female

বায়োডাটা নাম্বার

AH-103307

পাত্রীর বায়োডাটা

অবিবাহিত

সিরাজগঞ্জ

রাজশাহী বিভাগ

সিরাজগঞ্জ

রাজশাহী বিভাগ

২০০৩

ফর্সা

৫'০''

৪৩ কেজি

A+

ছাত্র/ছাত্রী


ঠিকানা
স্থায়ী ঠিকানা কোনাবাড়ি, কামারখন্দ, সিরাজগঞ্জ
বর্তমান ঠিকানা কোনাবাড়ি, কামারখন্দ সিরাজগঞ্জ
কোথায় বড় হয়েছেন? গ্রাম
সাধারণ তথ্য
বায়োডাটার ধরন পাত্রীর বায়োডাটা
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
বর্তমান ঠিকানা সিরাজগঞ্জ
বিভাগ রাজশাহী বিভাগ
স্থায়ী ঠিকানা সিরাজগঞ্জ
বিভাগ রাজশাহী বিভাগ
জন্মসন (আসল) ২০০৩
গাত্রবর্ণ ফর্সা
উচ্চতা ৫'০''
ওজন ৪৩ কেজি
রক্তের গ্রুপ A+
পেশা ছাত্র/ছাত্রী
শিক্ষাগত যোগ্যতা
কোন মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন? জেনারেল
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাশ করেছেন? হ্যাঁ
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান ফলাফল A
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান বিভাগ বিজ্ঞান বিভাগ
মাধ্যমিক (SSC) / সমমান পাসের সন ২০২০
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমান পাশ করেছেন? না
উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) / সমমানের বিভাগ মানবিক বিভাগ
স্নাতক / স্নাতক (সম্মান) / সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা আমি এ বছর অনার্স প্রথম বর্ষে থাকতাম কিন্তু মাঝখানে দ্বীন শেখার প্রতি প্রচুর আগ্রহের কারনে ক্বওমীতে ভর্তি হয়েছিলাম, সেখানে নাহবেমীর দুই মাস পর্যন্ত পড়েছি আর তখন একসাথে মাদ্রাসার পড়া এবং কলেজের পড়া হ্যান্ডেল করতে পারিনি তাই দুই বছর গেপ গেছে, তবে HSC পরিক্ষা দিবো ২৪ সালে যদিও জেনারেল পড়াশোনা করতে মন চায় না।আর এইদিকে বর্তমানে অনলাইনে আলিম কোর্স করতেছি তিন বছরের, তারপর আরও পাঁচ বছর অনলাইনেই পড়ে অফলাইন থেকে বেফাকের আন্ডারে দাওরা পরিক্ষা দিবো ইন শা আল্লাহ।এই সুযোগটা আমাদের IOM থেকে দেওয়া হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। এবং অনলাইনে একটা হিফজ কোর্স থেকে এক পারা মুখস্থ করেছি আলহামদুলিল্লাহ,নিয়ত আছে যতদিন বেঁচে থাকি হিফজের সাথে লেগে থাকবো ইন শা আল্লাহ।দ্বীনের ক্ষেত্রে আরও অনেক বেশি দক্ষতা ও গভীর জ্ঞান অর্জন করতে চাই।ইন শা আল্লাহ।আর একটা বিষয় ক্লিয়ার করি সেটা হলো আমার মতে শিক্ষার ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট অর্জন করা উদ্দেশ্যে নয়, আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমি কতটুকু দক্ষতা অর্জন করতে পেরেছি,,,আর এই দিকেই ফোকাস,আমি অনেক বেশি দক্ষতা,স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে চাই। এবং জ্ঞান অর্জনের দিক দিয়ে অনেক দুর এগিয়ে যেতে চাই।
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা জেনারেল SSC দিয়েছি এবং ২০২৪ সালে HSC দিবো, ক্বওমীতে আড়াই বছর পড়েছি। অনলাইনে Islamic Online Madrasa (IOM) এখানে আলিম কোর্স করতেছি।দ্বীন শেখার জন্য আরও কিছু কোর্স করতেছি।একটা হিফজ বিভাগে আছি আলহামদুলিল্লাহ এবং (১০ কেরাতের আলোকে বিশটি সুরার তাফসীর) এই কোর্স করতেছি উস্তাদ মুস্তাজীবুর রহমানের কাছে,যিনি বর্তমানে মাষ্টার্স (অধ্যায়নরত)উলুমুল কুরআন আত তাফসীর,আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়,কায়রো মিশর।
IOM তথ্য
আপনি কি আইওএমের স্টুডেন্ট? হ্যা
আপনার কোর্সের নাম ও ব্যাচ নম্বর: Alim course - Batch:2309
পারিবারিক তথ্য
পিতার পেশা গ্রামের চিকিৎসক ছিলেন।শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে আব্বা "BA" পাশ করেছিলেন।
মাতার পেশা গৃহিণী। শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে মা "HSC" পাশ করেছেন।
বোন কয়জন? ৩জন
ভাই কয়জন? ভাই নেই
বোনদের সম্পর্কে তথ্য আমার মেজো বোন ক্বওমিতে মিজান জামাতে পড়াশোনা করে আর এদিকে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়েছে,আর সবচেয়ে ছোট্ট বোন ক্লাস ফোরে পড়ে। ওকেও ইং শা আল্লহ মাদ্রাসায় হিফজ বিভাগে দিবো ইং শা আল্লহ।
চাচা মামাদের পেশা আমার একটাই চাচা তিনি তার জমিজমা দেখাশোনা করেন। আর আমার দুইটা মামা তারা দুজনেই চাকরি করেন।
পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা নিম্নমধ্যবিত্ত।
আপনার পরিবারের দ্বীনি অবস্থা কেমন? (বিস্তারিত বর্ননা করুন ) আলহামদুলিল্লাহ ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি আমার আব্বাকে,তিনি কখনোই জামাত ছেড়ে দিতেন না, বৃষ্টির মধ্যেও তিনি আগে আগে মসজিদে যেতেন যাতে জামাত ছুটে না যায়,আর আমার মা এর সম্পর্কে বলতে গেলে বলবো,যে আমার আগের মা আর এখনকার মা এর মধ্যে অনেক পার্থক্য, আমার মাকে আমিই দ্বীনের লাইনে এনেছি আলহামদুলিল্লাহ।তবে মা আগে থেকেই শালীন ভাবে চলাফেরা, নামাজ নিয়মিত পড়া,(তবে ওয়াক্ত মতো নামাজ আদায় করতেন না, সচরাচর গ্রামের মহিলারা যেটা করে, সেইরকম আগে সকল কাজ করবে তারপর নামাজ পড়বে,এটা দেখে আমার খুব বেশি রাগ উঠতো, এছাড়া তখন মা শরিয়াতের অন্যান্য আহকাম অনুসরণ করতেন না, এখন আলহামদুলিল্লাহ সম্পুর্ন শরিয়াহ মোতাবেক চলাফেরা করার চেষ্টা করে) আমার নতুন দ্বীনে ফেরার পর দ্বীন নিয়ে আমার মায়ের সাথে অনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছে, যেহেতু তখন মানুষকে দাওয়াত দেওয়ার প্রোসেস জানতাম না,দ্বায়ীর গুনাবলি সম্পর্কে জ্ঞান ছিল না,তাই পরিবারে দ্বীনের বিরুদ্ধে কিছু দেখলে অধৈর্য্য হয়ে যেতাম, প্রচুর রাগ করতাম, কিন্তু যখন দাওয়াহ নিয়ে মোটামুটি পড়াশোনা করলাম তখন থেকে আমার মাকে টার্গেট রেখে আমার প্রচেষ্টা ছিল ভিন্ন রকমের যার ফল ধীরে ধীরে পাচ্ছি, অনেক কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও রাগ দমন করে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি, এখন আমার মা কে যখন বলতে দেখি যে আগে নামাজটা পড়ি তারপর ওমক কাজ করবো, তখন এতো কৃতজ্ঞতা আদায় করি রবের আলহামদুলিল্লাহ, পর্দার দিক দিয়েও অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। এতো বেশি দোয়া করেছি আমার পরিবারের জন্য এবং দোয়া করি প্রতিনিয়ত তার ফল এমনভাবে আল্লহ তায়ালা আমাকে দেন যা কল্পনা করতে পারি না, আমি যেহেতু বড় মেয়ে, এখন আমার মাও আমার আয়ত্তে এসেছে,আর এতে আমার পরিবারে দ্বীন পালন এবং দ্বীন বাস্তবায়ন করা অনেক সহজ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ,বাড়িতে প্রতিটা সিদ্ধান্ত আমার কথা অনুযায়ী হয় আলহামদুলিল্লাহ, আমার বোনেরাও আমার অনুমতি ছাড়া কিচ্ছু করার সাহস পায় না,ওরা আমাকে যথেষ্ট সম্মান ও ভালোবাসে,ওরা জানে যে আমার আপু আমাদেরকে যেটা বলবে সেটা অবশ্যই ভালোর জন্য বলবে, এখন পরিবারের দ্বীনি অবস্থা দেখে আমার অন্তর জুড়িয়ে যায়,আর কৃতজ্ঞতায় মাথাটা নত হয়ে যায় আলহামদুলিল্লাহ।