হলে সমস্যার সৃষ্টি হয়।আর হবেই।আল্লাহ -আল্লাহর রাসূলের কথার বাইরে গেলেই সব সমস্যা।
মানে প্রকৃত উত্তম আখলাকের সবটা,সর্বদিক হতেই।আর এটা আমার জন্য সহজ হয়েছ কেবল একটা কারনে।তা হলো খোদাভীতি।
📌❝আমার মত সেইম বা আরো বেশি খোদা ভীতিতে এগিয়ে থাকা ব্যক্তির জন্য আমি উপযুক্ত। তা না হলে কোনভাবেই আমি মানিয়ে নিতে পারবো না।❞
★সবাই মেহমান তথা পরিচিত আত্মীয় বা অন্যদেরকে আত্মীয়তার খাতিরে উপরে উপরে ভালো ব্যবহার করে,সামাজিকতার চাপে পড়ে আপ্পায়ন করায়,মেহমানদারিও করে ধুমধাম অথচ মনের মধ্যে পুষে রাখে বিদ্বেষ,অসন্তুষ্ট হয়ে করে আর কি,অনিচ্ছাকৃত ভাবে।
আর অপরিচিতদের তো একপ্রকারে উপেক্ষাই করে চলে।
অন্যদিকে আমি পারিনা না এসব।আল্লাহর জন্য প্রত্যকটা মানুষ হৌক আত্মীয় কিংবা অনাত্মীয় সবাইকেই তাকওয়ার চোখ দিয়ে দেখি।ধুমধাম করে নাম কুড়ানোর উদ্দেশ্যে বাজেট শেষ করতে চাই না আবার তাদের কোন দিকে ঘাটতিও রাখিনা।যা আছে মানে সামর্থ্যের সর্বটা দিয়ে আল্লাহর জন্য একদম নিখাঁদ ভালোবাসা,ভালো আচারন করি।যথাযথ কদর করি।সবকিছু শুধু ওই রবের জন্য। নয়-কে ছয় করি,ছয়-কে নয় করে চলি তবুও কাউকে ধরা দেইনা।(নিজের ভাগের টা)
কিন্তু কোনভাবেই আল্লাহর থেকে দূরে থাকতে পারবো না।নিজের বেলায় যেমন অন্যের বেলাতেও তেমন।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার প্রিয় ততক্ষণ অব্দি হওয়া যাবে না।যতক্ষণ না নিজের জন্য যা পছন্দ করবো অন্যের জন্যেও ঠিক তা-ই। নিজের জন্য যা কষ্টের,অন্যের জন্যেও তো তা-ই।
★কেউ আমার কাছে সাহায্যের জন্য আসছে আমি সাহায্য করলে আমার রুহ টা প্রফুল্ল হয়।অনেক ভালোলাগে সবকিছু তে মন ফুরফুরা লাগে ফলে সবকিছু করতে ইচ্ছে করে মনের আনন্দে।আবার সাহায্য না করতে পারলে আমি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে যাই।সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার দহনে আমার আর কিচ্ছু ভালো লাগে না।কোন সাংসারিক কাজকামে মন বসবে না।ইচ্ছেশক্তি হারিয়ে ফেলি।অসহ্য লাগে সবকিছু।সৎকর্ম আর তাকওয়া ছাড়া আমার রূহ কিচ্ছু বোঝে না।রূহ খাবার পেলে মন ঠিক তো সব ঠিক।এতে সমস্যা হলেই বা কেউ বাঁধা দিলেই আমি সেখানে কোনভাবেই টিকতে পারিনা।
বাহ্যিকতায় আমায় যেমনই দেখাক কিন্তু আমার অন্তর টা সদা জাগ্রত।পাক-সাফ।
এতে আমার বিন্দু মাত্র ক্রেডিট নেই পুরোটাই ওই আসমানের মালিক কী যে ভালোবেসে দিয়েছেন আমি নিজেও জানি না।আল্লাহু আকবার।আমার অন্তর টা যেমন ঠিক তেমন এখনো বাস্তবতায় হতে পারছিনা পুরোপুরি নানা প্রতিবন্ধকতার কারনে।তবে ভেতরটা নূর দিয়ে পরিপূর্ণ।আমাকে আমার মতো করে থাকতে দিলেই এর যথাযথ বাস্তবায়ন সম্ভব ইংশাআল্লাহ।যতই শুকরিয়া আদায় করি না কেন ততই কম হয়ে যাবে।আল্লাহু আকবার।
📌❝আল্লাহকে ভালোবাসি,ভয় করি।রূহের অস্থিরতায় দম বন্ধ হয়ে যায় ভয় পাই ভীষন ভয়।❞
💠মিজানুর রহমান আজহারি বা আবু ত্বোহা আদনানকে সবাই ভালোবাসে,ঠিক একারনে যে তারা প্রত্যেকটা সত্য অন্বেষণ কারীর একদম ঠিক মনের মতো সত্য কথাগুলো বলেন।তাদের বলা কথার সাথে মনগতভাবে একমত পোষণ করেন যে, তারা তো আসলেই ঠিক বলছে।যাদের রুহটা কিছুটা হলেও সক্রিয় তারা বুঝে যায় কথারগুলোর মর্ম এবং কথাগুলো যে সত্য তা অকপটে বিশ্বাস করে নেয়।(আলো আর অন্ধকারের বুঝ যে বুঝে গেছে,তাকে আলোর কথা বলা হলে সে বিশ্বাস করবে যে এটা আলোর কথাই বা ইঙ্গিত করলেও সে বুঝতে পারবে এটা তো আলোরই ইঙ্গিত।