female

বায়োডাটা নাম্বার

AH-102693

পাত্রীর বায়োডাটা

অবিবাহিত

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বিভাগ

পিরোজপুর

বরিশাল বিভাগ

২০০৩

ফর্সা

৪'৮''

৪৬ কেজি

O+

ছাত্র/ছাত্রী

নেই


ঠিকানা
স্থায়ী ঠিকানা বরিশাল
বর্তমান ঠিকানা চট্টগ্রাম
কোথায় বড় হয়েছেন? (Required) ঢাকা(অষ্টম শ্রেণীতে মাস খানেক ক্লাস করে মোড়েলগন্জে শিফ্ট)পরবর্তীতে মোড়েলগন্জ বাগেরহাটে বেড়ে ওঠা এবং লেখাপড়া।।
সাধারণ তথ্য
বায়োডাটার ধরন পাত্রীর বায়োডাটা
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
বর্তমান ঠিকানা চট্টগ্রাম
বিভাগ চট্টগ্রাম বিভাগ
স্থায়ী ঠিকানা পিরোজপুর
বিভাগ বরিশাল বিভাগ
জন্মসন (আসল) ২০০৩
গাত্রবর্ণ ফর্সা
উচ্চতা ৪'৮''
ওজন ৪৬ কেজি
রক্তের গ্রুপ O+
পেশা ছাত্র/ছাত্রী
মাসিক আয় নেই
শিক্ষাগত যোগ্যতা
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? (Required) জেনারেল
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? হ্যাঁ
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান ফলাফল A
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান বিভাগ মানবিক বিভাগ
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাসের সন ২০১৭
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাশ করেছেন? হ্যাঁ
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমানের বিভাগ মানবিক বিভাগ
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান ফলাফল A
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাসের সন ২০১৯
স্নাতক / স্নাতক (সম্মান) / সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক চলমান
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম সরকারি সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ।
পাসের সন অনার্স ৪র্থ বর্ষ রানিং।
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা কম্পিউটার ইন এপলিকেশন
IOM তথ্য
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? না
পারিবারিক তথ্য
পিতার পেশা পূর্বে চাকরি করতেন এখন বাড়িতে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই করছেন না।তাছাড়া আগে ইট ভাটায় বেশ কিছু টাকা ইনভেস্ট ছিলো যা দিয়ে সিজনে ব্যবসা হত।তবে তা তুলে ফেলছেন(এখন খুব সামান্য কিছু আছে বোধহয়)পরিবার তদারকির দায়িত্ব পালন।
মাতার পেশা গৃহিণী
বোন কয়জন? ১জন
ভাই কয়জন? ৩জন
বোনদের সম্পর্কে তথ্য বোনের পড়াশোনা ইন্টারমিডিয়েট,বিবাহিত,স্বামী প্রবাসী।
ভাইদের সম্পর্কে তথ্য ১ম ভাই:একাডেমিক পড়াশোনা তেমন করেননি,বিবাহিত, পেশা:চাকুরী। ২য় ভাই:একাডেমিক পড়াশোনা উনার ও করা হয়নি। বিবাহিত,উনি একজন স্বেচ্ছাসেবক +ব্যবসা ৩য় ভাই:গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকুরী।
চাচা মামাদের পেশা চাচা ২ জন,দু'জন এই মৃত পেশায় সাধারণ কাজ করতেন। মামা একজন।তিনি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। (সিনিয়র মাদ্রাসার)
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা মধ্যবিত্ত।মোটামুটি স্বচ্ছল বলা যায়।বড় ভাই এবং ছোট ভাই সংসারে অর্থের যোগান দেয়।তাছাড়া চট্টগ্রামে দুইকক্ষ বিশিষ্ট ছোট একটি ফ্লাট আকারের বাসা আছে সেখান থেকে মান্থলি ভাড়া পায়।(তিনতলা ফাউন্ডেশন,একতলা উপরে টিন সেড করে ভাড়া দেয়া)।গ্রামের বাড়িতে টিনসেড বিল্ডিং।সামাজিক অবস্থান সুনামপূর্ণ নয়।মন্দ ব্যাকগ্রাউন্ডের।
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) (Required) দ্বীনহীন/বেদ্বীন পরিবার।নামাজ রোজার মধ্যে সীমাবদ্ধ,তাও সবাই না(মা বাদে আর কাউকে খুজে পাওয়া যাবে কি-না সন্দেহ)।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমার পরিবারের প্রতিটি লোক-কে হেদায়েত নসীব করুন।পরিবারের প্রধান কর্তাগণ'ই প্রকৃত দ্বীন থেকে অনেক দূরে(নূন্যতমটুকু জানেন না,বোঝেন না,জানার নুন্যতম ফিকিরটুকু অব্দি কারো মধ্যে নেই)।পরিবারের অবস্থা নিয়ে খুবই মর্মাহত।তবে আসমানের মালিক চাহে তো ইংশাআল্লাহ কোনদিন ঠিক হবে।(আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার বান্দা সবাই,তিনি চাইলে হেদায়েত অসম্ভব কিছু না।আর আল্লাহর পক্ষ হতে হেদায়েত আসলে বান্দা যেকোন মুহূর্তে ভালো হয়ে যেতে পারে।)ব্যথীত হৃদয়ের আন্তরিক দুআ অব্যাহত আছে।ইংশাআল্লাহ।(নানার বংশে দ্বীনি অবস্থান কিছুটা আশা জাগানিয়া) আলহামদুলিল্লাহ।
ব্যক্তিগত তথ্য
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? আলহামদুলিল্লাহ। হ্যা
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? (Required) ছোট থেকেই নামাজের পাবন্দি ছিলাম,(কারো বলার অপেক্ষা না,নিজের থেকেই আগ্রহী হয়ে নিজেও আদায় করতাম অন্যদেরও বলতাম তবে ৫ ওয়াক্ত নিয়মিত ছিলো কি-না সে বিষয়ে বিস্মৃত) একদম রেগুলার ২০১৬/২০১৭ সাল থেকে হবে খুব সম্ভব।
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? আলহামদুলিল্লাহ, সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? আলহামদুলিল্লাহ।বিজ্ঞ উস্তাজার কাছে শুনানি দিতে হবে তাহলে এবিষয়ে ক্লিয়ার হওয়া যাবে।যদিও শিখেছি,কতটা শুদ্ধ হয় আল্লাহু আলম।
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? সাধারণ কালো বোরকা,পাঁচ পার্ট হিজাব-নিকাব,বড় কালো ওড়না-নিকাব,হাত-পা মুজা এবং চশমা।
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন (Required) সত্য ও ন্যায়ের দিক থেকে আল্লাহর বাণী পরিপূর্ণ।কে আছে আল্লাহ অপেক্ষা অধীক ইনসাফকারি? আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার বিধান(ইসলামি খিলাফাহ/কোরআন)।কবে হবে প্রতিষ্ঠা সে প্রতিক্ষায় প্রহর গুনি।
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? মারাত্মক লেভেলের ভয় পাই।সহ্য করতে পারিনা।কানে সাউন্ড যাতে না আসে তা নিয়ে আতঙ্কিত থাকতে হয়।
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? (Required) আলহামদুলিল্লাহ জানামতে বিশেষ কোন রোগ নেই।তবে ফাস্টফুড,অতিরিক্ত তেল,ঝালের খাবার খেলে তৎক্ষনাৎ গলা জ্বালাপোড়া করে।খুবই স্বাস্থ্য সচেতন লাইফলিড করলে আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো থাকা যায়, কিন্তু অসচেতন হলেই বিপত্তি বাঁধে। আর হ্যা,মানসিক রোগ আছে(মন ভালো থাকে যাতে তা না করলেই অস্থিরতা কাজ করে,মন কোন অনুচিত কাজ সহ্য করতে পারে না)অন্তরের কাঠিন্যতাকে সবচেয়ে বেশি ভয় করি।অন্তর নরম রাখার জন্য করনীয় করতেই হয় প্রত্যাহ,না করলেই নয়।
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? (Required) নববী পদ্ধতিতে ব্যাক্তিগতভাবে দাওয়াহ মানে আল্লাহ তায়া’লা র দেয়া বিশেষ অনুগ্রহ “মানবিক গুন"দ্বারা সাধারণ মানুষের অন্তর জয় করে পরবর্তীতে তাদেরকে একত্ববাদ,ঈমান আল্লাহর সত্যতা নিশ্চিত করে আল্লাহর ভয় ঢুকিয়ে আল্লাহর আদেশ-নিষেধ সম্পর্কে জানানো,বাস্তব উদাহরন দিয়ে প্রাকটিক্যালি বুঝানোর চেষ্টা করি এবং বিবেক জাগ্রতকারী ইসলামি গল্পাকারে লিখিত কিতাবাদী বিলীকরণ।যে অবস্থায়,যেখানেই অবস্থান করি না কেন মূল টার্গেট একটাই কথা,কাজ,সাহায্য-সহযোগিতা,আচার-ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের হিতাকাঙ্ক্ষী হয়ে আল্লাহ সম্পর্কে অবহিত করা,অতঃপর পরকালমুখী হওয়ার জন্য আন্তরিক আহ্বান।হুট করেই দাওয়াহ দেয়া শুরু করি না।দাওয়াহ’র জন্য যে পরিবেশ,ধীরস্থির সময় এবং সুযোগ প্রয়োজন তা নিশ্চিত করে অতঃপর একদম একনিষ্ঠ ভাবে হৃদয় দিয়ে বোঝানো।উদাত্ত আহ্বান করার মতো সক্ষমতা এখনো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা দেন-নি তবে ব্যক্তিদের টার্গেট করে করে আন্তরিক দাওয়াহ।ব্যক্তিগতভাবে মেহনত চলবে যতদিন দুনিয়ায় হায়াৎ অবশিষ্ট আছে।রব্বুল আলামিন আমাকে জলন্ত একজন দায়ী ইলাল্লাহ হিসেবে কবুল করুন।)
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? (Required) না।
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? (Required) কবর বৈ কিছুই নয়।
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন (Required) ম্যাসেজ,জীবন যেখানে যেমন,বেলা ফুরাবার আগে,এবার ভিন্ন কিছু হোক,প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ:১-২,সালাফদের জীবন কথা,আর ছাড়বো না নামাজ,ফজর আর করবো না কাজা,হিজাব আমার পরিচয়, তারিখুল ইসলাম:১ম ও ২য় খন্ড,জীবন যদি হত নারী সাহাবীর মত,যে জীবন মরীচিকা, জবাব,ওগো শুনছো,ফেরা:১-২,হ্যাপি থেকে আমাতুলাহ,ওপারেতে সর্বসুখ,অপেক্ষার শেষ প্রহর,লাভ-ক্যান্ডি,ভালোবাসার বন্ধন,আহ্বান,মা মা মা এবং বাবা,ইমান জাগানিয়া কাহিনী, রিক্লেইম ইয়োর হার্ট,লা-তাহযান, নফসের বিরুদ্ধে লড়াই,ভ্রণের আর্তনাদ, ইনজয় ইয়োর লাইফ,আর রাহিকুল মাখতুম,তোমাকে ভলোবাসি হে নবী,বিশ্বনবীর জীবনী(স.)ইত্যাদি।
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন (Required) শায়েখ তামীম আল আদনানী,মোহাম্মদ হবলস,শায়েখ রাতেব আন নাবলূসি,আবু ত্বোহা মোহাম্মদ আদনান,মিজানুর রহমান আজহারী,মোস্তফা আল-আজহারী,আনিসুর রহমান আশরাফী,আব্দুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মোঃ রাফিউজ্জামান, মাহমুদ বিন কাসেম,শায়েখ আহমাদুল্লাহ, মাওলানা লৎফুর রহমান,শায়েখ মোখতার আহমেদ,ড.আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহি.প্রভৃতি।প্রত্যেক হক্কানী আলেমকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি শুধু পছন্দ-ই করি তা-না।যারা সত্য বলে,যারা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা-ও তার রাসূলের কথা বলে,আমাদের কে জানায়,বুঝায়।এনাদের প্রতি যে ভালোবাসা তা তো স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লাই অন্তরে ঢেলে দিয়েছেন।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন।তাদের হেফাজত করুন এবং আরো বেশি করে আমার রবের বানী সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার তাওফিক দিন।