আমি নগন্য বান্দি, কিন্তু আল্লহ তায়ালা যে আমাকে কত্ত ভালোবাসেন, আমাকে দয়া করে তিনি আলোর পথ দেখিয়েছেন,আমি আমার নিজেকে দেখেই অবাক হই যে দ্বীনে ফেরার আগে আমার চাহিদা কেমন ছিল, আর এখন কেমন,প্রতি সেকেন্ডে আলহামদুলিল্লাহ বললেও শুকরিয়া আদায় করে শেষ করতে পারবো না। এছাড়া আগে থেকেই দেখি আমাদের বাড়িতে রমজান মাস এলেই কোরআন পড়ার, কোরআন খতম দেওয়ার ধুম পড়ে যায়, আমার আব্বা কোরআন পড়তে পারতেন না,তবে তিনি কোরআন শেখা অবস্থায় মারা গেছেন,আর তিনি অত্যন্ত মিশুক প্রকৃতির ও সৎ চিকিৎসক ছিলেন,তার নরম আচরনের কারনে গ্রামের সবাই তাকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন।যেহেতু আমার আব্বা ডাক্তার ছিলেন তাই বাড়িতে সব সময় মানুষ থাকতো,যদিও তখন আমরা কেউই পর্দা করতাম না,তবে এখন বাড়িতে পর্দার ব্যাবস্থা করা হয়েছে, এখন আমি আর আমার মেজো বোন পরিপূর্ণ পর্দা করি, মাহরাম,গাইরে মাহরাম মেইনটেইন করে চলি আলহামদুলিল্লাহ। তবে মা এখনও আমাদের মতো খাছ পর্দা করেন না,তবে তিনি খুব বেশি শালীন ভাবে থাকেন বাড়িতে,আর বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময়, আমাদের মতোই বোরখা,হাত মোজা,পা মোজা পড়ে বের হোন,তবে আশা রাখি অচিরেই তিনিও আমাদের মতো মাহরাম,গাইরে মাহরাম মেইনটেইন করবেন ইন শা আল্লাহ।আসলে আমাদের বাড়িতে আমার দ্বীনে ফেরার পর থেকেই বেশি পরিবর্তন হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।আমিই বাড়িতে প্রথমে পর্দা শুরু করেছি,প্রথমে কারোর সাপোর্ট পাইনি, কোনোমতে মাকে বুঝাইছিলাম, তারপরও মানুষের অনেক কথা শুনতে হয়েছে,অনেকে টিটকারি করেছে,এতে করে আমার ঈমান আরও মজবুত হয়েছে , পর্দার ক্ষেত্রে আরও জিদ বেড়ে গিয়েছিল,মনে মনে বলতাম তোমরা আমাকে যত টিটকারি দিবা আমি আরও বেশি ইমানওয়ালা হবো,আর অনেক বেশি দোয়া করতাম,এই দোয়াটাই আমার জীবনের সবকিছুর জন্য একটা বড় হাতিয়ার,এ পর্যন্ত এমন কোনো দোয়া নেই যে কবুল হয়নি, দোয়া কবুলের ক্ষেত্রে কখনো এমন হয়েছে যে,কোনো একটা সমস্যা হওয়ার কারণে আমি সিজদায় গিয়ে দোয়া করতেছি, কিন্তু অবাক করা বিষয় সিজদাহ থেকে মাথা উঠানোর পরই শুনলাম যে সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে,আর তখনকার অনুভুতি কেমন হবে বলেন তো!! ব্যাক্তিগত আমলের মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় আমল "দোয়া করা "। রবের সাথে প্রতিনিয়ত কথা বলা,আর আমি মনে করি রবের সাথে কানেক্টিভিটি বাড়িয়ে দেওয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো দোয়া করা,সব কিছু রবের সাথে শেয়ার করা।এটা আমি হারে হারে ফিল করতে পারি যে আসলেই দোয়াটাই সকল ইবাদতের মগজ।যেহেতু দ্বীনে ফেরার প্রথম দিকে কারোর সাপোর্ট পাইতাম না,তাই সবকিছু রবকেই বলতে হয়েছে,আর এই যে কাউকে পাশে না পাওয়া এটা অনেক বড় নেয়ামত মনে করি,যারা জেনারেল থেকে দ্বীনের পথে ফিরে আসে তাদের জন্য এই একাকিত্ব যে কত্ত বড় নেয়ামত,এটা যারা পেয়েছে তারাই বোঝে,ফালিল্লাহিল হামদ। তারপর আমার পর্দা করার পর আমার চাচাতো বোন উনি আমার চেয়ে বড়, উনাকে এই বিষয়ে বোঝানোর পর উনিও পর্দা শুরু করে দিলো আলহামদুলিল্লাহ,আর আমরা এই দুইজন মিলে বাড়িতে আমার মা, চাচীকে সবকিছু বোঝালাম, এখনও বোঝাই,যার কারণে সবাই আগে যেভাবে চলাফেরা করতো তারচেয়ে আরও বেশি সতর্ক ও সাবধানতার সাথে চলাফেরা করে আলহামদুলিল্লাহ।আমি যখন পর্দা শুরু করি তখন আমার চাচাতো ভাইয়েররা ছোট ছিল যার কারণে পর্দার জন্য কোনো সমস্যা হয়নি, তবে এখন তাদের সাথে আমাদের পর্দা করা একটু কষ্ট হয়,যেহেতু আমাদের একই সাথে বাড়ি, আমার মেজো বোন তো মাদ্রাসায় থাকে,ও বাড়িতে আসলে ওই কয়েকদিন একটু বেশি সেইফে থাকে, আর আমার সবচেয়ে কষ্ট হতো পর্দা করতে, আমার ভাইয়েরাও অনেক সাবধানে থাকে, আমিও অনেক সাবধানে থাকি, কিন্তু একই বাড়ি হওয়ার কারণে একটু হলেও পর্দার সমস্যা হয়,তাই আমি আমার পর্দার হেফাজতের জন্য এখন মেসে থাকি আলহামদুলিল্লাহ, সবকিছুই আল্লাহ তায়ালা আমার জন্য সহজ করে দিয়েছেন। পরিপূর্ণ ভাবে দ্বীনে ফেরার পর থেকে নিয়ে এখন পর্যন্ত অনেক বেশি সংগ্রাম করতে হয়, দ্বীনের যেকোনো বিষয়ে প্রথমে কারোর থেকেই সাপোর্ট পাইনা, অনেক বুঝিয়ে, আল্লহর কাছে কান্নাকাটি করে তারপর ঠিক হয়।তবে এখন বাড়িতে সকলেই আমার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে, দ্বীনের বিষয়ে বাড়িতে আমি যেটা বলবো সেটাই মানতে হবে মানে হবেই। আমার একদম পুচকু গুলুমুলু কিউট বোনও আমাদের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আলহামদুলিল্লাহ।আমার কাছেই শুদ্ধভাবে কোরআন শিখেছে,ওকে ইন শা আল্লহ হিফজ বিভাগে দিবো। মোটকথা এখন আমার পরিবারে দ্বীনি পরিবেশ আলহামদুলিল্লাহ।সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাদের জন্য সবকিছু সহজ করে দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ।
ব্যক্তিগত তথ্য
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয় ? জী আলহামদুলিল্লাহ।
নিয়মিত নামায কত সময় যাবত পড়ছেন? আমি ক্লাস ফাইভ থেকেই নামাজ পড়ি আলহামদুলিল্লাহ তবে মাঝে মাঝে ছুটে যেতো,আর হাইস্কুলে যাওয়ার কারণে যোহর নামাজ মিস যেতো তবে অনেক চেষ্টা করতাম স্কুলেই যোহর নামাজ আদায় করতে, তারপর আছর নামাজ কোচিং এ থাকার কারনে মিস যেতো তবে ক্লাস নাইন থেকে আছর নামাজও কোচিং এ পড়াই শুরু করলাম। অর্থাৎ আমি একদম নিয়মিত নামাজ পাঁচ বছর ধরে শুরু করেছি আলহামদুলিল্লাহ।
মাহরাম/গাইরে-মাহরাম মেনে চলেন কি? জী আলহামদুলিল্লাহ।
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? জী আলহামদুলিল্লাহ।
ঘরের বাহিরে সাধারণত কী ধরণের পোশাক পরেন? কালো বোরখা, লং হিজাব,হাত মোজা,পা মোজা, চোখের উপরের পর্দা ফেলে দিয়ে বাইরে বের হই আলহামদুলিল্লাহ।
কোনো রাজনৈতিক দর্শন থাকলে লিখুন খিলাফাহ
নাটক/সিনেমা/সিরিয়াল/গান/খেলা এসব দেখেন বা শুনেন? না।
মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে কি? না।
