প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? |
আলহামদুলিল্লাহ। হ্যা |
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? |
ছোট থেকেই নামাজের পাবন্দি ছিলাম,তবে একদম রেগুলার ২০১৬/২০১৭ সাল থেকে হবে খুব সম্ভব। |
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? |
আলহামদুলিল্লাহ, সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। |
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? |
আলহামদুলিল্লাহ।বিজ্ঞ উস্তাজার কাছে শুনানি দিতে হবে তাহলে এবিষয়ে ক্লিয়ার হওয়া যাবে।যদিও শিখেছি, কতটা শুদ্ধ হয় আল্লাহু আলম। |
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? |
সাধারণ কালো বোরকা, পাঁচ পার্ট হিজাব -নিকাব,বড় কালো ওড়না-নিকাব,হাত-পা মুজা এবং চশমা। |
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন |
ইসলামি খিলাফত। |
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? |
আলহামদুলিল্লাহ এসব থেকে মুক্ত। |
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? |
আলহামদুলিল্লাহ জানামতে বিশেষ কোন রোগ নেই। |
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? |
নববী পদ্ধতিতে ব্যাক্তিগতভাবে দাওয়াহ দেয়া এবং বই বিলী। |
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? |
না। |
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? |
কবর বৈ কিছুই নয়। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন |
ম্যাসেজ,জীবন যেখানে যেমন,বেলা ফুরাবার আগে, এবার ভিন্ন কিছু হোক,প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ:১-২,সালাফদের জীবন কথা,আর ছাড়বো না নামাজ,ফজর আর করবো না কাজা,হিজাব আমার পরিচয়, তারিখুল ইসলাম:১ম ও ২য় খন্ড,জীবন যদি হত নারী সাহাবীর মত,যে জীবন মরীচিকা, জবাব,ওগো শুনছো,ফেরা:১-২,হ্যাপি থেকে আমাতুলাহ,ওপারেতে সর্বসুখ,অপেক্ষার শেষ প্রহর,লাভ-ক্যান্ডি,ভালোবাসার বন্ধন,আহ্বান,মা মা মা এবং বাবা,ইমান জাগানিয়া কাহিনী, রিক্লেইম ইয়োর হার্ট,লা-তাহযান, নফসের বিরুদ্ধে লড়াই, ইনজয় ইয়োর লাইফ, ইত্যাদি। |
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন |
শায়েখ তামীম আল আদনানী, মোহাম্মদ হবলস,শায়েখ রাতেব আন নাবলূসি,আবু ত্বোহা মোহাম্মদ আদনান,মিজানুর রহমান আজহারী,মোস্তফা আল-আজহারী,আনিসুর রহমান আশরাফী,আব্দুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মোঃ রাফিউজ্জামান, মাহমুদ বিন কাসেম,শায়েখ আহমাদুল্লাহ, মাওলানা লৎফুর রহমান,শায়েখ মোখতার আহমেদ,মাহমুদ বীন কাসীম,ড.আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহি.ইত্যাদি।। , |
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) |
উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই। |
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন |
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম :
নিজের সম্পর্কে হাইলাইট করার মত যদিও কিছু নেই,তবে এখানে না লিখলেই নয়,যেহেতু এখানকার প্রেজেন্টেশন থেকে আমার সম্পর্কে ধারণা নিবেন।
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহি ওয়াবারকাতুহ;আমি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার একান্তই গুনাহগার এক বান্দি।ছোট থেকেই কেন যেন ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোলাগা,ভালোবাসা কাজ করত,মনটা নরম ছিল একদম দ্বীনের জন্যে।তো দ্বীনহিন পরিবার,পরিবেশ, পারিপার্শ্বিক অবস্থান সব ছিল দ্বীনি পরিবেশের বিপরীত অবস্থানে।ছোট থেকেই কোথাও নামাজ,ইসলামিক আলোচনা তা'লীম এসব হতে দেখলে সাগ্রহে যেতাম,পরিবারের সদস্যদের ছাড়াই অন্যদের সাথে-মুরব্বিদের সাথে।আল্লাহর ভয়,পরকালের ভয় ছোট থেকেই ক্বলবে দিয়ে দিয়েছিলেন মহান রব্বুল আলামীন।