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই।
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন ⚠️⚠️⊕ বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম : নিজের সম্পর্কে হাইলাইট করার মত যদিও কিছু নেই,তবে এখানে না লিখলেই নয়,যেহেতু এখানকার প্রেজেন্টেশন থেকে আমার সম্পর্কে ধারণা নিবেন। আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহি ওয়াবারকাতুহ;আমি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার একান্তই গুনাহগার এক বান্দি।ছোট থেকেই কেন যেন ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোলাগা,ভালোবাসা কাজ করত,মনটা নরম ছিল একদম দ্বীনের জন্যে।তো দ্বীনহিন পরিবার,পরিবেশ,পারিপার্শ্বিক অবস্থান সব ছিল দ্বীনি পরিবেশের বিপরীত অবস্থানে।(ছোট্ট বেলার একটা ঘটনা মনে পড়ে বাসায় কবর সংক্রান্ত কিছু একটা টিভিতে ছেড়েছিল সেই ভিডিওর আওয়াজ টা আমার কাছে এত ভীতিকর ছিল যে আমি কানে আঙ্গুল দিয়ে বাসা থেকে কয়েকবাসা দৌড়িয়ে একদম মেইন রাস্তার কাছে অন্য একটা বাসার মধ্যে আশ্রয় নিয়েছিলাম যাতে আমার কান অব্দি ওই শব্দ না পৌঁছে। আমি খুব ভয় পেতাম।একদম সহ্যই করতে পারতাম না)...মুল ফোকাস:ভয়। ছোট থেকেই কোথাও নামাজ,ইসলামিক আলোচনা তা'লীম এসব হতে দেখলে সাগ্রহে যেতাম,পরিবারের সদস্যদের ছাড়াই অন্যদের সাথে-মুরব্বিদের সাথে।আল্লাহর ভয়,পরকালের ভয় ছোট থেকেই ক্বলবে দিয়ে দিয়েছিলেন মহান রব্বুল আলামীন।(কোথাও যদি শুনতাম তালীম হবে আমি খুব কৌতুহলী হয়ে যেতাম।কবরের কথা শুনলে আমার প্রচন্ড কষ্ট হতো।সবার সামনে কাঁদতে পারতাম না তবে মনে মনে খুব কাঁদতে চাইতাম।একনিষ্ঠতা ছিল।ভীত শঙ্কিত থাকতাম)....মূল ফোকাস:ভয়+ভালোলাগা+কবরের আজাব থেকে বেঁচে থাকার অভিলাষ। মাদ্রাসায় পড়ুয়া কাউকে দেখলে খুব ইচ্ছে হত মাদ্রাসায় পড়তে,পর্দার পোশাক পরিহিতা কাউকে দেখলে মনের মধ্যে খুব ইচ্ছে জাগত যদি ওমন পর্দা করতে পারতাম....এভাবেই বেড়ে ওঠা অন্তরে দ্বিনের প্রতি অফুরন্ত মোহাব্বত নিয়ে।তবে অনেক-অনেক বিষয়ের সাথে জড়িত ছিলাম যা ছিল আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার অপছন্দনীয়,নিষেধ /বর্জনীয়। জানতাম না তখন।(অষ্টমশ্রেণীতে দুমাস ক্লাস করার পরে প্রতিবেশী দুই বোন ছিল ওরা কওমী মাদ্রাসায় পড়ত ওরা ছুটিতে বাসায় আসলে আমি ওদের সাথে মাদ্রাসায় পড়তে যাওয়ার জন্য ছিলাম প্রচন্ড অভিলাষী। বাসা থেকে যেতে দেয়-নি। অনেক কান্না করেছি। দের দিনের মতো না খেয়েছিলাম।কষ্ট আর অভিমানে কলিজাটা ফেটে যাচ্ছিল যেন।বাসায় বলছি আমি আর স্কুলে পড়বো না মাদ্রাসায় ভর্তি হবো,সেখানে থাকবো,কিন্তু উপায়হীন ছিলাম,কত আশা,কত ইচ্ছে সব ভেস্তে গেছে )... যখন যেটা-যার কাছ হতে শুনতাম মোটামুটিভাবে মেনে চলতাম।তবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার আদেশ সম্পর্কে মোটামুটি জানলেও নিষেধ গুলোর ব্যাপারে একদম গাফিল'ই ছিলাম বলা যায়। তো তাকওয়া(আল্লাহর ভয়,পরকালীন জীবন) ইমান-আখলাক সম্পর্কে আরও আগে জানলে হয়ত আরো আগ থেকেই পরিবর্তন হওয়ার মুজাহাদা তথা চেষ্টা করতাম।তবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার হিকমাহ আমরা জানিনা,তার পরিকল্পনা ছিল ভীন্ন।আর তার উত্তম পরিকল্পনার বাস্তবায়ন বর্তমান জীবন আলহামদুলিল্লাহ। আসলে যাদেরকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা হেদায়েত দিতে চান তাদের অন্তর দ্বীন-ইসলামের প্রতি দূর্বল করে দেন ছোট্ট হতেই,বাস্তবতায় ব্যক্তিকে যত যা-ই করতে দেখা যাক না কেন।অন্তর নরম এবং কোমল হলে,অন্তর থেকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লাকে পেতে চাইলে সে অন্তর অথবা ক্বলবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা হেদায়েত এর নূর ঢালবেন'ই ঢালবেন।(আমার ক্ষেত্রেও তাই হল) বাহ্যিকতায় দ্বীনহিন আচারন,অন্তরে আল্লাহর ভালোবাসা লালন করে-করে কলেজ অবধি আসা(যদিও তখন একদম ঊশৃংখল ছিলাম না,দুনিয়ার মাপকাঠি তে আসলেই প্রকৃত সভ্য-ভদ্র,মার্জিত,একজন ভালো শ্রোতা,অন্যদের সম্মান প্রদর্শন, গুরুজনদের কথা শ্রদ্ধাভরে শোনা এবং মানার বিষয়,শিক্ষকদের শ্রদ্ধা,তাদের কথা পূর্ণ মনোযোগসহ শোনা,দৈনন্দিন পড়াশুনা রটিন মেনে টাইমলি ঘুম,টাইমলি খাওয়া এগুলো ছিলো,তবে পর্দাসহ আরও দ্বীনি নানাদিক অনুপস্থিত ছিল এবং পিছিয়ে ছিলাম অনেক আমল হতেও,জানতামই না যে এগুলো আসলে আমল।তাছাড়া ভালো একজন ব্যক্তিত্ববান মানুষ হয়ে ওঠার অদম্য আকাঙ্খা তাড়িয়ে বেড়াতো মনে সর্বদা,ভালো কিছু যেখান থেকেই পেতাম তা গ্রহন করতাম। নাইনে ক্যারিয়ার শিক্ষা বই থেকে ভালো শ্রোতা সম্পর্কে জেনে-বুঝে সেবিষয়ে সচেতন হয়েছি নিজের মধ্যে উক্ত গুন ধারন করবার চেষ্টা করেছি।আবার ইসলাম শিক্ষা বইয়ের লেখাগুলো পড়ে খুব অনুপ্রাণিত হতাম।সৎ কাজের আদেশ,অসৎ কাজে নিষেধ সম্পর্কে জেনেছি উক্ত বই থেকে আরো কিছু দুআ সম্পর্কে।)একটা কাগজের টুকরো কোথাও পেলে তা উঠিয়ে দেখতাম সেখানে কি লেখা,অতঃপর ভালো কিছু থাকলে তা থেকে অনুপ্রাণিত হতাম ভীষণ ভাবে অন্যদিকে খারাপ কিছু থাকলে তা থেকেও অনুৎসাহিত হতাম।মোদ্দা কথা মূল শিক্ষাটা নিতাম। এভাবেই কলেজ জীবন অব্দি আসা,তবে ইসলামিক বই কোথাও পেলে পড়া,কারো কথা বিশেষ করে ইসলামিক মাইন্ডসেটের কাউকে পেলে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জানতে চাওয়ার স্বভাব ছিল,তা-ই করতাম।ইসলামিক কিছু শুনলেই খপ করে ধরে মানতে চাওয়ার বাসনা কাজ করত প্রচুর পরিমানে।বিবেক দিয়ে শুনে সেসব দিক নিজের বাস্তবতায় পরিনত করাই ছিল মূল লক্ষ্য, যে লক্ষ্য সে-ই কাজ(আমল)আলহামদুলিল্লাহ।ইন্টারে থাকাবস্থায়(সেকেন্ড ইয়ারের ফাইনাল পরিক্ষার কিছুদিন পূর্বে)পরিপূর্ণ হেদায়েতের নূর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ক্বলবে ঢেলে দিয়েছেন।(আমৃত্যু এই কথা স্মরণে থাকলে ইংশাআল্লহ বিপথে যাওয়া থেকে প্রটেকশনের কাজ করবে)তো এই ক্বলবের হেদায়েত এর পাশাপাশি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার আদেশ-নিষেধ সম্পর্কেও মোটামুটি অবহিত হই আলহামদুলিল্লাহ।আর এই ক্বলবের হেদায়েতের পর থেকে দ্বীনের প্রতিটি বিষয়:মুলত ইসলামই জীবন-জীবনই ইসলাম।আল্লাহর সন্তুষ্টি-অসন্তুষটির বিষয়ে সজাগ হয়েছি।আল্লাহর সন্তুষ্ট তে প্রশান্তি -অসন্তুষ্টিমুলক চুল পরিমান ও কিছু ঘটে গেলে হোক তা স্বেচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় মানসিকভাবে অন্তর দহনে শেষ হয়ে যাই।দম আটকে আসে।অস্থিরতায় জবাই দেয়া মুরগির মত ছটফটাতে থাকি ভেতরে ভেতরে। আলহামদুলিল্লাহ এখন সবকিছুর ক্ষেত্রে একটা পাতা ছিঁড়ার বেলায় ও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা রাজি-খুশি /সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির কথা স্মরণ হয় এবং সেভাবেই পথচলা হচ্ছে। ক্বলবের হেদায়েতের পর দ্বীন-দুনিয়া ক্লিয়ার হয়ে যায় এবং এরপর হতে দ্বীনকে অগ্রাধিকার দিয়েই চলার চেষ্টা করছি। 💠নিজের শখ:একটা ইসলামিক লাইব্রেরির অনেক শখ,এ নিয়তে বই সংগ্রহ অনেক হয়েছে,হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ!তবে এর পরিপূর্ণতা দিবেন আমার অর্ধেকদিন যিনি হবে তিনি, কেননা আমি চাকরী করব না,ওইভাবে পারব ও না তার সহায়তা ছাড়া।সুতরাং ভবিষ্যৎ-এ উনাকেই আমার এই শখ কে বাস্তবতায় পরিনত করার জন্য হিম্মত রাখা চাই ইংশাআল্লহ।"এতিম-মিসকিন ভালোবাসাগুলোর"জন্য স্পেশালি কিছু করার(রব্বুল আলামিন কবুল করুন এবং সে ব্যবস্থা করে দিন,আমীন) 💦খারাপ অভ্যাস:তিন বেলা খাওয়া(সাধারন ভাত-তরকারী,কোন ফাস্টফুড নয়)+ঘুম+আমল।(আল্লাহর সাথে কথা বলা এবং তাঁর কথা শোনা) এই তিন বিষয় মূখ্য জীবনের জন্য না হলেই নয়।তিন বিষয় ঠিক তো সব ঠিক।উক্ত তিন বিষয়ের কোন একটিতে সমস্যা হলে অস্বাভাবিক হয়ে যাই(মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়)।খাওয়াটা একারনে যে,পরিমিত খাবার না খেলে অসুস্থ হয়ে যাই,হাত-পা কাপাকাপি করে,মাথা ঘুরাবে,বমি আসবে খুবই খারাপ অবস্থা।শারীরিকভাবে কাজকর্ম করার জন্য অক্ষম হয়ে পড়ি,করলেও তা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে নয়,খুবই কষ্টে জোরপূর্বক করতে হয়।আর পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও ঘুমের ঘাটতির জন্য অসুস্থ বোধহয়।ব্রেইন শান্ত/স্থির থাকে না,চোখসহ মাথা ব্যথা করে প্রচুর।খুবই খারাপ লাগে ফলে স্বাভাবিক কাজকর্ম করার পর্যাপ্ত এনার্জি থাকে না।কাজ,আমল কিছু করতে ইচ্ছে হয়না।ক্লান্তিতে ন্যুব্জ হয়ে পড়ি।ঘুমিয়ে নিলে আবার ভালো লাগে যা করি না কেন তাতে খুশুখুজু পাই। সবকিছু করতে ইচ্ছে হয়।একাই সবকিছু ডিল করতে পারি কারো সাহায্যের প্রয়োজন হয়না।“শরীর ঠিক রাখতে হয় দুনিয়াদারি ঠিকঠাক করার জন্য,আর রুহ টা ঠিক রাখতে হয় হালাল-হারাম বেছে চলা,ঠিক-বেঠিক পরখ করে চলার জন্য।" “রুহ অর্থাৎ মন"ঠিক পাশাপাশি শরীর ঠিক ইহকাল-পরকালের সবকিছুই যথাযথভাবে সম্পাদন হয়।এর কোন-টি অসুস্থ হয়ে গেলে দুনিয়া-আখিরাত সবকিছুতে সমস্যা হয়। দিন অথবা রাতের নির্দিষ্ট একটা সময় চাই(একান্ত একা)যেখানে কোন মানুষের সঙ্গ থাকবে না,নিজের মত করে কিছু সময় কাটানো যাবে।(এই পরিবেশ না পেলেও সমস্যা)।ক্বলবের প্রশান্তি সবার আগে পরে বাকি সব।ক্বলবের প্রশান্তি পাওয়ার জন্য যা করতে হয় তা-ই করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠি।কেউ বাঁধা হয়ে দাড়ালে তাকে মনে হয় চরম শত্রু। যার ধ্যানে-জ্ঞানে সবটা জুড়ে শুধুই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির খেয়াল বদ্ধমূল এবং যার সর্বোপ্রধান চাওয়া পরকালের শান্তি সেই ব্যক্তির জন্য আমি নিয়ামত এর ব্যতিক্রম হলে তার অশান্তির কারন হতে পারি।