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? অফলাইনে কোরআন পড়াই আলহামদুলিল্লাহ এবং কোরআন পোড়ানোর মধ্যে দিয়েই দাওয়াতি কাজ করার চেষ্টা করি আর অনলাইনেও কিছু গ্রুপে দ্বীনি তালিম করি আলহামদুলিল্লাহ। এছাড়া আমার একটা বড় স্বপ্ন আছে,সেটা হলো আমার একটা বড় মক্তব হবে,যেখানে ৭ বছর বয়স থেকে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েদের কোরআন পড়াবো,আর এখান থেকেই আমি দ্বীনের একটা বড় কমিউনিটি তৈরি করতে চাই,এই মক্তবকে কেন্দ্র করেই আমি আদর্শ পরিবার গঠনে কাজ করতে চাই, এখান থেকেই বাচ্চা মেয়েদের মধ্যে একটা দ্বীনি ক্যাটাগরি,যুবতি মেয়েদের মধ্যে একটা দ্বীনি ক্যাটাগরি, এবং বয়স্ক মেয়েদের মধ্যে একটা দ্বীনি ক্যাটাগরি তৈরি করতে চাই, অবশ্যই এখানে তিন কোয়ালিটির মেয়ে রয়েছে, যাদের মধ্যে দ্বীন ছড়িয়ে দেওয়া এবং আল্লাহর দিকে আহবান করার প্রোসেস টাও তিন রকমের হবে,আর এক্ষেত্রে অবশ্যই আমার একজন দ্বায়ী জীবনসঙ্গী প্রয়োজন, আমার প্রতিটা পদক্ষেপে আমি আখিরাতকেই প্রায়োরিটি দিবো, আমার প্রতিটা কাজ হবে শুধু মাত্র আল্লহর জন্য,আর একজন দ্বায়ী জীবনসঙ্গী চাওয়া এটা তো পরিপূর্ণ ভাবে আল্লহ তায়ালার দ্বীনের বিজয়ের জন্য চাই এবং আমিও তার সাথে এই উম্মাহর খেদমত করতে চাই, মেয়েদের মধ্যে দাওয়াতি কাজ করতে চাই,ইশ কেমন যে লাগে আমার কোনো বেপর্দা বোনকে দেখে,মনে হয় আমি কেমন করে বুঝাবো আমার এই বোনকে, কিভাবে বললে আমার এই বোনটা বুঝবে,আমি তো জেনারেল থেকে দ্বীনের পথে ফেরা,তাই আবেগটা একটু বেশি,বেদ্বীন মেয়েদের দেখে ইমোশনাল হয়ে যায়, খালি মনে হয় কেমন করে বুঝাবো আমার এই বোনদের,আর কেই বা আমার কথা শুনবে!!? আল্লহ তায়ালা আমাকে এমন জীবনসঙ্গী দান করুন যার মাধ্যমে এই কাজ গুলো করা আমার জন্য সহজ হবে। সরাসরি মেয়েদের মধ্যে তো আর ছেলে দ্বায়ী যারা আছে তারা কাজ করতে পারে না,তাই আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী এই দায়িত্ব নিতে চাই বিইযনিল্লাহ।
আপনি কি কোনো পীরের মুরিদ বা অনুসারী ? না
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? বেদায়াত,,আর এখানে মানুষ আল্লহ তায়ালা ব্যাতিত অন্য কিছুর কাছে প্রার্থনা করে যা শিরক । আসতাগফিরুল্লহ।
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ টি ইসলামী বই এর নাম লিখুন সিরাহ ১,সিরাহ ২, তাসাওউফ ও আত্মশুদ্ধি,বেলা ফুরাবার আগে,জীবন যদি হতো নারী সাহাবির মতো, এছাড়া আরও অনেক আছে।
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন শায়েখ আহমাদুল্লাহ (হাফি:), মিজানুর রহমান আজহারি, মুফতি মেনক, মুফতি আমির হামযা,ড.আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.),মাওলানা তারিক জামিল সাহেব, উস্তাদ আবু ত্বহা আদনান (হাফি:), উস্তাদ যুবায়ের আহমাদ (হাফি:),ড.শামছুল আরেফিন শক্তি, এছাড়া আরোও অনেকে আছেন।
বিশেষ দ্বীনি বা দুনিয়াবি যোগ্যতা (যদি থাকে) বিশেষ ভাবে তেমন দ্বীনি বা দুনিয়াবি কোনো যোগ্যতা নেই, দুনিয়াবী বলতে একটু 🫰 দর্জির কাজ জানি,তবে পরিপূর্ণ শিখবো ইন শা আল্লাহ, আরও কিছু দুনিয়াবী যোগ্যতা আছে কিন্তু মনে পড়তেছে না 👀 তবে দ্বীনি যোগ্যতা বলতে আমি শুদ্ধভাবে কোরআন পড়তে পারি এবং মানুষকে শুদ্ধভাবে কোরআন শেখাই আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ মানুষকে দ্বীনের পথে আহবান করার বিষয়ে একটু যোগ্যতা অর্জন করার চেষ্টা করতেছি,আর আমি চাই আল্লাহ তায়ালা যেন এই দিকেই আমাকে সবচেয়ে বেশি যোগ্যতা অর্জন করার তাওফীক দান করেন। কোরআন হিফজ করতে চাই,এক পারা হিফজ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন নিজের সম্পর্কে বলতে গেলে সেভাবে বলা যায় না,হয়তবা বলার পরিধি বেশি হতে পারে,এই বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা আমায় মাফ করুন,তবে যিনি আমাকে বিয়ে করবেন তাকে আমার সম্পর্কে জানাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাই এই তথ্য গুলো দিতেই হবে।প্রথমেই আমি বলবো আমি অনেক বেশি নরম ও মিশুক প্রকৃতির মানুষ। অনেক বেশি ইমোশনাল হওয়ার কারণে সবসময় শুকরিয়া আদায় করি যে, অল্পতেই আল্লহর দরবারে কান্না করতে পারি। তবে এই ইমোশনাল হওয়ার যে ব্যাপারটা এটা দ্বীনি দিক দিয়েই বেশি ফিল করি,যখন আমার সামনে দেখি কেউ ইচ্ছে করে নামাজ পড়ছে না, ইচ্ছে করে জেনেবুঝে আল্লাহর নাফরমানি করছে, বুঝানোর পরেও বুঝতে পারছে না, তখন এতো বেশি কষ্ট হয়, অনেক বেশি অস্থিরতা কাজ করে, এছাড়া অন্যান্য বিষয়েও কারো কষ্ট দেখলে আমারও অনেক বেশি কষ্ট হয়, মনে হয় আমি যদি তাকে পরিপূর্ণ ভাবে সাহায্য করে তার কষ্ট দূর করতে পারতাম,কোনো আলেমের কান্না একদম সহ্য করতে পারি না,অন্তরে এমনভাবে লাগে, আমার দ্বীনের প্রতি এতো মহাব্বাত,এতো ইমোশনাল হয়ে যাওয়া এগুলো মাওলানা তারিক জামিল সাহেব এর বয়ান শোনার মাধ্যমেই হয়তো হয়েছে, আমার নিজের দ্বীনে ফেরার দিক দিয়ে আমি মনে করি উনার বয়ানই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে,উনার বয়ানে প্রতিটি লাইনে লাইনে আমি চোখের পানি ফেলেছি,উনার দরদমাখা কথা শুনে নিজেকে সামলানো রাখা অসম্ভব, এছাড়া দ্বীনের প্রতিটি পদে পদে আমার রাসুলের অনুপস্থিতি অনুভব করি, হঠাৎ করে দ্বীনে ফেরার পর থেকে আল্লহর দ্বীনের প্রতি এবং রাসুলের প্রতি কেমন যেন একটা ভালোবাসা উপলব্দি করতে পারি যা কাউকে বোঝাতে পারি না,এই একাকিত্বকে আমি আমার রবের পক্ষ থেকে বিরাট নেয়ামত মনে করি যা সবাইকে দেওয়া হয় না,হারাম কাজ, গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি, আমার দ্বীনে ফেরা থেকে নিয়ে এ পর্যন্ত পথচলা সম্পুর্ন ভাবে মনে হয় যে,স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা নিজেই আমার প্রতিটি পদে পদে পথ দেখিয়ে দিয়েছে, দ্বীনের সাথে লেগে থাকার জন্য কোনটার পর কোনটা করতে হবে এই বিষয়ে প্রথম প্রথম কারোর গাইড পাইনি,একদম কেমন করে কি হইছে আমি যখন ভাবি তখন নিজেই অবাক হয়ে যায় সুবহানাল্লাহ।সব সময় শুকরিয়া আদায় করার চেষ্টা করি, অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করি,সেটা হোক আল্লহর কাছে,অথবা কোনো মানুষের কাছে,মাঝে মাঝে যখন নিজের জীবনের প্রতিটা পার্ট নিয়ে ভাবি, তখন চোখের পানি ধরে রাখতে পারি না, কিভাবে শুকরিয়া আদায় করবো বুঝি না,মনে হয় জীবনের প্রতিটা অধ্যায়ের জন্য যদি প্রতি বার কৃতজ্ঞতা আদায়ের জন্য জীবন দিয়ে দেই তবুও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা শেষ হবে না, কিভাবে যে এই ফিতনার সময় আমাকে আল্লাহ তায়ালা ফিতনা থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করেছেন, এবং ফিতনার একটা জগৎ থেকে কিভাবে যে আমাকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন সুবহানাল্লাহ, নিজের গুনাহ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার তাওফীক দান করেছেন, এবং কিছুটা হলেও উম্মাহর ফিকির করার তাওফীক দান করেছেন, এগুলো যখন ভাবি তখন যে কেমন লাগে, আমি এগুলো লিখতেও পারি না, কাউকে বলতেও পারি না,অনেক বেশি ইমোশনাল হয়ে যায়।