মাদ্রাসায় পড়ুয়া কাউকে দেখলে খুব ইচ্ছে হত মাদ্রাসায় পড়তে,পর্দার পোশাক পরিহিতা কাউকে দেখলে মনের মধ্যে খুব ইচ্ছে জাগত যদি ওমন পর্দা করতে পারতাম,,,এভাবেই বেড়ে ওঠা অন্তরে দ্বিনের প্রতি অফুরন্ত মোহাব্বত নিয়ে।তবে অনেক-অনেক বিষয়ের সাথে জড়িত ছিলাম যা ছিল আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার অপছন্দনীয়,নিষেধ /বর্জনীয়। জানতাম না তখন!!যখন যেটা-যার কাছ হতে শুনতাম মেনে চলতাম,,তবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার আদেশ সম্পর্কে মোটামুটি জানলেও নিষেধ গুলোর ব্যাপারে একদম গাফিল'ই ছিলাম বলা যায়।
তো তাকওয়া(আল্লাহর ভয়,পরকাল,কবর) ইমান-আখলাক সম্পর্কে আরও আগে জানলে হয়ত আরো আগ থেকেই পরিবর্তন হয়ে যেতাম।তবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার হিকমাহ আমরা জানিনা,তার পরিকল্পনা ছিল ভীন্ন।আর তার উত্তম পরিকল্পনার বাস্তবায়ন বর্তমান জীবন আলহামদুলিল্লাহ।
আসলে যাদেরকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা হেদায়েত দিতে চান তাদের অন্তর দ্বীন-ইসলামের প্রতি দূর্বল করে দেন ছোট্ট হতেই,বাস্তবতায় ব্যক্তিকে যত যা-ই করতে দেখা যাক না কেন।অন্তর নরম এবং কোমল হলে,অন্তর থেকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লাকে পেতে চাইলে সে অন্তর অথবা ক্বলবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা হেদায়েত এর নূর ঢালবেন'ই ঢালবেন।(আমার ক্ষেত্রেও তাই হল)
বাহ্যিকতায় দ্বীনহিন আচারন,অন্তরে আল্লাহর ভালোবাসা লালন করে-করে কলেজ অবধি আসা(যদিও তখন একদম ঊশৃংখল ছিলাম না,দুনিয়ার মাপকাঠি তে আসলেই প্রকৃত সভ্য-ভদ্র,মার্জিত,একজন ভালো শ্রোতা,অন্যদের সম্মান প্রদর্শন, গুরুজনদের কথা শ্রদ্ধাভরে শোনা এবং মানার বিষয়,শিক্ষকদের শ্রদ্ধা, তাদের কথা পূর্ণ মনোযোগসহ শোনা,দৈনন্দিন পড়াশুনা রটিন মেনে টাইমলি ঘুম,টাইমলি খাওয়া এগুলো ছিলো,তবে পর্দা,আরও দ্বীনি অনেক দিক অনুপস্থিত ছিল এবং পিছিয়ে ছিলাম অনেক আমল হতেও,জানতামই না যে এগুলো আসলে আমল)
এভাবেই কলেজ জীবন অব্দি আসা,তবে ইসলামিক বই কোথাও পেলে পড়া,কারো কথা,ইসলামিক মাইন্ডসেটের কাউকে পেলে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জানতে চাওয়ার স্বভাব ছিল,তাই করতাম।ইসলামিক কিছু শুনলেই খপ করে ধরে মানতে চাইতাম খুব,মন দিয়ে শুনে সেসব দিক নিজের বাস্তবতায় পরিনত করাই ছিল মূল লক্ষ্য, যে লক্ষ্য সে-ই কাজ(আমল)আলহামদুলিল্লাহ।ইন্টারে থাকাবস্থায়(সেকেন্ড ইয়ারের ফাইনাল পরিক্ষার কিছুদিন পূর্বে)পরিপূর্ণ হেদায়েতের নূর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ক্বলবে ঢেলে দিয়েছেন।(আমৃত্যু এই কথা স্মরণে থাকলে ইংশাআল্লহ বিপথে যাওয়া থেকে প্রটেকশনের কাজ করবে,তো এই ক্বলবের হেদায়েত এর পাশাপাশি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার আদেশ-নিষেধ সম্পর্কেও মোটামুটি অবহিত হই আলহামদুলিল্লাহ।আর এই ক্বলবের হেদায়েতের পর থেকে দ্বীনের প্রতিটি বিষয়:মুলত ইসলামই জীবন-জীবনই ইসলাম।আল্লাহর সন্তুষ্টি-অসন্তুষটির বিষয়ে সজাগ হয়েছি।আল্লাহর সন্তুষ্ট তে প্রশান্তি -অসন্তুষ্টিমুলক চুল পরিমান ও কিছু ঘটে গেলে হোক তা স্বেচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় মানসিকভাবে অন্তর দহনে শেষ হয়ে যাই।
আলহামদুলিল্লাহ এখন সবকিছুর ক্ষেত্রে একটা পাতা ছিঁড়ার বেলায় ও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা রাজি-খুশি /সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির কথা স্মরণ হয় এবং সেভাবেই পথচলা হচ্ছে।
ক্বলবের হেদায়েতের পর দ্বীন-দুনিয়া ক্লিয়ার হয়ে যায় এবং এরপর হতে দ্বীনকে অগ্রাধিকার দিয়েই চলার চেষ্টা করছি।