আমার অতিরিক্ত খোতাভীতি তার অস্বস্তির কারন হতে পারে এবং সে আমার অনুরূপ মেন্টালিটির হলে তবে প্রতিটি কর্মই তার দ্বীলের সূকুন বৃদ্ধি করবে বলে আশা করি ইংশাআল্লহ। ❝তাকওয়া এবং উত্তম আখলাক সর্বাধিক প্রায়োরিটির জায়গা আমার।❞ ★আমি প্রকৃতার্থেই তাকওয়াবান।এমন তাকওয়াবান যে,সবার আগে আল্লাহর সন্তুষ্টির কথা ভাবি।না ভাবলেও আমার এই অন্তর আর মাথার মধ্যে ভাবনাটা চলে আসবে-ই।এমন তাকওয়া আল্লাহ অন্তরে দিয়েছেন যে,পথ দিয়ে হেঁটে গেলে যতজন ভিক্ষুক,অসহায় চোখে পড়বে সবাইকে দেয়ার জন্য মনটা ব্যকুল হয়ে উঠবে,যা আছে তা থেকেই আল্লাহর জন্য।তৎক্ষনাৎ মাথায় ভেসে ওঠে আল্লাহ তায়ালা যদি আমাকে এই হালতে রাখতেন আমার কেমন লাগতো,আমাকে তো হাজারগুন ভালো রেখেছেন,যে রব্ব আমায় এত ভালো রেখেছেন তাকে কি আমি একটু খুশি-ও করবো না?সবটা বুঝতেছি আমার যা আছে তা থেকেই একটু দিলেই আমার রব্ব হয়তো আমার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন।আমার প্রতি দয়া করবেন,কে জানে এই উছিলায় আমার বা আমার পরিবারের উপর আপতিত বড় কোন বালা বা বিপদ তিনি কাটিয়ে দিবেন।দুনিয়াতেও আমার আপদ কাটিয়ে আমাকে উপকৃত করবেন আবার আমার উপর খুশিও হবেন লাভে লাভ।সুবাহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি।আমি কি আমার রবের কৃতজ্ঞ বান্দা হবো না? আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তো বলেছেন'ই যা আছে তা থেকেই আল্লাহর জন্য ব্যয় করতে।আর ইহা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার সন্তুষ্টি অর্জনের সূবর্ণ সুযোগ।এ এমনি একজন রব্ব যার জন্য একচুল করতে চাইলে বা করলে তিনি এক সমুদ্র পরিমাণ দিয়ে দিতে পারেন যদি খুশিই হৌন আমার উপর।এরূপ নানাভাবনা এসে হানা দেয় অন্তরে। ★আবার দেয়ার মত সামর্থ্য থাকা সত্বেও কারো চাপে না দিতে পারলে তখন দুনিয়ার সব অস্থিরতা এসে ভর করে আমার অন্তরে,হায়!আমি দিতে পারলাম না আমার রব্ব আমার উপর অসন্তুষ্ট হয়ে গেলো নাতো💔এই যে এক পাথর চাপা মানসিক অস্থিরতা এতে আমার সমস্ত দিনের মন-মানসিকতা নষ্ট হয়ে যায়।যে আল্লাহর সৃষ্টিকে দয়া করে না সে দয়া পায় না।আমার আর কিছু ভালো লাগবে না।সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ভালো কাজ না করতে পারার কারনে অন্তর ফেটে যায়।মন আর ভালো থাকে না।ঠিক এমতাবস্থায় যদি একান্তই আল্লাহর সাথে সময় দেয়া যায়,কান্নাকাটি করে মন হালকা করা যায় তবে স্বাভাবিক হতে পারি।আর আল্লাহর সাথে তৎক্ষনাৎ সময় দিতে না পারলে মন মেজাজ আর ভালো থাকেনা তার উপর যদি নাফরমানিমূলক কিছু ঘটে যায় তখন আর সবর করে নিতে পারি না।মন-মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।আমার মন ভালো না তো কিছুই ভালো না।আর যদি সামর্থ্য না থাকে তাহলে তো সেটা আলাদা কথা মনে মনে আল্লাহর কাছে নিজের অক্ষমতা তুলে ধরে মাফ চাই এবং আমি দিতে না পারলেও অন্য উপায়ে আল্লাহ যেন তাদের আরো বেশি কিছুর ব্যবস্থা করে দেন সেই দুআ করি।তবে ভালো কাজের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আফসোসের কষ্টে কলিজা দুমড়ে মুচড়ে ওঠে।আল্লাহর জন্য একটু করলেও এক আকাশ প্রশান্তি লাভ করি-আর একটু না করতে পারার দহনে অন্তর ফাটে। আবার,সংগত কারনে কেনাকাটা করতে গেলে বিক্রয়কর্তা বেশি লাভ করলে অন্তরে ব্যথা অনুভব করি,ঠিক না সেটা কেন করলো এই কারনে তারপ্রতি ঘৃণা আসে। আবার বিক্রয়কর্তা যেন আমার দ্বারা কোনভাবেই লসের স্বীকার না হোন সেদিকেও খুব সতর্ক।আমাকে ঠকালে কলিজা দুমড়ে মুচড়ে যায়, আমি ঠকানো কল্পনাতেও আনতে পারিনা।এত সচেতন।যদিও অন্যন্য উপায় হলে নিজে ঠকতে রাজি তবে আমার দ্বারা যেন কারো ঠকানোর 'ঠ'ও না হয়। ★এমন তাকওয়া যে ঘরের সবকাজ সেরে কেবল বিছনায় শুতে আসছি এই মুহূর্তে চোখে পড়ল ওয়াশরুমের লাইট জ্বলতেছে, আল্লাহ নারাজ হবেন,এটা ঠিক না। সবাই বলে কিছু হবে না,এখন অফ করা লাগবে না।(আরো লাইটগুলো অফ করে রাখার জন্য গালি খাই)আমি আর ঠিক থাকতে পারি না।আমাদের নিজেদের হলে যেমন ঠিক অন্যের টাও তেমন এই চোখে দেখতে হবে।তা-ই আবার শত অলসতা,ক্লান্তি সত্বেও আবার উঠে লাইট অফ করে দিয়ে আসি।আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করি।তা না হলে অশান্তি কাজ করে মনের মধ্যে।ছটফটাতে থাকে অন্তর।(ব্যাপারটা এমন যে যারা ৫ ওয়াক্ত নামাজি তাদের নামাজ ৫ওয়াক্ত ঠিকঠাক মতো না হলে কেমন লাগে?অস্থিরতায় ছটফটায় কি অন্তর?নামাজ না পরা অব্দি শান্তি নাই ঠিক তাই-না?ঠিক তেমন। ❝এরূপ অনুচিৎ সবক্ষেত্রেই আমার অন্তর ওইরকম ছটফটায়।❞ ★সবকিছুর ক্ষেত্রে হিসেবি।এমন যে একটা ভাত ও যেন অপচয় না হয়,আবার আল্লাহর জন্য এক পাতিল দিতেও উদগ্রীব।পাক্কা মিতব্যয়ী।যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুতেই সীমাবদ্ধ।মনে করেন সাধারণ ভাতেই যথেষ্ট হয়ে যায় তাহলে অতিরিক্ত বিলাসিতার বশবর্তী হয়ে বিরিয়ানি খাবো কেন?বিরিয়ানি না খেয়ে সে টাকা বাঁচিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি ক্রয় করা যায়।সেই টাকা এভাবে আরো অনেক অপ্রোয়জনীয় খরচ বাচিয়ে তা দিয়ে কারো প্রয়োজন পুরণ করে দেয়া,কাউকে হাদিয়া দেয়া,অসহায় আত্মীয়স্বজন,ইয়াতিমদের অন্তর খুশি করার ক্ষেত্রে ব্যয় করা।আর এসব তো পরকালে পাবো।মাটির উপরে বসে যত দেয়া যাবে মাটির নিচে গেলে সব পাওয়া হবে আর আল্লাহ যার জন্য চান তাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেন।কিছুই তো বৃথা যাবে না। ❝আল্লাহ সর্বোসত্য,আল্লাহর রাসূল সত্য।রাসূলের সত্যায়ণ করেছেন স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা। তাহলে আল্লাহ আর আল্লাহর রাসূল যদি সত্যই হয়ে থাকেন তবে তাদের বলা প্রত্যেকটা কথা বা বাণী সবচেয়ে বড় সত্য।পরকাল সত্য,পরকালের প্রত্যেকটা ধাপ সত্য।আর পরকালের প্রত্যেকটা আজাব হবে রুহ তথা মনের উপর।মৃত্যু সত্য।মৃত্যুর যন্ত্রণা সত্য,রুহের কষ্টের স্বরূপ দয়াময় রব্ব তার স্বাদ সামান্য পরিমানে আস্বাদন করিয়ে পাক্কা বুঝিয়ে দিয়েছেন।❞ তাই রুহের কষ্ট,পরকালীন জীবনের বাস্তবতা নিয়ে আমি খুবই সিরিয়াস।সিরিয়াস হবোই না কেন এসব তো মহা সত্য। আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল কত কঠোরভাবে হুশিয়ার করেছেন দুনিয়ার জীবন সম্পর্কে তার বিপরীতে পরকালীন জীবনের জন্য করেছেন সতর্ক।দুনিয়া যদি পারমানেন্ট হতো তাহলে তো কোন কথাই ছিলো না।দুনিয়া যেহেতু অস্থায়ী এবং পরকাল চিরস্থায়ী ও অনন্তকালের সেক্ষেত্রে পরকালকে পাশকাটিয়ে চলার উপয়ান্তর নেই।প্রয়োজনবোধে দুনিয়াকে পাশ কাটিয়ে চলতে হবে।দুনিয়াকে যেভাবে,যেমন করলে পরকাল ঠিক রাখা যাবে তা-ই করতে হবে।পরকাল যেন ছুটে না যায়। ★কৃপণ নই আবার অতিরিক্ত খরচ কোনকিছুর ক্ষেত্রে সহ্য করতে পারিনা।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার মতে হাত টা একদম প্রসারিত ও করা যাবে না আর একদম সংকুচিত ও না।মধ্যবর্তী অবস্থানে।ঠিক তেমনই। সংকীর্ণ তথা দুনিয়ার বাহ্যদৃষ্টিতে যে-কেউ বলবে কৃপণ টাইপের আর প্রসারিত তথা অভ্যন্তরীণ দৃষ্টি ও তাকওয়ার দৃষ্টিতে বুঝমানদের হৃদয় শীতল হয়ে যাবে।মন্তব্য করার মতো কোন স্পেস থাকবে না। (কোথাও ঘন্টাখনেকের জন্য বের হলেও বাসা থেকে পটে করে পানি নিয়ে যাই,ব্যাগ টানি প্রয়োজন হলে খাই নয়তো বাসায় আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসি তবে সচেতনতার দরুন পানি ঠিকই নিয়ে যাই যদি লাগে? টাকা দিয়ে কিনবো না অথচ ৫টা বোতল কেনার মতোও সামর্থ্য রয়েছে,কিন্তু ৫ টার জায়গায় একটা বোতল ও না কিনে সেখানে যদি ৫ টার টাকা থেকে একটা বোতল কিংবা একটি বোতল কিনার খরচ অর্ধেকও বাচিয়ে আল্লাহর কোন সন্তুষ্টি অর্জনের পথে ব্যয় করতে পারি তাতে ভীষন প্রশান্তি লাভ করি বা এটা অন্য আরেকটা প্রয়োজনে খরচ করব এরূপ মেন্টালিটি।(পানি না খেয়েও থাকলাম না,শুধু একটু কষ্ট করে সময় নিয়ে পটে পানিটা ভর্তি করা আর ব্যাগ বহন করার সামান্য কষ্ট ওদিকে এই সামান্য কষ্টের উছিলায় রবের সন্তুষ্টি অর্জন)পরকালের কষ্টগুলোর বিনিময়ে এসব কষ্ট কোন কষ্টই না। 📌❝এমন কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রে।❞ (আল্লাহ তায়া’লার পরিকল্পনা হয়তো-নয়তো বুঝতাম না তেমন।বুঝলেও নিজের মতো করে বাস্তবতায় শতভাগ উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হতাম তাই বোধ হয় রব্বুল আলামীন বাস্তবতায় তেমন পরিস্থিতিতে কিছু সময়ের জন্য ফেলে উপলব্ধি বোধটা সজাগ করে দেন,যেন পুরোপুরি না হলেও আংশিক বুঝতে পারি অন্যদের অবস্থান। বছরের অধিকাংশ সময় ভালো অবস্থানে রাখেন ৮-৯ মাস ভালোই টাইলসের মধ্যে আর্থিকভাবে সর্বোচ্চ স্বচ্ছলতার মধ্যে রাখেন আবার কিছু সময় যাযাবর অবস্থাতেও রাখেন।তবে উভয় অবস্থানেই অভিযোজন করে থাকার তাওফিক দেন।এমদম অহংকারীও হই না, হই সর্বোচ্চ লেভেলের বিনয়ী।পক্ষান্তরে যাযাবর অবস্থায় একদম গাইরতহীনভাবেও থাকি না।উভয় অবস্থানেই পরিমিতভাবে থাকতে পারি।আল্লাহ যেমন বলেছেন তেমন হিসেব করে চললে যেকোন অবস্থাতেই মানিয়ে থাকা যায়। এর ব্যক্তিক্রম হলে সমস্যার সৃষ্টি হয়।আর হবেই।আল্লাহ -আল্লাহর রাসূলের কথার বাইরে গেলেই সব সমস্যা। মানে প্রকৃত উত্তম আখলাকের সবটা,সর্বদিক হতেই।আর এটা আমার জন্য সহজ হয়েছ কেবল একটা কারনে।তা হলো খোদাভীতি। 📌❝আমার মত সেইম বা আরো বেশি খোদা ভীতিতে এগিয়ে থাকা ব্যক্তির জন্য আমি উপযুক্ত। তা না হলে কোনভাবেই আমি মানিয়ে নিতে পারবো না।❞ ★সবাই মেহমান তথা পরিচিত আত্মীয় বা অন্যদেরকে আত্মীয়তার খাতিরে উপরে উপরে ভালো ব্যবহার করে,সামাজিকতার চাপে পড়ে আপ্পায়ন করায়,মেহমানদারিও করে ধুমধাম অথচ মনের মধ্যে পুষে রাখে বিদ্বেষ,অসন্তুষ্ট হয়ে করে আর কি,অনিচ্ছাকৃত ভাবে। আর অপরিচিতদের তো একপ্রকারে উপেক্ষাই করে চলে। অন্যদিকে আমি পারিনা না এসব।আল্লাহর জন্য প্রত্যকটা মানুষ হৌক আত্মীয় কিংবা অনাত্মীয় সবাইকেই তাকওয়ার চোখ দিয়ে দেখি।