তারা তো আলোর কথাই বলছে,মানুক বা না মানুক আলোর কথাই বলতেছে যে তা বুঝতে পারে।ফলে তাদের সাথে একাত্ম হয়।মানে মনের দিক থেকে মিলে আর যাইহোক।এখন যাদের অন্তরের সাথে অন্তরের মিল হয় তারাই তো মিলে যায়।প্রত্যেকটা অন্তর বা রুহ প্রকৃতিগতভাবেই সত্য গ্রহণে সদা প্রস্তুত।কিন্তু আমরা সত্য টা গ্রহন করার মতো সময় পাইনা,পাপাচার আর নাফরমানি এবং শয়তান দুনিয়াদারি দিয়ে এমন ভাবে ব্যস্ততা দিয়ে ঘিরে রাখে যে আমরা জানা বা বোঝা বা ভাবার সময়টুক পর্যন্ত পাই না।আর সময় না দিলে,না জানলে, না ভাবলে, না বুঝলে আমরা সত্য চিনবো কিভাবে।না চেনা অব্দি তো গ্রহন করতে পারবো না।টুকটাক যাও শুনি তা নিয়ে ভাবি না(ভাবার সময় নাই এমন করে ব্যস্ত একটার পর একটা ব্যস্ততা,এই ব্যস্ততা মনের)মনের ব্যস্ততার জন্য মন ধীরস্থির,পর্যাপ্ত অবসর সময় পায়না আর ভাবেও না।না ভাবার কারনে সত্য গ্রহনে পিছিয়ে কিছুটা।সত্য বাণীর গভীরতা আচঁ করতে পারেনা।আর এই সত্যর গভীরতা আচঁ না করা অব্দি প্রকৃত ভাবে সত্য গ্রহন, পাকাপোক্ত করে সত্যকে আঁকড়ে ধরা, দুনিয়া লয় হয়ে গেলেও সত্য যেহেতু পাওয়া হয়েছে এটাকে শক্ত করে ধরেই থাকা এসব হয় না।
আমরা সত্য শুনি ঠিকই,তা নিয়ে বিস্তর ভাবি না,বুঝিও না।আর না বোঝার কারনে সত্যের পথে অনড় হয়ে থাকতে পারিনা।“কোনমতে জানি,কথার কথা বহু শোনা হয়েছে,নীতি বাক্য হিসেবে শুনেছি "ঠিকই তবে না বোঝার হেতু সামান্য বাতাসেই সত্য ছেড়ে দেই।মনে করি কথার কথা,বাস্তবতার সাথে মানিয়ে চলতে গিয়ে কঠিন মনে হয় অথবা হলেই তা ছেড়ে দেই।এ মানা সম্ভব নয়।সত্য মানার কোন তাড়া কাজ করে না আমাদের মধ্যে।
সত্যকে সিরিয়াসলি নেয়া,সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঝড়ো বাতাস থেকে বড় বড় শক্তিশালী ঝড়গুলোর মধ্যেও সটান হয়ে দাড়িয়ে থাকা এসব কিছুই সম্ভব হয়না আর আমাদের দ্বারা।
কেন???
ওই যে সত্য সম্পর্কে পরিপূর্ণ না জানা আর জানলেও না বোঝা।যদি বোঝার মতো কেউ বোঝে তবে সে ঝড়ো বাতাসে ছিন্ন-ভীন্ন হয়ে যাবে তবুও যে সামান্যটুকু অবশিষ্ট আছে তা দিয়ে হলেও যেকোন উপায়ে তা আঁকড়ে ধরে থাকবে। থাকতে চাইবেই।
➖এখন মিজানুর রহমান আর আবু ত্বোহা আদনানকে সবাই ভালোবাসে তাদের কথার গভীরতার কারনে।যার মন বাস্তবেই গভীর ভাবে বোঝে তার মন তাদের কথাগুলো ঠিক ততোখানিই গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করে।
তাদের বলা কথাসমূহ শোনা বর্জন,তাদের কথা বলা বন্ধ করার জন্য কোন অপপ্রয়াস তো করেই না উল্টো তাঁদেরকে বসায় অন্তরের মনিকোঠায়। আর এ মনের থেকেই তাদেরকে ভালো বাসে তাদের ভক্ত হয়ে যায়। তাদের ছুঁড়ে ফেলবে কি?তাদের কথা শোনার জন্য অস্থির আর ব্যকুল হয়।কারন এরা তো আসলেই সত্যকথাগুলোই বলতেছে যেমন টা আসলে আমাদের "মন বা আত্মা চায়" মন থেকে চাচ্ছে তথা আত্মার মতো করেই একদম সবকিছু মিলে যাচ্ছে।আর আত্মা এতে শান্তি পাচ্ছে।
➖এদের প্রতি সত্যগ্রহনকারীদের ভালোবাসা তাদের চেহারা সূরত বা বাহ্যিক কোন কারনেই কিন্তু না।শুধু মনের সাথে মনের মিল হওয়ার জন্য।(তাদের বাহ্যিক চেহারা,সূরত,অবস্থান যেমন হোক তা নিয়ে সত্যগ্রহণকারিরা একটুও ভাবে না,তাদের নিয়ে ভাবা,তাদের কথা শোনা,তাদের কথামতো চলা বা চলতে চাওয়ার কারন একটাই তারা(তারা মানে দ্বীনের দায়ী বা সত্যপ্রচারকারী)
কে ভালোবাসার একমাত্র কারন তার সত্য। আর এটা মন ভালোবাসে।মন ভালোবাসতে বাধ্য।কেননা সত্য তো মনের চাহিদা মতোই। প্রতিটি রুহ সত্য চায়।চায় শান্তি।