ইভেন আমি আমার আব্বার মৃত্যটাকেও অনেক বড় নেয়ামত মনে করি,আমি দেখেছি আমার এই ছোট্ট জীবনে যত বিপদে পড়েছি,যত আঘাত পেয়েছি,যত টিটকারি, তিরষ্কারের শিকার হয়েছি এই প্রতিটা বিষয় আমাকে প্রতি বার রবকে চেনার তাওফীক দান করেছেন,আমার জাররা পরিমানও অভিযোগ আসেনা আমার রবের প্রতি,আমি যে এখানে এখন এটা লিখছি এখানেও ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছি,রবের দয়ার কথা স্মরণ করলে চোখের পানি সামলানো যায় না, আমার জীবনের প্রতিটা সেকেন্ডের জন্য আলহামদুলিল্লাহ। এছাড়া আমি মানুষকে খুব সহজেই আপন করে নিতে পারি।এ পর্যন্ত ২০ বছর ২১ বছর হয়ে গেল আমি যেখানেই যায় সেখানে সবাই কেমন যেন আমাকে ভালোবাসে। ছোট্ট বেলা সেই কেজী স্কুল থেকে নিয়ে এসএসসি পর্যন্ত যেখানে যেখানে পড়েছি প্রতিটা স্যার মেম আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসতো। তারপর ক্বওমীতে দুই বছর থাকলাম আলহামদুলিল্লাহ সেখানে তো এতো ভালোবাসা পেয়েছি উস্তাদ উস্তাযাদের কাছে, এবং জামায়াতের ছাত্রীরা এতো বেশি সম্মান ও ভালোবাসতো যেটার পরিধি অনেক বেশি আলহামদুলিল্লাহ। পরিপূর্ণ ভাবে দ্বীনে ফেরার আগে যদিও তাকওয়ার পরিধি অনেক কম ছিল কিন্তু আমার এই মিশুক স্বভাবটি সবাই পছন্দ করতো,আর আমি একটু চঞ্চল টাইপের মেয়ে ছিলাম তো, তবে এই মিশুক স্বভাবটা আমি আমার আব্বার থেকে শিখেছি আলহামদুলিল্লাহ।ছোট বেলা দেখতাম আমার আব্বা কাউকেই ছোট করে দেখতেন না, এবং প্রায় প্রতিদিন সকালে চুলার পাশে একটা না একটা ফকিরকে একদম নিজের কাছে নিয়ে খাবার খেতো,কত মানুষকে এমনি বিনিময় ছাড়া ঔষধ দিতো,পাড়ার সবার বলে তোর আব্বাকে কখনো কারোর সাথে ঝগড়া বিবাদ করতে দেখেনি,আর আমার পরিপূর্ণ ভাবে দ্বীনে ফেরার সবচেয়ে বড় কারন হলো আমার আব্বার মৃত্যটা একদম আমার চোখের সামনে হয়েছে,তিনি জুমার দিন, জুমার নামাজের কিছুক্ষণ আগে আমার চোখের সামনে কালেমা পড়তে পড়তে মারা গেছেন আলহামদুলিল্লাহ।আমি কৃতজ্ঞ আমার আব্বাকে নিয়ে।আব্বা মারা যাওয়ার পর থেকে খালি মনে হতো আমাদের কোনো কর্মকাণ্ডের কারণে যেন আমার আব্বার কবরে আযাব না হয়, আমাদের কারনে যেন আমার আব্বার সম্মানের ক্ষতি না হয়,এই কয়েকটা বিষয় মাথায় রেখে চলাফেরা করতাম,আমি কখনো হারাম সম্পর্কে যায়নি,ইভেন আমার বান্ধবীদের মধ্যে যদি কেউ এগুলো করতো তারসাথে আমি মিশিনি,সবসময় এগুলো থেকে দূরে থাকতাম এবং থাকি, কিন্তু তখন কিন্তু পরিপূর্ণ তাকওয়া বা আল্লহর ভয় ছিল না, তবুও কেমন যেন এগুলো আমার একদম ভালো লাগতো না,এই বিয়ের আগে প্রেম ভালোবাসা ভালো না লাগার কারণে যে কত্ত শুকরিয়া আদায় করি আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ। এখন যদি কেউ আমাকে এগুলো বিষয়ে বলে যে তোমার কি জীবনে কেউ ছিল,আর আমি যদি বলি না, এগুলো আমার কখনো ছিল না, সুবহানাল্লাহ,, তখন এটা কেউ বিশ্বাসই করে না, কারন এটা এখন ব্যাধির মতো সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে,এতো বেশি স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে একজন সিঙ্গেল আছে এটা কেউ বিশ্বাসই করতে চায় না, তাহলে এখানে শুকরিয়া আদায়ের পরিধি কেমন হওয়া উচিত?আদৌ কি শুকরিয়া আদায় করে শেষ করতে পারবো যে, আমার রব আমাকে কেমন করে এই ফিতনার মধ্যে এই সকল হারাম কাজ থেকে হেফাজতে রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ,কোটি বার আলহামদুলিল্লাহ বললেও শুকরিয়া আদায় হবে না। আমার এলাকা থেকে এই বিষয়ে আমার নামে কেউ কোনো রিপোর্ট দিতে পারবে না, আপনি আমার ফ্রেন্ড সার্কেল জেনারেল পড়াশোনার সময় যারা ছিল তাদের থেকে খোজ নিলেই বুঝতে পারবেন যে এই হারাম সম্পর্কের কতটা বিরোধী ছিলাম আমি, আলহামদুলিল্লাহ ছাড়া কোনো কথা নেই।আচ্ছা এবার আমি স্পেসেফিক ভাবে আমার কথা বলি, আমার ক্ষেত্রে আমি দ্বীনের ক্ষেত্রে কখনো কোনো বিষয়ে কম্প্রোমাইজ করি না, এতে যা হয় হোক, আমার রব আমাকে যেটা করার জন্য আদেশ দিয়েছেন সেটা আমাকে করতেই হবে,এতে কে খুশি হলো আর কে খুশি হলো না আই ডোন্ট কেয়ার।তবে এই বিষয়ে একটু কোমলতা অবলম্বন করি,কারন আমি মানুষটাই নমনীয়,কঠিনতা আমার দ্বারা হয় না। মানুষের উপকার করতে অনেক বেশি ভালোবাসি এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি,হোক সেটা পরামর্শের মাধ্যমে।প্রতিটা ক্ষেত্রেই ছাড় দেওয়ার ত্যাগ করার মানসিকতা রাখার চেষ্টা করি। অশান্তি,ঝগড়া-বিবাদ,ঝামেলা করা এগুলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি, শুধুমাত্র শান্তির জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করতে পারি এটা আমার নিজের এক্সপেরিয়েন্স থেকে বলছি কিন্তু। নিজের সম্পর্কে এগুলো তো বেসিক বিষয়ে বললাম।তবে পরিপূর্ণ ভাবে দ্বীনে ফেরার পর থেকে, নিজের দ্বীনি জ্ঞান অর্জনের দিকে বেশি ফোকাস করতেছি,কারন আমার জীবনের মাকসাদ হচ্ছে দাওয়াত,যেটা প্রতিটা নবী রাসুলের জীবনের মাকসাদ ছিল।প্রতিটা পদক্ষেপে আমি আমার মিশন দাওয়াত কে সামনে রেখেই এগিয়ে যেতে চাই।আমি একজন সফল দ্বায়ী হতে চাই,সফল দ্বায়ীর অনেক প্রকারের সংজ্ঞা আছে,তবে আমি যেটা সামনে রেখে চলি সেটা হলো,আমি চাই আমার দ্বারা যেন হাজার হাজার মানুষ হেদায়েত পাই, হাজার হাজার অমুসলিম মানুষ যেন মুসলিম হয়, আমার চাল চলন, কথাবার্তা এ সবই যেন দাওয়াতের অন্তর্ভুক্ত হয়। এভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করতে প্রতিনিয়ত রবের দরবারে দোয়া আর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।দ্বীনকে কেন্দ্র করে আমার কত্ত বড় বড় আশা আছে, এগুলো কাউকে বলার সাহস হয় না,সবাই বলবে তোর মতো সাধারণ ঘরের মেয়ে কি করে এতো বড় স্বপ্ন দেখিস,তবে এখানে একটা কথা বলি সেটা হলো যারা জেনারেল থেকে দ্বীনের পথে আসে তাদের ঈমান ওতোটা নরমাল হয় না,এইসব টিটকারি তিরষ্কারের কারনে ঈমানের তাকাজা আরও দ্বিগুন বেড়ে যায়,যে যাই বলুক আমি আমার স্বপ্ন পূরনের দিকেই ফোকাস রাখি, আমার স্বপ্ন, আমার প্রতিটা চাওয়া যদি আমার রবের জন্য হয়, অবশ্যই তিনি আমাকে তা দান করবেন ইন শা আল্লাহ। আর আমার আগে একটু রাগ ছিল,এখন আলহামদুলিল্লাহ কমে গেছে মানে অনেক কমে গেছে আলহামদুলিল্লাহ। ফাইনালি আমি যেটা বলবো সেটা হলো আমি এখন অনেক দিক দিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে চাই। আমি আলেমা হবো, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত হিফজের সাথে লেগে থাকবো, ইংরেজি ভাষা শিখতে চাই, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন কোর্স করতে চাই, সমসাময়িক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই, বিভিন্ন রান্না শিখতে চাই,আপাতত এতোটুকুই থাক। এরপর উনার সাথে পরামর্শ করে আরও দ্বীনের দিক দিয়ে আরও এগিয়ে যেতে চাই। বাই দা ওয়ে আমি ঘুড়তে অনেক পছন্দ করি। এবং সবসময় হাসি খুশি থাকি।অল্পতে তুষ্ট থাকার চেষ্টা করি।রাগ করে একদমই বেশিক্ষণ থাকতে পারি না। মানুষকে ছোট ভাবা, মানুষের সাথে প্রতারণা করা,হেয়ো করা, জেনেবুঝে কষ্ট দেওয়া এগুলো চড়মভাবে ঘৃণা করি।আর আমার মতে এই শ্রেনীর মানুষেরা সবচেয়ে ছোট মনের মানুষ।বয়স অনুযায়ী আমি যথেষ্ট ম্যাচিউর।মিষ্টি জাতীয় খাবার পছন্দ করি। যেকোনো দায়িত্বের প্রতি যন্তশীল। হাদিয়া দিতে এবং হাদিয়া পেতে অনেক বেশি ভালো লাগে।
আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এমন অপশন গুলো সিলেক্ট করুন প্রযোজ্য নয়
কোন মাজহাব অনুসরণ করেন? হানাফি
নজরের হেফাজত করেন? হ্যা
দ্বীনি ফিউচার প্ল্যন কি আপনার? আমার দ্বীনের ফিকির আলহামদুলিল্লাহ আই ও এম এ ভর্তি হওয়ার পর বেড়েছে আলহামদুলিল্লাহ।তবে আগে থেকেই মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দেওয়া অসৎ কাজ থেকে বাঁধা দেওয়া এগুলো ছিল। এখন আমি অনেক বেশি দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করতে চাই, কারণ আমি দ্বায়ী হতে চাই,আর আমি এমন দ্বায়ী হতে চাই যাতে অমুসলিম মেয়েদের মধ্যেও দাওয়াতি কাজ করতে পারি,আমি এমন দ্বায়ী হতে চাই যাতে বাংলাদেশের যত নায়িকা,গায়িকা,বেপর্দা নরী উদ্দৌক্তা, তাদের মাঝে দ্বীন ছড়িয়ে দিতে পারি, আমার খালি মনে হয় ইশ এনাদের কাছে মনে হয় কেউ আল্লহর দয়ার কথা বলে না, মনে হয় এদেরকে কি কেউ সামনাসামনি পরকালের কথা বলে না, খুবই কষ্ট হয় আমার, আমার মনে হয় আল্লহ ভোলা মানুষদের কাছে আল্লহর দয়ার কথা বলবো,আল্লহর মহত্ব,ক্ষমতা তার বিশালতার কথা বলবো,আল্লহ ভোলা মানুষদের হেদায়েতের দিকে আহবান করবো,আমি চাই পরিপূর্ণ ভাবে আমি যেন আল্লহর দ্বীনের কাজে সাহায্য করতে পারি,আমি তো আমার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনের মাকসাদ কে আমার জীবনের মাকসাদ করে নিয়েছি শুধু তার আর তার রবের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য।আর আমি বড় বড় স্টার, সেলিব্রিটি,নায়িকা, গায়িকা এদের মধ্যে দ্বীন প্রচার করতে চাই একটা উদ্দেশ্যে,আমি মনে করি এইসব সেলিব্রিটিদের অনেক ফ্যান ফলোয়ারস আছে সো আমি যদি এদের মধ্যে একজনকে দ্বীনের দাওয়াতের মাধ্যমে হেদায়েতের দিকে আনতে পারি আল্লাহ তায়ালা যদি তাওফীক দান করেন তাহলে এই সেলিব্রিটি বা নায়িকা, গায়িকার দ্বীনে ফেরার বিষয়টি তার হাজার হাজার ফ্যান ফলোয়ারের মধ্যেও এই প্রভাব পড়বে আমি এটাই আশা করি,আর যদি কোনো এইরকম সেলিব্রিটি দ্বীনের পথে ফেরার পর দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করে এবং সেও দ্বায়ী হয় এবং তার ফ্যান ফলোয়ারের মধ্যে সেও দাওয়াতি কাজ করে তাহলে কতই না উত্তম হবে,আর ইসলামের প্রচার,প্রসার বাড়বে ইং শা আল্লহ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অশ্লীলতার দিক দিয়ে নারীরা এগিয়ে আছে, কিন্তু আফসোসের বিষয় এই নারীদের মধ্যেই দ্বীনের প্রচার,প্রসার কম। প্রতিবছরই অনেক বেশি মাহফিল হয়, নতুন নতুন টপিক নিয়ে আলোচনা হয়, কিন্তু আদৌ কি আল্লাহ ভোলা মানুষগুলো এগুলো শোনে,যারা টিকটক করে,ব্লগ করে এরা কি আদৌ শোনে,, এদের কাছে কে দাওয়াত পৌছে দেয়,,দেখেন চারদিকে অশ্লীনতার প্রতিযোগীতা চলছে,রাস্তাঘাটে মেয়েদের চলাফেরা দেখে অনেক বেশি কষ্ট হয়,এই বেপর্দা অশ্লীন মেয়েদের কারনে হাজার হাজার যুবক নষ্ট হচ্ছে,এদের মধ্যে দাওয়াতি কাজ করা পসিবল না হলেও অন্তত যারা দ্বীন পালন করে তাদের মধ্যে দাওয়াতি কাজ করতে পারবো তাদেরকে অনেক বেশি সতর্ক করতে পারবো,প্রতিটা সমাজে যদি চরিত্রবান, তাকওয়াবান দশটা মেয়ে থাকে আর এদেরকে নিয়ে যদি গভীর ভাবে দ্বীনি কাজ করা যায় তাহলে একটা সুন্দর প্রজন্ম দিতে পারবো ইন শা আল্লাহ। আজকাল পাঠ্যপুস্তক সহ বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি করা হচ্ছে,পাঠ্যপুস্তকে সমকামিকার মতো নিকৃষ্ট পাপকে প্রমোট করা হচ্ছে,এতে করে এই প্রজন্ম সহ, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, কিন্তু সেই সময়ে গিয়ে আমাদের কোনো করনীয় থাকবে না, আমাদের প্রজন্মকে চাইলেও কন্ট্রোল করতে পারবো না, তখন শুধু হায় হুতাশ ছাড়া কোনো পথ থাকবে না,তাই যা করার এখন থেকেই করতে হবে, আদর্শ পরিবার গঠন করতে হবে,দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করতে হবে, এবং একটা সুন্দর প্রজন্ম এই উম্মাহকে উপহার দিতে হবে,কি বলবো ইদানিং এতো বেশি কষ্ট হয় চারদিকে এতো পাপ দেখে। এবার আমাদের জেগে উঠতে হবে এবং অপরকে জাগিয়ে তুলতে হবে।এগুলোই আমার ফিউচার প্ল্যান,যা পুরন করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি চলছে,আমি একটা আদর্শ পরিবার গড়তে চাই, আদর্শ পরিবার গঠনে কাজ করতে চাই, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এমন ভাবে প্রস্তুত করতে চাই যারা আল্লাহর দ্বীনের জন্য নিজের জীবন দিতে প্রস্তুত থাকবে।এইসব কাজ গুলো করার জন্য অবশ্যই আমার জীবনে একজন দ্বায়ী জীবনসঙ্গী দরকার,যার মাধ্যমে আমি এই কাজগুলো সম্পন্ন করবো,যার মাধ্যমে আমার সমাজ পরিবর্তন করবো,যুব সমাজ পরিবর্তন করবো,এই উম্মাহর জন্য আমার জীবন দিয়ে হলেও কাজ করবো।ইন শা আল্লাহ।
অবসর সময় কিভাবে কাটান? অবসর সময় বলতে,যেহেতু জেনারেল থেকে দ্বীনের পথে ফেরা,তাই একাকিত্বের মধ্যে বেশি থাকি,আর এই একাকিত্বের জন্য আমি কৃতজ্ঞ আমার রবের প্রতি, এতে যে প্রতিনিয়ত রবের সাথে কথা হয়,রবের সাথে যোগাযোগ আরও মজবুত হয়, রুমমেটদের সাথে দ্বীনি কথা বার্তা বলি, ফেসবুকে রিলস গুলো দেখি, নতুন বছরে নতুন নতুন ওয়াজ শুনি,যেহেতু অনলাইনে পড়াশোনা,তাই অবসরে বিভিন্ন গ্রুপ চেক করি,কিছু বই পড়ি। দরূদ, ইস্তেগফার করি।
বাড়িতে কি কি দায়িত্ব আপনি পালন করে থাকেন? বাড়িতে সবকিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি করার দায়িত্ব আমার,তবে মাঝে মাঝে রান্না করি।আর এখন যেহেতু মেসে থাকি এখানে তো সব কাজই করতে হয়।সব রান্না করতে গেলে পারি,তবে এক্কেবারে সবকিছু পারি এমন না। আবার রান্না করতে গেলেই সেটা যেকোনো কিছু রান্না হোক একটু দেখিয়ে দিলেই পারি।আর বাড়িতে সবার হক আদায়ের চেষ্টা করি, এছাড়া বাড়িতে পরিপূর্ণ ভাবে দ্বীন বাস্তবায়ন করা মেইন টার্গেট।