ধুমধাম করে নাম কুড়ানোর উদ্দেশ্যে বাজেট শেষ করতে চাই না আবার তাদের কোন দিকে ঘাটতিও রাখিনা।যা আছে মানে সামর্থ্যের সর্বটা দিয়ে আল্লাহর জন্য একদম নিখাঁদ ভালোবাসা,ভালো আচারন করি।যথাযথ কদর করি।সবকিছু শুধু ওই রবের জন্য। নয়-কে ছয় করি,ছয়-কে নয় করে চলি তবুও কাউকে ধরা দেইনা।(নিজের ভাগের টা) কিন্তু কোনভাবেই আল্লাহর থেকে দূরে থাকতে পারবো না।নিজের বেলায় যেমন অন্যের বেলাতেও তেমন।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার প্রিয় ততক্ষণ অব্দি হওয়া যাবে না।যতক্ষণ না নিজের জন্য যা পছন্দ করবো অন্যের জন্যেও ঠিক তা-ই। নিজের জন্য যা কষ্টের,অন্যের জন্যেও তো তা-ই। ★কেউ আমার কাছে সাহায্যের জন্য আসছে আমি সাহায্য করলে আমার রুহ টা প্রফুল্ল হয়।অনেক ভালোলাগে সবকিছু তে মন ফুরফুরা লাগে ফলে সবকিছু করতে ইচ্ছে করে মনের আনন্দে।আবার সাহায্য না করতে পারলে আমি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে যাই।সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার দহনে আমার আর কিচ্ছু ভালো লাগে না।কোন সাংসারিক কাজকামে মন বসবে না।ইচ্ছেশক্তি হারিয়ে ফেলি।অসহ্য লাগে সবকিছু।সৎকর্ম আর তাকওয়া ছাড়া আমার রূহ কিচ্ছু বোঝে না।রূহ খাবার পেলে মন ঠিক তো সব ঠিক।এতে সমস্যা হলেই বা কেউ বাঁধা দিলেই আমি সেখানে কোনভাবেই টিকতে পারিনা। বাহ্যিকতায় আমায় যেমনই দেখাক কিন্তু আমার অন্তর টা সদা জাগ্রত।পাক-সাফ। এতে আমার বিন্দু মাত্র ক্রেডিট নেই পুরোটাই ওই আসমানের মালিক কী যে ভালোবেসে দিয়েছেন আমি নিজেও জানি না।আল্লাহু আকবার।আমার অন্তর টা যেমন ঠিক তেমন এখনো বাস্তবতায় হতে পারছিনা পুরোপুরি নানা প্রতিবন্ধকতার কারনে।তবে ভেতরটা নূর দিয়ে পরিপূর্ণ।আমাকে আমার মতো করে থাকতে দিলেই এর যথাযথ বাস্তবায়ন সম্ভব ইংশাআল্লাহ।যতই শুকরিয়া আদায় করি না কেন ততই কম হয়ে যাবে।আল্লাহু আকবার। 📌❝আল্লাহকে ভালোবাসি,ভয় করি।রূহের অস্থিরতায় দম বন্ধ হয়ে যায় ভয় পাই ভীষন ভয়।❞ 💠মিজানুর রহমান আজহারি বা আবু ত্বোহা আদনানকে সবাই ভালোবাসে,ঠিক একারনে যে তারা প্রত্যেকটা সত্য অন্বেষণ কারীর একদম ঠিক মনের মতো সত্য কথাগুলো বলেন।তাদের বলা কথার সাথে মনগতভাবে একমত পোষণ করেন যে, তারা তো আসলেই ঠিক বলছে।যাদের রুহটা কিছুটা হলেও সক্রিয় তারা বুঝে যায় কথারগুলোর মর্ম এবং কথাগুলো যে সত্য তা অকপটে বিশ্বাস করে নেয়।(আলো আর অন্ধকারের বুঝ যে বুঝে গেছে,তাকে আলোর কথা বলা হলে সে বিশ্বাস করবে যে এটা আলোর কথাই বা ইঙ্গিত করলেও সে বুঝতে পারবে এটা তো আলোরই ইঙ্গিত।তারা তো আলোর কথাই বলছে,মানুক বা না মানুক আলোর কথাই বলতেছে যে তা বুঝতে পারে।ফলে তাদের সাথে একাত্ম হয়।মানে মনের দিক থেকে মিলে আর যাইহোক।এখন যাদের অন্তরের সাথে অন্তরের মিল হয় তারাই তো মিলে যায়।প্রত্যেকটা অন্তর বা রুহ প্রকৃতিগতভাবেই সত্য গ্রহণে সদা প্রস্তুত।কিন্তু আমরা সত্য টা গ্রহন করার মতো সময় পাইনা,পাপাচার আর নাফরমানি এবং শয়তান দুনিয়াদারি দিয়ে এমন ভাবে ব্যস্ততা দিয়ে ঘিরে রাখে যে আমরা জানা বা বোঝা বা ভাবার সময়টুক পর্যন্ত পাই না।আর সময় না দিলে,না জানলে, না ভাবলে, না বুঝলে আমরা সত্য চিনবো কিভাবে।না চেনা অব্দি তো গ্রহন করতে পারবো না।টুকটাক যাও শুনি তা নিয়ে ভাবি না(ভাবার সময় নাই এমন করে ব্যস্ত একটার পর একটা ব্যস্ততা,এই ব্যস্ততা মনের)মনের ব্যস্ততার জন্য মন ধীরস্থির,পর্যাপ্ত অবসর সময় পায়না আর ভাবেও না।না ভাবার কারনে সত্য গ্রহনে পিছিয়ে কিছুটা।সত্য বাণীর গভীরতা আচঁ করতে পারেনা।আর এই সত্যর গভীরতা আচঁ না করা অব্দি প্রকৃত ভাবে সত্য গ্রহন, পাকাপোক্ত করে সত্যকে আঁকড়ে ধরা, দুনিয়া লয় হয়ে গেলেও সত্য যেহেতু পাওয়া হয়েছে এটাকে শক্ত করে ধরেই থাকা এসব হয় না। আমরা সত্য শুনি ঠিকই,তা নিয়ে বিস্তর ভাবি না,বুঝিও না।আর না বোঝার কারনে সত্যের পথে অনড় হয়ে থাকতে পারিনা।“কোনমতে জানি,কথার কথা বহু শোনা হয়েছে,নীতি বাক্য হিসেবে শুনেছি "ঠিকই তবে না বোঝার হেতু সামান্য বাতাসেই সত্য ছেড়ে দেই।মনে করি কথার কথা,বাস্তবতার সাথে মানিয়ে চলতে গিয়ে কঠিন মনে হয় অথবা হলেই তা ছেড়ে দেই।এ মানা সম্ভব নয়।সত্য মানার কোন তাড়া কাজ করে না আমাদের মধ্যে। সত্যকে সিরিয়াসলি নেয়া,সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঝড়ো বাতাস থেকে বড় বড় শক্তিশালী ঝড়গুলোর মধ্যেও সটান হয়ে দাড়িয়ে থাকা এসব কিছুই সম্ভব হয়না আর আমাদের দ্বারা। কেন??? ওই যে সত্য সম্পর্কে পরিপূর্ণ না জানা আর জানলেও না বোঝা।যদি বোঝার মতো কেউ বোঝে তবে সে ঝড়ো বাতাসে ছিন্ন-ভীন্ন হয়ে যাবে তবুও যে সামান্যটুকু অবশিষ্ট আছে তা দিয়ে হলেও যেকোন উপায়ে তা আঁকড়ে ধরে থাকবে। থাকতে চাইবেই। ➖এখন মিজানুর রহমান আর আবু ত্বোহা আদনানকে সবাই ভালোবাসে তাদের কথার গভীরতার কারনে।যার মন বাস্তবেই গভীর ভাবে বোঝে তার মন তাদের কথাগুলো ঠিক ততোখানিই গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করে। তাদের বলা কথাসমূহ শোনা বর্জন,তাদের কথা বলা বন্ধ করার জন্য কোন অপপ্রয়াস তো করেই না উল্টো তাঁদেরকে বসায় অন্তরের মনিকোঠায়। আর এ মনের থেকেই তাদেরকে ভালো বাসে তাদের ভক্ত হয়ে যায়। তাদের ছুঁড়ে ফেলবে কি?তাদের কথা শোনার জন্য অস্থির আর ব্যকুল হয়।কারন এরা তো আসলেই সত্যকথাগুলোই বলতেছে যেমন টা আসলে আমাদের "মন বা আত্মা চায়" মন থেকে চাচ্ছে তথা আত্মার মতো করেই একদম সবকিছু মিলে যাচ্ছে।আর আত্মা এতে শান্তি পাচ্ছে। ➖এদের প্রতি সত্যগ্রহনকারীদের ভালোবাসা তাদের চেহারা সূরত বা বাহ্যিক কোন কারনেই কিন্তু না।শুধু মনের সাথে মনের মিল হওয়ার জন্য।(তাদের বাহ্যিক চেহারা,সূরত,অবস্থান যেমন হোক তা নিয়ে সত্যগ্রহণকারিরা একটুও ভাবে না,তাদের নিয়ে ভাবা,তাদের কথা শোনা,তাদের কথামতো চলা বা চলতে চাওয়ার কারন একটাই তারা(তারা মানে দ্বীনের দায়ী বা সত্যপ্রচারকারী) কে ভালোবাসার একমাত্র কারন তার সত্য। আর এটা মন ভালোবাসে।মন ভালোবাসতে বাধ্য।কেননা সত্য তো মনের চাহিদা মতোই। প্রতিটি রুহ সত্য চায়।চায় শান্তি। কিন্তু মনের চাওয়া-পাওয়ার কথা একটুও ভাবি না আমরা। দুনিয়ার বাহ্যবিষয়গুলে নিয়ে এতই মন কে চাপ আর ব্যস্ততার মধ্যে রাখি তার চাহিদা,চাওয়া-পাওয়ার কথা একটুও ভাবি।সময় কোথায়? একদিকে বাহিরের সঙ্গ দ্বারা প্রভাবিত হই,ঘরের লোক, পরিবারের লোকদের দুনিয়াবী চাহিদা তা নিয়ে ব্যস্ত থাকা আবার মনেরও অবসর নেই শয়তান মনকে দুনিয়াবী চিন্তা-ফিকির দিয়ে এমনভাবে একটার পর একটা সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখে মানে কোন স্পেস এই দেয় না। আর স্পেস বা অবসর সময়ের অভাবে আমরা মনকে কোনঠাসা করে রাখি। মনের সুস্থতা,মনের কথা শোনা এবং সেভাবে চলার সুযোগ আর হয়ে ওঠে না।মন আমার কি চায়?কি করতে সায় দেয়-কোনটা করতে বলে,কোনটা করলে প্রফুল্ল হয়-কোনটা করলে অস্বস্তি পায় ইত্যাদি বিষয়গুলো কে ইনগোর করে চলি। ফলশ্রুতিতে বুঝি না।আর না বোঝা এবং বুঝমতো না চলার কারনে আমাদের সব সমস্যা। মনের কথা না শুনে,তাকে অগ্রাহ্য করতে করতে এবং মনের বিরুদ্ধ সব কাজ করতে করতে মন মরে যায়। মনের যে আলোটুক ছিলো তা নিভে গিয়ে শয়তানি সবকিছু মনে জায়গা দিতে দিতে পরবর্তীতে মন চলে যায় শয়তানের অধীনে এবং শয়তান আমাদের কে নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে।(যে আলোর মাধ্যমে আমি চলব সে আলোকে তো নিভিয়ে দিয়েছি,আলোর পরিমান বাড়ানোর জন্য কোন প্রচেষ্টা তথা যথাযথ পরিচর্যা তো করিইনি উল্টো যাও ছিল তাও নিভেয়ে দিয়েছি।এখন তো সবকিছু অন্ধকার। অন্ধকার যেসকল কিছুতে বাড়ে তাই করছি বেশি হারে ফলে অন্ধকার আরো ঘনঘোর হয়ে সবকিছুতে ছেয়ে গেছে।অন্তর টা অন্ধকারের ঘনঘটায় নিমজ্জিত ফলে অন্তর আর ভালো-মন্দ /সত্য-মিথ্যা/উচিৎ -অনুচিত কে আমাদের সামনে উপস্থাপন করাতে পারছেনা।(সে কিন্তু খুব করে চায় কিন্তু অন্ধকারের চাপে তাকে আমরা দাবিয়ে রেখেছি।) এবার আসি মূল কথায়,বুঝ হলো হেদায়েত আর হেদায়েত এই আলো।(মূলত একটা জিনিসের তিনটা নাম। নাম তিনটা হলেও মূল জিনিস কিন্তু আসলে একটাই।“হেদায়েত" মানেই “বুঝ"আর “বুঝ” মানেই হলো "আলো"। অবশ্যই সত্য বুঝ মিন করা হয়েছে যা আসে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার পক্ষ হতে) আবার, মন বা অন্তর বা দ্বীল অথবা আত্মাই হলো ❝রুহ❞।(মূলত জিনিস একটা "রুহ" তাকে ভীন্ন ভীন্ন নাম দেয়ায় আমরা ভাবি ভিন্ন কিছু।মন একটা আর রুহ বোধহয় অন্যকিছু)জেনারেলরা এসব বোঝেনা।জেনারেল শিক্ষিতরা মন চেনে রুহ চেনে না।আর এই না চেনার কারন না জানা এবং না বোঝা।আর এভাবে খুঁটে খুটে কেউ বোঝায় ও না। ⛔ ❝রুহ❞ হচ্ছে আল্লাহর তরফ হতে আসা আদেশ।তাই আমাদের রুহের কথা শুনতে হবে,বুঝতে হবে।সে কি চায়,কিসে কষ্ট পায় তাকে সবার আগে প্রায়োরিটি দিতে হবে।কেননা সে অবুঝ,অসত্য নয়।সে স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার পক্ষ হতে আসা আদেশ। ➡️আমি আমার রুহকে সবার আগে প্রায়োরিটি দিয়ে চলি।চলতে চায়ি চাই। আমার রুহ আল্লাহর কাছ হতে এসেছে সেখানেই যেতে চায় আল্লাহর কথাতেই শান্তি পায়।শান্তি আল্লাহর পক্ষ হতেই আসে। আর রুহ তো সত্য।রুহ তো আল্লাহর কাছ হতে এসেছে তার কাছেই ফীরে যেতে চায়।(রুহের স্বরুপ বুঝতে পেরেছি) আল্লাহর আদেশ পালনের দ্বারাই সে প্রশান্ত হয়।স্বস্তিতে থাকে।তার বিপরীত হলে সে যন্ত্রণায় কাতরায়,অস্তির হয়ে ছঠফটায়। আর কিছু না জানলেও বা না বুঝলেও রুহের থেকে এতটুকু সিগন্যাল পাওয়া হয় যে—এটা ঠিক না। ঠিক না যেটা-সেটা করলেই রুহ প্রশান্তি হারায়,আর ঠিক গুলো করলে সে প্রশান্তি ভরপুর হয়ে যায়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাকে রুহ দিয়েছেন এই রুহের ‘মত’ মতো আমি পরিপূর্ণরুপে চলতে চাই।আমার রুহের মত'ই আমার চূড়ান্ত মত।আর আমার রুহ টা আল্লাহ'তেই সমর্পিত। শুকরিয়া সেই মহাবিশ্বের স্রষ্টা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার নিকট যিনি সত্য এক ইলাহ,যিনি আমাকে সত্য পথের সন্ধান দিয়েছেন এবং সত্য বুঝিয়ে দিয়ে ধন্য করেছেন।