কিন্তু মনের চাওয়া-পাওয়ার কথা একটুও ভাবি না আমরা। দুনিয়ার বাহ্যবিষয়গুলে নিয়ে এতই মন কে চাপ আর ব্যস্ততার মধ্যে রাখি তার চাহিদা,চাওয়া-পাওয়ার কথা একটুও ভাবি।সময় কোথায়? একদিকে বাহিরের সঙ্গ দ্বারা প্রভাবিত হই,ঘরের লোক, পরিবারের লোকদের দুনিয়াবী চাহিদা তা নিয়ে ব্যস্ত থাকা আবার মনেরও অবসর নেই শয়তান মনকে দুনিয়াবী চিন্তা-ফিকির দিয়ে এমনভাবে একটার পর একটা সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখে মানে কোন স্পেস এই দেয় না।
আর স্পেস বা অবসর সময়ের অভাবে আমরা মনকে কোনঠাসা করে রাখি।
মনের সুস্থতা,মনের কথা শোনা এবং সেভাবে চলার সুযোগ আর হয়ে ওঠে না।মন আমার কি চায়?কি করতে সায় দেয়-কোনটা করতে বলে,কোনটা করলে প্রফুল্ল হয়-কোনটা করলে অস্বস্তি পায় ইত্যাদি বিষয়গুলো কে ইনগোর করে চলি।
ফলশ্রুতিতে বুঝি না।আর না বোঝা এবং বুঝমতো না চলার কারনে আমাদের সব সমস্যা। মনের কথা না শুনে,তাকে অগ্রাহ্য করতে করতে এবং মনের বিরুদ্ধ সব কাজ করতে করতে মন মরে যায়। মনের যে আলোটুক ছিলো তা নিভে গিয়ে শয়তানি সবকিছু মনে জায়গা দিতে দিতে পরবর্তীতে মন চলে যায় শয়তানের অধীনে এবং শয়তান আমাদের কে নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে।(যে আলোর মাধ্যমে আমি চলব সে আলোকে তো নিভিয়ে দিয়েছি,আলোর পরিমান বাড়ানোর জন্য কোন প্রচেষ্টা তথা যথাযথ পরিচর্যা তো করিইনি উল্টো যাও ছিল তাও নিভেয়ে দিয়েছি।এখন তো সবকিছু অন্ধকার।
অন্ধকার যেসকল কিছুতে বাড়ে তাই করছি বেশি হারে ফলে অন্ধকার আরো ঘনঘোর হয়ে সবকিছুতে ছেয়ে গেছে।অন্তর টা অন্ধকারের ঘনঘটায় নিমজ্জিত ফলে অন্তর আর ভালো-মন্দ /সত্য-মিথ্যা/উচিৎ -অনুচিত কে আমাদের সামনে উপস্থাপন করাতে পারছেনা।(সে কিন্তু খুব করে চায় কিন্তু অন্ধকারের চাপে তাকে আমরা দাবিয়ে রেখেছি।)
এবার আসি মূল কথায়,বুঝ হলো হেদায়েত আর হেদায়েত এই আলো।(মূলত একটা জিনিসের তিনটা নাম। নাম তিনটা হলেও মূল জিনিস কিন্তু আসলে একটাই।“হেদায়েত" মানেই “বুঝ"আর “বুঝ” মানেই হলো "আলো"। অবশ্যই সত্য বুঝ মিন করা হয়েছে যা আসে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার পক্ষ হতে)
আবার, মন বা অন্তর বা দ্বীল অথবা আত্মাই হলো ❝রুহ❞।(মূলত জিনিস একটা "রুহ" তাকে ভীন্ন ভীন্ন নাম দেয়ায় আমরা ভাবি ভিন্ন কিছু।মন একটা আর রুহ বোধহয় অন্যকিছু)জেনারেলরা এসব বোঝেনা।জেনারেল শিক্ষিতরা মন চেনে রুহ চেনে না।আর এই না চেনার কারন না জানা এবং না বোঝা।আর এভাবে খুঁটে খুটে কেউ বোঝায় ও না।
⛔ ❝রুহ❞ হচ্ছে আল্লাহর তরফ হতে আসা আদেশ।তাই আমাদের রুহের কথা শুনতে হবে,বুঝতে হবে।সে কি চায়,কিসে কষ্ট পায় তাকে সবার আগে প্রায়োরিটি দিতে হবে।কেননা সে অবুঝ,অসত্য নয়।সে স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার পক্ষ হতে আসা আদেশ।
➡️আমি আমার রুহকে সবার আগে প্রায়োরিটি দিয়ে চলি।চলতে চায়ি চাই। আমার রুহ আল্লাহর কাছ হতে এসেছে সেখানেই যেতে চায় আল্লাহর কথাতেই শান্তি পায়।শান্তি আল্লাহর পক্ষ হতেই আসে।
আর রুহ তো সত্য।রুহ তো আল্লাহর কাছ হতে এসেছে তার কাছেই ফীরে যেতে চায়।(রুহের স্বরুপ বুঝতে পেরেছি)
আল্লাহর আদেশ পালনের দ্বারাই সে প্রশান্ত হয়।স্বস্তিতে থাকে।তার বিপরীত হলে সে যন্ত্রণায় কাতরায়,অস্তির হয়ে ছঠফটায়।