নারী-পুরুষ সমঅধীকার বিষয়টাকে আপনি কিভাবে দেখেন? নারীদেরকে আল্লহ তায়ালা ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।আর পুরুষরা উপার্জন করবে তারা নারীদের দায়িত্ব নিবে। কিন্তু নারী পুরুষ একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে এটা শরিয়ত অনুমতি দেয় না। সুতরাং সব ক্ষেত্রে নারী পুরুষ সমান অধিকার চাওয়া বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
বিয়ে সংক্রান্ত তথ্য
অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? হ্যা।
বিয়ে কেন করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? পৃথিবীতে একটাই সম্পর্ক হচ্ছে জান্নাতি সম্পর্ক আর সেটা হলো,স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক।আর বিয়ে আমাদের রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহ।এছাড়া বিয়ের মাধ্যমে নিজের লজ্জাস্থান ও দৃষ্টির হেফাজত করা সহজ হয়। এছাড়া দ্বীনের পরিপূর্ণতা ও ইমানের পরিপূর্ণতার জন্য বিয়ে ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। মোট কথা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নজরের হেফাজত,লজ্জাস্থানের হেফাজত, ইমানের ও দ্বীনের পরিপূর্ণতার জন্য বিয়ে অতীব জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আপনি কি বিয়ের পর চাকরি করতে ইচ্ছুক? না।
বিয়ের পর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান? (ছাত্রী হলে) শরিয়াহ মোতাবেক যদি পর্দার দিক দিয়ে এছাড়া অন্যান্য দিক দিয়ে সমস্যা না থাকে তাহলে পড়াশোনা কন্টিনিউ করতে চাই।আর আমি যেহেতু দ্বায়ী হতে চাই সুতরাং আমার পড়াশোনাটাও আল্লহর জন্য,হোক সেটা জেনারেল অথবা অনলাইন মাদ্রাসা।তবে যদি শরিয়াহ এর দিক দিয়ে বেশি সমস্যা হয় তাহলে জেনারেল বাদ দিতে পারি,তবে দ্বীনের জন্য দ্বীনের দ্বায়ী হওয়ার জন্য সমসাময়িক বিষয় ও দ্বীনি বিষয়ে প্রচুর পড়াশোনা ও জ্ঞান অর্জন করতে চাই।
বিয়েতে কেমন মোহরানা নির্ধারন করতে চান? ছেলের সাধ্যমত আলোচনা সাপেক্ষে
পাত্র/পাত্রী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখেন? জেলা
আপনার স্বামীর প্রতি কি কি দায়িত্ব আছে আপনার? আল্লহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমি তার পরিপূর্ণ আনুগত্য করতে চাই। কোরআন হাদিস থেকে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর যত দায়িত্ব আছে সব পালন করতে চাই আর এটা আমার জীবনের একটা স্বপ্ন।কারন এতে যে আল্লহ তায়ালার সন্তুষ্টি বিদ্যমান।
বিয়ের পর কোথায় থাকতে চান? স্বামীর বাড়ি
যেমন জীবনসঙ্গী আশা করেন
বয়স ২৫-৩০
গাত্রবর্ণ শ্যাম/ উজ্জ্বল শ্যাম
নূন্যতম উচ্চতা ৫ ফুট ৬"
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হাফেজ মাওলানা।অথবা জেনারেল অনার্স সম্পন্ন, মাস্টার্সের ২য় বা তৃতীয় বর্ষের স্টুডেন্ট।।
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
জীবনসঙ্গীর দাড়ি বা ইনকাম সম্পর্কে যা চান- অবশ্যই দাড়ি থাকতে হবে। পুরুষ মানুষের সৌন্দর্য তো তার দাড়ির মধ্যেই নিহিত,আর দাড়ি আমার রাসুলের সুন্নত ,দাড়িতেই প্রকৃত স্মার্টনেস।তাই দাড়ি ছাড়া পুরুষকে কখনোই বিয়ে করবো না, আমার জীবনসঙ্গীর মাষ্ট দাড়ি থাকতেই হবে। দ্বীনের কাজ করার ঝোঁক আমার বেশি তাই ইনকাম একটু ভালো হলেই উত্তম হবে।কারন বড় পরিসরে দ্বীনের কাজের জন্য অনেক বেশি অর্থের প্রয়োজন।তবে ইনকামের সোর্স অবশ্যই হালাল হতে হবে।
পেশা প্রথমত একজন দ্বায়ী হতে হবে।আর যেকোনো ইনকাম করলেই হবে,তবে অবশ্যই ইনকামের সোর্স হালাল হতে হবে।
অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হতে হবে। এজন্যই ভালো হতে হবে কারন প্রচুর পরিমাণে দ্বীনের কাজ করতে চাই আর তার জন্য অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হতে হবে।গরিব, অসহায় মানুষের পাশে সক্রিয় ভাবে দাড়াতে চাই,গরিব অমুসলিম ভাইবোনদের মধ্যে দাওয়াতি কাজ করতে চাই,আর তাদের মধ্যে আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমেই দাওয়াতি কাজ করতে চাই,আমি করতে না পারলেও যিনি আমার জীবনসঙ্গী হবেন তার মাধ্যমে করতে চাই।দ্বীনকে কেন্দ্র করে আমার আরো কত্ত আশা আছে, সেগুলো পুরন করার জন্য আর্থিক অবস্থা একটু বেশি ভালো হলে আমার জন্য দ্বীনি কাজ করা অনেক বেশি মুনাসিব হতো।
পারিবারিক অবস্থা পরিবারের সবাই দ্বীনি হতে হবে,ইসলামিক মাইন্ডের হতে হবে।সবাই শরিয়াহ মোতাবেক চলাফেরা করবে।প্রতিটা পদক্ষেপে আল্লহর হুকুম আহকাম মেনে চলার চেষ্টা করবে। পারিবারিক অবস্থা ভালো হতে হবে। অর্থের দিক দিয়েও, দ্বীনের দিক দিয়েও।সমাজে সম্মানিত হতে হবে,কারন বর্তমানে এমন একটা প্রেক্ষাপটের মধ্যে আমরা আছি যেখানে গরীব মানুষকে মানুষই মনে করা হয় না,তাই আমি যেই পরিবারে যাবো সেই পরিবার যদি সামাজিক ভাবে সচ্ছল ও সম্মানিত হয় তাহলে দাওয়াতি কাজ করা, এবং দ্বীনের কাজ করা অনেক বেশি সহজ হবে। পারিবারিক অবস্থা ভালো না হলে তো মানুষ মানুষকে মূল্যায়নই করতে চাই না,আর আমার জীবনসঙ্গী,কিংবা উনার পরিবারের সদস্যদের যদি কেউ মূল্যায়ন না করে তাহলে দাওয়াতি কাজ করা অনেক বেশি কঠিন হবে। এজন্যই পারিবারিক অবস্থা আর্থিক দিক দিয়ে এবং সামাজিক দিক দিয়েও ভালো হলে আমার জন্য অনেক বেশি সহজ হবে।
জীবনসঙ্গীর যে বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী আশা করেন আমি চাই সে একজন দ্বায়ী হোক।প্রতিটা পদে পদে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে অনুসরণ করার চেষ্টা করবে।সে প্রচুর পরিমাণে এই উম্মাহর ফিকির করবে এবং উম্মাহর সব সময় মঙ্গল কামনা করবে। আমার স্বপ্ন পূরনে আমাকে পরিপূর্ণ সহায়তা করবে,তার মনমানসিকতা অনেক বড় হবে।সেও মানুষের কল্যানকামী হবে। মানুষকে হেদায়েতের দিকে আহবান করার জন্য তার মনটা ব্যাকুল থাকবে,পরকালমুখী হবে এবং দুনিয়াবিমুখ হবে।আমি চাই সে একজন বড় দ্বায়ী হোক কারন আমি যেহেতু অনেক বড় পর্যায়ে দ্বীনের কাজ করতে চাই,সেটা সেলিব্রিটি থেকে নিয়ে শুরু করে সব ক্ষেত্রে তাই উনি একজন বড় দ্বীনের দ্বায়ী হলে এই কাজ গুলো করতে আমার জন্য সহজ হবে।আমি চাই সে যেন মানুষের দেওয়া দুঃখ, কষ্ট সহ্য করতে পারে,তার যেন ধৈর্য অনেক বেশি হয়,কারন দ্বীনের দ্বায়ী হওয়ার জন্য এই গুনটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা গুন।সে তার পরিবারের মানুষদের অনেক বেশি ভালোবাসবে। আর আমার জাওয যিনি হবেন তাকে তার মা বাবাকে অনেক বেশি ভালোবাসতে হবে, তাদের পরিপূর্ণ হক আদায়ের দিকে তাকে লক্ষ্য রাখতে হবে,প্রতিটা মানুষের কিছু স্বপ্ন থাকে,তেমনি আমার যত স্বপ্ন আছে সেগুলোর মধ্যে একটা স্বপ্ন এরকম যে, আমার জাওয এবং তার পরিবারের সদস্যদের অনেক বেশি খেদমত করা, ভালোবাসা,সম্মান করা, এবং তাদের থেকে অনেক ভালোবাসা ও দোয়া পাওয়া।