যিনি আলো দ্বারা আমাকে করেছেন আলোকিত।সুমহান-সমুচ্চ আমার রব্ব। দুনিয়ার কারো কথাতেই পরিপূর্ণ প্রশান্তি লাভ হয় না। রুহটা পরিপূর্ণ হয় কেবল একজনের কথা শুনে তার কথাতেই পরিপূর্ণ তৃপ্তি পায়।আল্লাহর কথা বা বাণী ছাড়া কিচ্ছু বোঝেনা।কেননা আল্লাহর কথার মধ্যেই পরিপূর্ণ শান্তি। আমি দুনিয়ায় স্বাধীন ভাবে আল্লাহ-আল্লাহর রাসূলের মতো চলে রুহকে প্রশান্তিতে রাখতে চাই।দুনিয়াতেও আর আখিরাতেও সর্বোচ্চ স্বস্তি নিয়ে থাকতে চাই।আমি যাতে রুহ কে নিয়ে স্বাধীন ভাবে থাকতে পারি তার জন্য স্বাধীন মতো চলার একটু পরিবেশ চাই।আমাকে কেউ যেন বাঁধা না দেয়।(যার কাছে আমার অবস্থান হবে,এমন চলবো তাতে যা হওয়ার হোক কাউকে পরোয়া করবো না) আমাকে আমার ফিতরাত মতো থাকতে দিলে তবে আমি ঠিক।ফীতরাতে কেউ হস্তক্ষেপ করলে ঠিক থাকতে পারবো না।এ আমার স্বভাব।আমি রুহ-কে কুলুষিত করলে তো ঠিক-বেঠিক বুঝতে পারবো না।আর বুঝতে না পারলে কাঙ্ক্ষিতভাবে চলতেও পারবো না।রুহে দাগ লাগলে সে ভালো-মন্দ যাচাইয়ের বোধশক্তি হারিয়ে ফেলবে।এটা আমি কক্ষোনো চাই না।তাই সে যাতে ভালো থাকে সে-বিষয়ে একদম কড়াকড়ি সিরিয়াস। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বিশেষ অনুগ্রহ করে আমাকে যে আলো দিয়েছেন আমি তার যথাযথ পরিচর্যা করে,আমার সর্বোচ্চ টা দিয়ে তার কদর করে আলোর দ্বীপ্তি আরো বাড়াতে চাই যেন একদম ক্লিয়ার ভাবে পরখ করে পথ চলতে পারি।পথের কদমে কদমে রয়েছে হাজার হাজার কাঁটা।তাই আলো যত বেশি হবে কাটাগুলো তত বেশি দেখা যাবে।আর কাঁটা দেখতে পেলে তা সরিয়ে বা সাবধানে পথ চলতে পারব ইংশাআল্লাহ। আলো না থাকলে অন্ধকারে বসে তো কাঁটাই দেখতে পাবো না।পথ চলবো কীরূপে???এ আলো কোন ভাবেই হারাতে চাই না।এ আলো হারালে ঘোর অন্ধকারের অত্বলে নিমজ্জিত হয়ে যাবো।এ আলো সত্যের,এ আলো শান্তির। তাই কোনভাবেই তা নিভতে দেয়া তো যাবেই না বরঞ্চ বৃদ্ধি করার জন্য করনীয় করতে হবে সর্বোচ্চ-টা অত্যাধিক গুরুত্বের সহিত। ➡️বর্তমানে আমার যে অবস্থান তাতে আলোর প্রায় নিভু-নিভু অবস্থা।অবস্থানের পরিবর্তন মারাত্মকভাবে জরুরতে রূপ নিয়েছে।চাইলেও পারছিনা।চারপাশের চাপে,একপ্রকার বাধ্য।রুহের শান্তি যাতে হয় তা করা সম্ভবপর হয়ে উঠছেনা।একরকম বন্দিত্বের শৃঙ্খলে আটকে আছি। আমি চাচ্ছি,এর অভাবে আমার দম বন্ধ প্রায় তবে পারছিনা।(ঘরে অবস্থান,পরিবারের সঙ্গ,পরিবেশ -পারিপার্শ্বিকতার প্রভাবে হাজার চাইলেও পারছিনা) ছেলে হলে কবে যে আসহাবুল কাহাফের ন্যায় সবকিছু ত্যাগ করে পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে অবস্থান করতাম।কিন্তু মেয়ে হওয়ার সুবাদে কিছুই পারছিনা।সেইফটির জন্য কোথাও যাওয়া যাচ্ছে না।দ্বীন আর তাকওয়া নিয়ে চলতে পারছি না।মাঝে মাঝে দুআ করি আল্লাহর সাথে দূরত্ব হওয়ার যে দহন তা সয়ে মুহূর্ত অতিবাহিত হওয়ার থেকে দুনিয়া থেকে আমাকে রব্বুল আলামীন নিয়ে নিন তার কাছে।আবার ভাবি তাকওয়া নিয়ে চলার জন্যই দুনিয়া।দুনিয়াতেই চলতে হবে।পরকালে তাকওয়া নিয়ে চলার মতো কোন সুযোগ তো নাই।(পরিপূর্ণ তাকওয়া নিয়ে খুব চলতে চাই)। পরক্ষণেই দুআ পাল্টে বলি আল্লাহ আমাকে দুনিয়াতে চলার মতো সুযোগ করে দিন।আমি খুব করে চাই।আমি আমার মতো করে থাকতে চাই।কেউ আমার কোন কাজে প্রতিবন্ধক হয়ে দাড়াবে....সবাই দাঁড়াক আপত্তি নাই আমি আমার মতো করে চলার যেন একটু সুযোগ পাই। আমি যাই করিনা কেন আমার একদম কাছের জন যেন কখনোই আমার প্রতিপক্ষ হয়ে না দাড়ায়।যার কাছে আমার অবস্থান হবে সে যাতে অন্তত পক্ষে আমাকে বুঝতে চায়।আমার দ্বারা তার মতের বাহিরে কিছু হয়ে গেলেও যেন সে বোঝে বা বোঝার চেষ্টা করে যে আল্লাহর জন্যই এটা করেছি।তাই তার মতের বিরুদ্ধে হলেও যেন আমার উপর চড়াও না হয়।আমাকে সঠিক না বুঝলেও যেন আমাকে ভুল না বোঝে। সবাই বুঝুক তবে সে যেন ঠিক বোঝে।(আমার অর্ধেকদ্বীন তথা আল্লাহর পক্ষ হতে আরেকটি বিশেষ অনুগ্রহ হবেন যিনি আল্লাহর পথে আমার সাহায্যকারী)অর্ধেকদ্বীন হতেই এমনটা কামনা করি। ➡️আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল চূড়ান্ত লক্ষ্য তাই দুনিয়াবি প্রত্যেকটা কাজ সে মোতাবেক রুটিন করে নেয়া।আল্লাহর কাছে যেন সহজে হিসাব দিতে পারি।হিসেব তো দিতে পারবো না প্রত্যেকটা কথা,কাজ,সবকিছু সময়ের সাথে বন্টন করে নিলে সময়ের কাজ সময়ে হবে।আর যাইহোক সময়ের অপব্যবহার যেন না হয়।আর কতটুক করি না করি তা তো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা দেখেনই। একমাত্র আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারী।তাই আগে আগের কাজ পরে পরের কাজ। কাজ যে করবো না তা নয়।গুরুত্ব বুঝে সময় ভাগ করে নেওয়া।ঘর-সংসারের প্রত্যেকটা কাজ কখন ঘুমানো,ঘুম থেকে উঠে আগে কোনটা করা,কখন নাস্তা বানানো,কখন সবজি কাটা কখন রান্না,কখন গোসল ইত্যাদি সব ভাগ করে আউয়াল ওয়াক্ত মতো নামাজ ধরা যায়।সব প্রি-প্লান মতো।ছোট থেকে বড় প্রতিটি কাজ প্লান করে সে মোতাবেক সম্পন্ন করা হলে তা ঠিকঠাক হয়।কাজেই আমি আমার মতো করে সব ভাগ করে নিবো আমার সুবিধা মতো।কেউ এতে হস্তক্ষেপ করে কাজে ব্যাঘাত না করুক এটা চাই শতভাগ।প্রাত্যহিক কাজ ছাড়াও অতিরিক্ত কোন কাজ আসলে তাও আমি আমার মতো করে সম্পন্ন করব।কোন পরিস্থিতিকে ভয় পাই না।ফেইস করবো তবে আমার মতো করে কোনটা আগে কোনটা পরে এটা আমার মতো করেই করব।এতে কেউ অধৈর্য্য হয়ে এ নিয়ে সমস্যা পাকানো যাবে না।বুজতে হবে নিশ্চয়ই কোন কারন ছিল তাই এরূপ।আবার ভুল হতে পারে মন বিস্মৃত ও হতে পারে সেক্ষেত্রে চড়াও বা অধৈর্য্য না হয়ে উত্তমরূপে বুঝিয়ে বলা।আমাকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে।যেমন:যে লোক সচরাচর ভুল করে না, তার ভুল হয়েছে। এক্ষেত্রে ভুল দেখেই রাগান্বিত না হওয়া বা পরিবেশ নষ্ট না করে ঠান্ডা মাথায় জানতে চাওয়া এটা কি ইচ্ছেকৃতই ভুল নাকি কোন পরিস্থিতির স্বীকার।কেননা পূর্ব হতেই তো ভালোভাবে জানা আছে এ লোক কোন প্রকৃতির,কতটা বিশ্বস্ত। ⛔বর্তমানে পরিবারে থাকা আমার জন্য জেলখানা। নির্মল পরিবেশে বের হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছি।বন্দিত্বের জীবন কোন জীবন নয়।আগে নিজে বের হয়ে নিজেকে ঠিক করব অতঃপর পরিবারের জন্য। এখন পরিবারে থেকে পরিবারকে তো ঠিক করাই যাচ্ছে না উল্টো তাদের প্রভাবে আমিও ঠিক হতে পারছিনা।যেমন ঠিক আল্লাহ হতে বলেছেন।যে ঠিক আল্লাহর কাছে হবে গ্রহণযোগ্য।ওয়ামা তাওফিকি ইল্লা-বিল্লা।(আল্লাহর করা আদেশগুলো পানলের ক্ষেত্রে সবার অন্তর জুড়িয়ে যায়,তাদেরকে বোঝা,যত্ম,নিঃস্বার্থ ভালোবাসা,কার কি প্রয়োজন তা বোঝা, আবার নিষেধ গুলো বর্জনের বেলায় সবাই অপছন্দ করে,দুনিয়াদারদের অপ্রিয়,অসহ্যের পাত্রে পরিনত হতে হয়।মন্দ,অভিসাপ,কটাক্ষ, অপমান কটুকথা কিছুই বাকি রাখে না।আমি চাই উঁচু স্তরে উঠতে এরা সবাই মিলে আমাকে এমনভাবে প্রভাবিত করে যে টেনেহিঁচড়ে নিচে না নামানো অব্দি এরা ক্ষান্ত হবে না।মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত করে দেয়।(এরা হলো তারা যাদের মধ্যে দ্বীনের পাক্কা বুঝ নেই,যারা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লাকে প্রকৃতপক্ষে চিনতে পারেনি) ঠিক তার বিপরীতে প্রকৃত তাকওয়াবানরা আমার সকলকিছু তে মুগ্ধ হয় এবং খুব অনুপ্রাণিত হয়।তবে এমন মানুষদের সংখ্যা খুবই কম।একদম অপ্রতুল। মা-বাবা, ভাই-বোন আত্মীয় সবাই চায় আগে দুনিয়াদারি ঠিকঠাক করে পরে আখিরাতের ভাবনাটা ভাবি। তাদের মত মতো চলতে পারিনা বিধায়,চলি না যার ফলে ঘরে আর থাকাই যাচ্ছে না।বোঝে তো নাই,বুঝতেও চায় না উল্টো প্রতিবন্ধক হয়ে দাড়ায়।সবকিছুর ক্ষেত্রে। তারা বোঝেনা যে আখিরাত ঠিক করার দ্বারাই দুনিয়াদারি ঠিক হয়।তারা বোঝে শুধু নামাজ,কুরআন পাঠ,তাসবিহ মানে কথিত বিষয়গুলো বোঝে,প্রকৃত বিষয় বোঝেনা, বুঝতেও চায় না,জানতেও না।শুনতেও না।সোজা কথা আমাকে আমার মতো করে সর্বদিক থেকে চলতে দেয় না।আমাকে অধীন করতে চায়।কিন্তু আমি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ব্যতীত আর কারো অধীন হওয়ার নই। অধীন হলে একমাত্র তার জন্যই আর স্বাধীন হলে তাও তার জন্য।আল্লাহ কীসে খুশি হবেন।আল্লাহর দ্বীন সমুন্নত করার জন্য মরিয়া।আল্লাহর দ্বীনের মধ্যে যে ভেজাল তা যেন কেউ না বলতে পারে।আল্লাহর দ্বীন তো দ্বীন।এটাই সর্বাধিক নির্ভেজাল, নিরাপদ এটাই সত্য এটাই যেন বুঝতে পারে এবং অনুভব করে প্রকৃতপক্ষেই দ্বীনে ফীরে আসে।আমি রুহের স্বস্থি চাই আমারো আর অন্য সবার।তাই তেমন দূরদর্শী কর্ম সাধনে তৎপর।ইংশাআল্লাহ। ➡️বিয়ে করবো রুহের শান্তি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য বিয়ে করলে তাকেই করা যে আমাকে আল্লাহর প্রিয় হতে সর্বোচ্চ সাপোর্ট দিবে।কোনভাবেই প্রতিপক্ষ হবে না।স্বামী আমার অর্ধেক ওনার মধ্যে সমস্যা বা ভেজাল থাকলে উনি আমাকে পরতে পরতে ভুল বুঝবেন আর সে ভুল ভাঙ্গাতে ভাঙ্গাতেই আমি ক্লান্ত হয়ে পরব,আমার বৃহৎ লক্ষ্যঅর্জনের পথে আগাবো কী করে?বাঁধা পেতে পেতে অসহ্য হয়ে যদি দ্বিন ছিটকে পড়ি।আমি শেষ।সবাই যেমন হৌক আমি তাদের আল্লাহর জন্য ডিল করতে প্রস্তুত তবে তার আগে আমাকে ঠিক থাকতে হবে তো।আমি ঠিক হলে আমার নিজের জন্যও ভালো অন্য সবার জন্য ভালো।আমার সমস্যা হলে আমিও ঠিক নেই আর কারো জন্য কিছু করতেও পারবো না।।আর তেমন না পাওয়া অব্দি সবর ইংশাআল্লাহ। তবুও দ্বীনহীন সঙ্গী নির্বাচন করা তার সাথে অবস্থান করার মতো আতঙ্ক নিয়ে জীবন পার করতে চাই না।আমার উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি সে তা না বুঝলে ঠিক তার উল্টো করবে।পরবর্তীতে কাকে রাখবো আমি এ জটিলতায় পরতে হবে।মন থেকে চাইবো আল্লাহ কে প্রাধান্য দিয়ে চলতে ওদিকে স্বামীর মত মতো না চললে তখন আরেক বিপত্তি।