আর কিছু না জানলেও বা না বুঝলেও রুহের থেকে এতটুকু সিগন্যাল পাওয়া হয় যে—এটা ঠিক না।
ঠিক না যেটা-সেটা করলেই রুহ প্রশান্তি হারায়,আর ঠিক গুলো করলে সে প্রশান্তি ভরপুর হয়ে যায়।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাকে রুহ দিয়েছেন এই রুহের ‘মত’ মতো আমি পরিপূর্ণরুপে চলতে চাই।আমার রুহের মত'ই আমার চূড়ান্ত মত।আর আমার রুহ টা আল্লাহ'তেই সমর্পিত।
শুকরিয়া সেই মহাবিশ্বের স্রষ্টা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার নিকট যিনি সত্য এক ইলাহ,যিনি আমাকে সত্য পথের সন্ধান দিয়েছেন এবং সত্য বুঝিয়ে দিয়ে ধন্য করেছেন।যিনি আলো দ্বারা আমাকে করেছেন আলোকিত।সুমহান-সমুচ্চ আমার রব্ব।
দুনিয়ার কারো কথাতেই পরিপূর্ণ প্রশান্তি লাভ হয় না। রুহটা পরিপূর্ণ হয় কেবল একজনের কথা শুনে তার কথাতেই পরিপূর্ণ তৃপ্তি পায়।আল্লাহর কথা বা বাণী ছাড়া কিচ্ছু বোঝেনা।কেননা আল্লাহর কথার মধ্যেই পরিপূর্ণ শান্তি।
আমি দুনিয়ায় স্বাধীন ভাবে আল্লাহ-আল্লাহর রাসূলের মতো চলে রুহকে প্রশান্তিতে রাখতে চাই।দুনিয়াতেও আর আখিরাতেও সর্বোচ্চ স্বস্তি নিয়ে থাকতে চাই।আমি যাতে রুহ কে নিয়ে স্বাধীন ভাবে থাকতে পারি তার জন্য স্বাধীন মতো চলার একটু পরিবেশ চাই।আমাকে কেউ যেন বাঁধা না দেয়।(যার কাছে আমার অবস্থান হবে,এমন চলবো তাতে যা হওয়ার হোক কাউকে পরোয়া করবো না)
আমাকে আমার ফিতরাত মতো থাকতে দিলে তবে আমি ঠিক।ফীতরাতে কেউ হস্তক্ষেপ করলে ঠিক থাকতে পারবো না।এ আমার স্বভাব।আমি রুহ-কে কুলুষিত করলে তো ঠিক-বেঠিক বুঝতে পারবো না।আর বুঝতে না পারলে কাঙ্ক্ষিতভাবে চলতেও পারবো না।রুহে দাগ লাগলে সে ভালো-মন্দ যাচাইয়ের বোধশক্তি হারিয়ে ফেলবে।এটা আমি কক্ষোনো চাই না।তাই সে যাতে ভালো থাকে সে-বিষয়ে একদম কড়াকড়ি সিরিয়াস।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বিশেষ অনুগ্রহ করে আমাকে যে আলো দিয়েছেন আমি তার যথাযথ পরিচর্যা করে,আমার সর্বোচ্চ টা দিয়ে তার কদর করে আলোর দ্বীপ্তি আরো বাড়াতে চাই যেন একদম ক্লিয়ার ভাবে পরখ করে পথ চলতে পারি।পথের কদমে কদমে রয়েছে হাজার হাজার কাঁটা।তাই আলো যত বেশি হবে কাটাগুলো তত বেশি দেখা যাবে।আর কাঁটা দেখতে পেলে তা সরিয়ে বা সাবধানে পথ চলতে পারব ইংশাআল্লাহ।
আলো না থাকলে অন্ধকারে বসে তো কাঁটাই দেখতে পাবো না।পথ চলবো কীরূপে???এ আলো কোন ভাবেই হারাতে চাই না।এ আলো হারালে ঘোর অন্ধকারের অত্বলে নিমজ্জিত হয়ে যাবো।এ আলো সত্যের,এ আলো শান্তির। তাই কোনভাবেই তা নিভতে দেয়া তো যাবেই না বরঞ্চ বৃদ্ধি করার জন্য করনীয় করতে হবে সর্বোচ্চ-টা অত্যাধিক গুরুত্বের সহিত।
➡️বর্তমানে আমার যে অবস্থান তাতে আলোর প্রায় নিভু-নিভু অবস্থা।অবস্থানের পরিবর্তন মারাত্মকভাবে জরুরতে রূপ নিয়েছে।চাইলেও পারছিনা।চারপাশের চাপে,একপ্রকার বাধ্য।রুহের শান্তি যাতে হয় তা করা সম্ভবপর হয়ে উঠছেনা।একরকম বন্দিত্বের শৃঙ্খলে আটকে আছি। আমি চাচ্ছি,এর অভাবে আমার দম বন্ধ প্রায় তবে পারছিনা।(ঘরে অবস্থান,পরিবারের সঙ্গ,পরিবেশ -পারিপার্শ্বিকতার প্রভাবে হাজার চাইলেও পারছিনা)
ছেলে হলে কবে যে আসহাবুল কাহাফের ন্যায় সবকিছু ত্যাগ করে পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে অবস্থান করতাম।কিন্তু মেয়ে হওয়ার সুবাদে কিছুই পারছিনা।সেইফটির জন্য কোথাও যাওয়া যাচ্ছে না।দ্বীন আর তাকওয়া নিয়ে চলতে পারছি না।মাঝে মাঝে দুআ করি আল্লাহর সাথে দূরত্ব হওয়ার যে দহন তা সয়ে মুহূর্ত অতিবাহিত হওয়ার থেকে দুনিয়া থেকে আমাকে রব্বুল আলামীন নিয়ে নিন তার কাছে।আবার ভাবি তাকওয়া নিয়ে চলার জন্যই দুনিয়া।দুনিয়াতেই চলতে হবে।পরকালে তাকওয়া নিয়ে চলার মতো কোন সুযোগ তো নাই।(পরিপূর্ণ তাকওয়া নিয়ে খুব চলতে চাই)।