আমি আমার শশুর শাশুড়ির মাধ্যমেই তো আমার জাওযকে পেয়েছি, সুতরাং তাদের প্রতি তো কৃতজ্ঞতা এবং ভালোবাসা একটু বেশিই থাকবে।আমার শশুর শাশুড়ি জীবিত থাকবে এটা আমার স্বপ্ন।যদিও আল্লহ তায়ালা তাকদিরে কি রেখেছেন এটা জানি না,তবে অনেক দোয়া করি আমি, এবং এটাই আমি আমার রবের থেকে এক্সপেক্ট করি। অবশ্যই আমার প্রতিটা, পরিকল্পনা, প্রতিটা কাজ আমার রবের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য।আর আমার তো বাবা নেই সুতরাং সে আমার পরিবারের পাশে দাড়াবে অনেক শক্ত ভাবে, আমার পরিবারের খোঁজ খবর নিবে, আমার মাকে সে ভালোবাসবে,আর অবশ্যই এগুলো সে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করবে।আমি চাই সে নজরের হেফাজত করবে মানে সবসময় দৃষ্টি সংযত করে রাখবে।সে বিনয়ী হবে।আর অনেক বেশিই বিনয়ী হবে। আর একটা বিষয় ক্লিয়ার করতে চাই,আমরা যারা নিজেকে দ্বীনদ্বার ভাবি এবং একজন উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার আশা করি তাদেরকে সমাজের কারো কোনো মন্তব্যের দিকে নজর না দেওয়া উচিত। কারন অনেকেই নিজেকে দ্বীনদ্বার দাবি করে এবং একজন তাকওয়াবান, চরিত্রবান জীবনসঙ্গী আশা করে,এর সাথে উচ্চ বংশ,ফ্যামেলি স্ট্যাটাস, পারিবারিক ভাবে সামাজিক ভাবেও মেয়ের পরিবার সম্মানিত ও স্বচ্ছল হতে হবে,দুনিয়া কি জান্নাত যে আপনি সবকিছু একসাথে চান,? খেয়াল করলে দেখতে পারবেন বাংলাদেশের বড় বড় আলেমরা হাফেজা,আলেমা, উচ্চ বংশ,আলেম পরিবারের মেয়েদেরই বিয়ে করে, তাহলে আমরা যারা সাধারণ ঘরের মেয়ে, আমাদের দায়িত্ব কে নেবে? আমরা যে দ্বীন শেখার প্রতি তৃষ্ণার্ত থাকি, পরিবার, আত্মীয়-স্বজন,কারোর সাপোর্ট পাই না, সমাজের মানুষের টিটকারি, তারপর আপনারা যারা বড় বড় দ্বায়ী তারাও যদি আমাদের স্কিপ করে চলে যান, আমাদের দায়িত্ব নেবে কে? আমাদেরকে কি এতুটুকু সুযোগ দেওয়া হবে না? কেন আপনি সমাজের মানুষের কথার উপর নির্ভর করবেন,সম্মান দেওয়ার মালিক তো আল্লাহ, সমাজ তো নয়,,,তাহলে কেন এমন আচরণ?? হিম্মত করেন একজন জেনারেল থেকে ফিরে আসা মেয়ের দায়িত্ব নিবেন,তার কষ্ট গুলো বুঝবেন,আমরা যারা জেনারেল থেকে দ্বীনের পথে ফিরে আসি,আমরা জানি এই পথটা কতটা কষ্টকর হয়,প্রতিটা পদে পদে আমাদেরকে সংগ্রাম করতে হয়,কত মানুষের কত কথা শুনতে হয়, কিন্তু এই বাধাবিপত্তির মধ্যেও দ্বীন শেখার চেষ্টা এবং এই উম্মাহর ফিকির করা, উম্মাহর খেদমত করার স্বপ্ন দেখা, এরমধ্যে দিয়েও দ্বায়ীরা আমাদেরকে বুঝতে চায় না, আমাদের স্কিপ করে চলে যায়, আবার অনেক দেখেছি যে, যে মেয়ের বাবা নেই,ভাই নেই সে পরিবারেও বিয়ে করতে চাই না,কারন তাকে নাকি আদর করার লোকের অভাব পড়বে,সমাজে সে সম্মান পাবে না,অথচ সে নিজেকে দ্বীনদ্বার ভাবে ,আর আমি মনে করি এই ধরনের মানুষ সবচেয়ে বোকা,কারন একজন চরিত্রবান, তাকওয়াবান মেয়ে পেয়ে গেলে আপনার আর কি লাগবে,, আপনি তো আসল জিনিসই পেয়ে গেলেন,এই সাধারণ ঘরের মেয়ের কারনেই হয়তো আল্লাহ আপনার সম্মান বাড়িয়ে দিবে। আপনার জীবনকে সুখময় করে দিবে,উন্নতির চড়ম শিখরে পৌঁছে দিবে,, কিন্তু আফসোসের বিষয় অনেকেই এটা বুঝতে চায় না।যারা শশুরবাড়ি থেকে অনেক কিছু আশা করেন,তারা যোগাযোগ করবেন না।আর এখানে এতো কিছু বলার কারন একটাই সেটা হলো দাওয়াত,যতো মানুষ এই বায়োডাটা দেখবে সবাই একটা সাধারন ঘরের মেয়ের নিরব কান্না দেখতে পারবেন,এটা শুধু আমার নিরব কান্না নয়, এরকম হাজার হাজার দ্বীনি বোনের হাহাকার,কান্না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি আমার রব আমাকে নিরাশ করবেন না,কারন আমার সবকিছুই তো আল্লাহ তায়ালার দ্বীনের জন্য, আমার প্রতিটি তাহাজ্জুদের নামাজ শেষের দোয়া কখনো বিফলে যাবে না,ইন শা আল্লাহ দ্বায়ী জীবনসঙ্গী পাবো। একজন জেনারেল থেকে দ্বীনে ফেরা মেয়েদের কেউ বুঝতে চায় না, পরিবার,আত্নীয়স্বজন কেউ বোঝে না,আর সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় এই বিয়ের ক্ষেত্রে,, আল্লাহ তায়ালা সবাইকে বোঝার তাওফীক দান করুন।আমিন।তবে আমার রবের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস যে তিনি আমাকে নিরাশ করবেন না,আমি খালি একটা সুযোগ চাই এই উম্মাহর খেদমাতের জন্য,একটা সুযোগ,,,,,কি করে বোঝাবো আমি এই বিষয়টা,একটাই জীবন, জীবন তো বারবার দেওয়া হবে না যে একেক জীবনে একেক টা কাজ করবো।তাই এই একটা মাত্র জীবনকেই কাজে লাগাতে চাই এই উম্মাহর জন্য। আমার এই দ্বীনের পথের জার্নিটা অনেক বেশি সংগ্রামের,একা একা সবকিছু মেইনটেইন করতে হয়। পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই উনাকে দ্বায়ী হতে হবে। সারাজীবন সিজ্ঞেল থাকবো তবুও কোনো বেদ্বীনকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে পারবো না।এটার জন্য কত কথা,কত টিটকারি,কত কিছু সহ্য করতে হয়, কিন্তু আমি আল্লাহর কাছে ছেচরার মতো চাইতেই থাকবো,চাইতেই থাকবো একজন দ্বায়ী জীবনসঙ্গী,দেখি কতদিন লাগে,কত দিন অপেক্ষা করতে হয়,তবে মজার বিষয় হলো এতো বাধাবিপত্তি হওয়া সত্ত্বেও রবের সাথে সম্পর্ক তো মজবুত হয়,প্রতিদিন দোয়া করার নতুন নতুন সিস্টেম করা,মনে মনে রবের সাথে কথা বলা,প্রতিটা নেক কাজ শুধুমাত্র আল্লহ তায়ালার জন্য করা, এগুলো অনেক বেশি প্রশান্তিময়, আলহামদুলিল্লাহ,এতো সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একজনকে সবসময় কাছে পাই, ভাগ্যিস আমার একজন দয়াময় রব আছেন 💚 حسبي الله و نعم الوكيل
জীবনসংঙ্গীর জেলা যেমনটা চাচ্ছেন? যেকোনো জেলা।
অন্যান্য তথ্য
বিশেষ কিছু যদি জানাতে চান আমি আম্মাজান খাদিজা (রা.) এর মতো আমার জীবনসঙ্গীর পাশে থাকতে চাই, জীবনের সবটুকু দিয়ে তাকে দ্বীনের কাজ করার জন্য সাহায্য করতে চাই।আমি এমন প্রজন্ম দিতে চাই যারা আল্লাহর দ্বীনের জন্য নিজের জীবন দিতেও প্রস্তত থাকবে।