আল্লাহর সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দিয়ে চললে মন ঠিক আর না করলেই মন অস্থির। এমন ছোট ছোট ইস্যুকে কেন্দ্র করে পরে বড় সমস্যা।এই ফীতনাকে ভয় পাই।তাই বিয়ে না করে থাকতে রাজি তবুও প্রকৃত তাকওয়া নেই যার মধ্যে তাকে গ্রহন করতে রাজি নই কোনমতেই নই।যখন-যতদিন- যত বছর লাগুক তবুও সবর তাও ভালো আতঙ্কিত হয়ে থাকার চেয়ে।(৭-৮ বছর ধরে চলছে সবর)। কিন্তু ইদানীং বাসার চাপে আর সবর করে থাকার উপায় নেই। হয় চাকরী নয় বিয়ে।বিয়ে বলতে তাদের মত মতো কথিত দ্বীনদার।কিন্তু আমি তাদের দেয়া দু অপশনের একটাও মানতে পারবো না।অসম্ভব। তাই উপায়হীন হয়ে এই বায়ো লিখা।তাকওয়াবান জীবনসঙ্গি খুজে পাওয়ার সর্বশেষ প্রচেষ্টা।(দেয়ার মালিক আল্লাহ)সবর করব সে সবর করার মতো জায়গা টাই এখান নাই।সর্বশেষ প্রচেষ্টা যেহেতু তাই আমার সবটা দিয়ে এখানে লিখা। আমি কেমন প্রকৃতির পই পই করে না-বুঝলে পরবর্তীতে মেনে নিতে অসুবিধা হবে তাই আগেই বুঝিয়ে দেয়া আসলেই মানসিক শান্তি,স্বাধীনতাকামী (আল্লাহর সন্তুষ্টি মত চলার ক্ষেত্রে স্বাধীন)আমলি একটু পরিবেশ কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে। ⛔এত বড় লেখার জন্য আসলেই লজ্জিত তবে নিরুপায়।মানুষ বোঝেনা। মেন্টালিটির মিল থাকলে এটা উভয়ের জন্য প্রশান্তি বয়ে আনবে।মেন্টালিটির মধ্যে পার্থক্য থাকলে মতে-মতে বেঁধে যাবে।তাই বিস্তারিত লিখে মেন্টালিটির স্বরূপ তুলে ধরলাম।(নিজের পরিজনদের কাছে থাকতে পারি না মতের বৈপরীত্যের দরুন)বি কেয়ারফুল। বিঃদ্রঃ দুনিয়াবি মানে পার্থিব কাজকামের ব্যাপারে আমি তত এক্সপার্ট নই।সবাই প্রয়োজনীয় কাজ শেষে(নামাজ কালাম,গোসল,সাংসারিক টুকিটাকি কাজে সাহায্য) অবসর সময়ে এটা-ওটা তৈরী করে হয় কোন খাবার বা অন্যকিছুর ট্রাই করে, করতে করতে একটা সময় এক্সপার্ট হয়ে যায়।কিন্তু আমি কখনো এসব ট্রাই করিনি।প্রয়োজনীয় কাজ শেষ হলে অবসর সময়ে কুরআন নিয়ে তাদাব্বুর, হাদিস পড়া,ইসলামিক কিতাবাদি অধ্যায়ন,ইসলামিক লেকচার শোনা,ভালো কাজ ইত্যাদি এসবে সময় দিয়েছি যার দরুন দুনিয়াবি প্রয়োজনীয় রান্না,খাওয়া বাদে অতিরিক্ত কোন কিছু তৈরীর যোগ্যতা আমার হয় নি।দুনিয়াদারি টুকটাক আখিরাত ঠিকঠাক এই কনসেপ্ট লালনকারী বাস্তবতায় ও অনুরূপ। তবে প্রয়োজন বুঝে ব্যবস্থা নেয়ার লোক ইংশাআল্লাহ। অলস নই,কাজ কাম রেখে অনর্থক সময় অপচয় ঘৃণা করি।হয় ঘুম,নয় কাজ,শুয়ে থাকলেও সে সময়টাকে যথাযথ কাজে ব্যবহার করি।কোন কিছু করার মত না থাকলে খুঁটে খুটে কাজ বের করে করি,পরিষ্কার -পরিছন্ন,গুছগাছ একদম পরিপাটিভাবে থাকতে পছন্দ করি এবং এতেই অভ্যস্ত।লৌকিকতা কে ভীষন ভয় পাই।আমার জীবনের সবকিছু কে ঘিরেই আল্লাহ।মাকে ভলোবাসি আল্লাহর জন্য, বাবাকে ঘৃণা করি আল্লাহর জন্য,প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আল্লাহ।নিজের ঘরেও থাকি না আল্লাহর জন্য।ঘরে চোখের সামনে সরাসরি আল্লাহর নাফমানিমূলক কাজ সহ্য করতে পারি না।সৎ কাজের আদেশ-অসৎকাজে নিষেধ করার জন্য বাবার ঘরে ঠা-ই হয় না।একে তো আতঙ্কে থাকি হারাম খাবার পেটে ডুকে পড়ে কি-না।তার উপর আবার কুরআন হাদিসের সঙ্গে আপোষ করে থাকতে হবে।চুপ করে থাকার উপায় নেই।হয় হারাম বা আল্লাহ'র নাফরমানিকে প্রোমোট করো নয়তো ঘর ছাড়ো।দিবালোকের ন্যায় সবটা স্পষ্ট জানা-বোঝা সত্বেও কুরআন-হাদিসের সাথে আপোষ করে কীভাবে থাকি।পারি-না।(কুরআন-হাদিসের সাথে আপোষ করে চলতে পারিনা বিধায় বাড়িতে স্থায়ীভাবে থাকা হয় না,থাকতে পারিনা।আপাতত বোনের কাছে থাকতেছি,তবে বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে থাকতে হয় পরিক্ষার কারনে এটা খুব কষ্টকর তবে সবরের পরিক্ষা) পারিবারিকভাবে বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে বিয়ে করাটা খুব জরুরত তবে একজন তাকওয়াবান জীবনসঙ্গীর থেকে বেশি না।রুহের কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা আমার নাই।আমি আল্লাহকে ভয় পাই। ⚠️আমি যে কোন ধরনের মানে এই জামানায় থেকে সেই সাহাবি আজমাইনদের মত করে পুরোপুরি থাকতে চাওয়া-চলতে চাওয়া একটা অদম্য আত্মা।যার সবটা জুড়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা। আল্লাহর দয়া প্রার্থী সেকারনে তদ্রূপ কর্ম।পক্ষান্তরে আল্লাহর শাস্তিকে সর্বোচ্চ ভয় করনেওয়ালি। আল্লাহকে খুশি করতে পারলে আমি সাকসেস,আর আমার আল্লাহ নারাজ হয়ে গেলে আমি শেষ।আমার ধ্বংস অনিবার্য।কেউ বলতে পারেন,আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু তাই এত কঠোর এবং সিরিয়াস হওয়ার কিছু নাই তাকে বলছি আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু,সব জেনে বুজে এই রবের দয়া পাওয়ার জন্য সর্বো চেষ্টাটুকুও কি করবো না?আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তো দেখেন শুধু প্রচেষ্টা।তার জন্য কতটুকু প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।দুনিয়ার মানুষ যা গন্যই করে না এমন শতশত বিষয় আছে যার ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর প্রচেষ্টা গুলোও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার কাছে খুবই দামী বলে গণ্য হবে।আমি আমার সর্বোটুক দিয়ে করে তবেই তো রবের রহমের পরিপূর্ণ আশা করবো ইংশাআল্লাহ।আর এ তো এমন রব্ব, এমন এক আল্লাহ যার বাণীতে শান্তি ছাড়া আর কিছু নাই।যার বাণী তথা কথামতো চললে শান্তির ঝর্ণা বয়।এ এমন এক ইলাহ যার সন্তুষ্টি অর্জনের পথের সুযোগ কোন অবস্থাতেই হাতছাড়া করা বিচক্ষণ ব্যক্তির কাজ হতে পারে না।দুনিয়া-পরকালের সবথেকে আপন, সব থেকে নিকটতর হিতাকাঙ্ক্ষী। এই রবের মতকে অগ্রাধিকার দিয়ে চললে পার্থিব জীবনেও শান্তির ফল্গুধারা বনাম আখিরাতে যে কি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি। 📌এত বিস্তারিত বলার কারন একটাই আমি যে টাইপের, যে প্রকৃতি বা স্বভাবের তেমন না হলে কোন অবস্থাতেই ভিন্ন মতাদর্শের কাউকে গ্রহণ করতে পারবো না।ঠিক একদম আমার মতাদর্শের একজন।তার আত্মা আমার আত্মা মিলে যেন একাত্মা হতে পারি।আমার রূহের জন্য অস্বস্তি হবে, রূহের আতঙ্কের কারণ হবে এমন ব্যক্তি থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। ➡️ পর্যাপ্ত ধীরস্থীর সময়ের অভাব এবং মানসিকভাবে চাপের মধ্যে থাকায় গুছিয়ে লিখতে পারিনি।তবে, আধ্যাত্মিকভাবে প্রখর দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তি মাত্রই বুঝবেন এত কথা লিখার সারসংক্ষেপ। ঠিক-কোন বিষয়গুলো হাইলাইট করতে চেয়েছি। লিখা বড় হওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। বিঃদ্রঃ উদ্দীপক আকারে তুলে ধরেছি তাই উক্ত লেখার মূল ফোকাস বোঝার জন্য হিকমাহ অপরিহার্য।আর আমার কংসসিএনটিউস যে, মিথ্যাচার,ভন্ড,বিদয়াত,কুসংস্কারমুক্ত তা বিজ্ঞজন মানেই ধরে ফেলবেন।ইংশাআল্লাহ।
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন প্রবাসী/ প্রবাসী বিয়ে করতে আগ্রহী
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? হানাফি
নজরের হেফাজত করেন? (Required) হ্যা
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? আলটিমেইট গোল আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার সন্তোষভাজদের একজন হওয়া/একটি পরিশুদ্ধ কলব বা অন্তর নিয়ে আল্লাহর সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার সাথে সাক্ষাৎ।🟥 আল্লাহর প্রিয়দের কাতারে শামিল হওয়া এর জন্য যাবতীয় সকল ক্ষেত্রে তদ্রূপ হওয়ার তামান্না রাখি ইংশাআল্লহু আজীজ।হাফেজা-আলেমা হতে পারিনি তবে হওয়ার দৃঢ় আকাঙ্খা লালন করি।সন্তানদের তদ্রুপ গড়া ইংশাআল্লহ।দ্বীনি তরবিয়ত এ গঠন করব সন্তানদের তাদের মূল অভিভাবক“আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা "কে চিনিয়ে দেয়া এবং বুঝিয়ে দেয়ার বিষয়ে সর্বাধিক প্রচেষ্টা করব ইংশাআল্লাহু আজীজ।আল্লাহর আদেশনির্দেশ পালন করার বাস্তবতা স্বীয় পিতা মাতার মধ্যে দেখে যেন তারা শিখতে পারে,বুঝতে পারে অতঃপর কিতাব(কুরআন) পড়ে ও বুঝে এর সত্যতায় নিশ্চিত হয়ে নিজেরাও যেন তেমন হতে পারে।বাস্তবতা এবং কিতাবে একই দেখতে পাবে যার ফলে তা অনুকরণে উদ্বুদ্ধ হবে।কেননা এখানে কোন দু-ই পাবে না।ফলে স্বতঃস্ফূর্ত হয়েই তারা সত্যের প্রতি প্রলুব্ধ হবে।তা-ই আগে তো তেমন মা বাবা হতে হবে আমাদের।নিজেরা ভালো না হয়ে কোন অবস্থাতেই ভালোর আশা করতে পারি না।অন্তরের একনিষ্ঠ প্রতিটি নেক মনোবাসনা সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ওয়া অবহিত রব্বুল আলামিন কবুল করুন।
অবসর সময় কিভাবে কাটান? (Required) কুরআন তেলাওয়াত শোনা,সৃষ্টি অথবা নিদর্শন নিয়ে চিন্তা ফিকির করা,কুরআন তাদাব্বুর সহ পড়া, লেকচার শোনা,বই পড়া,সৎকর্ম সম্পাদন,ঘুম,ওয়ানলাইন-অফলাইনে দ্বিনী মাশোয়ারা ইত্যাদি।রুহের শক্তির যোগান হয় এসবের মাধ্যমে।ইংশাআল্লাহ।
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? (Required) সাংসারিক কাজে সাহায্য করা হয়,আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ-খবর নেয়া(মোবাইলে)সাধ্য হলে প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা এবং প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালন,সন্তান পালন(বোনের ছেলেকে লালন-পালন করি) ইত্যাদি।
নারী-পুরুষ সমঅধীকার বিষয়টাকে আপনি কিভাবে দেখেন? (Required) আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার বিধান তিনি যেরূপ দেখতে বলেছেন সেরূপ।রবের বিধান এর উপর আর কার বিধান আছে? আমার রব্ব যেভাবে দেখতে বলেছেন ঠিক সেভাবে-ই দেখি।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা নারীদের কে দিলেন ঘরের দায়িত্ব,আল্লাহর দেয়া দায়িত্ব কত ইনসাফপূর্ণ,শান্তিময়।তা রেখে নারী বাইরে। আল্লাহর বিধানের বাইরে গেলেই বিপদ বুঝে আসুক বা না আসুক।মানুষজন যদি আল্লাহ-আল্লাহর রাসূলের দেয়া বিধান জানতো ও বুঝতো কত'ই না উত্তম হত।
বিয়ে সংক্রান্ত তথ্য
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? জ্বি।