পরক্ষণেই দুআ পাল্টে বলি আল্লাহ আমাকে দুনিয়াতে চলার মতো সুযোগ করে দিন।আমি খুব করে চাই।আমি আমার মতো করে থাকতে চাই।কেউ আমার কোন কাজে প্রতিবন্ধক হয়ে দাড়াবে....সবাই দাঁড়াক আপত্তি নাই আমি আমার মতো করে চলার যেন একটু সুযোগ পাই।
আমি যাই করিনা কেন আমার একদম কাছের জন যেন কখনোই আমার প্রতিপক্ষ হয়ে না দাড়ায়।যার কাছে আমার অবস্থান হবে সে যাতে অন্তত পক্ষে আমাকে বুঝতে চায়।আমার দ্বারা তার মতের বাহিরে কিছু হয়ে গেলেও যেন সে বোঝে বা বোঝার চেষ্টা করে যে আল্লাহর জন্যই এটা করেছি।তাই তার মতের বিরুদ্ধে হলেও যেন আমার উপর চড়াও না হয়।আমাকে সঠিক না বুঝলেও যেন আমাকে ভুল না বোঝে।
সবাই বুঝুক তবে সে যেন ঠিক বোঝে।(আমার অর্ধেকদ্বীন তথা আল্লাহর পক্ষ হতে আরেকটি বিশেষ অনুগ্রহ হবেন যিনি আল্লাহর পথে আমার সাহায্যকারী)অর্ধেকদ্বীন হতেই এমনটা কামনা করি।
➡️আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল চূড়ান্ত লক্ষ্য তাই দুনিয়াবি প্রত্যেকটা কাজ সে মোতাবেক রুটিন করে নেয়া।আল্লাহর কাছে যেন সহজে হিসাব দিতে পারি।হিসেব তো দিতে পারবো না প্রত্যেকটা কথা,কাজ,সবকিছু সময়ের সাথে বন্টন করে নিলে সময়ের কাজ সময়ে হবে।আর যাইহোক সময়ের অপব্যবহার যেন না হয়।আর কতটুক করি না করি তা তো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা দেখেনই।
একমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারী।তাই আগে আগের কাজ পরে পরের কাজ।
কাজ যে করবো না তা নয়।গুরুত্ব বুঝে সময় ভাগ করে নেওয়া।ঘর-সংসারের প্রত্যেকটা কাজ কখন ঘুমানো,ঘুম থেকে উঠে আগে কোনটা করা,কখন নাস্তা বানানো,কখন সবজি কাটা কখন রান্না,কখন গোসল ইত্যাদি সব ভাগ করে আউয়াল ওয়াক্ত মতো নামাজ ধরা যায়।সব প্রি-প্লান মতো।ছোট থেকে বড় প্রতিটি কাজ প্লান করে সে মোতাবেক সম্পন্ন করা হলে তা ঠিকঠাক হয়।কাজেই আমি আমার মতো করে সব ভাগ করে নিবো আমার সুবিধা মতো।কেউ এতে হস্তক্ষেপ করে কাজে ব্যাঘাত না করুক এটা চাই শতভাগ।প্রাত্যহিক কাজ ছাড়াও অতিরিক্ত কোন কাজ আসলে তাও আমি আমার মতো করে সম্পন্ন করব।কোন পরিস্থিতিকে ভয় পাই না।ফেইস করবো তবে আমার মতো করে কোনটা আগে কোনটা পরে এটা আমার মতো করেই করব।এতে কেউ অধৈর্য্য হয়ে এ নিয়ে সমস্যা পাকানো যাবে না।বুজতে হবে নিশ্চয়ই কোন কারন ছিল তাই এরূপ।আবার ভুল হতে পারে মন বিস্মৃত ও হতে পারে সেক্ষেত্রে চড়াও বা অধৈর্য্য না হয়ে উত্তমরূপে বুঝিয়ে বলা।আমাকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে।যেমন:যে লোক সচরাচর ভুল করে না, তার ভুল হয়েছে। এক্ষেত্রে ভুল দেখেই রাগান্বিত না হওয়া বা পরিবেশ নষ্ট না করে ঠান্ডা মাথায় জানতে চাওয়া এটা কি ইচ্ছেকৃতই ভুল নাকি কোন পরিস্থিতির স্বীকার।কেননা পূর্ব হতেই তো ভালোভাবে জানা আছে এ লোক কোন প্রকৃতির,কতটা বিশ্বস্ত।