তো এই জার্নিটা তো দ্বীনে ফেরার পর থেকেই শুরু হয়েছে,একা একা পথচলা,মাঝে মাঝে অনেক কঠিন হয়ে পরে। কিভাবে বোঝাবো যে আমি কেন একজন দ্বায়ী জীবনসঙ্গী চাই, কিন্তু আফসোসের বিষয় বাংলাদেশের দ্বায়ী,স্কলাররা আমাদের অসহায়ত্বের দিকে তাকাই না,তারাও সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে কোনো আলেমা, হাফেজা,আলেম পরিবারের মেয়েদেরই বিয়ে করে,আলেম পরিবারের মেয়েরা তো ছোট বেলা থেকেই আলেমের সহবতে থেকে বড় হয়, কিন্তু আমরা যারা সাধারণ ঘরের মেয়ে,আমরা তো এমন পরিবারে বড় হইনা,তাই বলে কি এমন কাউকে জীবনে পাওয়ার আশাও রাখতে পারি না,,,অথচ এই চাওয়াটা সম্পুর্ন ভাবে আল্লাহর দ্বীন ক্বায়েম ও তার দ্বীনের বিজয়ের জন্য। উম্মাহর এই ক্রান্তিকালে কেন এতো কিছু দেখেন আপনারা আমি এটাই বুঝি না, এখনও কেন বাইরের চোখ দিয়ে সবকিছু দেখেন,অন্তরে যে একটা চোখ আছে,ক্বলবে যে একটা তাকওয়ার চোখ আছে সেটা দিয়ে একটু বিবেচনা করুন এই উম্মাহর অবস্থা,, এবং নিজের বিয়ের ক্ষেত্রেও দুনিয়ার চাকচিক্য দেখে বাইরের চোখ দিয়ে সবকিছু না দেখে একটু ভেতরের চোখ দিয়ে দেখেন না,, যদি আপনার ইনকাম থাকে এবং দ্বীনের কাজের সাথে লেগে থাকেন এবং খালি একটা উম্মাহদরদী, দ্বীনের প্রতি যার অফুরন্ত ভালোবাসা,দ্বীন শেখার যার প্রচুর আগ্রহ,এই রকম একটা জীবনসঙ্গী পেয়ে যান, তারপর আপনার আর কি লাগবে ?? এরপরেও কেন এতো কিছু দেখতে হবে,,মেয়ের ভাই আছে কিনা,মেয়ের বাবা আছে কিনা,, আরও কত কি সুবহানাল্লাহ,,আমি অবাক হয়ে যায় যে চারদিকের যে অবস্থা এর মধ্যে একজন যে নিজেকে দ্বীনদ্বার ভাবে তার এতো চাহিদা কিভাবে থাকতে পারে,যেখানে উম্মাহকে নিয়ে ভাবার কথা, এবং এমন জীবনসঙ্গী খোঁজা যাকে পেলে দুজন দুজনকে দ্বীনের কাজে সাহায্য করতে পারবে, খুবই কষ্ট হয় এই আচরন গুলো দেখে,দ্বায়ীদের মনমানসিকতা আরও বড় করতে হবে,উম্মাহর খেদমাতের জন্য কি আমার মতো সাধারণ মেয়েদের একটা সুযোগ দেওয়া হবে না,,?? কেন এমন মানসিকতা,,,!? সারাক্ষণ খারাপ লাগে এই উম্মাহর জন্য,একা একা না পারতেছি নিজেকে সেভাবে গড়ে তুলতে,আর না কোনো সুযোগ পাচ্ছি।অথচ এই উম্মাহর জন্য অন্তরটা সব সময় ব্যাকুল থাকে,জীবনে একজন দ্বায়ী মানুষ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন দেখি মুলত আমার রবের আর আমার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ভালোবাসার জন্য। পরিবার,আত্মীয়-স্বজন তারাও বোঝে না।তবে পরিপূর্ণ ইয়াকীন ও ভরসা রয়েছে আমার রবের প্রতি,চাওয়াটা যদি তার জন্য হয়, অবশ্যই তিনি আমাকে নিরাশ করবেন না ইন শা আল্লাহ। আমার, আপনার রাসুল (💚সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম 💚) আমাদের জন্যই রাতের পর রাত কেঁদেছেন, আমাদের জন্য মার খেয়েছেন, আমাদের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন, আমাদের জন্য নিজের শরীর থেকে রক্ত ঝরিয়েছেন, আমাদের জন্যই হাশরের ময়দানে সেজদা থেকে মাথা উঠাবেন না,অথচ এই উম্মাহ আজ তার রাসুলের আদর্শ থেকে অনেক বেশি দূরে চলে গেছে, রাসুলের সকল সুন্নাহ ছেড়ে দিয়েছে,তারা গাফেল হয়ে গেছে,ফরয নামাযটাই আদায় করছে না,অথচ আমার নবীজির ইন্তেকালের পূর্বে শেষ কথাটাই ছিল "নামাজ" , "নামাজ "উম্মাতেরা নামাজ ছেড়ো না, কতজন মুসলিম তার রাসুলের শেষ কথাটা শুনতেছে,, উম্মাহর এই অবস্থা দেখেও কতজন এই উম্মাহর ফিকির করতেছে, চারদিকে এতো পাপ আর অশ্লীলতা এগুলোর বিরুদ্ধে কতজন কথা বলতেছে, কতজন সচেতন হচ্ছে,,, উম্মাহর এই করুন অবস্থার মেইন কারন হলো "দাওয়াতের অভাব", যোগ্য দ্বায়ীর অভাব, এবং যারা দাওয়াতি কাজের সাথে জড়িত হয়তো তারাও তার হক সঠিক ভাবে আদায় করতে পারতেছে না, তবুও হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না, নিজেকে দাওয়াতের সাথে জড়িয়ে দিতে হবে,সেই পরিমাণ ইলম অর্জন করতে হবে, এবং সেই রকম একজন দ্বায়ী জীবনসঙ্গী খুঁজে বের করতে হবে, একজন দ্বায়ী জীবনসঙ্গী পেলেই আমি একটা প্রজন্ম দিতে চাই এই উম্মাহকে,, আল্লাহ,,, কেমন করে বোঝাবো যে এটা আমার জন্য কতটা জরুরি বিষয়, আমি জেনারেল থেকে দ্বীনের পথে এসেছি,তাই বলে কি উম্মাহর কল্যানে কাজ করতে পারবো না,,? আমি জেনারেল থেকে এসেছি বলে কি একজন দ্বায়ী জীবনসঙ্গী এক্সপেক্ট করবো না,?দ্বায়ীদের এ সকল কনসেপ্ট পরিবর্তন করুন প্লিজ,, আমাদের মতো জেনারেল থেকে দ্বীনে ফেরা মেয়েদের দায়িত্ব নিয়ে আমাদেরও এই উম্মাহর খেদমাতের জন্য একটা সুযোগ দিন প্লিজ,,, আমরা যারা নিজেকে দ্বীনদ্বার ভাবি তাদেরকে সব সময় সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলা লাগবে এর কোনো মানে আছে,, দুনিয়ার প্রতি এতো মহাব্বাত রাখা যাবে কি,,, নবী রাসুলদের জীবনীর দিকে তাকান,সাহাবিদের জীবনীর দিকে তাকান, তারা দ্বীনের জন্য কত সেক্রিফাইস করেছেন আর আমরা কি করতেছি,?! আমরা একটা সাধারন ঘরের মেয়ে যার দ্বীনের প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা রয়েছে,যার জীবনের মাকসাদই হচ্ছে দ্বীনের সাথে লেগে থাকা, তারপরও ভাবছি সমাজে পাত্রীপক্ষকে অনেক বেশি সম্মানিত হতে হবে,, বংশ মর্যাদা আরও উন্নত হতে হবে,তা না হলে আমি সমাজে সম্মান পাবো না,আমি এতো বড় আলেম হয়ে কিভাবে সাধারণ ঘরের মেয়েকে বিয়ে করতে পারি,,এটা কেমন মনোভাব বলেন তো,এতে কি আদৌ উম্মাহর কল্যান হবে,আমি সাধারন মেয়ে বিধায় আমাকে একটা সুযোগ দেওয়া হবে না এই উম্মাহর জন্য,, অনেক বেশি কষ্ট হয় এগুলো দেখে,,তবে আমি কিন্তু সব দ্বায়ীকে একই কাতারে শামিল করছি না,সবাই এতো ছোট মন মানসিকতার দ্বায়ী না,তবে বাংলাদেশের সকল দ্বায়ীকেই ব্রড মাইন্ডেড বিলং করতে হবে তবেই আমাদের দ্বারা উম্মাহর কল্যান ও দ্বীনের বিজয় সম্ভব ইন শা আল্লহ।কথা গুলো একটু চড়া হলেও আমি একদম অন্তর থেকে একরাশ অভিমান নিয়ে বলেছি,যত মানুষ এই বায়োডাটা দেখবে একটু হলেও তাদের চেতনা জেগে উঠবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সঠিক টা বোঝার তাওফীক দান করুন, এবং আমাকে একজন দ্বায়ী জীবনসঙ্গী দান করুন আমিন। দ্বীন নিয়ে কত স্বপ্ন, কত আশা আকাঙ্ক্ষা,কত কথা জমে আছে,এতো কথা তো লেখা পসিবল নয়,তবে সামনাসামনি আলোচনা হবে ইন শা আল্লাহ।আর এই বায়োডাটা দেখে নিশ্চিত আমার সম্পর্কে একটা সাধারন ধারনা ফিল করতে পারছেন, সুতরাং আমার মনমানসিকার সাথে যদি না মেলে তাহলে হুদায় যোগাযোগ না করলে ভালো হতো। আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন আমার সম্পর্কে কাউকে বিস্তারিত বলতে পারে না,তাই এখানে এতো সবকিছু বিস্তারিত বলা। আল্লাহ তায়ালা আমার সহায় হোক,তার দ্বীনের জন্য,এই উম্মাহর খেদমাতের জন্য আমায় কবুল করুন এবং একজন তাকওয়াবান দ্বায়ী জীবনসঙ্গী দান করুন। আমিন حسبي الله و نعم الوكيل
কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসা
বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন তা অভিভাবক জানেন? হ্যা
আল্লাহ'র শপথ করে সাক্ষ্য দিন, যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন সব সত্য? হ্যা
কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার দুনিয়াবী ও আখিরাতের দায়ভার ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ নিবে না। আপনি কি রাজি? হ্যা
যোগাযোগ

এই বায়োডাটার অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।

অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ

সর্বমোট ভিউ: 704 ভিউস