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? 📌আল্লাহর পক্ষ হতে দুনিয়ায় একজন সহায়তাকারী প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে,অর্ধেক দিন পূরণ। হালাল রিজিকের নিশ্চয়তা পেতে-অর্ধেকদিনের সাহায্যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার আরোও নিকটবর্তী হওয়া,একটি হালাল বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া,সাদকায়ে জারিয়ার ধারা বহমান রাখা,খাস-পর্দার নিশ্চয়তা,আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ক্ষেত্রে সহায়ক,আল্লাহর ক্রোধ থেকে বেচে থাকতে সাহায্যকারী ইত্যাদি। ➡️কে কোন কারনে বিয়ে করে তা জানি না,জানতে চা-ই ও না।আমি কেবল আমার জরুরত বা অন্তরের একনিষ্ঠ নিয়ত ব্যক্ত করলাম।দুনিয়া -আখিরাতে শান্তিতে থাকতে চাই।দুনিয়াতেও রুহের স্বস্থি নিয়ে দিনাতিপাত করতে চাই আর পরকালেও রুহের স্বস্থি চায়ি চাই.....ইংশাআল্লাহু আজীজ। ➡️রুহের শান্তি সবারই কাম্য।সেইম মতাদর্শের হলে সহজ হয়।গন্তব্য একটা আর পথও একটা।তার পথও যা আমার পথও তা-ই কাজেই কণ্টকাকীর্ণ পথে সাহায্যকারী থাকলে সে পথ মাড়ানো খুবই সহজ হয়ে যায়। আর কিচ্ছু না হলেও মানসিক সাপোর্ট পাওয়া যায়। আর এটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি কি বিয়ের পর চাকরি করতে ইচ্ছুক? কখনোই না।
বিয়ের পর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান? (ছাত্রী হলে) অনার্স কমপ্লিট করতে চাই,শুধু ইয়ারফাইনাল পরিক্ষা দিবো।আর ওইরকম সুযোগ হলে তো যত দ্রুত দুনিয়ার অনর্থক ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে পারবো ততই মঙ্গল আমার জন্য। আমি সে ফিকিরেই রয়েছি।তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ।দ্বীন তথা সত্যের জ্ঞান অর্জন করার জন্য উদগ্রীব। না জানলে মানবো কীভাবে। মানার জন্য তো আগে জানতে হবে।আরবি শিখব একান্তই একনিষ্ঠ ইচ্ছে। শুধু যেন ঐশীবাণী বুঝতে পারি।আর অর্থ জানলে অর্থ বুঝে পড়লে হিফজ সহজে হয়ে যাবে ইংশাআল্লাহু আজীজ। যেকোন কিছুই বুঝে পড়া হলে তা অন্তরে গেঁথে যায় এবং মিনিং জানা থাকলে মুখস্থ অধিকতর সহজ হয়। তাই হিফজ পরে অনেক যদি আল্লাহ চান তো সন্তানকে প্রতিযোগি করে তার সাথে সেও আমিও শিখবো।আমি তার সাথি হবো।তবে এখন ফোকাস আরবির উপর ইংশাআল্লাহ।জানি না জানার"জ" ও(আরবী সংক্রান্ত কিছুই জানিনা) সেখানে এত বড় বড় স্বপ্ন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য যে পরিবেশ প্রয়োজন সেটা সবার আগে নিশ্চিত করতে আমার সহায়তা কারী হতে হবে ইংশাআল্লাহু আজীজ।সত্য জ্ঞান অন্বেষণ অব্যহত থাকবে আমরণ ইংশাআল্লাহ।
বিয়ের পর চাকরি চালিয়ে যেতে চান? (চাকরিজীবী হলে) না।
বিয়েতে কেমন মোহরানা নির্ধারন করতে চান? ছেলের সাধ্যমত আলোচনা সাপেক্ষে
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? গায়ের রং ও জেলা
আপনার স্বামীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? একজন নারীর উপর আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল যে সমস্ত দায়িত্ব অর্পণ করেছেন সে-সমস্ত দায়িত্ব পালন করা আমার কর্তব্য।স্বামী আমার জন্য সহজ হবেন আশা করি ইংশাআল্লহ্ তাহলেই পারব।তামান্না আছে বৃহত্তর,চক্ষুশীতলকারী/হৃদয়শীতল করার চেষ্টায় রত থাকব ইংশাআল্লহ্।মতাদর্শ, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এক হলে সবক্ষেত্রে হৃদয়জুড়িয়ে যাবে। ভীন্ন মতাদর্শের হলে আল্লাহু আলম,আগে আল্লাহর সন্তুষ্টি পরে বাকিসব।বিঃদ্রঃ স্বামীর প্রতি দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন না হলেও আল্লাহর পক্ষ হতে নাযিলকৃত দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন।স্বামীও যেন সেইম সচেতন মতাদর্শের হোন সে বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদী।ইংশাআল্লাহ।
বিয়ের পর কোথায় থাকতে চান? স্বামীর বাড়ি
যেমন জীবনসঙ্গী আশা করেন
বয়স (Required) ২৪-৩০+
গাত্রবর্ণ যেমন হোক
নূন্যতম উচ্চতা ৫'৫"-৫'৫"+
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা একাডেমিক পড়াশোনার সার্টিফিকেট একটুও গুরুত্বপূর্ণ নয়।যেমন হোন।তবে বিশুদ্ধ কুরআন মাজিদের অনুবাদ তাদাব্বুর সহ অধ্যায়ন করেছেন,(ইলম অন্বেষণকারী বা অন্বেষণে রত আছেন)হলেই যথেষ্ট।ইসলামিক বই পড়ুয়া।দ্বীনি ইলম অর্জনের প্রতি তীব্র ঝোঁক এমন মানসিকতার।কুরআন যার অন্তরের মূল খোরাক।যে কুরআনের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত(পড়ে ও বুঝে)।
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত/সর্ট ডিভোর্স।
জীবনসঙ্গীর দাড়ি বা ইনকাম সম্পর্কে যা চান- (Required) যিনি আল্লাহ কে খুঁজে পেয়েছেন তাঁর মুখে দাঁড়ি উঠবে না তা কি করে হয়?যিনি আল্লাহর সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির বিষয়ে সজাগ হয়ে গেছেন তিনি আল্লাহর কাছে স্বচ্ছ থেকে প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে সক্ষম হলেই যথেষ্ট।
পেশা (Required) অবশ্যই হালাল ইনকাম,কর্মঠ,পরিশ্রমি,পেশা যাইহোক।
অর্থনৈতিক অবস্থা মধ্যবিত্ত।
পারিবারিক অবস্থা (Required) যেমন হোক,জাওজ আমাকে পরিপূর্ণ দ্বিনি পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলেই যথেষ্ট।
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন বলে-কয়ে শর্তারোপ করে কখনো মনোসঙ্গী বানানো যায় না বা হয় ও না। মনের সঙ্গী তো হয় সে যার মনের সাথে মন মিলে যায়।পরস্পর একে-অন্যকে বোঝে বা অনুভব করে।আমিও ঠিক তেমন মনোসঙ্গি কামনা করি জীবনসঙ্গিকে। 📌আমার সম্পর্কে পড়া বা জানার পর তার মধ্যে নিজেকে আয়নাস্বরূপ দেখতে পেয়েছেন কি??অন্তরের সাথে অন্তরের মিল আছে? চূড়ান্ত লক্ষ্য এবং সেভাবে পথচলার বিষয়ে এক মত হওয়া যায়?? জীবনসঙ্গী-মনোসঙ্গী হিসেবে যেসব বৈশিষ্ট্য আশা করি, আশা নয় শুধু চাই'ই চাই ইংশাআল্লহ; আসলেই প্রকৃত তাকওয়াবান+উত্তম আখলাক/উত্তম চরিত্র।(উত্তম আখলাক বলতে কারো সাথে হারাম রিলেশন নেই বা ছিলোনা এমন টা কিন্তু না। উত্তম আখলাক বলতে;আচার-আচরণ,চাল-চলন,পরিষ্কার-পরিপারি ব্যক্তিত্ব্য,অতিথিপরায়ন,সৎ,সত্যবাদি,মিতব্যয়ী,অন্তর টা নরম-কোমল,একজন ভালো শ্রোতা,মানবতা খুব করে,সমব্যথী,সহযোগী ইত্যাদি)আল্লাহর হক-বান্দার হকের বিষয়ে পূর্ণ-সচেতন। হিকমাহ-প্রজ্ঞাবান ও আল্লাহভীরু একজনকে আশা করি। আসলে সব দিক আছে যার মধ্যে পূর্ণ তাকওয়া আছে।কাজেই এত এত চাহিদা দেখে হতবাক হবার কিছু নেই।ইংশাআল্লহ। ইসলামিক বই পড়ুয়া,দৃষ্টির হেফাজত কারী,আল্লাহর খুশি-অখুশি কে প্রাধান্য দিয়ে চলেন।এক্ষেত্রে নো কম্প্রোমাইজ। রুহের সুকুন(মনের শান্তি) আগে যার কাছে প্রায়োরিটি পায়, যিনি আমাকে খুঁজে পাওয়ার আগে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লাকে খুঁজে পেয়েছেন। মোদ্দা কথা:কুরআনুল কারীম যার লৌকিকতা কিংবা বাহ্যিকতা নয় বরং বাস্তবতা।ইংশাআল্লাহু আজীজ। খুব চাই এই মতাদর্শের জীবনসঙ্গীকে।তাই তো পথ চেয়ে সবর করে যাচ্ছি।রব চাইলে অবশ্যই পাবো ইংশাআল্লহ। 📌খোদাভীতি,ইলম এবং আমল সবটার আশা করি।ইংশাআল্লাহ।পরিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে আল্লাহর সাক্ষাৎ প্রাপ্তি যার প্রধান লক্ষ্য এবং লক্ষ্যানুযায়ী কর্মেও বহাল আছেন।ইংশাআল্লাহ।
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? (Required) প্রকৃত খোদাভীরু(আল্লাহর ভয়ে তটস্থ)আখলাক সম্পন্ন,গায়রতবান (ব্যক্তিত্ববান,ব্যক্তিত্বের মোহে মোহিত হওয়ার দৃঢ় আশা রাখি)একজন প্রাকটিসিং এর জন্য বাংলাদেশের যেকোন জেলা ইংশাআল্লাহ)
অন্যান্য তথ্য
পেশা সম্পর্কিত তথ্য (Required) অবশ্যই হালাল পেশা হতে হবে।প্রয়োজনবোধে দ্বীনমজুর হবেন তবুও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার অ-সন্তুষ্টিমুলক কোন পেশা কিংবা চাকরিতে অবস্থান করবেন না।
বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান এমন কারো আশা করি যিনি ক্বলবের হেদায়েত প্রাপ্তা।যার হেদায়েত এর উছিলা দুনিয়াবী কোন মাধ্যম নয়,স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার পক্ষে হতে দিকনির্দেশনা প্রাপ্ত,(কোন ভয় অথবা স্বপ্নের মাধ্যমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার ভয় ক্ললবে অনুপ্রবেশ করেছে এবং এখান থেকে যিনি আল্লাহর রাজি-খুশির জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছেন এবং এভাবে চলার জন্য যিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার নিকট।) আমার সমস্যা:১।খুব বেশি ব্যক্তিত্ব্যবান(আত্মসচেতন অর্থাৎ আত্মা বা মনের দিক থেকে খুব বেশি সচেতন) আবার আল্লাহর জন্য একদম অনাড়ম্বর,অতিসাধারণ। ২।দুনিয়ার মাপকাঠিতে আমি একটু সর্ট, এতে আমার কোন হাত নেই।দুনিয়ায় একটু অপূর্ণতা হয়তো।(আগে আমার নিজের কাছেই খারাপ লাগতো সবদিক থেকে দিয়েও আবার একটুর জন্য অপূর্ণ রেখে দিলো,আমার ভাবনা যে এই একটা দিক আমার মধ্যে থাকলে আর হয়তো কোনকিছুর জন্য দুনিয়ায় আফসোস হতো না,আমার জাওজেরও এটা নিয়ে একটু খারাপ লাগবে,এদিক টা থেকে হয়তো সে আমাতে পরিপূর্ণ মুগ্ধ হতে পারবে না।তবে এই সর্ট বানানোর পিছনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বিশেষ অনুগ্রহ রয়েছে। এটা আমার মধ্যে থাকলে হয়তো জীবনের মোড় অন্যদিকে ঘুরে যেতো,যে মোড় বা জগৎ থেকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা কে পাওয়া বেশ কঠিন ছিলো(দুনিয়ার মিথ্যা মোহে পড়ার আশঙ্কা ছিল প্রকটভাবে।মিডিয়ার জগৎ এ প্রায় ডুকতে যাচ্ছিলাম শুধু এই সর্ট হওয়ার কারনে মনের মধ্যে সংকোচ কাজ করত আর কেমন যেন, জড়তা ছিল প্রচুর তাই ওই বিপথ থেকে এই উছিলায় ফেরা হয়েছে।