⛔বর্তমানে পরিবারে থাকা আমার জন্য জেলখানা। নির্মল পরিবেশে বের হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছি।বন্দিত্বের জীবন কোন জীবন নয়।আগে নিজে বের হয়ে নিজেকে ঠিক করব অতঃপর পরিবারের জন্য। এখন পরিবারে থেকে পরিবারকে তো ঠিক করাই যাচ্ছে না উল্টো তাদের প্রভাবে আমিও ঠিক হতে পারছিনা।যেমন ঠিক আল্লাহ হতে বলেছেন।যে ঠিক আল্লাহর কাছে হবে গ্রহণযোগ্য।ওয়ামা তাওফিকি ইল্লা-বিল্লা।(আল্লাহর করা আদেশগুলো পানলের ক্ষেত্রে সবার অন্তর জুড়িয়ে যায়,তাদেরকে বোঝা,যত্ম,নিঃস্বার্থ ভালোবাসা,কার কি প্রয়োজন তা বোঝা,
আবার নিষেধ গুলো বর্জনের বেলায় সবাই অপছন্দ করে,দুনিয়াদারদের অপ্রিয়,অসহ্যের পাত্রে পরিনত হতে হয়।মন্দ,অভিসাপ,কটাক্ষ, অপমান কটুকথা কিছুই বাকি রাখে না।আমি চাই উঁচু স্তরে উঠতে এরা সবাই মিলে আমাকে এমনভাবে প্রভাবিত করে যে টেনেহিঁচড়ে নিচে না নামানো অব্দি এরা ক্ষান্ত হবে না।মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত করে দেয়।(এরা হলো তারা যাদের মধ্যে দ্বীনের পাক্কা বুঝ নেই,যারা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লাকে প্রকৃতপক্ষে চিনতে পারেনি)
ঠিক তার বিপরীতে প্রকৃত তাকওয়াবানরা আমার সকলকিছু তে মুগ্ধ হয় এবং খুব অনুপ্রাণিত হয়।তবে এমন মানুষদের সংখ্যা খুবই কম।একদম অপ্রতুল।
মা-বাবা, ভাই-বোন আত্মীয় সবাই চায় আগে দুনিয়াদারি ঠিকঠাক করে পরে আখিরাতের ভাবনাটা ভাবি। তাদের মত মতো চলতে পারিনা বিধায়,চলি না যার ফলে ঘরে আর থাকাই যাচ্ছে না।বোঝে তো নাই,বুঝতেও চায় না উল্টো প্রতিবন্ধক হয়ে দাড়ায়।সবকিছুর ক্ষেত্রে। তারা বোঝেনা যে আখিরাত ঠিক করার দ্বারাই দুনিয়াদারি ঠিক হয়।তারা বোঝে শুধু নামাজ,কুরআন পাঠ,তাসবিহ মানে কথিত বিষয়গুলো বোঝে,প্রকৃত বিষয় বোঝেনা, বুঝতেও চায় না,জানতেও না।শুনতেও না।সোজা কথা আমাকে আমার মতো করে সর্বদিক থেকে চলতে দেয় না।আমাকে অধীন করতে চায়।কিন্তু আমি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ব্যতীত আর কারো অধীন হওয়ার নই।
অধীন হলে একমাত্র তার জন্যই আর স্বাধীন হলে তাও তার জন্য।আল্লাহ কীসে খুশি হবেন।আল্লাহর দ্বীন সমুন্নত করার জন্য মরিয়া।আল্লাহর দ্বীনের মধ্যে যে ভেজাল তা যেন কেউ না বলতে পারে।আল্লাহর দ্বীন তো দ্বীন।এটাই সর্বাধিক নির্ভেজাল, নিরাপদ এটাই সত্য এটাই যেন বুঝতে পারে এবং অনুভব করে প্রকৃতপক্ষেই দ্বীনে ফীরে আসে।আমি রুহের স্বস্থি চাই আমারো আর অন্য সবার।তাই তেমন দূরদর্শী কর্ম সাধনে তৎপর।ইংশাআল্লাহ।
➡️বিয়ে করবো রুহের শান্তি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য বিয়ে করলে তাকেই করা যে আমাকে আল্লাহর প্রিয় হতে সর্বোচ্চ সাপোর্ট দিবে।কোনভাবেই প্রতিপক্ষ হবে না।স্বামী আমার অর্ধেক ওনার মধ্যে সমস্যা বা ভেজাল থাকলে উনি আমাকে পরতে পরতে ভুল বুঝবেন আর সে ভুল ভাঙ্গাতে ভাঙ্গাতেই আমি ক্লান্ত হয়ে পরব,আমার বৃহৎ লক্ষ্যঅর্জনের পথে আগাবো কী করে?বাঁধা পেতে পেতে অসহ্য হয়ে যদি দ্বিন ছিটকে পড়ি।আমি শেষ।সবাই যেমন হৌক আমি তাদের আল্লাহর জন্য ডিল করতে প্রস্তুত তবে তার আগে আমাকে ঠিক থাকতে হবে তো।আমি ঠিক হলে আমার নিজের জন্যও ভালো অন্য সবার জন্য ভালো।আমার সমস্যা হলে আমিও ঠিক নেই আর কারো জন্য কিছু করতেও পারবো না।।আর তেমন না পাওয়া অব্দি সবর ইংশাআল্লাহ। তবুও দ্বীনহীন সঙ্গী নির্বাচন করা তার সাথে অবস্থান করার মতো আতঙ্ক নিয়ে জীবন পার করতে চাই না।আমার উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি সে তা না বুঝলে ঠিক তার উল্টো করবে।পরবর্তীতে কাকে রাখবো আমি এ জটিলতায় পরতে হবে।মন থেকে চাইবো আল্লাহ কে প্রাধান্য দিয়ে চলতে ওদিকে স্বামীর মত মতো না চললে তখন আরেক বিপত্তি।আল্লাহর সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দিয়ে চললে মন ঠিক আর না করলেই মন অস্থির। এমন ছোট ছোট ইস্যুকে কেন্দ্র করে পরে বড় সমস্যা।এই ফীতনাকে ভয় পাই।তাই বিয়ে না করে থাকতে রাজি তবুও প্রকৃত তাকওয়া নেই যার মধ্যে তাকে গ্রহন করতে রাজি নই কোনমতেই নই।যখন-যতদিন- যত বছর লাগুক তবুও সবর তাও ভালো আতঙ্কিত হয়ে থাকার চেয়ে।(৭-৮ বছর ধরে চলছে সবর)।