নিজের শখ:একটা ইসলামিক লাইব্রেরির অনেক শখ,এ নিয়তে বই সংগ্রহ অনেক হয়েছে,হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ!তবে এর পরিপূর্ণতা দিবেন আমার অর্ধেকদিন যিনি হবে তিনি, কেননা আমি চাকরী করব না, ওইভাবে পারব ও না তার সহায়তা ছাড়া।সুতরাং ভবিষ্যৎ উনাকেই আমার এই শখ কে বাস্তবতায় পরিনত করার জন্য হিম্মত রাখা চাই ইংশাআল্লহ-এতিম-মিসকিনদের জন্য স্পেশালি কিছু করার(রব্বুল আলামিন কবুল করুন এবং সে ব্যবস্থা করে দিন,আমীন)
খারাপ অভ্যাস:তিন বেলা খাওয়া(সাধারন ভাত-তরকারী,কোন ফাস্টফুড নয়)+ঘুম+আমল(আল্লাহর সাথে কথা বলা এবং তাঁর কথা শোনা)এই তিন বিষয় মূখ্য জীবনের জন্য না হলেই নয়।তিন বিষয় ঠিক তো সব ঠিক।উক্ত তিন বিষয়ের কোন একটিতে সমস্যা হলে অস্বাভাবিক হয়ে যাই(মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়) ।দিন অথবা রাতের নির্দিষ্ট একটা সময় চাই(একান্ত একা)যেখানে কোন মানুষের সঙ্গ থাকবে না,নিজের মত করে কিছু সময় কাটানো যাবে।(এই পরিবেশ না পেলেও সমস্যা)।ক্বলবের প্রশান্তি সবার আগে পরে বাকি সব।ক্বলবের প্রশান্তি পাওয়ার জন্য যা করতে হয় তা-ই করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠি।
যার ধ্যানে-জ্ঞানে সবটা জুড়ে শুধুই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার সন্তুষ্টি -অসন্তুষ্টির খেয়াল বদ্ধমূল এবং যার সর্বোপ্রধান চাওয়া পরকালের শান্তি সেই ব্যক্তির জন্য আমি নিয়ামত এর ব্যতিক্রম হলে তার অশান্তির কারন হতে পারি।আমার অতিরিক্ত খোতাভীতি তার অস্বস্তির কারন হতে পারে এবং সে আমার অনুরূপ মেন্টালিটির হলে তবে প্রতিটি কর্মই তার দ্বীলের সূকুন বৃদ্ধি করবে বলে আশা করি ইংশাআল্লহ।তাকওয়া এবং উত্তম আখলাক সর্বাধিক প্রায়োরিটির জায়গা আমার কাছে। |
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন |
প্রবাসী/ প্রবাসী বিয়ে করতে আগ্রহী |
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? |
হানাফি |
নজরের হেফাজত করেন? |
হ্যা |
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? |
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।আল্লাহর প্রিয়দের কাতারে শামিল হওয়া এর জন্য যাবতীয় সকল ক্ষেত্রে তদ্রূপ হওয়ার তামান্না রাখি ইংশাআল্লহু আজীজ।হাফেজা-আলেমা হতে পারিনি সন্তানদের তদ্রুপ গড়া এবং সন্তানদের শেখানোর দ্বারা নিজেও আলেমা হব ইংশাআল্লহ।দ্বীনি তরবিয়ত এ গঠন করব সন্তানদের।অন্তরের একনিষ্ঠ প্রতিটি নেক মনেবাসনা সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ওয়া কবুল করুন। |
অবসর সময় কিভাবে কাটান? |
কুরআন তেলাওয়াত শোনা, সৃষ্টি অথবা নিদর্শন নিয়ে চিন্তা ফিকির করা,কুরআন তাদাব্বুর সহ পড়া, লেকচার শোনা,বই পড়া,সৎকর্ম সম্পাদন,ঘুম,ওয়ানলাইন-অফলাইনে দ্বিনী মাশোয়ারা ইত্যাদি। |
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? |
সাংসারিক কাজে সাহায্য করা হয়,আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ-খবর নেয়া(মোবাইলে)সাধ্য হলে প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা এবং প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালন ইত্যাদি। |
নারী-পুরুষ সমঅধীকার বিষয়টাকে আপনি কিভাবে দেখেন? |
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার বিধান তিনি যেরূপ দেখতে বলেছেন সেরূপ।পশ্চিমা সভ্যতা যেভাবে শো করছে তার ঘোর বিরোধী।বর্তমানে সমান বা সমঅধিকার নামে যে ট্রেন্ড সমাজে বিদ্যমান তা ঘৃণা করি। নারী-পুরুষ হলো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার স্বতন্ত্র্য সৃষ্টি আর তাদের অধীকার ও স্বতন্ত্র্য।কুরআন এবং হাদিসের আলোকে নারীর মর্যাদা নারীকে দেয়া হোক এবং পুরুষের অধীকার পুরুষ পাক এটাই সর্বতোভাবে কাম্য।ইসলামে নারীদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে সমানাধিকার নয়। |