যদিও হালকাভাবে বুঝতাম ঠিক না,ইমান ও পরকাল সম্পর্কে পাকাপোক্ত জ্ঞান না থাকার জন্য আরো দুনিয়ার মোহ,সবার অনুপ্রেরণা প্রভৃতি সবকিছুকে উপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত পাল্টে নিয়েছিলাম এই একটা কারনে। কারো কথার দ্বারাই প্রভাবিত হই-নি ব্যক্তিগত সংকোচের কারনে)আবার সবদিক থেকে পূর্ণ হলে মনের মধ্যে অহংকার চলে আসার সম্ভবনাও ছিল প্রচুর।যা দুনিয়ার দিক থেকে ভালো মনে হলেও সত্যিকারের জীবনের জন্য ছিল চরম হুমকি স্বরূপ।(জাওজের চিন্তার কোন কারন নেই,আমার মতো করে স্বাধীনভাবে আমাকে থাকতে দিলে,আমলের উপযোগী একটা পরিবেশ দিলে আমার ইন্টারনাল সৌন্দর্যতেই সে মুগ্ধ হবে যদি সে ইন্টারনাল সৌন্দর্য জাজ করার মতো বিচক্ষণ ব্যক্তি হয়।ইংশাআল্লাহু আজীজ।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা একদিক থেকে কম দিলে আবার অন্যদিক থেকে ঠিকঠাক দিয়ে দেন যাতে মানিয়ে চলা যায় ইংশাআল্লাহ) (আল্লাহ মাফ করুন,শত শত নিয়ামতের মধ্যে এ কিছুই না,জান্নাতে সকল অপূর্ণতা পরিপূর্ণভাবে পূর্ণতা পাবে ইংশাআল্লাহ)আমার থেকে নিচে যারা আছে তাদের দেখে এখন আর কোন আফসোস নেই।শুধু শুকরিয়া, শুকরিয়া আর শুকরিয়া আর অবনত হই লজ্জায়) চোখ ধাঁধানো রূপ নেই আবার একদম জঘন্য কুৎসিত ও নই।(একটা সময় ছিল;তবে এখন জান-প্রাণ সতেজ রাখার তাড়নায় বাহ্যিকতা অর্থাৎ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার দেয়া ন্যাচারাল যে দান ছিল,তা স্বাভাবিকত্ব হারিয়েছে।বাহ্যিকতা ঠিক রাখতে গেলে রুহ ঠিক থাকেনা।তাই রুহ ঠিক রেখে বাহ্যিকতা ঠিক রাখবো এরূপ পরিবেশ/পরিস্থিতি নেই।কাজেই এখন বাহ্যিকতার করুন দশা তবে ইংশাআল্লাহ। উপযুক্ত পরিবেশ পেলে তা দয়াময় রব্ব অচিরেই পরিবর্তন করে দিবেন) #মা বাবা একসাথে নেই এবং বাবা দ্বীনহীন।যদিও হেদায়েত আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার হাতে তাছাড়া অজ্ঞাতা-অনাগ্রহীতাও একটি প্রধান কারন।ভ্রান্ত-আকিদায় অধিক বিশ্বাসী(আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তাঁর রহমের চাদরে আবৃত করুন এবং বাবার ক্বলবে প্রকৃত হেদায়েত এর নূর ঢালুন।আমীন) 📌কথিত গার্ডিয়ানগন বহু পূর্বেই তাদের অভিভাবকত্ব হারিয়েছে।আমার গার্ডিয়ান কিন্তু “স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ”।সো বি কেয়ারফুল। প্রকৃত গার্ডিয়ান/অভিভাবকের কাছে কিছু আশা করলে কিছু প্রাপ্তি হয়তো হতে পারে।তবে কথিত গার্ডিয়ানদের কাছ থেকে কিছু পেতে চাইলে ধোঁকা খেতে হবে। বিশেষ সতর্কতা:শুধুই প্রকৃত তাকওয়া এবং উত্তম আখলাক কে প্রাধান্য দিয়ে থাকলে তবেই নক করবেন।দুনিয়াবী মোহ থাকলে আশাহত হতে পারেন।আর প্রকৃত তাওয়াবান ছাড়া কেউ নক করবেন না। ওয়াল্লাহি!যিনি দ্বীনদার জীবনসঙ্গীর গুরুত্ব রাখেন এবং নিজেও তদ্রুপ, তিনিই নক দিবেন।(মুনাফেকি থেকে হেফাজত করুন রব্বুল আলামিন) 📌উত্তম একটা ইবাদত গৃহ প্রদানের নিশ্চয়তা দিবেন,পরিপূর্ণ খাস পর্দার পরিবেশের নিশ্চয়তা দিবেন(আল্লাহর ভয়ে যিনি তার আহলিয়াকে অন্তঃপুরবাসিনী করে রাখবেন)।আমার অন্তর যেন ঠিক থাকে সেজন্যে আমাকে সহায়তা করবেন।পর্যাপ্ত ঘুম,রুহের খোরাক ঠিক রাখতে তিনি আমাকে সর্বোচ্চ সাহায্য করবেন।অন্তর ঠিক থাকলে আমার থেকে সর্বোচ্চ ভালোটা পাবেন আশা করা যায় ইংশাআল্লহ এই মানসিকতার থাকলে এবং এমন কারো প্রত্যাশা করলে তবেই নক করবেন।অনর্থক নক করা থেকে দূরে থাকুন।(আল্লাহুম্মাগফীরলি) বিনয়ী পাবেন তবে আল্লাহর থেকে দূরে সরাতে গেলে সমস্যা। আমি নিজেই ঠিক নেই তো এমতাবস্থায় অন্যদের সাথে ঠিক কতটা বিনয়ী হতে পারবো তার কোন নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। বিঃদ্রঃ জন্মসাল শিউর নই,এখানে দিতে হচ্ছে তাই দেয়া(বয়স ২২ বা এর কাছাকাছি তার বেশি হবে না)প্রাইমারি তে ক্লাস গ্যাপ গেছে যার জন্য একাডেমিক পড়াশোনায় অনেক টা এগিয়ে।জীবন-সঙ্গীর কি-কি বিষয় ছাড় দিতে ইচ্ছুক ওটা অপশনাল ছিলো তাই এখানে বলছি বিস্তারিত:একটু লম্বা(দুনিয়াবী চাহিদা)আর কিচ্ছু নয়। (রিয়েলিটিতে প্রপোজাল আসে ৫' ১০"+সব আশে। কি -চাই? দুনিয়ার বাহ্য দৃষ্টিতে,যারা বুঝমান তারা নেয়ার জন্য উদগ্রীব কিন্তু আমি যা চাই তা নাই)[জাগতিক দিক থেকে সামান্য সর্ট হওয়ায় অনেকে মনে করতে পারে এটা বুঝি আমার বিয়ে না হওয়ার কারন,আবার অনেকে ভাবতে পারে আমার বাবা-মা সম্পর্কহীন হওয়ায় বোধ হয় আমার দূর্বলতা রয়েছে,কিন্তু এটা মোটেই সঠিক ভাবনা নয়।রিয়েলিটি-তে আমার ( আমার বলতে কিচ্ছু নাই।আল্লাহর দেয়া বিশেষ অনুগ্রহ) হিকমাহ-প্রজ্ঞা, আখলাক,তাকওয়ার বহিঃপ্রকাশ এর সামান্য কিছু লক্ষ্য করার সুবাদে আর কোন কিছু কেউ সন্ধান করে না।নেয়ার জন্য উদগ্রীব। কিন্তু আমি তো যার তার সাথে চাইলেই যেতে পারিনা।আমার তাকওয়া আমার স্বামীর পরিবার আর বাবার বাড়ির পরিবারের জন্য নয় এ তাকওয়া সব ক্ষেত্রে, সর্বজায়গায়,এখন সবাই আমাতে মুগ্ধ হলেও তাদের অধীনে থেকে যখন তাকওয়ার বাস্তবায়ন করবো তখন'ই বেধে যাবে। যারা না বোঝে তাদের কাছে তখন আমার তাকওয়ার জন্য করা কাজ অতিরিক্ত/বেশি বাড়াবাড়ি মনে হবে।আমাকে ডিরেক্ট-লি অনেকে প্রপোজ করে আলিশান বাড়ি,গাড়ি,ইত্যাদি,দুনিয়ার শান্তি চাইলে বাবার ঘরেই দিব্যি ভালো থাকতে পারতাম।সেই বাবার বাড়ির বাহ্যিক শান্তির প্লেটে ভাত রেখে,যাযাবরের ন্যায় বাস করি,বাবার বাড়িকে ভয় পাই,যেতে চাই না ভুলেও।বাবার বাড়ি যেতে চাইনা অথচ মানুষের বাড়ি কাজ করে দাসীর জীবন ও শ্রেয় মনে করি। দ্বীন চাই দ্বীন পরিপূর্ণ অতঃপর দুনিয়াবি বিষয়।সবকিছু পাই কিন্তু প্রকৃত সেই কাঙ্ক্ষিত দ্বীন পাই না বিধায় কাউকে একসেপ্ট করতে পারিনা, কত গার্ডিয়ান আমাকে নেয়ার জন্য ব্যাকুল,তাদের কে নিরাশ করেও দিতে কষ্ট লাগে,কেননা আমি যে দ্বীন পালন কারী তা সবাই সহ্য করতে পারবে না।যার মধ্যে প্রকৃত আল্লাহর ভয় ও কুরআন রয়েছে পূর্নাঙ্গরূপে সেই আমাকে চিনবে ও বুঝবে।এছাড়া কেউ আমাকে চিনবেও না আর বুঝবেও না। ক্লিয়ার কথা:যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লাকে চিনতে-জানতে ও বুঝতে পেরেছে,সেই আমাকে চিনবে।যে আল্লাহকে চেনে-নি সে আমাকেও চিনতে পারবে না।আল্লাহকে অচেনা-অজানা ব্যক্তির জন্য আমি অকর্মার ঢেঁকি/অপদার্থ। 📌ইমান-আমলের দিক থেকে প্রকৃত সম্পদশালী অবশ্যই চাই।দ্বীনদারিতা (তাকওয়া+উত্তম গুনে গুণান্বিত) ঠিক রেখে অন্যান্য সবক্ষেত্রে ছাড় দিতে ইচ্ছুক ইংশাআল্লহ।(যার মধ্যে সত্যিকারের কাঙ্ক্ষিত সেই দ্বীন রয়েছে তার মধ্যে সব আছে,অবশ্যই আছে) দ্বীনের ক্ষেত্রে ছাড় দিতেই পারবো না।কেননা আমি যে টাইপের সে টাইপের না হলে কখনো ম্যাচ করে থাকতে পারবো না।ঘরে সব থাকা সত্বেও ঘরে থাকতে না পারার কারন একটাই মতে মতে বিরোধ তথা মতের বৈপরীত্য। আমি প্রকৃত তাকওয়াবান তার বিপরীতে তারা তাকওয়া সম্পর্কে একদম উদাসীন।তারা না চলুক না বুঝুক তাতে সমস্যা নয়,সমস্যা আমাকে আমার মতো চলতে না দেয়ায়।এই ভয়ংকর(আবারো সেই তাকওয়াহীন অর্ধেকদ্বীনের সাথে অবস্থান করার)সিচুয়েশনের মধ্যে আর প্রবেশ করতে চাই না।কোন-অবস্থাতেই না। 🚫বায়োতে এ টু জেট লিখে দেয়া এবং বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি(সোস্যাল ফোবিয়াগত সমস্যা থাকার দরুন ফোনকলেও এত বিস্তারিত বলা সম্ভব না। আবার বারংবার মেইলে টেক্সট আদান-প্রদান করে লিখাও অসম্ভব)। এরপরেও কেউ যদি কোন বিষয় সম্পর্কে একান্তই জানতে আগ্রহী হৌন তবে মেইল এ ডিরেক্টলি প্রশ্ন করবেন। আর কোন প্রকার ছবি বা ভিডিও কলে কথা বলা এসব চলবে না।কেননা ছবি বা ভিডিও কলে রিয়েলিটির থেকে বহুগুণ বেশি ভালো দেখা যায় যা দেখামাত্র যে-কেউ দৌড়ে আসতে চাইবে প্রকৃতার্থে বাস্তবে দেখে পছন্দ হওয়ার সম্ভবনা খুবই ক্ষীণ।একান্তই কেউ যদি বায়ো পড়ে এবং বুঝে অগ্রসর হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করেন সেক্ষেত্রে তাকে একটু কষ্ট করে রিয়েলিটি-তে দেখতে হবে।যদি পছন্দ হয় তারপরে কথা আর না হলে ওখানেই সমাপ্ত। (আমার জাওজ ছাড়া আর কোন পুরুষ আমাকে না দেখুক রব্বুল আলামীন কবুল করুন) ⚠️দুনিয়ায় আমার ব্যক্তিগত দূর্বলতার জায়গা একটাই ;আল্লাহ। সবকিছুর জন্য এখানে এসে ঠেকে যাই।আমিও তদ্রুপ চাই।আমার অর্ধেকদ্বীনের দূর্বলতাও যেন এই একটা জায়গাতেই থাকে।সেও যেন শুধুই আল্লাহর কাছে ঠেকা থাকে সর্বত্র,সবকিছুর জন্য। তার আর আমার উভয়ের মানদন্ড বা স্ট্যান্ডার্ড হওয়া চাই শুধুই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা।ইংশাআল্লাহ। 📌📌সবার কাছে সব দিক থেকে ঠকলেও এই একটা দিক থেকে ঠকতে কোনভাবেই ইচ্ছুক নই।না!মানে না!কোনভাবেই না! দুনিয়ায় সর্ব দিক থেকে অযোগ্য(রূপসৌন্দর্য্য,সু-উচ্চ বংশ,সম্পদশালী,ভালো পরিবার, সামাজিক অবস্থান,অনেকবেশি আমলদার,অন্যান্য)এইসব দিক যাদের মধ্যে আছে তাদের জন্যেও আমি উপযুক্ত নই।তবে যে/যার অন্তর শুধুই আল্লাহর কাছে ধরা তার জন্যই কেবল পারফেক্ট।ইংশাআল্লাহ। ⛔আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার কাছে তার সকল প্রকার সৃষ্টির অনিষ্ট হতে পানাহ চাই (মাযাআল্লাহ)। সবাই আমার হেদায়েতের পূর্ণতার জন্য আন্তরিকভাবে দুআ করবেন(ওত বেশি আমলদার নই,ফরজ আমল নিয়েই টানাটানি।কাজেই,আহামরি কিছু ভেবে থাকলে ভুল করবেন)। সকলের নিকট আন্তরিক দুআপ্রার্থী।আর কিছু পাই বা না পাই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লাকে যেন কোন অবস্থাতেই না হারাই।(বিইজনিল্লাহ)। 📌সম্পূর্ণ বায়োডাটার বিবৃতিগুলো যতটা সুমিষ্ট বাস্তবতা ঠিক ততখানিই তিক্ত।নিছক কল্পনা মনে করে এগোবেন না কেউ বাস্তবতা মেনে নেয়া কিন্তু চরম কষ্টসাধ্য।সো বি কেয়ারফুল।
কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসা
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? হ্যা
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? হ্যা
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? হ্যা
যোগাযোগ

এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।

অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ

সর্বমোট ভিউ: 749 ভিউস