কিন্তু ইদানীং বাসার চাপে আর সবর করে থাকার উপায় নেই। হয় চাকরী নয় বিয়ে।বিয়ে বলতে তাদের মত মতো কথিত দ্বীনদার।কিন্তু আমি তাদের দেয়া দু অপশনের একটাও মানতে পারবো না।অসম্ভব। তাই উপায়হীন হয়ে এই বায়ো লিখা।তাকওয়াবান জীবনসঙ্গি খুজে পাওয়ার সর্বশেষ প্রচেষ্টা।(দেয়ার মালিক আল্লাহ)সবর করব সে সবর করার মতো জায়গা টাই এখান নাই।সর্বশেষ প্রচেষ্টা যেহেতু তাই আমার সবটা দিয়ে এখানে লিখা।
আমি কেমন প্রকৃতির পই পই করে না-বুঝলে পরবর্তীতে মেনে নিতে অসুবিধা হবে তাই আগেই বুঝিয়ে দেয়া আসলেই মানসিক শান্তি,স্বাধীনতাকামী (আল্লাহর সন্তুষ্টি মত চলার ক্ষেত্রে স্বাধীন)আমলি একটু পরিবেশ কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে।
⛔এত বড় লেখার জন্য আসলেই লজ্জিত তবে নিরুপায়।মানুষ বোঝেনা।
মেন্টালিটির মিল থাকলে এটা উভয়ের জন্য প্রশান্তি বয়ে আনবে।মেন্টালিটির মধ্যে পার্থক্য থাকলে মতে-মতে বেঁধে যাবে।তাই বিস্তারিত লিখে মেন্টালিটির স্বরূপ তুলে ধরলাম।(নিজের পরিজনদের কাছে থাকতে পারি না মতের বৈপরীত্যের দরুন)বি কেয়ারফুল।
বিঃদ্রঃ দুনিয়াবি মানে পার্থিব কাজকামের ব্যাপারে আমি তত এক্সপার্ট নই।সবাই প্রয়োজনীয় কাজ শেষে(নামাজ কালাম,গোসল,সাংসারিক টুকিটাকি কাজে সাহায্য) অবসর সময়ে এটা-ওটা তৈরী করে হয় কোন খাবার বা অন্যকিছুর ট্রাই করে, করতে করতে একটা সময় এক্সপার্ট হয়ে যায়।কিন্তু আমি কখনো এসব ট্রাই করিনি।প্রয়োজনীয় কাজ শেষ হলে অবসর সময়ে কুরআন নিয়ে তাদাব্বুর, হাদিস পড়া,ইসলামিক কিতাবাদি অধ্যায়ন,ইসলামিক লেকচার শোনা,ভালো কাজ ইত্যাদি এসবে সময় দিয়েছি যার দরুন দুনিয়াবি প্রয়োজনীয় রান্না,খাওয়া বাদে অতিরিক্ত কোন কিছু তৈরীর যোগ্যতা আমার হয় নি।দুনিয়াদারি টুকটাক আখিরাত ঠিকঠাক এই কনসেপ্ট লালনকারী বাস্তবতায় ও অনুরূপ।
তবে প্রয়োজন বুঝে ব্যবস্থা নেয়ার লোক ইংশাআল্লাহ।
অলস নই,কাজ কাম রেখে অনর্থক সময় অপচয় ঘৃণা করি।হয় ঘুম,নয় কাজ,শুয়ে থাকলেও সে সময়টাকে যথাযথ কাজে ব্যবহার করি।কোন কিছু করার মত না থাকলে খুঁটে খুটে কাজ বের করে করি,পরিষ্কার -পরিছন্ন,গুছগাছ একদম পরিপাটিভাবে থাকতে পছন্দ করি এবং এতেই অভ্যস্ত।লৌকিকতা কে ভীষন ভয় পাই।আমার জীবনের সবকিছু কে ঘিরেই আল্লাহ।মাকে ভলোবাসি আল্লাহর জন্য, বাবাকে ঘৃণা করি আল্লাহর জন্য,প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আল্লাহ।নিজের ঘরেও থাকি না আল্লাহর জন্য।ঘরে চোখের সামনে সরাসরি আল্লাহর নাফমানিমূলক কাজ সহ্য করতে পারি না।সৎ কাজের আদেশ-অসৎকাজে নিষেধ করার জন্য বাবার ঘরে ঠা-ই হয় না।একে তো আতঙ্কে থাকি হারাম খাবার পেটে ডুকে পড়ে কি-না।তার উপর আবার কুরআন হাদিসের সঙ্গে আপোষ করে থাকতে হবে।চুপ করে থাকার উপায় নেই।হয় হারাম বা আল্লাহ'র নাফরমানিকে প্রোমোট করো নয়তো ঘর ছাড়ো।দিবালোকের ন্যায় সবটা স্পষ্ট জানা-বোঝা সত্বেও কুরআন-হাদিসের সাথে আপোষ করে কীভাবে থাকি।পারি-না।(কুরআন-হাদিসের সাথে আপোষ করে চলতে পারিনা বিধায় বাড়িতে স্থায়ীভাবে থাকা হয় না,থাকতে পারিনা।আপাতত বোনের কাছে থাকতেছি,তবে বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে থাকতে হয় পরিক্ষার কারনে এটা খুব কষ্টকর তবে সবরের পরিক্ষা)
পারিবারিকভাবে বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে বিয়ে করাটা খুব জরুরত তবে একজন তাকওয়াবান জীবনসঙ্গীর থেকে বেশি না।রুহের কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা আমার নাই।আমি আল্লাহকে ভয় পাই।
⚠️আমি যে কোন ধরনের মানে এই জামানায় থেকে সেই সাহাবি আজমাইনদের মত করে পুরোপুরি থাকতে চাওয়া-চলতে চাওয়া একটা অদম্য আত্মা।যার সবটা জুড়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা। আল্লাহর দয়া প্রার্থী সেকারনে তদ্রূপ কর্ম।পক্ষান্তরে আল্লাহর শাস্তিকে সর্বোচ্চ ভয় করনেওয়ালি।
আল্লাহকে খুশি করতে পারলে আমি সাকসেস,আর আমার আল্লাহ নারাজ হয়ে গেলে আমি শেষ।আমার ধ্বংস অনিবার্য।কেউ বলতে পারেন,আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু তাই এত কঠোর এবং সিরিয়াস হওয়ার কিছু নাই তাকে বলছি আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু,সব জেনে বুজে এই রবের দয়া পাওয়ার জন্য সর্বো চেষ্টাটুকুও কি করবো না?আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তো দেখেন শুধু প্রচেষ্টা।তার জন্য কতটুকু প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।দুনিয়ার মানুষ যা গন্যই করে না এমন শতশত বিষয় আছে যার ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর প্রচেষ্টা গুলোও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার কাছে খুবই দামী বলে গণ্য হবে।আমি আমার সর্বোটুক দিয়ে করে তবেই তো রবের রহমের পরিপূর্ণ আশা করবো ইংশাআল্লাহ।আর এ তো এমন রব্ব, এমন এক আল্লাহ যার বাণীতে শান্তি ছাড়া আর কিছু নাই।যার বাণী তথা কথামতো চললে শান্তির ঝর্ণা বয়।এ এমন এক ইলাহ যার সন্তুষ্টি অর্জনের পথের সুযোগ কোন অবস্থাতেই হাতছাড়া করা বিচক্ষণ ব্যক্তির কাজ হতে পারে না।দুনিয়া-পরকালের সবথেকে আপন, সব থেকে নিকটতর হিতাকাঙ্ক্ষী। এই রবের মতকে অগ্রাধিকার দিয়ে চললে পার্থিব জীবনেও শান্তির ফল্গুধারা বনাম আখিরাতে যে কি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি।
📌এত বিস্তারিত বলার কারন একটাই আমি যে টাইপের, যে প্রকৃতি বা স্বভাবের তেমন না হলে কোন অবস্থাতেই ভিন্ন মতাদর্শের কাউকে গ্রহণ করতে পারবো না।ঠিক একদম আমার মতাদর্শের একজন।তার আত্মা আমার আত্মা মিলে যেন একাত্মা হতে পারি।আমার রূহের জন্য অস্বস্তি হবে, রূহের আতঙ্কের কারণ হবে এমন ব্যক্তি থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই।
➡️ পর্যাপ্ত ধীরস্থীর সময়ের অভাব এবং মানসিকভাবে চাপের মধ্যে থাকায় গুছিয়ে লিখতে পারিনি।তবে, আধ্যাত্মিকভাবে প্রখর দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তি মাত্রই বুঝবেন এত কথা লিখার সারসংক্ষেপ।
ঠিক-কোন বিষয়গুলো হাইলাইট করতে চেয়েছি।
লিখা বড় হওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।
বিঃদ্রঃ উদ্দীপক আকারে তুলে ধরেছি তাই উক্ত লেখার মূল ফোকাস বোঝার জন্য হিকমাহ অপরিহার্য।আর আমার কংসসিএনটিউস যে, মিথ্যাচার,ভন্ড,বিদয়াত,কুসংস্কারমুক্ত তা বিজ্ঞজন মানেই ধরে ফেলবেন।ইংশাআল্লাহ। |